Reshma's Daily life

Reshma's Daily life ভালবাসা দাও ভালবাসা নাও ❤️
(1)

Hi good evening
04/08/2025

Hi good evening

 াক্তারকে_ডাক্তারি_করতে_দিন______;"মা-বাবা বুঝিতে পারোনি আর ৮-১০ টা বাচ্চার মত ছিলাম না আমি,গলায় নাড়ি পেচিয়ে গিয়েছে...
04/08/2025

াক্তারকে_ডাক্তারি_করতে_দিন______;

"মা-বাবা বুঝিতে পারোনি আর ৮-১০ টা বাচ্চার মত ছিলাম না আমি,গলায় নাড়ি পেচিয়ে গিয়েছে, ছটফট করছিলাম,বুঝোনি??

আমাকে বাচাতে সিজারের বিকল্প ছিলোনা,কি ডাক্তার টাকা পয়সা নষ্ট করাচ্ছে?নরমাল ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা আর অপেক্ষা করেই গেলা।সরকারি হাসপাতালে হাজার টাকাতেই সব হয়ে যায়।মা হাজার টাকা কি অনেক বেশি?

সময় পার হয়ে যায় । মা নিচ দিয়ে বের হওয়া সম্ভব ছিলনা,অযথা টানাটানি করলা,গলার ফাস আরো গেথে গেছে,কষ্ট পাইনি মা একদমো,কারণ মরে গিয়েছি অনেক আগেই।"

অবশ্য সাধারণ মানুষ আর মিডিয়ার কাছে সিজার মানে ডাক্তারদের সব ইনকামের ধান্দা!!!

াক্তারি_পেশা_ডাক্তারকেই_মানায়_
্যরা_এটার_প্রয়োগ_করলে_
্ষতি_ছাড়া_লাভ_হয়_না_____

Courtesy: Md. Sobuj Sarder

"যদি তোমাকে বিয়ে করি। তাহলে বাবা বি*ষ খাবে হুমকি দিয়েছেন।" বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে মোবাইলে কথা বলছিল তন্ময়।খোঁপায় জু...
29/04/2025

"যদি তোমাকে বিয়ে করি। তাহলে বাবা বি*ষ খাবে হুমকি দিয়েছেন।" বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়ে মোবাইলে কথা বলছিল তন্ময়।
খোঁপায় জুই ফুলের মালা আর লাল শাড়ি পরে বধু বেশে তণিমা বোকার মত দাঁড়িয়ে আছে।ওর সামনে ম্যারেজ রেজিস্ট্রার অফিস।
আজ ওদের বিয়ে হবার কথা। অথচ তন্ময়ের এলো না। বহুক্ষণ ধরে ফোন করার পর অবশেষে কল রিসিভ করে বলে,
-"আমার পক্ষে এই বিয়ে অসম্ভব। পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে পারবো না।"

ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠতে গিয়েও অতিকষ্টে ঢোঁক গিলে নেয় তনিমা,
"এই কথাটা তোমার আগে জানানো উচিৎ ছিল ‌"
"সরি।"
ব্যাস এইটুকুই। তারপর লাইন ডিসকানেক্ট করে দেয় তন্ময়।

ওদিকে রেজিস্ট্রার অফিসের ভিতরে তুমুল গোলমাল বেঁধেছে।
গাঙ্গুলি জুয়েলার্সের মালিক অভিজিৎ গাঙ্গুলির হবু বউ বিয়ে করবে না বলে হাঁকিয়ে দিয়েছে।

সিল্কের পাঞ্জাবীর হাত গোটাতে গোটাতে অভিজিৎ সদর্পে পা ঠুকে চেঁচিয়ে বলে,
"যেখান থেকে পারো মেয়ে জোগাড় করে আনো।কানা খোঁড়া সাদা কালো যেই হোক্, I don't care. বিয়ে তো আমি আজই করেই ছাড়বো।"

তটস্থ বডিগার্ড এদিক সেদিক ছুটছে স্যারের জন্য কনে খুঁজছে।

হম্বিতম্বির মাঝে হঠাৎই অভিজিৎ এর নজর চলে যায় বাইরে। চায়ের দোকানের কাছে বেঞ্চে বসে একটা তন্বী মেয়ে হাপুস নয়নে কাঁদছে।

"এক্স কিউস মি।আপনি কাঁদছেন কেনো?"

একটি সাতাশ আঠাশ বছরের সুদর্শন যুবকের ডাকে চোখ মুছে তনিমা ফোঁপাতে ফোঁপাতে মাথা তুলে তাকালো,
"আমার যার সাথে বিয়ে হবার কথা সে আসবে না।"

না চাইতেও অচেনা মানুষের সামনে মনের আগল খুলে ফেলেছিল তনিমা।

অভিজিৎ কিছুক্ষন কপালে আঙুল ঘষে ভেবে নেয়।
তারপর বিধ্বস্ত তনিমার দিকে তাকিয়ে বলে,
"আমারও একই হাল।"

তনিমা কিই বা উত্তর দেবে?

"আমি আপনাকে একটা প্রস্তাব দিতে চাই।"
অল্প কেশে গলা সাফ করে অভিজিৎ,

"আমাকে বিয়ে করবেন?"

"আপনাকে?" তণিমা ঘাবড়ে গেছে রিতিমত।
কপাল কুঁচকে অভিজিৎ এর আশেপাশে লক্ষ্য করে ও। দুটো বড় বড় দামী গাড়ি পার্ক করা। সেই সঙ্গে একগাদা সিকিউরিটি গার্ড। ভদ্রলোকের পোষাক পরিচ্ছদ দেখে সম্ভ্রম জাগলো মনে।
অভিজিৎ বলে,"দেখুন যার সাথে আমার বিয়ে হবার কথা ছিলো সে আসেনি। আপনার যদি তিনমাসের জন্য আমাকে বিয়ে করতে আপত্তি না থাকে।"

"এক মিনিট আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না।"
"সোজাসাপ্টা প্রস্তাব। তিনমাসের জন্য আপনাকে আমার স্ত্রী হয়ে আমার বাড়িতে থাকতে হবে। আপনি রাজি হলে এখনি কন্ট্যাক্ট বানাতে ইনস্ট্রাকশন দিচ্ছি। লয়ার সাথেই আছে।"

এমন প্রস্তাবে যে কেউ আঁতকে উঠবে। তনিমা বড় বড় চোখে জিজ্ঞাসা করলো,
"হঠাৎ এরকম বিয়ের কারন? জানতে পারি কি?"

অভিজিৎ অধৈর্য্য হয়ে হাতের কব্জি উল্টে ঘন ঘন সময় দেখছে ,
"আমার দাদু খুব অসুস্থ। তাঁর শেষ ইচ্ছা আমি যেনো বিয়ে করে ঘোর সংসারী হই। সেই জন্যই এই বিয়ে‌। এইমুহুর্তে তারচেয়ে বেশী কিছু বলা আমার পক্ষে অসম্ভব। এবার আপনি বলুন এই বিয়েতে রাজি আছেন?"

জুই ফুলের মালায় আলতো আঙুল বুলিয়ে ঘাড়টা একপাশে হেলিয়ে বিয়েতে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে তণিমা।অভিজিৎ ক্ষণিকের জন্য স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলো। মেয়েটা এতটা সুন্দর দেখতে আগে লক্ষ্য করেনি।

হঠাৎ তনিমা, অচেনা একটি লোককে বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলো কেনো? সত্যি কি তিন মাস পর অভিজিৎ আর তণিমার চুক্তির সম্পর্ক শেষ হয়ে যাবে নাকি একটা শেষ থেকে নতুন সম্পর্কের সুচনা ঘটবে? জানতে হলে পড়ুন
গল্পের নাম - বিয়ের চুক্তি
©️

Good morning 🌅🌄
28/04/2025

Good morning 🌅🌄

দুটি ন*গ্ন দেহ পড়ে আছে...বিছানায়...দরজা খোলা মাত্রই এই দৃশ্য চোখে পরলো..আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম..এই বাড়িতে এমন ই চলে....
27/04/2025

দুটি ন*গ্ন দেহ পড়ে আছে...বিছানায়...
দরজা খোলা মাত্রই এই দৃশ্য চোখে পরলো..আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম..
এই বাড়িতে এমন ই চলে...আমার স্বামী রোজ নতুন নতুন মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে..
আমি কিছু করতে পারি নাহ..কি আর করবো...স্বামী আমার..
দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের..
আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান..মা বাবা তেমন ধনী নাহ..
সেদিনের কথা এখন ও মনে আছে..
আমাকে দেখতে এসেছিলো ফারহান..
আমার কেনো যেনো তাকে দেখে খুব পছন্দ হয়েছিলো...
মনে মনে ভাবতেছিলাম..যদি ও আমার স্বামী হতো..
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন..এবং উনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান..
আমি যে কতোটা খুশি হয়েছিলাম বলার বাহিরে.
আমাদের বিয়েও হয়ে যায় কিছু দিনের মাথায়..
আমি বাসর ঘরে বসে আছি..
সে অনেক্ষন পরে আসলো ঘরে...এসেই বলতে শুরু করলো..
তোরে বিয়ে করার আমার কোন শখ ই ছিলো নাহ..মা বাবা জোর করে বিয়ে দিছে..তাই আমার থেকে বউ এর অধিকার চাইবি নাহ কখনও.
আমি আনিয়া...নাম টা বলে রাখলাম..
আনিয়ার জীবন শুরু হয় সেদিন থেকে..
পরের দিন সকালে উঠে সে রান্না ঘরে যায়.
রান্না করে এসে যখন খেতে বসবে তখন তাকে সোজা উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়..
এই বাসায় বউরা সবার পরে খায়... আমাদের খাওয়া শেষ হলে তুমি খেতে বসবে..
আনিয়া অপেক্ষা করে..যখন সবার খাওয়া শেষে আনিয়া খাবারের দিকে তাকায় তখন দেখে সব কিছু প্রায় শেষ..
তাও কোন রকম খেয়ে মনে মনে শান্তি পায় সে..রাতে তার জায়গা হয় ফ্লোরে..
কিছু দিন পরে আনিয়া আর ফারহান শহরে চলে আসে..
আনিয়া ভাবে হয়তো ফারহানকে ভালোবাসা দিয়ে সে ঠিক পথে নিয়ে চলে আসবে৷

কিন্তু আনিয়া ভুল ছিলো..ফারহান বাসায় মেয়ে নিয়ে আসা শুরু করে..
আর সেই দিন থেকেই আজ পর্যন্ত আনিয়া এভাবেই আছে..
আনিয়া রান্না করতে গেলো..রান্না শেষ হওয়ার আগেই ফারহানের ঘুম ভাংগে..
সে ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে নিয়ে খেতে বসে..
খাবার খেয়ে তারা বেরিয়ে পরে..আনিয়া কিছু বলতে পারবে নাহ. কারণ তার সেই অধিকার নাই.
ফারহান আর মেয়েটি চলে যায়।
আনিয়া বাসার কাজ করে শুয়ে আছে..আর ভাবছে..
সে তো এমন ছেলে আশা করে নি..সে আশা করেছিলো এমন ছেলে..
যার টাকা কম থাকলেও অনেক ভালোবাসা থাকবে তার মনে..
>তিন বেলা খেতে না পারলেও যা খাবে দুজনে মিলে ভাগ করে খাবে..
আনিয়ার এসব কথা মনে পড়তেই যেনো চোখ দিয়ে পানি চলে আসে..কিছুই করার এই তার..
আজ অনেক দিন হলো নিজের মা বাবার সাথে কথাটাও বলে নি আনিয়া৷
তার হাতে একটা মোবাইল তো আছে কিন্তু টাকা থাকে নাহ..ফারহান কেও যে বলবে তা বলার সাহস ও নেই..
আনিয়া গোসল সেরে নামাজ পড়তে বসে..
প্রতিদিনের মতো আজও সে কাদছে..
যাতে তার ভাগ্য খুলে যায়..ফারহান সব পরক্রিয়া ছেড়ে তাকে ভালোবাসে..
কিন্তু আনিয়া জানে তার ভাগ্যে এমটা হয়তো লিখা নাই..
আনিয়া রান্না ঘরে গিয়ে এখন রান্না করতেছে..রাতের খাবার প্রায় তৈরি.. এমন সময় কলিং বেল বাজে.ফারহান এসেছে..
এবং তার সাথে একটি মেয়েও..
কিন্তু আনিয়া সবচেয়ে বড় শক তখন হয় যখন আনিয়া লক্ষ্য করে মেয়েটির চেহারা.
আনিয়া যেনো নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে নাহ..পরের পাট পেতে পেইজটি সবাই ফলো করুন Vuter Golpo

#চলবে_______________

#পার্টঃ_১ম_______

#গল্পের_নামঃ_তোমারি_জন্য

সূচনা পর্ব

27/04/2025

দুটি ন*গ্ন দেহ পড়ে আছে...বিছানায়...
দরজা খোলা মাত্রই এই দৃশ্য চোখে পরলো..আমি দরজা বন্ধ করে চলে এলাম..
এই বাড়িতে এমন ই চলে...আমার স্বামী রোজ নতুন নতুন মেয়েকে বাসায় নিয়ে আসে..
আমি কিছু করতে পারি নাহ..কি আর করবো...স্বামী আমার..
দুই বছর আগে বিয়ে হয়েছিলো আমাদের..
আমি সাধারণ পরিবারের সন্তান..মা বাবা তেমন ধনী নাহ..
সেদিনের কথা এখন ও মনে আছে..
আমাকে দেখতে এসেছিলো ফারহান..
আমার কেনো যেনো তাকে দেখে খুব পছন্দ হয়েছিলো...
মনে মনে ভাবতেছিলাম..যদি ও আমার স্বামী হতো..
আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন..এবং উনি আমাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যান..
আমি যে কতোটা খুশি হয়েছিলাম বলার বাহিরে.
আমাদের বিয়েও হয়ে যায় কিছু দিনের মাথায়..
আমি বাসর ঘরে বসে আছি..
সে অনেক্ষন পরে আসলো ঘরে...এসেই বলতে শুরু করলো..
তোরে বিয়ে করার আমার কোন শখ ই ছিলো নাহ..মা বাবা জোর করে বিয়ে দিছে..তাই আমার থেকে বউ এর অধিকার চাইবি নাহ কখনও.
আমি আনিয়া...নাম টা বলে রাখলাম..
আনিয়ার জীবন শুরু হয় সেদিন থেকে..
পরের দিন সকালে উঠে সে রান্না ঘরে যায়.
রান্না করে এসে যখন খেতে বসবে তখন তাকে সোজা উত্তর দিয়ে দেওয়া হয়..
এই বাসায় বউরা সবার পরে খায়... আমাদের খাওয়া শেষ হলে তুমি খেতে বসবে..
আনিয়া অপেক্ষা করে..যখন সবার খাওয়া শেষে আনিয়া খাবারের দিকে তাকায় তখন দেখে সব কিছু প্রায় শেষ..
তাও কোন রকম খেয়ে মনে মনে শান্তি পায় সে..রাতে তার জায়গা হয় ফ্লোরে..
কিছু দিন পরে আনিয়া আর ফারহান শহরে চলে আসে..
আনিয়া ভাবে হয়তো ফারহানকে ভালোবাসা দিয়ে সে ঠিক পথে নিয়ে চলে আসবে৷

কিন্তু আনিয়া ভুল ছিলো..ফারহান বাসায় মেয়ে নিয়ে আসা শুরু করে..
আর সেই দিন থেকেই আজ পর্যন্ত আনিয়া এভাবেই আছে..
আনিয়া রান্না করতে গেলো..রান্না শেষ হওয়ার আগেই ফারহানের ঘুম ভাংগে..
সে ঘুম থেকে উঠে মেয়েটিকে নিয়ে খেতে বসে..
খাবার খেয়ে তারা বেরিয়ে পরে..আনিয়া কিছু বলতে পারবে নাহ. কারণ তার সেই অধিকার নাই.
ফারহান আর মেয়েটি চলে যায়।
আনিয়া বাসার কাজ করে শুয়ে আছে..আর ভাবছে..
সে তো এমন ছেলে আশা করে নি..সে আশা করেছিলো এমন ছেলে..
যার টাকা কম থাকলেও অনেক ভালোবাসা থাকবে তার মনে..
>তিন বেলা খেতে না পারলেও যা খাবে দুজনে মিলে ভাগ করে খাবে..
আনিয়ার এসব কথা মনে পড়তেই যেনো চোখ দিয়ে পানি চলে আসে..কিছুই করার এই তার..
আজ অনেক দিন হলো নিজের মা বাবার সাথে কথাটাও বলে নি আনিয়া৷
তার হাতে একটা মোবাইল তো আছে কিন্তু টাকা থাকে নাহ..ফারহান কেও যে বলবে তা বলার সাহস ও নেই..
আনিয়া গোসল সেরে নামাজ পড়তে বসে..
প্রতিদিনের মতো আজও সে কাদছে..
যাতে তার ভাগ্য খুলে যায়..ফারহান সব পরক্রিয়া ছেড়ে তাকে ভালোবাসে..
কিন্তু আনিয়া জানে তার ভাগ্যে এমটা হয়তো লিখা নাই..
আনিয়া রান্না ঘরে গিয়ে এখন রান্না করতেছে..রাতের খাবার প্রায় তৈরি.. এমন সময় কলিং বেল বাজে.ফারহান এসেছে..
এবং তার সাথে একটি মেয়েও..
কিন্তু আনিয়া সবচেয়ে বড় শক তখন হয় যখন আনিয়া লক্ষ্য করে মেয়েটির চেহারা.
আনিয়া যেনো নিজের চোখ কে বিশ্বাস করতে পারছে নাহ..পরের পাট পেতে পেইজটি সবাই ফলো করুন Vuter Golpo

#চলবে_______________

#পার্টঃ_১ম_______

#গল্পের_নামঃ_তোমারি_জন্য

সূচনা পর্ব
A***n

জীবনে যে-কোনো শখ বা আহ্লাদ পূরণের নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। সঠিক সময়টা একবার পেরিয়ে গেলে শখ হয়ত পূরণ হয় ঠিকই, তবে তৃপ্তিট...
24/04/2025

জীবনে যে-কোনো শখ বা আহ্লাদ পূরণের নির্দিষ্ট একটা সময় থাকে। সঠিক সময়টা একবার পেরিয়ে গেলে শখ হয়ত পূরণ হয় ঠিকই, তবে তৃপ্তিটা ঠিক পাওয়া যায় না।

১৭ বছর বয়সে যে বিরিয়ানিটা খেতে অমৃতের মতো লাগে, ৩২ বছর বয়সে এসে সেটা ভালো নাও লাগতে পারে।

১৮ বছর বয়সে সমবয়সী কারো সাথে পাঞ্জাবি বা শাড়ি পরে রিকশায় ঘুরতে ভীষণ রোমান্টিক লাগে, ৩৬ এ পা দিয়ে একই কাজ করতে রোমান্টিক লাগবেই তার কোনো গ্যারান্টি নাই।

২১ বছর বয়সে ভার্সিটির বন্ধুবান্ধব নিয়ে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে গেলে যেই আনন্দ পাওয়া যাবে, ৪০ পার করে সেই আনন্দ পাওয়া নাও যেতে পারে।

একদিন নিজের ছাদে বাগান করব, এই আশায় বসে থেকে যেই মানুষটা বারান্দার টবে কোনো গোলাপের চারা লাগাল না, ছাদ হওয়ার পর দেখা গেল সেই মানুষটার আর বাগান করার সময়ই নেই।

একদিন চাকরি করে বাবা-মাকে দামী দামী জিনিস কিনে দেয়ার স্বপ্ন দেখা মানুষটা চাকরি করে টাকা কামাবে ঠিকই, কিন্তু ততদিনে মা-বাবা এই দুনিয়ায় নাও থাকতে পারে।

জীবনের ছোটখাট সাধ আহ্লাদ খুব দামী জিনিস। এগুলোই একটা মানুষের হৃদয়কে জীবিত রাখে, সতেজ রাখে, প্রাণবন্ত রাখে। মানুষের হৃদয় একটু একটু করে মরে যায় ইচ্ছা পূরণের অভাবের নীরব হাহাকারে! এজন্য সময় থাকতেই এসব শখ পূর্ণ করে ফেলতে হয়।

অনেক টাকা জমলে একদিন খাব, এই চিন্তা না করে অল্প কিছু টাকা জমিয়ে এখনি খেয়ে আসুন পছন্দের কাচ্চিটা। বিশ্বাস করুন, জীবনের শ্রেষ্ঠ স্বাদটা পাবেন।

দেরি না করে পছন্দের মানুষটাকে আজকেই রিকশা ডেটিংয়ের অফারটা দিয়ে দেখুন। রাজি হলে শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরে হুডখোলা রিকশায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে শহরময় ঘুরে বেড়ান। লিখে নিন, লাইফের সেরা রোমান্সটা পাবেন।

পকেটে কিছু টাকা হলেই বন্ধুর ঘাড়ে হাত রেখে বলে বসুন, চল ব্যাটা, সাজেক যাব। আজকেই যাব, এক্ষণি যাব। ব্যাগ গুছিয়ে নে, বাস ধরতে হবে।

নিজের ছাদে বাগান হবে, এই আশায় বসে না থেকে ভাড়া বাসার বারান্দার টবেই লাগিয়ে ফেলুন পছন্দের গোলাপের চারাটা। টিউশানির টাকায় কম দামেই কিনে ফেলুন বাবা-মায়ের জন্য শার্ট বা শাড়ি, হোক না সুতি, শখ পূরণটাই বড় কথা!

মনে রাখবেন, একদিন সব হবে - এই আশায় যে নিজেকে বঞ্চিত করে, তার জীবনে কিছুই হয় না। তার জীবন কাটে বিষন্নতা আর অপেক্ষায়, শেষ হয় আফসোস আর হতাশা দিয়ে।

তুমি জানো, ছোটবেলা থেকে কাশ্মীর দেখার একটা স্বপ্ন ছিল। ভেবেছিলাম এই সবুজ উপত্যকা, বরফে ঢাকা পাহাড় দেখব তোমার হাত ধরে, এ...
24/04/2025

তুমি জানো, ছোটবেলা থেকে কাশ্মীর দেখার একটা স্বপ্ন ছিল। ভেবেছিলাম এই সবুজ উপত্যকা, বরফে ঢাকা পাহাড় দেখব তোমার হাত ধরে, একসঙ্গে গরম কফি খাবো, কত ছবি আঁকা ছিল মনে মনে।

তুমি চোখ বন্ধ করে আছো, আমি জানি তুমি আর কোনোদিন চোখ খুলবে না। আমি তোমার পাশেই বসে আছি, কিন্তু তুমি শুনতে পাচ্ছ না আমার কান্নার শব্দ, টের পাচ্ছো না আমার কাঁপা হাতের স্পর্শ।
ওই হামলার শব্দ এখনও কানে বাজছে, তোমার চিৎকার! মুহূর্তে সবকিছু ছিন্নভিন্ন করে দিলো ওরা—ভালোবাসা, স্বপ্ন, জীবন।

তুমি বলেছিলে, "ছবিগুলো ভালো করে তুলতে হবে, সারাজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে।"
এমন ছবি তোলার কথা তো ছিল না।
তুমি জানো, আমি তোমাকে ধরে রাখতে চেয়েছিলাম, বুকের মধ্যে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম সেই মুহূর্তে। কিন্তু সময় কত নিষ্ঠুর, না? সে যে কারও কথা শোনে না।

তুমি তো বলেছিলে, আমরা একসঙ্গে বুড়ো হব, একসঙ্গে হাঁটবো ছাতা মাথায়, একদিন আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আবার আসবো এখানে। অথচ এখন? আমাকে যে একাই ফিরতে হবে। তোমার ব্যাগ, তোমার ঘড়ি, তোমার গানের প্লেলিস্ট, তোমার ফোন তেমনটাই আছে, শুধু তুমি নেই।

তুমি বলতে— আমি তোমার কাছে থাকলে পৃথিবীর সব ঝড়ও নাকি শান্ত হয়ে যায়। কিন্তু আজ... আমার ভেতরের ঝড় থামছে না যে। তোমার জামা ভিজে গেছে রক্তে… আমি তো চুড়ি পরে এসেছিলাম তোমার জন্য, সিঁদুর পড়েছি তোমার নামে। এত সহজে তুমি যেতে পারো না! না, তুমি পারো না।

দেখো, চারদিকে লোকজন ছুটছে, কয়েকজন টেনে তুলতে চাইছে আমাকে… কিন্তু আমি তোমাকে ছাড়তে পারছি না। তুমি তো আমার সব ছিলে। এই মাত্র তো হোটেলে বসে গরম চা খাচ্ছিলাম আমরা… কত কথা বলছিলে তুমি—আমার হাসি, আমার চোখের কাজল নিয়ে।

তোমার ফোনটা এখনো বেজে চলেছে—“মা” লেখা আসছে স্ক্রিনে, আমি কী বলব তাঁকে? যে তাঁর ছেলে এখন চিরতরে ঘুমিয়ে পড়েছে? আমার বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে। আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তুমি ছাড়া আমি কোথায় যাবো বলো? এত ভালোবাসার শুরুটা কি এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবে?

তুমি বলেছিলে, "চলো, নতুন জীবন শুরু করি।" এরকম জীবন তো আমি চাইনি গো? আমি এখনো তোমার হাত ধরে আছি, ধরেই থাকবো যতক্ষণ না তুমি উঠে দাঁড়াও… উঠো না প্লিজ… একবার, শুধু একবার!

আজ শুধু ধর্মের জন্য প্রাণ গেল… কিছু মানুষের। তাদের কী দোষ ছিল? আজকের দিনটা আমার মনে থাকবে, যতদিন বাঁচবো। তারা তো ঘুরতে গিয়েছিল, হাসতে গিয়েছিল, ভালোবাসা ভাগ করে নিতে গিয়েছিল। তারা তো কারও ক্ষতি করেনি। তবুও… কিছু লোকের হাতে তাদের প্রাণ গেল, শুধু ধর্মের কারণে।

তাদের জীবন থেমে গেল। শুধু কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের, ঘৃণায় ভরা লোকের কারণে। যারা ধর্মের নামে আগুন জ্বালায়, বন্দুক তোলে, রক্তে রাঙায় পাহাড়, উপত্যকা, শহর, গ্রাম।

ধর্মের নামে এমন মৃত্যু কবে শেষ হবে? আর কতজন প্রাণ হারাবে এইভাবে?

© পিয়ালী চ্যাটার্জী মল্লিক

Address

Kumarpur, Madanpur, Nadia
Madanpur
741245

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Reshma's Daily life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Reshma's Daily life:

Share

Category