27/07/2025
সংগীতের প্রাচীন পদ্ধতিগুলো মূলত ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের ভিত্তি রচনা করেছে। এই পদ্ধতিগুলোর উৎপত্তি বৈদিক যুগ থেকে শুরু করে নানা শাস্ত্র, দর্শন ও গুরু-শিষ্য পরম্পরার মাধ্যমে বিস্তার লাভ করেছে। নিচে সংগীতের কিছু প্রাচীন পদ্ধতি আলোচনা করা হলো🌼🌸👇👇
🕉️ ১. বৈদিক সংগীত (Vedic Music)
শুরু হয়েছিল ঋগ্বেদ, সামবেদ ইত্যাদির মাধ্যমে।
সামবেদে মূলত মন্ত্র পাঠকে সুর দিয়ে গাওয়া হত — যাকে বলা হয় সামগান।
এতে নির্দিষ্ট স্বর (উদাত্ত, অনুদাত্ত, স্বরিত) ব্যবহার হত।
🎼 ২. সপ্তস্বর (Sapta Swaras)
সংগীতের মূল ভিত্তি — সাতটি স্বর:
সা, রে, গা, মা, পা, ধা, নি
এই স্বর গুলি থেকেই সমস্ত রাগ ও রচনার সৃষ্টি।
📚 ৩. গান্ধর্ব বেদ (Gandharva Veda)
এটি এক বিশেষ শাস্ত্র যা সংগীত, নৃত্য ও নাট্যকলার উপর ভিত্তি করে রচিত।
গান্ধর্ব বেদ হল সংগীতের প্রাচীন দর্শনের অন্যতম ভিত্তি।
🧘 ৪. নাট্যশাস্ত্র (Natya Shastra – by Bharata Muni)
প্রায় ২০০০ বছর পুরনো গ্রন্থ, যেখানে রস, ভাব, স্বর, তাল, অঙ্গ-উপাঙ্গ ইত্যাদি বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এটি সংগীতের পাশাপাশি নৃত্য ও নাট্যকলার মুল শাস্ত্রও।
🪕 ৫. তাল পদ্ধতি (Tala System)
সংগীতে ছন্দ ও গতি নির্ধারণ করে।
প্রাচীন তাল পদ্ধতিতে: ত্রিতাল, একতাল, ঝাপ্তাল, দাদরা, রূপক প্রভৃতি ব্যবহৃত হত।
📖 ৬. সংগীতশাস্ত্র (Sangeet Shastra)
সংগীত রচনার নিয়ম, রাগ সৃষ্টি, স্বর প্রয়োগ, তাল ব্যবহার এসব নিয়ে বহু প্রাচীন গ্রন্থ রচিত হয়েছে, যেমন:
সঙ্গীতরত্নাকর (শারঙ্গদেব)
সঙ্গীত পারিজাত
বৃহদেশী (মাতঙ্গ মুনি) – এখানে প্রথমবার "রাগ" শব্দ ব্যবহৃত হয়।
৭. গুরু-শিষ্য পরম্পরা
সংগীত শেখার প্রাচীন পদ্ধতি ছিল গুরু-শিষ্য সংযোগে।
গুরুর কাছ থেকে মৌখিকভাবে শিক্ষা লাভ করত ছাত্র।
🎶 ৮. রাগ-রাগিনী পদ্ধতি
রাগ হল বিশেষ ধ্বনির ভিত্তিতে সুরের কাঠামো।
প্রতিটি রাগের নির্দিষ্ট সময়, আবেগ ও পরিবেশ রয়েছে।
প্রাচীনকালে রাগকে পুরুষ রূপে ও রাগিনীকে নারী রূপে কল্পনা করা হত।