It's Humayun

It's Humayun জীবন নিয়ে গল্প লেখা খুব সহজ। কিন্তু গল্পের মতাে করে জীবন সাজানাে খুব কঠিন।
Please Follow Page

**অসমাপ্ত চিঠি**রাতের নিস্তব্ধতায় শুধু ঘড়ির টিকটিক শব্দ। ছোট্ট ঘরের কোণে বসে ছিল রাহুল, হাতে একটা পুরনো চিঠি। চিঠিটা ত...
20/05/2025

**অসমাপ্ত চিঠি**

রাতের নিস্তব্ধতায় শুধু ঘড়ির টিকটিক শব্দ। ছোট্ট ঘরের কোণে বসে ছিল রাহুল, হাতে একটা পুরনো চিঠি। চিঠিটা তার বাবা রমেশ লিখেছিলেন, বহু বছর আগে। কিন্তু কখনো শেষ করা হয়নি। রাহুলের চোখে জলের ছায়া, কারণ এই চিঠিই ছিল তার বাবার সঙ্গে শেষ স্মৃতি।

রমেশ ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ। গ্রামের ছোট্ট দোকানে তিনি সারাদিন কাজ করতেন। তাঁর হাসি ছিল সবার জন্য, কিন্তু সবচেয়ে বড় হাসিটা তিনি রাখতেন রাহুলের জন্য। রাহুল ছিল তাঁর একমাত্র ছেলে, তাঁর স্বপ্নের আলো। রমেশ প্রতি রাতে রাহুলকে গল্প শোনাতেন—নদীর গল্প, পাহাড়ের গল্প, আর একদিন বড় হয়ে রাহুল যে ডাক্তার হবে, সেই স্বপ্নের গল্প।

কিন্তু জীবন সবসময় স্বপ্নের মতো হয় না। রাহুল যখন দশ বছরের, তখন রমেশের শরীরে রোগ ধরা পড়ল। ডাক্তার বললেন, সময় খুব কম। রমেশ তখনও হাসতেন, রাহুলকে বলতেন, "তুই শক্ত হবি, বাবা। আমি না থাকলেও তুই আমার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখবি।"

রাহুল বুঝত না। সে শুধু তার বাবার হাত ধরে কাঁদত। রমেশ রাতের পর রাত চিঠি লিখতেন। একটা চিঠি, যেটা রাহুলের জন্য। তিনি লিখতেন, "বাবা, তুই যখন বড় হবি, তখন জানবি জীবন কতটা কঠিন। কিন্তু তুই হাল ছাড়বি না। আমি তোকে ভালোবাসি..." কিন্তু চিঠিটা শেষ করার আগেই রমেশ চলে গেলেন।

রাহুলের জীবন থমকে গেল। মা ছিলেন না, বাবাই ছিলেন তার সব। বাবার মৃত্যুর পর সে গ্রামের আত্মীয়দের কাছে বড় হলো। কিন্তু তার হৃদয়ে একটা শূন্যতা ছিল। সে পড়াশোনায় মন দিল, কারণ বাবার স্বপ্ন ছিল তাকে ডাক্তার দেখার। রাতের পর রাত সে সেই অসমাপ্ত চিঠি পড়ত, আর বাবার কথা মনে করে কাঁদত।

বছর কেটে গেল। রাহুল বড় হলো। সে ডাক্তার হলো, ঠিক যেমনটা রমেশ চেয়েছিলেন। কিন্তু তার মনে কোনো আনন্দ ছিল না। সে যত রোগীকে বাঁচাত, ততই মনে হতো, "কেন আমি আমার বাবাকে বাঁচাতে পারিনি?" প্রতি রাতে সে হাসপাতাল থেকে ফিরে সেই চিঠি হাতে নিয়ে বসত। চিঠির শেষ লাইনে বাবার হাতের লেখা অসম্পূর্ণ—যেন তার বাবার জীবনের মতোই।

একদিন, হাসপাতালে এক বৃদ্ধ রোগী এলেন। তিনি রাহুলকে দেখে বললেন, "তোমার চোখে আমি একটা পুরনো বন্ধুকে দেখছি। তুমি রমেশের ছেলে, তাই না?" রাহুলের হৃদয় কেঁপে উঠল। বৃদ্ধ বললেন, "তোমার বাবা আমাকে বলেছিল, তুই তার গর্ব হবি। সে তোকে ভালোবাসত, বাবা। তুই তার স্বপ্ন পূরণ করেছিস।"

সেদিন রাহুল বাড়ি ফিরে চিঠিটা হাতে নিল। সে প্রথমবার কাঁদল না। সে একটা কলম তুলে নিয়ে চিঠির শেষ লাইনটা লিখল: "বাবা, আমি তোমার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রেখেছি। কিন্তু আমার হৃদয়ে তুমি ছাড়া সবই অসম্পূর্ণ।"

রাতের নিস্তব্ধতায় রাহুল বুঝল, তার বাবা চলে গেলেও তাঁর ভালোবাসা তার মধ্যে বেঁচে আছে। সেই অসমাপ্ত চিঠি ছিল তাদের বন্ধনের সেতু, যা কখনো ভাঙবে না।

---
It's Humayun

**নদীর গভীরে লুকানো প্রেম**নদীর তীরে বটগাছের ছায়ায় আরিয়ান বসে থাকত। তার হাতে একটা পুরনো চামড়ার ডায়েরি, যার পাতায় ল...
20/05/2025

**নদীর গভীরে লুকানো প্রেম**

নদীর তীরে বটগাছের ছায়ায় আরিয়ান বসে থাকত। তার হাতে একটা পুরনো চামড়ার ডায়েরি, যার পাতায় লেখা থাকত তার হৃদয়ের অস্থির কথা। আরিয়ান ছিল এমন এক ছেলে, যার চোখে স্বপ্ন আর বুকে লুকানো এক অসম্পূর্ণ গল্প। তার মনে একটা শূন্যতা ছিল, যেন সে কাউকে খুঁজছে—কাউকে, যে তার নীরবতার ভাষা বুঝবে।

এক শরৎ সন্ধ্যায়, নদীর তীরে তার দেখা হলো মায়ার সঙ্গে। মায়া ছিল যেন এক ঝড়ো হাওয়া, তার হাসিতে ছিল আকাশের মুক্তি, আর চোখে ছিল সমুদ্রের গভীরতা। সে একটা ক্যানভাসে রঙ তুলি দিয়ে ছবি আঁকছিল। আরিয়ানের পা থেমে গেল যখন সে দেখল মায়ার আঁকা ছবি—একটা সূর্যাস্ত, যেখানে আকাশের লাল আর নদীর নীল এক অদ্ভুত মিলনে জড়িয়ে গেছে।

"এটা কী?" আরিয়ানের কণ্ঠে কৌতূহল।

মায়া তাকাল, তার চোখে দুষ্টু হাসি। "এটা আমার হৃদয়ের এক টুকরো। তুমি কি কখনো তোমার হৃদয়কে ছবির মতো করে দেখেছ?"

এই প্রশ্নটা আরিয়ানের বুকে তীরের মতো বিঁধল। সে তো কখনো তার হৃদয়ের গভীরে লুকানো কথাগুলো কাউকে বলতে পারেনি। মায়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তার মনে হলো, যেন সে বহু জন্ম ধরে মায়ার জন্য অপেক্ষা করছিল।

দিনগুলো কাটতে লাগল। প্রতি সন্ধ্যায় তারা নদীর তীরে মিলিত হত। মায়া তার ছবি আঁকত, আর আরিয়ান তার ডায়েরিতে লিখত। কিন্তু তাদের মধ্যে যে ভালোবাসা জন্ম নিচ্ছিল, তা ছিল কথার বাইরে। মায়ার একটা হাসি আরিয়ানের বুকে ঝড় তুলত, আর আরিয়ানের নীরব চাহনি মায়ার অস্থির মনকে শান্ত করত। একদিন মায়া বলল, "আরিয়ান, তুমি কখনো ভেবেছ, ভালোবাসা কী? এটা কি শুধু হাসি আর কথা, নাকি এর গভীরে আরো কিছু আছে?"

আরিয়ান চুপ করে রইল। তারপর ধীরে ধীরে বলল, "ভালোবাসা হয়তো এই নদীর মতো। দেখতে শান্ত, কিন্তু গভীরে ঢেউয়ের ঝড়।" মায়া হাসল, কিন্তু তার চোখে একটা অদ্ভুত আলো জ্বলছিল।

এক রাতে, তারা নদীর তীরে বসে ছিল। আকাশে চাঁদ ছিল না, শুধু তারার আলো। মায়া হঠাৎ আরিয়ানের হাত ধরল। "আরিয়ান, তুমি আমাকে ভালোবাসো?" প্রশ্নটা এত সরল, কিন্তু আরিয়ানের হৃদয় কেঁপে উঠল। সে মায়ার চোখে তাকাল, আর বলল, "মায়া, তুমি আমার নদী। আমি তোমার তীরে বাঁধা একটা নৌকা। তুমি ছাড়া আমি অসম্পূর্ণ।"

সেই মুহূর্তে মায়ার চোখে জল চিকচিক করে উঠল। সে আরিয়ানের কাঁধে মাথা রেখে বলল, "আমি ভয় পাই, আরিয়ান। ভালোবাসা এত গভীর হলে, হারানোর ভয়ও তো ততটাই বড় হয়।"

কিন্তু ভাগ্য কখনো প্রেমিকদের পথ সহজ করে না। একদিন মায়া বলল, "আমাকে শহরে যেতে হবে। আমার ছবির একটা বড় প্রদর্শনী। হয়তো অনেক দিন থাকতে হবে।" আরিয়ানের হৃদয় যেন থমকে গেল। কিন্তু সে জানত, মায়ার স্বপ্ন তার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। সে হাসল, "যাও, মায়া। তোমার রঙের জগৎকে পৃথিবী দেখাও। আমি এখানে থাকব, তোমার জন্য।"

মায়া চলে গেল। দিনগুলো আরিয়ানের কাছে যুগের মতো লাগত। প্রতি সন্ধ্যায় সে নদীর তীরে বসে মায়ার আঁকা একটা ছবি হাতে ধরে থাকত। ছবিটায় ছিল তার নিজের প্রতিচ্ছবি—একটা ছেলে, নদীর তীরে বসে, চোখে অপেক্ষার ছায়া। তার ডায়েরির পাতায় এখন শুধু একটা লাইন লেখা হত: "মায়া, তুমি আমার হৃদয়ের রঙ।"

মাস কেটে গেল। মায়ার কোনো খবর নেই। আরিয়ানের মনে ভয় জন্মাল—হয়তো মায়া তাকে ভুলে গেছে। হয়তো শহরের ব্যস্ত জীবনে তার নদীর তীরের প্রেম ম্লান হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরও সে অপেক্ষা করত, কারণ তার ভালোবাসা ছিল নদীর মতো—অটল, গভীর।

এক বর্ষার রাতে, যখন নদীর পানি উত্তাল হয়ে উঠেছিল, আরিয়ান বটগাছের নিচে দাঁড়িয়ে ছিল। হঠাৎ তার চোখ পড়ল একটা ছায়ার দিকে। মায়া। তার হাতে একটা বড় ক্যানভাস। বৃষ্টিতে ভিজে সে কাঁপছিল, কিন্তু তার চোখে ছিল সেই পুরনো আলো।

"মায়া?" আরিয়ানের গলা ভেঙে গেল।

মায়া ক্যানভাসটা এগিয়ে দিল। তাতে ছিল তাদের নদীর তীরের ছবি—আরিয়ান আর মায়া, হাতে হাত ধরে, পিছনে সূর্যাস্তের আলো। "আমি শহরে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার হৃদয় তো এখানে ছিল, আরিয়ান। আমি প্রতিটা ছবিতে শুধু তোমাকে আঁকছিলাম।"

আরিয়ান মায়াকে জড়িয়ে ধরল। বৃষ্টির ফোঁটা তাদের গাল বেয়ে নামছিল, নাকি সেটা ছিল তাদের চোখের জল, কেউ জানে না। "মায়া, আমি তোমাকে হারানোর ভয়ে বেঁচে ছিলাম। কিন্তু এখন বুঝলাম, ভালোবাসা হারায় না। এটা নদীর মতো, সবসময় ফিরে আসে।"

সেই রাতে, বৃষ্টির মধ্যে তারা দুজন নদীর তীরে দাঁড়িয়ে রইল। তাদের হৃদয় এক হয়ে গিয়েছিল, যেন নদী আর তীরের মধ্যে কোনো দূরত্ব নেই। তাদের ভালোবাসা ছিল এমন এক গল্প, যা শেষ হয় না—শুধু গভীর থেকে গভীরতর হয়।

---
It's Humayun

07/02/2023

Security Guard Attack Customer In Shopping Mall Kolkata

07/02/2023

তুরস্কে গাড়ির ভিতর থেকে ক্যামেরা বন্ধি ভিডিও

27/12/2022

হাওড়া - নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 🚅

আমাদের মালদা স্টেশনে ভারতের সবচেয়ে প্রিমিয়াম ট্রেন
থামবে জেনে খুব ভালো লাগছে 😌🇮🇳❤️

ধন্যবাদ Ministry of Railways, Government of India 🙏



ভিডিও: Shivam Das

05/10/2022

Burj Khalifa Malda Town Durga Puja Theme

22/09/2022

I Love 💕 Malda

31/08/2022

Mayabon Resort Malda Mohasin Reel

India ❤️❤️
28/08/2022

India ❤️❤️


25/08/2022

ভাটরা বিল গিয়ে একি হলো 😭 | ভাটরা বিল মালদা | Vatra Bill Malda | It's Humayun

Address

Sakullapur Ghosh Para, Bangitola
Mothabari
732207

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when It's Humayun posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to It's Humayun:

Share

Category