08/08/2025
বিজ্ঞান বলছে—একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ একবার সহবাসে যে পরিমাণ বীর্যপাত করে, তাতে প্রায় ৪০ কোটি শুক্রাণু থাকে। ভাবুন তো, যদি এই ৪০ কোটি শুক্রাণুর প্রত্যেকটি ডিম্বাণুতে পৌঁছাতে পারত, তাহলে ৪০ কোটি শিশুর জন্ম হতো!
কিন্তু বাস্তবে কী হয়? সেই লক্ষ লক্ষ শুক্রাণুর মধ্যে মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০টি কোনোভাবে ডিম্বাণুর কাছাকাছি যেতে পারে। বাকিরা পথের মধ্যে ক্লান্ত হয়ে যায় বা প্রতিযোগিতায় হেরে যায়। আর সেই শত শত শুক্রাণুর মধ্যেও কেবল একটি মাত্র শুক্রাণু ফাইনাল লাইন স্পর্শ করে ডিম্বাণুকে ফার্টিলাইজ করে। সেই বিজয়ী শুক্রাণুটি—আপনি, আমি, আমরা প্রত্যেকেই।
ভেবেছেন কখনো? আপনি যখন এই যুদ্ধ করেছিলেন—
তখন আপনার চোখ, হাত, পা, মস্তিষ্ক—কিছুই ছিল না, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
তখন কোনো ডিগ্রি, কোনো সার্টিফিকেট ছিল না, তবুও আপনি জিতেছিলেন।
কোনো শিক্ষক বা গাইড আপনাকে পথ দেখায়নি, তবুও আপনি গন্তব্যে পৌঁছেছিলেন।
আপনি একা ছিলেন, কিন্তু ফোকাস ঠিক ছিল, তাই আপনি সফল হয়েছিলেন।
তারপরও—
গর্ভে অনেক শিশু নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু আপনি বেঁচে ছিলেন।
অনেক শিশু জন্মের সময়ই মারা যায়, আপনি টিকে ছিলেন।
অনেকেই প্রথম ৫ বছরেই দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়, আপনি বেঁচে গিয়েছিলেন।
অপুষ্টিতে অসংখ্য শিশু হারিয়ে যায়, কিন্তু আপনি রক্ষা পেয়েছিলেন।
বড় হতে গিয়ে অনেকেই জীবন হারায়, কিন্তু আপনি এখনো বেঁচে আছেন।
তাহলে এখন কেন আপনি সামান্য ব্যর্থতায় ভেঙে পড়বেন? কেন ভাববেন “আমি হেরে গেছি”?
আজ আপনার হাত-পা আছে, শিক্ষা আছে, পরিকল্পনা করার মতো মস্তিষ্ক আছে, সাহায্য করার মতো মানুষ আছে—
তবুও আপনি আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন কেন?
যখন জীবনের শুরুতে কারো সাহায্য ছাড়াই, ৪০ কোটি প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে মরণপণ দৌড়ে একাই জিতেছিলেন—
তাহলে আজ কেন হাল ছাড়বেন?
কেন কেউ চলে গেলে আপনি ভেঙে পড়বেন?
কেন একটি ব্যর্থতায় মনে হবে জীবন শেষ?
কেন বলবেন “আমি আর পারব না”?
মনে রাখুন—আপনি জন্মের দিন থেকেই যোদ্ধা। শুরুতে জিতেছেন, শেষেও জিতবেন। শুধু নিজের মনকে জাগিয়ে তুলুন, নিজের প্রতিভা খুঁজুন, স্বপ্নকে গুরুত্ব দিন, আর স্রষ্টার উপর আস্থা রাখুন।
💪 আপনি যেদিন জন্ম নিয়েছিলেন, সেদিনই প্রমাণ করেছিলেন—আপনি হারার জন্য জন্মাননি। আজও সেই শক্তিটাই আপনাকে জিতিয়ে দেবে। ❤️