Tapan Chatterjee Official

Tapan Chatterjee Official Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Tapan Chatterjee Official, Digital creator, Purulia.

10/08/2025

Big shout out to my newest top fans! Piku Mukherjee, Roy Rahul Roy

আজকের সেরা ছবি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পোস্ট এ দেখে পোস্ট করলাম। মুম্বাইয়ের ষোল বছর বয়সী অনমতা আহমেদ তার অঙ্গ দাতার ভাই ১৪...
09/08/2025

আজকের সেরা ছবি। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পোস্ট এ দেখে পোস্ট করলাম।
মুম্বাইয়ের ষোল বছর বয়সী অনমতা আহমেদ তার অঙ্গ দাতার ভাই ১৪ বছর বয়সী শিবম মিস্ত্রিকে রাখী পরাচ্ছে। ঠিক সেই হাত দিয়েই যে হাত দিয়ে সে তার প্রয়াত বোন রিয়ার কাছ থেকে রাখী পরতো!

09/08/2025
আজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ৯ই আগস্ট দিনটি ছিল বাংলা তথা সারা দেশের বিনোদন জগতের এক মাইলস্টোন। এই দিনেই সাদা কালো একফ...
09/08/2025

আজ থেকে ৫০ বছর আগে, ১৯৭৫ সালের ৯ই আগস্ট দিনটি ছিল বাংলা তথা সারা দেশের বিনোদন জগতের এক মাইলস্টোন।
এই দিনেই সাদা কালো একফালি ম্যাজিক বক্সের মধ্যে দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে কলকাতার প্রথম টেলিভিশন। রাধা স্টুডিওর এক চিলতে ঘরে যাত্রা শুরু হয়েছিল দূরদর্শন কেন্দ্র কলকাতার। এখনকার ইন্টারনেটের যুগে যদিও সেই উদ্দীপনার আঁচ পাওয়া মুশকিল। দীর্ঘ পাঁচ দশক পেরিয়ে দূরদর্শন বাংলা তার স্বকীয়তা বজায় রেখে এগিয়ে চলেছে আজও। দূরদর্শনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পিছনে যেমন তার কর্মীদের অবদান রয়েছে সেরকম রয়েছেন অনেক দর্শকরাও , অনেক চ্যানেলের ভিড়েও যাদের মনের মধ্যে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে ডিডি বাংলা।
আজ ডিডি বাংলার জন্মদিন। পঞ্চাশ পেরিয়েও চির সবুজ মনোরঞ্জনে।।

♥আজ রাখী পূর্ণিমা♥রাখিবন্ধন উৎসব ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। চিরদিন রক্ষা করার অঙ্গীকারই রাখিবন্ধনের  মূল কথা ...
09/08/2025

♥আজ রাখী পূর্ণিমা♥
রাখিবন্ধন উৎসব ভারতের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। চিরদিন রক্ষা করার অঙ্গীকারই রাখিবন্ধনের মূল কথা । রাখি পূর্ণিমার এই বিশেষ দিনটিতে বোনেরা তাদের ভাই বা দাদার হাতে ‘রাখি” নামক একটি পবিত্র সুতো বেঁধে দিয়ে সারাজীবন তাকে রক্ষা করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয় । হিন্দু, জৈন ও শিখ সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই উৎসব পালন করে থাকে।
মহাভারতে কথিত আছে একদা একটি যুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণের কবজিতে আঘাত লেগে রক্তপাত শুরু হলে পাণ্ডবদের স্ত্রী দ্রৌপদী তাঁর শাড়ির আঁচলের কিছু অংশ ছিঁড়ে কৃষ্ণের হাতের ক্ষতস্থানে বেঁধে দেন এবং প্রতিদানে অভিভূত কৃষ্ণ দ্রৌপদীকে নিজের বোন বলে ঘোষণা করেন ও প্রয়োজনে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেন । পরবর্তীকালে দুঃশাসনের দ্বারা দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় কৃষ্ণ তাঁর অলৌকিক শক্তি প্রয়োগে দ্রৌপদীর সম্মান রক্ষা করে সেই প্রতিশ্রুতির প্রতিদান দেন। এইভাবেই রাখিবন্ধনের প্রচলন হয়েছে বলেও মনে করা হয়।
আবার১৯০৫ খ্রীস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাখিবন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন । কলকাতা, ঢাকা ও সিলেট থেকে হাজার হাজার হিন্দু ও মুসলিম ভাই ও বোন কে ডাক দিয়েছিলেন ও একতার প্রতীক হিসাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছিলেন। রাখী বন্ধন উৎসবের মাধ্যমে তিনি হিন্দু মুসলিমদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগিয়ে তুলেছিলেন।
পৌরাণিক এবং ঐতিহাসিক বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে রাখিবন্ধন উৎসব উদযাপিত হলেও প্রকৃতপক্ষে এটি ভাইবোনের মধ্যকার স্বর্গীয় সম্পর্কের উদযাপন করার একটি পবিত্র উৎসব । রাখি পরবার এবং পরাবার সাথে সাথে ভাইবোনদের মধ্যে বিভিন্ন সৌহার্দ্যমূলক বার্তা আদান প্রদানে এই উৎসবটি আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক এই কামনা করি। সকলকে রাখী পূর্ণিমা ও রাখি বন্ধনের শুভেচ্ছা 💐🙏

২৩শে ডিসেম্বর ১৯৯৪, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করে। ১৯...
09/08/2025

২৩শে ডিসেম্বর ১৯৯৪, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ৯ আগস্টকে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস হিসাবে ঘোষণা করে একটি প্রস্তাব পাস করে। ১৯৮২ সালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত আদিবাসী জনসংখ্যা সংক্রান্ত জাতিসমূহের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রথম বৈঠকের স্মরণে এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী আদিবাসীদের প্রথম আন্তর্জাতিক দিবস ১৯৯৫ সালের ৯ আগস্ট পালিত হয়। জাতিসংঘের মতে, ৯০টি দেশে প্রায় ৪৭৬ মিলিয়ন আদিবাসী রয়েছে। বিশ্বের প্রায় ৭০.৫ শতাংশ আদিবাসী বাস করে এশিয়ায়, তারপরে ১৬.৩ আফ্রিকায় এবং ১১.৫ শতাংশ ল্যাতিন আমেরিকায়।
আদিবাসীরা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ৬.২ শতাংশ
বিশ্বের অত্যন্ত দরিদ্র জনসংখ্যার প্রায় ১৯ শতাংশই আদিবাসী।

নাটকীয়ভাবে সর্বসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল মহারাজা নন্দকুমারকে, ৫ আগস্ট ১৭৭৫ সালে।  মহারাজা ব্রিটিশ অনুগত হলেও যে নারকীয়...
08/08/2025

নাটকীয়ভাবে সর্বসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল মহারাজা নন্দকুমারকে, ৫ আগস্ট ১৭৭৫ সালে। মহারাজা ব্রিটিশ অনুগত হলেও যে নারকীয় ও বর্বোরোচিত কায়দায় তাঁকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয় সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ঐতিহাসিক থেকে সাধারণ মানুষ। ব্রিটিশ আদালতে এক বাঙালি তথা ভারতীয়ের বিচারের নামে প্রহসনের দিন।
রাজা নন্দকুমার না হয় বিচার পাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত লড়েছেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই ক্ষমতা কোথায়। তারা ব্ল্যাক জমিদারের নতুন শেখা ল অ্যান্ড অর্ডারে ঘায়েল হতেন। ফাঁসির আদেশ দেওয়া হত সাধারণ মানুষকে। অসহায় মুখগুলির আইনি লড়াইয়ের দৌড় এখানেই শেষ হয়ে যেত। তারপর নির্দিষ্ট দিনে উঠতেন ফাঁসির গাছে ফ্যান্সি লেনে। কলকাতায় কোম্পানির সেদিনের শাসন মধ্যযগীয় বর্বরতা কে হার মানিয়ে দিত। যারা আজকের দিনেও অতি ভক্তি ভরে নিজস্ব কায়দায় বলে ওঠেন এর থেকে ব্রিটিশ আমলে ভাল ছিলাম তারা বোধহয় ইংরেজ শাসনের প্রথম দিকের কুৎসিত বিচার ধারা অথবা কলকাতার ফ্যান্সি লেনের অন্ধকার ইতিহাস সম্পর্কে সম্যক অবগত নয়।
বর্ধমান, নদিয়া ও হুগলি জেলার খাজনা আদায়কারী ব্রিটিশ কর্মচারী তখন হেস্টিংস । তাঁর বিরুদ্ধে নন্দকুমার আর্থিক তছরূপের অভিযোগ আনলে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি হেস্টিংসকে পদ থেকে সরিয়ে নন্দকুমারকে
কালেক্টর পদে বসায়। তখন হেস্টিংসের থেকে অনেক উঁচু পদে আসীন লর্ড ক্লাইভ। কিন্তু পুরো চিত্রনাট্য বদলে গেল যখন হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল হয়ে কলকাতায় এসে সুযোগ পেলেন মহারাজা কে জব্দ করার রাস্তা।
দেওয়ানি লাভের আগে কলকাতার বিচারধারায় পিপলস কোর্ট ছিল,যদিও সেই আদালত জনগণের সুবিচারের জন্য তৈরি হয়েছিল ভাবলে ভুল হবে বরং সেখানে থাকতেন সরকার মনোনীত চব্বিশ জন। সাহেবদের প্রথম নিজস্ব আদালত অবশ্য মেয়রস কোর্ট। এসবের পরে কলকাতায় সুপ্রিম কোর্ট স্থাপিত হয় ১৭৭৪ সালে।সেই আদালতের বিচার কেমন নিরপেক্ষ ছিল প্রশ্ন তোলেন বর্তমান ঐতিহাসিকরা, উদাহরণ হিসেবে সামনে আনেন নন্দকুমারের ফাঁসি।
হেস্টিংসের পরামর্শে নন্দকুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হন একজন।গবেষকদের একাংশের মত, হেস্টিংসের চক্রান্তে দোষী প্রতিপন্ন হয়েছিলেন নন্দকুমার। নিজেকে সৎ প্রমাণ করার সব প্রমাণই ছিল নন্দকুমারের কাছে। তারপরও হেস্টিংসের বন্ধু এলিজা যেন তেন প্রকারেণ জালিয়াতির মামলায় ফাঁসির সাজা শোনান নন্দকুমারকে। যা ইতিহাসে বিতর্কিত রায় হিসেবে মেনে নেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। নন্দকুমারের ফাঁসির দিন জনপ্লাবন নেমেছিল খিদিরপুরে। বর্তমান হেস্টিংস ছিল তৎকালীন জনমানসহীন মরুভূমির মতো। সর্বসমক্ষে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল নন্দকুমারকে। ব্রিটিশ আদালতে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় এটাই ছিল প্রথম ফাঁসি। আর সেই নারকীয় হত্যার সাক্ষী হতে রাস্তায় ঢল নেমেছিল আম আদমির। ব্রাহ্মণ হত্যা দেখে পাপ ধুয়ে ফেলার জন্য গঙ্গাস্নান করেও বাড়ি ফিরেছিলেন অনেকে। বলা যায় নন্দকুমারের ফাঁসি মেনে নিতে পারেননি সাধারণ আম- পাবলিক। আজকের দিনটা মনে করায় ব্রিটিশ আদালতে এক বাঙালি তথা ভারতীয়ের বিচারের নামে প্রহসনের দিন তথা সেই বিচারব্যবস্থার পক্ষপাতিত্ব!
সৌজন্যে: ধ্রুবতারাদের খোঁজে,পুস্তক ঋণ ও কৃতজ্ঞতা স্বীকার, কলকাতা শ্রী পান্থ

আজ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মহাপ্রয়াণ দিবসে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।🙏💐🙏রবীন্দ্রনাথের শেষ কটা দিন কেমন কেটেছিল? ১৯৪১...
08/08/2025

আজ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮৪তম মহাপ্রয়াণ দিবসে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য।🙏💐🙏
রবীন্দ্রনাথের শেষ কটা দিন কেমন কেটেছিল?
১৯৪১ সালে জীবনের শেষ দিনগুলোয় অসুখে ভুগছিলেন কবি। সারা জীবন চিকিৎসকের কাঁচি থেকে নিজেকে বাঁচিয়েছেন, এবার বুঝি আর তা সম্ভব নয়। হোমিওপ্যাথি, অ্যালোপ্যাথি চলছেই। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
শান্তিনিকেতনে ছিলেন তখন। এরই মধ্যে অবনীন্দ্রনাথ বেশ কিছু গল্প লিখেছেন। সেগুলো পড়ে দারুণ আনন্দ পেলেন কবি। বললেন, আরও লিখতে। অবন ঠাকুর রানী চন্দকে গল্প বলে যান, রানী চন্দ সে গল্প শুনে লিখে ফেলেন। তারই কিছু আবার দেওয়া হলো রবীন্দ্রনাথকে। তিনি পড়লেন, হাসলেন এবং কাঁদলেন। রানী চন্দ এই প্রথম এমন করে রবিঠাকুরের চোখ থেকে জল পড়তে দেখলেন।
রানী চন্দ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয়ভাজন, শান্তিনিকেতনের শিক্ষার্থী ও চিত্রশিল্পী এবং রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত সচিব অনিল চন্দের স্ত্রী। চিকিৎসকেরা অস্ত্রোপচারের কথাই বললেন। রবীন্দ্রনাথের তাতে মত নেই। তিনি বললেন, ‘মানুষকে তো মরতেই হবে একদিন। একভাবে না একভাবে এই শরীরের শেষ হতে হবে তো, তা এমনি করেই হোক না শেষ। মিথ্যে এটাকে কাটাকুটি ছেঁড়াছেঁড়ি করার কি প্রয়োজন?’
কিন্তু যে যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন তিনি, তার উপশমের জন্য দেহে অস্ত্রোপচার করতেই হবে—এই হলো চিকিৎসকদের মত। আর সেটা করতে হলে শান্তিনিকেতনকে বিদায় জানিয়ে চলে আসতে হবে কলকাতায়। তাই শেষবারের মতো শান্তিনিকেতন ছাড়লেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ২৫শে জুলাই বেলা তিনটা ১৫ মিনিটে রবীন্দ্রনাথ এলেন জোড়াসাঁকোর বাড়িতে।
খবরটা গোপন রাখায় স্টেশনে কিংবা বাড়িতে ভিড় ছিল না। পুরোনো বাড়ির দোতলায় ‘পাথরের ঘর’-এ তিনি উঠলেন। স্ট্রেচারে করে দোতলায় নিতে হলো তাঁকে। ২৬শে জুলাই রবিঠাকুর ছিলেন প্রফুল্ল। ৮০ বছরের খুড়ো রবীন্দ্রনাথ আর ৭০ বছর বয়সী ভাইপো অবনীন্দ্রনাথ অতীত দিনের নানা কথা স্মরণ করলেন। হাসলেন প্রাণখুলে। ২৭শে জুলাই সকালে রবীন্দ্রনাথ মুখে মুখে বললেন একটি কবিতা, টুকে নিলেন রানী চন্দ।
কবিতাটির প্রথম কয়েকটি পঙক্তি হলো: ‘প্রথম দিনের সূর্য প্রশ্ন করেছিল সত্ত্বার নতুন আবির্ভাবে, কে তুমি, মেলে নি উত্তর।’ ৩০শে জুলাই ঠিক হয়েছিল তাঁর দেহে অস্ত্রোপচার হবে। কিন্তু সেটা তাঁকে জানতে দেওয়া হয়নি। তিনি ছেলে রথীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কবে অপারেশন হবে’। রথীন্দ্রনাথ বললেন, ‘কাল-পরশু’। আবার রানী চন্দকে ডাকলেন কবি, লিখতে বললেন, ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি/ বিচিত্র ছলনাজালে/ হে ছলনাময়ী।’ ডা. ললিত এলেন একটু পরে। বললেন, ‘আজকের দিনটা ভালো আছে। আজই সেরে ফেলি, কী বলেন?’ হকচকিয়ে গেলেন কবি। বললেন, ‘আজই!’ তারপর বললেন, ‘তা ভালো। এ রকম হঠাৎ হয়ে যাওয়াই ভালো।’
বেলা ১১টায় স্ট্রেচারে করে অপারেশন-টেবিলে আনা হলো কবিকে। লোকাল অ্যানেসথেসিয়া দিয়ে অপারেশন করা হচ্ছে। ১১টা ২০ মিনিটের দিকে শেষ হলো অস্ত্রোপচার। ভারী আবহাওয়া উড়িয়ে দেওয়ার জন্য কবি রসিকতা করলেন, ‘খুব মজা, না?’
শরীরে যথেষ্ট যন্ত্রণা হয়েছিল অপারেশনের সময়। কিন্তু তা বুঝতে দেননি কবি। সেদিন ঘুমালেন। পরদিন ৩১শে
জুলাই যন্ত্রণা বাড়ল। গায়ের তাপ বাড়ছে। নিঃসাড় হয়ে আছেন। ১লা আগস্ট কথা বলছেন না কবি। অল্প অল্প জল আর ফলের রস খাওয়ানো হচ্ছে তাঁকে। চিকিৎসকেরা শঙ্কিত। ২রা আগস্ট কিছু খেতে চাইলেন না, কিন্তু বললেন, ‘আহ! আমাকে জ্বালাসনে তোরা।’ তাতেই সবাই খুশী। ৩রা আগস্টও শরীরের কোনও উন্নতি নেই। ৪ঠা আগস্ট সকালে চার আউন্সের মতো কফি খেলেন। জ্বর বাড়ল।
৫ই আগস্ট ডা. নীলরতন সরকার বিধান রায়কে নিয়ে এলেন। রাতে স্যালাইন দেওয়া হলো কবিকে। অক্সিজেন আনিয়ে রাখা হলো। ৬ই আগস্ট বাড়িতে উৎসুক মানুষের ভিড়। হেঁচকি উঠছিল কবির। পুত্রবধূ প্রতিমা দেবী ডাকছিলেন, ‘বাবা মশায়!’ একটু সাড়া দিলেন কবি। রাত ১২টার দিকে আরও অবনতি হলো কবির শরীরের।
৭ই আগস্ট ছিল ২২ শ্রাবণ। কবিকে সকাল নয়টার দিকে অক্সিজেন দেওয়া হলো। নিশ্বাস ধীরে ধীরে ক্ষীণ হতে থাকল কবির। দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে তা একেবারে থেমে গেল।
সংগৃহীত

৮ই অগাষ্ট, সকাল ৯:২০ — উপগ্রহ ও রাডার চিত্রমৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ থেকে নেমে এসে দক্ষিণবঙ্গের মাঝ বরাবর বিস্তৃত রয়েছে...
08/08/2025

৮ই অগাষ্ট, সকাল ৯:২০ — উপগ্রহ ও রাডার চিত্র
মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ থেকে নেমে এসে দক্ষিণবঙ্গের মাঝ বরাবর বিস্তৃত রয়েছে। গতকাল যে ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণবঙ্গ সংলগ্ন উত্তর উড়িষ্যায় ছিল, আজ তা পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এছাড়া একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা উত্তরপ্রদেশ থেকে বিহার, ঝাড়খণ্ড ও দক্ষিণবঙ্গের উত্তরের জেলাগুলির উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত চলছে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হচ্ছে। আজ সারাদিন প্রায় একইরকম আবহাওয়া থাকবে।
সৌজন্যে: Bengal Weather Live Post

জীবনে মদ ছুঁয়ে দেখেননি কখনও। অথচ মদ্যপের চরিত্রেই চুটিয়ে অভিনয়। তাঁর চেহারা দেখামাত্রই হেসে গড়িয়ে পড়তেন দর্শক। তাতেই ক...
07/08/2025

জীবনে মদ ছুঁয়ে দেখেননি কখনও। অথচ মদ্যপের চরিত্রেই চুটিয়ে অভিনয়। তাঁর চেহারা দেখামাত্রই হেসে গড়িয়ে পড়তেন দর্শক। তাতেই কি টাইপকাস্ট হয়ে গিয়েছিলেন! ১৯২৫-এর ৭ অগাস্ট কলকাতায় জন্ম। নাটক থেকেই বড়পর্দায় পা রাখা। বলা হয়, কেষ্টকে আবিষ্কার করেন পরিচালক ঋত্বিক ঘটক। ‘নাগরিক’ ছবিতে কেষ্টকে কাজের সুযোগ দেন তিনি। ‘নাগরিক’ ছবির শ্যুটিং হয়ে গিয়েছিল ১৯৫২ সালেই কিন্তু ছবি মুক্তি পায় ১৯৭৭ সালে। তত দিনে ঋত্বিক-কেষ্ট কেউই বেঁচে নেই।
বাংলা-হিন্দি মিলিয়ে সেই সময় প্রায় সব ছবিতই কেষ্টকে দেখা যেত। পরিচালক অসিত সেন ‘মা অউর মমতা’ ছবিতে প্রথম মদ্যপের চরিত্র দেন কেষ্টকে। ওই চরিত্র এত ভাল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন যে, সারাজীবনের জন্য টাইপকাস্ট হয়ে গেলেন।'চাচা ভাতিজা’ ছবিতে ‘শাদি বনানে কো কেষ্ট চলা’ গানটি ধর্মেন্দ্রর মস্তিষ্কপ্রসূত। কেষ্ট অভিনীত চরিত্রে নির্ভর করেই গানটি তৈরিতে বিশেষ ভাবে উদ্যোগী হন তিনি। অনেকেই হয়ত বিশ্বাস করবেন না যে, কেরিয়ারের প্রথম হিন্দি ছবিতে ‘স্ট্রিট ডান্সার’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন কেষ্ট। সেই ছবি ছিল ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ‘মুসাফির’।
শোনা যায়, মুম্বইয়ে যখন হন্যে হয়ে সুযোগ খুঁজছেন, সেই সময় একবার বিমল রায়ের কাছে কাজ চাইতে গিয়েছিলেন কেষ্ট। তাঁকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে কাজ নেই বলে জানিয়ে দেন বিমল। কিন্তু কেষ্টও নাছোড়বান্দা। তাতে রেগে যান পরিচালক। খানিকটা তেড়েমেড়েই বলে ওঠেন, ‘‘ছবিতে একটি কুকুর চাই, তুমি কি ঘেউ ঘেউ করতে পারো!’
পরিচালককে অবাক করে দিয়ে অবিকল কুকুরের মতো ডাক শুরু করেন কেষ্ট। আর কথায় যাননি বিমল। নিজের ছবিতে কেষ্টকে কাজের সুযোগ দেন তিনি। ৩০ বছরের দীর্ঘ অভিনয় জীবনে ৯০টিরও বেশি ছবিতে কাজ করেছেন কেষ্ট। এর মধ্যে অধিকাংশ ছবিতেই মদ্যপের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘শোলে’, ‘জঞ্জির’, ‘চুপকে চুপকে’র মতো বড় বাজেটের ছবিতে নিয়মিত দেখা যেত কেষ্টকে। অভিন্নহৃদয় বন্ধু ছিলেন কিশোর কুমারের।
এই হাসির 'মাতাল' মানুষটির আজ শুভ জন্মদিন। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏💐🙏

ভারতবর্ষের আধুনিক চিত্রশিল্পের জনক বলা হয় তাকে। শিশু সাহিত্যেও যার তুলনা পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ প্রয়াণের এক মাস আগে ব...
07/08/2025

ভারতবর্ষের আধুনিক চিত্রশিল্পের জনক বলা হয় তাকে। শিশু সাহিত্যেও যার তুলনা পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ প্রয়াণের এক মাস আগে বলেছিলেন, ‘আমার জীবনের প্রান্তভাগে যখন মনে করি সমস্ত দেশের হয়ে কাকে বিশেষ সম্মান দেওয়া যেতে পারে, তখন সর্বাগ্রে মনে পড়ে অবনীন্দ্রনাথের নাম। তিনি দেশকে উদ্ধার করেছেন আত্মনিন্দা থেকে, আত্মগ্লানি থেকে তাকে নিষ্কৃতি দান করে তার সম্মানের পদবি উদ্ধার করেছেন...।"
রবীন্দ্রনাথের খুড়তুতো ভাই গুণেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কনিষ্ঠ পুত্র অবনীন্দ্রনাথ। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরও ছিলেন আরেক বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। রবীন্দ্রনাথের জন্মের ১০ বছর পরে জন্ম অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। কে জানত, তাঁর জন্মের দিনটিতেই একসময় হবে রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ।
আজ বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী ও শিশুসাহিত্যিক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিবস। আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য 🙏💐🙏

'ইন্ডিয়ান বার্ক', 'রাষ্ট্রগুরু' প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত  সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন নিপুণ বক্তা এবং তর্কযোদ্ধ...
06/08/2025

'ইন্ডিয়ান বার্ক', 'রাষ্ট্রগুরু' প্রভৃতি উপাধিতে ভূষিত সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন একজন নিপুণ বক্তা এবং তর্কযোদ্ধা। আধুনিক ভারতের উত্থানের অন্যতম কারিগরদের মধ্যে অন্যতম। ওনার প্রয়াণ দিবসে আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য 💐🙏💐

Address

Purulia

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tapan Chatterjee Official posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share