Khola Diary

Khola Diary social experience and beautiful nature with my Daily life... writing different content which come to my thought..

আজ আবিষ্কার করলাম বাবাকে নতুনভাবে…১৯৮৬ সালের পুরনো ডায়েরির ভেতর থাকা বাবার বেসরকারি কোম্পানির সেই আইডেন্টিটি কার্ড—সরকার...
15/06/2025

আজ আবিষ্কার করলাম বাবাকে নতুনভাবে…
১৯৮৬ সালের পুরনো ডায়েরির ভেতর থাকা বাবার বেসরকারি কোম্পানির সেই আইডেন্টিটি কার্ড—সরকারি চাকরিতে যোগদানের ঠিক এক বছর আগে। পিতৃদিবসে সেই মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে আবার জীবন্ত হল।

ছোট্ট এক কার্ডে মুছেমুছে থাকা শহরের ব্যস্ততা, বাবার সংগ্রাম এবং স্বপ্ন—সবটাই ঘেরা।

সময়ের মোহনায় হারিয়ে যাওয়া বাবার এক অধ্যায় আজ যেন ফিরে এল—তৃপ্তির ওই ক্ষণ, নিজেদের জন্য ছুটে চলার আগ্রহ, ভবিষ্যতের অজানাকে সাহস দিয়ে চালিয়ে দেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।

বাবা শুধু একজন নয়—তুমি আমার প্রেরণা, বন্ধু, পথপ্রদর্শক। আজ তোমার সেই সংগ্রামী মুহূর্ত দেখেই মনে হলো তোমার ভূমিকা কত বিশাল, তোমার ভালোবাসার মূল্য যে অপরিসীম।

🙏 ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা করো বাবা—তোমার সেই অক্লান্ত ভালোবাসা আর ত্যাগ আজও আমাদের পথ দেখায়।
তোমার এই দিন, তোমার এই স্মৃতি—আমার চিরঋণী।

05/06/2025

সম্পর্ক হয়তো নেই, তবুও
তোমার নামের সেই ছোট্ট সুরটা—
যেটা শুধুই আমার ছিল,
আজও ঠোঁটে খেলা করে হঠাৎ।

সমবয়সী নও,
তবু যতবার দেখা হয়,
শ্রদ্ধা আর অভিমান মিশে
একটা নীরব কবিতা গড়ে।

চোখে চোখ রাখলে—
নতুন করে কিছু জন্মায় না,
তবে পুরনো কিছু মরেও না,
সে বেঁচে থাকে—
ডাকনাম হয়ে,
অন্য নামে তোমায় না ডেকে।

শব্দের ফাঁকে সম্পর্ক থাকে না,
তবু প্রতিটা বাক্যে একচিলতে আশা,
হয়তো তুমি বুঝে ফেলো—
আমি আজও সেই নামেই ডাক দিই মনেতে।

27/04/2025

গজলডোবা ব্যারাজের মেরামতের সময়কালীন সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অর্থনৈতিক জীবনযাত্রা ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

পথের কুকুরেরাআমি আজ সকাল থেকেই নানা কাজে ব্যস্ত। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হচ্ছে, কিন্তু রাস্তায় পা রাখলেই এক অদ্ভু...
17/02/2025

পথের কুকুরেরা

আমি আজ সকাল থেকেই নানা কাজে ব্যস্ত। এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যেতে হচ্ছে, কিন্তু রাস্তায় পা রাখলেই এক অদ্ভুত ব্যাপার ঘটে। চারপাশে কুকুরের দল যেন আমার ওপর নজর রাখছে!

প্রথমে এল পগ— ছোটখাটো, কিন্তু বড্ড নাছোড়বান্দা। সে আমার সামনে এসে লেজ নাড়িয়ে বলল,
“তুমি এত সুন্দরভাবে হাঁটছ কেন? একটু দাঁড়াও না! আমি তোমার পথ আটকে রাখতে চাই।”

আমি বিরক্ত হয়ে পাশ কাটিয়ে এগোতে গেলাম, কিন্তু সে পিছু নিল। আমার চলার পথে বাঁধা দেওয়াটাই যেন তার বিনোদন!

এরপর এল ডোবারম্যান— উজ্জ্বল চোখ, হিংস্র চাহনি। সে পথের পাশে দাঁড়িয়ে আমার দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকল। আমি তাকাতেই ঠোঁটের কোণে অদ্ভুত হাসি টেনে বলল,
“এই পথ দিয়ে তো আমি প্রতিদিন যাই, কিন্তু আজ তোমাকে এখানে দেখছি! নতুন লাগছে না?”

আমি উপেক্ষা করলাম, তবু সে হাঁটতে হাঁটতে আমার পিছু নিল, যেন তার অনুমতি ছাড়া কেউ চলতে পারে না!

তারপর এল রটওয়েইলার— রুক্ষ, ভয়ঙ্কর স্বভাবের। সে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে চোখ লাল করে বলল,
“এভাবে একা চলাফেরা করো কেন? সঙ্গে কাউকে নিয়ে বের হও, নয়তো সমস্যায় পড়তে পারো!”

আমি অবাক হয়ে তাকালাম। আমি কোথায় যাব, কীভাবে যাব, সেটা আমার সিদ্ধান্ত। কিন্তু সে এমন ভাব করছে যেন সে আমার অভিভাবক!

এরপর দেখা মিলল বি‌গল-এর। সে নাক উঁচিয়ে আমার চারপাশে চক্কর দিতে লাগল, যেন কিছু সন্দেহজনক খুঁজছে। তারপর বলল,
“তুমি এত গম্ভীর কেন? একটু হাসো না! তোমার মতো কেউ রাস্তায় বেরোলে একটু মজা তো করতেই হয়!”

আমি একটুও হাসলাম না, বরং হাঁটার গতি বাড়ালাম। কিন্তু সে পিছন থেকে ডেকে উঠল, “তোমার ভয় লাগছে নাকি?”

আমি বিরক্ত হয়ে রাস্তার একপাশে গিয়ে দাঁড়ালাম, একটু স্বস্তির আশায়। হঠাৎ দেখি, একটা সেন্ট বার্নার্ড নরম চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সে কিছু না বলে মাথা নিচু করল, যেন বলতে চাইছে, “আমি বুঝতে পারছি, তুমি শান্তি চাও। আমি তোমাকে বিরক্ত করব না।”

আমি দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। আর মনে মনে ভাবলাম কবে এই কুকুর গুলো রাস্তাঘাট থেকে চিরকালের জন্য বিদায় নেবে? পরক্ষনেই মনে হলো কুকুরের পেটে তো আর মানুষ জন্মাবে না? মানুষের চেহারার সাথে মিল থাকলেও থাকতে পারে।। কথায় আছে না কুকুরের লেজ সোজা হয় না, ওটা বংশগত।।

আমার শুধু নিরাপদে চলার আকাঙ্ক্ষা!

05/01/2025

শান্তির দূত

কে যে নাম দিয়েছে শান্তির দূত? বুঝিনা বাবা, এই দূত এমন কী শান্তি এনে দিয়েছে তাকে। তবে আপনিও একটু ভেবে চিনতে কাজ করবেন। একটি গল্প বলি, বাড়ির শান্তি থাকবে বলে শান্তির দূতকে নিয়ে এসেছে আমার বাবা। মানে সাদা পায়রা,যাকে শান্তির দূত বলা হয়। সাদা পায়রা বাড়ি থাকলে নাকি খুব শান্তি আসে। দুটো সাদা পায়রা, তার জন্য মিস্ত্রি দিয়ে বানানো হলো খাঁচা,ছোট্ট একটি দরজা।খুব মিষ্টি দুটো পায়রা যেনো বাড়ির সকলকে মাতিয়ে দিয়েছে। কে কি খাবার দিবে? কে জল দেবে,,, কে বেশি আদর করবে তার যেন প্রতিযোগিতা চলছে। উঠোনে, ঘরের চালে,গাছে, প্রায় সর্বত্র ছিলো তাদের অধিকার।শান্তির দূত যে বেশ সুখে-শান্তিতে আছে তা বোঝাই যাচ্ছে।কিন্তু দূতের যে শান্তিকে আনার কথা, তার কী?
কয়েকদিন পরে আরেকটি পায়রা দেখা যাচ্ছে ওদের সঙ্গে। আরও কয়েকদিন পর আরেকটি। সংখ্যায় বাড়ছে।হয়তো পরিবারে শান্তির আগমন হচ্ছে। মাস ছয় হয়ে গেলো। পায়রা এখন আর ঠিক করে গোনা যায় না। তবে আন্দাজ করা যায় পঞ্চাশের ওপরেই হবে।পরিবারের সর্বত্র তাদের অধিকার। যেখানে সেখানে তাদের পটি পরে থাকে।সেই পটি পরিষ্কার করতেই সারাদিন চলে যায় একজন মানুষের। যেখানে সেখানে পালক পরে থাকে। বাড়ির যেখানে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে তারা, রাতে চুপ করে বসে থাকে। এমন জায়গা নেই যে তারা নেই। বাড়ির মূল সদস্য এখন তারা।আমরা যেন পরিযায়ী। তাদের এই অত্যাচারে বাড়ির সকলেই অতিষ্ঠ।
নানান কায়দা করেও তাদের আর তাড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। নানাবিধ অত্যাচার করে, ধরে বিক্রি করে দিলেও তাদের সংখ্যা কমছে না। কী যে শান্তির দূত,,,,
আপনিও বাড়িতে কিংবা হৃদয়ে যখন শান্তির পায়রা আনবেন অনেক হিসেব করে আনবেন।দেখতে সুন্দর, মিষ্টি মুখের কথা, ককিল কন্ঠ, অসাধারণ ব্যবহার, মিতভাষী দেখে মোহিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।নইলে তার সাময়িক মোহো তে আপনার জীবন দুর্গন্ধে ভোরে যেতে পারে।। শান্তির সংজ্ঞা না বুঝতে পারলেও, অশান্তির সংজ্ঞা হাড়ে হাড়ে বুঝে যাবেন।।

@চিন্ময়

05/01/2025

স্টাটাস
মাথায় দেয়, নাকি খায়? কোন দোকানে পাওয়া যায়? স্বভাব চরিত্র গুন সব একই থাকা সত্যেও যখন স্থান পরিবর্তন হয় তখন শুধু তার স্টাটাসের লেভেলটা ভিন্ন ধরা হয়। যেমন ধরুন জলের বোতল ট্রেনের হকারের কাছে দশ টাকা। সেই বোতল রাস্তার ধারে কুড়ি টাকা। একটু বড় হোটেলে ৫০ টাকা।আবার বড় রেস্টুরেন্টে ১০০ টাকা। ফাইভ স্টারে ২০০ টাকা।কিন্তু স্বভাব গুন সব একই। কিন্তু তার মূল্য জায়গা বিশেষে ভিন্ন।।
আমরাও বদ্ধ ঘরে একা একরকম থাকি।বাথরুমে একরকম থাকি, আমার প্রিয়ো মানুষের সামনে একরকম, পরিবারের মানুষের সামনে একরকম, সকলের সামনে আরেকরকম। কথার কর্কশতা ও মিষ্টতা দেখেও আমরা অনেককে বিচার করি। কিংবা পোশাক আশাক দেখেও বিচার করে নি।
আসলে এটাই বাস্তব জলের বোতল যতই স্থান পরিবর্তন করুক, আর যতই গায়ের পোশাক আশাক পরিবর্তন করুক, তার স্বভাব ও গুন একই থাকে। নীল বোতলে নীল,লাল বোতলে লাল, সবুজ পাত্রে সবুজ রঙ যতই ধারন করুক না কেনো।জল তার নিজস্ব গুন থেকে কখনও বের হতে পারে না।

@ চিন্ময়

13/12/2024

Address

Siliguri

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khola Diary posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share