17/02/2025
পথের কুকুরেরা
আমি আজ সকাল থেকেই নানা কাজে ব্যস্ত। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হচ্ছে, কিন্তু রাস্তায় পা রাখলেই এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে। চারপাশে কুকুরের দল যেন আমার ওপর নজর রাখছে!
প্রথমে এল পগ— ছোটখাটো, কিন্তু বড্ড নাছোড়বান্দা। সে আমার সামনে এসে লেজ নাড়িয়ে বলল,
“তুমি এত সুন্দরভাবে হাঁটছ কেন? একটু দাঁড়াও না! আমি তোমার পথ আটকে রাখতে চাই।”
আমি বিরক্ত হয়ে পাশ কাটিয়ে এগোতে গেলাম, কিন্তু সে পিছু নিল। আমার চলার পথে বাঁধা দেওয়াটাই যেন তার বিনোদন!
এরপর এল ডোবারম্যান— উজ্জ্বল চোখ, হিংস্র চাহনি। সে পথের পাশে দাঁড়িয়ে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকল। আমি তাকাতেই ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি টেনে বলল,
“এই পথ দিয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই, কিন্তু আজ তোমাকে এখানে দেখছি! নতুন লাগছে না?”
আমি উপেক্ষা করলাম, তবু সে হাঁটতে হাঁটতে আমার পিছু নিল, যেন তার অনুমতি ছাড়া কেউ চলতে পারে না!
তারপর এল রটওয়েইলার— রুক্ষ, ভয়ঙ্কর স্বভাবের। সে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে চোখ লাল করে বলল,
“এভাবে একা চলাফেরা করো কেন? সঙ্গে কাউকে নিয়ে বের হও, নয়তো সমস্যায় পড়তে পারো!”
আমি অবাক হয়ে তাকালাম। আমি কোথায় যাব, কীভাবে যাব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত। কিন্তু সে এমন ভাব করছে যেন সে আমার অভিভাবক!
এরপর দেখা মিলল বিগল-এর। সে নাক উঁচিয়ে আমার চারপাশে চক্কর দিতে লাগল, যেন কিছু সন্দেহজনক খুঁজছে। তারপর বলল,
“তুমি এত গম্ভীর কেন? একটু হাসো না! তোমার মতো কেউ রাস্তায় বেরোলে একটু মজা তো করতেই হয়!”
আমি একটুও হাসলাম না, বরং হাঁটার গতি বাড়ালাম। কিন্তু সে পিছন থেকে ডেকে উঠল, “তোমার ভয় লাগছে নাকি?”
আমি বিরক্ত হয়ে রাস্তার একপাশে গিয়ে দাঁড়ালাম, একটু স্বস্তির আশায়। হঠাৎ দেখি, একটা সেন্ট বার্নার্ড নরম চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সে কিছু না বলে মাথা নিচু করল, যেন বলতে চাইছে, “আমি বুঝতে পারছি, তুমি শান্তি চাও। আমি তোমাকে বিরক্ত করব না।”
আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আর মনে মনে ভাবলাম কবে এই কুকুর গুলো রাস্তাঘাট থেকে চিরকালের জন্য বিদায় নেবে? পরক্ষনেই মনে হলো কুকুরের পেটে তো আর মানুষ জন্মাবে না? মানুষের চেহারার সাথে মিল থাকলেও থাকতে পারে।। কথায় আছে না কুকুরের লেজ সোজা হয় না, ওটা বংশগত।।
আমার শুধু নিরাপদে চলার আকাঙ্ক্ষা!