RudraX

RudraX In a slight different way! In a Slight Different Way!
(2)

পারবে?সত্যিই কি পারবে?যখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ঝলমল করে উঠল ৩৩৮!তখন কি বিশ্বাস হয়েছিল আপনার?এই মেয়েরা পারবে?এই ধুলো-...
30/10/2025

পারবে?
সত্যিই কি পারবে?

যখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোরবোর্ডে ঝলমল করে উঠল ৩৩৮!
তখন কি বিশ্বাস হয়েছিল আপনার?
এই মেয়েরা পারবে?
এই ধুলো-মাটির, ঘাম-ভেজা মেয়েরা?

তাও আবার তাদের বিরুদ্ধে,
সেই অস্ট্রেলিয়া!
যারা কেবল খেলে না,
প্রতিপক্ষের মনোবল ছিন্নভিন্ন করে ফেলে।
যারা জয়ের আনন্দে হাসে না,
প্রতিপক্ষের কান্না শুনে তৃপ্তি পায়।

আজ সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে,
বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে,
আমাদের মেয়েরা মাঠে নেমেছিল।

টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামার মুহূর্তে
যেন সারা দেশ নিঃশব্দে এক প্রার্থনা করেছিল।
কিন্তু তারপর যা ঘটল,
তা ছিল এক দুঃস্বপ্নের শুরু।

ফোবি লিচফিল্ডের ব্যাটে বজ্রপাত।
এলিস পেরির মোলায়েম স্ট্রোকে মৃ*ত্যু*র মতো নির্ভুলতা।
অ্যাশলে গার্ডনারের প্রতিটি শট যেন তলোয়ারের কোপ।
বল উড়ছে, মাঠ পুড়ছে,
আর ভারতীয় বোলাররা দাঁড়িয়ে শুধু আকাশ দেখছে।

ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামের আলো তখনও জ্বলছে,
কিন্তু গ্যালারির মুখগুলো নিস্তব্ধ।
প্রতিটি রান যেন
ভারতের কফিনে পেরেক।

৩৩৮।
ওটা রান ছিল না,
ওটা ছিল এক অভিশাপ,
যেন ভারতের স্বপ্নের ওপর বসা পাথরের শিলালিপি।

অসম্ভব। দুঃসাধ্য। শেষ।
এই তিনটি শব্দ তখন বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছিল।

কিন্তু কেউ জানত না,
এই নীরবতার ভেতরেই জন্ম নিচ্ছে এক বিপ্লব।

৩৩৯ রানের পাহাড়ে চড়ার সূচনা হলো এভাবে।
শেফালি (১০), স্মৃতি (২৪)
দু’জনেই ফিরে গেলেন।
৫৯ রানে ২ উইকেট।
স্টেডিয়াম হঠাৎ পাথরের মতো নীরব।
চোখে একটাই প্রশ্ন,
আবার কি সেই পুরনো কাহিনি?
আবার কি তীরে এসে তরী ডুববে?

কিন্তু আজ নয়।
আজ মঞ্চে নেমেছেন দুই যোদ্ধা।

একজন, হরমনপ্রীত কৌর,
চোখে আগুন, ব্যাটে বজ্র।

অন্যজন, জেমাইমা রড্রিগেজ!
নরম আলোয় শান্ত এক তলোয়ার,
মুম্বাইয়ের মেয়ে, নিজের মাঠে, নিজের লড়াইয়ে।
তিনি যা করলেন পুরো ইউনিভার্স সাক্ষী থাকলো আজ।

তাদের ব্যাটের সংঘাতে
অস্ট্রেলিয়ার অহংকার কাঁপতে শুরু করল।
প্রতিটি রান যেন চ্যালেঞ্জ,
প্রতিটি বাউন্ডারি যেন জবাব,
“আমরা হারব না।”

হরমনপ্রীতের চোখে আগুন,
জেমাইমার চোখে ধ্যান।
একজন বিস্ফোরণ,
অন্যজন নীরব আগুন।

গ্যালারিতে জেগে উঠল ঢেউ,
“ইন্ডিয়া! ইন্ডিয়া!”
ফিল্ডারদের মুখে ভয়ের রেখা।
অ্যালিসা হিলির গলায় গ্লাভসের ঘাম।

১৬৭ রানের জুটি।
দেশ গর্জে উঠল।
অসম্ভব শব্দটা হঠাৎ মিলিয়ে গেল বাতাসে।
আর ঠিক তখনই,
ভাগ্য আবার নিষ্ঠুর হলো।

হরমনপ্রীত আউট, ৮৯ রানে।

গ্যালারির বুক ফেটে কান্না নামল।
মুহূর্তে নেমে এল মৃত্যুর মতো নীরবতা।
সব চোখ ঘুরে গেল জেমাইমার দিকে।

তিনি একা।
তিনি শান্ত।
তিনি জানেন,
আজ শুধু ম্যাচ নয়,
আজ একশো চল্লিশ কোটির আত্মসম্মান তাঁর ব্যাটে ঝুলছে।

দীপ্তি (২৪), রিচা (২৬),
তারা এলেন, যোদ্ধার মতো আ*ঘা*ত দিলেন, চলে গেলেন।
কিন্তু জেমাইমা ছিলেন অবিচল,
যেন মূর্তি, যেন আগুনের ভেতর ঠান্ডা বরফ।

প্রতিটি বল যেন যুদ্ধ।
প্রতিটি রান যেন দেশমাতার এক টুকরো নিশ্বাস।
অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা মরিয়া,
কিন্তু তিনি টলেন না।

যখন সেঞ্চুরি পূর্ণ হলো,
না, তিনি চিৎকার করলেন না।
না, তিনি ব্যাট ঘুরিয়ে দেখালেন না।
শুধু মাথা তুলে তাকালেন আকাশের দিকে।
চোখে জল, ঠোঁটে নিঃশব্দ কৃতজ্ঞতা।
কাজ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি।

তারা দাঁতের দাঁত চেপে লড়তে থাকলেন শেষ পর্যন্ত।
বাউন্ডারি আরেকটা বাউন্ডারি, একরান করে করে সেই মুহূর্তে এসে দাঁড়ালো তারা।

আর তারপর...
শেষ মুহূর্ত।
শ্বাসরুদ্ধকর নীরবতা।
আর মাত্র দুটি রান দরকার।
আমানজ্যোত কৌর ব্যাটে বল লাগালেন,
বল গড়িয়ে গেল মাঠের ফাঁকে,
এবং…

ভারত জয়ী!
৪৮.৩ ওভারে ইতিহাস লেখা হয়ে গেল।

স্টেডিয়াম ফেটে পড়ল।
চোখে জল, মুখে চিৎকার, গলায় গর্বের আগুন।

জেমাইমার অপরাজিত ১২৭ রানের ইনিংস,
এটা শুধু ইনিংস নয়,
এটা এক জাতির মুক্তি।
একটা যুগের জবাব।
“চোকার”?
না। আজ আমরা চোকার নই।
আজ আমরা ইতিহাসের লেখক।

নক আউটে এটি সবচেয়ে বড় জয় যে কোন টিমের এই পৃথিবীতে।

আজ রাতটা আমাদের মেয়েদের।
আজ রাতটা ভারতের।
আজ এই আকাশ জানে,
রক্ত, ঘাম আর চোখের জলে লেখা এক গর্বের অধ্যায়।

যাকে তারা পরাস্ত করেছে তারা অস্ট্রেলিয়া, পৃথিবীর অন্যতম ভয়ংকর টিম। যারা হারতে জানেনা। তাকে বধ করেছে ভারত। বধ করে ফাইনালে প্রবেশ ভারতের।

কিন্তু এখনই লেখার শেষ নয়, এখনো গল্প বাকি রয়েছে! ফাইনাল বাকি রয়েছে।

আমাদের যোদ্ধারা জানে,
যুদ্ধ শেষ হয়নি।
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা অপেক্ষায়।
আজ গর্ব করুন, মানুষের সাথে সেলিব্রেট করুন।
কাল থেকে আবার যুদ্ধের প্রস্তুতি।

কারণ ২রা নভেম্বর,
ইতিহাসের শেষ পাতায়
লিখে রাখতে হবে একটাই কথা,

“আমরাও পারি, আমাদের মেয়েরাও পারে!”

30/10/2025

ভারতের মেয়েরা করে দেখালো!

অস্ট্রেলিয়া বধ ভারতের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে!
😭💗

ওরা ফুরিয়ে যায়নি,আপনি যদি তখন সিডনির বাইশ গজের দিকে তাকিয়ে থাকতেন,তাহলে বুঝতে পারতেন,কিছু একটা হচ্ছে... ধীরে ধীরে, নি...
25/10/2025

ওরা ফুরিয়ে যায়নি,

আপনি যদি তখন সিডনির বাইশ গজের দিকে তাকিয়ে থাকতেন,
তাহলে বুঝতে পারতেন,
কিছু একটা হচ্ছে... ধীরে ধীরে, নিঃশব্দে!

হাওয়ায় ছিল এক অজানা উত্তেজনা।
যেন কেউ চুপচাপ শ্বাস নিচ্ছে,
কিন্তু পরের মুহূর্তেই
সব কিছু উল্টে দিতে প্রস্তুত।

জানেন, জীবনে এমন রাত আসে,
যখন সবকিছু থেমে যায়।

আলো ম্লান,
কণ্ঠস্বর নিঃশেষ,
চারদিকে এক অদ্ভুত স্তব্ধতা।

ঠিক সেই রাতেই সিডনির বাইশ গজে
পৃথিবীর অসংখ্য চোখ এক প্রশ্নে তাকিয়ে ছিল,
ওরা কি ফিরে আসবে?

ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির মতো,
আগুন নিভে গেছে মনে হলেও,
গভীরে গলে গলে জ্বলছে আগুনই।

যারা বলছিল সব শেষ,
তারা জানত না,
আগ্নেয়গিরি ঘুমায়, নিভে যায় না।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন,

“তাদের সময় ফুরিয়েছে।”
“দলের নতুন রক্ত চাই।”
“ওরা আর আগের মতো নেই।”

বিশেষজ্ঞরা রায় দিয়ে ফেলেছেন,
বলার মতো কিছু বাকি রাখেননি।

কিন্তু খেলা কি কাগজে লেখা যায়?
না, খেলা তো হয় বাইশ গজে,
যেখানে বল গড়ায়, ঘাম ঝরে,
আর ইতিহাস নতুন করে লেখা হয়।

পার্থের মাঠে সেই দিনটা
আপনিও হয়তো মনে রেখেছেন।

রোহিত আট, বিরাট শূন্য।
দর্শকরা হতাশ,
সমালোচকরা মুচকি হাসলেন।

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তিরস্কার,
“শেষ হয়ে গেছে তারা।”

কিন্তু আপনি যদি খেয়াল করেন,
প্রতিটি পতনের পর একটা নীরব শক্তি জমে,
যেটা বিস্ফোরণের অপেক্ষায় থাকে।

অ্যাডিলেডে কিছুই বদলালো না।
বিরাটের ব্যাট সেখানেও নীরব।
রোহিত লড়লেন একা, ৭৩।

কিন্তু দল হেরে গেল।
সিরিজ ২-০।

রিপোর্টে লেখা হলো,
“সমাপ্তি।”

আপনি ভাবলেন, হয়তো সত্যিই শেষ।
কিন্তু গল্প এখানেই শেষ হলে
ক্রিকেটের জাদু কোথায় থাকত?

তৃতীয় ম্যাচ, সিডনি।

ডেড রাবার বলে
অনেকেই দেখেননি।

কেউ রিমোট অফ করলেন,
কেউ চ্যানেল পাল্টালেন।

কিন্তু ক্রিকেট আনুষ্ঠানিকতা মানে না,
এখানেই ইতিহাস বদলায়।

শুভমন দ্রুত ফিরলেন।
স্টেডিয়ামে চাপা গুঞ্জন,
“আবার?”

আর ঠিক তখনই,
ধীরে ধীরে জেগে উঠল সেই দমে থাকা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি।

রোহিত আজ ব্যাট হাতে নামলেন না,
নামলেন এক প্রতিজ্ঞা নিয়ে।

প্রতিটি পুল-শট, সুইপ যেন এক উত্তর,
যারা বলেছিল “ফিটনেস নেই”,
তাদের মুখে একে একে জবাব।

বলে, চোখে, হাঁটে,
তিনি বললেন, “আমি এখনও আছি।”

১২১ অপরাজিত।
কিন্তু সংখ্যাটা নয়,
আপনি যদি তাঁর চোখ দেখতেন,
তাহলে বুঝতেন, এটা শুধু ইনিংস নয়,
এটা ছিল পুনর্জন্ম।

অন্য প্রান্তে বিরাট,
দুই ম্যাচের নীরবতার পর
আজ তাঁর ব্যাট কথা বলল জোরে।

৭৪ রান,
প্রতিটি ড্রাইভ যেন নীরবতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ।
রাজা যেন পেলেন তার হারানো রান।

দুজন একে অপরের চোখে তাকিয়ে যেন বললেন,
“ওরা ভেবেছিল আমরা শেষ?
আমরা তো এখন শুরু করেছি।”

এই জয় কেবল রানে নয়,
এটা ছিল ধৈর্যের মহড়া।

রোহিতের পরিকল্পিত আঘাত,
কোহলির নিখুঁত টাইমিং,
এ যেন পিচের ওপর লেখা এক কবিতা।

আপনি খেয়াল করেছেন?
দুজনের মধ্যে কথার প্রয়োজন ছিল না।
চোখের ইশারাতেই চলছিল যুদ্ধ।

ঝুঁকি কমিয়ে, মুহূর্ত বেছে,
তারা জানতেন, কবে আগুন ছাড়তে হয়।

ম্যাচ শেষে যে উল্লাস আপনি দেখেছেন,
তা কেবল জয়ের নয়,
তা ছিল আত্মবিশ্বাসের প্রত্যাবর্তন।

যারা কাল বলেছিলেন “ওরা শেষ”,
আজ তারা চুপ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একটাই সুর,
“ওরা ফিরেছে।”

আপনি যদি তাদের মুখ দেখতেন,
বুঝতেন, এরা ফুরায়নি, এরা জেগে উঠেছে।

হ্যাঁ, সিরিজ হার।
১-২।

কিন্তু আজ যে বার্তা দিল তারা,
তা সংখ্যার চেয়ে অনেক বড়।

বোর্ড, নির্বাচক, সমর্থক
সবাই জানল,
এরা এখনও দেশের হৃদস্পন্দন।

আজ যা শুরু হয়েছে,
তা হয়তো আগামী বিশ্বকাপের ভিত্তি হবে।

অস্ট্রেলিয়াতে রাত্রি নেমে গিয়েছে,
সিডনির বাতাসে এখন আর আগুনের গন্ধ নেই!
আছে উষ্ণতা, আছে বিশ্বাস।

গল্প এখানেই শেষ নয়,
এটাই প্রথম অধ্যায়।

আপনি যদি আজ চোখ বন্ধ করেন,
মনে পড়বে সেই শটগুলো,
যেগুলো শুধু রান নয়,
একটা বার্তা দিয়েছিল,

ওরা ফুরিয়ে যায়নি।
ওরা ছাইচাপা আগুন,
আজ সেই আগুন আবার জ্বলছে,
দাউদাউ করে জ্বলছে।

হ্যাঁ আপনি ঠিকই শুনছেন, ওরা এখনো ফুরিয়ে যায়নি! 💗

সময়? সে তো কারো জন্য থমকে দাঁড়ায় না! নাহ, তোমার জন্যও না! Life is happening NOW ⏳❤️✨দীপাবলীর শুভেচ্ছা আমাদের সকল কাছে...
20/10/2025

সময়? সে তো কারো জন্য থমকে দাঁড়ায় না! নাহ, তোমার জন্যও না!

Life is happening NOW ⏳❤️✨

দীপাবলীর শুভেচ্ছা আমাদের সকল কাছের মানুষকে 💗

19/10/2025

শুভ দীপাবলি। 🙏👏

ঘুচে যাক সকল অন্ধকার। জাগ্রত হোক মনের আলো। সমাজের প্রতিটা ঘরে পৌঁছে যাক সুরক্ষার শিখা। কালীপুজোর আবহে সকল অশুভ শক্তির বিনাশ হোক। 🙏🪷

দরজা-জানলা সব ঠিক করে বন্ধ করেছেন তো?আরেকবার দেখে নিন।আর... আজ রাতে...যদি শোনেন কেউ আপনার খুব চেনা গলায়,আপনার ডাকনাম ধরে...
19/10/2025

দরজা-জানলা সব ঠিক করে বন্ধ করেছেন তো?
আরেকবার দেখে নিন।

আর... আজ রাতে...
যদি শোনেন কেউ আপনার খুব চেনা গলায়,
আপনার ডাকনাম ধরে ডাকছে...
ভুলেও সাড়া দেবেন না।

যদি দেখেন, আপনার ঘরের কোণের সেই অন্ধকার কোণটায়,
যে ছায়াটা এতক্ষণ স্থির ছিল,
সেটা হঠাৎ একটু নড়ে উঠেছে...
জানবেন, ওটা আপনার চোখের ভুল নয়।

উৎসবের সব আলো জ্বলে ওঠার ঠিক আগের এই থমথমে রাতটা...
এমনি এমনি আসেনি।

কালীপুজোর সমস্ত দামামা আর শক্তির আরাধনার আগে,
প্রকৃতিও যেন এক অজানা ভয়ে,
এক গভীর শ্রদ্ধায় মুহূর্তের জন্য চুপ করে যায়।

কারণ এই রাতটার একটা বিশেষ নাম আছে।
একটা নাম, যা শুনলেই আমাদের রক্তের ভেতরে কিছু একটা ঠান্ডা হয়ে আসে।

এই রাতটা হলো... ভূত চতুর্দশী।

আজকের এই লেখায়,
আমরা সেই রাতেরই পর্দা সরাতে চলেছি।

কেন এই রাতে ঠিক চোদ্দোটি প্রদীপ জ্বালাতে হয়?
কেনই বা খেতে হয় চোদ্দো রকমের শাক?

এর পেছনে কী এমন রহস্য লুকিয়ে আছে,
যা আমাদের পূর্বপুরুষেরা হাজার বছর ধরে
তাঁদের বুকের গভীরে আগলে রেখেছেন?

আসুন, সেই রহস্যের গভীরে ডুব দেওয়া যাক...
যদি আপনার সাহস থাকে।

লোককথার পাতায় লেখা আছে ,
বছরের এই একটি রাতেই নাকি জীবিত আর মৃতের জগতের
মধ্যেকার সেই অদৃশ্য পর্দাটা
কুয়াশার মতোই আবছা হয়ে আসে।

খুলে যায় দুই জগতের সংযোগের এক অদেখা দ্বার। যাকে আমরা পোর্টাল বলি।

এই পথেই, আমাদের পূর্বপুরুষেরা,
আমাদের সেই চোদ্দো পুরুষ,
ফিরে আসেন তাঁদের প্রিয়জনদের দেখতে,
তাঁদের ভিটেমাটির চেনা গন্ধ নিতে।

তাঁরা যাতে পথ ভুলে অনন্ত অন্ধকারে হারিয়ে না যান,
সেই পথ দেখানোর জন্যই জ্বালানো হয় এই চোদ্দোটি প্রদীপ।

প্রতিটি প্রদীপের কাঁপা কাঁপা শিখা
অন্ধকারের সমুদ্রে এক একটি আলোকবর্তিকা...
তাঁদের জন্য এক একটি নিমন্ত্রণ।

এই আলো শুধু মাটির প্রদীপের নয়,
এ হলো স্মৃতির আলো, শ্রদ্ধার আলো।

কিন্তু...
একটা খোলা দরজা দিয়ে কি শুধু কাঙ্ক্ষিত অতিথিই আসে?

বিশ্বাস বলে, না।

সেই খোলা দরজার চৌকাঠ ডিঙিয়ে ঢুকে পড়ে অতৃপ্ত আত্মারাও।
অশুভ শক্তি, ক্ষুধার্ত ছায়ামূর্তিরাও এই রাতে বিচরণ করার ছাড়পত্র পায়।

আর তাদের সেই অশুভ দৃষ্টি থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্যই
খাওয়া হয় চোদ্দো রকমের শাক।

এই প্রথাটি হলো প্রকৃতির দেওয়া এক আশ্চর্য বর্ম,
যা শরীরকে শুদ্ধ করে,
অশুভের প্রভাব থেকে আড়াল করে রাখে।

এতো গেলো প্রথম কারণ,

পুরাণের পাতাও এই রাতকে চেনে।
এই তিথিটির আরেক নাম, ‘নরক চতুর্দশী’।

এই রাতেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
এক ভয়ঙ্কর অসুর, নরকাসুরকে বধ করে
পৃথিবীকে তার জমাট বাঁধা অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছিলেন।

তাই এই চোদ্দো প্রদীপের আলো
আসলে সেই মন্দের ওপর ভালোর জয়েরই এক মহাজাগতিক প্রতিধ্বনি...

মা কালীর শক্তির আরাধনার ঠিক আগের মুহূর্তে
অন্ধকারের বিনাশের উদযাপন।

এখন আসল চমক

গল্প তো অনেক হলো।
বিশ্বাস, পুরাণ, লোককথা...
সব মিলিয়ে একটা গা ছমছমে ক্যানভাস।

কিন্তু আপনি যদি ভাবেন, গল্পটা এখানেই শেষ,
তবে আপনি মস্ত বড় ভুল করছেন।

আসল চমকটা তো এখনও বাকি!

যদি বলি,
এই সমস্ত ভয়ের আড়ালে,
এই বিশ্বাসের প্রতিটি ধাপে লুকিয়ে আছে
এক আশ্চর্য, নিখাদ বিজ্ঞান?

যদি বলি,
আমাদের পূর্বপুরুষেরা আসলে গল্পকার ছিলেন না,
তাঁরা ছিলেন একেকজন তুখোড় বিজ্ঞানী,
যাঁরা প্রকৃতির ভাষা পড়তে পারতেন?

তাঁরা জানতেন, আসল ‘ভূত’ কোনটা।

সেই ভূত, যা চোখে দেখা যায় না,
অথচ নিঃশব্দে আমাদের প্রাণ কেড়ে নিতে পারে।

সেই ভূত হলো, রোগ-জীবাণু।

একটু ভাবুন,
এই সময়টা ঠিক কোন সময়?

শরৎ তার সোনাঝরা আঁচল গুটিয়ে বিদায় নিচ্ছে,
আর হেমন্ত তার হিমেল চাদরটা গায়ে জড়াচ্ছে।

এই ঋতু পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে,
যখন আবহাওয়া বদলে যায়,
তখন আমাদের শরীরের দুর্গটা সবথেকে দুর্বল থাকে।

বাতাসে ভেসে বেড়ায় লক্ষ লক্ষ অদৃশ্য ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সেনাবাহিনী।
সর্দি, কাশি, জ্বর...
মহামারীর আকার ধারণ করত এই সময়েই।

আমাদের পূর্বপুরুষেরা এই জীবাণুরূপী ভূতের সাথেই
লড়াই করার এক অব্যর্থ উপায় বের করেছিলেন।

১. চোদ্দো শাকের ভেষজ বর্ম

এই সময়েই প্রকৃতি তার ভাণ্ডার থেকে তুলে দেয়
কিছু আশ্চর্য ভেষজ অস্ত্র।

ওল, বেতো, সর্ষে, নিম...

এই চোদ্দোটি শাকের মিশ্রণ আর কিছুই নয়,
এটা হলো সেই যুগের ‘ন্যাচারাল ইমিউনিটি বুস্টার’,
বা প্রকৃতির তৈরি করা এক আশ্চর্য ভ্যাকসিন।

এই শাকের তেতো রস আমাদের শরীরের
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমন শক্তিশালী করে তোলে
যে বাইরের জীবাণুর আক্রমণ সহজেই প্রতিহত করা যায়।

২. চোদ্দো প্রদীপের স্যানিটাইজেশন

আর সেই চোদ্দো প্রদীপ?

আগেকার দিনে বিদ্যুৎ ছিল না।
প্রদীপ জ্বালানো হতো মূলত সর্ষের তেল দিয়ে।

এই সর্ষের তেলের ধোঁয়া
মশা, মাছি এবং অন্যান্য রোগ বহনকারী পোকামাকড়কে
বাড়ির চৌহদ্দি থেকে দূরে রাখে।

অর্থাৎ, বাড়ির প্রতিটি অন্ধকার কোণায় প্রদীপ জ্বালিয়ে
তাঁরা আসলে গোটা বাড়িটাকে
প্রাকৃতিকভাবে জীবাণুমুক্ত বা ‘স্যানিটাইজ’ করতেন।

তাহলে এবার বুঝলেন?

তাঁরা ভূতের ভয়টাকে একটা রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন,
একটা আশ্চর্য খোলস,
যার ভেতরে ভরে দিয়েছিলেন জীবনদায়ী বিজ্ঞান।

কারণ তাঁরা জানতেন,
সাধারণ মানুষকে বিজ্ঞানের জটিল তত্ত্ব বোঝানোর চেয়ে
একটা গা ছমছমে গল্প শোনানো অনেক সহজ।

মানুষ ভয়ে ভয়ে হলেও নিয়মগুলো ঠিক পালন করবে...
আর তাতে তাদের জীবনটাই সুরক্ষিত থাকবে।

ভূত চতুর্দশী তাই ভয় দেখানোর রাত নয়,
এটা আমাদের পূর্বপুরুষদের প্রখর জ্ঞানের প্রতি
অবাক হওয়ার রাত।

শ্রদ্ধা জানানোর রাত।

যেখানে বিশ্বাস আর বিজ্ঞান এসে একে অপরের হাত ধরেছে।

তাঁরা ভূতের ভয় দেখিয়ে...
আসলে আমাদের জীবন বাঁচাতেন।

তাই পরের বার যখন এই রাতে...
কালীপুজোর আলোর ঠিক আগে...
ঘরের কোণে প্রদীপের কাঁপা আলোয় দেওয়ালের ছায়াগুলোকে নাচতে দেখবেন...

তখন শুধু ভয় পাবেন না।
শ্রদ্ধা করবেন।

তাঁদের হাজার বছরের জ্ঞানকে প্রণাম জানাবেন।

কারণ কিছু গল্প, শুধু গল্প থাকে না...
সেগুলো আমাদের অস্তিত্বের বর্ম হয়ে দাঁড়ায়। 🪔✨

আহারে, ওকে ও দুটো নাড়ু দিও গো 😂❤️✨শুভ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সকলকে 🙏🏻??✨
06/10/2025

আহারে, ওকে ও দুটো নাড়ু দিও গো 😂❤️✨

শুভ কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সকলকে 🙏🏻??✨

ওহ্‌, পাহাড় আবার কাঁদছে বুঝি?তা বেশ।ক্যালেন্ডারের পাতাটা একটু ভিজবে, এই তো?বৈঠকখানার দেওয়ালে টাঙানো ছবির ল্যান্ডস্কেপটান...
05/10/2025

ওহ্‌, পাহাড় আবার কাঁদছে বুঝি?
তা বেশ।

ক্যালেন্ডারের পাতাটা একটু ভিজবে, এই তো?
বৈঠকখানার দেওয়ালে টাঙানো ছবির ল্যান্ডস্কেপটা
না হয় বর্ষার জলে একটু বেশিই সবুজ দেখাবে।

ওদের ওদিকে নাকি কীসব বিপর্যয়-টিপর্যয় হচ্ছে?
বড্ড অসুবিধা তো!
পুজোর ছুটিতে যারা বেড়াতে গেল, আনন্দটাই মাটি।

আসলে পশ্চিমবঙ্গ বলতে আমরা যা বুঝি,
তার একটা নির্দিষ্ট ভূগোল আছে,
একটা নির্দিষ্ট ছন্দ আছে।
সেই ছন্দের শুরুটা হয় মেট্রোর ব্যস্ততায়,
তার বিস্তার ঘটে গঙ্গার হাওয়ায়,
আর তার সমাপ্তি হয় কফি হাউসের ধোঁয়া ওঠা তর্কে।

এইটুকুই তো আমাদের চেনা রাজ্য।
এর বাইরে যা কিছু, সে তো পাহাড় বা গ্রাম।
আর গ্রাম মানেই তো ছুটি কাটানোর জায়গা, তাই না?
সবুজ, শান্ত, সরল।
বছরে একবার কি দু'বার গিয়ে
সেখানকার ‘অকৃত্রিম’ রূপ দেখে আসা যায়,
ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা যায়।

তাদেরও আবার জীবন-যন্ত্রণা আছে নাকি?
আমাদের এখানে যানজট, দূষণ, রাজনৈতিক কোন্দল,
কত বড় বড় সমস্যা!

সে সবের তুলনায়, পাহাড়ের দু-চারটে পাথর খসে পড়া
বা নদীর জল একটু বেড়ে যাওয়া,
এগুলো তো নিতান্তই প্রাকৃতিক ব্যাপার।
ও নিয়ে এত ভাবার কী আছে!

ওদের কান্না তাই আমাদের কানে পৌঁছায় না।
কারণ ছবির কান্না হয় না।
ক্যালেন্ডারের পাতার কোনও আর্তনাদ থাকে না।

বুঝতে পারছেন না কি হয়েছে?
বিপর্যস্ত, তারা বিপর্যস্ত।

এবারের বৃষ্টিটা অন্যরকম।
তার চরিত্রে কোনও কোমলতা নেই।

এক দিন… দুই দিন… তিন দিন…
পাহাড়ের সবুজ রংটা ক্রমশ ফিকে হয়ে
এক ধূসর, বিবর্ণ রূপ নিচ্ছিল।
বাতাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল পাখির ডাক, ঝিঁঝিঁর শব্দ।
শুধু একটানা ঝরে পড়ার একঘেয়ে এক বিলাপ।

তারপর, পাহাড় প্রথমবার মুখ খুলল।
তার ভাষা পাথর আর মাটির।
তার শব্দ এক গভীর, অভ্যন্তরীণ গর্জনের।

শনিবারের মধ্যরাতে,
যখন আমাদের শহর ঘুমে অচেতন,
তখন পাহাড় তার শরীর থেকে প্রথমবার
খসিয়ে দিল যন্ত্রণার প্রথম স্তর,
ধস। ল্যান্ডস্লাইড।

যেন এক বিশালদেহী দৈত্য হাই তুলল।
আর সেই হাইয়ের তোড়ে
বন্ধ হয়ে গেল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক!
পাহাড়ের কণ্ঠনালী।

এরপর একে একে
হিলকার্ট রোড, রোহিনী রোড…
শরীরের সমস্ত শিরা-উপশিরাগুলো
যেন অবশ হয়ে আসতে শুরু করল।

যারা পালাতে চেয়েছিল, তাদের পথ রুদ্ধ।
যারা আশ্রয় খুঁজেছিল,
তাদের মাথার উপরের মাটিটাই সরে যাচ্ছিল।

চূড়ান্ত আঘাতটা এল যখন,
তখন পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল কিছু মুহূর্তের জন্য।

মিরিক আর দুধিয়ার সংযোগকারী,
সেনার ইস্পাত-কঠিন সেতুটা?
বহু বছরের ভরসার শেষ চিহ্ন!
এক উন্মত্ত, ফুঁসতে থাকা নদীর সামনে
শিশুর খেলনার মতো আত্মসমর্পণ করল।

কত পশুরা প্রবল স্রোতে বয়ে গেল অজানার উদ্দেশ্যে।

যারা দেখল,
তাদের চোখের মণিতে সেই দৃশ্য চিরকালের জন্য আঁকা হয়ে গেল। একটা লোহার কাঠামো নয়, ভেঙে পড়ল বিশ্বাস।
ছিঁড়ে গেল সভ্যতার সাথে বহু গ্রামের শেষ সুতোটা।

এরপর অন্ধকার নামল।
শুধু ভৌগোলিক অন্ধকার নয়,
যোগাযোগের অন্ধকার।
অস্তিত্বের অন্ধকার।

ভোরের আলো যখন ফুটল,
তা কোনও নতুন দিনের সূচনা নিয়ে এল না।
নিয়ে এল এক ভয়ংকর হিসাব,
মৃ*ত্যু*র হিসাব।

সতেরো।
একটি সংখ্যা মাত্র নয়,
সতেরোটি অসমাপ্ত গল্প।
সতেরোটি স্বপ্ন।
সতেরোটি পৃথিবী।

মিরিকের নরম মাটিতে মিশে গেল নয়টি তাজা প্রাণ।
সুখিয়ার পাথরের তলায় চাপা পড়ল আরও চারটি নিঃশ্বাস।
আর যারা নিখোঁজ?
তারা সংখ্যা নয়,
তারা এক অনন্ত অপেক্ষা।
এক জীবন্ত যন্ত্রণা।

উদ্ধারকার্য চলছে।
সেনা, এনডিআরএফ, সবাই লড়ছে।
কিন্তু কার বিরুদ্ধে এই লড়াই?
যে বৃষ্টি এই ধ্বংস ডেকে এনেছে,
সেই বৃষ্টিই উদ্ধারকারীদের পথ আটকে দাঁড়াচ্ছে।
যে পাহাড় ধসে গেছে,
সেই পাহাড়ের শরীরই আবার ধসে পড়ার জন্য প্রস্তুত।
প্রতিটি পদক্ষেপ এখানে মৃ*ত্যু*র সাথে বাজি রেখে চলা।
প্রতিটি উদ্ধার, এক একটি অবিশ্বাস্য জয়।

কিন্তু কেন এরকম পরিস্থিতি?

পাহাড় যেন তার নিঃশ্বাস থামিয়ে ধরে,
মাটি তার শিরা-উপশিরায় এক এক করে কান্না ঢেলে দিচ্ছে।
নদীর জল থৈ থৈ করছে, বাতাসও যেন ভারী,

প্রতিটি ঝড়, প্রতিটি বৃষ্টি,
প্রকৃতির এক নিঃশেষ, চুপচাপ আর্তনাদ।
কখনও কখনও মনে হয়, আকাশ তার অভিমান ঝরে ফেলছে।

কিন্তু শুধু প্রাকৃতিক কারণ কি যথেষ্ট?
মানুষের হাতের ছাপও আছে প্রতিটি ধসে, প্রতিটি ঢলে।
পাহাড় কেটে হোটেল, রাস্তা তৈরি, ব্যবসার বিস্তার,
প্রকৃতির ভারসাম্য ছিন্ন হয়ে গেছে।

পাথর, গাছ, নদী, সব যেন চিৎকার করে বলে,
“দেখো, আমাদের ক্ষতি হয়েছে, মানুষ তার হাতের চিহ্ন রেখেছে।”

এবং তারপরও, আমাদের অনেকের চেতনায়
উত্তরবঙ্গ মানে শুধু ছুটির ঠিকানা।।

আর দক্ষিণবঙ্গের শহর, বিশেষ করে কলকাতা এবং তার পারিপার্শ্বিক অঞ্চল?

অনেকে মনে করেন, পুরো রাজ্য শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ।
পাহাড়ের ধস, নদীর ঢলে যাওয়া, মানুষের কষ্ট,
সব যেন দূরের কোনো গ্রহের ঘটনা।
কিন্তু উত্তরবঙ্গ, তার মানুষ, তার পাহাড়,
সবই পশ্চিমবঙ্গের প্রাণ, অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এই মুহূর্তে তাই,
তাদের কথা বলা উচিত, তাদের দুঃখ অনুভব করা উচিত, এগিয়ে আসা উচিত আমাদের।
কারণ তারা শুধুই পর্যটনের গন্তব্য নয়।
তারা আমাদের চেতনার, আমাদের হৃদয়ের অংশ।

জল একদিন নেমে যাবে, রাস্তা আবার তৈরি হবে।
কিন্তু আমাদের অচেতনতা, মানবিক উদাসীনতা,
এই ধসে পড়া পাহাড়ের মতো চেতনায় বসে আছে।
যদি আমরা লক্ষ্য না রাখি, যদি আমরা দেখব না,
তাহলে শুধু প্রকৃতি নয়,
আমাদের সহমর্মিতা, আমাদের বিবেকও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এবার অন্তত তাদের কথা হোক,
ছবি বা ক্যালেন্ডারের পাতা হিসেবে নয়,
নিজেদের চেতনার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে।
কারণ পাহাড়, নদী, মানুষ! সবই পশ্চিমবঙ্গের অংশ।
শুধু ঘুরতে যাওয়ার ঠিকানা নয়,
তাদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ব্যথা অনুভব করা, তাদের উদ্ধার করা ও আমাদের মানবিক দায়িত্ব।

নেতৃত্বের মুকুট হয়তো আজ নেই তব শিরে,বিশ্বকাপের স্বপ্ন হয়তো বা ভেঙেছে ধীরে।তবুও হারায়নি খেলার সে ক্ষুরধার তেজ,তোমার নামেই...
04/10/2025

নেতৃত্বের মুকুট হয়তো আজ নেই তব শিরে,
বিশ্বকাপের স্বপ্ন হয়তো বা ভেঙেছে ধীরে।
তবুও হারায়নি খেলার সে ক্ষুরধার তেজ,
তোমার নামেই আবারও জাগবে দেশের শ্রেষ্ঠত্বের রেশ!

ইতিহাস বলে,মুকুট যতটা না সম্মানের প্রতীক,তার চেয়েও বেশি কাঁটার ভার।ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা কঠিন,কিন্তু সেখান থেকে...
04/10/2025

ইতিহাস বলে,
মুকুট যতটা না সম্মানের প্রতীক,
তার চেয়েও বেশি কাঁটার ভার।

ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে ওঠা কঠিন,
কিন্তু সেখান থেকে নামার পথ,
আরও বেশি পিচ্ছিল, আরও বেশি আকস্মিক।

এই নিয়ম শুধু রাজাদের জন্য নয়,
সত্যি আধুনিক ভারতের সবচেয়ে বড় ধর্ম,
ক্রিকেটের জন্যও।

মার্চ মাসের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পর থেকে দেশ অপেক্ষায় ছিল।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের কোয়াডের ঘোষণা কখন হবে?
কিন্তু প্রত্যাশার মধ্যে ঘনিয়ে উঠেছিল
একটি অদৃশ্য চুপচাপ দৃশ্য!

কারণ মাঠে সবচেয়ে অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র ক্রিকেটাররা, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি, তখনই শেষবারের মতো খেলে ফিরেছিলেন।

দেখা যাক, ভারতীয় ক্রিকেটের এই শক্তিশালী সেনাপতিরা আবার একসাথে কি পথে এগোবে।

দীর্ঘদিনের চুপচাপ পরিবেশ,
শীতল হাওয়ার মতো,
হঠাৎ বেজে উঠল বিস্ফোরক খবর,

ওয়ানডে অধিনায়ক এখন শুভমান গিল।

বজ্রপাতের মতো বিস্ময়।
দেশের কোটি হৃদয় যেন থমকে গেল।

প্রশ্ন জাগলো,
যিনি দলকে একসূত্রে গেঁথেছিলেন,
তাঁকে এভাবে সরানো হলো কেন?

একবুক যন্ত্রণা, এক ভাঙা স্বপ্ন

২০২৩। ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

রোহিত শর্মার দল তখন কেবল খেলছিল না,
শাসন করছিল।

অধিনায়ক নিজে ভুলে গিয়েছিলেন নিজের রেকর্ড,
প্রতি ম্যাচে প্রথম ওভারেই তুলছিলেন ঝড়।
টানা সব ম্যাচ জয়।
ফাইনাল পৌঁছতেই মনে হচ্ছিল,
ট্রফি যেন হাতের নাগালেই।

কিন্তু সেই বিষণ্ণ সন্ধ্যায়,
গোটা দল ব্যর্থ,
ভেঙে গেল কোটি মানুষের স্বপ্ন।

অধিনায়কের অশ্রুসিক্ত চোখ
আজও স্মৃতির পাতায় অমোচনীয়।

অনেকেই ভেবেছিলেন,
এই হার ভেঙে দেবে রোহিতকে।

কিন্তু তিনি হার মানতে শেখেননি।
ভাঙা স্বপ্ন বুকে চেপে
আবারও গড়ে তুললেন দলকে।

লক্ষ্য ছিল একটাই,
হারানো সম্মান ফিরিয়ে আনা।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকার মাঠে
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত নামলো।

একেকটা কঠিন ম্যাচ,
একেকটা সংগ্রাম।

আর শেষে, রোহিত প্রমাণ করলেন,
তিনি শুধু অধিনায়ক নন,
একজন চ্যাম্পিয়ন সেনাপতি।

ভারত ফিরলো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে।

কয়েক মাস যেতে না যেতেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও জয় করলেন রোহিত শর্মা এবং টিম।

তারপর?

সাফল্যের চূড়া থেকে যেন হঠাৎ পতন।

সবাই ভেবেছিল,
রোহিতের বিজয়রথ
আর থামবে না।

কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটে
সাফল্যের পুরস্কার সবসময় সম্মান হয় না।

যিনি দেশকে ফাইনালে তুললেন,
যিনি ট্রফি এনে দিলেন,
তাঁকেই সরিয়ে দেওয়া হলো।

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি

এই দৃশ্য অনেকের মনে করিয়ে দিল
বিরাট কোহলির কথা।

তিনি ছিলেন ভারতের সফলতম টেস্ট অধিনায়ক।
যেদিন তিনি স্বেচ্ছায় টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব ছাড়লেন,
সেদিনই বোর্ড তাঁকে একপ্রকার না জানিয়ে
ওয়ানডের নেতৃত্ব থেকেও সরিয়ে দেয়।

টিম সিলেকশনের মাত্র দু'ঘণ্টা আগে তাকে কমিউনিকেট করা হয় যে বিসিসিআই হোয়াইট বল ক্রিকেটের জন্য দুটি আলাদা ক্যাপ্টেন রাখতে চায় না। অথচ বিরাট কোহলি নিজে বলেছিলেন তিনি ওয়ানডে ক্যাপ্টেন্সি করতে চান ভারতের জন্য।

প্রশ্ন উঠেছিল তখনও,
কিংবদন্তিদের বিদায় কি আরেকটু সম্মানজনক হতে পারতো না?

রোহিতের অধ্যায় যেন
সেই পুরনো ক্ষতই আবার নতুন করে খুলে দিল।

বোর্ডের রাজনীতি ও ভবিষ্যতের দোহাই?

ক্রিকেট বোর্ডের অন্দরমহল
সবসময়ই রহস্যে ঘেরা।

অতীত দেখায়,
সৌরভ গাঙ্গুলিও বোর্ড রাজনীতির শিকার হয়েছিলেন।

এবারও একই দৃশ্য।
“ভবিষ্যতের জন্য দল গঠন”,
এই অজুহাতে বর্তমানের সফল সেনাপতিকে সরানো হলো।

শুভমান নিঃসন্দেহে এই প্রজন্মের রাজপুত্র।
তাঁর ব্যাটিং, তাঁর প্রতিভা নিয়ে
কোনো প্রশ্ন নেই। তিনি ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসেবে একজন সঠিক খেলোয়াড় সে নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। ভবিষ্যতে আমরাই জোর গলায় সাপোর্ট করব সেটি।

কিন্তু,
অভিজ্ঞতা?

বিশ্বকাপের আগে
প্রায় শূন্য অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা নিয়ে
তিনি কি সামলাতে পারবেন সেই চাপ?

২০০৯ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাথে যখন সিলেকশন কমিটির মিটিং হচ্ছে, তখন সিলেকশন কমিটির কেউ বলেছিলেন ক্রিকেট বিশ্বকাপের এখনো দুবছর বাকি আছে।

প্রত্যুত্তরে মহেন্দ্র সিং ধোনি বলেছিলেন, ক্রিকেট বিশ্বকাপের মাত্র দু'বছর বাকি রয়েছে। কিছু বুঝতে পারছেন?

২০২৭ সালের বিশ্বকাপ হবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে।
কঠিন পিচ, অচেনা পরিস্থিতি।

সেখানে কি রোহিত শর্মার মতো একজন অভিজ্ঞ সেনাপতির শেষবারের মতো প্রয়োজন ছিল না?

যাঁর মাথায় আছে অগণিত রণনীতি,
যিনি জানেন সংকটে দলকে কীভাবে শান্ত রাখতে হয়?

তাঁকে কি আরেকবার সুযোগ দেওয়া যেত না? অথবা এরকম কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের শেষটা কি আরেকটু মধুর করা যেত না দেশের স্বার্থে? কারণ তাতে দেশের ক্ষতির চেয়ে লাভই হতো আসলে।

তাহলে প্রশ্নটা শুধু রোহিত শর্মাকে নিয়ে নয়।

প্রশ্নটা আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতির ভিতরকার।

এটা কি সত্যিই এক নতুন ভোরের সূচনা?
নাকি ক্ষমতার অলিন্দে লেখা হলো
আরেক কিংবদন্তির অসম্মানজনক বিদায়ের গল্প?

আপনি, একজন সমর্থক,
এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে
কোন দিকে রায় দেবেন?

ঢাকের বাদ্যিটা কেমন যেনআস্তে আস্তে কমে আসছে, তাই না?প্যান্ডেলের আলো ঝলমলে ভিড়টা এখনো আছে,কিন্তু সবার মুখে চাপা বিষাদের স...
01/10/2025

ঢাকের বাদ্যিটা কেমন যেন
আস্তে আস্তে কমে আসছে, তাই না?
প্যান্ডেলের আলো ঝলমলে ভিড়টা এখনো আছে,
কিন্তু সবার মুখে চাপা বিষাদের সুর।

আজ নবমী।
মায়ের চোখে বিদায়ের জল চিকচিক করছে।
চারটে দিন স্বপ্নের মতো কেটে গেল,
টেরই পাওয়া গেল না।

শিউলি ফুলের গন্ধ
এখনও ভাসছে বাতাসে,
তবু তার মাঝেই
মনখারাপের রেশ।

মনে হয়,
এই রাতটা যদি শেষ না হতো!
ঘড়ির কাঁটাটা যদি থেমে যেত!
আর একটা রাত যদি
মায়ের মুখটা প্রাণভরে দেখা যেত!

পুজো মানে তো শুধু উৎসব নয়,
পুজো মানে মায়ের ফিরে আসা,
ঘরের মেয়ের ঘরে ফেরা।
আজ সেই মেয়েকে বিদায় জানানোর পালা।

মনটা চাইছে,
চিৎকার করে বলি,
“মা, আর একটা দিন থেকে যাও!”
কিন্তু তা তো হয় না।
বছরকার এই চারটে দিনের জন্যই
আমাদের এত অপেক্ষা।

কাল ভাসান।
সিঁদুর খেলার আনন্দেও
মিশে থাকবে একরাশ অভিমান।
আবার এক বছরের অপেক্ষা।

এই রাতটুকুই আমাদের,
আনন্দ, স্মৃতি, ভালোবাসা।
উৎসব শেষের আগে
শেষবারের মতো
নিজেদের উজাড় করে দেওয়ার রাত।

আসছে বছর আবার হবে।
এই বিশ্বাসটুকু নিয়েই তো বেঁচে থাকা।

শুভ নবমী! 😭💗

বাংলার সবচেয়ে উঁচু দুর্গাপুজো, কামালপুর, রানাঘাট ❤️✨
30/09/2025

বাংলার সবচেয়ে উঁচু দুর্গাপুজো,
কামালপুর, রানাঘাট ❤️✨

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RudraX posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RudraX:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share