04/08/2025
আত্মা কিভাবে ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করে?
কোন কোন জন্মের পর মানব জন্ম পাওয়া যায়?
আপনি নিশ্চই শুনে থাকবেন, ৮৪ লক্ষ জন্মের পর আমরা এই দুর্লভ মানব জনম লাভ করে থাকি। অর্থাৎ, আমাদের এই মানব জন্মের আগে আমরা ৮৪ লক্ষ যোনি ভ্রমণ করে এই মানব জনম পেয়েছি। কিন্তু জানেন কি এই আমরা এই ৮৪ লক্ষ জন্মে কোন কোন রূপে জন্মেছি এবং মৃত্যু বরণ করেছি? আসুন সনাতন পৌরাণিক শাস্ত্রের আলোকে জেনে নেওয়া যাক এই ৮৪ লক্ষ জন্মের বৃত্তান্ত।
পুরাণি শাস্ত্রে যাহা আছে বর্ণন
শুন সে চুরাশি লক্ষ যোনি বিবরণ।
আপনারা নিশ্চই অবগত আছেন যে, ঈশ্বর পৃথিবীতে দুই শ্রেণীর প্রাণ সৃষ্টি করে থাকেন। এর প্রথমটি হচ্ছে স্থাবর, তথা যারা একই স্থানে জন্মে এবং একই স্থানে মৃত্যুবরণ করে। আমাদের আশেপাশের গাছপালা, তরুলতা এই শ্রেণীর উদাহরণ। আর দ্বিতীয় শ্রেণীটি হচ্ছে জঙ্গম। অর্থাৎ, যে শ্রেণীর জীব চলাচল করতে পারে।
তো ঈশ্বর স্বর্বপ্রথমে আমাদের সৃষ্টি করেন স্থাবর রূপে। এই রূপে আমরা গাছপালা, তরুলতা বা বৃক্ষরাজি হয়ে পৃথিবীতে শোভা দান করে থাকি। কিন্তু এভাবে কতকাল? রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে, ক্ষরায় শুকিয়ে বা ঝড়ে ভেঙে নিরন্তর চলতে থাকে বৃক্ষ জন্ম। কিন্তু অবশেষে কুড়ি লক্ষ বার গাছপালা রূপে জন্মের শেষে আমাদের জন্ম হয় তুলসী বৃক্ষ রূপে। আর সেই তুলসী গাছের পবিত্র পত্র যখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে অর্পিত হয় তখনই আমাদের মুক্তি মেলে বৃক্ষ জন্ম থেকে। কবি বলেছেন,
বিশ লক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে জনম
তাতে যত কষ্ট হয় অশেষ কারণ।
বিশ লক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে ভ্রমিতে
কত যুগ যুগান্তর যাবে ক্রমেতে।
তো বৃক্ষ জন্মের শেষে আমাদের জন্ম হয় জলজ জীব হিসবে। এই পর্বে আমরা কখনো মৎস্য, কখনো কূর্ম ইত্যাদি রূপ পরিগ্রহ করতে থাকি ঈশ্বরের কৃপা লাভের আশায়। কিন্তু এভাবেও বা যাবে আর কতকাল? অবশেষে আসে মুক্তির সময়। ৯ লক্ষ বার জলজ প্রাণী হিসেবে জন্মের পর আমাদের জন্ম হয় শঙ্খ রূপে। আর যেদিন সেই জলশঙ্খের জল অর্পিত হয় শ্রীগোবন্দের চরণে সেদিনই আমাদের মুক্তি মেলে জলজ যোনী থেকে। তাই কবির ভাষায়,
মৎস্যে কূর্মে নয় লক্ষ বার জন্ম হয়
ভ্রমিতে পাড়িতে জীব কত কষ্ট পায়।
নয় লক্ষ বার জন্ম হয় ধীরে ধীরে
ঘরবাড়ি ঠিক নাই যথা তথা ফিরে।
জলজ যোনী থেকে তো মুক্তি পাওয়া গেল, তবে কি এবার মিলবে মানব জনম? না, এবার আমাদেরকে জন্ম নিতে হয় কীট পতঙ্গ রূপে। কখনো মাছি, কখনো মশা, শুঁয়োপোকা, কেঁচো ইত্যাদি রকমের কীট হয়ে বার ব