29/07/2025
#রোহিঙ্গা মুক্তি ভারতবর্ষ চাই ।
#রোহিঙ্গা মুক্তি পশ্চিমবঙ্গ চাই ।
#মধ্যপ্রদেশ থেকে বাংলাদেশী সন্দেহে ধরা হলো পলাশ অধিকারীকে #অভিযোগ তিনি বাংলাদেশী। কিন্তু পলাশের কাছে #আধার কার্ড #ভোটার কার্ড #প্যান কার্ড ইত্যাদি ছিল সে সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো দেখিয়ে প্রমাণ করল #সে খাঁটি ভারতীয় এবং একজন হিন্দু #সে কোনমতেই বাংলাদেশী নয় #তখনো পুলিশের সন্দেহ সে বাংলাদেশী #শেষ পর্যন্ত তাকে আদালতে তোলা হল #আদালত জিজ্ঞাসা করল- আপনার নাম?
#পলাশ অধিকারী
#বয়স? ৪২
বাবার নাম?
#রমেশ অধিকারী
#ঠিকানা?
#কাশিমপুর, মালদহ, পশ্চিমবঙ্গ
#ভোটার লিস্ট এবং #আধার কার্ড মিলিয়ে দেখা গেল #পলাশ যা যা বলছে সবই সত্য #রমেশ অধিকারীর চার ছেলে #পলাশ, #সুব্রত, #সৌমেন ও #রাহুল। #কিন্তু পুলিশ তখনও অভিযোগ করে যাচ্ছে সে বাংলাদেশী #কিন্তু তা কি করে হয়? হ #রমেশ অধিকারী ভারতীয় #তার জন্ম ১৯৬২ সালে মালদায় #১৯৮৪ সাল থেকে সে নিয়মিত #ভোট দিচ্ছে এবং তার পরিবারের #একজন স্ত্রী ও #চার পুত্র সবাই এখন ভোটার তালিকায় যুক্ত #তাহলে কি পুলিশ ভুল বলছে? #খোলা হলো নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা #সেখানেও একই ছবি!! #রমেশ বাবু ভারতীয় ও হিন্দু অতএব #তাঁর স্ত্রী সহ চার ছেলেও ভারতীয় #তাহলে পলাশ অধিকারীকে ছেড়ে দেওয়া হোক।
#কিন্তু হঠাৎ করেই বিচারকের সন্দেহ হয় #তিনি বললেন ২০০২ সালের এর রেকর্ড খোলা হোক #রেকর্ড দেখে তো বিচারকের চক্ষু চড়ক গাছ!!! #রমেশবাবুর দুই ছেলে সুব্রত ও সৌমেন #একজনের বয়স ২৮ একজনের ৩০ #তাহলে পলাশ ও রাহুল কার ছেলে? ২০১০ সালের #রেকর্ড খোলা হল সেখানেও রমেশ বাবুর দুই ছেলে #সুব্রত ও #সৌমেন #সেখানেও #পলাশ ও #রাহুলের নাম নেই #খোলা হল ২০১৫ সালের #রেকর্ড সেখানে #রমেশ বাবুর #চার ছেলে হয়ে গেল #চলে এলো #পলাশ ও #রাহুলের নাম #সঙ্গে সঙ্গে পলাশের অভিযোগ ২০১৫ সালে তার নাম ভোটার লিস্টে উঠেছে #বেশ ভালো কথা #এবার চেক করা হলো রমেশ বাবুর রেকর্ড #দেখা গেল রমেশবাবু বিবাহ করেছেন ১৯৯৩ সালে। #প্রথম সন্তান সুব্রত জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৫ সালে তার বয়স বর্তমানে ৩০, #দ্বিতীয় সন্তান সৌমেন জন্মগ্রহণ করে ১৯৯৭ সালে তার বয়স বর্তমানে ২৮। #তাহলে ৪২ বছর বয়সী পলাশ কিভাবে রমেশ বাবুর পুত্র হন? কোনভাবেই যখন কিছু সুবিধা করা গেল না তখন বেরিয়ে এলো আসল সত্য। #পলাশ অধিকারী আসলে #শেখ মইনুদ্দিন বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা, #আহমেদপুর। #আরও আশ্চর্যের বিষয়ে রমেশ অধিকারী এই #শেখ মইনুদ্দীনকে চেনেন না। জিজ্ঞাসা করা হল রাহুল অধিকারীর কথা। #তিনি তার নামই শোনেননি। #গ্রামের সাধারণ কৃষক রমেশবাবু ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কিভাবে এই #শেখ মইনুদ্দিন তার ছেলে পলাশ অধিকারী হয়ে গিয়েছে। #যদিও রাহুল অধিকারী কে? সেটি এখনো জানা যায়নি। #পুলিশ এখনো তাকে খুঁজছে। #রমেশবাবু সাধারণ মানুষ, অতকিছু বোঝেন না। #যখন যখন ভোট আসে তখন তিনি গিয়ে ভোট দিয়ে আসেন। #স্থানীয় নেতারা এই বিষয়টা সব জানলেও সবাই নিশ্চুপ। #এই সুযোগেই #শেখ মইনুদ্দিন ভারতীয় সরল রমেশ অধিকারী কে বাবা বানিয়ে নিজে #পলাশ অধিকারী সেজে দিব্যি হিন্দু ভারতীয় হয়ে গিয়েছেন। এবং #বিগত ১০ বছর পরিযায়ী শ্রমিকের আড়ালে দিব্যি মৌলবাদী ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে গিয়েছে। #এভাবেই হাজারে হাজারে #শেখ মইনুদ্দিন ও তার সাঙ্গোপাঙ্গরা ভারতবর্ষে অনুপ্রবেশ করে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড বানিয়ে দিব্যি ভারতীয় বনে গিয়েছে। #এই সমস্যার সমাধান পুনরায় ভোটার লিস্টের নিবিড় অনুসন্ধান। #না হলে অনুপ্রবেশকারী ধরার কোন উপায় নেই। #তাই সাধু সাবধান!! #যেটা করা হচ্ছে সেটা ভারতবর্ষের নাগরিকদের স্বার্থেই করা হচ্ছে। #যাঁরা সত্যিকারেরই ভারতীয় নাগরিক তারা #নিশ্চিন্ত থাকুন তাদের কোন ক্ষতি হবে না। #