K2 - Is An Emotion

K2 - Is An Emotion I ........... SK2

লাইফে টাকার গুরত্ব তখন বুঝতে পারবেন যখন দেখবেন মার্কেটে আপনার আদরের সন্তান একটা খেলনা পছন্দ করেছে কিন্তু আপনি কিনে দিতে ...
20/12/2024

লাইফে টাকার গুরত্ব তখন বুঝতে পারবেন যখন দেখবেন মার্কেটে আপনার আদরের সন্তান একটা খেলনা পছন্দ করেছে কিন্তু আপনি কিনে দিতে পারছেন না।

যখন দেখবেন স্ত্রী সহ বিয়েতে গিয়েছেন, আপনার স্ত্রীকে একদম ফিকে লাগছে।

শশুরবাড়িতে গিয়েছেন, আপনি এবং অন্য জামাই দুজনের প্রতি দুই রকমের ব্যাবহার এবং সমাদর।

আপনার বউয়ের গোমড়া মুখ দেখলে বুঝবেন টাকা কেনো প্রয়োজন। বউয়ের ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পুরন করতে না পারলে বুঝবেন টাকা কেনো প্রয়োজন।

সন্তান বায়না ধরে বসলো একটা সাইকেল লাগবে, বাবা হিসেবে তখন বুঝবেন টাকা কত প্রয়োজন।

পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে বুঝবেন টাকা কেনো প্রয়োজন।

আপনার বউ যখন দেখবে, আপনার কাছে টাকা নেই বলে কেউ আপনাকে পাত্তা দেয় না, তখন বুঝবেন টাকা কেনো দরকার!!

টাকার গুরুত্ব তখন বুঝবেন যখন দেখবেন, আপনার কাছে টাকা নেই বলে আপনার সন্তানকে কেউ ওভাবে আদর করে না।

আপনার কাছে টাকা না থাকলে টাকার গুরুত্ব বুঝবেন।

তাই প্রচুর পরিমাণে টাকা কামাতে হবে এমন মনে হয় টাকা থাকলে জীবনের 90% প্রবলেম সলভ হয়ে যায়,,,

“একটা মেয়ে তার 🤵🏻Boy Friend কে জিজ্ঞেসকরেছিলোঃ👰🏻--আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়েহয়ে গেলে তুমি  কি করবে?🤵🏻--ছেলেটা উত্...
11/12/2024

“একটা মেয়ে তার 🤵🏻Boy Friend কে জিজ্ঞেস
করেছিলোঃ
👰🏻--আচ্ছা অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে
হয়ে গেলে তুমি কি করবে?
🤵🏻--ছেলেটা উত্তর দিলো, ভুলে যাবো
🤵🏻ছেলেটার উত্তর শুনে 👰🏻মেয়েটি রাগে
অন্যদিকে মুখ ঘোরালো।
🤵🏻ছেলেটি আবার বললো:
--সবচেয়ে বড় কথা
। আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে
যাবো। তার চেয়েও বেশি দ্রুত
তুমি আমাকে ভুলে যাবে।
👰🏻প্রেমিকা প্রশ্ন করলোঃ
--কি রকম?
🤵🏻ছেলেটি বলতে শুরু করলঃ
"মনে করো বিয়ের প্রথম তিনদিন তুমি এক
ধরনের ঘোরের মধ্যে থাকবে। শরীরে
গয়নার ভার, মুখে মেকআপ এর প্রলেপ,
চারিদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ,
মানুষের ভিড়। তুমি চাইলেও তখন আমার
কথা মনে করতে পারবে না। ''আর আমি তখন
তোমার বিয়ের খবর পেয়ে হয়তো কোন বন্ধুর
সাথে উল্টাপাল্টা কিছু খেয়ে পরে
থাকবো। আর একটু পর পর তোমাকে
হৃদয়হীনা বলে
গালি দিবো। আবার পরক্ষনেই পুরাতন
স্মৃতির কথা মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে
কাঁদবো। "বিয়ের পরের দিন তোমার আরো
ব্যস্ত সময় কাটবে। আর প্রথম সপ্তাহে ' স্বামী আর মিষ্টির
প্যাকেট, এই দুটো হাতে নিয়ে তুমি
বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে ঘুরে
বেড়াবে।
আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ মনে
হবে। এই যে যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক
সাথে গাড়িতে চড়ার সময়। আর আমি তখন
ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব। আর বন্ধুদের
বলবো, বুঝলি দোস্ত, জীবনে প্রেম
ভালোবাসা কিছুই নাই সব মিথ্যা। "পরের মাসে
তুমি হানিমুনে যাবে, নতুন বাড়ি পাবে,
শপিং, ম্যাচিং,শত প্লান, আর স্বামীর
সাথে হালকা মিষ্টি ঝগড়া। তখন তুমি
বিরাট সুখে,
হয়তো আমার কথা মনে হলে ভাববে, আমার
সাথে বিয়ে না হয়েই বোধ হয়
ভালোই হয়েছে। আমি ততদিনে বাপ, মা,
বন্ধুর ঝাড়ি খেয়ে
মোটামুটি সোজা হয়ে গিয়েছি।
ঠিক করেছি কিছু একটা কাজ করতে হবে,
তোমার চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে বিয়ে
করে
তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
সবাইকে বলবো, তোমাকে ভুলে গেছি।
কিন্তু তখনও মাঝরাতে তোমার
এসএমএস গুলো বের করে পড়বো আর
দীর্ঘ একটা শ্বাস ছাড়বো। "পরের দুই বছর পর তুমি
আর কারো প্রেমিকা কিংবা
নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো।
পুরাতন প্রেমিকের স্মৃতি, স্বামীর আহ্লাদ,ভালোবাসা
এসবের চেয়েও বাচ্চার ডায়াপার,হামের টিকা
এসব নিয়ে বেশি চিন্তিত থাকবে।
অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে
মোটামুটি পারমানেন্টলি ডিলিট হয়ে
যাবো। এদিকে ততদিনে আমিও একটা কাজ পেয়ে গেছি।
বিয়ের কথা চলছে। মেয়েও পছন্দ হয়েছে।
আমি এখন ভীষণ ব্যাস্ত।
এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে
গিয়েছি।শুধু রাস্তা ঘাটে কোন প্রেমিক প্রেমিকা দেখলে
তোমার কথা খুব মনে পড়বে। কিন্তু তখন আর
দীর্ঘশ্বাসটাও আসবে না।
এতদূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখলো
প্রেমিকা ছলছল চোখ নিয়ে
ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।মুখে কোন কথা নেই। ছেলেটি ও চুপচাপ।
👰🏻একটু পর প্রেমিকা বললোঃ
"তবে কি সেখানেই সব শেষ?
🤵🏻ছেলেটি বলল, না।
কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার
স্বামী নাক ডেকে ঘুমাবে। আর আমার বউও ব্যস্ত
থাকবে নিজের ঘুমের রাজ্যে।শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম থাকবেনা। সেদিন অতীত আমাদের দুজনকে নিঃশ্বদে কাঁদাবে। সৃষ্টিকর্তা ব্যাতীত সে কান্নার কথা কেউ জানবে না,কেউ না
👰🏻মেয়েটা তার বয়ফ্রেন্ডকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে লাগল
পরিশেষে মেয়েটা এটাই বলল যে
পরিস্থিতির কাছে মানুষ আজ অনেক অসহায় !!!!!
🥀💔😞

শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে একটি ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেনঃ-আমাদের শরীরে ক'টা কিডনি আছে ? ছেলেটি চটজলদি উত্তর দিলোঃ- চারটে কিডনি স্যা...
10/12/2024

শিক্ষক ক্লাসে ঢুকে একটি ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেনঃ-
আমাদের শরীরে ক'টা কিডনি আছে ?

ছেলেটি চটজলদি উত্তর দিলোঃ-
চারটে কিডনি স্যার।

ছাত্রটির উত্তর শুনে ক্লাসের বাকি ছাত্ররা হো হো করে হেসে উঠলো।
শিক্ষক বললেন তোমরা হাসি থামাও।
তারপর অপর একটি ছাত্রকে বললেন,,,,

এবার দাঁড়াও।

ছাত্রটি জিজ্ঞেস করলো,,,,
স্যার ক'টা কিডনি আছে বলবো, নাকি বেত আনবো?

শিক্ষক বললেন,,,,
না ক'টা কিডনি আছে বলতে হবে না, বেতও আনতে হবে না, তুমি কিছু ঘাস নিয়ে আসো। একদম তাজা ঘাস।

ছাত্র,,,,
ঘাস দিয়ে কি হবে স্যার?

শিক্ষক,,,,
ক্লাসে একটা গাধা আছে তাকে খাওয়াবো।

এই কথা শুনে আগের ছাত্রটি বললো,,,,
যাও ঘাস নিয়ে এসো, সেই সঙ্গে এক কাপ কফি ও আনবে।

শিক্ষক রেগে বললো কফি আনবে কেন, কফি কে খাবে?
ছাত্রটির উত্তর,,,,
স্যার! কফি খাবো আমি, আর যে গাধা সে ঘাস খাবে।

শিক্ষক,,,,
তাহলে গাধাকে ?

ছাত্র,,,,
স্যার আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাদের ক'টা কিডনি আছে ?

আমার আর আপনার মিলিয়ে তো চারটেই কিডনি আছে। তাহলে আমি নিশ্চয়ই গাধা নই। শিক্ষক রেগে বললেন,,,,
তুই খুব বেশি বুঝিস, যারা বেশি বোঝে পরীক্ষায় তাদের আমি শূন্য দেই। অতএব তুমিও একটা নয় দুটো শূন্য পাবে।

ছাত্রটির উত্তর,,,,
পরীক্ষায় আমাকে দুটো শূন্য দিলে আপনারই ক্ষতি হবে স্যার! সবাই বলবে আপনার ছাত্র ডাবল গোল্লা পেয়েছে। এতে আপনারই বদনাম হবে, আপনাকে সবাই চেনে, আমাকে তো কেউ চেনে না।

ক্লাসে একটা হাসির রোল উঠলো। পরীক্ষা শেষে ওই শিক্ষক ছাত্রটির খাতায় একটা নোট লিখেছিলেন,,,,

তুমি প্রতিদিন ক্লাসে যে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দাও এবং বুদ্ধি দিয়ে সবাইকে হাসাও, তাতে আমার বিশ্বাস একদিন আমাকে হয়তো কেউ চিনবে না। তবে তোমাকে সারা পৃথিবীর মানুষ অবশ্যই চিনবে। আমি তোমার জন্য এই খাতায় আশীর্বাদ রেখে গেলাম।

সেদিনের সেই শিক্ষকের আশীর্বাদ পরবর্তীতে সত্যি হয়েছিল। ওই ছাত্রটি ছিলেন চার্লি চাপলিন। যাকে পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই চেনে।

কর্ম্মব্রহ্ম নাশ
゚ ゚viralシ

বিয়ে কি ?                                   -সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়" অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছিলেন- ম্যারেজ ইজ এ পারমানেন্ট ডিসএ...
08/12/2024

বিয়ে কি ?
-সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়

" অস্কার ওয়াইল্ড লিখেছিলেন- ম্যারেজ ইজ এ পারমানেন্ট ডিসএগ্রিমেন্ট। মানে স্থায়ী একটা মতের অমিল। স্বামী আর স্ত্রীর মতের মিল হলে, বিবাহিত জীবনের সমস্ত স্বাদই চলে গেল। সেই দাম্পত্য জীবন আলুনি তরকারির মতো। চিনি আর দুধ ছাড়া চায়ের মতো। লেজ- কাটা বেড়ালের মতো। গোঁফ - কামানো বাঘের মতো। শব্দহীন ঝরনার মতো। নিঃশব্দ হাটের মতো। ফ্যাঁস আর ফোঁস এই হল দাম্পত্য জীবন। আমি ফ্যাঁস করব, তিনি ফোঁস করবেন। লাগাতার খিচিমিচিরের নাম বিয়ে। কি বড়, কি ছোট জীবনের যে- কোন ব্যাপারে দুজনের দুরকম মত। কোন বিশ্বসংস্থার ক্ষমতা নেই সেখানে বিশ্বশান্তির প্রতিষ্ঠার। "

অক্ষরে অক্ষরে সত্যি!☺️

একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন কাজে আসবে।বেশী কচলালে মধু বের হতে পারে......এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢু...
12/11/2024

একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন কাজে আসবে।
বেশী কচলালে মধু বের হতে পারে......

এক কোম্পানীতে ছিলো এক পিপড়া। সে প্রতিদিন ৯টায় অফিসে ঢুকতো। তারপর কারো সঙ্গে সময় নষ্ট না করে সঙ্গে সঙ্গে কাজে বসে যেত।

সে যে পরিমাণ কাজ করত, তাতে কোম্পানির উৎপাদন হতো প্রচুর এবং এর ফলে সে আনন্দের সঙ্গেই জীবন নির্বাহ করত।

ওই অফিসের সিইও সিংহ অবাক হয়ে দেখত, এই পিঁপড়াটি কোনো ধরনের সুপারভিশন ছাড়াই প্রচুর কাজ করছে। সিংহ ভাবল, পিঁপড়াকে যদি কারও সুপারভিশনে দেওয়া হয়, তাহলে সে আরও বেশি কাজ করতে পারবে।

কয়েক দিনের মধ্যেই সিংহ একটি তেলাপোকাকে পিঁপড়ার সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দিল। সুপারভাইজার হিসেবে এই তেলাপোকাটির ছিল দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, আর সে দুর্দান্ত রিপোর্ট লিখতে পারত।

তেলাপোকাটি প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিল, এই অফিসে একটি অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম থাকা উচিত।

কয়েক দিনের মধ্যেই তেলাপোকার মনে হলো, তার একজন সেক্রেটারি দরকার, যে তাকে রিপোর্ট লিখতে সাহায্য করবে। … সে একটা মাকড়সাকে নিয়োগ দিল এই কাজে যে সব ফোনকল মনিটর করবে, আর নথিপত্র রাখবে।

সিংহ খুব আনন্দ নিয়ে দেখল যে তেলাপোকা তাকে প্রতিদিনের কাজের হিসাব দিচ্ছে আর সেগুলো বিশ্লেষণ করছে গ্রাফের মাধ্যমে। ফলে খুব সহজেই উৎপাদনের ধারা সম্পর্কে ধারণা নেওয়া যাচ্ছে এবং সিংহ সেগুলো বোর্ড মিটিংয়ে ‘প্রেজেন্টেশন’ আকারে পেশ করে বাহবা পাচ্ছে।

কিছুদিনের মধ্যেই তেলাপোকার একটি কম্পিউটার ও লেজার প্রিন্টার প্রয়োজন হলো এবং এগুলো দেখভালের জন্য আইটি ডিপার্টমেন্ট গঠন করল। আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগ পেল মাছি।

আমাদের কর্মী পিঁপড়া, যে প্রতিদিন অফিসে এসে প্রচুর কাজ করে মনের সুখে গান গাইতে গাইতে বাসায় ফিরত, তাকে এখন প্রচুর পেপার ওয়ার্ক করতে হয়, সপ্তাহের চার দিনই নানা মিটিংয়ে হাজিরা দিতে হয়।

নিত্যদিন এসব ঝামেলার কারণে কাজে ব্যাঘাত ঘটায় উৎপাদন কমতে লাগল, আর সে বিরক্ত হতে লাগল।

সিংহ সিদ্ধান্ত নিল, পিঁপড়া যে বিভাগে কাজ করে, সেটাকে একটা আলাদা ডিপার্টমেন্ট ঘোষণা করে সেটার একজন ডিপার্টমেন্ট প্রধান নিয়োগ দেওয়ার এটাই উপযুক্ত সময়।

সিংহ ঝিঁঝিপোকাকে ওই ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিল। ঝিঁঝিপোকা প্রথম দিন এসেই তার রুমের জন্য একটা আরামদায়ক কার্পেট ও চেয়ারের অর্ডার দিল।

কয়েক দিনের মধ্যেই অফিসের জন্য স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান তৈরি করতে ঝিঁঝি পোকার একটি কম্পিউটার ও ব্যক্তিগত সহকারীর প্রয়োজন হলো। কম্পিউটার নতুন কেনা হলেও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ঝিঁঝিপোকা নিয়োগ দিল তার পুরোনো অফিসের একজনকে।

পিঁপড়া যেখানে কাজ করে, সেখানে আগে ছিল চমৎকার একটা পরিবেশ। এখন সেখানে কেউ কথা বলে না, হাসে না। সবাই খুব মনমরা হয়ে কাজ করে।

ঝিঁঝিপোকা পরিস্থিতি উন্নয়নে সিংহকে বোঝাল, ‘অফিসে কাজের পরিবেশ’ শীর্ষক একটা স্টাডি খুব জরুরি হয়ে পড়েছে।

পর্যালোচনা করে সিংহ দেখতে পেল, পিঁপড়ার বিভাগে উৎপাদন আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কাজেই সিংহ কয়েক দিনের মধ্যেই স্বনামখ্যাত কনসালট্যান্ট পেঁচাকে অডিট রিপোর্ট এবং উৎপাদন বাড়ানোর উপায় বাতলে দেওয়ার জন্য নিয়োগ দিল।

পেঁচা তিন মাস পিঁপড়ার ডিপার্টমেন্ট মনিটর করল, সবার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান কথা বলল। তারপর বেশ মোটাসোটা একটা রিপোর্ট পেশ করল সিংহের কাছে। ওই রিপোর্টের সারমর্ম হলো, এই অফিসে প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী বেশি। কর্মী ছাঁটাই করা হোক।

পরের সপ্তাহেই বেশ কয়েকজন কর্মী ছাঁটাই করা হলো। বলুন তো, কে সর্বপ্রথম চাকরি হারাল?

ওই হতভাগ্য পিঁপড়া। কারণ, পেঁচার রিপোর্টে লেখা ছিল, ‘এই কর্মীর মোটিভেশনের ব্যাপক অভাব রয়েছে এবং সর্বদাই নেতিবাচক আচরণ করছে, যা অফিসের কর্মপরিবেশ নষ্ট করছে।

 #খাঁটি_কথা_বুকে_লাগে পুরুষের যৌনতাকে সম্মান করতে শেখো মেয়ে।পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই তুমি পৃথিবীর মুখ দেখতে পেরেছো। প...
11/11/2024

#খাঁটি_কথা_বুকে_লাগে

পুরুষের যৌনতাকে সম্মান করতে শেখো মেয়ে।

পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই তুমি পৃথিবীর মুখ দেখতে পেরেছো। পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই তার কাছে তুমি এত স্পেশাল। আকর্ষণ আছে বলেই তুমি এত পাত্তা পাও, প্রায়োরিটি পাও। পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই তুমি রাস্তায় সেজেগুজে বের হও, যাতে পুরুষরা তোমায় দেখে মুগ্ধ হয়। তুমি মুখে অস্বীকার করলেও তোমার অবচেতন মন এটাই চায়। পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই তুমি বিপদে পড়লে বহু পুরুষ এগিয়ে আসে সাহায্যের জন্য।

পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই সারাদিন খেটে তোমার পছন্দের শাড়ি নিয়ে বাড়ি ফেরে। দুলাইনের ছন্দ লিখে অথবা কয়টা সেলফি দিয়ে যে শতশত রিয়্যাক্ট পাও, সে পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই। সাদা চামড়াকে পুঁজি করে স্বল্পবসনা হয়ে যে সেলিব্রেটি বনে যাও, সে পুরুষের যৌন আকর্ষণ আছে বলেই। যৌন আকর্ষণ আছে বলেই সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ বুদ্ধিমান ও মানবকূলের সেরা শক্তিশালী প্রাণী পুরুষ তোমার দুর্বলতাকে বিদ্রূপ না করে ভালবাসার চাদরে ঢেকে দেয়। যৌন আকর্ষণ আছে বলেই পুরুষ তোমাকে ভালবাসে, সমীহ করে চলে।

পুরুষের যৌন আকর্ষণ না থাকলে সাদা বিড়াল রাস্তা দিয়ে হেঁটে গেলে যেমন কারো ভ্রূক্ষেপ হয় না, তোমার বেলাতেও তেমন ঘটতো। যৌন আকর্ষণ না থাকলে পুরুষ এতোটাই ডমিনেটিং হতো যে নারীজাতি তথা মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতো। যৌন আকর্ষণ না থাকলে প্রতিটি পুরুষ হতো নারীবিদ্বেষী।

সুতরাং, ঢালাওভাবে পুরুষের যৌনতাকে দায়ী না করে নিজেদের ত্রুটিগুলোও শুধরে নিতে শেখো। স্থান-কাল-পরিস্থিতিভেদে যৌনতা নিয়ন্ত্রণের শতভাগ ক্ষমতা পুরুষকে দেওয়া হয়নি।

কেউ খারাপ সেন্সে নেবেন না।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে ধ্বং-স করেছিলো?ঐতিহাসিক বিচারে নির্মোহ সত্যান্বেষণ।। নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, গুপ্ত সাম্রাজ্য তথা...
11/11/2024

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় কে ধ্বং-স করেছিলো?
ঐতিহাসিক বিচারে নির্মোহ সত্যান্বেষণ।।

নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়, গুপ্ত সাম্রাজ্য তথা ভারতীয় উপমহাদেশের এক সুপ্রাচীন নিদর্শন এবং প্রাচীন বিশ্বের জ্ঞানবিজ্ঞানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল।

এশিয়ার অন্যতম সমৃদ্ধ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা হয় ৪১৩ খ্রিস্টাব্দে। সেসময় এমন সুসজ্জিত ও পূর্ণাঙ্গ আর কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব ইতিহাস ঘেটে পাওয়া যায় না। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, সেসময় এই অঞ্চলে গুপ্তদের শাসনামল চলছিল। সেই অনুযায়ী, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সম্রাট কুমারগুপ্তকেই ধরে নেওয়া হয় যা পরবর্তীতে স্কন্ধগুপ্তের হাত ধরে আরও বিস্তৃত হয়। পরবর্তীতে পাল রাজাদের আমলে শিক্ষা-দীক্ষায় বেশ অগ্রগতি লাভ করে নালন্দা। ধর্মপালের সময়ে বিক্রমশীলা, সোমপুর ও ওদন্তপুরী প্রতিষ্ঠিত হলে তা নালন্দা মহাবিহারের জ্ঞানচর্চার গতিকে আরও ত্বরান্বিত করে৷ পাল রাজাদের আমলে বৌদ্ধ দর্শনের প্রভাবও বাড়তে থাকে।

নালন্দা ধ্বংসের আদ্যোপান্ত:
জ্ঞানবিজ্ঞানের পীঠস্থান নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় বহি:শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে একাধিকবার তবে ধ্বংসের উদ্দেশ্যে ধ্বংসাত্মক আক্রমণ একবার-ই হয়েছে। ইতিহাসের পাতায় উল্লেখযোগ্য তিনটি আক্রমণের তথ্য পাওয়া যায়। তথ্যানুযায়ী নালন্দা প্রথম আক্রান্ত হয় মিহিরকুলের নেতৃত্বে হুনদের দ্বারা, তারপর আক্রান্ত হয় বঙ্গাধীপতি শশাঙ্কের সেনাবাহিনী দ্বারা এবং পুরোপুরি ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় আফগান দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী দ্বারা।

চলুন এবার ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণ করি। আমাদের মূল অভিপ্রায় থাকবে মোটামুটি প্রাইমারি সোর্স থেকেই সত্যানুসন্ধান করার।

১/ হুনদের দ্বারা আক্রান্ত: প্রথমবার নালন্দা আক্রান্ত হয় গুপ্ত সম্রাট স্কন্দগুপ্তের সময়ে। হুনরা মিহিরকুলের নেতৃত্বে ৪৫৫-৪৫৬ খ্রিষ্টাব্দে নালন্দা আক্রমণ করেছিলেন। সেই সময় শক, হুন, ইত্যাদি বহিরাগতরা প্রায়শই ভারত আক্রমণ করত। তবে স্কন্দগুপ্ত ও তার পরবর্তী রাজারা নালন্দাকে পুনরায় নির্মাণ করে আরও সমৃদ্ধ করেছিলেন। কারণ তিব্বতীয় চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাং (জুয়ানযাঙ্গ) সপ্তম শতকে যখন ভারত ভ্রমণে আসেন তখন নালন্দা হাজার হাজার ছাত্র-শিক্ষকে পরিপূর্ণ ছিলো।

২/ বঙ্গাধীপতি শশাঙ্ক দ্বারা আক্রান্ত: দ্বিতীয়বার নালন্দা আক্রান্ত হয় বঙ্গাধীপতি শশাঙ্কের সেনাবাহিনী দ্বারা৷ সম্ভবত বঙ্গরাজ শশাঙ্ক মগধ আক্রমণের সময় নালন্দা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তবে নালন্দা ধ্বংস হয় নি। তাছাড়া শশাঙ্কের উদ্দেশ্যও নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস করা ছিলো না। যদি তা-ই হতো তবে বঙ্গের রাজধানী কর্ণসুবর্ণের নিকটে "রক্তমৃত্তিকা" মহাবিহারও ধ্বংস করে দিতেন। সপ্তম শতকেই ভারতে আসেন তিব্বতীয় চৈনিক পর্যটক হিউয়েন সাঙ (জুয়ানযাঙ্গ) এবং শীলভদ্রের অধীনে পড়াশোনাও করেন। তাঁর বর্ণনায় পাওয়া যায় সেসময় নালন্দার ১০০টি শ্রেণিকক্ষে প্রায় ২,০০০ শিক্ষকের অধীনে ২০,০০০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতো। হিউয়েন সাং ভারত থেকে ফেরার সময় শশাঙ্কের রাজধানী কর্ণসুবর্ণ তে যান এবং এর পর উড়িষ্যা দিয়ে চীনে ফিরে যান। শশাঙ্ক যদি বৌদ্ধ বিদ্বেষী হতেন তবে হিউয়েন সাং কর্ণসুবর্ণে প্রবেশ করতে পারতেন না। উল্লেখ্য যে শশাঙ্ক যদি নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংসই করে দিতেন তবে হিউয়েন সাং ভারত থেকে ফেরার সময় ছয় শতাধিক ভারতীয় গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি নিয়ে যেতে পারতেন না। স্যামুয়েল বিল হিউয়েন সাঙের মূল রচনার ইংরেজি অনুবাদ করে "Si-Yu-Ki: Buddhist Records of the Western World" নামে প্রকাশ করেন। তাছাড়া বঙ্গাধীপতি শশাঙ্ক নালন্দা আক্রমণ করেছেন এমন কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ পাওয়া যায় না প্রাথমিক সোর্স থেকে।

৩/ আফগান দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী দ্বারা আক্রান্ত: তৃতীয় আক্রমণ তথা ভয়ংকর ধ্বংসলীলা সংগঠিত হয়েছিল তুর্কী দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী কর্তৃক। নালন্দা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়, প্রচুর পুস্তক ও ভিক্ষুদের আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়। কিছু ভিক্ষু তিব্বত/নেপালে পালিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। এই জন্যই বাংলার প্রাচীনতম পুস্তক চর্যাপদ বাংলা/বিহারে পাওয়া যায় না; চর্যাপদ উদ্ধার করা হয় নেপাল থেকে। তুর্কী দস্যু বখতিয়ারের সেনাবাহিনী যে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় পুড়িয়েছিলো তার প্রমাণ মোটামুটি সকল প্রাথমিক সোর্স থেকেই পাওয়া যায়।

★ বখতিয়ার খিলজির সেনাবাহিনীর হাতেই যে নালন্দা মহাবিহার ধ্বংস হয়েছিলো তার প্রমাণ হিসেবে ফারসি ঐতিহাসিক মিনহাজ-ই-সিরাজ তাঁর তাবাকাত-ই-নাসিরি গ্রন্থেই নথিভুক্ত করেছিলেন। এই বইটি ত্রয়োদশ শতকে রচিত, পরবর্তীতে ১৮৭৩ সালে সেটা মেজর এইচ.জি. রাভেট্রি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। মিনহাজ লিখেছেন,

"মুহাম্মদ-ই-বখত-ইয়ার দুর্গটি দখল করে এবং ভীষণ লুট করে। সেখানকার বেশিরভাগ বাসিন্দা ছিলো ব্রাহ্মণ এবং সকলের মাথা ছিলো মুণ্ডিত যাদের সবাইকেই হত্যা করতে৷ সেখানে বিশাল সংখ্যক পুস্তক ছিলো৷ যখন সবগুলো বই মুসলমানদের হাতে এলো এই বিষয়ক তথ্যের জন্য অনেক হিন্দুদের আনা হলো এবং সবাইকে হত্যা করা হলো। পরে, জানা গেলো এই দুর্গ এবং শহরটি ছিলো একটি কলেজ এবং হিন্দু ভাষায় এই কলেজকে বিহার বলা হতো৷ সেখানকার হাজার হাজার সন্ন্যাসীকে পুড়িয়ে মারা হলো এবং জীবতদের শিরোচ্ছেদ করা হলো। খিলজি তলোয়ারের মুখে বৌদ্ধদের উৎখাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো৷ সেখানকার লাইব্রেরি মাসব্যাপী পুড়েছিলো এবং দগ্ধ পুস্তকের ধোঁয়ায় আশেপাশের পাহাড়গুলো অন্ধকার হয়ে গিয়েছিলো।"

★ দ্বিতীয় সোর্স হিসেবে রয়েছে সুব্রহ্মণ্য রচিত "নালন্দাদহন" নাটিকা। তিব্বতীয় বজ্রযানী বৌদ্ধদের শাস্ত্র "পিটক" এ এই নাটিকাটি সংকলিত আছে। বজ্রযানী সকল পিটক উরগ্যেন লিংপার হাত ধরেই পূর্ণতা পেয়েছিলো। উরগ্যেন লিংপা বহু হারিয়ে যাওয়া শাস্ত্রগ্রন্থের পান্ডুলিপি সংগ্রহ করে সংকলন করতেন, তিনি চতুর্দশ শতকের ব্যক্তি। তাই ধরে নেওয়া যেতে পারে "নালন্দাদহন" নাটিকাটি অবশ্যই ত্রয়োদশ শতকের হবে যা প্রাথমিক সোর্স হিসেবে গ্রহণ করা যায়। নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে দেখা যায়, তুরষ্ক সেনাসমুদ্র নালন্দার রাজদ্বারে প্রবেশ করিল। তাহাদিগের যত অশ্বারোহী তরবারির অগ্রে ভিক্ষুদের কাটিতে ও পুড়াইতে লাগিল।

এক বরিষ্ঠ ভিক্ষু সেই ঘোর জঘন্য কার্য্যের বর্ণনা করিলেন : ---
"তুরষ্কবর্গ বায়ুবেগে আসিল এবং তদীয় শত্রু চূর্ণ করিতে লাগিল। সহস্র সহস্র ভিক্ষুকে কাটিয়া তাহারা যেন হত্যাযজ্ঞব্রত ধারণ করিয়াছে।"

সেনাপতি পুস্তকালয় দহনে উদ্যত দেখিয়া পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষা ভিক্ষুণী ভাগেশ্বরী তাঁর কাছে প্রার্থনা করিলেন : ---

"হে মহামতি মহাসেনাপতি! পুড়াইও না! শত সহস্র বিদ্বানের সাধনধনসঞ্চিত এই জ্ঞানভাণ্ডার পুড়াইও না। আমরা স্বল্পায়ু মানুষ, সাধন‌ও স্বল্প; তথাপি কোটি কোটি জ্ঞাননিমগ্ন বিদ্বানের জ্ঞান দ্বারা বর্ধিত এই ভাণ্ডার অখিলহিতকারী। তোমাদিগের দেশের পণ্ডিতরাও এইসকল খণ্ডন করিতে পারেন। এ যে শাস্ত্রের অকৃত্রিম ভাণ্ডার!"

(নাটিকার অনুবাদক: Koyel Writes)

★ তৃতীয় সোর্স হিসেবে আচার্য ধর্মস্বামীর বায়োগ্রাফি ব্যবহার করা যায়। উনার বায়োগ্রাফী "Upasaka Chos-dar" এর মূল তিব্বতীয় পাণ্ডুলিপি ইংরেজি অনুবাদ করেন Dr. George Roerich যেটা ১৯৫৯ সালে জয়সাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট, পাটনা থেকে প্রকাশিত হয়। ধর্মস্বামী ১২৩৩/১২৩৪ সালে ভারতে আসেন এবং ওদন্তপুরীতে গিয়ে দেখেন সেটা একজন তুর্কী (এক আফগান সম্প্রদায়) সেনা কমান্ডারের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তুর্কী সেনারা বিক্রমশীলা সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। তুর্কীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নালন্দার ৮০টি ছোট বিহার বন্ধ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় রাজা বুদ্ধসেনার অর্থায়নে মাত্র দুটো বিহারের কার্যক্রম চলমান ছিলো। এগুলো পরিচালনা করতেন ৯০ বছর বয়স্ক সন্ন্যাসী রাহুল শ্রীভদ্র, আচার্য ধর্মস্বামী উনারই শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। আচার্য ধর্মস্বামী চাগ লোতস্বা নামেও পরিচিত ছিলেন।

অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে বখতিয়ার খিলজির সেনাবাহিনী দ্বারাই নালন্দার বড় বড় বিহারগুলো ধ্বংস হয় এবং খিলজি মারা যাওয়ার পরও তুর্কী সেনাবাহিনী নালন্দার সম্পূর্ণ এলাকা দখল করে রেখেছিলো। অনেকে বলার চেষ্টা করে তুর্কী আক্রমণের পরও নালন্দা টিকে ছিলো। আচার্য ধর্মস্বামী ১২৩৩/১২৩৪ সালে যখন নলন্দা বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমণে আসেন তিনি দেখেন যে ৯০ বছর বয়স্ক রাহুল শ্রীভদ্র মাত্র ৭০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শ্রেণিকক্ষ পরিচালনা করছেন। তার উপস্থিতিতেই তুর্কী সৈন্যদের দ্বারা নালন্দা আবার আক্রান্ত হয় এবং সকল শিক্ষার্থী পলায়ন করে।

মন্তব্য: এই ছিলো মোটামুটি নালন্দা ও তার পার্শ্ববর্তী বিহারগুলোর ধ্বংসের প্রাথমিক ইতিহাস যেখানে ঘুরেফিরে বখতিয়ার ও তার সেনাবাহিনী এবং তার উত্তরসূরীদের জড়িত থাকার ইতিহাস স্পষ্ট। অনেকে বলে নালন্দা মহাবিহার কেবল বৌদ্ধ স্থাপনা, হিন্দুদের কোন অধিকার নেই। অথচ নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় হিন্দু রাজা কুমারগুপ্তের সময় এবং নালন্দা চুড়ান্ত উৎকর্ষতা লাভ করে স্কন্দগুপ্তের হাত ধরে। পরবর্তীতে অষ্টম শতকে পাল রাজা ধর্মপাল আরও কিছু বিহার স্থাপন করে নালন্দাকে আরও বিস্তৃত করার চেষ্টা করেছেন। বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরা নালন্দায় রাখা হিন্দু দেববিগ্রহগুলোরও অনাদর করতেন না। নালন্দার প্রত্নতাত্ত্বিক খননে গণেশ, চামুণ্ডা, উমা-মহেশ্বর, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, বুদ্ধ ও সূর্য বিগ্রহ পাওয়া যায়।


Address

Digha

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when K2 - Is An Emotion posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to K2 - Is An Emotion:

Share