Partha Barua

Partha Barua যে ঠকায় সেও ঠকে; পার্থক্যটা শুধু সময়ের।👍

সাধারণ জীবন-যাপনের পাশাপাশি ভ্রমণটাকে প্রচন্ড ভালোবাসি।❤

 #বুদ্ধত্ব_ও_নির্বাণের_দুই_পবিত্র_আহার: সুজাতার পায়েস ও চুন্দের দানগৌতম বুদ্ধের জীবন কেবল আধ্যাত্মিক সাধনার ইতিহাস নয়, ব...
02/08/2025

#বুদ্ধত্ব_ও_নির্বাণের_দুই_পবিত্র_আহার: সুজাতার পায়েস ও চুন্দের দান

গৌতম বুদ্ধের জীবন কেবল আধ্যাত্মিক সাধনার ইতিহাস নয়, বরং প্রতিটি ক্ষুদ্র কর্ম, প্রতিটি ব্যক্তি এবং প্রতিটি ঘটনার মধ্যেই নিহিত আছে গভীর তাৎপর্য। বুদ্ধত্ব (Enlightenment) ও মহাপরিনির্বাণ (Final Liberation)- এই দুটি চরম উপলব্ধির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ আহার — যা বুদ্ধের জীবনের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।

🔸 প্রথম আহার:
যখন সিদ্ধার্থ কঠোর কৃচ্ছ্রসাধনায় দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন, তখন সুজাতা নামের এক সাধারণ নারী তাঁকে পায়েস (দুধ-ভাত) দান করেন। এটি ছিল সেই পুষ্টিকর আহার যা তাঁর শারীরিক ও মানসিক শক্তি ফিরিয়ে দেয় এবং মধ্যমার্গে প্রবেশের প্রস্তুতি তৈরি করে দেয়।
👉 এই পায়েস ছিল বুদ্ধত্ব লাভের পথের এক অনন্য সংযোগ।

🔸 দ্বিতীয় আহার:
বুদ্ধের জীবনের অন্তিম পর্বে, তিনি এক কামারপুত্র চুন্দ-এর দেওয়া 'সুকারমদ্ধব' (একপ্রকার শূকর-মাংস সদৃশ খাবার, অথবা অনেকের মতে- অনেক পুষ্টির ভরপুর মাশরুম জাতীয় এক প্রকার বিশেষ খাবার, তবে প্রকৃত অর্থ আজও বিতর্কিত) গ্রহণ করেন, যা ছিল তাঁর মহাপরিনির্বাণের পূর্ববর্তী শেষ আহার।

👉 চুন্দের এই দানকে বুদ্ধ স্বয়ং সর্বোচ্চ পূণ্যময় দান বলে উল্লেখ করেন।
(দেখুন: দিগ্ঘনিকায়, মহাপরিনির্বাণ সূত্র)

এই দুই আহার দেখায়—
☑ ধর্মে শ্রদ্ধা ও নিষ্কলুষ দান কীভাবে ইতিহাসের অংশ হয়ে ওঠে।
☑ একটিও সামান্য কর্ম—দানের মাধ্যমেও চূড়ান্ত উপলব্ধির অংশ হতে পারে।
☑ বুদ্ধের দৃষ্টিতে শ্রদ্ধা, মনোভাব ও সময়োপযোগিতা—এটাই দানের আসল মূল্য।

🪷 📜 বুদ্ধ বাণী:
“চেতনাহে মং ভিক্খবে দানং — দানের মূল্য নির্ভর করে দাতার চেতনার উপর।”
— অঙ্গুত্তরনিকায়

📚 মূল তথ্য সূত্র:
১. মহাপরিনির্ব্বাণ সূত্র, দিগ্ঘনিকায় (DN 16)
২. অঙ্গুত্তরনিকায় (AN 3.57)

❓ আপনি কী কখনও এমন কোনো ছোট কাজে অংশ নিয়েছেন যা কারও জীবনে বড় প্রভাব ফেলেছে?
✍️ শুধু সাধু-সাধুতে সীমাবদ্ধ না থেকে কমেন্টে শেয়ার করুন আপনার উপলব্ধি।

আর আপনার ধর্মস্থ বন্ধুদের ট্যাগ করুন— যাদের দান, শ্রদ্ধা ও মহৎ মন ছুঁয়েছে আপনাকে।

--------মার বিজয়ী উপগুপ্ত ভান্তের জীবন কাহিনি----সম্রাট অশোক বুদ্ধের ধর্মকে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মারের উপদ্রব হতে যিনি র...
02/08/2025

--------মার বিজয়ী উপগুপ্ত ভান্তের জীবন কাহিনি----

সম্রাট অশোক বুদ্ধের ধর্মকে ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে মারের উপদ্রব হতে যিনি রক্ষা করেছেন এবং সর্বজ্ঞ বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণের ২৩০ বছর পরও যিনি (সম্ভবতঃ একমাত্র) বুদ্ধকে (বুদ্ধরূপ) দর্শন করার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন তিনিই ‘পূজনীয় মার বিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত মহাথেরো’। বর্তমানেও তিনি জীবিত আছেন এবং আমরা বৌদ্ধরা সেই মহান পূণ্যপুরুষ, মার বিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত ভান্তের পূজা-বন্দনা করার পাশাপাশি বিভিন্ন উপদ্রব হতে পরিত্রাণ পাবার জন্য প্রার্থনা করে থাকি।

চলুন, আজকে আমরা সেই ঋদ্ধিবান, মার বিজয়ী অর্হৎ উপগুপ্ত মহাথেরো’র জীবনী নিয়ে আলোচনা করি।

* বুদ্ধের কায়িক রূপে উপগুপ্ত ভান্তে :

জগতে বুদ্ধের কায়িক রূপের নিমিত্ত ধারণ করতে পারেন দুইজন। (১) মহাকাল নাগরাজ এবং (২) দেবপুত্র মার। অর্থাৎ, এই দুইজন তাদের নিজ শরীর দিয়ে বুদ্ধের ৩২ প্রকার লক্ষণ এবং ৮০ প্রকারের অনুব্যঞ্জন সমন্বিত অতুলনীয় দেহপ্রভা প্রদর্শন করতে পারেন। যায়হোক, সম্রাট অশোক যখন বুদ্ধের পরিনির্বাণের প্রায় ২৫০ বছরের ও অধিক সময় পর, শাসন সদ্ধর্মের স্থিতি ও উন্নয়নের জন্য ৮৪ ধর্মস্কন্ধ সম্বলিত ৮৪ হাজার ধর্মচৈত্য উত্‍সর্গ করছিলেন ঠিক সেই সময় যাতে ধর্মান্তরায় ও পূন্যান্তরায় না হয়, মারের উপদ্রব না হয় তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো উপগুপ্ত ভন্তেকে। উপগুপ্ত ভন্তে যথাসময়ে দেবপুত্র মারকে ঋদ্ধিশক্তি অধিষ্ঠান জনিত বন্ধন দিয়ে এক পর্বতের সাথে বেঁধে রাখলেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর বন্ধন খুলে দিলেন। সেই সময়ে উপগুপ্ত ভান্তে মারকে বললেন আমি শাস্ত্রপাঠ দ্ধারা এবং বুদ্ধের ধর্মের চরম ও পরম সীমায় (অর্হৎ মার্গফল) পৌঁছে সুগতের ধর্মদেহ (ধর্মকায়) দর্শন করেছি। কিন্তু নয়ন রঞ্জন স্বরূপদেহ দেখিনি। এই বলে মারের নিকট বুদ্ধরূপ প্রদর্শনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। মার দেবতা উপগুপ্ত ভান্তের কথায় রাজী হলেন কিন্তু শর্ত একটা দিয়ে রাখলেন, যেন কিছুতেই পূজনীয় ভান্তে মারকে বুদ্ধরূপ ধারণের পর বন্দনা না করেন। উপগুপ্ত ভান্তে মারকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে আমি বন্দনা করব না। আজ মার স্বয়ং সর্ব অবয়ব ধরে বুদ্ধরূপ ধারণ করবেন এই কথা নগরের সর্বত্র প্রকাশ হওয়ার পর অগণিত নর নারী ও ভিক্ষু সংঘ ফুল, মালা, সুগন্ধি ও বিবিধ উত্‍কৃষ্টতর পূজোপকরণ নিয়ে উপস্থিত হলেন।

পরবর্তীতে মার শ্রদ্ধেয় উপগুপ্ত ভান্তের অভিলাষ পূরণ করার জন্য স্বীয় মাররূপ পরিত্যাগ করে বুদ্ধের সর্ব অবয়ব, ৩২ মহাপুরুষ লক্ষণ ও ৮০ প্রকার অনুব্যঞ্জন এবং অপরুপ ৬ রশ্মি পরিপূর্ণ অচিন্তনীয় স্নিগ্ধ সমুজ্জ্বল প্রভাবশ্রী প্রকাশ করে ধ্যানে সমাসীন হলেন। এতে মনে হলো যেন বুদ্ধগয়ার বোধিদ্রুপ মূলে বজ্রাসনে বুদ্ধ ধ্যানে মগ্ন। বুদ্ধের ষড়রশ্মির আলোয় আলোকিত হলো চারদিক। আগত লোকজন বুদ্ধের অপরূপ দেহকান্তি দেখে যেমনি মোহিত হলেন তেমনি অগাধ শ্রদ্ধায় প্রাবল্যে ধূপ, দীপ, বিচিত্র পুষ্প মাল্য, সুগন্ধদ্রব্যাদি সহ বিবিধ পূজোপকরণ দিয়ে বুদ্ধরূপকে পূজা করলেন। অন্যদিকে পূজ্য উপগুপ্ত ভান্তে স্বয়ং মারের এরূপ দৃশ্য দেখে মনে মনে চিন্তা করলেন, অহো! লোভ, দ্ধেষ, মোহ পরায়ন মার বুদ্ধরূপ ধারণ করার পর কতই না শোভনীয়, অনুপম, অপরূপ ষড়রশ্মি দিব্য কান্তিময় দেহের প্রভায় জ্যোতির্ময় আলোয় জগৎ উদ্ভাসিত হলো। কি জানি, লোভহীন, দ্বেষহীন, মোহহীন তথাগত বুদ্ধ কতই না মহা বৈভব সম্পন্ন সমগ্র চক্রবাল উদ্ভাসিত করা আলোক প্রাপ্ত মহামানব ছিলেন! পূজ্য উপগুপ্ত ভান্তে মারের এরূপ দৃশ্য দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে বুদ্ধরূপ প্রীতিতে বন্দনা না করে দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। উপগুপ্ত ভান্তে বন্দনা করার সাথে সাথে মার বুদ্ধরূপ পরিত্যাগ করলেন।

* সম্রাট অশোককে নিয়ে বুদ্ধের ভবিষ্যত্‍বাণী এবং উপগুপ্ত ভান্তের ভূমিকা :

ভগবান বুদ্ধ একসময় রাজগৃহে ছিলেন, সেই সময়ে কোন একদিন ভিক্ষুসংঘ সহ পিন্ডাচারণের জন্য এক গ্রামে গমণ করলেন। তখন একদল বালক ধুলাবালি নিয়ে খেলছিল। সেখানে প্রিয়দর্শী নামক শ্রেষ্টীর এক সন্তান ছিল। সে বুদ্ধের তেজোদীপ্ত, শান্ত সুসংযত পদবিক্ষেপ অবলোকন করে এতই শ্রদ্ধান্বিত হলো যে, বুদ্ধের ভিক্ষাপাত্রেই তার মুষ্টিভরা ধুলি ভরে দিতে আগ্রহী হয়ে উঠল। দিব্যদর্শী করুণাময় বুদ্ধ বালকের এ ধরনের শ্রদ্ধার ভবিষ্যৎ বিষয় দিব্যজ্ঞানে অবহিত হয়ে ভিক্ষাপাত্রটি বাড়িয়ে দিলেন। আর ধুলিপূর্ণ ভিক্ষাপাত্র নিয়ে দিব্যদর্শী বুদ্ধের প্রসন্নোজ্জ্বল আনন সুষ্মিতহাস্যে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলো।

বুদ্ধের প্রধান সেবক আনন্দ, বুদ্ধের হাসির কারণ জানতে চাইলেন। সর্বজ্ঞাতা বুদ্ধ তখন বালকের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রসন্নকন্ঠে কৌতুহলী ভবিষ্যৎ বাণী উচ্চারণ করে বললেন এই বালক আমার পরিনির্বাণের ২১৮ বত্‍সর পরে এই জম্বুদ্বীপে সম্রাট আশোক নামে একচ্ছত্র রাজা হয়ে এই ভূমন্ডল শাসন পূর্বক ধর্মরাজ্য প্রতিষ্ঠা করবে। শ্রদ্ধার প্রাবল্যহেতু তার ঐকান্তিক চেষ্টায় এই জম্বুদ্বীপে বুদ্ধের শাসন সুরক্ষার জন্য ৮৪ হাজার ধর্মচৈত্য (ধাতুচৈত্য) নির্মাণ করে বিপুল উৎসব অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বুদ্ধশাসনে উত্‍সর্গ করবে। এই মহাপুণ্যানুষ্ঠানে মহা অশুভ শক্তিমান পাপমতি মার তার সর্বশক্তি প্রয়োগ করে বিভিন্ন প্রকারে অন্তরায় সৃষ্টি করবে। আর তখন উপগুপ্ত থেরোই মারের অন্তরায় পরাস্ত করে অনুষ্ঠানের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করবে।

* মাছের পেটে জীবিত মানব কন্যা ও উপগুপ্ত ভান্তের জন্ম :

সে বহুকাল আগের কথা। একদা একদল জেলে সাগরে জাল ফেলে মাছ ধরার জন্য। সে জালে একটি সুন্দর মাছ ধরা পরল যা দেখে জেলেরা খুব খুশি হল। কিন্তু তারা দেখল মাছের পেটে কি যেন নড়া চড়া করছে। তা দেখে সকলে চিন্তিত হয়ে গেল। অবশেষে মাছটি বিক্রি করার জন্য রাজার কাছে নিয়ে গেল। সব শুনে রাজা জেলেদের প্রাপ্য টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নিলেন। তারপর জেলেদের বললেন খুব সাবধানে মাছটির পেট কেটে দেখ, সেখানে কি পাওয়া যায়। রাজার আদেশ পেয়ে জেলেরা আস্তে আস্তে মাছের পেট কাটল। তাতে জীবিত একটি মানব কন্যা শিশু দেখা গেল। তা দেখে সকলে অবাক হয়ে রইল। রাজার আদেশে তাঁকে স্নান করিয়ে ঘরে নিয়ে আসল। সেই শিশু কন্যাটি রাজ বাড়ীতে লালিত-পালিত হতে লাগল। মেয়েটি যতই বড় হতে লাগল ততই তার গা থেকে মাছের গন্ধ বের হতে লাগল যা রাজাকে ভাবিয়ে তুলল।

একদিন রাজা এক কাঠের মিস্ত্রি ডেকে একটা বড় নৌকা তৈরী করালেন। সে নৌকায় নানা রকম খাদ্য পানীয় ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে মেয়েটিকে নৌকায় তুলে সাগরে ভাসিয়ে দিলেন। নৌকাটি ভাসতে ভাসতে সাগরের তীরে পৌঁছল। সে জায়গায় এক বৌদ্ধ ভিক্ষু ধ্যান করতেন। নৌকাটি ভান্তের চোখে পরল। ভান্তে মেয়েটিকে দেখে করুণা বশতঃ উদ্ধার করলেন এবং নিজ আশ্রমে নিয়ে গিয়ে লালন পালন করতে লাগলেন। এভাবে মেয়েটির যখন ১৮ বছর হল তখন একদিন সে স্বপ্নযোগে অন্তঃসত্ত্বা হল। সে সবকিছু ভান্তেকে খুলে বলল এবং এরূপে অনুতাপ করতে লাগল, ‘আমি তো কোন পুরুষ সংসর্গ লাভ করি নি তাহলে কেন আমার এ দশা হল?’ ভান্তে, তাকে আশ্বস্ত করে বললেন 'ভয় পেও না। তোমার উদর হতে এক মহাপুরুষের জন্ম হবে' এ বলে ভান্তে তাকে আশীর্বাদ করলেন।

ভান্তের অভয় বাণী শুনে মেয়েটি আশ্বস্ত হল। ভান্তের কাছে নানা ধর্ম কথা শুনে তার দিন যেতে লাগল। ভান্তে তাকে সর্বদা সৎ উপদেশ দিতেন। এক বছর পর এক উষালগ্নে মেয়েটির এক সোনার বরণ পুত্র ভুমিষ্ঠ হল। ছেলেটিকে দেখে ভিক্ষুও আনন্দিত হলেন। কর্মের বিপাক, কর্মের বন্ধন, কর্মের ফল, কর্মের গুরুত্ব রহস্য একমাত্র ভগবান সম্যক সম্বুদ্ধ ছাড়া কেউ জানেন না।

* সাত বৎসর বয়সে লাভ করলেন অরহত্ব মার্গফল :
এ ঘটনাটি ঘটে বুদ্ধের মহাপরিনির্বাণ লাভের প্রায় ২৩০ বছর পর। তখন সম্রাট আশোকের রাজত্ব ছিল। ভন্তে এবং তার মায়ের লালন পালনে ছেলেটি রাজপুত্রের ন্যায় সৌন্দর্যে বিকশিত হয়ে বড় হতে লাগল। ছেলেটি যতই বড় হতে লাগল ভন্তে তাকে ধর্ম শিক্ষা দিতে লাগলেন। বৌদ্ধ ধর্মের গ্রহণীয় আদর্শগুলো গ্রহণ করা এবং বর্জনীয় বিষয়গুলো বর্জন করা সমস্তই ছেলেটিকে শিক্ষা দিতে লাগলেন। ভন্তের কথা মত ছেলেটিও শিক্ষা গ্রহণ করতে লাগল। এভাবে ছেলেটি বড় হতে লাগল।

ছেলেটির বয়স যখন ৭ বৎসর হয়, এমনি এক সময় শুভ লগ্নে ছেলেটি ধ্যান করতে করতে সকল তৃষ্ণা ক্ষয় করে অরহত্ত্ব ফল লাভ করলেন এবং আকাশ মার্গে উপনীত হলেন। অর্হৎলাভীরা জানেন তৃষ্ণা ক্ষয় হলেও প্রবজ্যা গ্রহণ করতে হয় অথবা নির্বাণ লাভ করতে হয়। বিবেচনা করে তিনি প্রব্রজ্যায় গ্রহণ করলেন। কিছুদিন পর একদিন তিনি ভন্তে এবং মাতা থেকে বিদায় নিয়ে অন্য একটি বিহারে চলে গেলেন।

* নাগরাজের নিমন্ত্রণে নাগলোকে গমণ এবং অধ্যাবধি অবস্থান :

সে বিহারে কয়েকদিন থাকার পর অন্যান্য ভিক্ষুরা বলাবলি করতে লাগলেন 'এই শ্রমণের শরীর থেকে মাছের গন্ধ বের হচ্ছে কেন?' এভাবে সবাই বলাবলি করে আর থু থু ফেলতে থাকে। শ্রমণ এ কথা জানতে পেরে একদিন চিন্তা করলেন কি করা যায়। কোথায় যাওয়া যায়? পরের দিন ভ্রমণ করতে করতে এক সাগরের পাড়ে গেলেন এবং চিন্তা করতে লাগলেন। সেই সমুদ্রের তলদেশে বাস করতেন এক নাগরাজ। সেই নাগরাজ শ্রমণের চিন্তিত বিষয় জ্ঞানবলে ধরতে পারলেন এবং সাথে সাথে মানবের বেশ ধরে তাঁর সামনে উপস্থিত হলেন।

শ্রমণও তাঁকে চিনতে পারলেন কারণ তিনি তো অর্হৎ। তাঁদের দুজনের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনার পর নাগরাজ তাঁকে যাবজ্জীবন নাগভবনে থাকার জন্য প্রার্থনা করলেন। তখন সেই শ্রমণ তাঁর নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে নাগরাজের সাথে নাগলোকে চলে গেলেন। অধ্যাবধি তিনি সেখানে অবস্থান করছেন, তথাগত গৌতম বুদ্ধের শাসনকাল পর্যন্ত জীবিত থাকবেন এবং তিনি সর্বদা মহাসমুদ্রে নাগলোকে অষ্ট সমাপত্তি ধ্যানে নিরত রয়েছেন।
আসুন আমরা সেই মহান মারবিজয়ী, অর্হৎ উপগুপ্ত ভান্তের উদ্দেশ্যে নিম্নোক্ত স্তোত্র আবৃত্তির মধ্যদিয়ে বন্দনা-পূজা ও প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা ত্রিরত্ন পূজায় নিরত হই এবং জগতের সকল প্রাণীর সুখ প্রার্থনায় পূণ্যদান করি।

* উপগুপ্ত ভান্তে বন্দনা :

ইদ্ধিমন্তো জ্যোতিমন্তো মহামারং পমদ্দনো‚
সাসনো রকখিতো সন্তো কপ্পকালো অধিটঠিতো;
লোকলযং বজ্জিতা মহাসমুদ্দে বসিতো মুণি;
তং উপগুপ্তং পূজিতা অহং বন্দামি সব্বদা।
ইদং পূজং অনুমোদিতা থেরো মহাকারুণিকো‚
সব্ব মারং অন্তরাযং পমাদন্তো।

* প্রশ্নোত্তর :

প্রশ্ন ১ : উপগুপ্ত ভান্তে যথাসময়ে দেবপুত্র মারকে ঋদ্ধিশক্তি অধিষ্ঠান জনিত বন্ধন দিয়ে এক পর্বতের সাথে বেঁধে রাখলেন। বন্ধনটা কিসের?

উত্তর : প্রথমে বন্ধনটা ছিল কুকুর পঁচার। অর্থাৎ, উপগুপ্ত ভান্তের সাথে মারের যুদ্ধ হয়ছিলো সেখানে মার পরাজিত হয়। এরপর প্রথমে কুকুর পঁচা গলায় লাগিয়ে দিয়েছিল, মার এই পঁচার গন্ধে থাকতে না পেরে অনেকের কাছে যেমন বিভিন্ন দেবরাজ দের কাছে গিয়েছিলেন বন্ধন খুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু তাঁরা সবাই অপারগতা জানিয়েছিলেন। পরে উপগুপ্ত ভান্তের কাছে এসে ক্ষমা চাওয়ার পরে ভান্তে নিজেই খুলে দেন। পরবর্তীতে উপগুপ্ত ভান্তে মারকে ঋদ্ধিযুক্ত বন্ধনী দিয়ে বেঁধে রাখেন পাহাড়ে যাতে অনুষ্ঠানে বাধা দিতে না পারে কারণ মারের বিশ্বাস নেই।

প্রশ্ন ২ : বুদ্ধরূপ মারকে উপগুপ্ত ভান্তে বন্দনা করাতে, মার ভান্তেকে বললেন- প্রভু, কেন আমাকে অপরাধী করলেন? আমি কি গুণে আপনার বন্দনার পাত্র হতে পারি? আমাকে বন্দনা করা কি উচিত হয়েছে? কেন আপনি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করলেন?

উত্তর : উপগুপ্ত ভান্তে মারের এই কথা শুনে বললেন দেখ মারপতি, আমি বুদ্ধরূপ দর্শনে এতই অভিভূত হয়েছিলাম যে মনে হয়েছে শ্রীবুদ্ধের দিব্যজ্ঞানের জ্যোতিঃ যেন পুনরায় পৃথিবীতে উদিত হলো। তাই বুদ্ধরূপ ভিত্তি করে বন্দনা করেছি তোমাকে বন্দনা করিনি। এতে প্রতিজ্ঞাও ভঙ্গ হয় নি।

সাধু~ সাধু~সাধু। 🙏🌸🍀

Emni..🥰❤️
05/05/2025

Emni..🥰❤️

Emni..🤙🥰
05/05/2025

Emni..🤙🥰

নতুন নতুন স্থান ভ্রমণ করা, নতুন নতুন মানুষের সাথে মেলামেশা‌ এটা আপনার জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে...
28/03/2025

নতুন নতুন স্থান ভ্রমণ করা, নতুন নতুন মানুষের সাথে মেলামেশা‌ এটা আপনার জীবনে অভিজ্ঞতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথ...
29/01/2025

১. নিজেকে কখনো বড় করে প্রকাশ করবেন না। এতে আপনি ছোট হবেন।

২. ভুল স্বীকার করার মানসিকতা দেখান। "Thank you", "Please" এই কথাগুলো বলতে দ্বিধা করবেন না।

৩. কারো কাছে নিজের সিক্রেট শেয়ার করবেন না বা কাউকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না।

৪. অভিজ্ঞতা ছাড়া ব্যবসা করতে যাবেন না।

৫. পর্ণে আসক্ত হবেন না। এতে করে আপনি ক্ষণস্থায়ী সুখের জন্য সুন্দর জীবন হারাবেন।

৫. পরচর্চা করবেন না। যে ব্যক্তি আপনার সামনে অন্যের নিন্দা করে, সে নিশ্চিতভাবে অন্যের সামনে আপনার নিন্দা করে।

৬. গাধার সাথে তর্ক করতে যাবেন না। তর্কের শুরুতেই গাধা আপনাকে তার স্তরে নামিয়ে আনবে, তারপর আপনাকে সবার সামনে অপদস্থ করবে।

৭. পরে করব ভেবে কোনো কাজ ফেলে রাখবেন না। আপনি যদি তা করেন শতকরা ৮০ ভাগ সম্ভাবনা কাজটি আপনি আর কখনোই করতে পারবেন না।

৮. 'না' বলতে ভয় পাবেন না।

৯. স্ত্রীর কারণে বাবা-মাকে বা বাবা মায়ের কারণে স্ত্রীকে অবহেলা করবেন না।

১০. সবাইকে সন্তুষ্ট করতে যাবেন না। এতে আপনি আপনার ব্যক্তিত্ব হারাবেন।

১১. ঝুঁকি ছাড়া সাফল্য আসে না। তাই জীবনে ক্যালকুলেটেড রিস্ক নিতে ভয় পাবেন না।

১২. স্মার্টফোনে আসক্ত হবেন না। গুগলে জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন না।

১৩. মনের ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেরি করবেন না। কারণ, এই একটি কাজের বিলম্বের জন্য আপনি সারাজীবন পস্তাতে পারেন।

১৩. রিলেশনসিপে অসুখী হলে সেটা আঁকড়ে ধরে থাকবেন না। যে সম্পর্ক মানসিক যন্ত্রণা দেয়, ভেতরে অশান্তি সৃষ্টি করে তা জীবন থেকে দ্রুত মুছে ফেলুন।

১৪. আপনি কখনোই জানেন না যে আপনি স্বপ্নপূরণের ঠিক কতটা কাছাকাছি। তাই, কখনোই লক্ষ্যের পিছু ধাওয়া করা বন্ধ করবেন না। বেশিরভাগ মানুষ সাফল্য লাভের কাছাকাছি গিয়ে হাল ছেড়ে দেয়।

১৫. অকারণে শত্রু বাড়াবেন না।

১৬. কারো ধর্মবিশ্বাসে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলবেন না বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন না।

১৭. বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে একান্ত মুহূর্তের ছবি বা ভিডিও করবেন না। তার সাথে আপনার বিয়ে হবেই বা সে আপনাকে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করবে না এটা আপনি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারেন না।

১৮. যে আপনার কথা শোনার জন্য প্রস্তুত নয়, তাকে কিছু শেখাতে যাবেন না। সে ঠকবে, ভুল করবে, ধাক্কা খাবে; তারপর একসময় ঠিকই আপনার মূল্য বুঝতে পারবে।

১৯. নিজের সম্মান বিসর্জন দিয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করবেন না। যেখানে আপনার সম্মান নেই সেখান থেকে এখনই নিজেকে গুটিয়ে নিন।

২০. টাকার পেছনে দৌড়াতে গিয়ে প্রিয়জনদের বঞ্চিত করবেন না।

২১. যেটা হাতছাড়া হয়ে গেছে সেটা নিয়ে আফসোস করবেন না।

Emni..🍀💞
11/01/2025

Emni..🍀💞

শুভ জন্মদিন হে পরম শ্রদ্ধেয় গুরুদেব।❤️🙏আপনার চরণতলে বন্দনা জানাই প্রতিনিয়ত, আপনি নিরোগী ও দীর্ঘায়ু লাভ করে শতবর্ষ বেঁ...
10/01/2025

শুভ জন্মদিন হে পরম শ্রদ্ধেয় গুরুদেব।❤️🙏
আপনার চরণতলে বন্দনা জানাই প্রতিনিয়ত, আপনি নিরোগী ও দীর্ঘায়ু লাভ করে শতবর্ষ বেঁচে থাকুন আমাদের মাঝে এই ধরণীতে।
বন্দনা ভান্তে।🙏🙏🙏❤️

Emni..💓🌿
10/01/2025

Emni..💓🌿

নিজের জন্য বাঁচো, নিজেকে ভালোবাসো" কারণ চোখের সামনে যত যাই‌ দেখছো সব স্বার্থ আর প্রয়োজন।😅💝
08/01/2025

নিজের জন্য বাঁচো, নিজেকে ভালোবাসো" কারণ চোখের সামনে যত যাই‌ দেখছো সব স্বার্থ আর প্রয়োজন।😅💝

Address

Cox's Bazar
400004

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Partha Barua posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share