https://www.facebook.com/nypiskcon.co

Nabakishor Brajaraj Das, Mayapur (2025)

06/09/2025

আজ হরিদাস ঠাকুরের মহা প্রয়াণ (নির্যান) তিথি।
হরিদাস ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভুর খুবই অনুরক্ত ছিলেন । আদৰ্শ এক ভক্ত তিনি প্ৰত্যহ তিনলক্ষ হরিনাম জপ করতেন । তাই মহাপ্রভুর অতি প্রিয়ভক্ত শ্রীরুপ ও সনাতন পুরীতে এলে হরিদাসের সঙ্গে থাকা পছন্দ করতেন কারণ তাঁর কুটীর ছিল বেশ নিৰ্জন স্থানে।

হরিদাস ঠাকুরের সময় কাটত হয় হরিনামে না হয় ভগবৎ - কথা আলোচনায় । বৃথাকথায় তিনি কখনও নিজ জিহ্বা ব্যবহার করতেন না । সকল ভক্তের হরিদাসের উপর গভীর শ্ৰদ্ধা ছিল ।
মহাপ্ৰভু প্ৰতিদিন সকালে জগন্নাথ দৰ্শনের পর সোজা চলে আসতেন হরিদাসের কুটীরে এবং কিছু সময় কৃষ্ণ - কথায় কাটাবার পর নিজ বাসায় ফিরে যেতেন । গোবিন্দকে দিয়ে তিনি রোজ হরিদাসের জন্য মহাপ্ৰসাদ পাঠিয়ে দিতেন।

একদিন গোবিন্দ প্ৰসাদ নিয়ে এসে দেখেন হরিদাস তখনও বিছানায় শুয়ে আছেন ও খুব ক্ষীণস্বরে হরিনাম জপ করে যাচ্ছেন । গোবিন্দ বুঝলেন হরিদাসের শরীর সুস্থ নয় । । হরিদাস মাত্ৰ এককণা নিয়ে মহাপ্ৰসাদ সন্মান করলেন । গোবিন্দ মহাপ্রভুকে সব বললেন।
হরিদাসের এই অবস্থা জানাবার পর মহাপ্ৰভু তাড়াতাড়ি ছুটে এসে হরিদাসের স্বাস্থ্য সমন্ধে জিজ্ঞাসা করাতে, হরিদাস উত্তর দিলেন , ‘'প্ৰভু , দৈহিকভাবে আমি তত অসুস্থ নই , তবে অন্তরে খুব হতাশা অনুভব করছি কেননা আমার দৈনিক লক্ষ্য যে তিনলক্ষ হরিনাম গ্ৰহণ , সে সংখ্যা পূৰ্ণ করতে - পারছি না ? ’ মহাপ্ৰভু বল্লেন , “ ওহে প্রিয় হরিদাস , তুমি তো - একজন পরমভাগবত ভক্ত । তুমি তো সাধনায় সিদ্ধি লাভ করেছ । তুমি তো হরিভজনের দৃষ্টান্তস্বরুপ । হরিনামের মহিমা তো তুমি জগতে প্রচার করেছ । সুতরাং এই অবস্থায় পৌছিয়ে তুমি হরিনামের সংখ্যা রাখতে পােরছ কিনা সে বিষয়ে তো দুঃখ করার কিছু নাই'’।

উত্তরে হরিদাস স্বভাব-সুলভ দৈন্য সহকারে বল্লেন , “ আমি আপনার অযোগ্যতম শিষ্য , তাই আমার একটা বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা আছে , যদি আপনি কৃপা করে তা ’ পূরণ করবেন কথা দেন তবে বলতে পারি''।
মহাপ্রভু বললেন, হে ঠাকুর হরিদাস আপনি বলুন, আমি অবশ্যই আপনার মনোবাঞ্ছা পুর্ন করব''।
কেঁদে কেঁদে হরিদাস ঠাকুর বললেন, ''হে স্বাতন্ত্র্য ঈশ্বর, হে আমার প্রভু, আমি যেন আপনার চরণ - পদযুগল বক্ষে জড়িয়ে ধরে , আপনার শ্ৰীমুখচন্দ্ৰ দৰ্শন করতে করতে , আপনার নামকীৰ্ত্তন করতে করতে আমার মৃত্যু হয় । কারণ আমি জানতে পেরেছি খুব শীঘ্ৰই আপনি লীলাসংবরণ করবেন । আপনার সঙ্গে বিচ্ছেদ আমার পক্ষে অসহ্য হবে । অতএব এই বর আমাকে দিন যেন আপনার অন্তধার্ন আমাকে দৰ্শন না করতে হয়''।
মহাপ্ৰভু শুধু মৃদু হাস্য করে চলে গেলেন । সর্বজ্ঞ মহাপ্ৰভু পরদিন সকালে শ্ৰীদামোদর স্বরুপ , রায় রামানন্দ , সার্বভৌম ভট্টাচাৰ্য্য ও অন্যান্য অনুরুপ কিছু অন্তরঙ্গ ভক্ত সঙ্গে হরিদাসের কুটীরে এলেন ও সংকীৰ্ত্তন শুরু করলেন ; হরিদাসের ইচ্ছানুসারে তিনি ধ্যানমগ্নচিত্তে মহাপ্ৰভুর চরণ দুটি বুকে আকড়ে ধরে নয়নদ্বয়ের স্থির দৃষ্টি মহাপ্ৰভুর দেহের উপর নিবদ্ধ রেখে , ঠিক যেন দুইটি ভৃঙ্গ মধুপান মত্ত , আহা , শ্ৰীকৃষ্ণনাম কীৰ্ত্তন করতে করতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন ।
আহা ! কী গৌরবোজ্জ্বল প্ৰস্থান , পুরাকালের ভীষ্মের নিৰ্য্যাণ স্মৃতি জাগরিত করে সমবেত ভক্তমণ্ডলী ও মহাপ্রভুর উচ্চ সংকীৰ্ত্তন প্ৰতি আনাচে কানাচে পূৰ্ণ হল। সবাই চোখের জলে বুক ভাসিয়ে কীর্ত্তন ও নৃত্য করতে লাগলেন।
সবাই ধ্বনি দিতে লাগলেন, জয় হরিদাসের জয়, জয় মহাপ্রভুর জয়।

মহাপ্ৰভু ও স্বরুপ দামোদর সহ অন্যান্য ভক্তবৃন্দ হরিদাস ঠাকুরের দেহটিকে তুলে নিয়ে এক সুসজিত খট্টায় স্থাপন করলেন ও বহন করে সমুদ্রতীরে নিয়ে গেলেন সেখানে সেই দেহটিকে সমুদ্ৰ স্নান করাইয়া কিছু ক্ৰিয়াকলাপের পর সমুদ্রতীরে একটা গৰ্ত্ত রচনা করিয়ে তার মধ্যে স্থাপন করা হল , তারপর দেহটিকে নুতন বস্ত্ৰ , পুস্প - চন্দন দ্বারা - সজ্জিত করে ও জগন্নাথ মন্দিরের কিছু পবিত্ৰ সূত্ৰ স্থাপন করে , মহাপ্ৰসাদ অৰ্পণ করা হল । তারপর মহাপ্ৰভু স্বহস্তে তার উপর বালুকা দিলেন , অন্যান্যেরাও তাই করলেন হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তন করার মধ্য দিয়ে এবং একটি সমাধিস্তম্ভ রচনা করা হল।

( #বৰ্তমানে ঐ স্থানটি পুরীর স্বৰ্গদ্ধারের নিকট হরিদাস সমাধি নামে খ্যাত এক সমাধি মন্দির নিৰ্মিত হয়েছে )

এরপর মহাপ্ৰভু ভক্তগণসহ সমুদ্ৰ স্নান করলেন ও সোজা জগন্নাথ মন্দিরে গিয়ে আনন্দবাজারে স্বয়ং নিজের উত্তরি ধরে দোকানে দোকানে মহাপ্ৰসাদ,
ও সিংহদ্বারের উঁচু সিড়িতে দাড়িয়ে হরিনাম করতে করতে কেঁদে কেঁদে ভিক্ষা করতে লাগলেন - হরিদাস ঠাকুরের নিৰ্য্যাণ উপলক্ষে উৎসবের জন্য। পুরীধামবাসী হরিদাসের মাহাত্ম্য জানতেন তারা দলে দলে এসে মহাপ্রভুর সাথে একাত্ত্ব হয়েছিল।

মহাপ্রভু ও ভক্তগনের উদ্যোগে হরিদাস ঠাকুরের বিরাট নির্য্যান স্মরন অনুষ্ঠান হয়েছিল। লক্ষ লক্ষ নারী পুরুষ যোগদান করেছিল।
মহাপ্ৰসাদ সকল ভক্তগণের মধ্যে বিতরণ করার পর মহাপ্ৰভু খুব ভারাক্ৰান্ত হৃদয়ে নিজ বাসায় ফিরে এলেন । এই হরিদাস ছিলেন তাঁর নিত্য সঙ্গী , তাই নিজ ভাবনা প্ৰকাশ করে বল্লেন , “ কৃষ্ণের কৃপায় , তাঁর সঙ্গে আমার মধুর ও সাময়িক সম্বন্ধ ঘটেছিল । কিন্তু আবার তাঁরই ইচ্ছায় আবার সে সঙ্গ থেকে বঞ্চিত হলাম । হরিদাস ছিলেন ভক্ত চূড়ামণি , তাই ধরিত্রীমাতা আজ এক অমূল্য সম্পদ হারালেন”।

সতীর্থ ভক্তগন সকলে হরিদাস ঠাকুরের গৌরবোজ্জ্বল জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। এখনও পুরীতে হরিদাস ঠাকুরের সমাধি মন্দিরে অখন্ড হরিনাম চলছে......।
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে,
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে''।।

05/09/2025

শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর কথা, প্রবক্তা - শ্রীমৎ গৌরাঙ্গ প্রেম স্বামী মহারাজ

01/09/2025

55th Sannyāsa Anniversary of HH Jayapatākā Swami Gurumaharaj

30/08/2025

রাধারানীর লীলা মহিমা: প্রেমের পরাকাষ্ঠা
রাধারানী, যাঁর নাম উচ্চারণ করলেই ভক্ত হৃদয়ে ভক্তির প্লাবন আসে, তিনি কেবল কৃষ্ণের প্রেয়সী নন, তিনি হলেন প্রেমের মূর্ত প্রতীক, যাঁর লীলা মহিমা যুগে যুগে ভক্তদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। রাধারানীর লীলা অনন্ত, অসংখ্য এবং প্রতিটি লীলাই তাঁর মহিমা ও ভক্তিভাবের গভীরতা প্রকাশ করে।
রাধারানীর স্বরূপ ও অবস্থান
বৈষ্ণব দর্শনে রাধারানীকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি বলা হয়। অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণের আনন্দ-বিধানের যে শক্তি, তাই রাধারানী। তিনি কৃষ্ণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কৃষ্ণ যদি পূর্ণ ভগবান হন, রাধারানী হলেন সেই ভগবানের প্রেমের পূর্ণ প্রকাশ। তাঁর প্রেম নিষ্কপট, নিঃস্বার্থ এবং শর্তহীন।
রাধারানীর প্রধান লীলাসমূহ
রাধারানীর লীলা বলতে মূলত শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর যে দিব্য প্রেমলীলা, তাকেই বোঝায়। এই লীলাগুলি প্রধানত ব্রজধামে, বিশেষ করে বৃন্দাবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো:
* পূর্বরাগ: শ্রীকৃষ্ণকে প্রথম দর্শনে রাধারানীর হৃদয়ে যে প্রেমের উন্মেষ হয়, তাকে পূর্বরাগ বলে। এই পূর্বরাগে রাধারানীর আকুলতা, ব্যাকুলতা এবং কৃষ্ণপ্রেমের প্রথম স্ফুরণ দেখা যায়।
* মানলীলা: কৃষ্ণ যখন অন্য গোপীদের প্রতি আকৃষ্ট হন বা রাধারানীকে উপেক্ষা করেন, তখন রাধারানী অভিমান করেন। এই অভিমানই হলো 'মান'। এই মানলীলাতেও রাধারানীর প্রেম, অভিমানের আড়ালে তাঁর গভীর ভালোবাসাই প্রকাশ পায়। কৃষ্ণ নানাভাবে রাধারানীর মান ভাঙানোর চেষ্টা করেন, যা এই লীলার এক অন্যতম আকর্ষণীয় দিক।
* অভিসার লীলা: রাধারানী যখন কৃষ্ণের সাথে মিলনের জন্য নিশাকালে বা দিনের বেলায় গোপন পথে কৃষ্ণের কাছে যান, তাই হলো অভিসার। এই লীলায় রাধারানীর প্রেম, সাহস এবং কৃষ্ণের প্রতি অদম্য আকর্ষণ প্রকাশ পায়।
* রাসলীলা: রাসলীলা যদিও শ্রীকৃষ্ণ ও গোপীদের সম্মিলিত লীলা, তবুও রাধারানীর উপস্থিতি এই লীলায় বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রাসলীলায় কৃষ্ণ যখন অদৃশ্য হয়ে যান, তখন রাধারানীর বিরহ-বেদনা তাঁর প্রেমের গভীরতা প্রমাণ করে। কৃষ্ণের কাছে রাধারানীর প্রেমই শ্রেষ্ঠ, তাই কৃষ্ণ প্রথমে রাধারানীকেই নিয়ে অন্তর্ধান হন।
* বিরহলীলা: কৃষ্ণ যখন মথুরা বা দ্বারকায় চলে যান, তখন রাধারানীর যে বিরহ-যন্ত্রণা, তা তাঁর প্রেমের চরম প্রকাশ। এই বিরহে রাধারানী শ্রীকৃষ্ণকে প্রতি মুহূর্তে অনুভব করেন, তাঁর জন্য ছটফট করেন। এই বিরহ ভক্তদের চোখে প্রেমের এক নতুন সংজ্ঞা তুলে ধরে।
লীলার মহিমা
রাধারানীর লীলা শুধুমাত্র পৌরাণিক কাহিনী নয়, এটি আধ্যাত্মিক পথের এক গভীর দিকনির্দেশনা। এই লীলাগুলি আমাদের শেখায়:
* নিঃস্বার্থ প্রেম: রাধারানীর প্রেম কেবল পাওয়ার জন্য নয়, বরং কৃষ্ণকে সুখ দেওয়ার জন্য। এটিই প্রেমের সর্বোচ্চ স্তর।
* সমর্পণ: রাধারানীর জীবনে পূর্ণ সমর্পণ দেখা যায়, যেখানে তিনি নিজের সবকিছু কৃষ্ণের চরণে উৎসর্গ করেছেন।
* ভক্তির পথ: রাধারানীর লীলা ভক্তদের ভক্তির পথ দেখায়। রাধারানীর মতো কৃষ্ণকে ভালোবাসলেই তাঁর কৃপা লাভ করা যায়।
* ঐশ্বরিক আকর্ষণ: এই লীলা প্রমাণ করে যে, প্রেমই হলো ভগবানের সাথে জীবের মিলনের একমাত্র মাধ্যম।
রাধারানীর লীলা মহিমা অনন্তকাল ধরে ভক্তদের হৃদয়ে জাগ্রত থাকবে এবং প্রেমের চিরন্তন শিখা প্রজ্বলিত করবে। রাধারানী কেবল একটি নাম নয়, তিনি হলেন প্রেম, ভক্তি এবং ত্যাগের এক অনন্ত প্রবাহ।
সংগৃহিত🙏🏻

28/08/2025

ইসর্কন এর অন্যতম বরিষ্ঠ দীক্ষা গুরু,বিশ্ব প্রচারক,ইসর্কন জি,বি,সি, শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বানী প্রচারে সম্পূন রুপে দেহ,মন,আত্মা নিবেদিত করেছেন,, হাজার হাজার মানুষের জীবনের আসল উদ্দেশ্য কি, এই জগত থেকে নিত্য আলয় ভগবত ধামে ফিরিয়ে নিতে চান,বতমান সময়ের বিশ্ব গুরু, বিশ্ব প্রচারক-শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরু মহারাজ।।
নিত্যানন্দ প্রভুর নিত্য পর্ষদ, বলে শাস্ত্রীয় প্রমাণ পাওয়া গেছে।।
অনেক জ্যোতিষী বলেছেন, উনার আয়ু অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু এখন ও উনি আমাদের মাঝে আছেন সেটা সম্পূর্ণ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রদত্ত আয়ু, আর গুরুমহারাজ, নিজ ইচ্ছে, গুরুদেব এর প্রতিটি ইচ্ছা পূরন করা,গুরু মহারাজ দিব্য মহিমার শেষ নেই।। হরেকৃষ্ণ।।

27/08/2025

🏵 *শ্রীশ্রী শুভ রাধাষ্টমী মহোৎসব - ২০২৫* 🏵
***************************************************
💥 *আগামী ৩১ ই আগস্ট , রবিবার* , ২০২৫ , ১৪ ই ভাদ্র , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।🙏

💥 *শ্রীশ্রীরাধাষ্টমী বা রাধারানীর শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব* l সেই উপলক্ষে সকল সাধু গুরু বৈষ্ণবদের জানাই শুভ রাধাষ্টমী মহোৎসবে
অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন 🙏

💥 *১ বার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে ১ লক্ষ একাদশীর সমান ফল লাভ হয়।*🙏

💥 *দুপুর পর্যন্ত উপবাস* l 🙏

💥 *আজকের রাধাষ্টমী সম্বন্ধে আলোচনার বিষয় নিম্নে বর্ণিত হলো* :-
********************************************
👉 *শ্রীমতী রাধারাণী কে*❓

👉 *শ্রীমতী রাধারাণী প্রণাম মন্ত্র*❓

👉 *রাধা অষ্টমী কি* ❓
👉 *আমাদের কেন রাধা অষ্টমী ব্রত*
*পালন করা উচিত*❓

👉 *রাধা অষ্টমী ব্রত*
*পালন করলে কি হয়*❓

👉 *রাধা অষ্টমী পুজোর*
*শুভ সময় কখন* ❓

👉 *কিভাবে রাধাষ্টমী*
*পালন করবেন* ❓

💥 রাধাষ্টমীর দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র ও শুভ বলে গণ্য করা হয়। প্রতি বছর ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে রাধা অষ্টমীর উৎসব পালিত হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমীর ১৫ দিন পর এই উৎসব পালিত হয়। এই বছর রাধা অষ্টমীর উৎসব পালিত হবে আগামী ৩১ ই আগস্ট , রবিবার ,২০২৫ তারিখে। এই দিনটিকে রাধারানির পূজার জন্য উৎসর্গ করা হয়। এই দিনে রাধারানির স্তোত্র পাঠ করতে হবে এবং পূজার সময় বিভিন্ন স্তোত্র, শ্লোক এবং বৈদিক মন্ত্র জপ করতে হবে। সারা দিন ধরে ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত এবং যে কোনও ধরনের বিবাদ এড়িয়ে চলা উচিত l🙏

💥 কেউ যখনই কেবল “রা” শব্দাংশ উচ্চারণ করে, তৎক্ষণাৎ আমি তাঁকে অবিচল ভক্তি প্রদান করে থাকি। যখনই “ধা” শব্দাংশ কারও মুখ হতে নিঃসৃত হয়, আমি সেই শব্দ শ্রবণের জন্য তার পিছনে ধাবিত হই। যে-ই তোমার নামোচ্চারণ করে, আমি তার প্রতি যে ষোড়োশোপচারে আমার পূজা করে তার চেয়েও অধিক আকৃষ্ট হই।
-শ্রীমতি রাধারাণীর লীলামহিমা গ্রন্থ হতে উদ্ধৃত l🙏

🏵 *শ্রীমতী রাধারাণী কে* ❓
*******************************************
💥 ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অনন্ত শক্তি রয়েছে, তার মধ্যে তিনটি শক্তি প্রধান, যথা- (১) অন্তরঙ্গা, (২) বহিরঙ্গা ও (৩) তটস্থা। অন্তরঙ্গা শক্তির আবার তিনটি ভাগ রয়েছে- (১) সম্বিৎ, (২) হ্লাদিনী ও (৩) সন্ধিনী।🙏

💥 হ্লাদিনী শক্তি হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের আনন্দদায়িনী শক্তি। রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে অপ্রাকৃত প্রেম বিনিময়ই হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অন্তরঙ্গা হ্লাদিনী শক্তির প্রকৃত প্রকাশ। তাই শ্রীকৃষ্ণ যখন তাঁর হ্লাদিনী শক্তিকে উপভোগ করতে চান, তখন তিনি নিজেকে রাধারাণীরূপে প্রকাশ করেন। তবে শ্রীকৃষ্ণ যে কে তা না জানা হলে, শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তিকে জানা অসম্ভব।🙏

💥 রাধাষ্টমী, ভাদ্র মাসের শুক্ল অষ্টমী তিথিতে পালিত হয়। এই দিনে শ্রী রাধার জন্ম উদযাপিত হয় এবং তাঁর প্রতি ভক্তি ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। শাস্ত্রসম্মতভাবে, এই ব্রত পালনের মাধ্যমে ভক্তরা অশেষ পুণ্য অর্জন করেন। 🙏

💥 *শ্রীমতী রাধারাণী প্রণাম মন্ত্র*:-
********************************************
তপ্ত-কাঞ্চন-গৌরাঙ্গি রাধে বৃন্দাবনেশ্বরী
বৃষভানুসুতে দেবী প্রণমামী হরিপ্রিয়ে 🙏

👉 সরলার্থ: শ্রীমতী রাধারাণী ,যায় অঙ্গ তপ্তকাঞ্চনের মত ,যিনি বৃন্দাবনের ঈশ্বরী ,বৃষভানুর দুহিতা ,এবং পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রেয়সী ,তার চরণ কমলে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি 🙏

💥 *রাধা অষ্টমী পুজোর শুভ সময় 😗
********************************************
💥 আগামী ৩১ ই আগস্ট , রবিবার , ২০২৫, ১৪ ই ভাদ্র , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।🙏
💥 শ্রীশ্রীরাধাষ্টমী বা রাধারানীর শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব l 🙏

💥 রাধা অষ্টমীর দিনে পুজোর শুভ সময়
*অষ্টমী তিথি: শুরু –*
৩০ আগস্ট, শনিবার , ২০২৫, রাত ১০ টা ৪৬ মিনিট থেকে শুরু হবে l

*অষ্টমী তিথি: সমাপ্ত:* = ০১ সেপ্টেম্বর , ২০২৫, ভোর ১২ টা ৫৭ মিনিট

💥 *শুভ রাধা অষ্টমী ব্রত পালন করবেন আগামী ৩১ ই আগস্ট , রবিবার , দুপুর ১২ টার মধ্যে।*

🏵 *রাধা অষ্টমী কি* ❓❓
*******************************************
💥 রাধা অষ্টমী হচ্ছে শ্রীমতি রাধারানীর আবির্ভাব তিথী। রাধারানী ভাদ্রমাসের শুক্লাষ্টমী তিথীতে ধরিত্রীকে পবিত্র করে আবির্ভুত হয়েছিলেন। বৈষ্ণব সম্প্রাদায়ের মধ্যে এই অষ্টমী তিথী মহাসমারোহে দীর্ঘদিন ধরে উদযাপিত হয়ে আসছে। তবে সাধারন মানুষের মধ্যে এর প্রভাব খানিকটা কম। ভগবান শ্রী কৃষ্ণের হৃদিনী শক্তির প্রতিরুপ স্বরূপা হচ্ছেন রাধাঠাকুরানী।🙏

💥 রাধাষ্টমী ব্রত পালনের কথা বর্নিত করে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তির জীবনে একবারের জন্যেও এ মহান ব্রত পালন করেন তবে তার কোটি জন্মার্জিত ব্রহ্মহত্যাদির মত মহাপাপও তৎক্ষণাৎ ক্ষমা হয়ে যান। শত সহস্র একাদশী ব্রত পালনে যে ফল লাভ হয়, রাধাষ্টমী ব্রত পালনে তার শতাধিক ফল লাভ হয়। পুরানে আরো বর্নিত রয়েছে যে, কোন পাপিষ্ট ব্যাক্তি যদি হেলায় বা অশ্রদ্ধায় এ মহান ব্রত পালন করেন তাহলে ও তার বৈকুণ্ঠলোকে গতি হয়। পদ্মপুরাণের সর্গখন্ডের চল্লিশতম অধ্যায়ে এমনই এক কাহিনী বর্ণিত রয়েছে। 🙏

💥 যে এ রাধাষ্টমী ব্রত পালন করেন না শতকোটি কল্পেও তার নরক হতে নিষ্কৃতি নেই। তারা চিরতরে নরকে পতিত হবেন।পরবর্তীতে জন্ম হলেও বিধবা হয়। এখন আপনারাই স্বয়ং বিচার করুন এই মহান ব্রত পালন করবেন কি না ❓

🏵 *রাধা অষ্টমী ব্রত পালন করলে কি হয়*❓
********************************************
💥 শ্রীপদ্মপুরাণে (ব্রহ্মখণ্ড ৭/৮) বলা হয়েছে --

"একাদশ্যাঃ সহস্রেন যং ফলং লভতে নরঃ।
রাধা জন্মাষ্টমী পুণ্যং তস্মাং শত গুণাধিকম্॥

💥 শ্রীপদ্মপুরাণে বলা হয়েছে
"একহাজার একাদশী ব্রত পালন করলে যে ফল লাভ হয়, শ্রীরাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার চেয়ে শতগুন অধিক ফল লাভ হয়ে থাকে।"

অর্থাৎ ১ বার রাধাষ্টমী ব্রত পালনে ১ লক্ষ একাদশীর সমান ফল লাভ হয়।🙏

💥 অর্থঃ- "একহাজার একাদশী ব্রত পালন করলে যে ফল লাভ হয়, শ্রীরাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার চেয়ে শতগুণ (১০০০×১০০=১০০০০০-(এক লক্ষ একাদশীর ফললাভ) অধিক ফল লাভ হয়ে থাকে।"

💥 সুতরাং,বছরে ২৬ টা একাদশী তিথি আসে,তাহলে(১০০০÷২৬=৩৮.৪৬)প্রায় ৩৮বছর ধরে যদি কেউ একাদশী ব্রত করে,তার পূণ্যফলেরও ১০০ গুণ বেশি ফল লাভ হয়ে থাকে কেবলমাত্র একটা রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে। এই সুবর্ণ সুযোগ যারা হাতছাড়া করবে তারা নিশ্চয়ই বোকা!🙏

💥 *পদ্মপুরাণে আরও বলা হয়েছে* :-
*********************************************
👉 (১) কোটি জন্মের অর্জিত পাপরাশি ভক্তিপূর্ণ রাধাষ্টমী ব্রত ফলে বিনষ্ট হয়।🙏

👉 (২) সুমেরু পর্বত সমান সোনা দান করলে যে ফল লাভ হয় একটি মাত্র রাধাষ্টমী ব্রত পালন করলে তার শতগুন অধিক ফল লাভ হয়।🙏

👉 (৩) গঙ্গা ইত্যাদি সমস্ত পবিত্র তীর্থে স্নান করলে যে ফল লাভ হয় একমাত্র বৃষভানুকন্যার জন্মাষ্টমী পালন করলে সেই ফল লাভ হয়।🙏

👉 (৪) পদ্মপুরাণে আরো বলা হয়েছে--

রাধাষ্টমী ব্রতং তাত যো ন কুর্য্যাচ্চ মূঢ়ধী।
নরকান্ নিষ্কৃতি নাস্তি কোটিকল্পশতৈরপি।।

"যে মূঢ় মানুষ রাধাষ্টমী ব্রত করে না, সে শতকোটি কল্পেও নরক থেকে নিস্তার পেতে পারেনা।"

👉 (৫) স্ত্রীয়শ্চ যা না কৃবন্তি ব্রতমেতদ্ সুভপ্রদম। রাধাকৃষ্ণপ্রীতিকরং সর্বপাপপ্রনাশম্।।
অন্তে যমপুরীং গত্বা পতন্তি নরকে চিরম্।
কদাচিদ্ জন্মচাসাদা পৃথিব্যাং বিধবা ধ্রুবম্।।

👉 "যে নারী রাধাকৃষ্ণের প্রীতিকর সর্ব পাপনাশক এই শুভপ্রদ মহাব্রত পালন করে না, সে জীবনের অন্তকালে নরকে গিয়ে চিরকাল সেখানে যাতনা ভোগ করে। পৃথিবীতে থাকাকালীনও সে দুর্ভাগিনী হয়।"এই মহাব্রত পালন করলে শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণের অভয় পাদপদ্মে অচলা ভক্তি লাভ হয়ে থাকে।🙏

🏵 * রাধাষ্টমী ব্রত পালন করুন,এক লক্ষ একাদশী ব্রতের ফল লাভের সৌভাগ্য লাভ করুন* 🙏

💥 পদ্ম পুরাণে আরো বলা হয়েছে --
"রাধাষ্টমী ব্রতং তাত যো ন কুর্য্যাচ্চ মূঢ়ধী।*_
নরকান্ নিষ্কৃতি নাস্তি কোটিকল্প শতৈরপি॥"

💥 অর্থঃ-"যে মূঢ় মানুষ রাধাষ্টমী ব্রত করে না, সে শতকোটি কল্পেও নরক থেকে নিস্তার পেতে পারে না।"
💥 জয় শ্রীরাধারাণীর জয় । 🙏 🙏

🏵 *কিভাবে রাধাষ্টমী পালন করবেন*❓
********************************************
👉 ১)আগের দিন মঙ্গলবার রাত ১২ টার আগে প্রসাদ খেতে হবে,ঘুমানোর আগে ব্রাশ করে ঘুমাতে হবে।🙏

👉 ২) মঙ্গলবার রাত ১২ টা থেকে বুধবার দুপুর ১২ পর্যন্ত উপবাস।🙏

👉 ১) সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে, হরিনাম জপ করা,হরিনাম কৃর্তন করা, রাধারাণীর মহিমা শ্রবন করা, এবং ১১.৩০ মিনিটে অভিষেক দর্শন করা।আপনারা ঘরেও রাধা কৃষ্ণের অভিষেক করতে পারেন। আর ভালো ভালো নিরামিষ ভোগ রান্না করে ঘরে ও ভোগ লাগাতে পারেন।
দুপুর ১২টার পর ভোগ লাগিয়ে পেট ভরে প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভাঙ্গবেন।🙏

👉 ৩)দুপুর ১২ টার পরে সবাই অন্ন প্রসাদ খেতে পারবেন।কেউ কুসংস্কারের মধ্যে পড়বেন না, কারন রাধারানী দিনে আর্ভিবাব হয়েছেন। তাই দুপুর ১২ পর্যন্ত উপবাস।🙏

বিঃদ্রঃ কেউ যদি ভুল করে কৃষ্ণ অষ্টমী পালন না করে থাকেন, কিন্তুু রাধা অষ্টমী পালন করতে পারবেন। কেউ কেউ বলে কৃষ্ণ অষ্টমী না থাকলে রাধা অষ্টমী পালন করা যায় না এটা সম্পূর্ন মিথ্যা।
*সবাই উপবাস পালন করে রাধারানীর বিশেষ কৃপা লাভ করুন।🙏

💥 ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আদিশক্তি শ্রীমতী রাধারাণী। শ্রী রাধারানী ও শ্রীকৃষ্ণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, তাঁরা এক । কেবলমাত্র লীলারস আস্বাদন করার জন্য দুই দেহ ধারণ করেছেন । 🙏

🌿 ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বর্ণিত আছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ নিজেকে আনন্দ প্রদান করার জন্য নিজের বাম অংশ থেকে শ্রীরাধাকে সৃষ্টি করলেন। শ্রীমতী রাধারাণী আদিশক্তি রূপে জগতে খ্যাত হয়ে তাঁর নিজের চিৎশক্তির বলে অসংখ্য গোপী ও লক্ষ্মীদেবীদের কৃষ্ণের প্রীতিবিধান করার জন্য সৃষ্টি করেছেন । 🙏

🌿 তবে সাধারণ লোকেরা এ তত্ত্ব না জেনে শ্রীমতী রাধারাণীকে একজন সাধারন নারী বলে জ্ঞান করেন । কারণ কামের বশবর্তী হয়ে তারা এ জগতে সমস্ত বস্তুকে কামময় দৃষ্টিতে দর্শন করেন । 🙏

🌿 কিন্তু ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ও শ্রীমতী রাধারাণী সমস্ত লীলা হচ্ছে প্রেমময় । এ জগতে প্রেমের লেশমাত্র গন্ধ নেই । এটি কামময় জগত। কাম ও প্রেমের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ । 🙏

********************************************

💥 সবাই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন।এই নামে শুধু আপনি নই আপনার পুর্ব পুরুষ ও উদ্দার হবে।ভাত খাওয়া যেমন আপনার নিত্যকাজ,স্নান করা যেমন আপনার নিত্য কাজ,ঠিক তেমনি জপটাও আপনার আরও নিত্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ,,তাই এই হরি নামকে অবজ্ঞা করবেন না🙏
জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ 🙏

💥 আমাদের কখনো হরি নাম জপকে হেলার সহিত নেয়া উচিত নয়। হরিনাম সাধারণ কোন মন্ত্র নয়। হরিনাম সাক্ষাৎ শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন রূপ। তাই আমাদের খুব যত্নের সহিত হরিনাম জপ করা উচিত।

💥 সমস্ত বিপদ থেকে আমাদের রক্ষা করতে প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে তৃণ অপেক্ষা হীন হয়ে এবং বৃক্ষ অপেক্ষা সহিষ্ণু হয়ে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করতে হবে। তাহলে শ্রীকৃষ্ণ, যিনি দীনদয়াল, আমাদের উপর কৃপা বর্ষণ করবেন।🙏🏻 🙏🏻

তৃণাদপি সুনীচেন তরোরপি সহিষ্ণুনা । 🙏🏻
অমানিনা মানদেন কীর্তনীয়ঃ সদা হরিঃ ॥ ৩ ॥ 🙏🏻

💥 চলুন আমরা সবাই মহামন্ত্র জপ করি এবং জন্ম মৃত্যুর কঠিন চক্র থেকে মুক্তিলাভ করি।

💥 "হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম
কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
🙏🙏🙏🙏

💥 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 🙏
💥 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 🙏

26/08/2025

আজ শ্রীমতী রাধাঠাকুরাণীর অষ্টসখীগণের মধ্যে পঞ্চম সখী শ্রীমতী তুঙ্গবিদ্যা সখীর মহিমান্বিত শুভ আবির্ভাব তিথি মহা-মহোৎসব .........

শ্রীমতী রাধাঠাকুরাণীর অষ্টসখীগণের মধ্যে পঞ্চম সখী শ্রীমতী তুঙ্গবিদ্যা সখীর আজ শুভ আবির্ভাব তিথির মহা-মহোৎসব।
শ্রীরাধার থেকে পাঁচদিনের বড় তুঙ্গবিদ্যা সখী।ভাদ্রমাসের শুক্লা তৃতীয়া শনিবারে বর্ষানার দুইমাইল দক্ষিণে ডাভোরা গ্রামে তাঁর জন্ম হয়।মায়ের নাম মেধা,বাবার নাম পুষ্কর।পতির নাম বালিশ।তুঙ্গবিদ্যার অঙ্গকান্তি কর্পূর চন্দন মিশ্রিত কুমকুমের মত বর্ণ।পিঙ্গল বর্ণের বসন তিনি প্রায়ই পরিধান করেন ......।।

চার বেদ,শিক্ষা, কল্প,ব্যাকরণ,নিরুক্ত, জ্যোতিষ,ধাতুগণ,বেদান্ত দর্শন,মীমাংসা দর্শন,ন্যায়,বৈশেষিক, সাংখ্য, পাতঞ্জল, পুরাণ ও ধর্মশাস্ত্র - এই অষ্টাদশ বিদ্যায় তুঙ্গবিদ্যা পারদর্শিনী। সন্ধি বিষয়ে কুশলা তিনি কৃষ্ণের অত্যন্ত বিশ্বাসভাজন।রসশাস্ত্রে,নীতিশাস্ত্রে,নাট্যবিদ্যায়,নাটক ও অাখ্যায়িকা রচনায় সুনিপুণা। নিখিল সঙ্গীত শাস্ত্রে তুঙ্গবিদ্যা হচ্ছেন আচার্য।
দেবতা ও ঋষিপ্রণীত তৌর্যত্রিক (নৃত্য, গীত ও বাদ্য) বিদ্যায় ও বীণাবাদনে বিশেষ অভিজ্ঞা।
সমস্ত সখী যারা সন্ধিকুশলা,যারা সঙ্গীত রঙ্গশালায় নিযুক্তা, যারা বৃন্দাবনের জনগণের দেখাশোনা কর্মে নিযুক্তা,ব্রজের জলদেবীগণ,তাদের সকলের অধ্যক্ষা হলেন তুঙ্গবিদ্যা দেবী।
তুঙ্গবিদ্যার কুঞ্জ অরুণবর্ণের। গীতবাদ্যই তার নিত্যসেবা।
তুঙ্গবিদ্যার যূথে অবস্হিত অষ্টসখী হলেন- মঞ্জুমেধা,সুমধুরা,সুমধ্যা,মধুরেক্ষণা,তনুমধ্যা, মধুস্যন্দা,গুণচূড়া ও বরাঙ্গদা।
তুঙ্গবিদ্যাদেবী গৌরলীলায় শ্রীল প্রবোধানন্দ সরস্বতী...🙏

25/08/2025

উত্সাহান নিশ্চয়দ ধৈর্যত
তৎ-তৎ-কর্ম-প্রবর্তনাৎ
সংগ-ত্যাগত সতো বৃত্তেঃ
ষড়ভীর ভক্তিঃ প্রসিধ্যতি
"ভক্তদের সাথে নির্ধারিত কর্তব্য পালন করে এবং সৎকর্মে সম্পূর্ণরূপে নিযুক্ত হয়ে পূর্ণ উৎসাহ, অধ্যবসায় এবং দৃঢ় সংকল্পের সাথে ভক্তি-যোগের প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পাদন করা যেতে পারে।" (উপদেশামৃত ৩)
দৃঢ় সংকল্পের ক্ষেত্রে, সমুদ্রের ঢেউয়ে ডিম হারিয়ে যাওয়া চড়ুইয়ের উদাহরণ অনুসরণ করা উচিত । একটি চড়ুই সমুদ্রের তীরে ডিম পাড়ে, কিন্তু বিশাল সমুদ্র তার ঢেউয়ে ডিমগুলো ভাসিয়ে নিয়ে যায়। চড়ুইটি খুব বিরক্ত হয়ে সমুদ্রকে তার ডিম ফিরিয়ে দিতে বলে। সমুদ্র তার আবেদনের তোয়াক্কাও করেনি। তাই চড়ুইটি সমুদ্রকে শুকিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার ছোট ঠোঁটে জল তুলতে শুরু করে এবং তার অসম্ভব দৃঢ় সংকল্পের জন্য সবাই তাকে নিয়ে হেসে ওঠে। তার কার্যকলাপের খবর ছড়িয়ে পড়ে এবং অবশেষে ভগবান বিষ্ণুর বিশাল পাখি বাহক গরুড় তা শুনতে পান। তিনি তার ছোট বোন পাখির প্রতি করুণা বোধ করেন এবং তাই তিনি চড়ুইটিকে দেখতে আসেন। গরুড় ছোট চড়ুইয়ের দৃঢ় সংকল্প দেখে খুব খুশি হন এবং সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন। এভাবে গরুড় তৎক্ষণাৎ সমুদ্রকে তার ডিম ফিরিয়ে দিতে বলেন, পাছে তিনি নিজেই চড়ুইটির কাজ হাতে নেন। এতে সমুদ্র ভয় পেয়ে ডিমগুলো ফিরিয়ে দেয়। এভাবে গরুড়ের কৃপায় চড়ুইটি খুশি হয়।
একইভাবে, যোগব্যায়াম অনুশীলন, বিশেষ করে কৃষ্ণভাবনামৃত ভক্তিযোগ, খুব কঠিন কাজ বলে মনে হতে পারে। কিন্তু যদি কেউ দৃঢ় সংকল্পের সাথে নীতিগুলি অনুসরণ করে, তাহলে ভগবান অবশ্যই সাহায্য করবেন, কারণ ভগবান তাদেরই সাহায্য করেন যারা নিজেদের সাহায্য করেন।

24/08/2025

H.G Gouranga Das prabhu in Udupi math 😇

02/07/2025

HG Vishaka devi dasi mataji at Barasat Namahatta’s 10th year Rathyatra festival😇
Venue:- (Gundicha temple) Yubogoshti playground,Kalikapur,Barasat-700124.

16/06/2025

Today’s Namahatta program at Sampriti Sarani,Naba Barathi,Barasat in the auspicious presence of HH Bhaktivilasa Gaurachandra Swami Maharaj(Co-regional Director,Iskcon Namahatta) & H.G Sudhama Sakha das Brahmachari prabhu(District Supervisor,N-24 pargana Namahatta).

Nabakishor Brajaraj Das

06/09/2025

05/09/2025

01/09/2025

30/08/2025

28/08/2025

27/08/2025

26/08/2025

25/08/2025

24/08/2025

02/07/2025

16/06/2025

Address

Telephone

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share

Category