Satsang Kathamrita সৎসঙ্গ কথামৃত

Satsang Kathamrita সৎসঙ্গ কথামৃত SATSANG KATHAMRITA
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের
দিব্য জীবন...বাণী...ইস্ট প্রসঙ্গ এবং সৎসঙ্গ সংবাদ.

◾️ভাববাণী বিংশতিতম দিবসযে যা' ভাবে আমি তাইপ্রাণের কোণে একটু শুধু অমল ধবল বিশ্বাস চাই। আমি ভক্তের কাছে শালগ্রাম শিলা, জ্ঞ...
16/09/2025

◾️ভাববাণী বিংশতিতম দিবস

যে যা' ভাবে আমি তাই
প্রাণের কোণে একটু শুধু
অমল ধবল বিশ্বাস চাই।

আমি ভক্তের কাছে শালগ্রাম শিলা,
জ্ঞানীর কাছে ব্রহ্মভেলা,
আমায় পাতা দিয়ে পূজলে
পরে ছাগল হ'য়ে পাতা খাই।
আমি চোরের উপর বাটপাড়ি করি,
সাধুজনায় বুকে ধরি,
আমি মদের বোতল বগলে ক'রে মাতাল ভায়ার পিছে ধাই।
আমি নাস্তিকের কাছে কিছু নই
জ্ঞানীর কাছে ব্রহ্ম হই,
আমায় যা' ব'লে যে ডাকে,
তারে আমি তেমনি হ'য়ে তথায় যাই। ১

~শ্রী শ্রী ঠাকুর (পূণ্য-পুঁথি , পৃষ্ঠা সংখ্যা ১০১)

প্রবীণ এক দাদার নামোল্লেখ ক'রে সেই মা-টি বলছেন, 'উনি সৎসঙ্গ-অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আমার নিন্দা করেছেন, অভিশাপ দিয়েছেন।'শুনে আ...
13/09/2025

প্রবীণ এক দাদার নামোল্লেখ ক'রে সেই মা-টি বলছেন, 'উনি সৎসঙ্গ-অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে আমার নিন্দা করেছেন, অভিশাপ দিয়েছেন।'

শুনে আচার্য্যদেব বলছেন, 'আমি আমার ভাল শুনলেও সেটা কানে তুলব না, আর, মন্দকথা তো তুলবই না। আমি নিজের বিষয়ে কোনো কথাই শুনব না। আমি 'লক্ষ্য' হ'তেই পারি না। 'লক্ষ্য' যদি ঠাকুর হন, তাহলে ঠিক আছে। আমার সম্বন্ধে কিছু ভাল বলতে আসছে, সঙ্গে-সঙ্গে blunt (অভিভূত) হয়ে যাই, মন্দ বলতে আসছে, সেখানেও blunt হয়ে যাই। কেন? আরে, বলছে বলুক গা!'

তারপর দৃষ্টান্ত দিয়ে বলছেন, 'এখানকার আশ্রমেরই এক পরিবারের গৃহবধূ আমাকে লিখছে-তা'র স্বামী এবং শ্বশুর আমার বিষয়ে নিন্দা করে, আর এই নিয়ে সে খুব অশান্তি বোধ করছে। তো, আমি তা'র স্বামী-শ্বশুরকে ডেকে বললাম, 'আমার এটা পছন্দ হল না যে, আপনার বৌমা এইরকম ক'রে চিঠি লিখছেন। আপনারা আমার কী নিন্দা করেছেন, সেটা শোনা তো আমার কাজ নয়!

কেননা, আপনারা যদি ব'লেও থাকেন, আর আমাকে যদি সেটা শুনতে হয়, তাহলে ওই নিন্দা আমার গায়েই এঁটে ফেলা (পক্ষান্তরে স্বীকার ক'রে নেওয়া) হ'ল! কাজেই, আমি এসব শুনতে নারাজ।' তখন ওই দুই ব্যক্তি প্রাণপণে চেষ্টা করছেন বোঝাতে যে তাঁরা এটা বলেন নি। আমি তাদের বলি, 'আমি তো এটা শুনতেই চাইছি না- আপনারা বলেছেন কি বলেন নি। আপনারা বললেও আমার যায়-আসে না, না বললেও যায়-আসে না। আমি কিছু মনেও করি না।'- এর তিনদিন পরের ঘটনা। সেই পরিবার কোনো একটা সমস্যায় প'ড়ে আমার সাহায্যপ্রার্থী হ'ল। আমি কিন্তু সাহায্য ক'রে দিলাম। কেন করব না! আমি তো 'আমি' না। দিনের শেষে আমি তো ঠাকুরের। আমি যদি 'আমি' হতাম, তাহলে আপনাদের মাঝে এতক্ষণ ব'সে থাকতাম না। আমি আমার মতন গিয়ে এখন বিশ্রামে মগ্ন থাকতাম, বা নিজের মতন ক'রে সময় কাটাতাম। কিন্তু, আমি যখন ঠাকুরের, তাহলে আমাকে চলতেই হবে এরকমভাবে, যাতে কেউ আমার শত্রু হ'তেই না পারে।'
(আলোচনা বৈশাখ, ১৪৩০)

©Pritish Ranjan Mridha

স্মরণ রেখো, তোমরা পরমপিতার দূত। মানুষের কাছে তোমাদের কাবু হবার কিছু নেই। কিন্তু, তোমাদের কাছে মানুষের কাবু হওয়ার আছে। কা...
13/09/2025

স্মরণ রেখো, তোমরা পরমপিতার দূত। মানুষের কাছে তোমাদের কাবু হবার কিছু নেই। কিন্তু, তোমাদের কাছে মানুষের কাবু হওয়ার আছে। কারণ তোমরা যে-ধনে ধনী, সে-ধন তাদের নেই। অথচ তা'র প্রয়োজন আছে তাদের। কিন্তু, তোমরা তাদের কাছে কিছুরই কাঙ্গাল নও। কাঙ্গাল যদি হও কিছুর, সে তাদের মঙ্গলের।

(আ. প্র. ৩য় খণ্ড, পৃষ্ঠা ১৩৫)✍️

ধরেন, কেউ যদি অন্তর থেকে আপনার জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা ক'রে কিছু কথা ব'লে দেন, আর, তা' যদি ফলে যায়, তখন কি তিনি ভগবা...
12/09/2025

ধরেন, কেউ যদি অন্তর থেকে আপনার জন্য ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা ক'রে কিছু কথা ব'লে দেন, আর, তা' যদি ফলে যায়, তখন কি তিনি ভগবান হয়ে গেলেন? বা, সেই ভগবদ্গুণের অধিকারী হয়ে গেলেন? অন্তর দিয়ে নিষ্কাম প্রার্থনা ক'রে যদি কেউ ঠাকুরের কাছে কিছু বলে, প্রায়ই দেখা যায় ঠাকুরের দয়ায় আপনার ভালই হয়ে যায়। কিন্তু তাই ব'লে 'সে' ভগবান হয়ে যায় না। ভগবানের কাছে তা'র প্রার্থনা মঞ্জুর হয়েছে- এইটুকুই শুধু।

কাছে দাঁড়ানো শান্তিদাকে দেখিয়ে আচার্য্যদেব বলছেন, 'এনার কান দিয়ে পুঁজ পড়ত। উনি ডাক্তার না-দেখিয়ে চ'লে এলেন শ্রীশ্রীবড়দার কাছে। বড়দা যা' ব'লে দেবেন, তা'তেই ভাল হবে- এই বিশ্বাস। বড়দা তাঁকে বললেন, 'নাম কর, নামে এনার্জি ক্রিয়েট হয়।' তো, উনি নাম করা শুরু করলেন। অনবরত নাম চালিয়ে গেলেন, এবং একসময় তাঁর অভীষ্টে পৌঁছে গেলেন; কান সেরে গেল। এখন কথা হচ্ছে, উনি কিন্তু কান সারানোর জন্যে নাম করেন নি। বড়দা বলেছেন ব'লে নাম করেছেন। নাম করার মধ্যে তাঁর কোনো ধান্দা ছিল না। কিন্তু, তা'তে কাজ হ'ল। এদিকে, এই গল্প শুনে আরেকজন নাম করতে বসল। তা'র ধান্দা ছিল এতে তা'রও কানের রোগ সেরে যাবে। (সহাস্যে) কিন্তু, তা'র রোগ সারল না! কারণ, তা'র ধান্দা তো ঠাকুর নয়। ইষ্ট নয়। তা'র ধান্দা কান সারানো। সেইজন্যে তা'র ফল হ'ল না।'

-শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
(আলোচনা,বৈশাখ, ১৪৩০)

12/09/2025

ইষ্ট প্রসঙ্গ ।।
শুধু একবার শুনুন..

3rd September, 2025 - (Borda bari)SATSANG
12/09/2025

3rd September, 2025 - (Borda bari)
SATSANG

নেশামুক্ত সমাজ গঠনে ধর্মনগরে সৎসঙ্গের মৌতাত নির্বাণী সভা।। ধর্মনগর
12/09/2025

নেশামুক্ত সমাজ গঠনে ধর্মনগরে সৎসঙ্গের মৌতাত নির্বাণী সভা।।
ধর্মনগর

11/09/2025

জয় রাধে রাধে কৃষ্ণ কৃষ্ণ গোবিন্দ গোবিন্দ বলো রে 🥹

Notification From Satsang Official ⚠️
11/09/2025

Notification From Satsang Official ⚠️

10/09/2025

Porompitaaaaa🎗️

হীরক যেমন কয়লা প্রভৃতি আবর্জনায় থাকে, উত্তমরূপে পরিষ্কার না ক'রলে তার জ্যোতি বেরোয় না, তিনি তো তেমনি সংসারে অতি সাধারণ জ...
10/09/2025

হীরক যেমন কয়লা প্রভৃতি আবর্জনায় থাকে, উত্তমরূপে পরিষ্কার না ক'রলে তার জ্যোতি বেরোয় না, তিনি তো তেমনি সংসারে অতি সাধারণ জীবের মত থাকেন, কেবল প্রেমের প্রক্ষালনেই তাঁর দীপ্তিতে জগৎ উদ্ভাসিত হয়। প্রেমীই তাঁকে ধ'রতে পারে। প্রেমীর সঙ্গ কর, সৎসঙ্গ কর, তিনি আপনিই প্রকট হবেন।

_-সত্যানুসরণ_

ব্যাখ্যা-

আজ দাদাদের আলোচনা। শ্রীশ্রীপিতৃদেব জয়ন্তদাকে আলোচনা করার নির্দেশ দিলেন।

জয়ন্তদা-ঠাকুর বলছেন-হীরক যেমন কয়লা প্রভৃতি আবর্জনায় থাকে, তাকে উত্তমরূপে প্রক্ষালন করা দরকার-

শ্রীশ্রীপিতৃদেব-সে তো লেখাই রয়েছে, আলোচনা কর।

জয়ন্তদা-সদ্-গুরু সাধারণ জীবের মত থাকেন, তিনি আবর্জনার মধ্যে থাকেন।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব-আবর্জনার মধ্যে থাকেন কেন?

জয়ন্তদা-আমরা বৃত্তিমুখী মানুষ, তাঁর মহিমা তাই বুঝতে পারি না।

জয়ন্তদার আলোচনা বিষয়বস্তু থেকে সরে যাচ্ছে।

শ্রীশ্রীপিতৃদেব বললেন-যা আছে তা-ই আলোচনা কর। ইস্যু বাড়িয়ে ফেলিস না। আবর্জনা কোনগুলো?

জয়ন্তদাকে নিরুত্তর দেখে শ্রীশ্রীপিতৃদেব বললেন-রোগ, শোক, দুঃখ, কষ্ট, অবিশ্বাস-এইগুলো আবর্জনা। পরমপিতা আসেন, জগতে আমাদের মত সাধারণ জীবের মধ্যেই থাকেন। রোগ, শোক, দুঃখ, কষ্টে তাঁকে পড়তে হয়। পরমপিতা
প্রেমময় প্রেমস্বরূপ। যে প্রেম-প্রীতি-ভালোবাসার চর্চা করে সে তাঁকে অনুভব করতে পারে। সেইজন্য যাদের প্রেম-প্রীতি- ভালোবাসা আছে, যারা প্রেম-প্রীতির চর্চা করে তাদের সঙ্গ করতে হয়। বৃত্তি-প্রবৃত্তি তো আমাদের আছেই। বৃত্তি-প্রবৃত্তি সব নিয়ে তাঁর সেবায় লাগতে হয়। বৃত্তি-প্রবৃত্তির টান নীচ দিকে নিয়ে যায়। সেই টানকেই ইস্টের দিকে নিয়ে যেতে হয়। টান তো আছেই। সেই টান যদি ইষ্টসেবায় লাগে তখন কী অফুরন্ত কাজ হয়। আমি যদি প্রেমীর সঙ্গ করি, তখন আমার দৃষ্টি খুলে যাবে।

[ইষ্ট-প্রসঙ্গে/তাং-৬/৪/৭৮ইং।

©Pritish Ranjan Mridha

"আমরা সৎসঙ্গীরা সবাই নিয়ত ঠাকুরবাড়ী আসি, ঠাকুর-প্রণাম করি, সকালে-বিকালে প্রার্থনা করি, আচার্য্যদেবের সান্নিধ্যে থাকি, আন...
09/09/2025

"আমরা সৎসঙ্গীরা সবাই নিয়ত ঠাকুরবাড়ী আসি, ঠাকুর-প্রণাম করি, সকালে-বিকালে প্রার্থনা করি, আচার্য্যদেবের সান্নিধ্যে থাকি, আনন্দবাজারে প্রসাদ গ্রহণ করি- সবই একসাথে। অফিসে যা' কাজ থাকে, সেইগুলোও একসাথে করার চেষ্টা করি। বাধাবিঘ্ন যা'ই থাক, সবকিছু কিন্তু আমরা সমবেত হয়েই করি। আমরা কেউ হয়তো ব্যবসা করি, কেউ চাকরি করি। কিন্তু, এখানে আসি সেসব ফে'লে ঠাকুরের কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে। এতে আমাদের নিজেদের যে-অহংবোধ আছে, তা' বিনম্র হয়ে ওঠে। বাইরের কাজকর্মের ঠেলায় আমাদের প্রাণের ভাণ্ডার শূন্য হয়ে যায়। এখানে এসে সেটাকে পূর্ণ ক'রে তুলি আমরা।আবার ফিরে গিয়ে পূর্ণ উদ্যমে ঠাকুরের কাজ শুরু করতে পারি।

এই যে এখন দেশজুড়ে দীক্ষাপত্র সমীক্ষার কাজ হচ্ছে, আমরা সবাই তা'তে নিজেদের মত ক'রে যোগদান করছি। আমরা বলি- এই কাজ আচার্যাদেব 'আমাদের' করতে বলছেন। কিন্তু, আমি মনে করি-এই কাজ তিনি 'আমাকে' করতে বলেছেন, তাই আমি করছি। আমি নিজে যদি না করি, তাহলে অন্যকে এই কাজ করার জন্য বলতে পারব কীভাবে? আমি নিজে এই কাজ করব, আর সবাইকে উদ্বুদ্ধ করব এ-কাজে সামিল হওয়ার জন্য। সবাইকে সাথে নিয়ে করার কাজ এটা।

ঠাকুরের কাজ করার মধ্য-দিয়েই একমাত্র তাঁর দয়াটা উপলব্ধি করা যায়। ব'সে-ব'সে তাঁর আশীর্বাদ পাওয়া যায় না। আমাকে আমার comfort zone-এর বাইরে গিয়ে কাজ করতেই হবে। সবসময় চাপের মধ্যে থেকে কাজ করতে হয়। তা'তেই ঠাকুরের দয়াটা প্রকৃত উপভোগ করা যায়।"

-পূজনীয় বিন্টুদাদা
(৩৩১তম ঋত্বিক্-সম্মেলনে)
আলোচনা বৈশাখ, ১৪৩০

©Pritish Ranjan Mridha

Address

Medinipur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Satsang Kathamrita সৎসঙ্গ কথামৃত posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Satsang Kathamrita সৎসঙ্গ কথামৃত:

Share