The crazy medico

  • Home
  • The crazy medico

The crazy medico cooking, travel, lifestyle, hobby, photography, food personal blog
(1)

রাত গভীর হলে, লিফটের শব্দটা যেন আরও বেশি ঠান্ডা শোনায়। এমন সময় যদি কোনও মহিলা একা লিফটে ওঠেন আর সঙ্গে থাকে এক অচেনা মা...
28/10/2025

রাত গভীর হলে, লিফটের শব্দটা যেন আরও বেশি ঠান্ডা শোনায়। এমন সময় যদি কোনও মহিলা একা লিফটে ওঠেন আর সঙ্গে থাকে এক অচেনা মানুষ—তাহলে একটু সাবধান হওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যদি তোমার তলা ১৩ হয়, তাহলে তোমার তলার ওপরে যত বোতাম আছে সব টিপে দাও। এতে লিফট প্রতি তলায় থামবে, এবং কেউ হঠাৎ কিছু করার সুযোগই পাবে না। এই ছোট্ট কৌশলটা অনেক বড় বিপদ এড়াতে পারে।

বাড়িতে একা থাকলে আরও সচেতন থাকা দরকার। হঠাৎ যদি কোনও অচেনা লোক আক্রমণ করতে আসে, দৌড়ে চলে যাও রান্নাঘরে। ওটাই তোমার দুর্গ। গুঁড়ো মরিচ, লঙ্কা, হলুদ—সবই তোমার অস্ত্র হতে পারে। হাতে যদি প্লেট বা বাসন থাকে, তা যত জোরে সম্ভব ছুঁড়ে মারো। শব্দ করো, চিৎকার করো—কারণ চুপচাপ থাকা কখনও সমাধান নয়। আওয়াজই এমন এক জিনিস, যা আক্রমণকারীকে ভয় পাইয়ে দেয়। মনে রাখো, তোমার কণ্ঠই তোমার সবচেয়ে বড় শক্তি।

রাতে যদি ট্যাক্সি বা অটো ধরো, গাড়ির নম্বরটা প্রথমেই লিখে রাখো। তারপর ফোনে বাড়ির কারও সঙ্গে জোরে জোরে গাড়ির নম্বর ও ড্রাইভারের নাম বলো—যাতে সে স্পষ্ট শুনতে পায়। এমনকি যদি ফোন না লাগে, তবুও ভান করো যে তুমি কথা বলছো। এতে ড্রাইভার বুঝে যাবে যে কেউ তার গাড়ির খবর রাখছে, আর সে যদি খারাপ কিছু ভাবেও, সেটি তার জন্য বিপদ ডেকে আনবে। তাই অনেক সময় এই ভানটাই তোমাকে নিরাপদ রাখে।

যদি ড্রাইভার হঠাৎ অচেনা পথে গাড়ি ঘুরিয়ে দেয়, তখন ভয় না পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নাও। তোমার ওড়না বা ব্যাগের ফিতা ব্যবহার করে তার গলায় পেঁচিয়ে টেনে আনো—সে মুহূর্তের মধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়বে। এমনকি কিছু না থাকলেও, তার শার্টের কলার ধরে টান দিলে সেও বিপদে পড়বে। সাহসই তোমার একমাত্র বন্ধু তখন।

আর যদি মনে হয় কেউ তোমার পেছনে আসছে, এক মুহূর্ত দেরি না করে কোনও খোলা দোকান বা বাড়িতে ঢুকে পড়ো। যদি কিছুই খোলা না থাকে, কাছাকাছি কোনও এটিএম বুথে গিয়ে ঢুকে পড়ো। ওখানে ক্যামেরা থাকে, আলো থাকে—আর সেটাই তোমার অস্থায়ী নিরাপত্তা। কেউ ওখানে তোমার গায়ে হাত দেবে না।

সবচেয়ে বড় কথা, মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকো। সচেতন থাকাই তোমার সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র। নিজের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজের হাতেই—তুমি চাইলে নিজেকে রক্ষা করতে পারবে।

এই কথাগুলো শুধু তোমার জন্য নয়, তোমার মা, বোন, বৌদি, বান্ধবী—সবাইকে বলো। ওদের সঙ্গে শেয়ার করো এই সহজ কিছু উপায়। হয়তো তোমার একটা শেয়ার কোনও একদিন কারও জীবন বাঁচিয়ে দেবে।







In the 6th century BC, the Athenian craftsman Perilaus arrived in Sicily with a grotesque creation for the tyrant Phalar...
27/10/2025

In the 6th century BC, the Athenian craftsman Perilaus arrived in Sicily with a grotesque creation for the tyrant Phalaris of Acragas. His “Brazen Bull” was a life-sized bronze statue, hollow within, with a door on its side. Victims would be locked inside and roasted alive as flames licked the metal. Pipes and tubes were designed so their screams echoed out as the bellow of a bull.

Perilaus presented the bull as both art and punishment — a terrifying display of power meant to crush dissent. But cruelty has a way of turning back on its creator. Ancient sources say Phalaris ordered Perilaus himself to test the invention. The sculptor was thrown inside, and as the fire burned, the first sounds of the bull’s bellow came from its inventor. Some accounts claim Phalaris pulled him out before death, only to execute him afterward. Others insist he perished within his own machine.

Either way, Perilaus became a dark legend: the man destroyed by his own cruelty. His fate was remembered as poetic justice, a warning that those who build instruments of suffering may one day feel their heat.

মানকুন্ডু স্টেশন নামুন। স্টেশন রোড ধরে এগিয়ে যান। 👉মানকুন্ডু স্পোর্টিং, 👉নতুন পাড়া, 👉নিয়োগী বাগান, 👉মহাডাঙা,👉চারাবাগান,স...
27/10/2025

মানকুন্ডু স্টেশন নামুন। স্টেশন রোড ধরে এগিয়ে যান।
👉মানকুন্ডু স্পোর্টিং,
👉নতুন পাড়া,
👉নিয়োগী বাগান,
👉মহাডাঙা,
👉চারাবাগান,
সার্কাস মাঠ দেখে জ্যোতির মোড় আসুন। এবার ডানদিকে গিয়ে জি টি রোড ধরে দেখুন
👉অরবিন্দ সংঘ,
👉সুভাষ জাগরণ সংঘ ছুতোর পাড়া,
👉 বারাসাত চক্রবর্তী পাড়া,

বারাসাত গেট দেখে ফিরে আসুন। জ্যোতির মোড় পেরিয়ে দেখুন -
👉গোপালবাগ।

আবার জ্যোতির মোড় এসে বাদিকে দেখুন
👉তেমাথা শিবমন্দির (রাণী মা)।

তারপর সোজা রাস্তা ধরে গোন্দলপাড়ার দিকে যান। দেখুন -
👉অম্বিকা এথলেটিক ক্লাব,
👉মরান রোড,
👉আর এন সিকদার রোড,
👉এ সি চ্যাটার্জি লেন,
👉সাতঘাট,
👉বিনোদতলা,
👉 চারমন্দিরতলা,
👉 কাছারি ঘাট,
👉নতুন তিলি ঘাট
👉 বেশোহাটা।
ডানদিকে স্ট্র‍্যাণ্ড রোড ধরে এগিয়ে দেখতে থাকুন -
👉হাটখোলা দৈবকপাড়া
👉ভুবনেশ্বরী তলা
👉মনসাতলা
👉নোনাটোলা
👉বড়বাজার
স্ট্র‍্যান্ড রোড ধরেই এগিয়ে যান। পথে পড়বে -
👉উর্দ্দিবাজার চুনাগলি
👉উর্দ্দিব্বাজার
👉লক্ষীগঞ্জ চৌমাথা
👉চাউলপট্টি (আদি মা)
👉লক্ষ্মীগঞ্জ বাজার
👉বিন্দুবাসিনী পাড়া
এবার জি টি রোড উঠে ওপারে দেখুন
👉কাপড়ের পট্টি (মেজ মা)
তারপর হসপিটালের সামনে দিয়ে বিদ্যালঙ্কার দিকে এগিয়ে দেখুন
👉বিদ্যালঙ্কা।
হাতে সময় থাকলে ডানদিকে কিছুটা গিয়ে দেখতে পারেন
👉হেলাপুকুর
👉পালপাড়া
👉সন্তান সংঘ
আবার বিদ্যালঙ্কার দিকে ফিরে সোজা গেলে দেখবেন
👉বাগবাজার তালপুকুর ধার
সময় কম থাকলে বা এনার্জি কমে গেলে বিদ্যালঙ্কা দেখে তালপুকুরের দিকে জান। এখানে পুকুরে অপরূপ আলোকসজ্জায় নিজেকে ভাসিয়ে দিন কিছুক্ষণ।
তারপর চন্দননগর স্টেশন রোড এসে দেখুন
👉বাগবাজার চৌমাথা
👉বাগবাজার
স্টেশনের দিকে এগিয়ে গেলে পড়বে
👉মধ্যাঞ্চল
👉চাদনি বেনেপুকুর
👉ফটকগোড়া
👉আপনজন
👉খলিসানী
স্টেশনের ওপারে দেখুন
👉কলপুকুর ধার
👉ব্রাহ্মন পাড়া
👉খলিসানী বৌবাজার
👉শীতলাতলা
👉সুভাষপল্লী
এবার চন্দননগর স্টেশন এসে ট্রেন ধরে বাড়ি ফিরুন।

Crabmeat and Shrimp Bisque is a rich, creamy seafood soup — elegant, comforting, and perfect as a starter or even a ligh...
26/10/2025

Crabmeat and Shrimp Bisque is a rich, creamy seafood soup — elegant, comforting, and perfect as a starter or even a light meal. Here’s a restaurant-style recipe 👇

🦀 Crabmeat and Shrimp Bisque Recipe

Serves: 4
Prep Time: 15 min
Cook Time: 30 min

🧂 Ingredients

Butter – 2 tbsp

Olive oil – 1 tbsp

Onion (finely chopped) – 1 small

Celery (finely chopped) – 1 stalk

Garlic (minced) – 2 cloves

All-purpose flour – 2 tbsp

Tomato paste – 1 tbsp

Seafood or chicken stock – 2 cups

Heavy cream / fresh cream – 1 cup

White wine (optional) – ¼ cup

Cooked shrimp – 200 g (small, peeled and deveined)

Lump crabmeat – 150 g

Paprika – ½ tsp

Cayenne pepper – a pinch

Salt and pepper – to taste

Fresh parsley or chives (chopped) – for garnish

Lemon juice – 1 tsp

🍳 Method

1. Sauté the aromatics:
Heat butter and olive oil in a saucepan. Add onion, celery, and garlic; sauté until soft and fragrant (about 5 minutes).

2. Add flour:
Sprinkle flour and stir constantly for 1–2 minutes to make a light roux (this thickens the bisque).

3. Add tomato paste and stock:
Mix in tomato paste, then slowly whisk in the stock (and wine if using). Bring to a gentle simmer.

4. Blend for smoothness (optional):
You can blend the soup at this stage for a velvety texture, then return to the pot.

5. Add cream and seasoning:
Stir in heavy cream, paprika, cayenne, salt, and pepper. Simmer gently for 5–10 minutes — don’t boil.

6. Add seafood:
Gently stir in the cooked shrimp and crabmeat. Heat through for 2–3 minutes.

7. Finish:
Add lemon juice, adjust seasoning, and garnish with chopped parsley or chives.

🍞 To Serve

Serve hot with:

Garlic bread or baguette slices

A drizzle of cream or swirl of butter on top

Optional: a sprinkle of Old Bay seasoning

We had this delicious dish at Heritage Cafe - Serampore.

Dual  chocolate gateaux cake for my birthday 😍. Created with love by Nilanjana Majumdar
25/10/2025

Dual chocolate gateaux cake for my birthday 😍. Created with love by Nilanjana Majumdar

" মাইরের উপর ঔষধ নেই ""ঘৃত বিনা হরিযাতি মাংসেন মাধব,মৎস্য বিনা মধুযাতি মিষ্টান্ন বিনা যাদব।ব্যঞ্জন বিনা তড়িৎ যাতি ক্রোধ...
22/10/2025

" মাইরের উপর ঔষধ নেই "
"ঘৃত বিনা হরিযাতি মাংসেন মাধব,
মৎস্য বিনা মধুযাতি মিষ্টান্ন বিনা যাদব।
ব্যঞ্জন বিনা তড়িৎ যাতি ক্রোধদ্দীপ্ত অক্ষয়,
লবণ বিনা শ্যাম যাতি প্রহারেণ ধনঞ্জয়।"
এই অমর শ্লোক তৈরী হওয়ায় নেপত্থের একটি মজার ঘটনা আছে।

প্রবাদের নাম "প্রহারেণ ধনঞ্জয়'' যাকে বাংলায় বলে
মাইরের নাম ধনঞ্জয়, তবে-এই প্রবাদের উৎপত্তি কোথায়, জেনে নেওয়া যাক।

এক কুলীন ব্রাহ্মণ ছিল খুবই গরীব। কোনোরকমে দিন চলে যায়। কোন এক বর্ষাকালে সাত মেয়ের সাত জামাই এসে বসে আছে তার বাড়িতে। বেচারি শ্বশুর আজ বিক্রি করে বউ-এর গয়না, কাল বিক্রি করে পিতলের কলসী। যা মূল্য পায় তাই দিয়ে জামাইদেরকে খাওয়ায়। আষাঢ় মাসের ঘন বর্ষার দিন। দুধে-মাছে খেয়ে জামাইরা আর ফেরার নামও করে না। পাড়ার একজন লোক, গরীব ব্রাহ্মণের অবস্থা দেখে বড়ই দুঃখিত হল। সে এসে শ্বশুরকে বলল, “আপনার জামাইরা যে আজ দশ-বারো দিন ধরে বসে বসে খাচ্ছে, তাদের বাড়ি চলে যেতে বলেন না কেন?”

শ্বশুর বলল, “তাহা যদি করি তবে জামাইরা রেগে মেগে বাড়ি গিয়ে আমার মেয়েদের কষ্ট দিবে। সেই জন্যই তো তাদেরকে এতটুকু অযত্ন করতে সাহস পাই না।”
বিনা পরিশ্রমে আদর-যত্নে তাদের দিন কেটে যাচ্ছিল ভালই। কিন্তু শ্যালকেরা ভগ্নিপতিদের অত্যাচার আর সহ্য করতে পারছিল না। নানা কৌশলেও বাড়িছাড়া করা যাচ্ছিল না জামাইদের।তখন সেই লোকটি শ্বশুরকে কানে কানে একটি উপদেশ দিয়ে গেল।

পরদিন জামাইদের খাওয়ার সময় পাতে ঘি পড়ল না। তাহা দেখে হরি নামের জামাই রেগে একেবারে অস্থির। সে ভাতের থালা ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বলে উঠল, “কি-আজ আমাদের থালায় ঘি পড়ল না, ঘি না খাইয়ে শ্বশুর আমাদেরকে অপমান করলেন। এমন শ্বশুরবাড়ি কে থাকে?” এই বলে সে গাট্টি-বোচকা নিয়ে শ্বশুরবাড়ি হতে চলে গেল।

পরদিন জামাইদের খাওয়ার সময় পাতে মাংস পড়ল না। মাধব নামের জামাই ভাতের থালা ফেলে দিয়ে উঠে দাঁড়াল।
“কি!-শ্বশুরবাড়ি এসেছি বলে অপমানিত হব? কাল খাওয়ার সময় ঘি দিল না, আজ আবার মাংস দিল না। এমন শ্বশুরবাড়ি নাই থাকিলাম।” এই বলে সে ছাতি লাঠি বগলে করে বাড়ি চলে গেল।

পরদিন খাওয়ার সময় মাছ দেওয়া হল না। সেদিন রেগে মধু নামের জামাই চলে গেল। তার পরদিন খাওয়ার সময় মিষ্টান্ন দেওয়া হল না। উহাতে অপমান বোধ করে যাদব নামের জামাই চলে গেল। অপর দিন পাতে ব্যঞ্জন পড়ল না। অক্ষয় নামের জামাই রেগে আগুন হয়ে চলে গেল। বাকী দুই জামাই শ্যাম আর ধনঞ্জয় তবু পড়ে রইল। বাড়িতে গেলে ভাতও তো জুটবে না। না দিয়েছে তরকারি, না দিয়েছে ঘি। এখানে নুন দিয়েও তো পেট ভরে ভাত খাওয়া যাবে!

পরদিন যখন খাওয়ার সময় লবণ দেওয়া হল না, বিনা লবণে ভাত খেতে খেতে থুথু করে শ্যাম নামের জামাই চাদর গলায় দিয়ে বাড়ি চলে গেল। কিন্তু ধনঞ্জয় আর যায় না। শ্বশুর না দিয়েছে লবণ, পেট ভরে ভাত তো দিবে! বাড়িতে গিয়ে ভাতও তো জুটবে না। আর শ্বশুর বাড়িতে টিনের ঘর, ঝড়-বৃষ্টিতে জল পড়ে না। বাড়িতে খড়ের ঘর! ছাউনি খসে পড়েছে। এতটুকু বৃষ্টি পড়লেই মেঝেয় হাঁটুখানেক জল। শ্বশুর বাড়িতে আরাম করে তো রাতে ঘুমান যায়।

পরদিন সেই লোকটি এসে জিজ্ঞাসা করল, “আমার পরামর্শ মতো কাজ করে ফল পেয়েছ তো?”

শ্বশুর বলল, “আপনার পরামর্শমতো কাজ করায় সকল জামাই-ই একে একে চলে গিয়েছে। কিন্তু ধনঞ্জয় নামের জামাই কিছুতেই যায় না।”
লোকটি তখন পরামর্শ দিল, “উহাকে লাঠিপেটা করে তাড়াও।”
কতদিন আর জামাইকে বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ান যায়! পরদিন শ্যালকরা ও শ্বশুর একটি লাঠি দিয়ে মারিয়া ধনঞ্জয়কে তাড়িয়ে দিল। সেই হতে এই অমর শ্লোক তৈরি হল।

ঘৃত বিনা হরিযাতি মাংসেন মাধব, মৎস্য বিনা মধুযাতি মিষ্টান্ন বিনা যাদব।ব্যঞ্জন বিনা তড়িৎ যাতি ক্রোধদ্দীপ্ত অক্ষয়,লবণ বিনা শ্যাম যাতি প্রহারেণ ধনঞ্জয়।

এই গল্প হতে শিক্ষনীয় এই যে,মাইরের উপর ঔষধ নাই।
😀😀😀

অন্ধকারের অন্তর থেকে আলো করে দাও উদয়,তিমিরের বুক ছিঁড়ে দাও, আনো নব জীবনের জয়।
21/10/2025

অন্ধকারের অন্তর থেকে আলো করে দাও উদয়,
তিমিরের বুক ছিঁড়ে দাও, আনো নব জীবনের জয়।

গতকাল অফিস যাচ্ছি। ক্যারি রোড টপকাতেই একজন গোটা পুরুষ এবং তাঁর স্ত্রী ডান দিকের লেন থেকে ইন্ডিকেটর পিন্ডিকেটর না দিয়ে স...
19/10/2025

গতকাল অফিস যাচ্ছি। ক্যারি রোড টপকাতেই একজন গোটা পুরুষ এবং তাঁর স্ত্রী ডান দিকের লেন থেকে ইন্ডিকেটর পিন্ডিকেটর না দিয়ে সোজা লেন চেঞ্জ করে আমার বাইকের সামনে চলে এলেন। মুহূর্তে দেখলাম - পিছনে দু-পাশের দু’টো দশ চাকার ট্রেলারসহ প্রায় গোটা পাঁচেক চারচাকা, ছোট হাতি দাঁড়িয়ে গেল! আমি ভাবলাম, কেউ কাউকে ঠুকে ফুকে দিলো বোধহয়! এমনিতে প্রতি মাসে স্যালারি থেকে কিছু টাকা সরিয়ে রাখতে হয় আমার বাইকের ইন্ডিকেটরের জন্য। মাসে একবার নয় টোটো ভাঙবে, আর নয় কোনো সহৃদয় নারী পুরুষ স্কুটার নিয়ে ঠুকে দিয়ে চলে যাবেন। লোকে রেকারিং ডিপোজিটে এসআইপি করে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডে এসআইপি করে; আমি বাইকের পাছার আলো’তে এসআইপি করি। সার্ভিস সেন্টারে গেলেই ওখানকার অশ্লীল কিছু স্টাফ বলেন - "প্রতীক দা আবার পাছায় আলো লাগাতে এসেছেন।"

ভয়ে ভয়ে একবার পিছন ফিরে তাকালাম। কেউ ঠোকেনি। হাই রোড বলেই হয়তো। আরো ভালো করে তাকালাম - সমস্ত ট্রেলারের চালক, খালাসি, প্রাইভেট গাড়ির ড্রাইভার সবাই মুখ বের করে মাথায় হাত দিয়ে গলা বুক ঝুলিয়ে বসে আছে! চোখ মুখ কোনো এক অজানা চাপা কষ্টে বিস্ফারিত! সামনে তাকালাম। গোটা ভদ্রলোকের স্ত্রী স্কুটারের পিছনে বসে প্রায় গোটা দশ ফুট লম্বা ঝাঁটা প্রায় খান কুড়ি কিনেছেন। খুব ভালো কথা। আজকাল কেউ সোনা রুপো কেনেনা বোধহয়। ধনতেরাসে সবাই ঝাঁটা কেনে। স্বয়ং মা লক্ষ্ণীও বাজারের মূল্যের সামনে প্রবল অসহায়। তাই অল্পে আশীর্বাদ সারতে চেয়েছেন। ভদ্রমহিলা ঝাঁটা কিনেছেন তাতে কোনো আমার অসুবিধে নেই। অসুবিধা হলো, ওই প্রকাণ্ড ঝাঁটাগুলোকে কোলের ওপর আড়াআড়ি করে শুইয়ে দিয়েছেন। বীভৎস দেখতে লাগছে। আড়াআড়ি করে লম্বা লম্বা ঝাঁটা স্কুটারের ওপর অশ্লীল ভাবে শুয়ে আছে একটা ব্যস্ত হাইরোডে। সবচেয়ে বড় কথা ওইরকম একটা হাই ট্রাফিক ব্যস্ত রাস্তায় ঝাঁটাগুলো মহিলার কোলে শুয়ে চারপাশে বীভৎসভাবে হাত পা ছড়িয়ে আছে। দূর থেকে দেখলে আতঙ্কে বুকের পিলে চমকে উঠবে! মনে হবে, ওগুলো ঝাঁটা নয়; রাজ্য সরকারের দুর্নীতি। ভদ্রলোকের মাথায় যেটা আছে, সেটাকে আর যাইহোক হেলমেট বলা চলেনা। এসএসকেএম হাসপাতালে রুগীকে হিসি করতে দেওয়া টিনের গামলার মতো হেলমেট। ভদ্রমহিলা মাথায় কিস্যু নেই। মনে হয়, প্রোটেকশন ছাড়াই আনন্দ নিতে ভালোবাসেন। মনটা শুদ্ধ করুন। আপনার কুইন্টাল কুইন্টাল গঙ্গাজলে ভেজানো ম্যানগ্রোভ প্রয়োজন। আপনি নিজেও জানেন না।

সামনের রাস্তা ফাঁকা। একটা অ্যাক্টিভা স্কুটার সামনে চলছে। আশপাশ ফাঁকা। সবাই পিছনে। কেউ ওভারটেক করার রিস্ক নিচ্ছেন না। টোলট্যাক্স ঢুকলাম। ঝাঁটা মহিলাও আনন্দে ঢুকলেন। দু’জন পুলিশ বসেছিলেন। টিফিন শেষ করে ব্যাগে টিফিনবক্স ঢোকাচ্ছেন। হঠাৎ দেখলেন অটোমেটিক খান বিশেক ঝাঁটা এসে তাদের মুখ মুছিয়ে দিয়ে চলে গেল ঝড়ের গতিতে। সামনের একজন ভদ্রলোক বাইক থেকে হেলমেটের ভাইজার তুলে হাত নেড়ে কী একটা বলতে গেলেন ক্রুদ্ধ সুরে। খান বিশেক ঝাঁটা প্রতিবাদী ভদ্রলোকের নিতম্বে অল্প স্পর্শ করে ‘আহ্ দুষ্টু, আয়ে না’ বলে চলে গেল।

জর্জরিত অবস্থায় আমি অফিস ঢুকলাম। ঢুকে মোবাইলে দেখি তিনটে মিসড কল। বউয়ের। ফোন ধরতেই ওপার হতে গম্ভীর গলায় বলে উঠলো - “শুভ সময় পাঠিয়েছি দেখেছো? হোয়াটস অ্যাপটা ফোনে কেন থাকে? দুটো ঝাঁটা নিয়ে আসবে ভালো দেখে। শুভ সময়েই কিনবে। অন্যথা যেন না হয়।”

আর ভালোলাগেনা।
ধনতেরসে ন্যায্য মূল্যে কোথায় কবর পাওয়া যায়?

মাইরি।

#প্রতীকমুখার্জী #প্রতীক
ছবি তে বাঙালির চোদ্দ প্রদীপ
#ভূতচতুর্দশী #চোদ্দপ্রদীপ

When Florence Nightingale announced her calling to become a nurse, her wealthy family was appalled and nearly disowned h...
16/10/2025

When Florence Nightingale announced her calling to become a nurse, her wealthy family was appalled and nearly disowned her for choosing what they saw as a lowly profession. 🧑‍⚕️

But she followed her path anyway, arriving at the British army hospital in Crimea in 1854 to a scene of horror. More soldiers were dying from diseases like typhus and cholera than from battle wounds.

The conditions were awful, with contaminated water, overflowing sewers, and rampant infections. The death rate inside the hospital was a shocking 42%.

Nightingale immediately got to work, demanding sanitation reform. She had the sewers flushed, the walls scrubbed, and ensured the men had clean bedding and fresh air.

Her dedication was tireless. At night, she would walk the dark hallways with her lamp, checking on each patient, earning her the name, "The Lady with the Lamp." 💡

Her changes had a stunning effect. Within months, she had reduced the hospital's death rate from 42% to just 2%.

After the war, she used her meticulously collected data to push for reforms in healthcare. In 1860, she established the Nightingale Training School for Nurses, the first science-based nursing school in the world.

Florence Nightingale's work not only saved thousands of lives during the war but also professionalized nursing and laid the foundation for modern evidence-based medicine.

In 329 BC, during his campaign in Bactria (modern Afghanistan), Alexander the Great took time for one of his favorite pa...
11/10/2025

In 329 BC, during his campaign in Bactria (modern Afghanistan), Alexander the Great took time for one of his favorite pastimes: hunting. With him were his somatophylakes, an elite group of seven loyal bodyguards. Among them was Lysimachus, a soldier whose courage would become legendary.

As Alexander entered a sacred hunting reserve, a lion of extraordinary size suddenly leapt upon him. Lysimachus, at his king’s side, immediately raised his sword to strike the beast. But Alexander, proud and unwilling to share his glory, pushed aside his guard’s intervention and slew the lion himself with a single blow.

The moment echoed an earlier tale of Lysimachus: in Syria, he had once faced a great lion alone, nearly losing his life when its jaws tore into his shoulder, leaving a scar to the bone. That scar never faded — nor did his loyalty.

Years after Alexander’s death, when Lysimachus became king of Thrace, he often showed guests the old wound. For him, it was more than a mark of survival. It was a living symbol of the bond between a soldier and the greatest commander the ancient world had ever seen.

মাত্র ছ মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে!  বেশ লম্বা ...
11/10/2025

মাত্র ছ মাসেই যে ফল পেয়ে যাবে ভাবতে পারেনি জয়তী! প্রদীপ্ত কি নিজেও ভাবতে পেরেছিল বাষট্টি থেকে চুরানব্বই হবে! বেশ লম্বা বলে বাইরের লোকরা পার্থক্যটা অতটা ধরতে না পারলেও জয়তী জানে পুরনো প্যান্টগুলো আর কোমর অব্দি উঠতে চাইছে না। দুটো নতুন প্যান্ট কিনেছে। আকবর মিয়াকে দিয়ে পুরনো তিনটের কোমরের সেলাই খুলিয়েছে। ....এসবের জন্য কম কষ্ট করতে হয়নি জয়তীকে! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দিতে হয়েছে। রান্নার হাত খুবই খারাপ ছিল রান্নার মাসির। একগাদা তেল দিয়ে রান্না করত। তেলটা আবার গরম না ক'রে ওই কাঁচা তেলেই মশলা ঢেলে সবজি , মাছ বা মাংস রান্না করত। খাবার সময় প্রতিটি পদ থেকে কাঁচা তেলের গন্ধ বেরত। প্রদীপ্তর তাতে কিছু অসুবিধে না হলেও জয়তী খেতে পারত না।
রুকুর ভাত তরকারি এবং যেকোনো ঘরোয়া খাবারদাবারের প্রতি চরম অনীহা। কদিন পরপর জয়তী বা প্রদীপ্তর ফোন থেকে পিৎজা,বার্গার, রোল ইত্যাদি অর্ডার করে। বারণ করলে শোনে না। ক্লাস এইটের ছাত্র রুকু। ভীষণ জেদি, অবাধ্য এবং রাগী.... ঠিক ওর বাবার মতই! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দেওয়ার পর প্রথমদিকে জয়তী খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছিল। তিনবেলা রান্না করার অভ্যেস ওর কখনও ছিল না।নিজে চাকরি না করলেও বাড়ির নিচেরতলায় একটা বুটিক খুলেছে সে। প্রিয়দর্শিনী বুটিক। তাও অনেকদিন হল। চারশ থেকে চারহাজার পর্যন্ত দামের শাড়ি রাখে সে। ভালই চলে । মধ্যবিত্ত পাড়া। বেশিরভাগ মহিলা শাড়ি পরে। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাস্টমারদের পছন্দ পাল্টে যাওয়ায় জয়তী এখন পলশাড়ির সঙ্গে সালোয়ার কামিজের পিস, কাফতান রাখে। দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পরে বুটিক খুলে বসে। বন্ধ করে সন্ধের পরে। ততক্ষণে প্রদীপ্ত অফিস থেকে চলে আসে। রুকুও প্রাইভেট মাস্টারের কাছ থেকে পড়ে বাড়ি ফিরে আসে। দুলালদার মেয়ে মাম্পি বুটিকে জয়তীর সঙ্গে বসে। কাস্টমার এলে জয়তীকে সাহায্য করে। জয়তী মাস গেলে ওর হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দেয়।
জয়তীর কাছে ইনস্টলমেন্টে শাড়ি কেনার সুযোগ আছে বলে পাড়ার বৌরা ঘনঘন আসে। পছন্দের শাড়ি নিয়ে যায় । আস্তে আস্তে টাকা শোধ করে। কেউ কেউ শাড়ি কেনার আগে বা পরে খানিক গল্পটল্প করে। বেশিরভাগটাই পরনিন্দা পরচর্চা। আগে রান্নার মাসির কাছে পাড়ার অনেকের হাঁড়ির খবর পেয়ে যেত জয়তী। এখন কাস্টমাররাই ভরসা।
জয়তীকে প্রায় সকলেই পছন্দ করে তার ব্যবহারের জন্য। খুব মিষ্টি ব্যবহার। বয়সে যারা ছোট ,তাদেরকে সোনা বা বাবু সম্বোধন করে জয়তী। জয়তী লক্ষ্য করে দেখেছে কোনো একটা বাক্যের আগে বাবু বা সোনা বসিয়ে দিলে খুব কাজ হয়। বয়স্ক মহিলাদের কক্ষনো মাসিমা বলে না । ঢোলা ম্যাক্সি এবং বুকের ওপরে গামছা ফেলে রাখা বৌদিকেও ম্যাম বলে জয়তী।
জয়তীর ব্যবহারের জন্যই প্রিয়দর্শিনী বুটিকে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মেয়েদের ভিড় লেগে থাকে।
তবে যতোই মুখমিষ্টি করে কথা বলুক,জয়তী জানে আড়ালে অনেকেই তাকে মুটকি বলে। সেদিন বাসস্ট্যান্ড থেকে রতনের রিকশায় উঠেছে। হাতে সময় থাকলে বাসস্ট্যান্ড থেকে হেঁটেই বাড়ি আসা যায়। সেদিন সময় ছিল না। তারওপর শাড়ি ভর্তি বড় ব্যাগ ছিল হাতে।
রতন রিকশা চালাতে চালাতে বলল "বৌদি আপনি থাইরয়েডটা একবার চেক করিয়ে নিন। আমার বউয়েরও থাইরয়েড আছে। ওরটা রোগা হয়ে যাওয়ার থাইরয়েড। আপনারটা মোটা। গেলবার যখন আপনাকে নিয়ে গেলুম,তখনকার থেকে আরও মোটা লাগছে আপনাকে।"
লক্ষ্মীভাণ্ডারে আলু একটা কিনতে গিয়েছিল একদিন। দোকানের বর্ষীয়ান মালিক মন্টুকাকু আচমকা বললেন... "আলু খাওয়া ছেড়ে দাও মা। ভাত এবং আলু একসঙ্গে খেলে শরীর কিন্তু ফুটবলের মত গোল হয়ে যাবে!"
সেদিন খড়গপুর থেকে দাদা এসেছিল। গাছের আম নিয়ে প্রতিবারই আসে। বাবা ,মা চলে যাওয়ার পরেও দাদার সঙ্গে সম্পর্ক একটুও নষ্ট হয়নি। সেও রুকুকে নিয়ে বছরে একবার খড়গপুর যায়।
খড়গপুর আগের মত ছিমছাম আর নেই। বাবার রেলের চাকরিসূত্রে তারা গোলবাজার রেল কোয়ার্টারে থাকত। কাছেই রেলের গার্লস স্কুলে পড়াশোনা করেছে জয়তী। দাদা ছোট থেকেই বড় বড় স্বপ্ন দেখত। চাকরি করার ইচ্ছে দাদার কোনোকালেই ছিল না। বাবার কথাতেও দাদা রেলের চাকরির পরীক্ষায় একবারও বসেনি। অল্প বয়স থেকে ব্যবসার দিকে নজর ছিল। বাবা যতদিন বেঁচে ছিলেন দাদা বৌদি রেলের কোয়ার্টারেই থাকত । পরে প্রেমবাজার এলাকায় অনেকটা জায়গা কিনে বিশাল একখানা বাড়ি করে দাদা। সেই বাড়ির বাগানের মিষ্টি আম দিতে আসে প্রতিবার।
এবার এসে জয়তীকে বলল " জয়ী ,একটু আধটু ব্যায়াম করতে তো পারিস! শরীরটা ফিট থাকবে।"
ছোট থেকেই দোহারা গড়ন জয়তীর। চল্লিশ পেরোনোর পরে চেহারাটা অনেকটা ঢিলে হয়ে গিয়েছে। উঠতে বসতে কষ্ট হয়। ভাত ,রুটি সে কম পরিমাণেই খায় ! কিন্তু ওজন কমার নামটি নেই।
কিছুদিন আগেই চেনা ডাক্তারবাবুর প্রেসক্রিপশন ফলো করে কয়েকটা ব্লাডটেস্ট করালো,কিছুই ধরা পড়েনি। কোনো রোগ ধরা পড়লে ভালো হতো। ওষুধ খেলে হয়ত বা কিছুটা সুরাহা হতো!
মাম্পি বলছিল পাড়ায় একটি নতুন ফ্যামিলি সাহাদের বাড়িতে ভাড়াটে হয়ে এসেছে। স্বামী,স্ত্রী আর একটা মেয়ে। বউটা মাম্পিকে বলেছে জয়তীকে নাকি প্রদীপ্তর ওয়াইফ মনেই হয় না! দিদি মনে হয়!
প্রদীপ্তও কায়দা করে দিনে অনেকবার মনে করিয়ে দেয় জয়তী ঠিক কতটা মোটা!
" সোফার যেখানটাতে বসো, দেখেছ জায়গাটা কতটা দেবে গিয়েছে ! কতবার বলেছি কাঠের টুলটায় বসবে! কথা তো শোনো না! "
ওপাশের বাড়ির মেজ বউটা ছাদে উঠলে প্রদীপ্ত জানলার কাছে চলে যাবেই! মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকবে নির্লজ্জের মত। জয়তীর দিকে তাকিয়ে বলবে "ফিগারখানা দ্যাখো! বাঙালি মেয়েদের এমন ফিগার দেখা যায় না। বয়স বোঝা যায় না একদম!"
ঝগড়াঝাঁটির সময়েও জয়তীর চেহারা নিয়ে খোঁটা দেয় প্রদীপ্ত। কান্না পায় জয়তীর। তাহলে চেহারাই সব! মনের কোনো দাম নেই! মানুষটার কোনো মূল্য নেই!
রান্নার মাসি আসার আগে ছেলের টিফিন, প্রদীপ্তর ভাত, ডাল , মাছভাজা করে দিতে হয় জয়তীকে। সকালের দিকে এত তাড়া থাকে যে ঠিকমত ব্রেকফাস্ট করা হয় না জয়তীর। চা আর দুটো বিস্কুট। কোনোদিন রাতের বেঁচে যাওয়া রুটি গরম ক'রে নিয়ে খায়। আরও দু বাড়ির কাজ সেরে বেলার দিকে রান্নার মাসি আসে। তাকে সব বুঝিয়ে দিয়ে বাকি কাজ সেরে চান,পুজো ইত্যাদি সব ক'রেট'রে যখন দুপুরের খাওয়া খেতে বসে তখন বেলা দুটো আড়াইটে বেজে যায়। খিদেও পায় খুব। অনেকটা ভাত খাওয়া হয়ে যায়। খড়গপুরে ছোট্টবেলার এক বন্ধুর সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে জয়তীর। স্বাতী মল্লিক। ডায়েটিশিয়ান। একটা নামকরা নার্সিংহোমে যুক্ত। সে ফোনে জয়তীকে নানারকম পরামর্শ দেয়। বলে সকালের ব্রেকফাস্ট ঠিকমত না খেলে দুপুরে খাওয়াটা এমনিতেই খুব বেশি হয়ে যাবে এবং শরীরে তার প্রভাব পড়বে। স্বাতী আরও বলে চল্লিশে পা দিলেই মেয়েদের নিজেদের প্রতি বেশি করে যত্ন নেওয়া উচিত। কাজের চাপে জল খেতে ভুলে যায় মেয়েরা। ইউরিনারি ইনফেকশন হয় তাতে। ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়।
স্বাতীর পরামর্শে নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করেছে জয়তী। কাজের ফাঁকে ফাঁকে নিয়মিত জল খায় এখন। মুখে বেসন,গোলাপজল লাগায়। কদিন আগে ডেন্টাল ক্লিনিকে গিয়ে দাঁতে স্কেলিং করিয়ে এসেছে। সকালে চা বিস্কুট খাওয়ার পরে রুকু স্কুলে আর প্রদীপ্ত অফিসে বেরিয়ে গেলে হেলদি ব্রেকফাস্ট করে। সকালে পেট ভ'রে জলখাবার খায় বলে দুপুরে রাক্ষসের মত খিদে পায় না। গাদাগাদা ভাত তরকারি খায় না আর।
বুটিকে বসার আগে চোখে কাজল দেয়। সুন্দর করে চুল বেঁধে খোঁপায় অথবা বিনুনিতে মরশুমি ফুল গোঁজে। যতক্ষণ বুটিকে থাকে হালকা মিউজিক চালিয়ে রাখে। এখন কাস্টমাররা একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে থাকে। মাম্পি বলে " মুখে কী মাখছেন বৌদি? খুব গ্ল্যামার বেড়েছে। চোখ ফেরানো যায় না।"
হাসে জয়তী। সে জানে তার গ্ল্যামার নয়,আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। মনেমনে একশোবার ধন্যবাদ দেয় স্বাতীকে।
বিগত মাস ছয়েক থেকে প্রদীপ্তর খাওয়াদাওয়ার মেনুটা অন্যরকম করে সাজিয়েছে জয়তী। অফিস বেরোনোর আগে খুব সুন্দর করে সাজিয়েগুছিয়ে প্রদীপ্তকে খেতে দেয়। গরমভাতে দু চা চামচ খাঁটি গাওয়া ঘি ঢেলে দেয়। গরমভাতে ঘি পড়ার পর এমনই খোশবাই বেরোয় যে প্রদীপ্ত লোভে পড়ে এক্সট্রা আরও দু হাতা ভাত নিয়ে ফ্যালে। শিয়ালদহ থেকে বোম্বাই মরিচ এনে মুগডালের মধ্যে আস্ত লঙ্কা দিয়ে ডালটা ফুটিয়ে নেয় একটু। স্নান করতে করতে বোম্বাই মরিচের ঘ্রাণে প্রদীপ্তর ঘোর লাগে। অনেকটা ভাত খাওয়ার পরেও এক্সট্রা একবাটি ডাল সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে খায়।
আগে অফিস থেকে ফিরলে প্রদীপ্ত চিঁড়েভাজা বা মুড়ি বাদাম খেত। এখন দুপুরের আগেই প্রদীপ্তর জন্য টিফিন বানিয়ে রাখে জয়তী। কোনওদিন আলুর পরোটা, কোনওদিন ছোলার ডালের কচুরি, কোনওদিন চপ বা চাউমিন। একেকদিন মোমো তৈরি করে জয়তী। মোমোর পেটে কুচোচিংড়ি অথবা খাসীর চর্বি ঠুসে দেয়। প্রদীপ্ত আসার পর খাবারগুলো গরম ক'রে সার্ভ করে। জয়তী নিজে খায় একমুঠ মুড়ি অথবা ছোলা ভাজা। কোনওদিন অল্প রোস্টেড মাখানা। প্রদীপ্ত খেতে খেতে আরামে চোখ বন্ধ করে। চোখ না খুলেই বলে "তুমি যে এত ভালো রান্না করো, জানতামই না ! রান্নার মাসিকে ছাড়িয়ে দিয়ে ভালই করেছ।"
জয়তী কিছু বলে না। নিঃশব্দে হাসে।
রাতে গরমজলে ময়দা সেদ্ধ করে তুলতুলে নরম রুটি বানায় জয়তী। একেবারে ছটা সাতটা রুটি খেয়ে নেয় প্রদীপ্ত। শেষে গাজরের হালুয়া বা সাবুর পায়েস খেয়ে ঘুমোতে যায়।
এসব রান্নার ঝামেলায় জয়তীর কষ্ট বাড়লেও মনের ভেতরকার জ্বলুনি অনেকটাই কমেছে। চোখের সামনে ফলাফল দেখে একটা আলাদা
রকমের আনন্দ অনুভব করছে জয়তী। আয়নায় নিজেকে দেখতে ভালো লাগে এখন। আয়নার জয়তীর সঙ্গে চোখে চোখ রাখতে এখন ওর আর অস্বস্তি হয় না।
এতদিন ধ'রে ফিগার মেইনটেন করে আসা প্রদীপ্ত এখন থপথপ করে হাঁটে। খায়। কাজে যায়।বাড়ি আসে। খায়। ঘুমোয়। যখন পাশের বাড়ির মেজবউটা শরীর বাঁকিয়েচুরিয়ে ছাদে একঘণ্টা ধরে কাপড় ম্যালে, তখন প্রদীপ্ত আগের দিনের বেঁচে যাওয়া পায়েস মুড়ি দিয়ে মেখে খায় অথবা আধশোয়া হয়ে ল্যাপটপে কাজ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে।
সেদিন রবিবার। দুপুরে চরম খাওয়া খেয়ে প্রদীপ্ত গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন। জয়তী বুটিকে বসে শাড়ির ওপরে দামের স্টিকার লাগাচ্ছিল। এসব কাজ মাম্পির সামনে করে না জয়তী। হঠাৎ সদর দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে জয়তী ভাবল এখন কি কারোর আসার কথা ছিল! নিচেরতলায় ছিল বলে জয়তী বুটিকের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে সদর গেটের কাছে গিয়ে দেখল একজন ভদ্রলোক দাঁড়িয়ে আছেন।
জয়তী অবাক হয়ে বলল কাউকে খুঁজছেন?
"প্রদীপদাকে একটু ডেকে দেবেন !"
এখানে প্রদীপ নামের তো কেউ থাকে না!
"এই ঠিকানাই তো বলল...."...জয়তীর হাতে একটুকরো কাগজ ধরিয়ে দিল লোকটি।
জয়তী প'ড়ে দেখল এই বাড়িরই ঠিকানা। কিন্তু নামটা তো মিলছে না! অবশ্য এই পাড়াতে প্রদীপ নামের তিনচারজন মানুষ বাস করে। তাদের মধ্যেই একজন হবে হয়তো!
জয়তীকে চুপ করে থাকতে দেখে লোকটি বলল
"যাঁকে খুঁজছি তিনি বিশাল মোটা।"
জয়তী বলল নামটা ভুল বললেও আপনি ঠিক বাড়িতেই এসেছেন। আপনি দাঁড়ান,আমি প্রদীপ্তকে ডেকে দিচ্ছি।

প্রতিশোধ
Sabina Yasmin Rinku

( একদা বর্তমান পত্রিকায় প্রকাশিত)

 #বাগধারা বাংলা ক্লাসে বাগধারার উদাহরন দিতে গিয়ে নেড়ুদা যা লিখেছিলো এবং শূন্য পেয়েছিলো,,,, সত্যিই কী নেড়ুদার শূন্য পাওয়া...
10/10/2025

#বাগধারা
বাংলা ক্লাসে বাগধারার উদাহরন দিতে গিয়ে নেড়ুদা যা লিখেছিলো এবং শূন্য পেয়েছিলো,,,, সত্যিই কী নেড়ুদার শূন্য পাওয়া উচিত ছিল,,,, ?

1. আহ্লাদে আটখানা -
নেড়ুদার উত্তর : প্রচণ্ড খিদে পেয়েছিল, তাই এক হাঁড়ি রসগোল্লা দেখে আহ্লাদে ৮ খানা খেয়ে ফেললাম।

2. উনিশ বিশ -
নেড়ুদার উত্তর : আমরা ক্লাস ওয়ানে সতেরো আঠারো উনিশ বিশ পর্যন্ত গুনতে শিখেছিলাম।

3. সাবধানের মার নেই -
নেড়ুদার উত্তর : সাবধানের বাবার মুখ ভর্তি দাড়ি-গোঁফ আছে কিন্তু সাবধানের মার নেই।

4. অরণ্যে রোদন -
নেড়ুদার উত্তর : বাঘটা ছুটতে ছুটতে হোঁচট খেয়ে পড়ে গিয়ে হাঁটুতে বেজায় চোট পেয়ে অরণ্যে রোদন করতে লাগল।

5. ভাঁড়ে মা ভবানী -
নেড়ুদার উত্তর : গত বছর ভবানী পুজোর সময়ে ভবানীপুরের ভুবন সংঘ চার হাজার চায়ের ভাঁড়ে মা ভবানী বানিয়েছিল।

6. উলুবনে মুক্তো -
নেড়ুদার উত্তর : উলুবনে মুক্তো ছড়ালে মালা বানাবে কী দিয়ে, ভাবতে ভাবতে দিন শেষ হয়ে যাবে।

7. উত্তম মধ্যম -
নেড়ুদার উত্তর : সুচিত্রা দেবীকে নিয়ে উত্তমকুমার গাড়ি করে দমদমে বেড়াতে গিয়েছিলেন, তারপর সুচিত্রা দেবীর অনুরোধে উত্তম মধ্যম গ্রাম গেলেন।

8. আলালের ঘরে দুলাল -
নেড়ুদার উত্তর : আলালের ঘরে দুলাল গিয়ে বলল, "মাসিমা, আলাল আছে ?

9. মাঠে মারা গেলো -
নেড়ুদার উত্তর : খেলার উত্তেজনা সইতে না পেরে মনোজবাবুর বউমা প্রতিভা হার্ট অ্যাটাকে মাঠে মারা গেলো

নিয়মের গেরোয় নেড়ুদার প্রতিভা মাঠে মারা গেল ।

✍️ রজতশুভ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ( প্রথম প্রকাশ ছন্দবাণী পত্রিকায় ২০০৮ সাল )

Address

32/D Roy M C Lahiri Street

712204

Telephone

+918420032257

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The crazy medico posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The crazy medico:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share