20/12/2025
কণ্ঠে তুলসী মালা ধারণ মাহাত্ম্য 📿 তুলসীমালা গলায় না পরলে কি ভক্ত হওয়া যায় না?
📿 তুলসীমালা কণ্ঠে ধারণের কিছু বিশেষ মহিমা:
- বিষ্ণুধামে/ভগবদ্ধামে প্রত্যাবর্তন,
- যমদূতগণ দূর থেকেই পলায়ন করে,
- সর্বতীর্থস্নানের ফল লাভ হয়,
- সমস্ত যজ্ঞের ফল লাভ হয়,
নিৰ্ম্মাল্যতুলসীমালাযুক্তো যশ্চার্চ্চয়েদ্ধরিম্ ।
যদ্যৎ করোতি তৎসৰ্ব্বমনন্তফলদং ভবেৎ ॥
(অগস্ত্য সংহিতা, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩১৯)
শ্রীভগবানে নিবেদিত তুলসীমালা ধারণ করিয়া ভগবানের পূজা ও অন্যান্য সকল ক্রিয়ানুষ্ঠান অনন্ত ফলপ্ৰদ হয়।
তুলসীকাষ্ঠসম্ভূতাং যো মালাং বহতে নরঃ ।
ফলং যচ্ছতি দৈত্যারিঃ প্রত্যহং দ্বারকোদ্ভবম্ ॥
নিবেদ্য বিষ্ণবে মালাং তুলসীকাষ্ঠসম্ভবাম্ ।
বহতে যো নরো ভক্ত্যা তস্য বৈ নাস্তি পাতকম্ ৷
সদা প্রীতমনাস্তস্য কৃষ্ণো দেবকিনন্দনঃ ॥
(গরুড়পুরাণ, শ্রীমার্কণ্ডেয় ঋষি সংবাদ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩৩২-৩৩৩)
প্রত্যহ তুলসী কাঠের মালা ধারণকারী দ্বারকাবাসের ফল পান। প্রসাদী তুলসী মালা ধারণে পাপহীনতা আসে এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁহার প্রতি সন্তুষ্ট থাকেন।
তুলসীকাষ্ঠমালাভির্ভূষিতঃ পুণ্যমাচরেৎ ।
পিতৃণাং দেবতানাঞ্চ কৃতং কোটিগুণং কলৌ ॥
(গরুড়পুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩৩৬)
কলিকালে তুলসীকাষ্ঠ মালা ধারণকারীর দেবকর্ম, পিতৃকৰ্ম ও পুণ্যকৰ্ম কোটি গুণ ফলপ্ৰদ হয়। শ্রীমান গোপাল
তুলসীকাষ্ঠমালান্তু প্রেতরাজস্য দূতকাঃ ।
দৃষ্ট্বা নশ্যন্তি দূরেণ বাতোদ্ধৃতং যথা দলম্ ॥
তুলসীকাষ্ঠমালাভির্ভূষিতো ভ্ৰমতে যদি ।
দুঃস্বপ্নং দুর্নিমিত্তঞ্চ ন ভয়ং শস্ত্রজং কুচিৎ ॥
(গরুড়পুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩৩৭-৩৩৮)
কণ্ঠে তুলসীকাষ্ঠের মালা দেখিয়া যমদূতগণ দূর হইতেই পলায়ন করে এবং ভ্রমণে দু/র্ঘ/ টনা, দুঃ/স্ব/ প্ন বা শ/ স্ত্ৰ জনিত ভ'য় না/ শ হয়।
ধারয়ন্তি ন যে মালাং হৈতুকাঃ পাপবুদ্ধয়ঃ ।
নরকান্ন নিবর্ত্তন্তে দ'গ্ধাঃ কোপাগ্নিনা হরেঃ ॥
(গরুড়পুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩১৭)
হেতুবাদপরায়ণ, পা'পমতি ব্যক্তি মালা ধারণ না করিয়া হরি কোপান'লে দ/ গ্ধী/ভূ/ত হয় এবং নর"ক বাস করে।
তুলসীমালা কণ্ঠে ধারণ বিধি মন্ত্র:
স্কন্দপুরাণ অনুযায়ী, তুলসীকাষ্ঠের মালা ভগবানকে নিবেদন করে সেই প্রসাদী মালা ধারণ করতে হয়, নিবেদন না করে সরাসরি ধারণ করলে ন'রকগামী হতে হয়।
📿 তুলসী ধারণ মন্ত্র:
তুলসীকাষ্ঠসম্ভূতে মালে কৃষ্ণজনপ্রিয়ে ।
বিভৰ্ম্মি ত্বামহং কণ্ঠে কুরু মাং কৃষ্ণবল্লভম্ ॥
(স্কন্দপুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩১২)
হে মালে! হে কৃষ্ণভক্তাদরনীয়ে! হে তুলসী কাষ্ঠ সম্ভবে! আমি তোমাকে কণ্ঠে ধারণ করিতেছি, আমাকে কৃষ্ণের প্রিয়পাত্র কর।
যথা ত্বং বল্লভা বিষ্ণোনিত্যং বিষ্ণুজনপ্ৰিয়া ।
তথা মাং কুরু দেবেশি নিত্যং বিষ্ণুজনপ্রিয়ম্ ॥
(স্কন্দপুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩১৩)
হে হরিবল্লভে! তুমি যেরূপ শ্রীকৃষ্ণ প্রিয়া এবং কৃষ্ণভক্তগণ যেমন তোমাকে সতত আদর করিয়া থাকেন, সেইরূপ আমাকে নিত্য শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়পাত্র কর। শ্রীমান গোপাল
📿 তুলসীমালা কণ্ঠে ধারণ করলে বিষ্ণুধাম:
এবং সংপ্রার্থ্য বিধিবৎ মালাং কৃষ্ণগলেঽর্পিতাম্ ।
ধারয়েদ্বৈঞ্চবো যে বৈ স গচ্ছেদ্বৈষ্ণবং পদম্ ॥
(স্কন্দপুরাণ, শ্রীহরিভক্তিবিলাস, ৪/৩১৫)
বিধান অনুসারে এই ভাবে প্রার্থনা করিয়া যে বৈষ্ণব অগ্রে শ্রীকৃষ্ণের গলায় মালা অৰ্পণ করিয়া পরে নিজের গলায় ধারণ করেন তিনি বিষ্ণুধামে গমন করেন।
যিনি ভগবানের ভক্ত, ভগবানের প্রতি কৃতজ্ঞ, ভগবানের আনুগত্যে রয়েছেন, তিনি নিশ্চয়ই ভগবানের নির্দেশাবলী মেনে চলবেন, তিনি নিশ্চয়ই ভগবানের প্রীতিবিধানের জন্য কার্য করবেন। যাঁর কণ্ঠে তুলসীমালা রয়েছে, তিনি নিশ্চিতরূপে ভগবানের আনুগত্যাধীন, ভগবৎ নির্দেশে শ্রদ্ধাশীল।
-শ্রীমান গোপাল দাস