অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক

  • Home
  • অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক

অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক, Magazine, .

মহান মার্ক্সবাদী সাহিত্যিক গোর্কি স্মরণেএই পরিবর্তনশীল প্রকৃতিজগতে যে প্রতিটি ব্যক্তিমানবই পরিবর্তনশীল এবং মানুষ যে সংগ্...
18/06/2025

মহান মার্ক্সবাদী সাহিত্যিক গোর্কি স্মরণে

এই পরিবর্তনশীল প্রকৃতিজগতে যে প্রতিটি ব্যক্তিমানবই পরিবর্তনশীল এবং মানুষ যে সংগ্রামের দ্বারাই তাঁর পরিস্থিতিকে জয় করে ধীরে ধীরে নিজেকে পরিবর্তিত করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়,তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে স্থাপন করে গেছেন যাঁরা, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন পৃথিবী জয়ী সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কি। সাহিত্য সাধনার মাধ্যমে বিশ্বের সর্বকোণে বিখ্যাত হওয়ার মাত্র ১৯ বছর আগে তিনি আত্মঘাতী হতে চেয়েছিলেন। তরুণ বয়স থেকেই কুলি হিসেবে, গুণ টানিয়ে হিসেবে সাধ্যাতীত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি, তাই দারিদ্র্যের সাথে তাঁর সখ্যতা ছেলেবেলা থেকেই। কোন মর্মপীড়া তাঁকে ঠেলে দিয়েছিল অনন্য সাধারণ সাহিত্য সৃষ্টির পথে? গোর্কি কিছু বইপত্র পড়ার মাধ্যমে বুঝেছিলেন, মানুষের স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব এবং সেই স্বাধীনতা বোধের দ্বারা তিনি অনুপ্রাণিত করবেন তাঁরই সাথে খেটে চলা শ্রমজীবী মানুষগুলিকে। ঠিক সেইসময়তেই যখন কাজানে ছাত্র আন্দোলোন ফুঁসছে তাঁর এই সঙ্গীরাই ছাত্রদের পেটানোর জন্য উদ্যত হয়। মানুষের এই হৃদয়হীন নিষ্ঠুরতা তাঁকে বিহ্বল করে তুলেছিল। যন্ত্রণায় পথভ্রষ্ট হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিজের বুকে গুলি চালানোর পরেই যখন হাসপাতালে চোখ খুলে দেখেছিলেন সেই সঙ্গীদের ব্যাথায় বিবর্ণ মুখ, নিজের প্রতি ধিক্কারে ভরে উঠেছিল মন। সেদিনই বুঝেছিলেন, মানুষ আসলে খারাপ নয়, পরিস্থিতিটাই খারাপ যা মানুষকে নিষ্ঠুর করে দিচ্ছে। তাই হতাশা-লজ্জার কথা ভুলে নতুন করে জানতে হবে মানুষকে, জীবনকে, দেশকে এবং এমন একটা আদর্শকে যা মানুষকে উপহার হিসেবে দেয় সংগ্রাম।সেই থেকেই নবজন্ম হল তাঁর।

ম্যাক্সিম গোর্কি যার পুরো নাম আসলে আ্যলেক্সেই ম্যাক্সিমভিচ পেশকভ, জন্মেছিলেন ১৮৬৮ সালের ২৮ মার্চ নিঝনি নভগোরদে। গোর্কির রাজনৈতিক জীবন বহু বিচিত্রময়তায় ভরা। গোর্কি রাজনৈতিক পরিমন্ডলে প্রথম পদার্পণ করেন পপ্যুলিস্টদের মাধ্যমে যাদের সাথে তাকে প্রথম পরিচয় ঘটায় এ.এস ডেরেনকভ। এই ডেরেনকভের বাড়িতে গোর্কি সন্ধান পান বহু নিষিদ্ধ বইপত্রের। পরবর্তীকালে গোর্কি লিখেছিলেন তার সাথে ডেরেনকভের দেখা হওয়ার প্রয়োজনীয়তাঃ "For the first time I saw people whose interest lay beyond the everyday care to satisfy their own needs,people who know the life of the toiling masses,and who believed in the necessity and possibility to change that life". কিন্তু কিছুদিন বাদেই গোর্কি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন যে পপ্যুলিস্টরা যে চিন্তাভাবনা নিয়ে চলে সেগুলির বাস্তব প্রয়োগ আসলে অসম্ভব। তিনি দেখলেন পপ্যুলিস্টরা যা আলোচনা করে তা আসলে কাজে করেনা। যে কৃষি কমিউনের ধারনা নিয়ে পপ্যুলিস্টরা চলত তা আসলে বাস্তব বর্জিত। তিনি স্বেচ্ছায় পড়াশোনা শুরু করলেন একটি পাঠচক্রের মাধ্যমে। তারপর তিনি একটি মিটিংয়ে প্লেখানভের বক্তব্য শুনলেন। সেই মিটিংয়েই তাঁর সাথে সাক্ষাত হয় এন.ই. ফেডেসিভ (Fedaseev) -এর, যে প্রথম কাজানে মার্কসবাদী চক্রের সম্ভাব্য প্রবর্তক। কিছুদিন বাদে তিনি অনুধাবন করতে পারেন একজন ব্যাক্তির পরিবর্তন একমাত্র সম্ভব গোটা সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তনের মাধ্যমে। ১৮৯২ সাল নাগাদ তিনি সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করলেন তার সাহিত্যিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যে। পরবর্তীতে ১৮৯৫ সালে গোর্কি একজন সাংবাদিক হিসেবে লেখা শুরু করলেন সামারা গেজেট ( Samara Gazette) -এ এবং "Iegudiel Khalamida" ছদ্মনামে লিখতে শুরু করলেন। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে তুলে ধরতে শুরু করলেন শ্রমিকদের করুণ অবস্থা, প্রশাসনের দুর্নীতিপরায়নতা। শ্রমজীবী মানুষের হয়ে তিনি লড়াই শুরু করলেন তাঁর কলমের মাধ্যমে। প্রায় ১৪ মাস সময়ের মধ্যে গোর্কি লিখলেন প্রায় ৩০ খানা গল্প ও কবিতা, ৪১৬ টি আলোচনা, ১৮৫ টি হাস্যরসাত্মক প্রবন্ধ এবং বহু আর্টিকেল। ১৮৯৫ এর ৫ মার্চ গোর্কির "Song of the Falcon" সামারা গেজেটে প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তীকালে বিপ্লবীদের প্রিয় কবিতায় পরিণত হয়। এই লেখালেখি করতে গিয়ে তাকে বহুবার জেলে যেতে হয়েছে বহু অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি তাঁর জায়গায় ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, অটল। তাঁর লেখা গল্পগুলি কিছুদিনের মধ্যেই গোটা ইউরোপের শ্রমজীবী মানুষের মনে জায়গা করে নেয়।ইতিমধ্যেই তাঁর যোগাযোগ স্থাপিত হয় RSDLP-র (যা থেকেই পরবর্তিকালে বলসশভিক এবং মেনসেভিক-এ বিভাজন হয়)— তিনি পার্টির কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত হন। তাদের পত্রিকা ইস্ক্রাতে আর্থিক সাহায্য শুরু করেন। ১৮৯৮ থেকে ১৯০৪ গোর্কির সাহিত্য জীবনের চরম উন্নতির যুগ। এই সময় তাঁর লেখার মাধ্যমে তিনি পরিচিত হয়ে উঠতে থাকেন গোটা ইউরোপের জনসাধারণের কাছে। এই সময় শ্রমজীবী মানুষকে তিনি উপহার দেন দুটি উপন্যাস এবং তিনটি নাটক যেগুলি বিপ্লবের ক্ষেত্রে বহু ভূমিকা পালন করেছিল, পরবর্তীতে যখন RSDLP বলশেভিক এবং মেনশেভিকদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়, তিনি ধীরে ধীরে বলশেভিকদের সাথে যুক্ত হন। ২৭ নভেম্বর ১৯০৫ সালে Novaia Zhizn - এর এডিটোরিয়াল অফিসে লেনিনের সাথে তাঁর প্রথম কথা -বার্তা শুরু হয়। আদর্শগত দ্বন্দ্ব সংঘাতের মধ্য দিয়ে তাঁদের সম্পর্ক এগোতে থাকে, যা এক আদর্শ বন্ধুত্বের রূপ পায়। মার্কসবাদ সম্বন্ধে তাঁর জ্ঞান বৃদ্ধি পেতে থাকে লেনিনের সাহচর্যে। ধীরে ধীরে লেখার মাধ্যমে তিনি আত্মনিয়োগ করতে থাকেন বিপ্লবী কর্মকাণ্ডে।

গোর্কির রাজনৈতিক জীবনে যত উথ্থান পতনই থাক না কেন, তাঁর সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে ছিল পরস্পর পরিপূরক দুটি প্রধান প্রসঙ্গ, যাতে উদ্ঘাটিত হয় তাঁর বিশ্ববোধের গহীনতম রহস্য, বাস্তবতার সাথে তাঁর রসসৃষ্টি। সমাজের একেবারে নিচুতলা থেকে বেরিয়ে এসেছে তাঁর সৃষ্টি। শৈশবে যত দুঃখ কষ্ট তিনি সয়েছেন তারই ক্ষতিপূরণ হিসেবে যেন তাঁর লেখাগুলি উঠে এল। প্রথম থেকেই গোর্কির লেখায় ছিল সমাজের বাস্তবতা। তারপর লেনিনের সঙ্গে তারঁ সাক্ষাত ঘটল। তাঁর মাধ্যমে পরিচিত হতে শুরু করলেন মার্কসবাদী আদর্শধারার সঙ্গে। তাঁর লেখার মাধ্যমে মেনে না নেওয়ার বিপ্লবী সংগ্রামী মানবতা যা মানুষকে ভেতর এবং বাইরে থেকে মুক্ত করে। তারপর থেকেই লেখার মাধ্যমে গেয়েছেন মানুষের জয়গান সেই মানুষ যা দুনিয়াকে পরিবর্তন করার শক্তি রাখে।।

আপাত অপরাজেয় শাসক শ্রেণির শোষণের চাকা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব মহামানবেরা নিজ...
17/06/2025

আপাত অপরাজেয় শাসক শ্রেণির শোষণের চাকা ভেঙ্গে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়ে নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যেসব মহামানবেরা নিজেদের সমগ্র জীবন শোষিত-নীপিড়িত মানুষদের জীবন-যন্ত্রণাকে নিজ হৃদয়ে বহন করে চলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস। ধর্মীয় গোঁড়ামি-কূপমন্ডুকতা-অশিক্ষার অন্ধকারে নিমজ্জিত এক সমাজে তাঁর জন্ম। তাঁর হাত ধরে ওড়িয়া সমাজ ধীরে ধীরে সামন্ততান্ত্রিক চিন্তা-চেতনা থেকে মুক্ত হয়ে আত্মমর্যাদাবোধের সাথে বেঁচে থাকবার এক কঠিন লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। ওড়িয়া জাতিতে নবজাগরণের তেজোদীপ্ত ছোঁয়া লাগে তাঁরই চিন্তাধারার মাধ্যমে।
অধুনা ওড়িশায় তখন বন্যা-দুর্ভিক্ষ-মহামারি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ মারা যেত বন্যা-দুর্ভিক্ষ-মহামারির কবলে। শাসক বৃটিশ সরকার এই ব্যাপারে ছিল সম্পূর্ণ উদাসীন। কেউ সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করলে তার পিঠ পাততে হতো চাবুক-বেতের জন্য। এইসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করতেন গোপবন্ধু দাস। ফলে ছাত্রাবস্থাতেই তিনি শুরু করলেন অক্লান্তভাবে পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কঠিন পরিশ্রম — কলেরা ও অন্যান্য মহামারীতে আক্রান্ত বা বন্যা-দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন — সাথে তৈরি হলো বৃটিশরাজের বিরুদ্ধে একরাশ ঘৃণা। দায়িত্ব নিলেন পিছিয়ে থাকা ওড়িয়া সমাজকে শিক্ষিত করার।
১৯০৪ সালে তিনি র‍্যাভেনশ থেকে ম্যাট্রিক পাশ করে কলকাতায় যান আইন পড়তে। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় এবং বড়লোকদের বাড়িতে ভৃত্য হিসেবে কর্মরত ওড়িয়া শ্রমিকদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করেন, চালু করেন নাইট স্কুল। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ‘সমাজে যারা দিয়ে গেল শুধু, পেল না কিছুই’, তাদের জাগার সময় হয়েছে — সময় হয়েছে তাদের আত্মবলে বলীয়ান হয়ে নিজেদের অধিকার বুঝে নেওয়ার।
এরপর তিনি যুক্ত হন বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে এবং স্বদেশী আন্দোলনে। আইন পাশ করে ওড়িশায় ফিরে এসে গ্রামে গ্রামে আন্দোলনের সংবাদ প্রচার করেন। এরপর ক্ষুদিরাম বোস ও শশীভূষণ দাস ওড়িশায় ছাত্র-যুবকদের বিপ্লব মন্ত্রে দিক্ষীত করতে এলে, তাঁদের সংস্পর্শে এসে তিনি অনুপ্রাণিত হন — নিলগিরিতে স্কুল স্থাপন করে ছাত্রদের মধ্যে দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ গড়ে তোলেন। পাশাপাশি চলতে থাকে বন্যা-দুর্ভিক্ষে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াবার জন্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন, ত্রাণ সংগ্রহের কাজ।
এরপর ১৯০৯ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘Universal Education League’, প্রতিষ্ঠা করেন ‘সত্যবাদী স্কুল’। সেখানে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলেরই শিক্ষালাভের অধিকার ছিল। তিনি ধর্মীয় কুসংস্কার, অচ্ছুত প্রথার বিরুদ্ধে আজীবন সংগ্রাম চালান — এমনকি একজন অচ্ছুত ছেলেকে দত্তক নেন — এই ঘটনা আজকের দিনে তথাকথিত আধুনিক সমাজেও সারা ফেলে দেওয়ার মতোই। ফলে সেখানকার ব্রাহ্মণরা ক্ষুব্ধ হয়, জ্বালিয়ে দেয় স্কুলবাড়ি। কিন্তু গোপবন্ধু দাস এই ঘটনায় দমার পাত্র ছিলেন না। তিনি ফান্ড সংগ্রহ করে আবার নির্মাণ করলেন স্কুল বাড়ি। এই স্কুল ওরিশার সহিত্য-সংস্কৃতির নবজাগরণের কেন্দ্রে পরিণত হলো। পরবর্তীতে তিনি ১৯২১ সালে এই স্কুলের জন্য সরকারী অনুদান নিতে অস্বীকার করলেন — পরিচয় রাখলেন নিজের বলিষ্ঠ চরিত্রের। এই স্কুলকে পরিণত করলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ‘ন্যাশনাল স্কুল’-এ। এই রাজ্যে এবং অন্যান্য ওড়িয়া অঞ্চলে আরও ‘ন্যাশনাল স্কুল’ স্থাপিত হলো তাঁরই হাতে তৈরি ‘উৎকল স্বরাজ শিক্ষা পরিষদ’-এর মাধ্যমে।
তিনি পরবর্তীতে উৎকল-বিহারের আইনসভার সদস্য হন এবং তাঁর উদ্যোগকে আরও প্রসারিত করবার চেষ্টা করতে থাকেন। তাঁরই চেষ্টায় মহানদীতে হিরাকুঁদ বাঁধ নির্মিত হয়। এরপর অসহযোগী আন্দোলনে যোগ দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন আইনসভা থেকে। তাঁর নেতৃত্বে ওড়িশার ছাত্র-যুবকরা পুলিশি সন্ত্রাশের পরোয়া না করেই ধর্মঘট-পিকেটিং করে। তাঁর বক্তৃতা জনসাধারণকে উদ্বেল করে দিত। তিনি যেখানে যেতেন, সেখানেই বৃটিশ সরকার ১৪৪ ধারা জারি করা শুরু করে। তিনি জাতীয়তাবাদের ঢেউ তোলার উদ্দেশ্যে এবং ওড়িশার প্রতি কোণে স্বাধীনতা সংগ্রামের বার্তা ছড়িয়ে দিতে ১৯১৯ সালে প্রকাশ করেন ‘সমাজ’ পত্রিকা। এই পত্রিকার মাধ্যমে বৃটিশদের সন্ত্রাসের বিরোধিতা করায় ১৯২২ সালে তাঁর ২ বছরের জেল হয়।
মানবতাবাদী সাহিত্যিক হিসেবেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তিনি ‘সত্যবাদী’ পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করেছিলেন ১৯১৫ সালে। সেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক সমস্যা নিয়ে লিখতেন। তিনি মনে করতেন সাহিত্য সৃষ্টি হওয়া উচিত সাধারণের ভাষায়, যাতে সাহিত্যে রস সাধারণ মানুষেরাও আস্বাদন করতে পারে। তাই তিনি নিজেও সহজ ভাষায় কবিতা লিখতেন। জেলে বন্দি থাকাকালীন সময়ে তিনি তাঁর জীবনের শ্রেষ্ঠ কবিতা রচনা করেছিলেন।
উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস ১৯২৮ সালে লাহোরে যান লালা লাজপৎ রাই প্রতিষ্ঠিত ‘Servants of the People Society’-র বাৎসরির অধিবেশনে। ফেরার পথে ট্রেনে তাঁর জ্বর হয়, যা পরবর্তীতে টাইফয়েড রূপে চিহ্নিত হয়। তবুও তিনি ট্রেন থেকে নেমে বালেশ্বরে বন্যাদুর্গতদের গৃহ পুনর্নির্মাণের কাজ দেখতে যেতে উদ্যত হলে তাঁর বন্ধু পন্ডিত মিশ্র তাঁকে বাঁধা দেন। জ্বর কমলে পরবর্তীতে তিনি কলকাতা যান ওড়িয়া লেবার অ্যাসোসিয়েশনের আমন্ত্রণে এবং সেখানে গিয়ে তাদের সাথে থেকে তাদের সুখ-দুঃখ ভাগ করে নেন। ওড়িশা ফিরে এলে তাঁর ম্যালেরিয়া ধরা পরে। এর মধ্যেই তিনি দরিদ্র-অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে চলেন। অবশেষে অসুস্থ অবস্থায় ১৯২৮ সালের ১৭-ই জুন তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে নেতাজি শোকপ্রকাশ করে তাঁকে ‘ওড়িশার জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক’ বলে উল্লেখ করেন।
আজীবন শোষিত-নিপীড়িত মানুষদের জন্য সংগ্রাম করে যাওয়া নবজাগরণের মনীষা গোপবন্ধু দাসকে তাঁর প্রয়াণ দিবসে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। সাথে সাথে আমরা এও মনে করি, যে জীবন অত্যাচারিত মানুষের মর্মবেদনা উপলব্ধি করে সেই মানুষদের আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করবার জন্য নিবেদিত হয়েছে, যে প্রাণ নিজেকে নিঃশেষিত করেছে শুধুমাত্র শোষণের স্টিম রোলার ভেঙ্গে ফেলবে বলে, যে চিন্তা বলিষ্ঠ চিত্তে মাথা উঁচু করে লড়াই করেছে প্রচলিত সমাজের ক্ষয়ে যাওয়া নীতি-নৈতিকতা ধ্বংস করে নতুন এক উন্নত নীতির ভিত্তিতে মানুষ তৈরি করবে বলে — তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর একমাত্র উপায় হলো নিজের হৃদয়ে শোষিত-নীপিড়িত মানুষদের বঞ্চনার কাহিনী উপলব্ধি করে নিজেকে সময়োপযগী উন্নত আদর্শের বলে বলীয়ান করা এবং আপোষহীন পথে সংগ্রাম করার মাধ্যমে সমস্ত রকম শোষণ-নীপিড়নের অবসান ঘটানো।

16/06/2025
"দেশসেবা কথার কথা নয়। দেশসেবা মানবের শ্রেষ্ঠ সাধনা। স্বার্থ-গন্ধ থাকবে না, প্রাণের ভয় পর্যন্ত থাকবে না, একদিকে দেশসেবক...
15/06/2025

"দেশসেবা কথার কথা নয়। দেশসেবা মানবের শ্রেষ্ঠ সাধনা। স্বার্থ-গন্ধ থাকবে না, প্রাণের ভয় পর্যন্ত থাকবে না, একদিকে দেশসেবক নিজে, আর দিকে তার দেশ, মাঝে আর কিছু থাকবে না। যশ, অর্থ, দুঃখ, পাপ, পূণ্য, ভালো-মন্দ সব যে দেশের জন্য বলি দিতে পারবে, দেশসেবা তার দ্বারাই হবে।"

'এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ , মরনে তাহাই তুমি করে গেলে দান।'
14/06/2025

'এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ , মরনে তাহাই তুমি করে গেলে দান।'

বাংলা নবজাগরণের অগ্রদূতরামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীরি প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য।
06/06/2025

বাংলা নবজাগরণের অগ্রদূত
রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীরি প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্য।

১জুন হেলেন কেলারের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দের বৈচিত্র দ্বারা জগৎ ও জীবনকে চেনার যে বিস্ময়কর ...
01/06/2025

১জুন হেলেন কেলারের প্রয়াণ দিবসে শ্রদ্ধা।

পৃথিবীর রূপ-রস-গন্ধ-স্পর্শ-শব্দের বৈচিত্র দ্বারা জগৎ ও জীবনকে চেনার যে বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা আমাদের শিশুকাল থেকে ধীরে ধীরে পরিণত মানুষ হতে সাহায্য করে, তার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে মাত্র দুইটি ইন্দ্রিয়ের উপর ভর করে যিনি বিশ্ব মণীষার দরবারে আপন জ্যোতিতে ভাস্বর হয়ে আছেন, তিনি হলেন, বিশ্বের বিস্ময় হেলেন কেলার। পৃথিবীর নির্দিষ্ট একটি দেশে জন্ম হলেও তাঁর শিক্ষার আলোকে তিনি নিজেকে সারা বিশ্বের নাগরিক মনে করতেন।

হেলেন কেলারের জন্ম ১৮৮০ সালে ২৭ জুন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর আলাবামা রাজ্যের টাসকাম্বিয়া নামক একটি ছোট্ট শহরের সুখ্যাত কেলার পরিবারে। বাবা ছিলেন, রাষ্ট্রীয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মিস্টার আর্থার কেলার এবং মা ছিলেন, মিসেস কেট অ্যাডাম কেলার। জন্মের পর হেলেন কেলারের নাম রাখা হয়েছিল, হেলেন অ্যাডামস্ কেলার।

জন্মের পর ১৯ মাস বয়স পর্যন্ত তিনি একজন স্বাভাবিক শিশুর মতোই বেড়ে উঠছিলেন, কিন্তু অকস্মাৎ যেমন কালবৈশাখীর কালো মেঘ এক ঝটকায় আকাশের সব আলো কেড়ে নিতে চায় তেমনই এক অজানা ব্যাধি শিশু হেলেনের জীবন থেকে কেড়ে নিল তিনটি ইন্দ্রিয়ের অধিকার। কালবৈশাখীর মেঘ একসময় কেটে যায় কিন্তু শিশু হেলেনের জীবনে তা হল না।তার সুন্দর মায়াময় দুটি নীল চোখ থেকে দৃষ্টিশক্তি চিরতরে বিদায় নিল সাথে সাথে তিনি হারালেন শ্রবন ও বাক্ শক্তি।বিদ্যুৎ ঝলকের মতো শৈশবের ১৯ মাস কাল তাঁর বৃহত্তর জীবনের একটি অধ্যায় রূপে উজ্জ্বল হয়ে ছিল।

একজন দৃষ্টিহীন মূক্ ও বধির শিশুর বেড়ে ওঠা, তার মানসিক যন্ত্রনার কথা, তাকে কিভাবে শিক্ষিত করা যায় সেই চিন্তায় বাবা - মার মনকে সর্বদা ব্যাগ্র করে রাখত।একসময় শব্দহীন ঘন তমিস্রার অন্ধকারে হাতড়ে বেড়ানো অনুভূতিবিহীন নিসঙ্গ প্রস্তরখণ্ডের মতো কন্যাকে নিয়ে পরিবারের দুশ্চিন্তা যেমন বাড়তে লাগল, পাল্লা দিয়ে বাড়তে লাগল শিশু হেলেনের অপ্রীতিকর আচরণ।

১৮৮৬ সালের একদিন ৬ বছরের হেলেনকে নিয়ে মাতাপিতা এক চক্ষু চিকিৎসকের পরামর্শে পৌঁছে যান আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের কাছে, যিনি ঘড়ির অবিষ্কর্তা হিসেবে জগৎবিখ্যাত হলেও যার জীবনের একমাত্র ব্রত ছিল মূক ও বধির শিশুদের শিক্ষা দান। ডক্টর বেল শিশু হেলেনের সুললিত মুখমণ্ডলের প্রতি চোখ পড়তেই তাকে পরম স্নেহে কোলে তুলে নিলেন এবং তাঁর ঘড়িটি হেলেনের হাতের মুঠোর মধ্যে দিলেন।প্রস্তরখন্ডে প্রাণ সঞ্চারের মতো ঘড়ির শব্দের কম্পনে হেলেনের মুখমন্ডল উজ্জ্বল হয়ে উঠল।দৃষ্টিহীন ও মূক বধির হওয়ার পর হেলেন কেলারের হৃদয়ের এই প্রথম অনুভূতি।

এরপর অতলস্পর্শী নিশ্ছিদ্র অন্ধকার ও শব্দবর্জিত গিরিগুহার অভ্যন্তরে প্রভাতের রবি করের ন্যায় প্রবেশ করলেন মিস্ অ্যান সুলিভান শিক্ষয়িত্রী রুপে, ১৮৮৩ সালের ৩রা মার্চ, হেলেনের বয়স ৭ বছর পূর্ণ হতে ৩ মাস বাকি। মিস্ অ্যানের স্নিগ্ধ জোৎস্নার মতো কোমল স্পর্শ তাঁর হৃদয়ের তন্ত্রীতে প্রাণ সঞ্চার করল, তিনি উদ্ভাসিত হলেন।পরবর্তীকালে যা তাঁকে গড়ে তুলেছিল প্রতিভাময়ী ব্যক্তিত্বসম্পন্না এক ঐশ্বর্য্যশালিনী রূপে।

মিস্ সুলিভানের নরম অাঙুলের লক্ষ কোটি স্পর্শে একটি একটি করে খুলে যেতে থাকল হেলেন কেলারের জীবনের সেই দুর্ভেদ্য তমাঘন গুহার দরজাগুলি এবং সেখানে একটু একটু করে প্রবেশ করতে লাগল অনুভূতি,জ্ঞান ও শিক্ষার আলো। ফুলের কোমল পাঁপড়িতে হাত ছুঁয়ে তার সম্পর্কে জ্ঞান।জলের তরল অমৃতময় অনুভব। স্নেহ-মমতা,ভালোবাসা-আনন্দ,অশ্রু-হাসি, দুঃখ-ব্যাথা, ভালো-মন্দ,আদর- আঘাত,চিন্তা-চেতনা,মন-মস্তিস্ক - হৃদয়,সুচিন্তা - কুচিন্তা,অনুরাগ- রিরক্তি, ঠিক- ভুল সমস্ত কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে, তারপর ধীরে ধীরে বৃহত্তর জগতের সাথে পরিচয় করাতে এবং সেখানে বিচরণ করতে শেখালেন টীচার অ্যান্ সুলিভান।

তার দুর্জ্ঞেয় মনের তল পেয়ে মিস অ্যান পরম মমতায় সন্তানস্নেহে তার মনের রুদ্ধ কবাটগুলি খুলতে থাকলেন, হেলেন কেলারও জ্ঞানের জ্যোতিতে দীপ্তীমান হয়ে সংগ্রহ করতে লাগলেন এক একটি জ্ঞানের আকর।কোনো ধরা বাঁধা নিয়মে তাকে শেখাননি মিস্ অ্যান্। অক্লান্ত পরিশ্রম, অসীম ধৈর্যশক্তি এবং হেলেন কেলারের গভীর অধ্যবসায়, অদম্য মানসিক দৃঢ়তায় এগিয়ে যেতে থাকেন তাঁরা।জীবনের দুর্লঙ্ঘ বাঁধাগুলি একের পর এক অতিক্রম করে গভীর আত্মপ্রত্যয়ের সাথে শিক্ষয়িত্রীর হাত ধরে প্রথমে ১৮৯৬ - ১৯০০ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজ স্কুল, পরে ১৯০০- ১৯০৪ সাল পর্যন্ত রাডক্লিফ কলেজ এবং তারপর পার হলেন বিশ্ব বিদ্যালয়ের গন্ডি।

এরপর ঝাঁপ দিলেন বৃহত্তর কর্মজীবনে।সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত দৃষ্টিহীন,মূক বধির বিকলাঙ্গদের কল্যাণের জন্য সমগ্র জীবনব্যাপী তিনি যে নিরলস সংগ্রাম করেছিলেন তা তাঁকে অনন্য ব্যক্তিত্ত্বের অধিকারী করেছে। বৃহত্তর সামাজিক স্বার্থে তিনি ব্যক্তিগত কোনো কষ্ট বা যন্ত্রনাকেই পাত্তা দেননি।সমগ্র জীবন তিনি দৃষ্টিহীন মূক বধির বিকলাঙ্গদের সামাজিক অবহেলার প্রতিবাদে এবং তাদের একজন স্বাভাবিক মানুষের সমকক্ষ হয়ে বাঁচার ও কর্মসংস্থানের দাবীতে আন্দোলন করে গেছেন।তাঁর বৃহত্তর সামাজিক জীবনের এক একটি অধ্যায়ে তিনি যে লড়াই লড়েছেন তা একজন বীর সৈনিকের সমরাঙ্গনের লড়াইয়ের চেয়ে কম নয়।কথা বলতে শেখার পর তিনি তাঁর প্রতিটি শব্দ ব্যবহার করেছেন সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক জীবনের মধ্যে লিপ্ত থেকে।

হেলেন কেলার ছিলেন সমাজতন্ত্রী। ১৯০৯ সালে তিনি আমেরিকান সোস্যালিস্ট পার্টির সদস্য হন।১৯১৭ সালে অক্টোবর মাসে রাশিয়ায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সমর্থনে এবং রাশিয়ার জনগন ও লালফৌজকে অভিনন্দন জানিয়ে বেশ কয়েকটি প্রবন্ধ লেখেন যদিও পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী হিটলারের দাপট বাড়লে তাঁর অধিকাংশ ছাপানো লেখা অন্যান্য সমাজতন্ত্রী লেখকদের লেখার সাথে পুড়িয়ে ফেলা হয়।কিন্তু হেলেন কেলার তাঁর আদর্শ ও বিশ্বাসে অটল ছিলেন।সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তাঁর আগ্রহ সেইসময়ে অনেকেরই পছন্দ হয়নি সেজন্য তাঁকে ভর্ৎসনাও সহ্য করতে হয়েছে কিন্তু তিনি দমে যাননি।সুতীব্র স্পর্শানুভূতি,অপরিসীম মেধা ও অপূর্ব মননশীলতার দ্বারা চরিত্র ও ব্যক্তিত্ত্বের বিকাশে তিনি জয় করেছিলেন অগনিত মানুষের অন্তর।আমেরিকার অখ্যাত বস্তি অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে শ্রমিক পরিবারের মহিলাদের জর্জর অবস্থা ও শিশুদের পুষ্টিহীনতা দেখে তাদের দুঃখের কথা শুনে তিনি অাবেগকম্পিত হয়ে উঠতেন।কয়লাখনির অভ্যন্তরে নেমে শ্রমিকদের কায়িক শ্রম প্রত্যক্ষ করেছেন তিনি। এমনকি দারিদ্রই যে দৃষ্টিহীনতার অন্যতম প্রধান কারণ তাও তিনি তাঁর বক্তব্যে সুস্পষ্ট বলেছেন।১৯৪৬ সাল থেকে শুরু করে ১১ বছরে তিনি মোট ৩৫ টি দেশে ঘুরেছেন এবং সেখানকার দৃষ্টিহীন মূক বধির ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যাপারে সেই দেশের সরকারকে অনুপ্রাণিত করেছেন।১৯৫৫ সালে তিনি ভারতবর্ষে এসে প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর সাথে দেখা করেন।এবং মুম্বাইতে তাকে ডিলিট উপাধিতে সম্মানিত করা হয়। হেলেন কেলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভারতবর্ষ কৃষিপ্রধান দেশ,ফলে ভারতবর্ষে দৃষ্টিহীনদের কর্মসংস্থানের জন্য কৃষিকার্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া আবশ্যক।

১৯৩৬ সালে ২০ অক্টোবর শিক্ষয়িত্রীর মৃত্যুর পর তাঁর লড়াই আরও কঠিনতর হয়ে ওঠে।১৯৪২ সাল থেকে শুরু করে আমৃত্যু তিনি Amarican Foundation For Overseas Blind এর কাজে প্রাণপাত পরিশ্রম করেছেন।দৃষ্টিহীন মূক বধির ছেলেমেদের শিক্ষার জন্য দিবারাত্র নিরলস পরিশ্রম করে অর্থ সংগ্রহের কাজে অবিচল থেকেছেন অপরিসীম ধৈর্যশক্তি, অটুট মনোবল নিয়ে।

সমগ্রজীবন আর্তের সেবায় নিয়োজিত এই মহৎপ্রাণ নারী হেলেন কেলার ১৯৬৮ সালে ১লা জুন ৮৮ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অাকান রাইজের বাড়িতে চিরপ্রশান্তির নিস্তব্ধ শয্যায় শায়িত হলেন, আর উঠলেন না। বিশ্বের বিষ্ময় এই মানবীর জীবনযুদ্ধের কাহিনী তাঁর নানা লেখায় নিবন্ধিত হয়েছে যেমন- " The Story OF My Life", " The World I Live In", " Light In My Darkness " প্রভৃতি গ্রন্থে।
তাঁর কর্মময় বৃহত্তর জীবনের বর্ণনা দেওয়া এই ক্ষুদ্র পরিসরে সম্ভব না হলেও তাঁর প্রতি অন্তরের নিবিড়তম স্থান থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং তাঁর মহত্তম জীবনসংগ্রাম থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাটা অসম্ভব হবে না।

28/05/2025
25/05/2025

আগামীকাল সকাল ৮:৩০ টা, সকলে আসুন।

17/05/2025

Address


Telephone

+917003309593

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অগ্নিবীণা সাংস্কৃতিক ত্রৈমাসিক:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share