
04/12/2022
‘সংবিধানের উদ্দেশ্য কি পূরণ হয়েছে?’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কর্নাটকের বিজয়পুরায় অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ বসন্ত মুলাসাভালাগি বলেছেন, হিন্দুরা ভারতে বেঁচে ছিল কারণ মুসলিম শাসকরা তাদের থাকতে দিয়েছিল। তিনি বলেন, ‘মুঘল শাসনামলে মুসলিমরা যদি হিন্দুদের বিরোধিতা করত, তাহলে ভারতে একজনও হিন্দু অবশিষ্ট থাকত না। তারা সব হিন্দুকে হত্যা করতে পারত। যদিও তারা শত শত বছর ধরে শাসন করেছে, তবুও মুসলমানরা কেন সংখ্যালঘু রয়ে গেছে? এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় সৌহার্দ্য বেদিক এবং অন্যান্য সংস্থার দ্বারা আয়োজিত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কর্নাটকের অবসরপ্রাপ্ত্ জেলা বিচারক মুলাসাভালাগি বলেন, ‘অবশ্যই জানতে হবে যে, ভারতে মুসলিম শাসনের ৭০০ বছরের ইতিহাস কী বলে।’ তিনি বলেন, ‘মুঘল রাজা আকবরের স্ত্রী হিন্দু ছিলেন এবং তিনি ইসলামে ধর্মান্তরিত হননি। আকবর তাঁর আঙিনায় একটি কৃষ্ণ মন্দির নির্মাণ করেছিলেন। মানুষও এখন এটা দেখতে পাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘হিন্দু দেবতা, ভগবান রাম এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটি উপন্যাসের চরিত্র মাত্র। আর সম্রাট অশোকই ছিলেন প্রকৃত ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব।
বসন্ত মুলাসাভালাগিপ্রষ্ন তোলেন, ‘উত্তরাখণ্ডে শিবলিঙ্গের ওপর বুদ্ধের ছবি আঁকা হয়েছে। বৌদ্ধ অনুসারীরা এই বিষয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন। এটি বজায় রাখা হয় যে মন্দিরগুলিকে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মন্দির নির্মাণের আগে সম্রাট অশোক ৮৪,০০০ বুদ্ধ বিহার নির্মাণ করেছিলেন। তারা কোথায় গেল? এটা সময়ের সাথে সাথে ঘটেছে। এটাকে কি একটা বড় ইস্যু করা যেতে পারে?’ তিনি বলেন, সংবিধানের উদ্দেশ্যগুলো সুস্পষ্ট ও নির্ভুল। সংবিধানের উদ্দেশ্য পূরণে সিস্টেমটি ব্যর্থ হওয়ায় সন্দেহ তৈরি হয়। এর অবসান ঘটাতে তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই সজাগ ও সক্রিয় হতে হবে। ১৯৯৯ সালে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য এবং মন্দির, গির্জা ও মসজিদগুলি যেমন আছে তেমনই রাখার জন্য একটি আইন ছিল। তা সত্ত্বেও, জেলা আদালত পরস্পরবিরোধী রায় দিয়েছে এই বিষয়ে। তাই এ নিয়ে বলেন, সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। আর এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরালি নাগরাজ অভিমত ব্যক্ত করেন যে, সমস্ত প্রার্থীর একটি হলফনামা থাকা উচিত যে নির্বাচনে জয়লাভের পরে তারা দল পরিবর্তন করবে না। এ ধরনের আইন প্রণয়নের প্রয়োজন আছে।