Sri Ramkrishna:a GREAT Teacher

Sri Ramkrishna:a GREAT Teacher To follow teaching and blessings of SriRamkrishna.SriRamkrishna proclaimed,"As many faiths,so many p

✒️ Post Caption:> Where will you find the One —Who has no sound, no ornament, no pride?He lives within you, quietly,beyo...
04/06/2025

✒️ Post Caption:

> Where will you find the One —
Who has no sound, no ornament, no pride?

He lives within you, quietly,
beyond your display of devotion,
untouched by greed, desire, or deceit.

তাকে পাওয়ার জন্য মুখোশ নয়, দরকার অন্তরের ভালোবাসা।

Don’t try to fool the Divine with tilak, wealth, or false humility.
The soul cannot be tricked by the body.

He has no disguise. He makes no noise.

🔍 Read. Reflect. Rethink.

কোথায় পাবে তারে,
যে আছে তোমায় চেনা বার তরে!
তার না আছে কোন সাজ,
না আছে আওয়াজ!

যে আছে তোমার ঘরে তোমার তরে,
তারে কারো চোখে না পড়ে!
তার না আছে কোন অহং,
কোন চাকচিক্য কোন ঢং!
তাকে ছেড়ে—-
নিজেকে যারা লোভ কামনা বাসনা দিয়ে গড়ে,
নিজেকে নিয়ে রাখে ক্ষমতার “গড়ে”,
আষ্টেপৃষ্ঠে আছে স্বার্থপর হয়ে নিজেকে নিয়ে
কোথায় পাবে তারে?
অলক্ষ্যে থাকে সে সরে,
তারে কারো চোখে না পড়ে ।

যদি সত্যিই চাও তুমি তারে—
মিথ্যাচারী লোভী হিংসুটে হয়ে এসো না কোন
মানুষের সম্মুখে।
দেখাতে চেয়ো না বেশভূষা ও দেহকে নানা রঙ চিত্রিত করে তুমি তার ভক্ত,
তাকে ঠকানো মানুষের দুঃসাধ্য।
জেনে রাখো — মানুষ অন্তর্দেশে রেখেছে আপন প্রতিবিম্ব সেই সত্ত্বায় একাত্ম হয়ে,
তুমি কাকে ঠকাবে!
তার না আছে কোন সাজ,
না আছে আওয়াজ!

Where Will You Find the One
(English translation)

Where will you find the One,
Who has always known you from within?
One who wears no garb,
One who makes no sound!
The One who dwells in your home, only for you —
Yet is seen by none, not even by you.

No pride belongs to Him,
No glitter, no guise!
Those who abandon Him —
And build themselves with lust, greed, and craving,
Enclosed within fortresses of power,
Wrapped in layers of selfish desires —
How will they ever find Him?
He silently withdraws,
Remaining unseen by every eye.

If you truly seek Him —
Do not appear before others as a liar, greedy, or envious man.
Do not flaunt your attire or paint your body in colors to show you're His devotee;
He is not one to be deceived so easily.

Know this well —
Within the innermost being of man,
He resides as one’s own reflection,
Merged with the Self.
Whom will you deceive?

He wears no garb,
He makes no sound!
—© ✍️ ০৪/০৬/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#সত্যেরখোঁজ #আত্মদর্শন #ভণ্ডভক্তি
#সবিতাEunoiaworldviews

মন বেয়ে ওটা যায় চিদাকাশে, মন বেয়ে নেমে আসা যায় সংসারে।
02/06/2025

মন বেয়ে ওটা যায় চিদাকাশে, মন বেয়ে নেমে আসা যায় সংসারে।

22/05/2025

কামনা বাসনার গোলাগুলিতে চৈতন্য ক্ষতবিক্ষত, কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মানুষ তৈরি করেছে কি! দেশ রক্ষায় মারণাস্ত্র রুখতে সোনালী কবচ তৈরি করছে আমেরিকা সত্যি মজার বিষয়!!

🛡️ প্রযুক্তির সোনার কবচ বনাম মানুষের অন্তঃসারশূন্য চৈতন্যআমেরিকা 'গোল্ডেন ডোম' নির্মাণ করছে—এক মহাকাশভিত্তিক লেজার প্রতি...
22/05/2025

🛡️ প্রযুক্তির সোনার কবচ বনাম মানুষের অন্তঃসারশূন্য চৈতন্য

আমেরিকা 'গোল্ডেন ডোম' নির্মাণ করছে—এক মহাকাশভিত্তিক লেজার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশেই ধ্বংস করতে পারবে।
ইসরায়েলের 'আয়রন ডোম'-এর পর এবার 'সোনালী কবচ'!

কিন্তু মানুষের অন্তরে যে চৈতন্যের আকাশ—সেখানে কোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নেই।
কামনা, লোভ, শঠতা, মিথ্যাচার সেই শূন্য চৈতন্যকে প্রতিনিয়ত আঘাত করছে।
শিক্ষা যেখানে হওয়া উচিত ছিল মানবিকতার কবচ, রাজনীতির বিষাক্ত গোলায় তা আজ ছিন্নভিন্ন।

কবিগুরু বলেছিলেন—
“হেরো চিদ্মবরে, মঙ্গলে, সুন্দরে…”
কিন্তু মানুষ কি আজ সেই চৈতন্যময় সত্যের প্রতিরক্ষা তৈরি করতে পেরেছে?
—© শংকর ভট্টাচার্য্য ✍️ ২১/০৫/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#সবিতাEunoiaworldviews

 #একটুকরো_চাঁদ   াঁদে  #নিথর_রজনী"মাতৃত্ব ও প্রাণদান"এই কবিতাটি একান্ত নিজস্ব কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিবাদের ভাষা—যেখানে "মা"...
13/05/2025

#একটুকরো_চাঁদ াঁদে #নিথর_রজনী
"মাতৃত্ব ও প্রাণদান"এই কবিতাটি একান্ত নিজস্ব কণ্ঠে উচ্চারিত প্রতিবাদের ভাষা—যেখানে "মা" যেন এক প্রতীক, কখনও বাস্তব মা, কখনও দেশমাতৃকা, আবার কখনও প্রকৃতিই।

মাতৃত্ব ও প্রাণদান
*****************
সকল শিশু মায়ের একটুকরো প্রাণ,
নিজের প্রাণকে বিভক্ত করে তিনি সন্তানকে করেন দান,
এই তো কর্ম—সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ যজ্ঞ,
প্রাণ দানই—সর্বোচ্চ ধর্ম, শ্রেষ্ঠ সংজ্ঞ।

প্রাণ দান – বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সেরা কর্মযজ্ঞ,
আর সেই কর্মযজ্ঞকে অপমান করে অজ্ঞতা
এবং কুসংস্কার।

শতসহস্র প্রাণ হচ্ছে হিংসা বিদ্বেষে বলি দান,
একে অপরকে করছে আক্রমণ,
রণংদেহী সাজ সাজ রব,
আপন প্রাণময় সত্তাকে সম্পুর্ন ভাবে নিমজ্জিত করে দিতে চায় ধর্মান্ধতার অন্ধকার অতল গহ্বরে,
“মার মার কাট কাট" হাক,
আকাশে অস্ত্রের ঝনঝনানি,
গোধূলি পেরিয়ে নিথর রজনী,
ভবিষ্যতের খবরে শুধু আতঙ্কের প্রহর।

কর্মযজ্ঞে আতংকের ঘৃতাহুতি,
এসো এসো আহ্বান–
এই করুণা নিধানের
আহ্বায়করা নাকি সর্বভূতে ব্রহ্মের সেবক !

মা, তুমি কী কোনো দিন ভেবেছিলে প্রাণ দানের ধর্ম এমন রূপ নেবে!
তোমার প্রাণের, তোমার আদরের সোনামনি, একটুকরো চাঁদ—
যুদ্ধ হিংসার মরণ ফাঁদে পড়ে আর্তনাদ করবে!!
—© শংকর ভট্টাচার্য্য ✍️ ১৩/০৫/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#আদরের_সোনামনি #আতঙ্কের_প্রহর।
#সবিতাEunoiaworldviews
#অস্ত্রের_ঝনঝনানি

12/05/2025

Video of Ajanta & Elora --- the scenario at present:The great Indian art and culture. A wonderful world of heritage.

মাতৃ দিবস উপলক্ষে মা- কে প্রণাম  #সারদা_মা
11/05/2025

মাতৃ দিবস উপলক্ষে মা- কে প্রণাম #সারদা_মা

    জাতপাত হিংসার লাইফ লাইন, ভক্তির লাইক লাইন *********************************************Life Line – ‘জীবন রেখা’ নয়কো...
04/05/2025


জাতপাত হিংসার লাইফ লাইন, ভক্তির লাইক লাইন
*********************************************

Life Line – ‘জীবন রেখা’ নয়কো একা
হাতের তালুতে, জীবন-যাপনের প্রতিটি যুদ্ধে—
জীবন রেখা নয় কোনো সোজা-সরল দৈব রেখা,
বরং তা প্রেম, সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্যের রঙে আঁকা।

নয় হিংসা, বিদ্বেষের জটিল কুটিল ভাবনা চিন্তা কর্মের প্রকাশ,
যারা বোঝেন এর মানে,
তাদের লাইফস্টাইলে ফুটে ওঠে আত্মার মানব-সমাস।

লাইফ লাইনের নামে বিজ্ঞাপন যখন নিষ্ঠুর অর্থ-বাণিজ্য,
তখন বলির পশু হয় শতশত জীবন —
সেই মিথ্যে লাইফলাইন গড়ে তোলে জাতপাত, হিংসা, আর জিঘাংসার বিষে ভরা পৃথিবী,
গোময় আসক্তির মোড়কে বিভাজিত হয় ভগবান,
লাইফ লাইনের মানে বদলে যায়—বদলে যায় মানবতা।

আজ এই রেখা পড়েছে কুৎসিত রাজনীতির কবলে,
এ এক সাংঘাতিক ধরণের অপরাধ,
ভদ্রবেশী কিছু অমানুষ তাতে দিতে চায় সময়,
তাদের লাইনে উঠে আসে—
জাতপাত, হিংসা, অস্পৃশ্যতার পুরনো গন্ধ,
ভগবানকে বানানো হয় বাজারের পণ্য,
আর অবলা গরুও পায় রাজনৈতিক দর,
কারখানা খোলে—ভক্তির নামে কুৎসিত বিভাজন।
শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বলেছেন -- ওরে তোদের চৈতন্য হোক।।
—© শংকর ভট্টাচার্য্য ✍️ ০৪/০৫/২৫
#লাইফ_লাইন #প্রতারকদের_দখলে


#সবিতাEunoiaworldviews

দেশ সেবা: এক নির্মম আলেখ্য(১)দেশ সেবা তুচ্ছ নয় — বিশাল ভারের বহন,দেশ সেবা সোজা নয় — ভেবো না তা সহজ অনুশাসন।দিনরাত নিরল...
28/04/2025

দেশ সেবা: এক নির্মম আলেখ্য

(১)
দেশ সেবা তুচ্ছ নয় — বিশাল ভারের বহন,
দেশ সেবা সোজা নয় — ভেবো না তা সহজ অনুশাসন।
দিনরাত নিরলস সাধনা, অবকাশে সামান্য নিদ্রা,
দেশ সেবা — অতিশয় কঠিন বিদ্যা, নীরব অথচ দীপ্ত প্রহরা।

(২)
জেনো, দেশ সেবা নয় বিষয়-সম্পদের কামনা,
জেনো, দেশ সেবা নয় লোভ, বাসনার নিমজ্জনা।
দেশ সেবা — নিঃস্বার্থ দান, স্বার্থহীন আত্মসমর্পণ,
দেশ সেবা — গর্বহীন নতশিরে মাতৃভূমির চরণে নিবেদন।

(৩)
যদি দেশ সেবা হয়ে দাঁড়ায় জাতপাতের রক্তাক্ত বিভাজন,
যদি সে হয় রঙিন বিজ্ঞাপনে বিক্রি করা মোহজাল,
যদি দেশ সেবা হয় জৌলুসের প্রদর্শনী আর পদসঞ্চালন,
অথবা দোষ ঢেকে অপরের প্রতি অঙ্গুলি হেলানো — তবে সে দেশ সেবা নয়, কেবল ছদ্মবেশী অভিনয়।

(৪)
দেশ সেবা প্রায় জ্যাক আর জিলের ছলচাতুরী,
এক বালতিতে ফুঁসতে থাকা শোক তাড়ানোর হাস্যকর প্রতিশ্রুতি।
জাতপাতের ইন্ধনে পুলোওমা-পহেলগাঁওয়ে বয়ে যায় হত্যার ঝড়,
আর মোসাহেব ব্যর্থতাকে আড়াল করে, সাহেবের পিছু ছোটে নিরন্তর।

(৫)
দেশ সেবা যদি হয় বাহাদুরির নামে শ্লাঘা প্রদর্শন,
তখন হল্লা রাজার বাত্তেলার চমকে কম্পিত হয় মর্ত্যভূমি,
ভূমিকম্পের পর ভূমিকম্প, কেঁপে ওঠে আহত মেদিনী,
আর মাটির তলে চাপা পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাত্যহিক জীবনের চাওয়া পাওয়ার আর্তনাদ।

(৬)
মহৎ উদ্যোগের মুখোশ খুলে যায় – শুরু হয় হিংসার অগ্নুৎপাত,
রক্তাভ লাভা গড়িয়ে যায়, দগ্ধ করে চিরচেনা প্রাণময় পথঘাট।
দেশ সেবা হৃদয় কম্পায়, জনজীবন হয়ে যায় কয়লা,
দেশ সেবা দগ্ধ হাড়গোড় ধোয়া-মোছার ছুতোয় দৌড় দেয় মন্দির দর্শনে অবিরত।

(৭)
বৃদ্ধ বয়স নির্দেশ দেয় জীবনের সঞ্চিত অভিজ্ঞতা জানাতে :
দুর্বল হাতে ধরা তরবারি রূপ নেয় কলমে,
যে তরবারি শিলালিপিতে খোদাই করে —
"অহিংসা পরম ধর্ম",
সঞ্চয় রূপ নেয় বহু আকাঙ্ক্ষিত শান্তির বাণীতে।

(৮)
নিবেদন তাই —
জাতপাতের হিংসা পেরিয়ে, অহংকারের মায়া ছাড়িয়ে,
সুধীজনের কাছে বিনীত আহ্বান :
এসো, দেশ সেবার পবিত্র মন্ত্রে সত্যের দীপ্তিতে জাগো, এক আধারে একাকার হও।
অশোক-চন্ডাশোক-ধর্মাশোক তো তোমারই রূপান্তর।।
—-© লেখাটি সংগৃহীত ✍️ ২৮/০৪/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#দেশসেবা #ছদ্মবেশীঅভিনয়
ারি


#সবিতাEunoiaworldviews

ঝন্টু আলি শেখ স্মরণে 💐 🙏আলোর পথে: গুরু-তত্ত্ব থেকে রাজনীতির মুখোশ উৎঘাটন************************************************...
27/04/2025

ঝন্টু আলি শেখ স্মরণে 💐 🙏

আলোর পথে: গুরু-তত্ত্ব থেকে রাজনীতির মুখোশ উৎঘাটন
************************************************
ভূমিকা

আজকের সময়ে 'আলো' শব্দটি কত সহজে উচ্চারিত হয় — অথচ তার প্রকৃত অর্থ, তার পথের প্রকৃত সৌন্দর্য আর কঠিনতা কতজন উপলব্ধি করি? গুরু, যিনি অন্ধকার থেকে আলোর দিকে নিয়ে যান, সেই গুরু-তত্ত্ব আজও আমাদের জীবনে একই রকম প্রাসঙ্গিক। কিন্তু আমরা কি সত্যিই সেই আলোকময় পথের অনুসারী? না কি অন্ধকারকে আলোর মুখোশ পরিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছি?

এই লেখাটি সেই প্রশ্নেরই এক অন্তরযাত্রা — যেখানে গুরুতত্ত্বের আলো থেকে শুরু করে, মহাভারতের ইতিহাসের আয়নায় আজকের রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার অন্তর্দর্শন করা হয়েছে। এখানে অন্তর্দশনে প্রশ্ন উঠেছে, অনুসন্ধান হয়েছে, এবং চেতনার প্রদীপ জ্বালানোর এক মৌন প্রয়াস করা হয়েছে।

আসুন, আমরা সবাই একবার থেমে, ফিরে তাকাই — এই 'আলোর পথ'-এর দিকে, আর নিজেদের জিজ্ঞাসা করি: আমরা সত্যিই কোথায় এগোচ্ছি?

তস্মঈ শ্রী গুরুবে নমঃ

প্রার্থনা গুরু ব্রহ্মা, গুরু বিষ্ণু, গুরু দেব মহেশ্বর, গুরু রেব পরমব্রহ্ম। তস্মঈ শ্রী গুরুবে নমঃ🔊

গুরু-তত্ত্ব 'গুরু' শব্দটি 'গু' ও 'রু' — এই দুটি সংস্কৃত শব্দ দ্বারা গঠিত। 'গু' মানে অন্ধকার বা অজ্ঞতা, আর 'রু' মানে অন্ধকার দূরীভূতকারী। অতএব, যিনি অন্ধকার থেকে আলোয় নিয়ে যান, তিনিই গুরু। তিনি মহর্ষি, তিনি ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর — তিনিই পরমব্রহ্ম।

আলো ও প্রশ্ন : এই আলোর পথ কি হিংসায় আবৃত? শান্ত ও সমাহিত আলোর পথে কি মানুষের রক্ত চঞ্চল হয়? এই আলোর পথে কি গভীর চিন্তা ও মনোযোগে নিমগ্ন থাকা সম্ভব? এই আলোর পথে কি কোনো কিছু নির্দিষ্ট স্থানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়ে থাকে?

পরমব্রহ্মের পথে: পরমব্রহ্ম — যিনি নিরাকার এবং সাকার, সর্বত্র বিদ্যমান, সমস্ত জীবের অন্তরে অবস্থান করেন। মানুষ তাঁর কাছে প্রার্থনা করে — হে প্রভু, আমাদের সর্বপ্রকার তামসিকতা, অজ্ঞতা, লোভ, কামনা, হিংসা, বিদ্বেষ ও অবিদ্যার অন্ধকার থেকে মুক্তি দাও। আমাদের অন্ধকার দূর করে চেতনার আলোয় রাখো।

ধর্মের অপব্যবহার: হে শাসকগণ, কখনো কি মন্দিরে গিয়ে দেখেছো — পরমব্রহ্মার জ্ঞানের শতদল পাদপীঠের দিকে তাকিয়ে কৃষ্ণ ও অর্জুনের কথোপকথন: স্বধর্ম রক্ষার্থে অস্ত্র ধারণ এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণ! কিন্তু সেই মহাভারতে — যুদ্ধ হয়েছিল কেবল সম্পদ ও সিংহাসনের বিভাজন নিয়ে, জাতপাত বা সাধারণ মানুষের জাতিগত বিবাদ ছিল না। আজকের রাজনীতিতে কি সেই চিত্র বদলেছে?

আজকের বিবাদ: আজ জাতপাত, ধর্মবিদ্বেষ, দাঙ্গার নামে সাধারণ মানুষকে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এই যুদ্ধের ফলভাগ — সম্পদ ও সিংহাসন — কে পায়? সাধারণ মানুষ না রাজনৈতিক ক্ষমতাবানরা?

ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি: মহাভারতের আমলে — সাধারণ মানুষ, উচ্চজাত-নিম্নজাত নির্বিশেষে — দুই রাজবংশের পক্ষে বিভক্ত হয়েছিল। কৌরব-পান্ডবদের লড়াইয়ে রাজারা যুদ্ধ করেছিল সিংহাসনের জন্য, আর উলুখাগড়ারাও প্রাণ দিয়েছিল। ধর্মযুদ্ধের শেষে ফলপ্রাপ্তি ছিল — রাজনীতির সিংহাসন!

আজকের ধর্মযুদ্ধ :আজ এই তথাকথিত ধর্মযুদ্ধ কিসের জন্য? সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য? না কি রাজনৈতিক সিংহাসন লাভের জন্য নিশ্চিন্ত হবার আশায়?

চূড়ান্ত উপলব্ধি: এই আলোর পথে কি সত্যিই কিছু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? নাকি আজও অন্ধকারের অন্য নামে চলছে বিভ্রান্তি ও লোভের উৎসব?
—© লেখাটি সংগৃহীত ✍️ ২৭/০৪/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#রাজনৈতিকসিংহাসন #ধর্মযুদ্ধ
#জাতপাতধর্মবিদ্বেষদাঙ্গা #মহাভারত
#সবিতাEunoiaworldviews

#পহেলগাঁও #ধর্মান্ধতা #আলোরপথকোনদিকে

"তারপর?"**********তাহলে?মুর্শিদাবাদ ও মালদায়বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।কাশ্মীরেও তারাই,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খবর।তাহলে?সীমান্তে ...
25/04/2025

"তারপর?"
**********
তাহলে?
মুর্শিদাবাদ ও মালদায়
বহিরাগত সন্ত্রাসীরা।
কাশ্মীরেও তারাই,
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের খবর।

তাহলে?
সীমান্তে কারা পাহারা দিচ্ছে?
কি কাজ তারা করছে?
অবাধেই সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ছে?
না, অবাধেই তাদের আসতে দেওয়া হচ্ছে?

তারপরের কাজটা কী?
ওরা চড়াও হয়েছিল মুর্শিদাবাদে, মালদায়, কাশ্মীরে —
কোন জাতের উপর এটা খোঁজ করা?

তারপর?
শবাধার এলে পরে
দেশপ্রেমে গোত্তা খাওয়ানো মস্তকে
পট্টি বেঁধে
হুমড়ি খেয়ে পড়ে — চিৎকার!
“হিন্দু মরেছে”, “হিন্দুকে মেরেছে”,
“হিন্দু বলেই মেরেছে!”
মুহুর্তে অতি তৎপরতা সাথে সময় নষ্ট না করে —
শোকগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে
ফটোগ্রাফারদের সাহায্য করা।

তারপর?
কোটালের কাজ!
ধর্মে আড়াআড়ি বিভাজন,
বিশ্রামগৃহে গিয়ে আলাপন।
আঁখি মুদে মদিরা ভক্ষণ।
স্বপ্নে ধর্মের সিংহাসনে আরোহণ।
কি জ্বালাতন মশার দংশন!

অবোধ মশা!
ধার্মিকের রক্ত চোষা?
ওহে সীমান্তরক্ষী —
কোথা থেকে আসছে এরা?
ধর্ম না দেখে
রক্তের নেশায় শরীরে বসা?

হিন্দু চিনে নিশ্চিত এতো আক্রমণাত্মক মশা!
বৈষ্ণবঘাটা, পাটুলিতে —
বড্ড উৎপাৎ!
ওহে পাবলিক —
“হিন্দু খাতরে মে হ্যাঁয়!”

তারপর?
হিন্দুর ব্লাড টেস্ট!
বহু যুগের পর এই যুগে বিশেষ আবিষ্কার —
পাওয়া গেছে সেক্যুলার সাংস্কৃতিক ব্লাড !
ঘোষণা হয়ে গেছে — ব্লাডে আছে বিশেষ উপাদান:

"সর্ব পন্থা সম্ভব"

হ্যাঁ —
সব পথই সম্ভব
সব উপায়েই লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব
— যদি লক্ষ্য হয় সঠিক, সৎ উদ্দেশ্যমূলক, নির্ভেজাল।

কিন্তু কী ! লক্ষ্য করেছো কী ‘সর্ব ধর্ম সম্ভব’ বাক্যটি পাল্টে গেছে!

সর্ব ধর্ম সম্ভব —- সর্ব ধর্ম সম্ভব এই বাক্যাংশটি সম্ভবত মহাত্মা গান্ধী বলেছিলেন। হিন্দু ধর্মগ্রন্থে এর উল্লেখ নেই। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং স্বামী বিবেকানন্দও এটি উল্লেখ করেছেন দৃঢ়ভাবে। এই বাক্যাংশটি বিভিন্ন ধর্মের পথেরও একটি লক্ষণ।

‘ধর্ম’ শব্দটি সরিয়ে দিয়ে ‘পন্থা’ শব্দটি এলো কেন? হিন্দু দর্শনে মানুষের কৌতূহল বা জিজ্ঞাসা এই বৈশিষ্ট্যকে (ধর্ম) বলা হয়েছে– চিরন্তন, অসীম সর্বব্যাপি সর্বভূতময়— এটা কোনো মতেই কোনো পন্থা নয়, পন্থা হতেই পারে না, এটি ‘ধর্ম’ সুনির্দিষ্ট চিরস্থায়ী বৈশিষ্ট্য – সব পথ এসে এই বৈশিষ্ট্যকে নিয়ে – মানবসত্তায় মিলিত হয়েছে। মানবসত্তা সর্বব্যাপি সর্বভূতস্থ।

তারপর?
বিপথে চালিত লক্ষ্য হলে – বৈশিষ্ট্য পরিত্যাগ করে ওটাকে পন্থা বানিয়ে নির্বিচারে ব্যবহার করা যেতে পারে!
হৃদয়বিদারক তার মূল্য
নিরপরাধ মানুষের জন্য……

দুই নবদম্পতির একটি সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা হওয়ার কথা ছিল।

তারা জানতই না কি অভিজ্ঞতা তাদের জন্য অপেক্ষা করছে, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের সাথে তাদের সাক্ষাতে ভাবাই যায় না এমন অকল্পনীয় মূল্য দিতে হবে। দুই নবদম্পতির এক দম্পতি পৌঁছে গেছিল টাট্টু ঘোড়ায় চলার পথে যেখানে তারা আগে কখনও যায়নি। দ্বিতীয় দম্পতি একটি মন্দিরে যেখানে জীবন তাদের ঠিক সময়ে খুঁজে পেয়েছিল।
—© শংকর ভট্টাচার্য্য ✍️ ২৫/০৪/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#হৃদয়বিদারকমূল্য
#সবিতাEunoiaworldviews
#শ্রীরামকৃষ্ণ #স্বামীবিবেকানন্দ #সর্বধর্মসম্ভব
#সর্বপন্থাসম্ভবকথাটাবিকৃত

ঘরের শত্রু, হৃদয়ের অন্তঃশত্রু*******************************কেউ কী বলতে পারো লোভ লালসা হিংসার সূতিকাগার কোথায়! মহর্ষিরা...
24/04/2025

ঘরের শত্রু, হৃদয়ের অন্তঃশত্রু
*******************************
কেউ কী বলতে পারো লোভ লালসা হিংসার সূতিকাগার কোথায়! মহর্ষিরা বলেছেন —
ঘরের শত্রু ষড়রিপু বিনাশকরো।
রিপু গুলো কি চিনতে পারো,
না, চেনার ভান করো?

সেক্যুলার, নিরপেক্ষতা,
বিপরীতে জাতপাত হিংসা বিদ্বেষ অস্পৃশ্যতা,
এই সব নিয়ে যত কচকচিই করো —
নিজের ভেতরে পচনশীল বস্তু গুলো আগে ভালো
করে দেখো,
রিপু গুলো কি চিনতে পারো,
না, চেনার ভান করো?
লোভ লালসা হিংসার সূতিকাগার কোথায় – কিছু
সন্ধান পেলে?

তুমি কি বেশি চিন্তিত বস্তুবাদ, ভাববাদ এই গুলো
নিয়ে, এগুলো ব্যস্ত জগতের বহির্বিভাগ নিয়ে,
অন্তর জগত যদি হয়ে থাকে ক্লেদাত্ত,
খুঁজে বার করতে পারবে কি বাসনা লোভ লালসা
হিংসার সূতিকাগার কোথায়?

ঘরের শত্রু, হৃদয়ের অন্তঃশত্রু — কেউ কি সত্যিই
সে শত্রুদের দমন করতে চায়?

মা ভবতারিণীর চরণে অর্ঘ্য রেখে যাঁরা
আত্মশুদ্ধির সাধনা করেছিলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ,
সারদামা, বিবেকানন্দ—তাঁরা কখনো সমাজকে
শুধু বাইরের আড়ম্বরে রূপান্তর করতে বলেননি।
তাঁরা বলেছিলেন—“আগে নিজেকে শুদ্ধ করো,
মানুষের ভিতরের রিপুগুলোকে দমন করো। সৎ
থাকো, করুণা শেখো, জ্ঞান অর্জন করো।”

কিন্তু আজ? স্বাধীনতার পরে ভারতবর্ষে গড়ে
উঠেছে রাজনৈতিক নটরাজ্যের এক বিশাল
মঞ্চ—
অগণিত সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি—
বক্তৃতা আর ভাষণের ঝাঁজে ছেয়ে গেছে আকাশ বাতাস।
কিন্তু সেই ঝাঁঝ কি কোথাও আত্মসন্ধান নামক শব্দটির ধ্বনি তোলে? প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়?

ষড়রিপুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক কোথায়?
কে বলছে লোভ দমন করো?
কে বলছে মোহের আবরণ ছিঁড়ে ফেলো?
কেবল ‘ধর্ম’ বলে মানুষের মধ্যে জাতপাতের, হিংসার, বিভেদের বিষ ছড়িয়ে দিচ্ছে —
এ কেমন ধর্ম? এ কেমন রাজনীতি?

ধর্মের নামে বাণিজ্য, জাতের নামে বিভাজন—
আর কিছু কিছু মুখোশধারী পাণ্ডিত্য দেখিয়ে সভায় সভায় বলে, “আমরা জাতি গঠনে কাজ করছি।”

কিন্তু দেশের ভিতরে যদি রিপুগুলো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে,
তবে বাইরে যতই উন্নয়নের ঢাক বাজাও—
আসলে ভিতরটা পচে যাচ্ছে।

বিবেকানন্দ বলেছিলেন— “ধর্ম যদি তোমাকে দুর্বল করে তোলে, তবে সে ধর্ম নয়।”
আজ সেই ধর্মই শুধু দুর্বলতা নয়, বরং আরো বিভেদের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

তাই বলি—
“ঘরের শত্রু ষড়রিপু বিনাশ করো।
লালসা, হিংসা, মোহ, লোভ— এসবকে চেনো, মুখোশ ছিঁড়ে ফেলে সত্যের কাছে আত্মসমর্পণ করো।” এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য মানুষের ধর্ম।

বাইরের চমক নয়,
ভেতরের দীপ্তি চাই।
সেই দীপ্তি জাগে
যখন অন্তর থেকে পঙ্ক তুলে সরিয়ে
মানুষ নিজের মাঝে মানুষকে খোঁজে।

ষড়রিপুর চাহিদাগুলো সদা খেলা করে, শরীর মনে ইন্দ্রিয়গুলোয় তাকে কি অস্বীকার করা যায়?

কৌতূহল বা জিজ্ঞাসা এই বৈশিষ্ট্য বর্জন করে কোনো ধর্মের কোনো ধর্মান্ধ অনুগামী বা কোনো আদর্শের অন্ধ অনুসরণকারী হতে পারে কি মানুষের জন্য হিতকারী? কে জন্ম দেয়, জন্ম কি করে হয় সন্ত্রাসীর?

কৌতূহল বা জিজ্ঞাসা মানুষকে নিয়ে এসেছে ষড়রিপুর প্রাঙ্গণে—
কৌতূহল বা জিজ্ঞাসাই এখানে শক্তি —
ষড়রিপুর থেকে মুক্ত হতে
শ্রীরামকৃষ–সারদামা–বিবেকানন্দ ভাবধারাকে
সকলে করুক শিক্ষার অস্ত্র, সেটা হয়েছে কি?
জাতপাতের বন্ধন ছিলনা তাদের কারো চিন্তায়।

স্বামী বিবেকানন্দ বলতেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা এবং পাশ্চাত্যের অগ্রগতির সঙ্গে ভারতের আধ্যাত্মিক সমন্বয়ে ঘটানো প্রয়োজন।

ভূল হবে কি বললে — বর্তমানে,
আধ্যাত্মিকতা নিমজ্জিত জালিয়াতির বাতাবরণে,
অন্তঃসারশূন্য রাজনৈতিক চর্চা চালাতে রামকৃষ্ণ
বিবেকানন্দ এখন হাতের পুতুল, এমনকি মা
ভবতারিণী ও শ্রীরামকৃষ্ণকে নিয়ে সনাতনী
নামধারীরা ষড়রিপুর খোঁজ করা দূরের কথা, জাতপাত হিংসার সূতিকাগার রক্ষায় নেমে
পড়েছে! ইদানিং আমদানি হয়েছে সনাতনী শব্দটি, বহুলাংশে ব্যবহৃত হচ্ছে জাতপাত বিদ্বেষের সমর্থক হওয়ার প্রয়োজনে !!
—© লেখাটি সংগৃহীত ✍️ ২৪/০৪/২৫
ছবি সংগৃহীত। ছবি স্বত্ব সংরক্ষিত নির্মাতার।
#ঘরেরশত্রুহৃদয়েরঅন্তঃশত্রু #ষড়রিপু
#সবিতাEunoiaworldviews

Address

Lalpur, Chakda
West Bengal
741222

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sri Ramkrishna:a GREAT Teacher posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sri Ramkrishna:a GREAT Teacher:

Share

Knowledge is Infinite.

Know your Ramkrishna.