Akhtar Qadri

Akhtar Qadri Islamic Scholar & Writer Islamic lectures & Writer

28/09/2025
ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর  অবদান( পর্ব ৫  - বাগদাদের পথে গওসুল আযম ) হ...
28/09/2025

ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর অবদান

( পর্ব ৫ - বাগদাদের পথে গওসুল আযম )

হুজুর গাউসে পাকের বয়স যখন ১৮ বছর, তখন তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য বাগদাদ শরিফ যাওয়ার ইচ্ছা করলেন সম্মানিতা জননীর কাছে। ততকালীন সময় সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে জ্ঞানচর্চার অন্যতম শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র ছিল ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। খলিফাগণ খুব আন্তরিকতার সাথে এই নগরীকে জ্ঞানবিজ্ঞানের রাজধানীতে পরিনত করেন।

হুজুর গওসুল আযম দাস্তেগীর রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর আম্মিজান প্রথম থেকেই জানতেন এই সন্তান সাধারণ কেউ নন, বরং মুসলিম উম্মাহর হিদায়তের জন্যই তার জন্ম। বেলায়তের মুকুট তারই শিরে শোভা পাবে। হুজুর গাউসে পাকের আব্বাজান অনেক আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, আম্মাজান বয়স্ক হয়েও নিজের দুঃখ কষ্টের দিকে না তাকিয়ে বৃদ্ধাবস্থার সম্বল আপন সন্তানকে ইসলামের খাতিরে বাগদাদ প্রেরণ করতে রাজি হয়ে যান। হুজুর সুলতানুল আউলিয়ার আম্মিজানের এই আত্মত্যাগকে লক্ষ কোটি সালাম। যখনই হুজুর গাউসে পাকের তাজকেরা হবে, তার সম্মানিতা জননীর আত্মত্যাগের কথা সসম্মানে স্মরণ করা হবে।

গাউসে পাক যখন যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তখন তার সম্মানিত জননী অশ্রুসিক্ত নয়নে বললেন, বাবা! তোমার সঙ্গে আমার হয়তো এটাই শেষ দেখা, তুমি বাগদাদ যাও, শিক্ষা অর্জন করো। আর একটা কথা সব সময় মনে রাখবে, যতই বিপদের মুখে পড় না কেন, সর্বাবস্থায় সত্য কথা বলবে। হুজুর গাউসে পাক সারাজীবন এই কথার উপর আমল করেছিলেন। হুজুর গাউসে পাককে তিনি ৪০ দিরহাম স্বর্ণমুদ্রা দেন৷

হুজুর গাউসে আযম একটা কাফেলার সাথে বাগদাদের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন৷ হামদান নামক এক জায়গা পেরিয়ে কাফেলা পড়ল ডাকাতদের কবলে। ডাকাতেরা শুরু করল যথেচ্ছাচার লুটপাট। সমগ্র কাফেলার মানুষদের চোখমুখে ভয়ের ছাপ, সকলেই ভীত সন্ত্রস্ত। কেবল আঠারো বছরের যুবক হুজুর গাউসে আযম ব্যতীত।

ডাকাতদের ভিতর থেকে একজন এসে হুজুর গাউসে পাক কে জিজ্ঞেস করল তোমার কাছে কি কিছু আছে?
- গাউসে পাক নির্লিপ্ত ভাবে উত্তর দিলেন, হ্যাঁ। চল্লিশ দিরহাম স্বর্ণমুদ্রা।
- ডাকাত ভাবল হয়তো ছেলেটা মিথ্যা বলছে, কারণ সেই সময় চল্লিশ দিরহাম স্বর্ণমুদ্রা এখনকার লক্ষ টাকার চেয়েও বেশি এবং এতগুলো মুদ্রা কোনো কিশোরের কাছে থাকবে এটা অকল্পনীয়। তাই সে হেসে উঠলো।
- অন্য আরেকজন এসে জিজ্ঞেস করল, তোমার কাছে কি কিছু আছে?
- গাউসে পাক একই উত্তর দিলেন।
- এতে ঐ ডাকাতটিও হেসে উঠলো। এবার এই হইহট্টগোল ডাকাদের সর্দারের কাছে পৌঁছাল।
- ডাকাতদের সর্দার জিজ্ঞেস করল কী আছে তোমার কাছে?
- গাউসে পাক উত্তর দিলেন ৪০ দিরহাম স্বর্ণমুদ্রা।
- কোথায়?
- গাউসে আযম দেখিয়ে দিলেন কোথায় আছে।
- এই দৃশ্য দেখে ডাকাতদের সর্দার অবাক হয়েগেল আর বললো তুমি যদি আমাদেরকে না বলতে তাহলে আমরা জানতে পারতাম না, তুমি মিথ্যা বলতে পারতে। কিন্তু কেন সত্য বললে?

এবার গাউসে পাক এমন উত্তর দিলেন যে সেই ডাকাতের সর্দারের অন্তর পরিবর্তন হয়ে গেল। আল্লাহওয়ালাদের একটা কথা বা একটা নজর মানুষের হৃদয় পরিবর্তন করতে, সমস্ত পাপ মিটিয়ে দিতে সক্ষম।

- হুজুর গাউসে পাক বললেন, শোনো ! আমি আমার মায়ের কাছে কথা দিয়েছি, জীবনে কখনও মিথ্যা বলব না। এই সামান্য ৪০ দিরহাম স্বর্ণমুদ্রার জন্য কিভাবে সেই প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করতে পারি?

হুজুর গাউসে পাকের এই কথাটি সেই ডাকাতের সর্দারের অন্তরে এমন প্রভাব বিস্তার করল যে সে কেঁদে ফেলল, আর বলল আপনি আপনার মায়ের কথার অবাধ্য হননি, কিন্তু আমরা প্রতিনিয়তই আমাদের খালিক ও মালিক আল্লাহ তায়ালার কতই না অবাধ্যতা করেছি। মানুষের সম্পদ লুঠ করেছি,তাদের উপর অত্যাচার করেছি, তাদেরকে মেরে ফেলেছি। আজ আমি তাওবা করতে চাই, ক্ষমা প্রার্থনা করতে চাই৷
- হুজুর গাউসে আযমের হাতে হাত দিয়ে ডাকাতের সর্দারসহ ৬০ জন সদস্য সেই দিন তাওবা করে পরবর্তী জীবন মানুষের উপকারে এবং ইবাদত ও পরহেজগারিতে অতিবাহিত করেন৷

কবি বলেন,
" নিগাহে ওলি মে বো তাসির দেখি,
বাদালতি হাজারোঁ কি তকদির দেখি।"

এটা মাথায় রাখা দরকার, হুজুর গাউসে পাকের বয়স তখন মাত্র ১৮ বছর। গাউসে পাকের কদম যত এগিয়েছে রাহাজানরা রাহবার হয়েছে, বেদ্বীনেরা ইমানদার হয়েছে, পথহারা পথ পেয়েছে। এটা তো ছিল বাগদাদ যাওয়ার পথের ঘটনা। এরপর যখন তিনি বাগদাদে যাবেন, সমস্ত ইল্ম অর্জনের পর যখন মিম্বারে দাঁড়িয়ে বলবেন - আমার কদম সমস্ত ওলিদের গর্দানে, তখন গাউসে পাকের মর্যাদা কোন উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে তা সাধারণ তো সাধারণ, অসাধারণ মানুষেরও কল্পনার বাইরে।

28/09/2025

🏵️🟢 কবরবাসীরা জীবিত ব্যক্তিদের দুআ ও ইস্তিগফারের অপেক্ষায় থাকেন 🟢🏵️

ﻋﻦ ﻋﺒﺪ اﻟﻠﻪ ﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ، ﻗﺎﻝ: ﻗﺎﻝ اﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ اﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ: ﻣﺎ اﻟﻤﻴﺖ ﻓﻲ اﻟﻘﺒﺮ ﺇﻻ ﻛﺎﻟﻐﺮﻳﻖ اﻟﻤﺘﻐﻮﺙ، ﻳﻨﺘﻈﺮ ﺩﻋﻮﺓ ﺗﻠﺤﻘﻪ ﻣﻦ ﺃﺏ ﺃﻭ ﺃﻡ ﺃﻭ ﺃﺥ ﺃﻭ ﺻﺪﻳﻖ، ﻓﺈﺫا ﻟﺤﻘﺘﻪ ﻛﺎﻧﺖ ﺃﺣﺐ ﺇﻟﻴﻪ ﻣﻦ اﻟﺪﻧﻴﺎ ﻭﻣﺎ ﻓﻴﻬﺎ، ﻭﺇﻥ اﻟﻠﻪ ﻋﺰ ﻭﺟﻞ ﻟﻴﺪﺧﻞ ﻋﻠﻰ ﺃﻫﻞ اﻟﻘﺒﻮﺭ ﻣﻦ ﺩﻋﺎء ﺃﻫﻞ اﻷﺭﺽ ﺃﻣﺜﺎﻝ اﻟﺠﺒﺎﻝ، ﻭﺇﻥ ﻫﺪﻳﺔ اﻷﺣﻴﺎء ﺇﻟﻰ اﻷﻣﻮاﺕ اﻻﺳﺘﻐﻔﺎﺭ ﻟﻬﻢ
অর্থাৎ- আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ নিশ্চয়ই মৃত ব্যক্তি হলো পানিতে পড়া ব্যক্তির মতো সাহায্যপ্রার্থী। সে তার পিতা-মাতা, ভাই-বন্ধুর দুআ পৌঁছার অপেক্ষায় থাকে। তার কাছে যখন দুআ পৌঁছে, তখন তার কাছে সারা দুনিয়া ও দুনিয়ার সকল জিনিসের চেয়ে এ দুআ বেশি প্রিয় হয়। আর আল্লাহ তা’লা দুনিয়াবাসীদের দুআয় কবরবাসীদেরকে পাহাড় পরিমাণ রহমত পৌঁছান এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য জীবিতদের পক্ষ থেকে উপহার হলো তাদের জন্য (ইস্তিগফার) ক্ষমা চাওয়া।
{{ শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ১০/৩০০ হাদিস নং-৭৫২৭,, ইহিয়ায়ু উলূমিদ দীন ৪/৪৯১,, মিশকাত ১/২০২,, জামেউল আহাদিস ৩৬/২১৫ হাদিস নং-৩৯১১৬,, কান্জুল উম্মাল ১৫/৭৪৯ হাদিস নং-৪২৯৭১,, তাফসীরে মাযহারী ৮/২২৫ }}
🌀 ইমাম বায়হাক্বী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেনঃ ﻫﺬا ﺣﺪﻳﺚ ﻏﺮﻳﺐ হাদিসটি গারীব। {{শুয়াবুল ঈমান ১০/৩০০}}

ﻋﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺑﻦ ﺟﺮﻳﺮ ﻗﺎﻝ ﺇﺫا ﺩﻋﺎ اﻟﻌﺒﺪ ﻷﺧﻴﻪ اﻟﻤﻴﺖ ﺃﺗﺎﻩ ﺑﻬﺎ ﺇﻟﻰ ﻗﺒﺮﻩ ﻣﻠﻚ ﻓﻘﺎﻝ ﻳﺎ ﺻﺎﺣﺐ اﻟﻘﺒﺮ اﻟﻐﺮﻳﺐ ﻫﺬﻩ ﻫﺪﻳﺔ ﻣﻦ ﺃﺥ ﻋﻠﻴﻚ ﺷﻔﻴﻖ
অর্থাৎ- হযরত আমর বিন জারীর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ যখন কোন বান্দা তার মৃত ভাইয়ের জন্য দুআ করে, তখন একজন ফেরেশতা তা নিয়ে তার কবরে পাশে এসে বলেনঃ "হে অসহায় কবরবাসী! এটা তোমার এক দয়ালু ভাইয়ের উপহার।"
{{ শুয়াবুল ঈমান বায়হাক্বী ১১/৪৭৩ হাদিস নং-৮৮৫৮,, কিতাবুর রুহ জাওযী ১/৯০,, শারহুস সুদূর সুয়ূতী ১/২৯৭ }}

🔷 হাফিজুল হাদিস ইমাম ইবনে রাজাব হান্বালী ও ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমা উল্লেখ করেছেন,
ﺃﺧﺮﺝ ﺇﺑﻦ ﺃﺑﻲ اﻟﺪﻧﻴﺎ ﻋﻦ ﺳﻔﻴﺎﻥ ﻗﺎﻝ ﻛﺎﻥ ﻳﻘﺎﻝ اﻷﻣﻮاﺕ ﺃﺣﻮﺝ ﺇﻟﻰ اﻟﺪﻋﺎء ﻣﻦ اﻷﺣﻴﺎء ﺇﻟﻰ اﻟﻄﻌﺎﻡ ﻭاﻟﺸﺮاﺏ
অর্থাৎ- (ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আহমাদ বিন হান্বাল, ইমাম আব্দুর রাজ্জাক, ইমাম ইবনে মুবারাক ও ইমাম ইসহাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহিমের শিক্ষক, শাইখুল হিজায, প্রখ্যাত তাবেয়-তাবেয়ী, যুগশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও মুজতাহিদে মুতলাক হযরত সুফিইয়ান ইবনে উআইনাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, বলা হয়েছেঃ জীবিতদের খাদ্য ও পানীয় জলের চেয়ে মৃতদের দুআর বেশি প্রয়োজন হয়।
{{ আহ্ওয়ালুল কুবূর ইবনে রাজাব ১/১৩৪,, শারহুস সুদূর সুয়ূতী ১/২৯৭ }}

সম্মানিত সুধী! উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতীয়মান হল যে, মৃত ব্যক্তিরা সর্বদা জীবিত ব্যক্তিদের দুআর অপেক্ষায় থাকেন এবং জীবিতদের দুআর সাওয়াব পেয়ে মৃতরা অনেক বেশি আনন্দিত হন। অতএব আমাদের উচিৎ, সর্বদা মৃত মুমিনদের জন্য দুআ করা যাহাতে তারা আমাদের দুআর মাধ্যমে বেশি বেশি উপকৃত হন।

পর্ব ৪  - প্রাথমিক শিক্ষাএকটি প্রবাদ বাক্য প্রচলিত আছে - "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।" ইসলাম সবসময়ই শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে ...
27/09/2025

পর্ব ৪ - প্রাথমিক শিক্ষা

একটি প্রবাদ বাক্য প্রচলিত আছে - "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড।" ইসলাম সবসময়ই শিক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে জাতিকে সচেতন করেছে। শিক্ষাগ্রহণ প্রতিটি মুসলিম নর নারীর জন্য আবশ্যিক কর্তব্য বলে ঘোষণা দিয়েছে।

ইসলামের ইতিহাস উঠিয়ে দেখুন সমস্ত মুসলিম মনিষীগণ ছিলেন আপন আপন জামানার শ্রেষ্ঠ জ্ঞানী ব্যক্তি। হুজুর গাউসে পাক এর ব্যতিক্রম নন। তিনি আপন সময় এবং তার পরে এখন পর্যন্ত এবং কিয়ামত অবধি শ্রেষ্ঠতম জ্ঞানী ব্যক্তি। ইল্মে লাদ্দুনীর অধিকারী।

শিশু অবস্থা থেকেই আপন পরিবারে সেই ইল্মী পরিবেশ তিনি পেয়েছিলেন। তার শিক্ষা ও প্রতিপালনের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তার নানা হুজুর। তিনি লোকচক্ষুর আড়াল হলে হুজুর গাউসে পাকের আম্মাজান দক্ষতার সঙ্গে এই দায়িত্ব পালন করেন।

যদিও তিনি মাতৃগর্ভ থেকে আঠারো পারা কুরআন শরীফের হাফিজ ছিলেন, তথাপি আপন মায়ের নির্দেশে স্থানীয় একটা মক্তবে শিক্ষা গ্রহণ করতে যান শিশু অবস্থায়। এখানে একটা চমকপ্রদ ঘটনা ঘটেছিল -
যখন ওস্তাদ তাকে বলেন - পড়ো বিসমিল্লাহ, তখন হুজুর গাউসে আজম কুতুবে আলাম পুরো আঠারো পারা কুরআন শুনিয়ে দিলেন। এতে ওস্তাদ অবাক হয়ে গেলেন।
এপ্রসঙ্গে আরও একটা ঘটনার অবতারণা প্রয়োজন বলে মনে করি -
হুজুর গাউসে পাককে একবার জিজ্ঞেস করা হয় যে, আপনি কখন থেকে জানলেন আপনি একজন আল্লাহর ওলি?
- এর উত্তরে হুজুর গাউসে পাক বলেন, আমি যখন শিশু অবস্থায় মক্তবে যেতাম তখন আমি আমারা চারপাশে ফারিস্তাদের দেখতে পেতাম।
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী। যিনি মায়ের পেট থেকেই ওলি হয়ে জন্মেছেন, যাকে আল্লাহ তায়ালা আপন হাবীবের উম্মতদের হিদায়তের জন্য দুনিয়ায় প্রেরণ করবেন, তার চোখে কীসের পর্দা থাকবে, কীসের হিজাব থাকবে৷
এর পর গাউসে পাক আরও এরশাদ করেন যখন মক্তবে গিয়ে দেখতাম সমস্ত শিক্ষার্থীরা চলে এসেছে, বসার জায়গা নাই- তখন ফারিস্তাদের বলেতে শুনতাম আল্লাহর ওলি এসেছেন, তোমরা বসার জায়গা দাও।
সুবহানাল্লাহ, সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী। গাউসে পাক কেবল ফারিস্তাদের দেখতেনই না, বরং তার কথা শুনতেও পেতেন।
প্রত্যেক মানুষের কাছে অন্তত দুজন ফারিস্তা সব সময় থাকে, কিন্তু সাধারণ মানুষ না তাদের দেখতে পায়, না শুনতে পায়। আসলে গাউসে পাক দো-জাহানের মালিক ও মুখতার মুস্তাফা জানে রহমত সাল্লাল্লাহো আলায়হে ওয়া সাল্লামের মর্যাদা ও ক্ষমতা ও নাত প্রমাণ করে দিয়েছেন৷ যারা বলে থাকে নবী তো আমাদের মতই মানুষ (আস্তাগফিরুল্লাহ), তাদের কে বলুন তোমরা গাওসে পাকের মতোই নও তো নবী পাক সাল্লাল্লাহো আলায়হে ওয়া সাল্লাম এর মত কীভাবে হবে?

ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর  অবদান( পর্ব ৩ - হুজুর গাউসে পাকের জন্ম ও  ব...
26/09/2025

ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর অবদান

( পর্ব ৩ - হুজুর গাউসে পাকের জন্ম ও বংশ পরিচয় )

হুজুর গাউসে পাক জন্মগ্রহণ করেন -
১লা রমজান,৪৭০ হিজরি।
২৩ মার্চ, ১০৭৮ খ্রিস্টাব্দ।

তিনি ছিলেন নূর নবী সাল্লাল্লাহো আলায়হে ওয়া সাল্লাম এর বংশধর। হাসানী ও হুসাইনী সৈয়দ।
তার সম্মানিত পিতা আবু সালেহ মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ছিলেন ইমাম হাসান রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর বংশের। তার সম্মানিত জননী সাইয়্যেদা উম্মুল খায়ের আমাতুল জব্বার ফাতিমা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা ছিলেন ইমাম হোসাইন রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর বংশের।

ইমামে আহলে সুন্নাত ইমাম আহমাদ রেযা খান আলাহির রহমা বলেন,

"নববী মীহ আলবী ফস্ল বতুলী গুলশান,
হাসানি ফুল হুসাইনী হ্যায় মেহেকনা তেরা।।

নববী জিল আলবী বুর্জ বতুলী মঞ্জিল,
হাসানী চাঁদ হুসেইনী হ্যায় উজালা তেরা।।

নববী খুর আলবী কোহ বতুলী মা'দিন,
হাসানী লা'ল হুসাইনী হ্যায় তাজাল্লা তেরা।।"

হুজুর গাউসে পাকের নানাজান হজরত আবি আবদুল্লাহ সোমেয়ী(রহমতুল্লাহ আলায়) যাহেদ ও তাকওয়ায় খুব প্রসিদ্ধ ছিলেন৷ তিনি ছিলেন সাহেবে কামালাত ও কারামাত এবং মুজিবুদ্দাওয়াত।

এককথায় সমস্ত ফজিলত ও কামালাতের জামে হুজুর গাউসে পাকের সত্ত্বা।

হুজুর গওসুল আযমের জন্মস্থান ছিল ইরানের জীলানে। জীলান বা জীল এলাকাটি তিবরিস্তানের অন্তর্ভুক্ত। কেউ কেউ বলেন গীলান বা জীলান বা গীল একটি গ্রামের নাম, যেটা দজলা নদীর তীরে অবস্থিত। এ গ্রামটি বাগদাদ থেকে মাত্র একদিনের পথ। ভূতত্ত্ববিদগণ এর নাম - জীলে আজম, গীলে আজম, গীলে ইরাক ও জীল লিখেছেন।

[ বিঃদ্রঃ - অনেকেই রেফারেন্স জানতে চাইছেন, তাদের জানাই শেষ পর্বে সব রেফারেন্স দিয়ে দেব ইনশাআল্লাহ, প্রতি পর্বে রেফারেন্স দিলে লেখা অনেক বড় হয়ে যাবে, যা ফেইসবুক বা what's app এ সকলে পড়তে চাই না ]

ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর  অবদান ( পর্ব ২ - সমকালীন মুসলিম জাহানের সংক...
26/09/2025

ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর অবদান

( পর্ব ২ - সমকালীন মুসলিম জাহানের সংকট)

হজরত গওসুল আযম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যখন জন্মগ্রহণ করেন তখন আব্বাসী আমল চলছিল। হজুর গওসে পাকের ৯০ বছরের জাহেরী জীবনে(৪৭০- ৫৬১ হিজরি) ৬ জন আব্বাসী খলিফা পরপর মুসলিম দুনিয়া শাসন করেন।এরা হলেন
1. আল মুকতাদী(৪৬৭ হিজরি) →
2. আল মুস্তাযির (৪৮৭ হিজরি) →
3. আল মুস্তার্শিদ (৫১২ হিজরি) →
4. আল রশিদ (৫২৯ হিজরি) →
5. আল মুক্তাফি( ৫৩০ হিজরি) এবং
6. আল মুস্তানজিদ ( ৫৫৫ হিজরি)
এছাড়া ছিল সেলজুক শাসন এবং ফাতেমি বংশের শাসন। যাই হোক। এখানে বিস্তারিত আলোচনার অবকাশ নাই। তাই আমি সমকালীন মুসলিম বিশ্বে যেসমস্ত সংকট দেখা দিয়েছিল তার কয়েকটি পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করেছি।

১. আব্বাসীয় খলিফাদের দুর্বলতা : সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি কমেছিল। ফলে বিশ্বাসঘাতকতা, অন্তঃকলহ, সেলজুগদের সাথে সংঘর্ষ রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে দূর্বল করেছিল। আর এর ফায়েদা নিয়েছিল খ্রিস্টান রাষ্ট্রগুলো।

২. খ্রিস্টান ও ক্রুসেডারদের ষড়যন্ত্র : মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তার ও ইসলামের অগ্রগতিতে সবচেয়ে মর্মাহত হয়েছিল খ্রিস্টানরা। কারণ ইসলামের প্রতিপত্ততে খ্রিস্টানদের অগ্রগতি রুদ্ধ হয়েছিল। আবার স্পেন ও ইতালির মতো খ্রিস্টানপ্রধান এলাকাগুলো মুসলমানদের অধিনে আসায় তারা দিশেহারা হয়ে গেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে খ্রিস্টানেরা সকলে মিলে সংঘবদ্ধ হয়ে ' দি হোলি ওয়ার' বা তথাকথিত 'পবিত্র ধর্মযুদ্ধের' ডাক দেয়। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল যেনতেন প্রকারে ইসলাম ধর্মকে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত করে দেওয়ার। তারা এক এক করে পরাজিত ভূমিকে উদ্ধার করতে শুরু করে এবং বাইতুল মুকাদ্দাসের ভূমিও মুসলমানদের অধিকার থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল। ক্রুসেডারদের হাতে লক্ষ লক্ষ মুসলিম মারা যায়। লক্ষ লক্ষ নারী নিজ সম্ভ্রম হারায়৷

৩. ক্রুসেডারদের ষড়যন্ত্র এবং মুসলিম শাসকদের বিলাসিতার ফলে ইসলামের ভৌগোলিক সম্প্রসারণ এবং সচলতা খুবই ধীর গতিতে হতে থাকে।

৪. বৌদ্ধিক অবমূল্যায়ন : আব্বাসী আমলে গ্রিক দর্শনের গ্রন্থগুলি আরবিতে অনুবাদ করা হয়। এতে ইসলামের মৌলিক আক্বিদাগুলোর ভিতর গ্রিক দর্শনের প্রভাব দেখা দিতে শুরু করে। এক শ্রেণির জনগণ গ্রিক দর্শনের প্রতি প্রভাবিত হতে শুরু করে৷

৫. মানুষের নৈতিক অধঃপতন : একদিকে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা, অপরদিকে বিভিন্ন বাতিল মতবাদের ছড়াছড়ি, অন্যদিকে খরা,দুর্ভিক্ষে মানুষের দুর্ভোগ এবং অর্থনৈতিক সংকটে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে নানান অনৈতিক কাজে যুক্ত হয়ে পড়ে । মানুষের নৈতিক অধঃপতন শুরু হয়।

৬. বাতিল ফিরকার বাড়বাড়ন্ত - মুতাজিলা, জাবারিয়া,কাদারিয়ার মত ভ্রান্ত মতবাদগুলো সরলপ্রাণ মুসলমানদের ইমান নষ্ট করতে সচেষ্ট হয়। রাফেজি, খারেজী, ফেরকাহে গালিয়াহ, ফেরকাহে মারজিয়্যাহ, ফেরকাহে মুশাব্বাহা, ফেরকাহে জাহমিয়াহ আরও অনেক পথভ্রষ্ট ফেরকাহগুলো মানুষদের গোমরাহ করতে তৎপর হয়ে উঠেছিল। অনেক সময় এই বাতিল ফিরকাগুলো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পেত। ফলে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর প্রচার ও প্রসার করা কঠিন হয়ে উঠত।

এছাড়াও হাজারো সমস্যা ও সংকটের মুখোমুখি হয়েছিল সেই সময় ইসলাম ও মুসলিম জাহান। এই সমস্ত সংকট থেকে ইসলাম ও মুসলিম জাহানকে যিনি উত্তরণের পথ দেখিয়েছিলেন, যিনি দ্বীন ও ইমানকে সজিবতা দান করেছিলেন, যিনি ইসলামকে পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন তিনিই ইমামুল আউলিয়া, তাজদারে বেলায়ত, ইমামুল আরেফিন, পীরানে পীর, রওশন জমীর হুজুর গওসুল আজম দস্তেগীর শায়েখ সাইয়্যেদুনা মহিউদ্দিন আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু৷

*ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর  অবদান*( ১ম পর্ব - ভূমিকা)  শ্রেষ্ঠ রাসুল ন...
26/09/2025

*ইসলামের ইতিহাসে বড়পীর শায়েখ আব্দুল কাদির জিলানী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর অবদান*
( ১ম পর্ব - ভূমিকা)

শ্রেষ্ঠ রাসুল নূর নবী হজরত মহম্মদ (ﷺ) এর পৃথিবীতে আগমনের আগে সমাজ ছিল অন্ধকারাচ্ছন্ন। মানবাধিকার বলতে কিছু ছিল না। যত্রতত্র লুন্ঠন, দস্যুবৃত্তি, পাপাচার, অনাচারে ভর্তি হয়ে গেছিল। যুবকেরা ছিল দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ, নারীদের জন্মানোর, সুস্থ ভাবে বাঁচার অধিকারটুকু ছিল না। জাতিবাদ,গোত্রবাদ,বর্ণবাদ,অশিক্ষা,কুশিক্ষা, কুসংস্কারে জর্জরিত সমাজে ন্যায় নীতি নৈতিকতা সহানুভূতি সম্প্রীতি সংহতি - এই শব্দগুলো যেন বিলুপ্ত হয়েছিল জনজীবনে। সামজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বৌদ্ধিক, অর্থনৈতিক সর্বপরি আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে কোনো উন্নতি ছিল না।
আল্লাহর রাসুল (ﷺ) দুনিয়ায় এলেন তাঁর সাহচর্যে মূঢ় মুক মুখরিত হয়ে উঠল।
পৃথিবী সজিব হল, পৃথিবীবাসী বেঁচে থাকার পেল রসদ। নূর নবী ﷺ এর জ্যোতি সমস্ত অন্ধকার দূর করে দিল। তার ﷺ পরশে মানব মহামানবের স্তরে উন্নীত হল। যারা রাহাযান ছিল তারা রাহবার হয়ে গেল। মায়ের পায়ের নীচে জান্নাত এল। মেয়েদের আর জন্মানো মাত্র মেরে ফেলা হত না, বরং কন্যার পিতা কন্যাসন্তান জন্মকে খোদার খাস রহমত রূপে দেখতে লাগলেন। কবি বলেন -
'এক আরব নে আদমি কা বোলবালা কারদিয়া,
খাক কে যাররো কো হামদোসে সুরাইয়া কারদিয়া,
খুদ না থে যো রাহ পার অরো কে হাদী বান গায়ে,
ক্যা নজর থি যিসনে মুরদো কো মাসিহা কারদিয়া।। '

রাসুলুল্লাহ ﷺ সাহাবায়ে কেরামদের জাহির ও বাতিনকে এমন আলোকিত করে দিলেন যে পরবর্তীতে তারা সেই আলোকে বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌঁছে দেওয়ার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করলেন৷

আল্লাহর রাসুল হায়াতুন্নাবী ﷺ এর লোকচক্ষুর আড়ালে যাওয়ার ১০০ বছরের মধ্যে সাহাবায়ে কেরামগণের প্রচেষ্টায় ইসলামের আলো আরব পেরিয়ে ইরাক,ইরান, মিশর,সিরিয়া,প্যালেস্টাইন থেকে নিয়ে সুদূর আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশে পৌঁছে গেল। এর মধ্যে প্রথম ৩০ বছর ছিল খুলাফায়ে রাশেদীনদের সোনালী যুগ, তারপর ৯০ বছর ছিল উমাইয়া রাজবংশের শাসনকাল। এরপর আব্বাসী বংশ এই সুদীর্ঘ মুসলিম ভূখন্ড শাসন করতে শুরু করে।

25/09/2025
23/09/2025

درودِ پاکـــــــ ﷺ سب سے بہترین عبادت ہے🤍
درودِ پاکـــــــ ﷺ روح کی راحت ہے🎈
درودِ پاکـــــــ ﷺ ایک انمول خزانہ ہے💜
درودِ پاکـــــــ ﷺ سب سے پیاری دعا ہے🌹
درودِ پاکـــــــ ﷺ دردوں کی دعا ہے🫀
درودِ پاکـــــــ ﷺمرضوں کی شفا ہے🎉
درودِ پاکـــــــ ﷺ عاشقوں کی غذا ہے🌿
درودِ پاکـــــــ ﷺ مومنوں کی پہچان ہے💚
درودِ پاکـــــــ ﷺ ادنی کو اعلیٰ بنا دیتا ہے🧡
درودِ پاکـــــــ ﷺ پست کو بلند کر دیتا ہے💙
درودِ پاکـــــــ ﷺ سب وظائف کا سردار ہے💚
درودِ پاکـــــــ ﷺ نیکیوں کا سنگھار ہے🌹
درودِ پاکـــــــ ﷺ موتیوں کا ہار ہے درودِ پاکـــــــ ﷺ زندگی کی بہار ہے🌻
درودِ پاکـــــــ ﷺ گناہگار کی لاج ہے❤️‍🩹
درودِ پاکـــــــ ﷺ ولیوں کی معراج ہے🎈
درودِ پاکـــــــ ﷺ دکھ اور درد کا آخری علاج ہے🫀
درودِ پاکـــــــ ﷺ دل ❤️ کی آواز ہے🌿
درودِ پاکـــــــ ﷺ ایک پوشیدہ راز ہے
درودِ پاکـــــــ ﷺ مومن کے لئے مزہ ہے💙
درودِ پاکـــــــ ﷺ رب العزت کی رضا ہے💙
درودِ پاکـــــــ ﷺ آقا صلی اللہ علیہ وآلہ وسلم کی نگاہ ہے
درودِ پاکـــــــ ﷺ کی منزل مــدینــہ ہے💜
درودِ پاکـــــــ ﷺ مضبوط سفینہ ہے💚
درودِ پاکـــــــ ﷺ سے اعمال صاف ہوتے ہیں♥️
درودِ پاکـــــــ ﷺ سے گناہ معاف ہوتے ہی🌹ں
درودِ پاکـــــــ ﷺ زبان کی چاشنی ہے🌹
درودِ پاکـــــــ ﷺ دل کی روشنی ہے🌹
درودِ پاکـــــــ ﷺ آنکھوں کا نور ہے🌻🌻

*درود خضری شریف*♥️
*صَلَّى اللّٰهُ عَلٰى حَبِیْبِہٖ مُحَمـّدٍ وَّآلِہٖ وَاَصحْابِہٖ وَ بَارِکْ وَسَلَّمْ*

Address

Murshidabad

Opening Hours

Monday 9am - 5pm
Tuesday 9am - 5pm
Wednesday 9am - 5pm
Thursday 9am - 5pm
Saturday 9am - 5pm
Sunday 9am - 5pm

Telephone

+918101167517

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Akhtar Qadri posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Akhtar Qadri:

Share