Amit bhattacharjee

  • Home
  • Amit bhattacharjee

Amit bhattacharjee সততার জয় সুনিশ্চিত তুমি যদি দৃশ্যমান মানুষকে ভালবাসতে না পারো তাহলে অদৃশ্য ঈশ্বরকে কি করে ভালোবাসবে?

তারকেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস  তারকেশ্বর মন্দির, যা তারকনাথ মন্দির নামেও পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার তারকেশ্বরে অবস্থিত...
20/07/2025

তারকেশ্বর মন্দিরের ইতিহাস

তারকেশ্বর মন্দির, যা তারকনাথ মন্দির নামেও পরিচিত, পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার তারকেশ্বরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত হিন্দু মন্দির। এটি ভগবান শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত এবং মন্দিরটিতে "তারকনাথ" নামে শিবকে পূজা করা হয়। জানেন কী এই মন্দিরের সৃষ্টি কিভাবে? কে এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা?

মন্দিরটি রাজা ভরমল্লার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে জানা যায়, যিনি ছিলেন ভগবান শিবের একজন ভক্ত।

স্থানীয় কিংবদন্তি অনুসারে, মন্দিরটি একটি শিবলিঙ্গ আবিষ্কারের সাথে সম্পর্কিত, যা একজন গ্রামবাসী খুঁজে পেয়েছিলেন।

কথিত আছে যে, ১৭২৯ সালে এই স্বয়ম্ভু লিঙ্গের চারপাশে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল এবং এটি "বাবা তারকনাথ" নামে পরিচিত।

শাস্ত্রজ্ঞ,পন্ডিত,ঐতিহাসিকদের মত ও প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ষোড়শ শতাব্দীর শেষ দিকে হুগলী জেলার রামনগর অঞ্চলে বিষ্ণুদাস নামে এক স্থানীয় ক্ষত্রিয় রাজার আধিপত্য় ছিল,তিনি শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। রাজার ভাই ভারমল্ল ছিলেন সংসার ত্য়াগী সন্ন্যাসী যোগী। তখন এই বনাঞ্চলের নাম ছিল তাড়পুর। বিষ্ণুদাসের ভাই ভারমল্ল রোজ বনে যেতেন ফলমূল ও মধু সংগ্রহ করতে। প্রায়ই তিনি লক্ষ করতেন একটি বড় কালো রঙের শিলাখণ্ডের ওপর গাভীরা এসে দুধ দিয়ে য়ায়। এই অদ্ভুত ঘটনা তিনি তাঁর দাদাকে বলেন। শিবভক্ত বিষ্ণুদাস বনে এসে এই দৃশ্য দেখে শিহরিত হন। রাজা ভারামল্ল তখন ঐ প্রস্তরখন্ডকে শিবলিঙ্গ রূপে রামনগরে এনে প্রতিষ্ঠা করতে উদ্যোগী হলেন। কিন্তু অনেক মাটি খুঁড়া খুঁড়ির পরেও শিলাখন্ডের মূল খুঁজে পাওয়া গেল না।

এরপরের জনশ্রুতি, সেইসময় কোন এক রাতে রাজার ভাই ভারামল্ল স্বপ্ন দেখলেন, স্বয়ং শিব তাঁকে জানাচ্ছেন যে, তিনি তারকনাথ অর্থাৎ জীবের রক্ষাকর্তা, শিবের একটি রূপ । তিনি ঐ বন থেকে গয়া ও কাশী পর্যন্ত ছড়িয়ে আছেন। সুতরাং তাঁকে তাড়পুরের জঙ্গল থেকে উচ্ছেদ না করে ওখানেই তাঁকে প্রতিষ্ঠা করা হোক ।এরপর স্বপ্নাদিষ্ট ভারামল্ল ও মুকুন্দরাম রাজার সহযোগিতায় বন কেটে পরিষ্কার করে তাড়পুরেই প্রস্তরখন্ডের উপর একটি মন্দির নির্মাণের উদ্য়োগী হলেন। মুকুন্দ ঘোষকে শিবের সেবা ও পুজো করবার ভার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনিই হলেন তারকনাথের প্রথম সেবক। এই জায়গাটির আজকের নাম তারকেশ্বর।

বাবা তারকনাথ বাবা তারকেশ্বর নামেও পরিচিত। তিনি ভগবান শিবের একটি উগ্র রূপ, যিনি সমুদ্র-মন্থনের সময় হলাহল (বিষ) পান করেছিলেন। এই জন্য শিবকে হলধর নামেও ডাকা হয়। তারকনাথ ভগবতী তারার স্বামী। তার শিবলিঙ্গও তারাপীঠ থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

মন্দিরটি ধীরে ধীরে একটি পবিত্র স্থান হিসাবে গুরুত্ব লাভ করে এবং আজও এটি একটি বিখ্যাত তীর্থস্থান। মন্দিরটি শিবের উদ্দেশ্যে উৎসর্গীকৃত এবং এখানে তারকনাথ রূপে পূজা করা হয়। প্রতি বছর বহু তীর্থযাত্রী এই মন্দির পরিদর্শনে আসেন। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে, দুধপুকুরে ডুব দিয়ে স্নান করলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। শেওড়াফুলির নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে জল এনে তারকেশ্বর মন্দিরে বাবার মাথায় অর্পণ করার প্রথাও প্রচলিত আছে। ভক্তদের বিশ্বাস বাবা তারকনাথ তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।

সত্যিই অবিশ্বাস্য! ভারতের গর্ব, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) একটি বিশেষ বৈজ্...
12/07/2025

সত্যিই অবিশ্বাস্য! ভারতের গর্ব, গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) একটি বিশেষ বৈজ্ঞানিক অভিযানে রয়েছেন। অ্যাক্সিয়ম-৪ (Ax-4) মিশনের অংশ হিসেবে তিনি গত ২৬ জুন মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছেন। তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পা রাখা প্রথম ভারতীয় নভোচারী।

★ পৃথিবীর চারপাশে শুভাংশুর পরিক্রমা :

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রতি ৯০ মিনিটে পৃথিবীকে একবার প্রদক্ষিণ করে। সে হিসেবে, শুভাংশু এবং তার সহযাত্রীরা ISS-এ ১০ দিন কাটানোর পর ইতিমধ্যেই পৃথিবীকে ১১৩ বারের বেশি প্রদক্ষিণ করে ফেলেছেন! মহাকাশ থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের এই দ্রুত পরিবর্তন সত্যিই এক অভাবনীয় অভিজ্ঞতা।

★ মাকে দেখানো সূর্যোদয়ের অপূর্ব দৃশ্য :

সম্প্রতি শুভাংশু আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের 'কুপোলা' (Cupola) থেকে তোলা সূর্যের একটি অত্যাশ্চর্য ছবি তার মাকে দেখিয়েছেন। কুপোলা হলো ISS-এর একটি পর্যবেক্ষণ মডিউল যেখানে সাতটি জানালা রয়েছে, যেখান থেকে নভোচারীরা বাইরের দৃশ্য দেখতে পান। এই জানালাগুলো দিয়েই তিনি সূর্যোদয়ের অপূর্ব দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করে তার মা'কে পাঠিয়েছেন। এটি নিঃসন্দেহে তার মায়ের জন্য এক অসাধারণ এবং আবেগঘন মুহূর্ত ছিল।

★ মহাকাশে শুভাংশুর অন্যান্য কাজ :

শুভাংশু শুক্লা মহাকাশে শুধুমাত্র সৌন্দর্য উপভোগ করছেন না, বরং গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক গবেষণাও চালাচ্ছেন। তিনি মানুষের মস্তিষ্ক ও কম্পিউটারের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পেশী ক্ষয় রোধ, এবং মাইক্রো অ্যালগি ও বীজ অঙ্কুরোদগম নিয়ে কাজ করছেন। তার এই গবেষণাগুলো মানবজাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এই অভিযান ভারতের মহাকাশ গবেষণার ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। শুভাংশু শুক্লার অভিজ্ঞতা এবং তার পাঠানো ছবিগুলো আমাদের পৃথিবীর সৌন্দর্য এবং মহাকাশের অপার রহস্য সম্পর্কে এক নতুন ধারণা দিচ্ছে।

Many thanks to the All India Trinamool Congress team. Every year on July 21st, I go to Dharmatala to pay my respects to ...
04/07/2025

Many thanks to the All India Trinamool Congress team. Every year on July 21st, I go to Dharmatala to pay my respects to the martyrs of the 13 rebel martyrs.

✈️There were three smiles, like stars in the sky,There were many dreams hidden in the small smiles.That journey remained...
16/06/2025

✈️There were three smiles, like stars in the sky,
There were many dreams hidden in the small smiles.
That journey remained incomplete, but the memories became immortal.
Today, for whom the whole world cries.

 #একটি_শিক্ষনীয়_পোষ্ট ✅কঠিন সময়টাই তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ!💥হ্যাঁ, তুমি এখন ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো যেখান থেকে ইতিহা...
31/05/2025

#একটি_শিক্ষনীয়_পোষ্ট
✅কঠিন সময়টাই তোমার সবচেয়ে বড় সুযোগ!

💥হ্যাঁ, তুমি এখন ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছো যেখান থেকে ইতিহাস শুরু হয়! যেদিকে তাকালে অনেকে হাল ছেড়ে দেয়, সেখানেই তুমি শুরু করছো তোমার জয়যাত্রা! মনে রেখো, জীবনের সব চেয়ে অন্ধকার সময়েই তারার আলো সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে ওঠে!

💥যখন সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখনই তোমার মনোবল পরীক্ষা হয়। আর যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, তারাই হয় নির্মাতা—নিজের ভাগ্যের, সময়ের, ভবিষ্যতের! তুমি হয়তো আজ খালি হাতে, কিন্তু তোমার ভেতরে আছে সাফল্যের তৃষ্ণা। সেই তৃষ্ণা যে কোনো বাধাকে গলিয়ে ফেলতে পারে!

✅তোমাকে যা করতে হবে:-
সাফল্যের ৭টি দুরন্ত কৌশল।

💥১. সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করো:
একটা লক্ষ্য ঠিক করো যা তোমার রক্তে আগুন ধরায়! লিখে রাখো, প্রতিদিন চোখে পড়বে এমন জায়গায় রাখো।

💥২. সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার করো:
সময় হচ্ছে সোনা নয়, সময় হচ্ছে জীবন। প্রত্যেকটা মিনিট যেন হয় প্রস্তুতির ইট। ফোকাসড থাকো, ডিস্ট্র্যাকশন কাটাও।

💥৩. প্রতিদিন ১% উন্নতি করো (Kaizen টেকনিক):
দৈনিক ছোট ছোট উন্নতিই দীর্ঘমেয়াদে বিশাল সাফল্য গড়ে। প্রতিদিন নিজেকে জিজ্ঞেস করো—“আজ আমি কতটুকু এগোলাম?”

💥৪. আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং কঠোর অনুশীলন:
নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখো—খাবার, ঘুম, কথাবার্তা, মোবাইল—সব কিছুতে শৃঙ্খলা আনো।

💥৫. মনোযোগ এবং ধৈর্যের সংমিশ্রণ গড়ে তোলো:
তুমি একদিনে সেরা হবে না। কিন্তু যদি প্রতিদিন নিজেকে চুপচাপ grind করো, তাহলে একদিন হঠাৎ করে তুমি আলোচনায় চলে আসবে।

✅৬. ব্যর্থতাকে সিঁড়ি বানাও, দেয়াল নয়:
প্রতিবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়াও—আরও শক্ত হয়ে! ব্যর্থতা মানে শিক্ষা, শুধরে এগিয়ে যাও।

✅ ৭. পজিটিভ পরিবেশ তৈরি করো:
নিজেকে সেই মানুষদের সঙ্গে রাখো যারা তোমাকে সামনে টানে, নিচে নয়। ভালো বই পড়ো, অনুপ্রেরণামূলক ভিডিও দেখো, জ্ঞানী মানুষের গল্প শুনো।

তুমি আলাদা! তুমি সেই ঝড়ের নাবিক!

বিশ্বাস করো, এই সময়টা একদিন তোমার সবচেয়ে প্রিয় সময় হয়ে উঠবে, কারণ এটাই তোমাকে তৈরি করছে অসম্ভবকে সম্ভব করার মতো একজন যোদ্ধা হিসেবে।

তুমি শুধু বেঁচে থাকছো না, তুমি গড়ে তুলছো ভবিষ্যতের এক উজ্জ্বল আলো—যেটা একদিন হাজারো মানুষকে জাগাবে, আগুন ধরাবে তাদের মাঝেও।

✅তোমার নামে একদিন শুধু স্থাপনা নয়,
মানুষের মনেও স্থাপিত হবে অমর স্মৃতি!

✅ভেঙে পড়ো না… এগিয়ে চলো!

✅তুমি পারবেই। কারণ, তুমি থামার জন্য আসোনি—তুমি এসেছো ইতিহাস গড়তে ।

১০০টি কালো পিঁপড়ার সাথে ১০০টি লাল পিঁপড়াকে একটি বয়ামের ভিতরে রেখে দিলে, অস্বাভাবিক কিছুই ঘটবে না!কিন্তু, বয়ামটিকে ঝাঁকিয়...
22/05/2025

১০০টি কালো পিঁপড়ার সাথে ১০০টি লাল পিঁপড়াকে একটি বয়ামের ভিতরে রেখে দিলে, অস্বাভাবিক কিছুই ঘটবে না!

কিন্তু, বয়ামটিকে ঝাঁকিয়ে দিতেই, পিঁপড়াগুলো এক দল আরেক দলকে মেরে ফেলতে শুরু করবে! লাল পিঁপড়ারা ধারণা করবে, কালো পিঁপড়াগুলো তাদের শত্রু এবং কালো পিঁপড়ারা মনে করতে আরম্ভ করবে, লাল পিঁপড়াগুলো তাদের শত্রু! অথচ, প্রকৃত শত্রু হচ্ছে বয়ামটিকে যে ঝাঁকিয়ে দিয়েছিল, সে।

মানব সমাজেও ঠিক এটিই ঘটে! পেছন থেকে উস্কানি দিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গ্যাঞ্জাম বাধিয়ে সুবিধা নেয় তৃতীয় কোনো পক্ষ।

তাই, পরস্পরকে মারতে ছোটার আগে, আমাদের অন্তত একবার ভেবে দেখা উচিত, বয়ামটি ঝাঁকাচ্ছে কে!

আসুন পরিচিত হই কে এই ভবা পাগলা??ভবা পাগলা (১৮৯৭-১৯৮৪) আসল নাম ‘ভবেন্দ্র মোহন সাহা’। তার জন্ম আনুমানিক ১৮৯৭ খৃস্টাব্দে। ত...
17/05/2025

আসুন পরিচিত হই কে এই ভবা পাগলা??

ভবা পাগলা (১৮৯৭-১৯৮৪) আসল নাম ‘ভবেন্দ্র মোহন সাহা’। তার জন্ম আনুমানিক ১৮৯৭ খৃস্টাব্দে। তার পিতার নাম ‘গজেন্দ্র কুমার সাহা’। ভবা পাগলারা ছিলেন তিন ভাই এক বোন। তিনি দেখতে ছিলেন একরকম হালকা পাতলা গড়ন, গায়ের রঙ উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ, মাথায় ঝাঁকড়া চুল, চিবুকে এক গোছা দাঁড়ী।

গানের ভণিতায় তিনি নিজেকে ভবা বা ভবেণ বলে উল্লেখ করেছেন। মানিকগঞ্জ অঞ্চলে তিনি ভবা পাগলা নামে খ্যাত। তাঁর গান মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ও অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ছিল অনেক আগেই। অধ্যাপক উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ‘বাংলার বাউল ও বাউল গানে’ তাঁর দুটি গান ছেপেছিলেন। মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন ‘হারামণির সপ্তম খণ্ডে’ ভবা পাগলা সম্পর্কে লিখেছেন, ভবা পাগলা এক জন নামকরা বাউল গান রচয়িতা।

তিনি ঢাকা জেলার ধামরাই থানার আমতা গ্রামের অধিবাসী ছিলেন। স্বাধীনতার পর (অর্থাৎ ১৯৪৭ এর পর ১৯৭১) তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। তাঁর গান মানিকগঞ্জ জেলা সহ বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন স্থানে পরিচিতি লাভ করে ও গীত হয়ে আসছে। তিনি মূলত শ্যামা সঙ্গীত, ভাব গান, গুরুতত্ত্বের গান, দেহতত্ত্বের গান, ও সৃষ্টিতত্ত্বের গান রচনা এবং সুর নিজেই করেছেন।

তিনি ১৯৪৭-এ ভারতে চলে যান এবং বর্ধমানে কালনাতে অবস্থান করতেন। ভবা পাগলা ১৯৮৪ খৃস্টাব্দে দেহ ত্যাগ করেন।

ভবার পুঁথিগত শিক্ষা অষ্টম শ্রেণীর চৌকাঠ পেরোয়নি। তবে জীবন বোধে যে অমরত্ব লাভ করেছে, তার পুঁথিগত শিক্ষায় জ্ঞান লাভের প্রয়োজনও বিশেষ ছিলনা। ছেলেবেলা থেকেই পরিবারের সহবতে, ভক্তিভাব ছিল ভবার সঙ্গী। গ্রাম্য ভাষায় মুখে মুখে গান বাধা স্বভাব ছিল ভবার। গানের কথার সাথে সুর মিলতো দুই প্রিয় সহচরীর মতো। গানের স্রোতে তারা খেলে বেড়াতো স্বকীয়তায়। অন্তরের সবচেয়ে গভীর জমিতে গড়ে তুলতো অন্তর্যামীর আশ্রয়। বাংলার সংগীত জগতে তো বটেই, বিশ্বের নিরিখেও ভবা পাগলা এক অনন্য নজির।

তথ্য বলছে ভবা পাগলার গানের সংখ্যা ছিয়াশি হাজার। ছিয়াশি হাজার সংখ্যাটা হয়তো অতিরঞ্জিত। গবেষণা বলে, ভবার গানের সংখ্যাটা আসলে দশহাজার। এই সংখ্যাটাও বিপুল। এতো বিপুল সংখ্যক লোকগানের জনক কেন বিস্মৃতপ্রায়? সহজ উত্তর হলো ভবার প্রচারবিমুখতা। তার এই প্রচারবিমুখতার জন্যে, তার জীবনের অনেক ঘটনাই বিতর্কের বেড়াজালে আটকে পড়েছে।

বাউলদের এক অংশ তাকে নিজেদের বলে দাবি করেন। যদিও অধিকাংশের মতে ভক্তিরস থাকলেও ভবা পাগলা তার গানে বাউল ধর্মের প্রভাবকে প্রকট হতে দেননি। জাত-পাতে অবিশ্বাসী ভবার কাছে অন্তরের শুচিতাই ছিল গানের মূল আলেখ্য। তাইতো অক্লেশে তিনি লিখতে পেরেছেন “দূর করে দে মনের ময়লা”। কোথাও গিয়ে এই গানের আবেদনে রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পরে। মনে পরে কবিগুরু কেমন একই ভাবে বলেছেন “সংসার যবে মন কেড়ে লয়… জাগেনা যখন প্রাণ”।

গঙ্গার এপার আর পদ্মার ওপারের গান, দুই বাংলার চেতনাকে, একই মালায় বেঁধে রেখেছে। একজন গায় লালন আর একজন শীতল হয় রবীন্দ্রনাথে। ভবার গানেও মিশে যায় বিষাদ-অভিমান। পরিচয় ঘটে নিজের আত্মার সাথে।

ঘটনাচক্রে ভবা পাগলা একবার নন্দলাল দাস নামের এক দূরারোগ্য রুগীকে ঠিক করে দেন। এই ঘটনার পরবর্তী সময়ে অনেকেই ভবাকে ঈশ্বররূপে পূজা করতে থাকেন। প্রতিষ্ঠা পায় ভবার হরবোলা মন্দির। ১৯৮৪ তে ভবা পাগলা শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন। তবে বাংলা লোকসংগীত যতদিন থাকবে ততদিন বারে বারে বলতে হবে- “বারে বারে আর আশা হবে না...

সংগ্রহ - ফেসবুক হতে

Address


Telephone

+919775866392

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Amit bhattacharjee posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Amit bhattacharjee:

  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share