Dear Sparrow

Dear Sparrow আমার আকাশ মেঘে কালো, আড়ালে লুকিয়ে হাসে আলো!🤞😔🫣

10/08/2025

#তুমি_কি_আমার_হবে_শ্যামকালোবতী
#লেখিকা_মীম_হাওলাদার
#পর্বঃ১৯

"মীম চায় না ঐ লোকের সামনে পরতে।আনিশার কথায় মীমও খেয়াল করতেই, চোখ যেনো কপালে সত্যিই তো আহনাফ ভাইয়া ও রাইফ ভাইয়া, একসাথে দাঁড়িয়ে "আছে। আচ্ছা ভাইয়ারা এখানে কি করছে-আর বাইকগুলো কাদের রে আনি?"

"আনিশা মীমের হাত ধরে বলে চল আগে তো তাদের সামনে যাই।
গেইটের কাছে এসেই আনিশা জিজ্ঞেস করে আপনারা এখানে দাড়িয়ে আছেন কেনো রাইফের উদ্দেশ্যে কথা টা বলতেই ,
"আহনাফ বলে আনি দেখতো বাইকটা কেমন হয়েছে মাএই কিনে ভাবলাম একটু ঘুরে আসি।"

"আনিশা খুশি হয় ভাইয়া সত্যি বলছো তুমি বাইক কিনেছ? তাহলে তো ভালোই বাইকে ঘুরতে পারবো। মীম নিরব দর্শক এই লোকের সামনে সে কথা বলতেই নারাজ!

তবুও নিজের ভাইয়ের উদ্দেশ্যে বলে ভাইয়া তুমিও বাইক কিনছ? ফুপাই রাগ করবে তো! তাছাড়া তোমার তো হবু বউ আছে, তবে বাইক কেন কিনলা।

মীম আরো বলে,
«ওনার না হয় বউ নেই সে কিনতেই পারে। তুমি কি কাজ করলা? আমার বান্ধবীর সতিনকে নিয়ে চলে আসলা। মীমের কথায় উপস্থিত তিন জন অবাক চোখে তাকিয়ে, মীমের দিকে।"

"-মীম তাদের উদ্দেশ্য করে বলে এভাবে তাকানোর কি আছে? -আমি শুনেছি ছেলেরা বিয়ের আগে বাইক কিনলে,
"প্রথম বউ আর বিয়ের পর বাইক কিনলে ঐটা বউয়ের সতিন" জানটুসি রে ভাইয়া তোর জন্য সতিন নিয়ে আসছে!এখন ভাইয়া তোর হাত না ধরে, বাইকের পেছনে তোকে রেখে সামনে বাইকের দুই হাত শক্ত করে ধরে রাখবে। তোর কপাল পুরনো।"

"রাইফ যেনো আকাশ থেকে পরলো।

এদিকে,
মীমের কথায় আহনাফ মনে মনে বলে এই মেয়ে তো ফাজিলের হাড্ডি। কিভাবে আমার বোনটাকে আবলতাবল বুঝাচ্ছে? ম্যাম যদি জানতে পারে আমি তার ভবিষ্যৎ জামাই হতে চাচ্ছি ভাবতেই শুকনো ঢোক গিলে।

অন্যদিকে,
আনিশা মীমের কথায় প্রায় কাঁদো কাঁদো মীম যেভাবে বিশ্লেষন দিয়েছে যেনো এটাই সত্যি।

আপনারাই বলুন যুক্তি তো আছেই যা সত্যি তাই বলছি এখানে এমন ভাব ধরার কি আছে। পাঠিকারা আপনারাও ভেবে দেখুন বিষয়টা সত্যি না মিথ্যা।

"আনিশার কাছে মীমের কথা যুক্তিযুক্ত বলেই মনে হলো এখন তার ভিষণ মন খারাপ লাগছে।"

--""রাইফ রাগি চোখে একবার আহনাফের দিকে তাকিয়ে মীমকে বলে বোন তোর মাথায় এতো আজগুবি চিন্তা কই থেকে আসে? তুই তো আমার সংসার পাতার আগেই ভেঙ্গে দিবি মনে হচ্ছে।"

"দেখো ভাইয়া তোমার ঐ বজ্জাত বন্ধুর কথা শুনে তুমি বাইক কিনছো? এটাই তোমার আপরাধ।সে কিনতেই পারে সে তো এখনো সিঙ্গেল কিন্তু তুমি,।

""--আচ্ছা সব কথা বাদ, কিনে ফেলছো? এবার তোমার প্রেয়সীকে নিয়ে ঘুরে আসো। আমি বাসায় চলে যাচ্ছি।

#আনি যা মন ভরে ঘুরে আয় আমার ভাইকে আজকের জন্য তোকে দিলাম।

আনিশা আহনাফের দিকে একবার তাকিয়ে মীমের উদ্দেশ্যে বলে,
" তুইও সাথে চল ভালো লাগবে আমার।"

"তুই তোর জামাইয়ের সাথে যাবি আমি কেন তোর সাথে যাবো হুমম।"

" তাতে কি হইছে সবাই মিলে গেলে ভালো লাগবে প্লিজ মীম চল।"

"আচ্ছা যাবো কিন্তু তুই তোর জামাইয়ের সাথে যাবি আমি কই বসে যাবো?

" কেন তুই আমার ভাইয়ের সাথে যাবি কথাটা বলতেই মীম চিৎকার করে বলে,
"কিহ্হহহ"

--"" রাইফ যেনো হতাশ কি হচ্ছে এসব? আহনাফের জোড়াজোড়িতে আজকেই বাইক কিনতে হয়েছে,আবার কলেজ গেইট' নিয়ে আসলো,,,
এদিকে বোন যে ঘাড়ত্যাড়া এরে কিভাবে সামলাবে সে?😕

আনিশা একটু ভাব নিয়ে বলে,
"জানু তুই না একটু আগেই আমাকে বলছিলি চল জানটুসি দু'জন দুই বাইকার নিয়ে লং ড্রাইভে যায়, তো এখন কেন এমন করছিস?

আনিশার কথায় মীমের ইচ্ছে করছে মাটির নিচে লুকাতে,এই মেয়ে এভাবে ফাসালো আমায়!

আরেক দিকে আহনাফ চমকে রাইফের দিকে তাকালে রাইফ ইনোসেন্ট ফেইস করে বুঝায় আমি কিছু জানি না!

আনির বাচ্চি আমি কি জানতাম নাকি? যে এখানে তোর ভাই আছে! তাহলে জীবনেও বলতাম না অন্য কেও হলে? সত্যি চলে যেতাম!

মীমের ত্যাড়াত্যাড়া কথায় আহনাফের যেনো রাগ মাথা উঠার উপক্রম,

মীম আর একটা কথা যদি বলতে শুনি, এসব কি হচ্ছে? বড়দের সাথে কিভাবে কথা বলতে হয়? তা কি তোর অজানা? একদম ভালো লাগছে না তোদের এসব। ভালো মেয়ের মতো আহনাফের সাথে আয় বাড়তি কোনো কথা আমি শুনতে চাই না। " রাইফ এক প্রকার বাধ্য হয়েই কথাগুলো বলে যাতে তার বোন চুপ হয়ে যায়। এই আহনাফের জন্য আমার বোন কবে জেনো ভুল বুঝে ফেলে?"

হঠাৎ ভাইয়ের এমন ব্যবহারে চুপসে যায় মীম,চোখের কোণে ভির করেছে সমুদ্র। পলক ফেললেই যেনো সর্বনাশ হয়ে যাবে।

আহনাফ মীমের দিকে তাকাতেই চোখের কোণে পানি, দেখে রাগে ফেটে পরে চোখ লাল করে রাইফের দিকে তাকালে, রাইফও চোখ লাল করে ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখিখে আনিশাকে বাইকে উঠতে বলে, নিজেও বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দেয় মূহুর্তেই চোখের আড়াল হয়ে যায়।

মীমের ইচ্ছে করছে কান্না করতে তার নিজেকে খুব অসহায় লাগছে,
"ভাইয়া আমাকে এভাবে বলতে পারলো?ভেবেই আরো কান্না আসছে।হঠাৎ গালে ঠান্ডা স্পর্শ লাগতেই চমকে উঠে মীম শুনতে পায় এক পুরুষের কন্ঠ,

ম্যাম এভাবে কাঁদছেন কেন? আপনাকে এভাবে মানায় না! আপনার নাকের আগার রাগটা খুব মানায় আপনাকে। আপনি হাসলেও ভালো লাগে।

মীম যেনো স্তব্ধ হয়ে যায় তার শরীর যেনো কাঁপছে নিশ্বাস আটকে যাওয়ার উপক্রম,

~~~~~~~~~~

আহনাফঃ এভাবে কাপছো কেন? শরীর খারাপ লাগছে বলো আমাকে!

মীমঃ......................

আহনাফঃ শান্ত হও রাইফ রাগ করে বলে নি তোমাকে চুপ করানোর জন্য যাতে তুমি যেতে রাজি হয়ে যাও।

মীম কি বলবে? আর এই বেডা কেন এতো সুন্দর করে ওর সাথে কথা বলছে কাহিনী কি?

"খুব যত্ন সহকারে মীমের চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে, বাইকের কাছে যেতে বললে মীমও চুপচাপ হাঁটা শুরু করে,,,, ,
কেউ একজন খুব খুশি মনে বাইকে উঠে বসতেই মীমকে ইশারা করে বাইকে বসতে,,,,,,

এক আকাশ অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও মীম এগিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে।

বেচারি মীম আছে তার চিন্তায় আর সে বলছে বাইকে বসতে বাহ্ কি সুন্দর কথা,,,,

হেলমেন পড়তে পড়তে বলে দাঁড়িয়ে আছো কেন? উঠে বসো। মীম চিন্তায় পড়ে যায় কিভাবে যে সে বসবে। আর যদি বাইকে থেকে পরে যাই তাহলে আল্লাহ সহায় হইও বলেই অনেক কষ্টে বাইকে উঠে বসে। আহনাফের মুখে তৃপ্তিকর হাসি যা মীমের চোখের আড়ালেই রয়ে গেলো

ম্যাম আমাকে ধরে বসেন। আহনাফ কথাটা বলতেই মীম রেগে যায়,

মীমঃ জীবনেও না.......!

আহনাফঃপরে গেলে আমার দোষনা কিন্তু ?

মীমঃ আপনারিতো দোষ কেন আসাকে বাইকে উঠাতে রাজি হলেন? আরো বলে,
ভাইয়া আনিশা ওরা কাপল মানুষ যেতেই পারে সেখানে আমি কেন আপনার সাথে যাচ্ছি। আমি পরে যাই বা মরে যাই আপনাকে ভারতে হবে না আপনি চলুন।

আহনাফঃ একদম চুপ ধমক দিয়ে। কিছু বলি না বলে যা ইচ্ছে তাই করে যাবে বলে যাবে। তোমার সমস্যা কি এমন কর কেন সবসময়। এতো ত্যাড়ামি আমার পছন্দ না। ধরে বসো বলছি।

মীম ধমক শুনে কিছুটা ভয় পেতেই আহনাফের থেকে দূরত্ব রেখে তার কাধে হাত দিয়ে বসতেই যেন মীমের শরীয় কাঁপে উঠে।

আহনাফ বাইক চালু দিয়ে কিছুদূর যেতেই মীম খেয়াল করে হঠাৎ বাইক থেমে গেলো। কি হলো?কেন থামলে সে বুঝতে পারলো না?

এদিকে আহনাফের শরীরে কেমন যেনো এক অনুভূতি ছুঁয়ে গেলো।সে জোরে একটা নিশ্বাস ছেড়ে আবার বাইক স্টার্ট দেয়।

কয়েকটা বাইকে করে দুজন করে মানুষ যাচ্ছে সবার মাথায় হেলমেড। মীম হঠাৎ বলে উঠে,

আপনি কি আমাকে মারার প্লান করছেন নাকি? আমার ভবিষ্যৎ জামাই যাতে বিধবা হয়ে যায়! যদি এমনটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ বউকেও বিধবা বানিয়ে দিবো বলে দিলাম। "

হঠাৎ ব্রেক করায় তাল সামলাতে না পেরে শক্তপোক্ত দেহের সাথে ধাক্কা খেতেই মীমের হাতটি কাঁধ অতিক্রম করে আহনাফের বুকে সস্পর্শ হতেই পুরুষটির সর্বাঙ্গে কেঁপে উঠে। এক অন্যরকম অনুভূতি ছুঁয়ে গেলো যেনো জনম জনমের জন্য এই স্পর্শ।

এর মাঝেই মীম হাত সরিয়ে নেয়,
"এভাবে কেও ব্রেক করে যদি সত্যি পরে যেতাম আপনি তো মানুষ সুবিধার না? রাগিকন্ঠে বলে,

মীমের এমন কথায় ধ্যান ফিরে আহনাফের।
❝এই তুমি একটু আগে কিসব আজগুবি কথা বললে হুমমমম।আমি কে তোমাকে মারতে যাবো আর তোমার জামাই কেন বিধবা হবে।পুরুষ মানুষ বিধবা হয় কিভাবে? ❞

#চলবে

09/08/2025

#তুমি_কি_আমার_হবে_শ্যামকালোবতী
#লেখিকা_মীম_হাওলাদার
#পর্বঃ১৭

-"এতো আসলে নকলে কেন বলছিস যা বলতে এসেছিস বল আর না হলে চলে যা...।(আহনাফ)

-"এতো ব্যস্ত হওয়ার কিছুই হয়নি। এমনি তোমার সাথে কথা বলতে আসলাম। (আনিশা)

-"ভেতরে আয়। কি বলবি বল। (আহনাফ)

--"" আসলে কিছু জানার ছিল, তুমি রাগ না করলে বলতে পারি?

ছোট বোনের এমন কথায় অনেকটা অবাক হয়ে মনে মনে বলে কি জানতে এসেছে ও!
যদি মীমের বিষয় কিছু বলে তাহলে কি উত্তর দিব আমি?

--" কি বলবি? জলদি বলে যা এখান থেকে.....! (আহনাফ)

---"আসলে ভাইয়া তুমি মীমের সাথে এমন ব্যবস্থার কেন করলে মেয়েটা অনেক কষ্ট পেয়েছে। অর সাথে কেউ সহজে অভাবে বিহেভীয়ার করে না, আমিও না।

আনিশার কথায় একপ্রকার চমকে উঠে,
--" আহনাফ অবাক শুরে বলে,ওর কি এমন প্রোবলেম আমি কি ওর বিষয়ে জানতে পারি?

ভাইয়ের এমন প্রশ্নে কি উত্তর দিবে আনিশা? সে বিপাকে পরে যায় তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে বলে,

--" ও কষ্ট পায় এমন কোন কাজ কেউ করে না। যাতেও অনেক কষ্ট পায়।
একটু থেমে আবার বলে,

-"""নিজের গায়ের রং ফেলে আসা অতীত নিয়ে ও স্বাভাবিক নয়।
যতই স্বাভাবিক দেখা যাক না কেন ভেতরে ও ভেঙ্গে চুরে আছে ভাইয়া।
সবাই সবটাই বুঝতে পারলেও কেউ ওর ভেতরের কষ্ট বাইরে আনতে দেয় না।
সবসময় হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করে।

--"" তু......তুই কি,,,,,ই, কি....সব বলছিস? আ...মি বুঝতে পারছি না! অ......তীত মানে কিসের অতীত কার অতীত? আমাকে বল আনু চুপ করে থাকিস না।

আহনাফের আকুতি ভরা কন্ঠে যেনো আনিশা কিছু আচ্ করতে পারলো,,,,,

-"" আমি বলতে পারবো না তোমাকে। শুধু বলবো তুমি ওকে আঘাত দিয়ে কথা বলবে না। এমনিতেই বেশি কান্না করলে ওর শ্বাসকষ্ট হয় মাথা ব্যথা হয় অসুস্থ হয়ে পড়ে। তোমাকে ওর বিষয় ভাবতে হবে না।
আনিশার কথায় কি হলো কে জানে?আহনাফ রেগে একপ্রকার চিৎকার দিয়েই বলে উঠে,

-"আমি ভাবতে চাই, আমি জানতে চাই ওকে তুই আমাকে ভাবতে না বলার কে? আমি যা জানতে চাই শুধু এতটুকুই বল!

ভাইয়ের চিৎকারে যেনো আনিশা কেঁপে উঠলো,
ধূর কেন যে আসতে গেছিলাম এখানে এখন তো ফাইসা গেলাম মনে হয়। কথাগুলো মনে মনে বলতেই আবারো ভাইয়ের কন্ঠ শুনতে পায়!

-" কি বলছ তুমি ভাইয়া তুমি নিজে জানো। তুমি কি মীমকে পছন্দ করো? তো কি কারণে এতো রাগ বলো ভাইয়া..?

"আহনাফঃ কি বলবে বোনকে আহনাফ সে যে নিজেই জানে না!
"তুই আমার ছোট তাও বলছি সত্যি আমি নিজেও কিছু জানিনা শুধু জানি ওর জন্য আমার মাঝে কিছু একটা অনুভব করি।ওর গায়ের রং নিয়ে আমার কোন সমস্যা নেই, আমি যে ওকে চাই আনু।শ্যামবতী কি আমার হবে বলনা কিছু?

নিজের ভাইয়ের থেকে এমন কথা শুনে অবাক হয়ে তাকিয়ে বলে, সত্যি তুমি ওকে চাও! ভাইয়া ভেবে বলছো তো?(আনিশা)

"আহনাফঃ সত্যি চাই।

"আনিশাঃ ও কখনো মেনে নিবে না। আমি চিনি ওরে!

"আহনাফঃ কেন কি এমন কারণ আছে? ওর প্রোবলেম কি আমি জানতে চাই? তুই এখন তো বলতেই পারিস!

"আনিশাঃ আসনে ভাইয়া ও একজনকে ভালোবাসতো।

"আহনাফের বুকে যেনো কেও ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করলো। তবুও কষ্ট হলেও জিগ্যেস করে,,
-"" মানে এখনো ভালোবাসে অসহায় কন্ঠে সুধায়!"

-"" আগে আমার পুরো কথা শুনো, তারপর না হয় ভাববে, রাগ করবা নাকি প্রেম এখন একটু চুপ করো! কিছু বলবা না। একটু চুপ থাকো। তুমি প্রমিস করো মীমকে এ বিষয়ে কিছু বলবে না।

আহনাফঃ প্রমিস বলবো না কাওকে,,,,,!

অতীত,,,,,

--" দুবছরের সম্পর্ক ছিলো। মীম তার গায়ের রং কালো দেখে তেমন কারো সাথে মিশত না সবার থেকে দূরে দূরে থাকতো। এক প্রবাসীর সাথে ফেসবুকে যোগাযোগ হয়। । একটু একটু করে একটা সময় পর প্রেম তার পর ভালোবাসা। এসএসসি পরীক্ষার পর বিয়ের কথা জানাবে বাসায় ছেলেটি দেশে আসলে। সবকিছুই ঠিক কি ছিলো। দুজনের সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছিলো। পরীক্ষা শেষ হতেই ছেলের বাসা থেকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব আসে। দুপরিবার রাজি হয়ে যায়। কদিন মীম খুব খুশি সেদিন তার গায়ের রং নিয়ে কোন অভিযোগ ছিলো না। কিন্তু ভাগ্যের খেলা কেউ না জানে না। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর একদিন দেনমোহর নিয়ে কথা উঠে। সেদিন মেয়ের বাসা থেকে ছেলে যা দিতে পারবে তাই ধার্য্য করা হলো কিন্তু ছেলের বাড়ির লোক মীমের পরিবারের কাছে ঘরের ফার্নিচার, গহনা সাথে ইউরোপের ভিসা আবদার করেন। সেদিন মীম "বুঝতে পারে সে ভুল করেছে। এই মানুষটা মীমকে ভালোবাসতে পারেনা। যদি মীমকে ভালোবাসতো তাহলে তার পরিবারের কাছে শুধু মীমকে চাইতো, যৌতুক নয়। পরিবারকে জানিয়ে দেয় এই বিয়ে সে করবেনা। সেদিন থেকে মীম তার গায়ের রং কে অভিযোগ করে সাথে তার ফ্যামিলিকে ছেলের বাসা থেকে আর কোনা খবর আসে না।মীম খাওয়া -দাওয়া বন্ধ করে দেয়।সবার দেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়।
মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তার কিছুদিন পর, ওর বাবা মেয়ের এমন অবস্থা দেখে ফ্যামিলি ভিসা পাঠালে, মীম না করে দেয়। ও এদেশ "ছেড়ে কোথাও যাবে না! ওর ধারণা ও কালো ও বিদেশে গেলে যে কেও ওকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যাবে কিন্তু কেও ভালোবাসবেনা? যদি তাকে দেখে কেউ ভালোবাসে, যদি সত্যি শুধু কেউ মনে করে, মীমের চার হাত পা ছাড়া, দেহ ছাড়া আর কিছু নেই মীমের শুধু সে নিজেই আছে তার কোনো বিলাসিতা ধন-সম্পদ কিছু নেই, শুধু তার পরিবারের কাছে মীমকে চাইবে তাহলেই সে বিয়ে করবে। মীম তার পরিবারকে বিদেশ পাঠিয়ে দেয়।মীমকে পরে ঢাকা নিয়ে আসে। এখন ও ঢাকাতেই থাকে মাঝে মাঝে গ্রামে বেড়াতে যায়। সেই ঘটনার পর থেকেই ওর শরীরে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে যায়। মনে হলো তোমাকে জানানো দরকার তাই জানালাম। বাকিটা তোমার ইচ্ছে।মীম যতটা উপরে স্বাভাবিক তার থেকেও বেশি ভেতরে চাপা আর্তনাদ যা বাইরে প্রকাশ করে না.…!

আহনাফ এতক্ষণ একটা ঘোরের মধ্যে আটকে গেছিলো বোনের কথা গুলো যেনো তার হৃদয়ে ঝড় তুলছে। এইটুকু মেয়ের জীবনে এতোকিছু। তাও আবার কাওকে ভালোবাসতো কথাটা মনে হতেই রাগে চোখ লাল হয়ে যায়।

-" তুই এখন রুমে যা কাওকে বলার দরকার নেই এ বিষয়ে মীমকে ও না বুঝতে পারছিস?

আনিশা বুঝতে পারে কিছুটা ভাইয়ের মনের অবস্থা সে চলে যেতে চেয়ে ও আবার ফিরে তাকায়।

--""৷ ভাইয়া.….…

_" আহনাফ বোনের ডাকে দরজার দিকে তাকায় চোখ তার লাল হয়ে আছে।

"আনিশাঃ ভাইয়া তুমি কি পারবে? সুন্দর একটা জীবন মীমকে দিয়ে? ওর কারো ভালোবাসা পাওয়ার খুব দরকার! কারো যত্নের প্রয়োজন ওর জীবনে। তুমি কি ওর যত্নের অধিকারী হবে ভাইয়া?

আহনাফঃ চেষ্টা করবো বাকিটা উপরওয়ালার ইচ্ছে।

আনিশা ভাইয়ের কথায় খুশি হলো চুপ করে নিজের রুমে চলে আসে।

___"আহনাফ নিজের চুল টেনে ভাবতে থাকে কি করবে সে সবটা তো সহজ হবে না তাহলে কি রাইফের সাথে কথা বলে দেখবো?নাকি আরো কিছুটা সময় নিজেকে দিবো?কি করবো আমি কি করা উচিত? কিচ্ছু ভালো লাগে না। এই মেয়েকে আমি কিভাবে বুঝাবো দেখা হলেই তো অশান্ত হয়ে উঠে শান্ত ভাবে কি কথা শুনবে?

"শ্যামবতী তুমি কি আমার হবে?"""

ভাবতে ভাবতে ঘুমের রাজ্যে পারি দেয়।
______________________

-আজ পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে। মীম আনিশা দুজনেই একটু ভয়ে আছে কলেজের সামনে এসে দাড়িয়ে আছে সেই কখন থেকে। ভেতরে যাওয়ার সাহস হচ্ছে না কারোই।

"কি ব্যাপার? দুজনে অসহায়দের মতো দাড়িয়ে আছিস কপন? কারো কথায় দুজনে সামনে তাকিয়ে দেখে আহনাফ আর রাইফ ওদের কাছে আসছে।

"আনিশা মীম দুজনেই দুজনের ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলে উঠে ভাইয়া তোমরা এখানে?

__"এমন প্রশ্নে দুই বন্ধু দুজনের দিকে চাওয়া চাওয়ি করে।

"আহনাফ বলে, কেন আমরা আসাতে তোদের অবস্থা এমন হওয়ার কারণ কি বল তো, এতো অবাকের কি আছে? রেজাল্ট কি আসছে? নিশ্চয় ফেল করছিস? ফেল করারই তো কথা! দুজনের কারো মনই তো পড়াতে থাকে না শুধু দুনিয়ার আজাইরা জিনিস কথাতে থাকে।আচ্ছা আনিশা তোর পরীক্ষা না হয় একটু খারাপ হতেই পাড়ে রাইফ এতো বছর পর আসাতে।থাকে না দুজনের কারো মনই কথাতে থাকে। আচ্ছা, আনিশা তোর পরীক্ষা খারাপ হতেই পারে রাইফ এতোবছর পর দেশে ফেরাতে।কিন্তু তোর বান্ধবী কি করে ফেল করতে পারলো।

"মীমের এই বেডার সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছা নাই।একেই তো এখনো রেজাল্ট জানতে পারে নাই তার মাঝে মরার উপরে খরা এসে পরেছে অসহ্য।

"মীমের খুব রাগ হচ্ছে এই লোক বলে কি?কারো নামে কেউ এতো বাজে মন্তব্য কি করে করতে পারলো? মিম রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে বলে উঠে,

__"ভাইয়া তোমার বন্ধুকে বলে দাও না জেনে কাওকে মিথ্যা অপবাদ না দিতে।আমি কিন্তু তার মাথা ফাটিয়ে দিবো? এমনিতেই টেনশনে বাঁচি না আরেকজন আগবারিয়ে মশকরা শুরু করছে। উফফ ভাল্লাগে না।

_____""রাইফ বোনের টেনশন করা দেখে বুঝতে পারলো ওরাআ এখনো রেজাল্ট দেখে নি। তাই আহনাফকে ফাজলামো করতে না করে এবং মীমদের বলে,,, তোরা এখানেই অপেক্ষা কর আর তোদের রোল নং বলে দে আমি দেখে আসছি।ওদের থেকে রোল জেনে রাইফ ও আহনাফ দুজনে ভেতরে প্রবেশ করতেই কিছু ছেলেরা বড় ভাই বলে ঘিরে দাঁড়িয়ে পরে ছেলেগুলো।হঠাৎ মীমের চোখ পরে কলেজের অধিকাংশ মেয়েরা আহনাফ ও রাইফের দিকে কেমন করে তাকিয়ে আছে!এতে মীমের গাঁ জ্বালা রাগ হচ্ছে। মেয়েরা সুন্দর ছেলেদের দেখলেই কেন তাদের দিকে ড্যাব ড্যাব করে তাকাতে হবে?

#চলবে

27/07/2025

আকাশ পানে তাকিয়ে মনের জোছনা নামিয়ে খুজে যাই তোমাকে.......!

মেঘের আকাশ 🥀❤️
27/05/2025

মেঘের আকাশ 🥀❤️

বলেনতো এটা কি গাছ হতে পারে ☺️🤔
10/05/2025

বলেনতো এটা কি গাছ হতে পারে ☺️🤔

🤣🤣🤣
08/05/2025

🤣🤣🤣

Indirizzo

Rome

Notifiche

Lasciando la tua email puoi essere il primo a sapere quando Dear Sparrow pubblica notizie e promozioni. Il tuo indirizzo email non verrà utilizzato per nessun altro scopo e potrai annullare l'iscrizione in qualsiasi momento.

Condividi