http://www.facebook.com/nabadwip007

Nabadwip নবদ্বীপ, Nabadwip, Nadia (2025)

11/08/2025

বাবা বুড়োশিব 🙏🙏

09/08/2025

মা আগমেশ্বরী 🙏

08/08/2025

শবশিবা মাতা 🙏

07/08/2025

নবদ্বীপ পোড়ামা তলা মন্দিরের ইতিহাস সম্বন্ধে কমবেশি অনেকেরই জানা। কিন্তু নবদ্বীপের পোড়ামা তলা মন্দির সংলগ্ন ভবতারণ শিবের প্রতিষ্ঠা কিভাবে হয়, তার ইতিহাস প্রায় অনেকেরই অজানা । আজকে আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে নবদ্বীপের ভবতারণ শিবের প্রতিষ্ঠা এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব।

ভবতারণ শিব মন্দির নবদ্বীপ শহরের প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন একটি শিব মন্দির। এই শিব মন্দিরটি বাংলার মন্দির স্থাপত্যের বিরল কৃতিত্ব। কারণ এটি একটি অষ্টকোণাকৃতি শিখর মন্দির। পশ্চিমবঙ্গ হেরিটেজ কমিশন ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে মন্দিরটিকে নবদ্বীপের হেরিটেজ মন্দির হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। নবদ্বীপের কেন্দ্রবিন্দু পোড়ামাতলায়, মা পোড়ামা মন্দিরের পাশেই এই ভবতারণ শিব মন্দির অবস্থিত।

ঐতিহাসিকদের মতে, রাজা রাঘব ১৬৬৯ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে অপরূপ একটি গণেশ মূর্তি স্থাপন করেছিলেন (যেটি বর্তমানে মা ভবতারিণী মন্দির হিসাবে পরিচিত) । সেই গণেশ মন্দিরের সঙ্গে রাজা রাঘব একটি শিবলিঙ্গ স্থাপনের অভিপ্রায়ে মন্দির নির্মাণকার্য শুরু করেন। কিন্তু মন্দির সম্পন্ন করার পূর্বেই তিনি মারা যান। পিতার অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন তাঁর ছেলে রাজা রুদ্র রায়। ১৬৮৩ থেকে ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজা রুদ্র রায় নবদ্বীপে গৌরীপট্ট সমন্বিত ব্রাহ্মণ্য-সংস্কৃতির প্রথম শিব মূর্তিটি স্থাপন করেছিলেন। তখন সেটি রাঘবেশ্বর শিব নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের গঙ্গার ভাঙন শুরু হওয়ায় এই মন্দিরসহ মূর্তিটি গঙ্গাগর্ভে নিমজ্জিত হয়। তার প্রায় ৬৫ বছর পর রাজা গিরিশচন্দ্র ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে পোড়ামাতলায় শিব মূর্তিটি ভবতারণ নামে পুন:স্থাপিত করেন, যা বর্তমানে ভবতারণ শিব নামে পরিচিত। এই বৃহৎ আয়তাকার শিবলিঙ্গটি মা পোড়ামার মতোই ঐতিহ্যবাহী।🙏🙏