Dᴇᴇק קαᎥn

Dᴇᴇק קαᎥn Music--Is--mY--LiFe--Nø--Løvë--Nø--$tûdëy--Nø--wørk--My--AcCoUnT iS VIP-][][][[[][][][][][][][][][][] Wrong Root

সম্প্রতি একটা মেজবানে খাওয়ার টেবিলে একজন ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হল। খাওয়া শেষে পান খেতে খেতে দুজন বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম।...
01/07/2025

সম্প্রতি একটা মেজবানে খাওয়ার টেবিলে একজন ভদ্রলোকের সাথে পরিচয় হল। খাওয়া শেষে পান খেতে খেতে দুজন বেশ কিছুক্ষণ গল্প করলাম। উনারা ৬ ভাই ৪ বোন, যার মধ্যে উনি ছাড়া অন্যরা সবাই বর্তমানে আমেরিকায়। ৮০ এর দশকে বড় ভাই উচ্চশিক্ষার্থে আমেরিকা যাবার পর ধীরে ধীরে অন্যান্য সব ভাই-বোনেরাও মাইগ্রেট করেছেন।

ভদ্রলোক মধ্যপ্রাচ্যে ৫ বছর ছিলেন। বর্তমানে দেশের গার্মেন্টস সেক্টরে স্পেয়ার পার্টসের একটা ব্যবসা করছেন। মধ্যপ্রাচ্যে থাকতে শুরুর ৩ বছর চাকুরি করলেও পরবর্তীতে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন এবং বেশ ভালই ছিলেন। দেশে আসার আগে উনি ব্যবসা সম্প্রসারণ করে আরেকটা দোকানও নিয়েছিলেন।

কৌতুহল হতে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আমেরিকা যান নাই কেন?
উত্তর দিলেন,
- আমি মধ্যপ্রাচ্যে থাকতে বাবা-মাকে ছেড়ে ভাই-বোন সবাইকে একে একে আমেরিকা পাড়ি জমাতে দেখে দেশে ফিরে আসি। আমিও চলে গেলে বাবা-মাকে দেখত কে?

কখনো যেতে ইচ্ছে করেনি?
- হ্যাঁ করেছে কিন্তু বাবা-মাকে একা রেখে যেতে চাইনি। বাবা-মাসহ আমার ইমিগ্রেশন পেপার হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় একটা সড়ক দুর্ঘ&%টনায় বাবা মা&%রা যান। এরপর মাসহ একবার আবেদন করি। কিন্তু যাবার আগেই মায়ের ক্যা&%ন্সার ধরা পড়ে। এরপর তো দুই বছর মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য দৌড়াদৌড়ি করেই পেরিয়ে গেছে৷ কাউকে না কাউকে তো দায়িত্ব নিতেই হত। তাছাড়া বাবা-মায়ের সম্পত্তিগুলো ভাগ-বাটোয়ারা করারও ব্যাপার ছিল, অনেক সময়ের ব্যাপার।

এই সময় অন্য ভাই-বোনেরা আসেনি?
- অল্প কয়েকদিনের জন্য কেউ কেউ এসেছে৷ কিন্তু সবারই তো ভয়াবহ ব্যস্ততা। ছুটি শেষ হলেই চলে যেতে হয়েছে। মৃ&%ত্যুর সময় আমি ছাড়া মায়ের পাশে কেউ ছিল না। মৃ&%ত্যুর পর কয়েকজন এসেছিল।

আপনি খুব ভাগ্যবান ভাই, বাবা-মায়ের অনেক দোয়া পেয়েছেন। তবে মায়ের মৃ&%ত্যুর পর তো আমেরিকা যেতে পারতেন।
- দেশে বাবা-মায়ের ক&%বর রেখে একা কিভাবে যাই। তাছাড়া আমার সবসময়ই ইচ্ছা ছিল, গেলে বাবা-মাকে নিয়ে যাব, নইলে যাব না। এখন তো উনাদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব না, তাই আর যাওয়া হয়নি। আপাতত এখানেই ভাল আছি। মাঝে মাঝে বাবা-মায়ের ক&%বরে গিয়ে দাঁড়াই, উনাদের সাথে কথা বলি আর উনাদের জন্য দোয়া করি। ভাই-বোনেরা কিছু টাকা পাঠিয়েছে, সেগুলো দিয়ে বাবা-মায়ের জন্য কিছু সাদাকায়ে জারিয়ার ব্যবস্থা করেছি।

ভদ্রলোকের গল্পটা শুনে মনে হল, উনাদের মত ব্যতিক্রমী চরিত্রের কিছু মানুষ আছেন বলেই আমাদের সমাজে পারিবারিক সম্পর্কের ভারসাম্যটুকু এখনো টিকে আছে৷ নইলে বহু আগেই ভেঙ্গে পড়ত।

মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো ...
27/06/2025

মাঝ রাতে নিজের ঘর্মাক্ত স্বামীকে বড় বিধবা জা'য়ের ঘর থেকে এলোমেলো অবস্থায় বের হতে দেখে ঠিক কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত তা যেন এই মুহূর্তে ভুলেই গেছে প্রভাতি! নির্বাক হয়ে শুধু দেখছে মানুষটার বলিষ্ঠ শরীরে মাত্র লাগিয়ে আসা চিহৃ,বোঝাই যাচ্ছে খুব চট জলদি বের হয়েছে কাজ শেষ করে যাতে কেউ জানতে না পারে আর তাই তো গায়ের এলোমেলো পোশাক ও ঠিক করে আসতে পারেনি! কিন্তু ভাগ্য হয়তো সহায় ছিলো না তাই না হাতে ধরা পড়ে গেল!

ধরা পড়ে গেছে? আদৌ কি এমনই! না প্রভাতি তো জানতো এই বিষয়ে আগে থেকেই কিন্তু কখনো তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেনি কারন তাতে সমস্যা বাড়তো, সংসারে জটিলতা সৃষ্টি হতো! তারা অস্বীকার করতো , উল্টো আমার উপর আরোপিত হতো সংসার বিচ্ছেদের বদনাম ! লোক মুখে রটিত হতো বিধবা জা''য়ে'র প্রতি হিংসা করেই এরকম মিথ্যা কথা রটাচ্ছি, মৃত ভাসুরে'র সন্তানদের দায়িত্ব না নেওয়ার জন্য‌ই এই পরিকল্পনা রচিত হয়েছে! তাই তো হাতে নাতে ধরার অপেক্ষায় ছিলাম কিন্তু তাতে কি হতো?

এক বছরের জানা শোনার পর বিয়ের আসরে বসে ছিলাম আমি প্রভাতী মিনহাজ আবদুল্লাহ আল রাফি'র সাথে! পারিবারিক ভাবে ঠিক হ‌ওয়া বিয়েটা আমাদের জন্য‌ই এক বছরের সময় দেওয়া হয়েছিলো যাতে একে অপরকে জানতে পারি,বুঝতে পারি! সব কিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী ই চলছিলো! বিয়েও হলো প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর! আড়াই বছরের একটা মেয়েও আছে! অথচ?

মাস পাঁচেক হলো মাত্র বড় ভাসুর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে গেছেন,রেখে গেছেন পরিপূর্ণ এক যুবতী স্ত্রী আর ছয় বছরের একটি ছেলে এবং দুই বছরের একটি মেয়ে! এক কথায় ভরপুর সংসার! আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ির দুই ছেলে এক মেয়ে! মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দুই ছেলে নিয়ে যৌথ সংসার গড়ার ইচ্ছায় উনি দুই ছেলে ব‌উকে নিয়েই এক ছাদের নিচে থাকেন! সুখেই ছিলো সব কিছু! বিয়ে করে এই বাড়িতে আসার পর থেকেই দেখেছি আমার স্বামী আর বড় জা মুক্তার মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব! অনেকে এটাকে ভালো চোখে দেখে তো অনেকেই খারাপ! আমার কাছে কোনরকম লেগেছে তা বুঝতে পারিনি কারন আমি এসব নিয়ে ভাবার ই সময় পাই না! বিয়ের আগে চাকরি করতাম, বাচ্চা হ‌ওয়ার আগ অবধি সেই চাকরি‌ই করতাম তাই ঘরোয়া এইসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজন মনে করি নি! তাছাড়া আমার শ্বাশুড়ির মতে তাদের মধ্যে ভাই বোনের মতো পবিত্র সম্পর্ক আমিও তাই বিশ্বাস করতাম কারন আমিও তো আমার ছোট ভাই আর বড় ভাবির মাঝে ভালো বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক দেখেছি! সত্যি বলতে আমার ভাবীর কাছে আমরা দুই ভাইবোন হলাম সন্তানের মতোই তাই সেই সম্পর্ক নিয়ে খারাপ চিন্তা করাও আমার জন্য গুনাহ মনে হতো! তাছাড়া আমার স্বামী অথবা জা কে কখনো কোন বাজে অথবা চক্ষুশূল কাজ করতে দেখিনি তাহলে সেই সম্পর্ক নিয়ে কোনরকম বাজে চিন্তা করার মতো বিচ্ছিরি কাজ কেমনে করি!

তবে সব টা যেন হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গেলো।আর সেই ঝড় ছিলো আমার ভাসুরে'র হঠাৎ মৃত্যু! আল্লাহ জানেন কেন এই বয়সে ঐ রকম তরতাজা একজন মানুষ কে নিয়ে গেলেন তবে ( আল্লাহর) তার কোন কাজের কৈফিয়ত চাওয়ার দুঃসাহস তো আমার মতো নগন্য বান্দির নেই তাই আর সেই বিষয়ে কথা না ই বলি।

ভাসুরে'র মৃত্যুতে বাড়ি হলো নির্জন নিরব! সব কিছু কেমন থমথমে হয়ে গেছে ! পৃথিবীর নিয়ম অনুসারে এখন ভাসুরে'র বিধবা আর এতিম শিশুদের দায়িত্ব আমাদের মানে আমার স্বামীর উপর ই বর্তায়! তাতে আমার বিশেষ কোন অসুবিধা থাকার কারন নেই, কারন আমি বাস্তবতা বুঝি! আর হয়তো এই বোঝাই আমার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো!

ভাসুরে'র তার স্ত্রী হিসেবে বড় জা যেমন ভেঙে পড়ে, অসহায় হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি আমার স্বামী রাফিও বড় ভাইয়ের হঠাৎ প্রয়ানে স্তব্ধ হয়ে যায়! আর এটাই স্বাভাবিক!

হঠাৎ অসহায় হয়ে পড়া দুই নর নারী একে অপরের সহায়ক হতে চেষ্টা করে, আমিও চুপচাপ দেখে যাই, দেখে যাই বললো মিথ্যা বলা হবে সমর্থন করে যাই!হৃদয়ের আত্নীয়,আত্নার আত্নীয় বিয়োগে একে অপরকে শান্তনা দিতে চেষ্টা করে, তার জন্য ই তাদের বেশির ভাগ সময় কাছাকাছি থাকতে হয়। কিন্তু কে জানতো তারা এক অপরের সহায় হতে গিয়ে আমাকে অসহায় করে দিবে! তারা কাছাকাছি থাকতে গিয়ে এতটাই কাছাকাছি হবে যে আমাকেই ছিটকে পড়ে যেতে হবে!

বাড়িতে আজ মিটিং বসেছে! স্বামী মারা যাবার নয় মাসের মাথায় কিভাবে মুক্তা ভাবী গর্ভবতী হয়! তাও পুরো সাড়ে চার মাসের!এত দিন নাকি বুঝতে পারে নাই তাই কাউকে কিছু বলতে পারে নাই কিন্তু হঠাৎ গুরুত্বপূর্ণ অসুস্থ মনে হ‌ওয়ায় শ্বাশুড়ি মা জোর করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আর তখনই বিস্ফোরিত হয় পুরো বিষয়টি!

আমার স্বামী বসে আছে আমার শ্বশুরের পাশে,তার থেকে কিছুটা দুরে দাঁড়িয়ে আছে আমার জা মুক্তা! শ্বশুরের সামনা-মুখী হয়ে বসেছেন আমার ননাস রাজিয়া সুলতানা, আর তার স্বামী মোতাহার হোসেন এবং আমার শ্বাশুড়ি মা! আর আমি লজ্জায় চুপ করে বসে আছি নিজ ঘরের খাটের দাসা চেপে ধরে! কি ভাবছেন কাঁদছি? উহু কাঁদছি না ! এরকম বিষয়ে কাঁদার কোন কারন ‌ই নেই! কেন কাঁদবো? কেন কাঁদবো আমি! আমি কি কোন অপরাধ করেছি? আমি তো কেদেঁছিলাম প্রথম দিন! উহ দিন নয়! রাত! প্রথমবার যখন আমার স্বামী আমার গভীর ঘুমের সুযোগ নিয়ে নিজের শরীরের জ্বালা মেটাতে বড় ভাইয়ের বিধবার ঘরে গিয়ে দরজা লাগিয়ে ছিলো! যখন ঘুম ভেঙ্গে তাকে পাশে না পেয়ে সন্দেহে বশত ভাসুরে'র দরজায় কান পেতে ছিলাম! শুনতে পেয়েছিলাম তাদের সুখ আর্তনাদ! বুঝতে পেরেছিলাম তাদের মনোবাসনা পূরনের সর্বোচ্চ চেষ্টা!

সন্দেহ কেন করেছিলাম? হঠাৎ কি আর সন্দেহ হয়? না! ধীরে ধীরে হয়! যখন ই অনুভব করলাম শান্তনা'র বানী আওড়াতে আওড়াতে তিন মাসের বিধবা ভাবীর সাথে আমার স্বামী প্রেম বানী'ও আওড়াচ্ছে! সকলের কাছে তা কেবল রসিকতা মনে হলেও আমার কাছে তা রস নিগাড়ানো'র প্রথম ধাপ‌ই মনে হয়েছিলো! পৃথিবীর সমস্ত প্রেমিক প্রেমিকাকে পটাতে যেই বাক্য আওড়ায় তা নিশ্চয়ই ভাবীর সাথে আওড়ায় না তাও কিনা সদ্য বিধবা ভাবীর সাথে আবার সেই পুরুষ যদি হয় এক বাচ্চার বাপ! সে যাই হোক দিনদুপুরে তাদের কর্মকান্ড ই আমাকে সন্দেহ বাতিক হতে বাধ্য করেছে। আর তার প্রমান ও পেয়ে যাই সেই রাতে! তবে বুঝতে পারছিলাম ঘটনা একদিনে নয় কারন প্রথম বারেই কেউ এতটা সাবলীল ভাবে কারো ঘরে প্রবেশ করতে পারে না তার মানে প্রায় সময়‌ই এরকম কাজ করা হতো আমার নাকের ডগায় তা আমার মতো নির্বোধ বুঝতে পারে নি আর তার ই খেসারত এখন দিতে হচ্ছে!

আমার স্বামীকে হাতে নাতে ধরেছি তাও আজ প্রায় সাড়ে তিন মাস হয়ে গেছে! তাকে দেখে নিরবে ঘরে প্রবেশ করি,সে কিছু সময় আতংক,ভয় লজ্জায় কিংবা হতভম্ব হয়েই হয়তো দাঁড়িয়ে ছিলো দরজার সামনে! বুঝতে পারেনি বেচারা! তার মানবিক কাজের বহিঃপ্রকাশ যে এমনে ঘটবে,তার মানব দরদী মনের ভেতরের পাতা যে এভাবে আমার
সামনে উন্মোচিত হবে তা হয়তো ক্ষুনাক্ষরে'ও আন্দাজ করে নি!

এর পর থেকে আলাদা হলো আমাদের বিছানা! সে খাটে আর আমি আড়াই বছরের শিশু কে নিয়ে মেঝেতে মাদুর পেতে থাকতে শুরু করলাম! আর যাই হোক অন্যের একবার ব্যবহৃত জিনিস ব্যবহার করার অভ্যাস আমার নাই! রুচিতে কুলোয় না! আর এটা তো আস্তো একটা মানুষ! যদিও এটা প্রথম আমি‌ই ব্যবহার করেছি তবুও এটা এখন আরো একজনের ব্যবহৃত ! বলা যায় আমার বেড়ে রাখা খাবারের মধ্যে হঠাৎ করেই অন্য একজন নিজের নোংরা হাত দিয়ে দিলো সেটা নিশ্চয়ই আমি খাবো না! এটার ক্ষেত্রে ও তেমনি!

তবে তাতে আমার স্বামীর উপর বেশি একটা প্রভাব ফেললো না কারন যত‌ই বলি সেও পুরুষ মানুষ! আর তাদের কাছে শরীরের ক্ষুধা মেটানো'ই জরুরী সেটা হোক হালাল কিংবা হারাম! তার ক্ষেত্রে সেই বানী মিথ্যা হ‌ওয়ার কোন সুযোগ ই নেই।

অবশ্য প্রথম ১৫ দিন সে কিছুটা শান্ত ছিল, একদম আদর্শ স্বামী হ‌ওয়ার প্রচুর প্রচেষ্টা করলো তাতে আমার হৃদয়ে এক চুল পরিমান টনক ও নড়লো না! অবশ্য সে সেই রাত থেকে শুরু করে পরের পনেরো দিন হাজার ভাবে আমাকে বোঝাতে চেয়েছে,তার করা কাজের হাজারটা যুক্তি দেখাতে চেয়েছে , ক্ষমাও চেয়েছে এমনকি দুই চারবার পায়ে ধরেও ক্ষমা চাওয়ার চেষ্টা করেছে কিন্তু প্রতিবারই আমি এড়িয়ে গিয়েছি! আমি কোন কথা শোনার বা বোঝার বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখাই নি কারন প্রতিবার ই আমার মন বলেছে একবার যে ঠকাতে পারে সে বারবার পারে! সুতরাং এইরকম বিশ্বাসঘাতক, বেইমান, প্রতারক, ছলনাকারীদের দ্বিতীয় সুযোগ দিতে নেই!আমিও তাই করেছি! তবে ভেবেছি হয়তো শুধরে যাবে কিন্তু তেমন কিছু হলো না‌। বরং পনেরো দিন পরেই সে আমাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও নিজের কাজে লেগে পড়ে! আর ধীরে ধীরে দূরে সরে যায় আমার মন মস্তিষ্ক থেকে!

দীর্ঘ দেড় ঘন্টা মিটিং চললো তাতেও কোন সুফল পাওয়া গেছে বলে মনে হলো না,এর মধ্যেই সম্ভবত
মুক্তা ভাবীর মা বাবা ও চলে এসেছে।আমি যদিও দেখিনি তবুও বাইরের চিৎকার চেঁচামেচিতে তাদের গলার ও শব্দ পাচ্ছি! তাই ধারনা করেই বললাম।পুরো সময়'টাই থেমে থেমে শুনতে পেলাম আমার ননাসে'র মুখ থেকে নির্গত হ‌ওয়া কিছু বিচ্ছিরি শব্দ যা ছিলো আমার জায়ের জন্য! তার পাশাপাশি নিজের ভাইকে ও দিলো লানত! আর আমার জন্য চিরায়িত শান্তনা'র বানী শুধু শুনতে পেলাম না তাদের কোন শব্দ!

আমি জানি এই সমস্যার সমাধান আপাতত নাই! কারন যত‌ই হোক আপাতত জা মহিলা গর্ভবতী, আর এই অবস্থায় বিচার বলতে যা হ‌ওয়া উচিত তা আমাদের মডার্ন জগতে চলে না। ঐদিকে যত‌ই হোক পেটের বাচ্চাটা এই বাড়ির সম্পদ বলেই আখ্যায়িত হচ্ছে যদিও এটা কেবল বাচ্চাকে বাঁচানোর একটা প্রচেষ্টা জা"য়ের মা বাবা করছে।আমিও অবশ্য তাতেই খুশি কারন যাই হোক এতে ঐ গর্ভে থাকা অবুঝ প্রাণের কোন দোষ নেই। তাছাড়া এমন একটা সময়ে জানাজানি হলো যে এবরশন ও করানো যাবে না ,মা বাচ্চার জীবনের ঝুঁকি রয়েছে! তাহলে এখন কি হবে? বাচ্চা পেটে থাকতে বিয়ে তো হয় না,আর সবচেয়ে বড় কথা আমার স্বামীর তো ব‌উ আছে! একটা চান্দের মতো বাচ্চা মেয়েও আছে তাহলে? কিভাবে কি হবে! এইদিকে এই কথা যদি বাইরে জানাজানি হয় তাহলে তো এই বাড়ির এত বছরের অর্জিত সম্মান সব ধুলোয় মিশে যাবে! আবার আমার স্বামী মহাশয় গোঁ ধরে বসে আছে,সে বিয়ে করতে পারবে না! কোন মতেই সে তার স্ত্রী সন্তানদের অধিকার ভাগ করতে পারবে না! তার এইসব ছ্যাবলা কথায় আমার পেট ফাটানো হাসি আসছে! মানে শোয়ার সময় মনে হয়নি তার স্ত্রী অধিকার সে ভাগ করছে এখন যখন জানাজানি হলো, বাচ্চার দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপার আসলো তখন তার মনে হচ্ছে অধিকার ভাগ করার যাবে না!

#
ভালোবাসা_নাকি_মোহ

লেখিকা_শেখ_মরিয়ম_বিবি

পর্ব ১

নেক্সট পার্ট গুলো সবার আগে নতুন পেজে দেয়া হবে নীল লেখায় চাপ দিয়ে নতুন পেজ ফলো করে রাখুন

24/06/2025

এক পরীক্ষায় প্রশ্ন আসলো
একটি মশা কিভাবে মারতে
হয়?


• আমাদের বল্টুর উওর ছিলঃ


▶ প্রথমে একটি বাটিতে মরিচের
গুরি পানি দিয়ে গুলিয়ে রাখুন।
মশা রক্ত মনে করে খেতে আসবে। এই
মরিচ গুলানো খেয়ে মশার
ঝালে পানি খেতে যাবে।
পানি খেতে আসলে আপনি মশা টি
কে পানিতে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিন।
▶ তারপর একস্থানে আগুন
জালান, ভেজা মশা আগুনের
কাছে আসবে নিজেকে শুকাতে।
এবার আপনি আবার ধাক্কা দিয়ে
মশা টি কে আগুনে ফেলে দিন।
তারপর যে হাসপাতালে মশাটি
ভর্তি হয়েছে সেখানে যাবে এবার
চুপি চুপি মশার মুখের
অক্সিজেন মাস্ক টি খুলে ফেলুন।
ব্যাস আপনার কাজ
শেষ মরে যাবে মশা টি।

---

রিয়া নিস্তব্ধ।তার মুখে কোনোই কথা নেই। এতকিছু হয়ে গেল তার সাথে তবু সে টু শব্দও করেনি।এদিকে রিয়াদ এসে রিয়ার হাত ধরে টা...
22/06/2025

রিয়া নিস্তব্ধ।তার মুখে কোনোই কথা নেই। এতকিছু হয়ে গেল তার সাথে তবু সে টু শব্দও করেনি।

এদিকে রিয়াদ এসে রিয়ার হাত ধরে টানতে টানতে রুম থেকে বের করে নিয়ে যাচ্ছে।

বাড়ির সবাই এই দৃ,শ্য দেখে নানান রকম প্রশ্ন করলেও কারু প্রশ্নেরও জবাব সে দেয়নি।রিয়াকে নিয়ে সোজা চলে আসে তার শশুড় বাড়ি।

এত সকালে মেয়ে আর নতুন জামাইকে দেখে রিয়ার বাবা মা অবাক হয়ে যায়।

এদিকে রিয়াদ রিয়ার হাতটা ছেড়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় মাটিতে।বলতে শুরু করে..

।।..আপনাদের মেয়েকে দিয়ে গেলাম।আপনাদের কাছেই রাখুন।যে মেয়ে কিনা বিয়ের আগে তার সতীত্ব বিলিয়ে দেয়,তার জায়গা এই রিয়াদ চৌধুরীর বাড়িতে নেই।

রিয়ার বাবা কথা গুলো শুনে যেনো আকাশ থেকে পড়ল। কাকুতি মিনতি করে বলতে লাগলো..

।।.. দেখো বাবা কোথাও হয়তো ভুল হচ্ছে।আমাদের মেয়েকে আমারা এই শিক্ষা দিয়ে মানুষ করিনি।।

।।.. ঠিকই বলছি।কি করে সাহস হয় এই নষ্টা মেয়ের আমার সাথে বিয়ে দেয়ার?কাল ডিভোর্স পেপার পাঠিয়ে দিব যেন সই করে পাঠিয়ে দেয়।

কথাগুলো বলে রিয়াদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেল।এদিকে এখনো রিয়ার মুখে কোনো কথা নেই।চুপ করে বসে আছে।রিয়ার বাবা মা তাকে এমন ভাবে বসে থাকতে দেখে তার কাছে গেল। রিয়ার মা কাদতে কাদতে বলতে লাগলো..

।।..যে মেয়ে আমার অবৈধ সম্পর্ক তো দূরের কথা কখনও কোনো অপরিচিত পুরুষের সাথে কথা পর্যন্ত বলেনি তার নামে এমন অপবাদ। যার হাজারও কল্পনা, স্বপ্ন ছিল যে স্বামী নিয়ে আজ সেই স্বামীই তারে এমন মিথ্যা অপবাদ দিল?

রিয়া মায়ের হাতটা ধরে বলতে লাগলো..

।।..তুমি কিচ্ছু ভেবো না মা সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।আর বাবা?তুমি যত দ্রুত সম্ভব এই শহর ছাড়ার ব্যাবস্থা কর।আমার দূরে কোথাও চলে যাব।

কয়েক দিনের মধ্যে রিয়ারা অন্য শহরে চলে যায়।পেরিয়ে যায় দশটা বছর।রিয়ার পড়াশোনা শেষ হয়েছে।এখন সে এই শহরের একজন নামকরা গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। চেম্বারে বসেছিল। হঠাৎ তিনটা লোক রুমে প্রবেশ করলো।

রিয়া সামনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেল।কারণ তাদের তিন জনের মধ্যে একজন ছিল???

চলবে.....???

গল্পঃ নারীর_সতিত্ব
পর্ব০১

19/06/2025

কমেন্ট করে সেলেব্রিটি হয়ে গেলাম
     
23h 𝗟𝗶𝗸𝗲 𝗥𝗲𝗽𝗹𝘆 😆 79K

17/06/2025

°একটা হাসপাতাল নির্মাণ করলাম😇 ⛅
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │
╱◥███████◣
│田│▓ ∩ │▓ ∩ │.
🌳෴🌳෴🌳෴🌳෴🌳│
😁😂
°[রিয়েক্ট না দেওয়া প্রতিবন্ধীদের জন্য]°🙁

16/06/2025

আপনার পাশে
অন্য জাতির মানুষ আছে বলে আপনি সরে যাবেন না
কারণ। মানুষের সঙ্গে মানুষ মিশলে ভালোবাসা ছড়ায়

14/06/2025

মৃত্যু ও বিয়েতে কি অদ্ভুত মিল

তোমার পালকি উঠলো, আমার খাটিয়া উঠলো। ফুল তোমার উপরও ঝরলো. আমার উপরও ঝরলো। তফাৎ শুধু এতটুকুই ছিল।

তুমি সেজে গেলে, আমাকে সাজিয়ে নিয়ে গেল। তুমি নিজের ঘরে চললে, আমিও নিজের ঘরে চললাম। তফাৎ শুধু এতটুকুই ছিল

তুমি নিজেই উঠে গেলে, আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গেল মাহফিল এখানেও ছিল, লোকজন এখানেও ছিল। তফাৎ শুধু এতটুকুই ছিল

ঐখানে সবাই হাসছিল, এখানে সবাই কাঁদছিল কাজি এখানেও ছিল, মৌলভী এখানেও ছিল দুটো আয়াত তোমার জন্য পড়ল, দুটো আয়াত আমার জন্য পড়ল। তোমার জন্য বিয়ে পড়ালো, আমার জন্য জানাজা পড়ালো। তফাৎ শুধু এতটুকুই ছিল তোমাকে করল আপন, আমাকে করল দাফন।🥹🥹🥹🥹🥹🥹🥹🥹🥹
Ŵājěđ Âķřâm Ŵājěđ Âķřâm

Address

Gorakhpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dᴇᴇק קαᎥn posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share