Saraf Abedin Official

  • Home
  • Saraf Abedin Official

Saraf Abedin Official Bioo

মেয়ের বিয়েতে উপহারের জন্য গরু কেনার পর পথে স্থানীয় গোরক্ষক বাহিনীর দ্বারা আটক হন উড়িষ্যার  দলিত পিতা-পুত্র বাবুলা নায়েক ...
24/06/2025

মেয়ের বিয়েতে উপহারের জন্য গরু কেনার পর পথে স্থানীয় গোরক্ষক বাহিনীর দ্বারা আটক হন উড়িষ্যার দলিত পিতা-পুত্র বাবুলা নায়েক ও বুলু নায়েক । তাদের দড়ি বেঁধে রাস্তায় হাঁটানো হয়।মাথার অর্ধেক চুল কেটে মাথা মুণ্ডন করে, জোর করে নর্দমার জল পান ও ঘাস খাওয়ানো হয়। কিছু মানুষ এই ঘটনাকে "ধর্ম রক্ষা"-র অজুহাতে সমর্থন করে।২০১৪-র পর থেকে দেশজুড়ে গরু, ধর্ম, ভাষা, জাতপাতের নামে দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন, হেনস্থা ও খু'নের ঘটনা বেড়ে চলেছে। একে এক প্রকার রাষ্ট্রীয় প্রশ্রয় প্রাপ্ত বিদ্বেষ ও হিংসা বলে ধরা যায়।২০১৪–২০২৫ জাতপাত ভিত্তিক হিংসা বেড়েছে প্রায় ৩৫%-৪০% বেশি, দেশে গো-রক্ষার নামে পিটিয়ে হত্যা ৮০+ ঘটনা ঘটেছে যার ৯০% বিজেপি শাসিত রাজ্যে। মৃত্যু ৪০+জন আহত প্রায় ১৫০+নিরীহ ভারতীয় নাগরিক।দেখা গেছে ৭৫% ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা মুক্তি পেয়েছে। ভাষা, জাতি, ধর্ম ও গরু নিয়ে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা দলিত ও সংখ্যালঘুদের উপর টার্গেট করছে। বিজেপি সরকারের আমলে উক্ত অপরাধে অভিযুক্তদের অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক আশ্রয় মেলে । ফলে চার্জশীট তৈরী হয় নেতার সৌজন্যে। বিচার পায় না আকলাখ, সাবির মালিকের মতো পরিবার গুলো। বন্ধ হয় না গনপিটুনির সংস্কৃতি। আর বিচারহীনতা তৈরি করে ভয়াবহ এক সামাজিক পরিবেশ।

#খবর

ফুটকি এর নাম। অনেকেই বন টেপারি বা ফটকা নামে চিনেন।অনেকেরই শৈশবের খেলার ইন্সট্রুমেন্ট। এই ফল ছিড়ে এটা আমরা কপালে বা মাথায়...
23/06/2025

ফুটকি এর নাম। অনেকেই বন টেপারি বা ফটকা নামে চিনেন।অনেকেরই শৈশবের খেলার ইন্সট্রুমেন্ট। এই ফল ছিড়ে এটা আমরা কপালে বা মাথায় ফুটাতাম এবং কারটা কত বেশি সাউন্ড হয় সেটা প্রতিযোগিতা করতাম।

বাংলার প্রায় সব এলাকায় এই গাছ দেখা যায়। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ফল ভিটামিন সি তে ভরপুর? আমাদের দেশে অসংখ্য গুল্ম-লতা আছে যা স্বাভাবিক ভাবেই জন্মে, এর ভেতরে অনেক অনেক ঔষধি গুণ আছে যা আয়ূর্বেদিক কবিরাজ ছাড়া অনেকেই জানেন না।

এটা Solanaceae পরিবারের গুল্ম।এর ইংরেজি নাম ( Goose berry or pygmy ground cherry) এবং বৈজ্ঞানিক নাম Physalis minima।

অনেক দেশে এখন হাইব্রিড করে এই ফুটকির চাষ করে এই ফল বাজারে বিক্রি করে। সেটা আকারে নিঃসন্দেহে বড় এবং টেস্টি। আমাদের এই ফল ভেতরে অনেকটা কাঁটাবেগুনের মত। যেহেতু অর্গানিক এটা তাই উপকার অনেক বেশি কিন্তু টক বেশি। কখনো আপনারা দেখলে নিশ্চয় খেয়ে দেখবেন।

#আয়ুর্বেদ

সিকিমকে ভারতের জাপান বলাটা ভুল হবে না। জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিক থেকে জাপানের মতো না হলেও, অনেক কিছুতেই জাপানের মতই। আজকের ভার...
18/06/2025

সিকিমকে ভারতের জাপান বলাটা ভুল হবে না।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের দিক থেকে জাপানের মতো না হলেও, অনেক কিছুতেই জাপানের মতই।

আজকের ভারতে সিকিম যেন এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। ছোট্ট একটি রাজ্য, কিন্তু চিন্তাধারায়, দৃষ্টিভঙ্গিতে এবং দায়িত্ববোধে বহু বড় রাজ্যকেও ছাপিয়ে গেছে।

🏔️ পর্যটনের স্বর্গভূমি সিকিম শুধু সৌন্দর্যের রাজ্য নয়, আত্মার আরাম পাওয়ার জায়গা।
সিকিম এমন একটি স্থান, যেখানে মানুষ প্রকৃতিকে শুধু ব্যবহার করে না— শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে, আগলে রাখে। এখানকার আকাশ যতটা নীল, মনও ততটাই নির্মল।

🚯 সাম্প্রতিক এক উদ্যোগে সিকিমে ঘুরতে গেলে এখন নিজের জন্য আবর্জনার ব্যাগ নিয়ে যেতে হয়। কারণ তাঁদের বক্তব্য হলো—
“আমরা তোমাকে প্রকৃতি দেখতে ডেকেছি, প্রকৃতিকে ডাস্টবিন বানাতে নয়।”
এমন সচেতনতা সত্যিই বিরল।

🍀 ভারতের একমাত্র পুরোপুরি জৈব রাজ্য হলো সিকিম।
সিকিমে রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা কোনো কৃত্রিম উপাদান ব্যবহার হয় না। ২০১৬ সালেই সিকিমকে ‘১০০% জৈব রাজ্য’ ঘোষণা করা হয়। এখানে চাষের প্রতিটি শস্য, সবজি, ফল প্রকৃতির কোলে জন্মায়— বিশুদ্ধ, নিরাপদ, আর পরিবেশবান্ধব।

🔇 সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক একটি শান্তির শহর, এখানকার রাস্তা হর্নহীন।
গ্যাংটক শহরে হর্ন বাজানো নিষিদ্ধ। কল্পনা করুন, এক পাহাড়ি শহর যেখানে গাড়ি চলে কিন্তু শব্দ নেই! এখানকার পরিবেশ এতটাই শান্ত যে পাখির ডাকও শুনতে পাবেন স্পষ্টভাবে।

👩‍🎓 নারীর সম্মান ও শিক্ষার আলোতেও সিকিম অনেক এগিয়ে। সিকিমে নারী-পুরুষের মাঝে অসমতা নেই বললেই চলে। শিক্ষার হার প্রায় ৮১%। নারীরা প্রশাসন, ব্যবসা, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। একটি সুশৃঙ্খল ও সাম্যবাদী সমাজ গড়ে তুলেছে তারা।

🌎 টেকসই উন্নয়নের পথপ্রদর্শক
সিকিম আমাদের শেখায়— উন্নয়ন মানেই প্রকৃতিকে ধ্বংস নয়। বরং প্রকৃতির সঙ্গে মিলেই সম্ভব উন্নত সমাজ গড়া। তারা রাস্তা বানায়, স্কুল তৈরি করে, পর্যটন বাড়ায়— তাও পরিবেশের ক্ষতি না করেই।

সিকিম আমাদের ভবিষ্যতের দিশা দেখায়।
সিকিম যেন সেই নিঃশব্দ শিক্ষক, যে চিৎকার করে কিছু বলে না— কাজ করে দেখায়। যে শেখায়, সচেতনতা, দায়িত্ববোধ, শান্তি ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যই ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।

17/06/2025

আমাদের দেশের অধিকাংশ ষ্টুডেন্ট বিভিন্ন দেশে MBBS হয়ে ওঠার স্বপ্নপূরনে পাড়ি দিয়ে থাকে। সংখ্যাটা প্রতি বছরে আনুমানিক দুই লক্ষের কাছাকাছি।

NEET exam একটু খতিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে,এটা একটা প্রতারণামূলক ব্যাবসা। NEET পাশ করতে মাত্র 18% নাম্বার লাগে। অর্থাৎ, মোট 720 নাম্বারের পরীক্ষার মধ্যে মাত্র 138 নাম্বার পেলেই, একজন ষ্টুডেন্ট তার ডাক্তার হবার স্বপ্নপূরণ করতে সক্ষম। শর্ত একটাই, ষ্টুডেন্টের বাবাকে একজন কোটিপতি হতে হবে।

আসল খেলাটা এখানেই।

দেশে MBBS পড়ার জন্য মোট 90675 টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে 44555 টি সরকারি আসন, বাদবাকি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ।

সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ফিস নামমাত্র, মাত্র কয়েক হাজার টাকা। কিন্তু, বেসরকারি কলেজের ফিস ট্র্যাক্চার নানা জায়গায় নানারকম। মোটামুটি ভাবে 75 লাখ থেকে শুরু, একটু উন্নতমানের কলেজ হলেই এক থেকে দেড় কোটি টাকার প্যাকেজ।

এই বছর 2025 সালে প্রায় 28 লাখ মতো ছাত্রছাত্রী NEET পরীক্ষা দিয়েছে। এর মধ্যে পাশ করেছে প্রায় 16 লাখ 70 হাজার ষ্টুডেন্ট।

দেশে MBBS এর আসন সংখ্যা সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মাত্র 90675, অথচ, পাশ করেছে 16 লাখ 70 হাজার ষ্টুডেন্ট। তাছাড়া, পৃথিবীর আর কোনো দেশে, কোনো পরীক্ষায় 18% নাম্বার পাওয়া ষ্টুডেন্ট কখনো পাশ করতে পারে না। তাহলে NEET এর ক্ষেত্রে এটা করানো হচ্ছে কেনো ?

আসল খেলাটা কিন্তু এখানেই।

NEET এর মাধ্যমে যোগ্যতা অনুযায়ী টপ ক্যাটাগরির ষ্টুডেন্ট বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেয়ে থাকে। 45 000 এর মতো বাকি 15 লাখ ষ্টুডেন্টের জন্য মাত্র 46120 টি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজের আসন রয়েছে।

NEET পরীক্ষা কেবলমাত্র মেরিট নির্ভর হলে, MBBS আসন সংখ্যার যৎসামান্য বেশী ষ্টুডেন্ট কৃতকার্য হিসাবে নির্বাচিত হতো। আসনের চেয়ে 30গুন বেশী ষ্টুডেন্ট কখনো কৃতকার্য হতে পারতো না।

অথচ এটাই হচ্ছে। কেনো হচ্ছে, কারন জানেন ?

30 গুন ছাত্রছাত্রীদের পাশ করিয়ে, 46120 টি আসনের প্রাইভেট হসপিটাল মালিকদের জন্য মার্কেট তৈরী করে দেওয়া হয়।

আর, সরকারের তৈরি করে দেওয়া এই মার্কেটে প্রত্যেক ষ্টুডেন্টের বাবা পৌনে এক কোটি থেকে দের কোটি পর্যন্ত জোগাড় করতে পারে না।

এক্ষেত্রে মাত্র 1 নাম্বার কম পাওয়ার জন্য সরকারি হসপিটালে চান্স না পাওয়া ষ্টুডেন্ট ব্যাকফুটে চলে যায়। 720 নাম্বারের মধ্যে, মাত্র 138 পাওয়া ষ্টুডেন্ট, বাবার টাকার জোরে, নিজের নামের আগে ডাক্তার লেখার যোগ্যতা অর্জন করে ফেলে।

এছাড়া NEET এর কোয়েশ্চেন প্যাটার্ন নিয়েও নানাধরনের অবজেকশন রয়েছে। ২০২৫ এর নিট প্রশ্নপত্র হয়েছে পাণ্ডিত্য ফালানোর মত, তামিলনাড়ুর 12th বোর্ডে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাম্বার পাওয়া ছাত্রীটি NEET ক্র্যাক করতে পারে নি। এই বিষয়টি অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গেছে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টে তামিলনাড়ু সরকার পরাজিত, NEET কাউন্সিলের ফেভারে রায় দেওয়া হয়েছে।

তাছাড়া, কয়েকদিন আগে ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত ছাত্র নবীন শেখরাপ্পা কর্ণাটক ষ্টেট বোর্ড পরীক্ষায় 98% মার্কস নিয়ে পাশ করেছে। অথচ, দেশের কোনো সরকারি কলেজে চান্স পেতে অক্ষম হয়েছে।

NEET এর ফলাফলে দেখা গেছে, বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বোর্ডের অধীনে পড়াশোনা করা ষ্টুডেন্ট পিছিয়ে গেছে। CBSE পড়া ষ্টুডেন্ট বাজিমাত করেছে। আর, CBSE তে সাধারণ মধ্যবিত্ত এবং গরীব পরিবারের ছেলেমেয়ে পড়াশোনা করতে পারে না। এখানে খরচ অনেক বেশী।

2 লাখের কাছাকাছি ষ্টুডেন্ট বিদেশে পড়তে যাচ্ছে। তাদের কি যোগ্যতা নেই ? যদি যোগ্যতা না থাকে, তাহলে তাদের ডাক্তার হবার সুযোগ দেওয়া হবে কেনো ? কেনো মাত্র 18% পাওয়া ষ্টুডেন্টকে ডাক্তার হওয়ার যোগ্য হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে ?

আমাদের দেশের ভালো প্রাইভেট কলেজে MBBS করতে খরচ পড়ে এক থেকে ডের কোটি টাকা। আর, অত্যন্ত নিম্নমানের মেডিক্যাল কলেজ 70 লাখ টাকার মতো প্যাকেজ নিয়ে থাকে। সদ্য গজিয়ে ওঠা বীরভূমের শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজে খোঁজ নিয়ে দেখলাম,, 65 লাখের প্যাকেজ চলছে।

এই খরচ কোনো সাধারণ মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির ছেলেমেয়েদের নাগালের মধ্যে থাকে না। তাই তারা বাধ্য হয়েই বিশ্বের অন্যান্য দেশ, যেখানে তুলনামূলক ভাবে অনেক কম খরচে MBBS হয়ে ওঠা সম্ভব, সেখানে পাড়ি দিয়ে থাকে।

এখন প্রশ্ন হলো, ইউক্রেন সহ অন্যান্য দেশে যেখানে 20 থেকে 25 লাখ টাকার মধ্যে MBBS করিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে, সেখানে আমাদের দেশে এক কোটি লাগে কেনো ? আমাদের প্রতিবেশী বাংলাদেশ যেখানে 30/40 লাখের মধ্যে ডাক্তার হবার স্বপ্ন পূরণ করে চলেছে, সেখানে আমরা পারছিনা কেনো ?

উত্তর একটাই, পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করে যাওয়া। আর, কোটিপতির সন্তানের স্বপ্ন পুরন করে দেওয়া।

এখানে একটাই কথা - "ফেলো কড়ি, মাখো তেল।

NEET এর মাধ্যমে 80% পাওয়া ষ্টুডেন্ট ডাক্তার হবার স্বপ্ন পুরন করতে পারবে না। অথচ, কোটিপতি বাবার 18% পাওয়া ছেলে ড্যাং ড্যাং করে ডাক্তার হয়ে যাবে।

সত্যি, প্রতিভার কি অসাধারণ সংজ্ঞা। এই সিস্টেমের পরিবর্তন আনা দরকার।



ঠগী: শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ৫০ বছর পূর্বের একটি কাহিনী  গল্পটি আশা করি প্রায় সবাই পড়েছেন। যারা পড়েননি তাদের বল...
11/06/2025

ঠগী:
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ৫০ বছর পূর্বের একটি কাহিনী গল্পটি আশা করি প্রায় সবাই পড়েছেন। যারা পড়েননি তাদের বলি এই গল্পে শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ঠগীদের কথা বলেছেন। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পড়েই ঠগীদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।
আজ সেই ঠগীদের কথাই বলি:
ঠগী:
ভারতবর্ষের একসময়ের মৃত্যু দূতের নাম ছিল ঠগী। সন্ধের পর পথচারীদের সঙ্গে মিশে যেত এরা। মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। তারপর সুযোগ বুঝে "জয় মা ভবানী" বলে ঝাঁপিয়ে পড়ত সঙ্গীদের উপরে। তারপর সর্বস্ব কেড়ে নিয়ে মৃতদেহ মাটি চাপা দিয়ে দিত। আবার অনেক সময় গাছের আড়াল থেকে ছোট অথচ ভারী লাঠি পথচারীদের পা লক্ষ্য করে ছুড়ে মারতো। অব্যর্থ লক্ষ্য! পায়ে লাগার সঙ্গে সঙ্গে পথচারী হুমড়ি খেয়ে পড়ে যেত। পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়তো তার উপরে সর্বস্ব কেড়ে নিত।

ঠগীরা ছিল মা কালীর একনিষ্ঠ ভক্ত। "ঠগী" শব্দটি এসেছে সংস্কৃত 'ঠগ' থেকে, যার অর্থ প্রতারক।

১৮৩৯ সালে ফিলিপ টেলরের উপন্যাস 'কনফেশন অব আ থাগ' বইটির মাধ্যমে ঠগী শব্দটি ও ঠগীরা জনপ্রিয়তা লাভ করে। সাধারণত ঠগীরা বৃদ্ধ, যুবক, শিশু কাউকেই রেহাই দিত না। প্রথমদিকে কোন তীর্থযাত্রী নিখোঁজ হলে ব্রিটিশ শাসকরা এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেই মনে করত। কিন্তু, যখন ব্রিটিশরাও নিখোঁজ হওয়া শুরু করল, তখন বিশেষ অনুসন্ধান করে লর্ড বেন্টিক জানতে পারেন, এইসব হঠাৎ নিখোঁজের পিছনে একটি ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের হাত রয়েছে। তখন তিনি ঠগীদের নির্মূল করতে ১৮৩০ সালে উইলিয়াম হেনরি শ্লীম্যানকে নির্দেশ দেন।

ঠগীদের নির্মূল করতে হেনরি গুপ্তচর নিয়োগ করেন। ১৮৩০ সাল থেকে ১৮৪১ সাল পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩ হাজার ৭০০ ঠগীকে ধরতে সক্ষম হন। ১৯৪০ সালে প্রায় ৫০০ ঠগীর ফাঁসি দেওয়া হয়। ধীরে ধীরে ঠগীদের সংখ্যা কমতে থাকে। এখনো রাজস্থানে ঠগীদের বংশধরদের দেখা পাওয়া যায়। তবে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৮৩০ থেকে ১৮৪১ এই দশ বছরে ঠগীদের হাতে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ খুন হয়েছে।
জিয়াউদ্দিন বারানির বই থেকেও ঠগীদের কথা জানা যায়।

আসুন ঠগীদের সম্পর্কে কিছু কথা জেনে নেএওয়া যাক।

১| ঠগীরা সাধারণত বংশপরম্পরায় এই কাজ করতো। তাদের সন্তানের বয়স ১৮ হলেই দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অধিকার পেত।
২| কেবলমাত্র ধনী নয়, অসহায় সম্বলহীন মানুষের কাছ থেকেও লুটপাট করত ঠগীরা।
৩| ঠগীরা মা কালীর ভক্ত ছিল তাই হত্যা করার সময় 'জয় মা ভবানী' বলে শিকারের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত।
৪| ঠগীদের অস্ত্র ছিল ছোট অথচ ভারী লাঠি আর তিরিশ ইঞ্চি লম্বা হলুদ রুমাল। যার এক প্রান্তে বাধা থাকতো একটি আধুনিক। এই রুমালের ফাঁস তৈরি করে হত্যা করত নিরীহ মানুষদের।
৫| একটি কাজ সফলভাবে শেষ করার পর তারা মা কালীর পুজো করতো ও গুড় জাতীয় মিষ্টি খেতে।
৬| একজন শিকার কে তিনজন ঠগী চেপে ধরে হত্যা করত। একজন মাথা চেপে ধরতো একজন পা চেপে ধরতো এবং একজন গলায় ফাঁস চড়াত।
৭| ঠগী বেহরামকে বলা হয় ইতিহাসের সব থেকে ভয়ংকর ঠগী। বেহরাম নিজে হাতে খুন করেছির ১২৫ জনকে। এবং ৯৩১ জনের হত্যার সময় উপস্থিত ছিলেন। ৮| শেষের দিকে ঠগীরা ব্রিটিশদের হত্যা করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলেই শ্লীম্যান তার চর নিযুক্ত করতে সুবিধা পান। এবং ঠগীদের একটি বিশাল দল তার কাছে ধরা পড়ে।
৯| ঠগীদের দলে অনেক মুসলমানও ছিল। ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজা নিষিদ্ধ হলেও তারা সকলের সঙ্গে মিলে কালী পূজা করত। তাছাড়া ধনী-গরীব, উচু-নিচু সহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ ঠগীদের দলে থাকতো।
১০| অনেক সময় বিশাল বড় দলের মধ্যে ঢুকে যেত ঠগীরা। হাসি ঠাট্টা আর ভালো ব্যবহার করে মন জয় করে নিত সকলের। তারপর সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়তো সকলের উপর। মানুষের আস্থা অর্জন করার জন্য অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো তাদের। আস্থাভাজন না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ করত না ঠগীরা।
১১| ঠগীদের মধ্যে একটা মিথ চালু ছিল। তারা মনে করত মা কালী একবার রক্তবীজ নাম এক অসুরের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। রক্ত বীজের কাজ ছিল মানুষকে ধরে ধরে খেয়ে ফেলা। কালি যতবার রক্তবীজকে হত্যা করেছে, ততবারই রক্ত বীজের রক্ত মাটিতে পড়ে অসংখ্য রক্তবীজের জন্ম হয়েছে। কালি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি যতবার রক্তবীবকে হত্যা করার চেষ্টা করছিলেন, ততবারই ওই অসুরের রক্ত থেকে আরো অসুরের জন্ম হচ্ছিল। তখন কালি তাঁর শরীরের ঘাম থেকে দুজন মানুষ সৃষ্টি করেন। আর হত্যার অস্ত্র হিসেবে তাদের দেন হলুদ রুমাল যাতে রক্ত না বের হয়। ওই দুজন রুমাল দিয়ে হত্যা করেছিল রক্তবীজদের। তাই ঠগী সম্প্রদায়ের কাছে রুমালের গুরুত্ব ছিল অসীম।

হেনরি শ্লীম্যান তাঁর ঐকান্তিক চেষ্টায় ঠগীদের নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছিলেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেন শ্লীম্যানের পরেও ঠগীরা সক্রিয় ছিল। তাদের কাজ তারা গোপনে ঠিকই চালিয়ে গিয়েছিল। আজও রাজস্থানে বাস করে ঠগীদের বংশধরেরা। তবে তারা আছে আর দশ জন সাধারণের মতো।
#ইতিহাস #অজানা #রাজস্থান #পশ্চিমবঙ্গ

১৮৮৫ সালে তোলা ছবিতে নিজ নিজ দেশের প্রথম লাইসেন্সধারী তিনজন নারী চিকিৎসক। ঐতিহাসিক এই ছবিতে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ঐতিহ্যবা...
09/06/2025

১৮৮৫ সালে তোলা ছবিতে নিজ নিজ দেশের প্রথম লাইসেন্সধারী তিনজন নারী চিকিৎসক। ঐতিহাসিক এই ছবিতে তাঁরা তাঁদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাকে দাঁড়িয়ে আছেন একসাথে: (বাঁ থেকে ডানে) ড. আনন্দিবাই যোশী (ভারত), ড. কেই ওকামি (জাপান), এবং ড. সাবাত ইসলামবুলি (সিরিয়া)।

আনন্দিবাই যোশী (১৮৬৫–১৮৮৭)

ক্যাল্যান নামক ছোট্ট এক শহরে জন্ম নেওয়া আনন্দিবাই মাত্র ৯ বছর বয়সে বিয়ের পিড়িতে বসেন ২৯ বছর বয়সী পোস্টমাস্টার গোপাল যোশীর সঙ্গে। সৌভাগ্যক্রমে আনন্দিবাইয়ের স্বামী নারীশিক্ষার বেশ সমর্থক ছিলেন।

১৪ বছর বয়সে মাত্র ১০ দিনের ছেলেকে হারিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন- নারীদের স্বাস্থ্যসেবার সীমাবদ্ধতা কত ভয়াবহ। এরপর আমেরিকার উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ অফ পেনসিলভানিয়াতে ভর্তি হয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সে স্নাতক হন আনন্দিবাই। ভারতে ফিরে ১৮৮৬ সালে কোহলাপুরের আলবার্ট এডওয়ার্ড হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হয়ে ২২ বছর বয়সে মারা যান আনন্দিবাই।

কেই ওকামি (১৮৫৯–১৯৪১)

২৫ বছর বয়সে চিত্রশিল্পী স্বামীর সঙ্গে আমেরিকায় এসে উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন কেই ওকামি। ১৮৮৯ সালে স্নাতক হয়ে জাপানে ফিরে জিকেই হাসপাতালে কাজ শুরু করেন এবং পরে নিজস্ব একটি ক্লিনিক খোলেন।

তিনি ছিলেন একজন শিক্ষিকা, মিশনারি, হাসপাতাল নির্মাতা ও নার্সিং স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। পরে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অবসর নেন।

সাবাত ইসলামবুলি (১৮৬৭–১৯৪১)

তাঁর জীবনের বিস্তারিত ইতিহাস খুব বেশি জানা যায়নি। সাবাত ইসলামবুলি, যিনি Thabat Islambooly নামেও পরিচিত, ১৮৯০ সালে পেনসিলভানিয়ার উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ থেকে স্নাতক হয়ে কায়রোতে চিকিৎসা শুরু করেন।

এই নারীরা এমন এক যুগে চিকিৎসাবিদ্যায় শিক্ষা নিয়েছিলেন, যখন আমেরিকায় নারীদের ভোটাধিকারও ছিল না। হাজার হাজার মাইল দূরের পথ পাড়ি দিয়ে তাঁরা শিক্ষালাভ করে হয়ে উঠেছেন ভারত, জাপান এবং সিরিয়ার প্রথম লাইসেন্সপ্রাপ্ত নারী চিকিৎসক, মানবতার ইতিহাসে এক অনন্য অধ্যায়।
, HISTORY

দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পে অসংখ্য আবেদনের ভিড়ে আমাদের কাছে এমন একজনের আবেদন এসেছে, যার রয়েছে ১৮ বছরের মিষ্টি ...
09/03/2025

দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পে অসংখ্য আবেদনের ভিড়ে আমাদের কাছে এমন একজনের আবেদন এসেছে, যার রয়েছে ১৮ বছরের মিষ্টি তৈরির অভিজ্ঞতা।

অভাবের কশাঘাতে জর্জরিত নিরক্ষর সেই মানুষটার নাম আলমগীর হোসেন। ১৮ বছর অন্যের হোটেলে কাজ করে তিনি কালোজাম, চমচম, রাজভোগ, রসমালাই, বালিশ মিষ্টি, দই তৈরিতে অসামান্য দক্ষতা অর্জন করেছেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য—আলমগীর ভাইয়ের হাতের ছোঁয়া পেলে মিষ্টি হয়ে ওঠে শিল্পকর্ম।

আলমগীর হোসেন এতটাই দরিদ্র, নিজের পৈতৃক পুরনো বাড়িটি বসবাসের অনুপোযুক্ত হয়ে পড়লে সেটা আর মেরামত করতে পারেননি। বর্তমানে তিনি বাস করছেন যশোর কেশবপুরের বেলকাটির গুচ্ছগ্রামে।

তিনি যখন অন্যের হোটেলে কাজ করতেন, স্বপ্ন দেখতেন, একদিন তার নিজের একটি হোটেল হবে। নিজের হাতের মিষ্টান্ন বিক্রির মাধ্যমে সংসারে সচ্ছলতা আসবে আর অর্জিত হবে ক্রেতাদের আস্থা, ভালোবাসা ও মুগ্ধতা।

অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে আলমগীর হোসেনের। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্পে আলমগীর হোসেনকে প্রস্তুত করে দেয়া হয়েছে একটি কমপ্লিট হোটেল। অর্থাৎ হোটেলঘর, শোকেস, চেয়ার-টেবিল সহ মিষ্টি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম ও কাঁচামাল। ছবিতে যার অধিকাংশই দৃশ্যমান।

এতে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা।

এক ছেলে এক মেয়ে এবং স্বামী-স্ত্রী মিলে আলমগীর হোসেনের পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৪। অভাবের কারণে ছেলের পড়াশোনা হয়নি। ছেলে এখন দিনমজুরের কাজ করে।

আমরা আলমগীর হোসেনকে নিয়ে আশাবাদী। আমাদের সহায়তা এবং মিষ্টি তৈরিতে তার অসামান্য দক্ষতার সমন্বয়ে অসহায় এই পরিবারটি শিগগিরই সুদিনের মুখ দেখবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

উল্লেখ্য, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দক্ষতাভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরি প্রকল্প যাকাতের অর্থে পরিচালিত হচ্ছে। এমন অসংখ্য দক্ষ অথচ অসহায় আলমগীর হোসেনের দিন বদলের সঙ্গী হতে আপনার যাকাতের একটা অংশ আমাদেরকে অর্পণ করতে পারেন।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: যাকাত ও ফেতরার এর টাকা নষ্ট না করে এ ভাবে মানুষ এর উন্নতিতে ব্যাবহার করুন।

গত কাল সকালে একটি ১২ বছর বয়সের কিশোর কে  ভগবানগোলাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।। তখন স্থানীয়রা তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে নাম ঠি...
21/02/2025

গত কাল সকালে একটি ১২ বছর বয়সের কিশোর কে ভগবানগোলাতে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়।। তখন স্থানীয়রা তাকে ডেকে জিজ্ঞেস করে নাম ঠিকানা তখন সে তার নাম করন রবিদাস ও এলাকার নাম কোটালপুর বলে। কিন্তু রাজ্য বা জেলার নাম বলতে পারে নি।।আর হ্যাঁ ফরাক্কার বল্লালপুর নামে একটা বাসস্ট্যান্ডের কথা বলে।। আমরা বুঝতে পারি কিশোরটির বাড়ি ঝাড়খন্ড রাজ্যে।। তখন ফরাক্কা পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা তার ঝাড়খন্ডের কোটালপুর এলাকায় যোগাযোগ করে এবং করণ রবি দাসের বাড়ি পৌছায়।। পরিবারের সদস্যদের দাবি বেশ কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ ছিলো করন রবিদাস । তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ফোনে কথা বলায় এবং পরিবারের লোক আশ্বস্ত হয়।। আজ ভগবানগোলা থানার তত্বাবধানে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হলো করণ রবি দাস কে।। উপস্থিত ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের জেলা সম্পাদক সারাফ আবেদিন।।

আমাদের দাবি রেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করুক।
18/02/2025

আমাদের দাবি রেল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করুক।

বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও স্বরবর্ণ এর যৌথ উদ্যোগে আমরা বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির এর আয়োজন করেছি, আশা রাখছি আপনাদের সহয...
18/02/2025

বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও স্বরবর্ণ এর যৌথ উদ্যোগে আমরা বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা শিবির এর আয়োজন করেছি, আশা রাখছি আপনাদের সহযোগিতার, আমাদের এই শিবির এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলের মানুষ এর পাশে দাঁড়ানোর একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস।

শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন যেনো মানুষ এর জানতে সুবিধা হয় এবং তারা এর সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা-১ ব্লকের একজন পরিযায়ী শ্রমিক ভারত সরকারের রেলের অধীনস্থ এক কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতো মধ্য প্রদ...
15/02/2025

মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা-১ ব্লকের একজন পরিযায়ী শ্রমিক ভারত সরকারের রেলের অধীনস্থ এক কোম্পানির আন্ডারে কাজ করতো মধ্য প্রদেশে।আজ সকাল ১১ঃ০০ নাগাদ কর্মরত অবস্থায় ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়। সাইট ইঞ্জিনিয়ার মৃতদেহকে পোষ্ট মর্টেম ছাড়াই Ambulance এ করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য শ্রমিকের সহকর্মীদেরকে বলে। কিন্তু আমাদের চাপে সেটা পারেনি।দেহ পুলিশ নিয়ে গেছে পোষ্ট মর্টেমের জন্য। ঠিকাদার সহ কোম্পানির সাইট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা চলছে তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া ও ভগবানগোলার বাড়ি পৌছে দেওয়ার জন্য এবং কোম্পানির কাছে পরিযায়ী শ্রমিক ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার জন্য। রেলের অধীনস্থ কোম্পানির গাফিলতি ও নজরদারীর অভাবের কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করি এই শ্রমিকের।

বহরমপুরের কাশিমবাজারে আনন্দময়ী মা মন্দিরে মাকালী'র মূর্তি লাথি মেরে ভেঙে ধরা পড়েছে তাপস মন্ডল নামের এক যুবক! সিসি টিভি ...
11/02/2025

বহরমপুরের কাশিমবাজারে আনন্দময়ী মা মন্দিরে মাকালী'র মূর্তি লাথি মেরে ভেঙে ধরা পড়েছে তাপস মন্ডল নামের এক যুবক! সিসি টিভি ক্যামেরায় মূর্তি ভাঙার দৃশ্য ধরা না পড়লে কী হতে পারত আশাকরি বুঝতে পারছেন।

কার্তিক মজারাজ কেন পদ্মশ্রী পেয়েছে এখন বুঝতে পারছেন? পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় হঠাৎ করে দেব দেবীর মূর্তি ভাঙার হিড়িক পড়ে গেছে। কয়েকদিন আগেই সরস্বতী মূর্তি ভেঙে বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য ধরা পড়ার পরে এবার মাকালীর মূর্তি ভাঙল আরেক হিন্দু যুবক। এইসব করে বিজেপি আসলে একটা দাঙ্গা লাগিয়ে ২০২৬ এ ক্ষমতায় আসতে চাইছে। সেটা সাকসেসফুলি করতে পারলেই কার্তিক মহারাজকে কি ভারতরত্ন দেওয়া হবে?

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saraf Abedin Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share