
07/10/2025
সোনা পথে বসাতে পারে...... 🙆♀️💫🪙
একটা বাণী মার্কেটে ছড়ানো হলো যে, ব্যাংকে টাকা না রেখে সোনা কিনবেন। ব্যাংকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার চান্স আছে কিন্তু সোনার দাম বাড়বেই! হলও তাই। ব্যাংক থেকে মানুষ টাকা তুলে সোনা কেনা শুরু করলেন। ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে পড়ে গেল। আর সোনার দাম আকাশচুম্বি হয়ে গেল। একটা সময় পর মানুষের কাছে সোনা থাকবে কিন্তু মুদ্রাস্ফীতির কারণে পর্যাপ্ত টাকা থাকবে না। সোনা দিয়ে তো খাবার বা অন্যান্য সেবা কেনা যাবে না৷ জমানো সোনাকে তখন বিক্রি করতে হবে। সবাই যখন বিক্রি করতে যাবে তখন অর্থনৈতিক বাজার ব্যবস্থার ফর্মুলা সক্রিয় হয়ে যাবে। আমরা জানি চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি হলে পণ্যের দাম কমে যায়। এর মানে ২ লাখ টাকার সোনা আপনার কেনা দামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করতে হতে পারে। সামনে দাম আরও কমে যাবে এই দুশ্চিন্তায় মানুষ আরো বেশি দ্রুত বিক্রি করতে উদগ্রীব হবেন। এতে বাজারে যোগান আরো বাড়বে। ফলে দাম আরও কমে যাবে। আপনাকে লস করতে বাধ্য করা হবে। বিশ্ব অর্থনৈতিক জায়ান্টদের এটাই দীর্ঘ মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান। তাদের ল্যাবে আমরা শুধু গিনিপিগ মাত্র।
অনিয়ন্ত্রিত অসম বাজার ব্যবস্থাপনায় ধ্বসের পথে বিশ্ব অর্থনীতি। এখানে টার্গেট মধ্যবিত্তরা। যারা ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয় করতে অভ্যস্ত। সুকৌশলে এদেরকে নিঃস্ব করে দিয়েই বিত্তশালীরা আরও বিত্তবান হবেন গরিবরা পথে বসে যাবেন। দাসত্ব মেনে নিতে বাধ্য করা হবে।
এটা একটা অনুমান নির্ভর স্ট্যাটাস দিলাম। আমার ধারণা বা পর্যবেক্ষণ ভুলও হতে পারে। তবে সোনা ক্রয় বন্ধ করতে হবে! এটা একটা স্ক্যাম। সোনা কিনলে আপনার আমার টাকা বাক্সবন্দী হয়ে থাকছে যেটা অর্থনৈতিক কোন কাজে ব্যবহার হচ্ছে না। এভাবে একটা দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি কখনই সম্ভব নয়। টাকাকে অবশ্যই বাই রোটেশন মার্কেটে ঘুরতে হবে। নাহলে অর্থনীতি থমকে যাবে।
আমরা সবাই ব্যাংকের প্রতি আস্থাশীল হলে ব্যাংকগুলো আরো অনেক বেশি অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সম্পন্ন করতে পারবে। এক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্ব অনেক বেশি। ব্যাংকের হয়রানি বা আমানত হারিয়ে যাওয়ার ভয় মানুষকে আজ সোনার পথে নিয়ে এসেছে। ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার দায়-দায়িত্ব সরকারের এমন একটা পলিসি প্রণয়ন করতে পারলে মানুষ বিকল্প পদ্ধতিতে টাকা সংরক্ষণ বাদ দেবে। এক্ষেত্রে সরকারকে দায়িত্বশীল ও জনবান্ধব হওয়ার বিকল্প নেই।
যাইহোক সোনা বাদ দেন। এজন্য আমাদের নারী সমাজকে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখতে হবে। কেউ পাত্তা না দিলে যেমন সহজেই ঘৃণা করতে পারেন ঠিক সেভাবে সোনা এখন আপনাদেরকে পাত্তা দিচ্ছে না। দামটা স্থির নয়। ধরতে গেলেই লাফিয়ে বাড়ছে। এটা ঘৃণা করার মত যথেষ্ট অজুহাত। মনে প্রানে ঘৃণা করুন।
বিঃদ্রঃ মুদ্রামান বজায় রাখতে যেকোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মজুদ আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক সম্পদ হিসেবে সিন্দুকে মজুদ এক জিনিস নয়। এসব হিসাব আমরা অনেকেই গড়মিল করছি। অনুমান করা হচ্ছে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ৪০% পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। গুগল করতে পারেন।