03/11/2025
সমগ্র রাজ্যজুড়ে একযোগে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ডাক দিল **অল আসাম হেলথ অ্যান্ড টেকনিক্যাল এনএইচএম এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন**।
সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এনএইচএম কর্মচারীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন ও অবিরত ধর্ণা কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন।
এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে কাছাড় জেলায় শিলচরের **এস.এম. দেব অসামরিক হাসপাতালে*৩ নভেম্বর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে *“কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট”*।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।
সংগঠনের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বারবার দাবিপত্র পেশ করা হলেও এখনো পর্যন্ত স্থায়ীকরণসহ বিভিন্ন মূল দাবি পূরণ করা হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই তারা এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথে নেমেছেন।
অন্যদিকে, এই কর্মবিরতির ফলে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবায় আংশিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে সংগঠন জানিয়েছে, জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
**কর্মচারীদের প্রধান দাবিসমূহঃ**
১. জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে কর্মরত সকল শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য *পে স্কেল* ব্যবস্থা কার্যকর করে বেতন সুরক্ষা প্রদান করতে হবে এবং *Verdict No. 213 of 2013* অনুযায়ী “সম কাজের সম বেতন ও সম অধিকার” নীতি কার্যকর করতে হবে।
২.
২০২১ সালের *Assam Gazette Notification No. HLA.409/2020/Pt/55* সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করে নিয়মিত সরকারি কর্মচারীদের সম হারে *গ্র্যাচুইটি, পেনশন, ডেথ বেনিফিট, দার্ভিদ বুক ফেসিলিটি* এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করতে হবে।
এছাড়া, গ্র্যাচুইটি ও পেনশন সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশনা দ্রুত প্রকাশ করে তা কার্যকর করতে হবে।
৩.
স্বাস্থ্য দফতরে শূন্য পদে এনএইচএম কর্মচারীদের সরাসরি নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি নতুন প্রতিষ্ঠিত স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে নতুন পদ সৃষ্টি করে এলএইচএম কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে হবে।
৪.
কর্মরত অবস্থায় কোনো কর্মচারীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের যোগ্য সদস্যকে চাকরিতে নিয়োগ দিতে হবে; অন্যথায় মৃত কর্মচারীর ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তাঁর সম্পূর্ণ বেতন পরিবারকে প্রদান করতে হবে।
৫. সকল এনএইচএম কর্মচারীকে সামাজিক সুরক্ষা আইনের আওতায় এনে *ই.পি.এফ* বা *সি.পি.এফ (Employees/Contributory Provident Fund)* সুবিধা চালু করতে হবে।
সংগঠনের হুঁশিয়ারি, যদি নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগ এই দাবিসমূহ পূরণের জন্য লিখিত প্রতিশ্রুতি না দেয়, তবে আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ আরও তীব্র করা হবে।
তারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছে—এই আন্দোলনের ফলে যে কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তার দায়ভার সংগঠন নেবে না।