07/04/2025
সারা বাংলাদেশে গা° যা বাসীর জন্য অনেক আন্দোলন হচ্ছে। ইজ°রাইলের বিরুদ্ধে
ফেসবুক পোস্ট দিয়ে ভরে যাচ্ছে। সত্যি করে বলেন তো এসব কার্যক্রম ফিলিস্তিনিদের কোন উপকারে আসবে কিনা?
একটা বিষয় ভেবে দেখেছেন, এতো কিছু হয়ে যাচ্ছে তবুও ফিলিস্তিনের জনসংখ্যা শেষ হচ্ছে না কেন?
ইজরায়েল চাইলে যেকোন মুহুর্তে গোটা ফিলিস্তিনকে জনশুন্য করার ক্ষমতা রাখে কিন্তু পারতেছে না, কারন আল্লাহ নিজে এটা চাচ্ছেন না।।
হযরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন
উম্মতের মধ্যে একদল বিশেষ শ্রেণির লোক থাকবে, যারা সত্যের পথে লড়াই করতে থাকবে। তাদের সঙ্গে আল্লাহর সাহায্য থাকবে। তারা সত্যের পক্ষের সংগ্রামকে কেয়ামত না আসা পর্যন্ত অব্যাহত রাখবে। কেউ তাদের কোনো ক্ষতিও করতে পারবে না। হাদিসের ভাষ্যমতে, এ দলটি শামদেশ অঞ্চলের অবস্থানকারী হবে। মুগিরা ইবন শোবা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমার উম্মতের এক দল সব সময় (সত্যের ওপর) বিজয়ী থাকবে। এভাবে কেয়ামত এসে যাবে আর তারা বিজয়ীই থাকবে। (বুখারি: ৭৩১১)
তাদের অবস্থানস্থল সম্পর্কে আরেক হাদিসে আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আমার উম্মতের একটি দল সত্যের ওপর বিজয়ী থাকবে। শত্রুর মনে পরাক্রমশালী থাকবে। দুর্ভিক্ষ ছাড়া কোনো বিরোধীপক্ষ তাদের কিছুই করতে পারবে না। আল্লাহর আদেশ তথা কিয়ামত পর্যন্ত তারা এমনই থাকবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! তারা কোথায় থাকবে? রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তারা বায়তুল মাকদিস ও তার আশপাশে থাকবে। (মুসনাদে আহমদ: ২২৩২০)
এক হাদিসে আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘কেয়ামত সংগঠিত হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানগণ ইহুদি সম্প্রদায়ের সাথে লড়াই না করবে। মুসলমানগণ তাদেরকে হত্যা করবে। ফলে তারা পাথর বা বৃক্ষের আড়ালে আত্মগোপন করবে। তখন পাথর বা গাছ বলবে- হে মুসলিম, হে আল্লাহর বান্দা! এই তো ইহুদি আমার পশ্চাতে। এসো, তাকে হত্যা কর। কিন্তু ’গারকাদ’ গাছ এ কথা বলবে না। কারণ এ হচ্ছে ইহুদিদের গাছ। (সহিহ মুসলিম: ৭০৭৫)
যদি বাংলাদেশে সংগ্রাম করে আর মিছিল করে ফিলিস্তিন স্বাধীন করা হয়ে যায় তাহলে এই হাদীস মুল্যহীন হয়ে যাবে।