Rabbani Bin Abdul Towab

  • Home
  • Rabbani Bin Abdul Towab

Rabbani Bin Abdul Towab 🕌┏━━━﷽━━━━┓🕌
🕋 ALLAH 🕋
🕌┗━━━﷽━━━━┛🕌 সত্য এসেছে মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে

খুব সুন্দর 💕 এটা ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করতে পারো
09/04/2025

খুব সুন্দর 💕 এটা ওয়ালপেপার হিসেবে ব্যবহার করতে পারো

আলহামদুলিল্লাহ
20/12/2024

আলহামদুলিল্লাহ

💕
25/05/2024

💕

25/11/2023
07/08/2023

এটা হচ্ছে ফিনিশিং

07/08/2023

, তুমি যদি বলো
তা হলে অন্য দিন দেখাবো

06/11/2022

إن الحمد لله ، نحمده ونستعينه ونستغفره ، ونعوذ بالله من شرور أنفسنا ومن سيئات أعمالنا من يهده الله فلا مضل له ، ومن يضلل فلا هادي له . وأشهد ألا إله إلا الله وحده لا شريك له ، وأشهد أن محمداً عبده ورسوله . أما بعد : فإن خير الحديث كتاب الله ، وخير الهدي هدي محمد ، وشر الأمور محدثاتها ، وكل بدعة ضلالة

সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার জন্য, দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক ঐ নবীর উপর, যাঁর পরে আর কোন নবীর আগমন ঘটবে না এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সকল সাহাবায়ে কেরামের উপর।

মহান আলস্নাহ বলেন,

النَّاسُ إِنَّا خَلَقْنَاكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ وَّأُنْثٰى وَجَعَلْنَاكُمْ شُعُوْبًا وَّقَبَآئِلَ لِتَعَارَفُوْا﴾

‘‘হে মানুষ! আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও এক নারী হতে। পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে, যাতে তোমরা একে অপরের সাথে পরিচিত হতে পারো’’ (সূরা হুজুরাত ৪৯ঃ ১৩)।

أَيُّهَا النَّاسُ اتَّقُوْا رَبَّكُمُ الَّذِيْ خَلَقَكُمْ مِّنْ نَّفْسٍ وَّاحِدَةٍ وَّخَلَقَ مِنْهَا زَوْجَهَا وَبَثَّ مِنْهُمَا رِجَالًا كَثِيْرًا وَّنِسَآءً ﴾

‘‘হে মানুষ (সমাজ)! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় করো, যিনি তোমাদেরকে একটি মাত্র ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন এবং তা হতে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর সেই দু’জন হতে বহু নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন’’ (সূরা নিসা ৪ঃ ১)।

أَزْوَاجًا﴾

‘‘আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়’’ (সূরা নাবা ৭৮ঃ ৮)।

جَعَلَ لَكُمْ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا﴾

‘‘আর আলস্নাহ তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে জোড়া সৃষ্টি করেছেন’’

(সূরা নাহল ১৬ঃ ২)।

নারী পুরুষের সহ অবস্থানের জন্য শামিত্মদাতা মহান আলস্নাহ শরীয়তসম্মত বিবাহের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,

مَا طَابَ لَكُمْ مِّنَ النِّسَآءِ مَثْنٰى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوْا فَوَاحِدَةً﴾

‘‘তোমরা নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমতো দুইজন অথবা তিনজন কিংবা চারজন করে বিবাহ করো। কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা তাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে (বিবাহ করো)’’ (সূরা নিসা ৪ঃ ৩)।

الَّذِيْ خَلَقَ مِنَ الْمَآءِ بَشَرًا فَجَعَلَهٗ نَسَبًا وَّصِهْرًا وَّكَانَ رَبُّكَ قَدِيْرًا﴾

‘‘তিনিই মানুষকে পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি মানবজাতির মধ্যে ব্যক্তিগত ও বৈবাহিক সর্ম্পক স্থাপন করেছেন। আর তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান’’ (সূরা ফুরকান ২৫ঃ ৫৪)।

أَرْسَلْنَا رُسُلًا مِّنْ قَبْلِكَ وَجَعَلْنَا لَهُمْ أَزْوَاجًا وَّذُرِّيَّةً﴾

‘‘আমি তোমার পূর্বে অনেক রাসূল পাঠিয়েছিলাম। আর তাদেরকে দিয়েছিলাম স্ত্রী ও সমত্মানাদি’’ (সূরা রা‘দ ১৩ঃ ৩৮)।

بِإِذْنِ أَهْلِهِنَّ وَاٰتُوْهُنَّ أُجُوْرَهُنَّ بِالْمَعْرُوْفِ مُحْصَنَاتٍ غَيْرَ مُسَافِحَاتٍ وَّلَا مُتَّخِذَاتِ أَخْدَانٍ ﴾

‘‘তোমরা তাদের (মেয়েদের) অভিভাবকের অনুমতিক্রমে তাদেরকে বিবাহ করো, ন্যায়সংগতভাবে তাদেরকে মোহর প্রদান করো, যাতে তারা সচ্চরিত্রা হবে, ব্যাভিচারিণী হবে না ও গোপন বন্ধুত্বেও লিপ্ত হবে না। (সূরা নিসা ৪ঃ ২৫)।

الْأَيَامٰى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِيْنَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَآئِكُمْ﴾

‘‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন তাদের বিবাহ দাও এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরকেও বিবাহ দাও’’ (সূরা নূর ২৪ঃ ৩২)।

আলস্নাহর এ নির্দেশ পালনের মধ্যে রয়েছে দ্বীনের পূর্ণতা। যেমন মহানবী ﷺ বলেন ‘‘বান্দা যখন বিবাহ করে তখন সে তার অর্ধেক দ্বীন পূর্ণ করে নেয়। অতএব তাকে তার অবশিষ্ট অর্ধেক দ্বীনের ব্যাপারে আলস্নাহকে ভয় করা উচিত’’। [শুআবুল ঈমান, হা: ৫৪৮৬; সহীহুল জামে হা:৪৩০]

রাসূল ﷺ অন্যত্র বলেন,

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ! مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ؛ فَلْيَتَزَوَّجْ؛, وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ؛ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ؛ فَإِنَّهٗ لَهٗ وِجَاءٌ

‘হে যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিবাহ করার সামর্থ রাখে সে যেন বিবাহ করে এবং যে বিবাহ করার সামর্থ রাখে না সে যেন ‘‘সাওম’’ পালন করে। কেননা সেটা (সাওম) তার যৌন স্পৃহাকে দমনকারী’’। [বুখারী ‘কিতাবু নিকাহ’ ২য় অধ্যায়, হা: ৫০৬৫ ; মুসলিম ১৬/১, হা: ১৪০০ আহমাদ হা : ৪০৩৩]

কাজেই যাদের সামর্থ আছে তারা অবশ্যই পুণ্যময়ী নারী দেখে বিবাহ করবে। আর যাদের সামর্থ নেই আলস্নাহ তাদেরকে অভাব মুক্তকরার পূর্ব পর্যমত্ম তারা সংযমতার নীতি অবলম্বন করবে। এ মর্মে আলস্নাহ বলেন,

الَّذِيْنَ لَا يَجِدُوْنَ نِكَاحًا حَتّٰى يُغْنِيَهُمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهٖ﴾

‘‘যাদের বিবাহ করার সামর্থ নেই তারা যেন সংযমতা অবলম্বন করে, যতক্ষণ না আলস্নাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করেন’’ (সূরা নূর ২৪ঃ ৩৩)

মহান আলস্নাহর সবচেয়ে বড় উপহার হচ্ছে পুরুষের জন্য নারী এবং নারীর জন্য পুরুষ। সৃষ্টিকর্তা যত নিয়ামত মানুষকে দিয়েছেন তার মধ্যে সবচেয়ে বড় নিয়ামত হলো পুণ্যবতী স্ত্রী। নারী-পুরুষ উভয়কে আলস্নাহ সুন্দর অবকাঠামোতে সৃষ্টি করেছেন যাতে তারা একে অপরের কাছ থেকে উপকার লাভ করতে পারে। মহান আলস্নাহ বলেন,

خَلَقْنَاهُمْ وَشَدَدْنَاۤ أَسْرَهُمْ﴾

‘‘আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এবং তাদের গঠন মজবুত করেছি’’

(সূরা দাহর ৭৬ঃ ২৮)।

أَيِّ صُوْرَةٍ مَّا شَآءَ رَكَّبَكَ﴾

‘‘তিনি তোমাদেরকে তাঁর ইচ্ছামতো আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন’’

(সূরা ইনফিতার ৮২ঃ ৮)।

خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ فِيْۤ أَحْسَنِ تَقْوِيْمٍ﴾

‘‘আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি অতি উত্তম আকার-আকৃতি দিয়ে’’

(সূরা তীন ৯৫ঃ ৪)।

মহান আলস্নাহ মানুষকে অর্থাৎ প্রত্যেক নর-নারীকে সুন্দর আকার-আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। আর একজনকে করেছেন অপরজনের পরিপূরক। মহান আলস্নাহ বলেন,

لِبَاسٌ لَّكُمْ وَأَنْتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ﴾

‘‘তারা তোমাদের পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের পোশাকস্বরূপ’’

(সূরা বাকারা ২ঃ ১৮৭)।

পোশাক যেমন শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হবার নয়, ঠিক তেমনি স্বামী-স্ত্রীও একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হবার নয়। দুনিয়ার অন্যতম আকর্ষণীয় বস্তু হলো নারী। আলস্নাহ বলেন,

لِلنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَآءِ﴾

‘‘নারীর প্রতি প্রবিত্তির আসক্তি মানুষের জন্য সুশোভিত করে দেয়া হয়েছে’’

(সূরা আলে-ইমরান ৩ঃ ১৪)।

আবদুলস্নাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূল ﷺ বলেন, ‘‘দুনিয়া উপভোগের উপকরণ এবং দুনিয়ার উত্তম উপভোগের উপকরণ হলো পুণ্যবতী স্ত্রী’’। [কিতাবু নিকাহ ১৭তম অধ্যায়, মুসলিম হা.একা. হা:৩৫৩৫-৫৯/১৪৬৭, ই.ফা. হা:৩৫০৬, ই. সে ৩৫০৭]

দাম্পত্য জীবনে শামিত্ম ও সুখের বস্তু হলো একজন পুণ্যবতী স্ত্রী। মহান আলস্নাহ বলেনঃ

اٰيَاتِهٖۤ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِّنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوْاۤ إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَّوَدَّةً وَّرَحْمَةً إِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيَاتٍ لِّقَوْمٍ يَّتَفَكَّرُوْنَ﴾

‘‘তাঁর (আল্লাহর) নিদর্শনাবলির মধ্যে অন্যতম একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতে তোমাদের স্ত্রীদেরকে সৃষ্টি করেছেন; যাতে তোমরা তাদের নিকট থেকে শামিত্ম পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক স্নেহ ও ভালবাসা সৃষ্টি করেছেন। চিমত্মাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে’’ (সূরা রূম ৩০ঃ ২১)।

حَرْثٌ لَّكُمْ فَأْتُوْا حَرْثَكُمْ أَنّٰى شِئْتُمْ﴾

‘‘তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের শস্যক্ষেত্রে যেভাবে ইচ্ছা গমন করো’’ (সূরা বাকারা ২ঃ ২২৩ )। [বুখারী তা. পা. হা. ৪৫২৮, মুসলিম হা. এ. হা: ১১৭/১৪৩৫]

সর্বাপেঁক্ষা উত্তম গৃহ সেটি, যে গৃহে সতীসাধ্বী ও পুণ্যবতী রমণী বসবাস করে। প্রিয় নবী ﷺ বলেন, পুরম্নষের জন্য সুখ ও সৌভাগ্যের বিষয় হলো চারটি ঃ তন্মধ্যে অন্যতম একটি হলো সতীসাধ্বী নারী’’। [সিলসিলাহ সহীহাহ হা:২৮২]

عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍالْخُدْرِيِّ  أَنَّهٗ سَمِعَ النَّبِيَّ  يَقُوْلُ: "لَا تُصَاحِبْ إِلَّا مُؤْمِنًا وَلَا يَأْكُلْ طَعَامَكَ إِلَّا تَقِيًّا

আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী ﷺ-কে বলতে শুনেছি। নবী ﷺ বলেন, মুমিন মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে সঙ্গী বানাবে না। আর তোমার খাবার যেন কোন পরহেযগার-মুত্তাকী ব্যতীত আর কেউ না খায়। [আবু দাউদ হাঃ৪৮৩২, আহমাদ হাঃ১০৯৪৪, তিরমিযি হাঃ২৩৯৫]

দাম্পত্য জীবনকে সুখময়, পারিবারিক জীবনকে শামিত্মময় ও পরকালীন জীবনকে সাফল্যময় করার লক্ষে যে নারীকে ‘‘স্ত্রী হিসেবে নির্বাচন’’ করা চির কল্যাণকর আর যে নারীকে ‘‘স্ত্রী হিসেবে নির্বাচন’’ করা অকল্যাণকর আলোচ্য গ্রন্থে আমরা সে দিকটি তুলে ধরার প্রয়াস পাব ইনশাআলস্নাহ। বইটি লিখতে যারা পরামর্শ ও অনুপ্রাণিত করেছেন ও যাদের লিখনীর সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়েছে এবং যিনি মূল্যবান সময় কুরবানী করে সম্পাদনার কাজ করেছেন তাদের প্রত্যেকের জন্য মহান আলস্নাহর দরবারে ‘জাযায়ে খায়ের’ কামনা করছি। মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়, তাই সহৃদয়বান পাঠক মহলে কোন ভুল-ত্রম্নটি পরিলক্ষিত হলে এবং তা আমাদের অবহিত করলে শুধরে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। মহান অলস্নাহর কাছে প্রার্থনা করছি, পাঠক-পাঠিকাকে এ লিখনী দ্বারা উপকৃত করুন এবং আমাদের এ লিখনীকে পরকালীন পাথেয় হিসেবে কবুল করুন। আমীন

03/11/2022

১- বাসর ঘরে স্ত্রীর মাথার অগ্রভাগে ডান হাত রাখা এবং দু'আ পড়া :

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إِذَا أَفَادَ أَحَدُكُمُ امْرَأَةً أَوْ خَادِمًا أَوْ دَابَّةً فَلْيَأْخُذْ بِنَاصِيَتِهَا وَلْيُسَمِّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.

'তোমাদের কেউ যখন কোনো নারী, ভৃত্য বা বাহন থেকে উপকৃত হয় (বিয়ে বা খরিদ করে) তবে সে যেন তার মাথার অগ্রভাগ ধরে, বিসমিল্লাহ পড়ে এবং বলে :

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ.

('হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এর ও এর স্বভাবের কল্যাণ প্রার্থনা করছি এবং এর ও এর স্বভাবের অকল্যাণ থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।)' [. বাইহাকী, সুনান কুবরা : ১৪২১১; ইবন মাজা : ১৯১৮।]

২- স্বামী-স্ত্রী উভয়ে একসঙ্গে দুই রাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করা :

আবদুল্লাহ ইবন মাসঊদ রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, স্ত্রী যখন স্বামীর কাছে যাবে, স্বামী তখন দাঁড়িয়ে যাবে। আর স্ত্রীও দাঁড়িয়ে যাবে তার পেছনে। অতপর তারা একসঙ্গে দুই রাকা‌‘‌ত সালাত আদায় করবে এবং বলবে :

اللَّهُمَّ بَارِكْ لِي فِي أَهْلِي، وَبَارِكْ لَهُمْ فِيَّ، اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي مِنْهُمْ وَارْزُقْهُمْ مِنِّي، اللَّهُمَّ اجْمَعَ بَيْنَنَا مَا جَمَعْتَ إِلَى خَيْرٍ، وَفَرِّقْ بَيْنَنَا إِذَا فَرَّقْتَ إِلَى خَيْرٍ.

'হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য আমার পরিবারে বরকত দিন আর আমার ভেতরেও বরকত দিন পরিবারের জন্য। আয় আল্লাহ, আপনি তাদের থেকে আমাকে রিযক দিন আর আমার থেকে তাদেরও রিযক দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের যতদিন একত্রে রাখেন কল্যাণেই একত্র রাখুন আর আমাদের মাঝে যখন বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেবেন তখন কল্যাণের পথেই বিচ্ছেদ ঘটাবেন।' [. তাবরানী, মু'জামুল কাবীর : ৮৯০০।]

৩- স্ত্রীর সঙ্গে সহবাসের দু‘আ পড়া।

স্ত্রী সহবাসকালে নিচের দু'আ পড়া সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

لَوْ أَنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَأْتِيَ أَهْلَهُ فَقَالَ بِاسْمِ اللهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا ، فَإِنَّهُ إِنْ يُقَدَّرْ بَيْنَهُمَا وَلَدٌ فِي ذَلِكَ لَمْ يَضُرُّهُ شَيْطَانٌ أَبَدًا.

'তোমাদের কেউ যদি স্ত্রী সঙ্গমকালে বলে :

بِاسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا

(আল্লাহর নামে শুরু করছি, হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তানের কাছ থেকে দূরে রাখুন আর আমাদের যা দান করেন তা থেকে দূরে রাখুন শয়তানকে।) তবে সে মিলনে কোনো সন্তান দান করা হলে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।' [. বুখারী : ৭৩৯৬।]

৪- নিষিদ্ধ সময় ও জায়গা থেকে বিরত থাকা :

আবূ হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

مَنْ أَتَى حَائِضًا ، أَوْ امْرَأَةً فِي دُبُرِهَا ، أَوْ كَاهِنًا فَصَدَّقَهُ بِمَا يَقُولُ ، فَقَدْ كَفَرَ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى مُحَمَّدٍ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ.

'যে ব্যক্তি কোনো ঋতুবতী মহিলার সঙ্গে কিংবা স্ত্রীর পেছনপথে সঙ্গম করে অথবা গণকের কাছে যায় এবং তার কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে, সে যেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করলো।' [. মুসনাদ আহমদ : ১০১৭০; ইবন মাজা : ৬৩৯।]

৫- ঘুমানোর আগে অযূ বা গোসল করা :

স্ত্রী সহবাসের পর সুন্নত হলো অযূ বা গোসল করে তবেই ঘুমানো। অবশ্য গোসল করাই উত্তম। আম্মার বিন ইয়াসার রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

ثَلاَثَةٌ لاَ تَقْرَبُهُمُ الْمَلاَئِكَةُ جِيفَةُ الْكَافِرِ وَالْمُتَضَمِّخُ بِالْخَلُوقِ وَالْجُنُبُ إِلاَّ أَنْ يَتَوَضَّأَ.

'তিন ব্যক্তির কাছে ফেরেশতা আসে না : কাফের ব্যক্তির লাশ, জাফরান ব্যবহারকারী এবং অপবিত্র শরীরবিশিষ্ট ব্যক্তি, যতক্ষণ না সে অযূ করে।' [. সুনান আবূ দাউদ : ৪১৮২।]

৬- ঋতুবতীর স্ত্রীর সঙ্গে যা কিছুর অনুমতি রয়েছে :

হ্যা, স্বামীর জন্য ঋতুবতী স্ত্রীর সঙ্গে যোনি ব্যবহার ছাড়া অন্য সব আচরণের অনুমতি রয়েছে। স্ত্রী পবিত্র হবার পর গোসল করলে তার সঙ্গে সবকিছুই বৈধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

اصْنَعُوا كُلَّ شَيْءٍ إِلاَّ النِّكَاحَ .

'... সবই করতে পারবে কেবল সঙ্গম ছাড়া।' [. মুসলিম : ৭২০।]

৭- বিয়ের নিয়ত শুদ্ধ করা :

নারী-পুরুষের উভয়ের উচিত বিয়ের মাধ্যমে নিজকে হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে বাঁচানোর নিয়ত করা। তাহলে উভয়ে এর দ্বারা ছাদাকার ছাওয়াব লাভ করবে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

وَفِي بُضْعِ أَحَدِكُمْ صَدَقَةً ، قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ، أَيَأْتِي أَحَدُنَا شَهْوَتَهُ ، وَيَكُونُ لَهُ فِيهِ أَجْرٌ ؟ قَالَ : أَرأَيْتُمْ لَوْ وَضَعَهَا فِي الْحَرَامِ أَكَانَ عَلَيْهِ فِيهَا وِزْرٌ ؟ فَكَذَلَكَ إِذا وَضَعَهَا فِي الْحَلالِ كَانَ لَهُ فِيهَا أَجْرٌ.

'তোমাদের সবার স্ত্রীর যোনিতেও রয়েছে ছাদাকা। সাহাবীরা জিজ্ঞেস করলেন ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমাদের কেউ কি তার জৈবিক চাহিদা মেটাবে আর তার জন্য সে কি নেকী লাভ করবে? তিনি বললেন, 'তোমরা কি মনে করো যদি সে ওই চাহিদা হারাম উপায়ে মেটাতো তাহলে তার জন্য কোনো গুনাহ হত না? (অবশ্যই হতো) অতএব তেমনি সে যখন তা হালাল উপায়ে মেটায়, তার জন্য নেকী লেখা হয়।' [. মুসলিম : ১৬৭৪; মুসনাদ আহমদ : ২১৫১১।]

৮- স্ত্রী সান্বিধ্যের গোপন তথ্য প্রকাশ না করা :

বিবাহিত ব্যক্তির আরেকটি কর্তব্য হলো স্ত্রী সংসর্গের গোপন তথ্য কারো কাছে প্রকাশ না করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إِنَّ مِنْ أَشَرِّ النَّاسِ عِنْدَ اللَّهِ مَنْزِلَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ الرَّجُلَ يُفْضِى إِلَى امْرَأَتِهِ وَتُفْضِى إِلَيْهِ ثُمَّ يَنْشُرُ سِرَّهَا.

'কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তি সবচে নিকৃষ্ট বলে গণ্য হবে যে তার স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হয় এবং স্ত্রী তার ঘনিষ্ঠ হয় অতপর সে এর গোপন বিষয় প্রচার করে।' [. মুসলিম : ৩৬১৫।]

৯- অলীমা করা :

বিয়ের আরেকটি সুন্নত হলো অলীমা করা তথা মানুষকে দা‘ওয়াত করে খাওয়ানো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেছেন। এমনকি তিনি আবদুর রহমান বিন আউফ রাদিআল্লাহু আনহু -এর উদ্দেশে বলেন,

أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ.

'অলীমা কর, হোক না তা একটি ছাগল দিয়ে হয়।' [. বুখারী : ২০৪৯; মুসলিম : ৩৫৫৬।]

১০- বিয়ের দা‘ওয়াত গ্রহণ করা :

কেউ যদি বিয়ের দা‘ওয়াত দেয় তাহলে সে দা‘ওয়াত কবুল করা সুন্নত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيمَةِ فَلْيَأْتِهَا.

'তোমাদের কাউকে যখন বৌভাতের দাওয়াত দেয়া হয়, সে যেন তাতে অংশ নেয়।' [. বুখারী : ৫১৭৩; মুসলিম : ৩৫৮২।]

অপর এক হাদীসে তিনি বলেন,

وَمَنْ لَمْ يُجِبِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ.

'আর যে দাওয়াত কবুল করল না সে যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যাচরণ করল।' [. মুসলিম : ৩৫৯৮।]

১১- নব দম্পতির জন্য দু‘আ করা :

নব দম্পতির জন্য নিচের দু'আ করা সুন্নত। আবূ হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, যখন কোনো ব্যক্তি বিবাহ করত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন,

بَارَكَ اللَّهُ لَكَ ، وَبَارَكَ عَلَيْكَ ، وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ.

'আল্লাহ তোমার জন্য বরকত দিন, তোমার ওপর বরকত দিন এবং তোমাদের উভয়েক কল্যাণে মিলিত করুন।' [. আবূ দাউদ, সুনান : ২১৩০।]

১২- নির্দোষ সঙ্গীত ও দফ বাজানো :

বিয়ের ঘোষণার স্বার্থে শুধু দফ বাজানো এবং নির্দোষ সঙ্গীত গাওয়ার অনুমতি রয়েছে। তবে সে সঙ্গীতে রূপের বর্ণনা কিংবা অবৈধ কিছুর আহ্বান না থাকতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

فَصْلُ مَا بَيْنَ الْحَلالِ وَالْحَرَامِ الصَّوْتُ، وَضَرْبُ الدُّفِّ.

'হালাল ও হারাম বিয়ের মধ্যে পার্থক্য কেবল ঘোষণা ও দফ বাজানো।' [. তিরমিযী : ১১১১; মুসনাদ আহমদ : ১৮৩০৫।]

09/10/2022

শীতকালে গোসল করতে ভয় পায় এমন লোকের অভাব নেই। এটা আদৌও কোনো ধরনের ফোবিয়া কিনা তা আমার জানা নেই। স্বাভাবিক গোসলের কথা বলছি না, বলছি ফরজ গোসলের কথা!..

কনকনে ঠান্ডা, কাঁথা কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছেন আপনি। একটু আগে গোসল ফরজ হয়ে গেছে আপনার। হঠাৎ চোখ দু'টো বড় বড় করে আৎকে উঠলেন আপনি! হায়, এখন কি হবে! কিছুক্ষণ পর তো ফজরের নামাজ পড়া লাগবে! এমন ঠান্ডায় কিভাবে গোসল করবো আমি?

সেই মুহুর্তে আপনি গোসল থেকে বেঁচে যাওয়ার জন্য কয়েকটি ওজর দাঁড় করাতে পারেন...তার মধ্যে হলো—

• এরকম কনকনে ঠান্ডার মধ্যে গোসল! অসম্ভব!

• সমস্যা নেই। পরে কাযা পরে নিবো এখন, এস্তেগফার পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পরি!

• আর এতো রাতে গোসল করলে বাবা-মা, ভাই/বোন... কি মনে করবে তারা! লজ্জায় মাথা কাটা যাবে আমার!

• ফজরের নামাজ একান্ত পড়তে হলে তায়াম্মুম করে পড়ে নিবো।

চলুন এখন আপনার ওজর গুলো বিশ্লেষণ করি—

প্রথমত হলো, ঠান্ডা ওজর! ভীষণ ঠান্ডায় গোসল করতে সমস্যা হলে গরম পানি দিয়ে হলেও গোসল করতে হবে। শুধুমাত্র প্রচন্ড ঠান্ডার কারণে গোসল করবেন না, এমন ওজর ভিত্তিহীন। এটা কোনো ওজরই না।

দ্বিতীয়ত, এতো রাতে গোসল করলে লজ্জা লাগে, বাবা-মা, ভাই/বোন... কি ভাববে! ঠিক এ কারণে আপনি গোসল করলেন না। এটাও কোনো ওজর না। আর ফরজ গোসলের ব্যাপারে আপনাকে লজ্জা করতে কে বলেছে? অথচ যেটাতে লজ্জা করা উচিত সে ব্যাপারে আমরা নির্লজ্জ! তাই এটা ওজর বলে গন্য হবে না। গোসল করতেই হবে যতো লজ্জা লাগে লাগুক। এটা স্বাভাবিক বানিয়ে নিতে হবে।

তৃতীয়ত, তায়াম্মুম করা! এই ওজর তখনই উচিত হবে যখন ফরজ গোসল আদায় করতে গিয়ে জীবন বিপন্ন হওয়ার আশংকা থাকে। কিংবা পানি পাওয়া না যায়। তখন তায়াম্মুম করে নিলেও হবে। কিন্তু পানিও আছে, আপনিও সুস্থ, অথচ গোসল না করে তায়াম্মুম করবেন এটা হবে না। পানি থাকলে অবশ্যই গোসল করতে হবে।

চলুন এখন জেনে নেই যে সব কারণে গোসল ফরজ হয়—

১. স্বপ্নদোষ বা উত্তেজনাবশত বীর্যপাত হলে।
২. স্বপ্নের কথা স্মরণ থাকুক বা না থাকুক শরীরে, কাপড়ে বা বিছানায় বীর্যের চিহ্ন দেখতে পেলে।
৩. নারী-পুরুষ মিলনে সহবাসে। (বীর্যপাত হোক আর নাই হোক।)
৪. মহিলাদের মাসিক ঋতুস্রাব (হায়িয) বন্ধ হলে।
৫. নিফাস (সন্তান প্রসবের পর যে রক্ত স্রাব হয় তা) শেষ হলে।
৬. ইসলাম গ্রহণ করলে (নব-মুসলিম হলে)।
৭. বিভিন্ন উত্তেজনাবশত বা উত্তেজনা ছাড়া যেটা পানির মতো স্বচ্ছ হালকা পদার্থ বের হয় সেটাকে মজি বলে। এটাকে বীর্য বলে না। এটার জন্য গোসলের প্রয়োজন নেই।

গোসলের ফরজ তিনটি—
১. একবার গরগরার সহিত কুলি করা ফরজ।
১. একবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা ফরজ।
৩. সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছানো ফরজ।

গোসলের সুন্নত—
১. তিনবার কুলি করা সুন্নত।
২. তিনবার নাকের নরম জায়গা পর্যন্ত পানি পৌঁছিয়ে পরিস্কার করা সুন্নাত।
৩. সমস্ত শরীরে তিনবার পানি ঢেলে ভালো করে ঘষে পরিস্কার করা সুন্নাত।

গোসলের আরও সুন্নাত
১. গোসলের নিয়ত করা।
২. গোসলের শুরুতে দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত ধোয়া।
৩. পেশাব পায়খানার রাস্তা পরিস্কার করা।
৪. শরীরের কোনো স্থানে নাপাকী থাকলে তা ধোয়া।
৫. অজু করা।
৬. পানি জমে থাকে এমন স্থানে গোসল করলে, গোসলের পর সেই স্থান থেকে সরে গিয়ে পা ধোয়া।

যার উপর গোসল ফরজ হয়েছে, সে যদি গোসলের একটা ফরজ বাদ দিয়ে শতবার গোসল করে, তবু তার শরীর নাপাক থেকে যাবে।

ফরজ গোসলের সঠিক নিয়ম
গোসলের পদ্ধতি —

গোসলের পূর্বে পেশাব করে নেওয়া উচিত। ফরজ গোসলের জন্য-

১. গোসলের জন্য মনে মনে নিয়ত করতে হবে।
২. প্রথমে দুই হাত কব্জি পর্যন্ত ৩ বার ধৌত করতে হবে।
৩. এরপর ডানহাতে পানি নিয়ে বামহাত দিয়ে লজ্জাস্থান এবং তার আশপাশ ভালো করে ধৌত করতে হবে। শরীরের অন্য কোন জায়গায় বীর্য বা নাপাকি লেগে থাকলে সেটাও ধৌত করতে হবে।
৪. এবার বাম হাতকে ভালো করে ধৌত করতে হবে।
৫. তারপর ‘বিসমিল্লাহ’ বলে ওজুর নিয়মের মত করে ওজু করতে হবে অর্থাৎ “বিসমিল্লাহ” বলে ডান হাতে পানি নিয়ে উভয় হাতের কব্জি পর্যন্ত তিনবার ধোয়া, তিনবার কুলি করা, তিনবার নাকে পানি দিয়ে নাক ঝাড়া, কপালের গোড়া হতে দুই কানের লতি ও থুঁতনির নীচ পর্যন্ত, প্রথমে ডান হাত ও পরে বাম হাত তিনবার ধোয়া (আংগুলে আংটি থাকলে, মেয়েদের হাতে, কানে, নাকে গহনা থাকলে তা নেড়ে-চেড়ে ভিজিয়ে নেয়া, সম্পূর্ণ মাথা মাসেহ করা।
৬. অতঃপর প্রথমে মাথায় তিনবার (৩ অঞ্জলি) পানি ঢেলে চুলের গোড়ায় খিলাল করে ভালভাবে পানি পৌঁছাবে।
৭. এবার সমস্ত শরীর ধোয়ার জন্য প্রথমে ৩ বার ডানে তারপরে ৩ বার বামে পানি ঢেলে ভালোভাবে ধৌত করতে হবে, যেন শরীরের কোন অংশই বা কোন লোমও শুকনো না থাকে। গোসল এমনভাবে করতে হবে, যাতে বগল, নাভী ও কানের ছিদ্র পর্যন্ত বাহিরের পানি দ্বারা ভিঁজে যায়। অতপর আবার সমস্ত শরীরে পানি ঢালবে।
৮. সবার শেষে একটু অন্য জায়গায় সরে গিয়ে দুই পা ৩ বার ভালোভাবে ধৌত করতে হবে।

এরপর সমস্ত শরীরে পানি পৌঁছিয়েছে কিনা যাচাই করতে হবে। যেসব স্থানে পানি পৌঁছায় না, যেমন, কানের ভাজ, নাভি, পায়ের আঙুল.. ইত্যাদি স্থান গুলোতে পানি পৌঁছাতে হবে।

পুরুষের দাড়ি ও মাথার চুল এবং মহিলাদের চুল ভালোভাবে ভিজঁতে হবে।

এই নিয়মে গোসলের পর নতুন করে আর ওজুর দরকার নাই, যদি ওজু না ভাঙ্গে। কেননা হযরত ‘আয়েশা রা. বলেন, নবী মুহাম্মদ সা. ফরজ গোসলের পর আর ওযূ করতেন না। [তিরমিযী : ১০৩, মিশকাত : ৪০৯]

রাসূল সা. এক মুদ্দ (৬২৫ গ্রাম) পানি দিয়ে ওযূ এবং অনধিক পাঁচ মুদ্দ (৩১২৫ গ্রাম) বা প্রায় সোয়া তিন কেজি পানি দিয়ে গোসল করতেন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি অপচয় করা ঠিক নয়।

নারী হউক পুরুষ হউক সকলকে রাসূলুল্লাহ সা. পর্দার মধ্যে গোসল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

Address


Telephone

+919693892774

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rabbani Bin Abdul Towab posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rabbani Bin Abdul Towab:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share