Sthapatya

Sthapatya The only architecture portal in Bengali & English that aims to raise design awareness amongst the common populace.

বাংলা ভাষায় ,বাঙালিদের জন্য প্রথম স্থাপত্য বিষয়ক ওয়েব পেজ । প্রিন্সেপ ঘাট থেকে পাণ্ডু রাজার ঢিপি...মন্দির থেকে মিহরাব ... টেরাকোটা থেকে পেন্ডেনটিভ... দুলাল মুখার্জি থেকে রফিক আজম ... কাটোয়া থেকে রাজশাহী হয়ে বিক্রমপুর ঘুরে মোগলমারি ... মিলে মিশে যাক দুই বাংলা । উদ্দেশ্য একটাই - বাঙালিদের মধ্যে ''স্থাপত্য বা Architecture'' বিষয়টা নিয়ে ভালোবাসা , আগ্রহ আর সচেতনতা গড়ে তোলা ।

গতকাল কলকাতা জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ICOMOS আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন স্থাপত্যের সহ-সম্পাদক অরুণাভ সান...
14/09/2025

গতকাল কলকাতা জাদুঘরে অনুষ্ঠিত ICOMOS আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন স্থাপত্যের সহ-সম্পাদক অরুণাভ সান্যাল। কলকাতার বাইরেও গঙ্গাতীরের ছোট ছোট শহরতলির বুকে যে বহু অজানা ইতিহাস লুকিয়ে রয়েছে তা নিয়েই বক্তব্য রাখেন তিনি। দেশের প্রথম বাটা কারখানা থেকে শুরু করে বাংলা থেকে Haywards ব্র্যান্ডের পথচলার ইতিহাস; কোন্নগরের লালকুঠি থেকে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হেস্টিংস মিলের মধ্যে স্থিত আমেরিকান এয়ার কম্যান্ড সহ বহু অজানা ইতিহাস নিয়ে চর্চা একরকম হয়নি বললেই চলে। শহরতলির এই সব আঞ্চলিক ইতিহাসের মধ্যে শুধু আমাদের ঐতিহ্য আর ফেলে আসা ইতিহাসই লুকিয়ে নেই, বরং রয়েছে আমাদের আত্মপরিচয়। ICOMOS টিমকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এরকম এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা আয়োজনের জন্য এবং স্থাপত্যকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখার জন্য সুযোগ দেওয়ার জন্য।

বাংলা ভাষায় বাংলার স্থাপত্যকে নিয়ে আলোচনা করব বলে আজ থেকে দশ বছর আগে শুরু হয়েছিল স্থাপত্যের পথচলা। বিগত কয়েক বছরে আপনাদের কাছ থেকে পেয়েছি অকুণ্ঠ ভালোবাসা। সেই ভালোবাসাকে পাথেয় করেই ঠিক করেছি যে এরপর আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকেও কিছু ভিডিও এবং তথ্যচিত্র প্রকাশ করব।

খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ পাবে কোন্নগরের লালকুঠি, আর বাংলার বুকে Haywards ব্র্যান্ডের পথচলা নিয়ে আমাদের ভিডিও। আপনাদের লাইক, শেয়ার এবং কমেন্ট পেলে আমরা আগ্রহ পাবো তথ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলার আরো অনেক আনালোচিত ইতিহাস তুলে ধরার জন্য।

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের লিংক- https://www.youtube.com/

স্থাপত্যের পক্ষ থেকে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই - Kamal Banerjee এবং Sandipan Chatterjee'কে।

, , , , , , , International Council on Monuments and Sites (ICOMOS), ICOMOS Internat. Committee on Historic Cities, Towns and Villages (CIVVIH)

আপনাদের সমর্থনকে পাথেয় করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের শেষ ভিডিওটা এক লক্ষের অধিক ভিউ অতিক্রম করেছে। দর্শকদের থেকে আকুন্ঠ ভা...
31/08/2025

আপনাদের সমর্থনকে পাথেয় করে আমাদের ইউটিউব চ্যানেলের শেষ ভিডিওটা এক লক্ষের অধিক ভিউ অতিক্রম করেছে। দর্শকদের থেকে আকুন্ঠ ভালোবাসা পেয়েছি তা ভোলার নয়। বাংলার এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যই স্থাপত্যের পক্ষ থেকে এই ক্ষুদ্র প্রয়াস করেছিলাম আমরা।

গতকাল তামালবাবুর ফোন করেছিলেন বীরভূম থেকে। উনি বিগত দু-সপ্তাহে বহু ফোনকল পেয়েছেন আপনাদের থেকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও বাংলাদেশ, আসাম, ত্রিপুরা, উড়িষ্যা এমনকি সুদূর মহারাষ্ট্র থেকেও দর্শকরা তার সাথে যোগাযোগ করেছেন। আশা রাখি তার হাত দিয়েই এই শিল্পের পুনরুত্থান ঘটবে। সমস্যা হল, এই মুহূর্তে তামালবাবুর কাছে এই খড়গ আপনাদের বাড়ি অব্দি পৌঁছে দেবার কোনো উপায় জানা নেই। ফলে আপনাদের এই খড়গ সংগ্রহ করতে হলে খরুন গ্রামেই আসতে হবে। সকলের সুবিধার জন্য তামালবাবুর ফোন নাম্বার এবং ঠিকানাটা আরেকবার শেয়ার করলাম এখানে।

তামাল কর্মকার- +৯১- ৮১৪৫১০৪৭১১, ঠিকানাঃ খরুন গ্রাম, রামপুরহাট ১ নাম্বার ব্লক, বীরভূম। তারাপীঠ মন্দির থেকে ৩ কিলোমিটার এবং রামপুরহাট স্টেশন থেকে ৬ কিলোমিটার। আপনারা তারাপীঠে পৌঁছে কিম্বা রামপুরহাট স্টেশনে পৌঁছে যে কোনো টোটোচালককে অনুরোধ করলেই তারা তামালবাবুর বাড়ি অব্দি পৌঁছে দেবে আপনাকে।

Weapons of Bengal : Sacrificial Sword of Kali I Khanra I বাংলার অস্ত্রঃ বলির খাঁড়া বা খড়গ - https://www.youtube.com/watch?v=wTwoUhLxv_c

_______________

কাজের চাপে স্থাপত্যের ইউটিউব চ্যানেলটা বহুকাল একরকম বন্ধ হয়েই পড়েছিল। অথচ বাংলার ফেলে আসা ইতিহাস নিয়ে, বাংলার ঐতিহ্য নিয়ে আমাদের আগ্রহ অসীম। গত এক মাসে আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা পেয়েছি তাকে পাথেয় করেই আমরা বাংলার ইতিহাস, স্থাপত্য এবং ঐতিহ্যকে নিয়ে বেশ কিছু ভিডিও বানাবো বলে ঠিক করেছি। আপনারা লাইক, শেয়ার এবং সাবস্ক্রাইব করে আমাদের পাশে থাকলে আমরা উৎসাহ পাবো বাংলার বিভিন্ন অনালোচিত ইতিহাসকে তুলে ধরতে।

ফলো করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল - https://www.youtube.com/ এবং ওয়েবসাইট - https://sthapatya.co/

- অরুণাভ সান্যাল,
সম্পাদক এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা,
স্থাপত্য।

বাংলার কর্মকারদের তৈরি অস্ত্রের খ্যাতি একসময় গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল। বীরভূম, বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রামের কামারশালগু...
11/08/2025

বাংলার কর্মকারদের তৈরি অস্ত্রের খ্যাতি একসময় গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল। বীরভূম, বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রামের কামারশালগুলো ছুঁয়েছিল ধাতুবিদ্যার সর্বোচ্চ শিখর। সেই সোনালী অতীত আজ বহুদূর। তবু আজও এই অস্ত্রনির্মাণের চর্চা ধরে রেখেছেন বীরভূমের খরুন গ্রামের তামাল কর্মকারের মত গুটিকয় মানুষ।

এদের হাতের জাদুতে, কামারশালে উত্তপ্ত চিমনির মধ্যে আজও জন্ম নেয় শাণিত খাঁড়া বা খড়গ। এই সব খড়গ হাতে নিলে আজও গায়ে কাঁটা দেয়। তমালবাবুর নির্মিত খাঁড়া ব্যবহার করেই আজও পূর্ব ভারতের বিভিন্ন মন্দির ও শক্তিপীঠে বলিদানের প্রথা চালু রয়েছে।

আজকে এই ছোট্ট ইন্টারভিউয়ের মধ্যে দিয়ে প্রত্যন্ত গ্রাম বাংলার এমনই এক কর্মকার ও তার কামারশালের গল্প তুলে ধরলাম।

https://youtu.be/wTwoUhLxv_c?si=9UkQW7XnPSCvItef

"ধুঁকছে খরুণের খাঁড়া শিল্প, চিন্তিত তামালরা" - আনন্দবাজারের প্রতিবদনের লিংকঃ https://shorturl.at/RXsVx

____________________________________________

Video, Editing, Interview & Concept: Arunava Sanyal

Contact Details of Tamal Karmakar: +91 - 8145104711

Address: c/o: Tamal Karmakar, Kharun Village, Rampurhat 1 Block, Birbhum, West Bengal. Landmark: 3 km from Tarapith Temple & 6 km from Rampurhat Station.

Google Location of Kharun Village: https://maps.app.goo.gl/dexn36VjJJRpSqPq7

Special Thanks to Avijit Sanyal, Poushali Khan, Sharmistha Sanyal & Probal Roy Chowdhury

বাংলার কর্মকারদের তৈরি অস্ত্রের খ্যাতি একসসময় গোটা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়েছিল। বীরভূম, বর্ধমানের প্রত্যন্ত গ্রামে....

রাত বারোটার সময় যেভাবে আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে হুগলীর ইটাচুনা রাজবাড়ি। এই বাড়িতেই শ্যুটিং হয়েছে লুটেরা, গয়নার বাক্স, রাজমহল,...
09/03/2024

রাত বারোটার সময় যেভাবে আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে হুগলীর ইটাচুনা রাজবাড়ি। এই বাড়িতেই শ্যুটিং হয়েছে লুটেরা, গয়নার বাক্স, রাজমহল, কৃষ্ণকান্তের উইল, তবে তাই হোক - সহ একাধিক সিনেমার।

নিচের ছবিটা ৩৬০ ডিগ্রি ছবি। যারা মোবাইল থেকে ফেসবুক ব্যবহার করছেন, তারা ছবিতে ক্লিক করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখলে ঠাকুরদালানের সামনের থেকে তোলা এই ছবিতে বাড়ির প্রায় পুরোটাই দেখতে পাবেন।

সামনের মন্দিরটা - শালগ্রাম শিলারুপী শ্রীধর নারায়ণ জিউ এর মন্দির। এত সুন্দর অর্ধবৃত্তাকার ঠাকুরদালান বাংলার আর কোনো জমিদার/রাজবাড়িতে নেই।

Itachuna Rajbari / Itachuna Rajbari / Mylestones and Journeys

একসময় বলা হত বাংলার ডেট্রয়েট। সেই হিন্দমটরই আজ এক বিশাল খন্ডহর হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ এক দশক ধরে। ২০১৪ সালের ২৪ শে মে, ঝাঁপ...
24/02/2024

একসময় বলা হত বাংলার ডেট্রয়েট।

সেই হিন্দমটরই আজ এক বিশাল খন্ডহর হয়ে পড়ে রয়েছে দীর্ঘ এক দশক ধরে। ২০১৪ সালের ২৪ শে মে, ঝাঁপ বন্ধ হয় কারখানার। তারপর থেকে ক্রমশ ঝোপ জঙ্গল গ্রাস করেছে টাউনশিপকে, বিদ্যুতের বিল না মেটানোয় লাইন গেছে কাটা, জলের কানেশনও বন্ধ হয়েছে। তবু তারই মধ্যে গুটিকয় পরিবার আজও বেঁচে রয়েছে ঐ জীর্ণ কোয়ার্টারগুলোর পেটের মধ্যে।

নব্বইয়ের দশকে কর্মীসংখ্যা ছিল ২৩০০। আজ কমতে কমতে এসে দাঁড়িয়েছে বারোতে। সবাই সিকিউরিটি গার্ড। পরিত্যক্ত এবং ব্যর্থ কারখানার ধ্বংসাবশেষের বুকে লেড টর্চ আর হুইসেল নিয়ে টহল দেয় সকাল সন্ধ্যা।

১৯৪৮ সালে ভারতবর্ষের প্রথম ইন্ট্রিগ্রেটেড অটোমোবাইল প্ল্যান্ট তৈরি হয় উত্তরপাড়ার দক্ষিণে। কয়েক হাজার একর কৃষি জমির বুকে গড়ে উঠল বিশালাকার শপ ফ্লোর, কোয়ার্টার, স্কুল, খেলার মাঠ, স্পোর্টস একাডেমি, সিনেমা হল, মন্দির এবং ব্যাঙ্ক। সেকালে অবশ্য হিন্দমটর বলে কোনো জায়গাই ছিল না বরং কোন্নগর আর উত্তরপাড়ার মাঝে গোটা এলাকাটাই ছিল নিচু কৃষিজমি।

আজকের স্টেশনের পশ্চিমে যতদূর চোখ যায়, ডানকুনির জলা অব্দি পুরো জমিটাই ছিল মাছের ভেড়ি আর আবাদি জমি। সেই জমিকে উঁচু করতে এত মাটির প্রয়োজন হয়েছিল যে কারখানার উত্তরে খনন করা হয় পৌনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ কানাইপুর ঝিল। কোন্নগরের দিকে তৈরি হয় বিশাল রিং রোড বা টেস্টিং রোড যেখানে সদ্য তৈরি হওয়া ‘হিন্দুস্তান ১০’ গাড়ির গরম ইঞ্জিন ছুটত তীব্র গতিতে বাঁক নিয়ে।

বাইরে থেকে মানুষ এসে বসবাস শুরু করে। কারখানাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে বাজার, স্টেশন এবং হিন্দমটর নামে ছোট্ট এক শহরতলি। সময় গড়ায়। ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ মরিশ অক্সফোর্ডের ডিজাইন এবং স্বত্ত্ব কিনে নিয়ে প্রথমবারের মত ভারতবর্ষের বাজারে এল হিন্দুস্তান এম্বাসেডর মার্ক ওয়ান।

লঞ্চ হবার কিছুদিনের মধ্যেই একদম সুপারহিট । উল্কার গতিতে কলকাতা থেকে দিল্লী, গোটা দেশের অটোমোবাইলের বাজার দখল করে এই গাড়ি। এরপর অবশ্য ভারতবর্ষের বদ্ধ অর্থনীতি আর লাইসেন্স রাজের সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ দশকের পর দশক ধরে একচেটিয়া বাজার দখল করে রেখেছে হিন্দুস্থান মটরস। ষাট-সত্তরের দশকে, বহু যাদবপুর/শিবপুরের ইঞ্জিনিয়াররা অন্য PSU এর চাকরি ছেড়ে এই হিন্দমটর কারখানার চাকরিকে বেঁছে নিয়েছে।

সময়ের চাকা ঘুরেছে। আশির দশকে মারুতি উদ্যোগের সাফল্যের সাথে সাথে অ্যাম্বির চাহিদা কমতে শুরু করে। ১৯৯১ সালে ভারতবর্ষের বদ্ধ থেকে মুক্ত অর্থনীতির জয়যাত্রার সাথে সাথে বেজে যায় হিন্দুস্তান মটরসের মৃত্যুঘন্টা। তার আগে পরে অবশ্য জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়ান আন্দোলন হয়েছে। লকআউট , ধর্মঘট আর ঘেরাও কর্মসূচির চাপে অর্ধমৃতবস্থা থেকে নাভিশ্বাস উঠে গেছে হিন্দুস্তান মটরসের।

শেষ অব্দি ধুঁকতে ধুঁকতেই ২০১৪ সালে কর্মীদের ছয়মাসের বকেয়া বাকি রেখেই সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে মূল গেটের সামনে।

এর মাঝে অবশ্য আরো কাহিনী রয়েছে। ডুবন্ত অবস্থায় নব্বইয়ের দশকে জেনারেল মটরস, ইসুজু, মিতসুবিশি সহ আরো কিছু বিদেশী কোম্পানির সাথে টাইআপ করে হাল ফেরানোর চেস্টা হয়েছিল বার কয়েক কিন্তু সেসব ধোপে টেকেনি। একমাত্র নব্বইয়ের দশকে হিন্দুস্তান কনটেসা কিছুটা সাফল্য পেয়েছিল বটে, কিন্ত সেও শেষ অব্দি মারুতির সাথে আর পেরে ওঠেনি। এই নিয়ে একখানা খাসা কেস স্টাডি লেখা যায় এমবিএ কলেজে পড়ানোর জন্য। ফেসবুকে এত বিশদে লেখার কোনো মানে হয়না।

তবে আজ হোক কিম্বা কয়েক দশক বাদে, যখনই বাংলার ভারী শিল্পক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার একাধিক কারণগুলো নিয়ে থিসিস লেখা হবে তখন ডানলপ, বেঙ্গল কেমিক্যালস, জেসপ, শ-ওয়ালেস, সেন র‍্যালে হয়ে হিন্দমটর ছুঁয়ে তালিকাটা হয়তো থামবে সিঙ্গুরের ন্যানো কারখানার উপাখ্যান দিয়ে। সেসব রাজনীতির বিষয়। স্থাপত্য এই নিয়ে লেখার জায়গা নয়।

তবে বাংলার শিল্পের এই অন্তর্জলী যাত্রার সাথে সাথে কত যে টাউনশিপ ধ্বংস হল, তার বৃদ্ধ কর্মীরা সব হারিয়ে পথে বসল আর কত শপ ফ্লোরে যে আর বিশ্বকর্মাই এলেন না তার হিসেব আর কেই বা রেখেছে? হুগলীর এই কত শত বন্ধ কারখানার লোহার ছাট বিক্রি করেই কত শ্যামল, হুব্বাগিরিতে হাত পাকালো আর গঙ্গাতীরের কত হেরিটেজ কারখানা ধ্বংস হয়ে যে কুড়ি তলা গঙ্গা ফেসিং আবাসন উঠল তার গল্পও তো চোখের সামনেই লেখা হচ্ছে গত কয়েক দশকে।

বাংলার এই পরিত্যক্ত টাউনশিপের গল্পগুলো নিয়ে যেন আলাদা আলাদা বই লেখা যায়। বছর দুই আগে টিভি নাইন বাংলা এই নিয়ে সুন্দর কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। কমেন্টের লিংকে দিলাম। সময় হলে দেখতে পারেন। এছাড়া নিচের ছবির সাথেই হিন্দমটর কারখানার এক খানা ৩৬০ ডিগ্রি ড্রোণ চিত্র (শেষ ছবিটা) প্রকাশ করলাম। ছবিতে ক্লিক করে দেখলে কারখানার উত্তরে যে ৩৮৫ একর জমি নিয়ে জলা জমি ভরাট করে এপার্টমেন্ট উঠছে কিম্বা দক্ষিণের টিটাগর ওয়াগন ফ্যাক্টরির শাখা যেখানে বন্দে ভারত তৈরি হচ্ছে – পুরোটাই দেখতে পাবেন।

পাঠকদের মধ্যে যদি কারোর কাছে হিন্দমটর কারখানা, আবাসন কিম্বা ঐ চত্বরের পুরনো দিনের ছবি থাকে তবে কমেন্ট বক্সে শেয়ার করতে ভুলবেন না। হিন্দমটর কারখানার স্মৃতি থেকে মুছে যাবার আগে এই ছোট ছোট আঞ্চলিক ইতিহাসগুলোকে ধরে রাখা বড্ড দরকার।

- অরুণাভ সান্যাল

Drone Footage of Hindmotor Factory: https://www.youtube.com/watch?v=jbSafS-p1Jc

বাংলার সাত-মহলা জমিদার বাড়ি বাংলার জমিদার বাড়ি কিম্বা রাজ বাড়ির কথা উঠলেই একটা বিশেষণ বার বার করে উঠে আসে, তা হল ‘সাত মহ...
19/02/2024

বাংলার সাত-মহলা জমিদার বাড়ি

বাংলার জমিদার বাড়ি কিম্বা রাজ বাড়ির কথা উঠলেই একটা বিশেষণ বার বার করে উঠে আসে, তা হল ‘সাত মহলা’ বাড়ি। ঠাকুমার ঝুলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উপন্যাসে বাংলার লেখকরা এই সাত মহলা বাড়ির উল্লেখ করেছেন। এখন সমস্যা হল এই সাত শব্দটা আমাদের সাহিত্যে বারবার উঠে এসেছে, যেমন সাত সমুদ্র তেরো নদী, সাতকুলে কেউ নেই ইত্যাদি। তাই সাতমহলা বলতে কি সত্যিই সাতটা আলাদা আলাদা মহলযুক্ত বাড়ি নাকি সুবৃহৎ অট্টালিকাকে বোঝাতে এই সাত মহলা বাড়ির উল্লেখ করা হয়েছে?

এর উত্তর পাওয়া বেশ শক্ত। কারণ এখন অব্দি অনেক খুঁজেও আমি এই সাত মহলা বাড়ির আলাদা আলাদা সাতটা মহলের উল্লেখ পাইনি। বাস্তু শাস্ত্রে আলাদা করে সাত মহলের উল্লেখ নেই, বরং এই বিশেষণ একান্তই বাংলার। আর মহল শব্দের অর্থ গৃহ কিম্বা ভবনের অংশ দুই হতে পারে। ফলে সাত মহলা বলতে সাতটা আলাদা আলাদা নির্দিষ্ট স্থাপত্য থাকবে নাকি পরস্পরসংযুক্ত সাতটা আলাদা আলাদা অংশ নিয়ে নির্মিত একটাই বৃহৎ অট্টালিকাকেও সাতমহলা বাড়ি বলা যাবে?

উত্তর জানা নেই!

সমস্যাটা হল পাল-সেন যুগে বাংলার রাজপ্রাসাদ ঠিক কেমন হত তার কোনো প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের কাছে নেই। বরং পাঠান/মুঘল আমলে যে প্রাসাদগুলো নির্মিত হয়েছিল তারই স্থাপত্যকীর্তি এবং প্ল্যানিং, আমাদের বাংলার জমিদারদের এবং স্থপতিদের প্রভাবিত করেছিল। সময়ের সাথে সাথে এবং প্রয়োজনের তাগিদে বাংলার নিজস্ব রীতি সেখানে যুক্ত হয়েছে। খড়ের দুর্গামণ্ডপ, জমিদারবাড়ির দুর্গাদালান হিসেবে জুড়ে গেছে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের পর যে কয়েকশো নব্য জমিদারের উদ্ভব হল তারা ব্রিটিশদের অনুকরণ করে দুর্গাদালানের থাম বানিয়েছে গ্রিক ক্লাসিকাল অর্ডার মেনে। পূর্ব বঙ্গে আবার জমিদারবাড়ির প্রাঙ্গনে মঠ স্থাপত্য মন্দির নির্মাণ করা শুরু হয়েছিল গির্জার সুউচ্চ চূড়ার অনুকরণ করে। এরকম অনেক মিশ্রণ ঘটেছে বাংলার জমিদারবাড়িগুলোর স্থাপত্যে।

এখন অব্দি আমার দক্ষিণ বঙ্গের জমিদারবাড়িগুলোতে ঘোরার অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছে, বড় জমিদারবাড়ি হলে মোটামুটি সাতের থেকে বেশিই আলাদা আলাদা মহল থাকত। নিচে তারই উল্লেখ করলাম -

১। সিংহদুয়ার এবং নহবতখানা (নহবতখানা হল মূলত বাদ্যঘর। গেটের উপরে হত এর অবস্থান। সকাল সন্ধ্যায় সানাই/তবলা ইত্যাদি বাজানো হত। বড় জমিদারবাড়ি হলে পরিখার পর গেট কমপ্লেক্স নির্মিত হত এবং গেটের উপর নিরাপত্তার খাতিরে সৈন্যদের ঘর এবং কামান বসানো হত। উদাহরণ – বাঁশবেড়িয়া রাজবাটী)

২। বাহির মহল (বাড়ির সামনের দিকের অংশ যেখানে প্রজাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হত, অনেকটা দিওয়ান-ই-আমের মত)

৩। নাটমহল (হিন্দু মন্দিরের সামনের অংশ যেখানে নৃত্য-গীত পরিবেশন করা হয়। পরবর্তীকালে বাহির মহলের সাথেই আলাদা করে নাটমন্দির নির্মিত হত আমোদ আল্লাদের জন্য।)

৪। দুর্গাদালান (এটা একান্তই বাংলার। খুব পুরনো কিছু দুর্গাদালান মূল জমিদারবাড়ির বাইরে নির্মিত হলেও বিগত ২০০ বছরে নির্মিত বাংলার জমিদারবাড়িতে মূলত বাড়ির সাথেই খোলা উঠোন এবং দুর্গাদালান নির্মিত হত।)

৫। অন্দর মহল (জমিদার পরিবারের থাকার জন্য নির্দিষ্ট অংশ)

৬। খাস মহল (জমিদার/রাজার ব্যক্তিগত ভবন)

৭। রানী মহল (রানী/জমিদার গিন্নীর ব্যক্তিগত ভবন)

৮। রং মহল (হারেম কিম্বা বাইজিদের থাকার নির্দিষ্ট মহল)

৯। কাছারি/কাচারি ঘর (খাজনা আদায়ের জন্য আলাদা জায়গা। জমিদারবাড়ির বাইরেও হতে পারে। অনেক জায়গায় আবার কাচারি ঘর মানে গেস্ট রুম।)

১০। ভৃত্য মহল (বড় জমিদারবাড়ির ক্ষেত্রে ভৃত্যদের থাকার জন্য সম্পূর্ণ আলাদা করে একটা ভবন নির্মিত হত। যেমন- মহিষাদল রাজবাড়ি)

১১। বাগান – বাঁধানো পুকুর

মোটামুটি খুব বড় জমিদারবাড়ি হলে, সব মিলিয়ে এই দশ-এগারোটা আলাদা আলাদা অংশ থাকত। নিচের ড্রোন ফুটেজে, ইটাচুনা রাজবাড়ির বাহিরমহল এবং নাটমন্দির অংশদুটো পরপর বোঝা যাচ্ছে। উত্তরপূর্বে যে ছোট্ট উঠোনটা (courtyard) দেখা যাচ্ছে তাকে কেন্দ্র করেই অন্তরমহলের ঘরগুলো সাজানো। এবং বৃত্তাকার বাগানটার ডানদিকের অংশটাই মূলত কাছারি ঘর এবং ভৃত্য মহল হিসেবে ব্যবহার করা হত। আবার এই অংশেরই মধ্যে আলাদা করে নাচঘর বা নাচমহল ছিল (ছবিতে দেখতে পাবেন মাঝের অংশে ছাদটা সামান্য উঁচু হয়ে আছে। ওটাই নাচমহল।)

এখন দুই বাংলার সর্ব বৃহৎ জমিদারবাড়ি কোনটা আমার জানা নেই, পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে একাধিক সুবৃহৎ জমিদার বাড়ি রয়েছে যেমন কালিকাপুর, ইটাচুনা, মহিষাদল, হেতমপুর, বাওয়ালি,আন্দুল ইত্যাদি। এই বাড়িগুলোকে নিয়ে একধিক কাজ হয়েছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আর্কিটেকচারাল প্ল্যানিং এবং সময়ের সাথে সাথে এই সুবৃহৎ অট্টালিকাগুলোর ফ্লোর প্ল্যানিং কিভাবে বদলেছে সেই নিয়ে আলোচনা সেভাবে হয়নি। ফলে এই নিয়ে গবেষণার যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে।

আমার নিবন্ধে কোনো মহল বা অংশের উল্লেখ না থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন। এই নিয়ে আলোচনা হোক এবং আমার বিশ্বাস আলোচনার মধ্যে দিয়ে আমরা প্রকৃত সত্যিটাকে খুঁজে বের করতে পারব। মধ্যযুগের বাংলার স্থপতিদের বংশপরম্পরায় অর্জিত জ্ঞান কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। ফলে শিল্প বিপ্লবের পর বাংলার মসলিন, মন্দির টেরাকোটার মত একাধিক শিল্পের সাথে সাথে বাংলার স্থপতিদের অর্জিত এই জ্ঞানও আজ হারিয়ে গেছে।

- অরুণাভ সান্যাল
_______________________________

নিচের ছবিটা হুগলীর ইটাচুনা রাজবাড়ির। এই বাড়ির এক বিশেষত্ব হল, এর ঠাকুরদালানখানা অর্ধ বৃত্তাকার হয়ে মূল স্থাপত্য থেকে খানিকটা এগিয়ে এসেছে। দুই বাংলায় সম্ভবত এমন বৃত্তাকার ঠাকুরদালান আর নেই। এখানে দুর্গা নয় বরং কৃষ্ণের পূজা-অর্চনা করা হয়। তার পিছনেও আছে এক আশ্চর্য ইতিহাস। মারাঠি কুন্দন পরিবার কিভাবে রাঢ় বাংলার গ্রামীন সমাজে মিশতে চেয়ে শিবের আরাধনা ছেড়ে, কৃষ্ণপ্রেমে মজে কুণ্ডু উপাধি পেল তা এখনো এই তল্লাটের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রামের কাছে অবস্থিত সাত দেউলের ৩৬০ ডিগ্রী ড্রোনচিত্র।  অন্তত হাজার বছরের পুরনো এই জৈন মন্দিরটি আজও ম...
18/02/2024

পূর্ব বর্ধমানের মশাগ্রামের কাছে অবস্থিত সাত দেউলের ৩৬০ ডিগ্রী ড্রোনচিত্র।

অন্তত হাজার বছরের পুরনো এই জৈন মন্দিরটি আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের একদম কাছেই। পোড়ামাটির তৈরি শিখর রীতির এত পুরনো মন্দির গোটা বাংলায় আর মাত্র কয়েকটাই টিকে আছে। তার মধ্যে বাঁকুড়ার সোনাতপল, দেউলঘাটা, পুরুলিয়ার বহুলাড়া, পাড়া, বান্দা, পশ্চিম বর্ধমানের বরাকর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগণার জটার দেউল বিশেষ উল্লেখযোগ্য।

এরকম আরো বহু সুউচ্চ মন্দির হয়তো পাল/সেন আমলে নির্মিত হয়েছিল কিন্তু বর্তমানে মাত্র এই কটিই টিকে রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়ার তেলকুপি বা তৈলকম্পেও একাধিক বিশালাকার রেখা দেউল ছিল যা পঞ্চাশের দশকে পাঞ্চেত ড্যাম নির্মাণের সময় ধ্বংস হয়ে যায়।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে যে সাত দেউলের গায়ে একাধিক গাছ বেড়ে উঠছে। খুব শিগগিরি এগুলোকে উপড়ে ফেলে না দিলে ভবিষ্যতে এই ছোট গাছগুলোই শেকড় বিস্তার করে স্থাপত্যের ক্ষতি করবে। আশা রাখি ASI এদিকে নজর দেবে।

Address

Konnagar

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Friday 9am - 5pm

Telephone

+918653792921

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sthapatya posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sthapatya:

Share

Category

Our Story

বাংলা ভাষায় ,বাঙালিদের জন্য প্রথম স্থাপত্য বিষয়ক ওয়েব পেজ । প্রিন্সেপ ঘাট থেকে পাণ্ডু রাজার ঢিপি...মন্দির থেকে মিহরাব ... টেরাকোটা থেকে পেন্ডেনটিভ... দুলাল মুখার্জি থেকে রফিক আজম ... কাটোয়া থেকে রাজশাহী হয়ে বিক্রমপুর ঘুরে মোগলমারি ... মিলে মিশে যাক দুই বাংলা । উদ্দেশ্য একটাই - বাঙালিদের মধ্যে ''স্থাপত্য বা Architecture'' বিষয়টা নিয়ে ভালোবাসা , আগ্রহ আর সচেতনতা গড়ে তোলা ।