25/05/2025
👉👉👉 আসল দোষী কে?
সিভিক ভলেন্টিয়ার নাকি সেই নাবালক বালকের মা? এখানেই অনেক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে,
সেই নিয়েই কিছু আলোচনা করে নেওয়া যাক..!
সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যুতে সিভিক ভলান্টিয়ারের ছবি অনেকেই ভাইরাল করেছেন, এমনকি আমি নিজেও করেছিলাম, কিন্তু পরে সত্যটা জেনে পোস্টটি নতুন ভাবে করলাম।
আপনারা কয়েকটা ব্যাপার ভেবে দেখুন..
📌কৃষ্ণেন্দুর বর্তমান বাবা হলেন তার সৎ বাবা,
একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন ছেলেটির পদবী "দাস" আর বর্তমান বাবার পদবী "বেরা"।
সেই বাবা সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, "অভিযোগ করবো কিনা ভাবছি!"
📌কৃষ্ণেন্দুর দাদু অশোককুমার দাস বলেছেন, "ছেলেটির বাবা ও মা এই মৃত্যুর জন্য দায়ী"। আবার বলছি, মৃত ছেলেটির দাদু বলেছেন, ছেলেটির বাবা অর্থাৎ সৎ বাবা ও মা , ছেলেটির মৃত্যুর জন্য দায়ী।
📌সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ছেলেটি চুরি করেনি। সিসিটিভি ফুটেজে এইটাও দেখা গিয়েছে যে ছেলেটিকে দোকানের সামনে গালে চড় মেরেছেন তার মা, কান ধরে উঠবোস করিয়েছে তার মা। ইনিই সেই মা, যিনি তার প্রাক্তন স্বামী অর্থাৎ কৃষ্ণেন্দুর প্রকৃত বাবাকে খুন ক*রে ছিলেন।
তার কারণ বর্তমান স্বামীর সাথে তখন তার সম্পর্ক ছিল। তারপর বর্তমান স্বামীর সাথে তার বাড়ি চলে আসে। সিসিটিভিতে এও দেখা গিয়েছে একসময় উক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত, মায়ের শাসন থেকে বাঁচাতে ছেলেটিকে রক্ষা করতে জড়িয়ে ধরেছে।
📌 ঘটনার এত সময় ঘটে যাওয়ার পরেও ছেলেটির মা কিন্তু একটা FIR করার সময় পর্যন্তও পাননি। নাকি ইচ্ছে করে করেননি।
চোর অপবাদটি সিভিক ভলান্টিয়ার শুভঙ্কর দীক্ষিত রটায়নি, এইটি রটিয়েছে সেই পাড়ারই আরেকটি ছেলে। পাড়ায় তার নাম "জামাই"। ঘটনার পর তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
📌অতএব এইসব থেকে এটা বোঝায় যাচ্ছে,
সৎ বাবা এবং মায়ের সংসারে থাকতে থাকতে, ছেলেটির মনে দীর্ঘদিন ধরে অনেক অভিমান জমে উঠেছিল, হয়ত সে তার প্রকৃত বাবাকে ভীষণ ভালোবাসতো যাকে হারিয়ে ফেলার পর মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছিল, কিংবা তার এই সৎ বাবাকে কোনভাবেই সে মেনে নিতে পারেনি। এমনকি
তার প্রকৃত বাবাকে যে হ*ত্যা করেছে অর্থাৎ তার মাকে সে ক্ষমা করতে পারেনি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া সেই ছেলেটিকে যখন তার মা ভরা বাজারে শাসন করলো সেটা সহ্য করতে না পেরে সে আত্মহত্যা করে বসলো।
দায়ী আসলে তাহলে কে?
মা FIR করতে চাইছে না কেন?
📌এখন আর এতটুকুও সন্দেহ নেই, ছেলেটির মাই হলো আসল দোষী। একদিনের ঘটনায় কেউ এইভাবে আত্মহত্যা করে না। ছেলেটির মনে দীর্ঘদিনের অভিমান জমা হয়ে ছিল। সে মানসিক ভাবে ভেঙে পরে ছিল।
একবার ভালোভাবে ভেবে দেখবেন।🙏
~ সংগৃহীত :
❤️ শুভ সন্ধ্যা ❤️