Ataur Rahman

Ataur Rahman This page belongs to Ataur Rahman, আমরা আছি আপনাদের পাশেই

31/08/2025

আচ্ছা আমরা কি জানি যে আল্লাহর তরফ থেকে একমাত্র নামাজ ব্যতীত কোন আদেশ আকাশে অবতীর্ণ হয়নি?

রোজা, হাজ্জ, হিজাব ইত্যাদি বিধানগুলো নাযিল হয়েছে পৃথিবীর মাটিতে, ফেরেশতা জিবরীল (আঃ) মারফত ওহীর মাধ্যমে। কিন্তু নামাজের আদেশ বান্দার জন্যে কার্যকরী করার সময় আল্লাহ স্বয়ং রসূল(সাঃ) কে মেহমান করে নিয়ে যান সাত আসমানের উপর!

বান্দা এবং আল্লাহর মধ্যকার সমস্ত দূরত্ব ভেদ করে রসূল (সাঃ) চলে যান তাঁর রবের দরবারে এই বিশেষ উপহারটি নিবার সময়!! কতটা সম্মান আর ভালোবাসায় মুড়িয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের জন্যে নামাজের বিধান নাযিল করেছেন!

সুবহানআল্লাহ কল্পনা করা যায় নামাজের মধ্যে প্রতিবার সরাসরি আল্লাহর সাথে আমাদের মুখোমুখি মিটিং হচ্ছে?

আমরা কি সেই মিটিংকে আমাদের রবের তরফ থেকে আসা ডিরেক্ট উপহার হিসেবে নিচ্ছি? নাকি "নামাজ" কেবল আমাদের শত কাজের লিস্টের মধ্যে একটি 'কাজ' মাত্র যেটাকে যন্ত্রের মত কোনমতে পালন করে আমরা পরের কাজে চলে যাই?

"নামাজে মন ফেরানো" সিরিজে আজকের পর্বে আমরা জানব নামাজে পঠিত সানা-র অর্থ এবং ব্যখ্যা
🔹নামাজে পড়া সানার অর্থ এবং ব্যাখ্যাঃ
"সুবহানাকাল্লাহুম্মা, ওয়া বিহামদিকা, ওয়া তাবারকাসমুকা, ওয়া তাআ'লা জাদ্দুকা, ওয়ালা ইলাহা গইরুকা"

অর্থঃ "আল্লাহ আপনি কতই না পবিত্র, আপনার কোনো ভুল নেই। আমি সারাজীবন আপনার প্রশংসা করেই যাবো, আপনার নামগুলি সবচেয়ে বরকতপূর্ণ, আপনার নির্ধারিত হুকুম সবচেয়ে উচ্চ, আমি কখনোই আপনি ছাড়া আর কারো ইবাদাত করবো না। (অর্থাৎ কাউকে আপনার থেকে বেশি গুরুত্ব দিবো না!)

🔹সুবহানাকাল্লাহুম্মা, ওয়া বিহামদিকাঃ

এর অর্থ আমাদের আল্লাহ সবচেয়ে পারফেক্ট, তিনি সমস্ত ভুল হতে পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা কেবল তাঁরই জন্যে। একটু খেয়াল করি, আমরা মানুষরা জীবনে এই দুইটা জিনিসই খুব চাইঃ Perfection and Praise. অর্থাৎ নিজেদের জন্যে আমাদের সবকিছু পারফেক্ট হতে হবে; পারফেক্ট ক্যারিয়ার, পারফেক্ট বিয়ে, পারফেক্ট বাড়ি! আর অন্যের কাছে আমরা আশা করি, প্রশংসা বা এপ্রিশিয়েশান। আমরা খুব চাই যে, পরিবারে, সমাজে অন্যেরা আমাদের সমাদর করুক!

ইন্টারেস্টিং ব্যপার হচ্ছেঃ মানুষের জীবনের বেশির ভাগ কষ্ট আসে এই দুই এর অভাবে। হয়, নিজেরা পারফেক্টলি কিছু করতে পারিনি, তাই নিজের উপর হতাশ। নাহলে অন্যের কাছে যেই সমাদর আশা করেছি সেটা পাইনি, তাই অন্যের উপর হতাশ!

চমৎকার ব্যপার হচ্ছে, আল্লাহ বার বার নামাজে আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন যে, ত্রুটিহীনতা এবং প্রশংসা - এই দুইটি বৈশিষ্ট্য পুরোপুরি আল্লাহ রব্বুল আলামিনের আয়ত্বে। আমাদের আয়ত্বে না।

যেই আমরা নামাজে দাঁড়িয়ে বলছি, "সুবহানাকা আল্লাহুম্মা (আল্লাহ তুমি কত পবিত্র, ত্রুটিহীন), ওয়া বিহামদিকা (এবং আমি তোমার প্রশংসা সারাজীবন করেই যাবো) - সাথে সাথে আমরা আল্লাহর সামনে নিজেদের ত্রুটিপূর্ণ সত্তাকে কবুল করে নেই।

অন্য কোন সৃষ্টির কাছে সমাদর না খুঁজে একমাত্র আল্লাহর দিকে ফোকাস করি। এটা খুব পাওয়ারফুল। নামাজে দাঁড়িয়েই এটা একজন মুসলিমকে মেন্টালি স্ট্রং বানিয়ে দেয়। সে জানে যে, তার হতাশ হবার কিছু নেই। সে ভুলে ভরা হলেও আল্লাহ তাকে তার ঈমানের সহিত করা ছোট/বড় সকল আন্তরিক চেষ্টার জন্যে পুরষ্কৃত করবেন!

অন্য কারো কাছে প্রশংসা বা উপযুক্ত সমাদর না পেলেও তার কষ্টের কিছু নেই; সত্যিকার প্রশংসা তো কেবল আল্লাহর জন্যে, তার নিজের জন্যে তো না। ইম্পারফেক্ট বান্দার জন্য রয়েছে তার পারফেক্ট রব!

🔹ওয়া তাবারকাসমুকাঃ
অর্থ, "আল্লাহ তোমার নামগুলি কতই না বরকতপূর্ণ!" এখানে, আরবি "বারাকাহ" শব্দকে ইংরেজিতে "Blessing" এবং বাংলায় আশীর্বাদ বলা হয়। খুব কমনলি আমরা একে অন্যকে বলে থাকি, "May Allah Bless you", মানে "আল্লাহ তোমাকে বরকত দিক"। বরকত বলতে আমরা সাধারণত বুঝি কল্যাণ, মঙ্গল - জীবনে যা কিছু ভালো।

"বারাকাহ"-র আরেকটা ইন্টারেস্টিং অর্থ কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না। বারাকাহ মানে হচ্ছে, যখন আল্লাহ আমাদের জীবনে কল্যাণ এমনভাবে বাড়িয়ে দেন যে, আমরা অনেক কম সময়ে অনেক বেশি কিছু অর্জন করে ফেলতে পারি!

বারাকাহর একটা প্রাইম উদাহরণ দেই।

গেল রোজায় আমার এক বড় বোন কয়েকজন মুরব্বিদের ইফতারে দাওয়াত করবেন বলে নিয়ত করলেন। কিন্তু, আপুর হাতে ওইদিন সময় ছিল অনেক কম। সারাদিনের ঝড়-ঝাপটা শেষে সন্ধ্যার ঠিক আগে হাতে পেলো এক থেকে দেড় ঘণ্টা! এতগুলা মানুষের খাবার এত কম সময়ে সে কীভাবে করবে?

আপু তখন ভাবলো, "ইয়া আল্লাহ! আমি তোমার জন্যে নিয়ত করেছি যে তোমার বান্দাদের ইফতার খাওয়াবো। তুমি আমার জন্যে পথ করে দাও! মাগরিবের আযান পড়ার ৫ মিনিট আগে সে যখন টেবিলে দশটার বেশী আইটেম রেডি করে ফেললো, টেবিল ভর্তি খাবার দেখে আপুর বিস্ময়ে অস্ফুটে মুখ থেকে বের হলো - "এটা আমি করি নাই! এটা আল্লাহর বারাকাহ!"

যখন আল্লাহ সময়ে বারাকাহ দেন, তখন সেই সময় এমনভাবে প্রশস্ত হয়ে যায় যে, কম সময়ে অনেক বেশি কল্যাণ অর্জন করা সম্ভব হয়, যেটা আল্লাহর বারাকাহ ছাড়া অসম্ভব!
নামাজ এমন একটা ইবাদাত, যেটা করতে খুব কম সময় লাগে, কিন্তু আমরা যদি সেটা সঠিকভাবে জীবনে পালন করতে পারি, তাহলে প্রতিদিনের কয়েক মিনিটের এই নামাজই আমাদের জীবনে অসম্ভব রকমের কল্যাণ এবং বরকত নিয়ে আসবে!

নামাজের শুরুতেই যখন আমরা বলছি যে, "ওয়া তাবারকাসমুকা" - "আল্লাহর নামগুলি বরকতপূর্ণ" - তখন আল্লাহর কাছে আমরা সেই লেভেলের বারাকাহর আশা করছি! যেই সত্তার নামই এত বরকতপূর্ণ তিনি নিজে না জানি তাহলে কতটা বরকতপূর্ণ!
অকল্পনীয় এই বারাকাহর কল্যাণ আল্লাহ ছাড়া আমাদের জীবনে আসা সম্ভব নয় - এটাই আমরা প্রতিদিন পাঁচবার নামাজে মেনে নিচ্ছি।
সুবহানাল্লাহ! নামাজ যেমন বারাকাহ বাড়ায়, গুনাহ তেমনি বারাকাহ কমায়। সেজন্যে আমাদের গুণাহ থেকে অনেক দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে যেন জীবনের বারাকাহগুলো গুনাহ দিয়ে আমরা হারিয়ে না ফেলি। কষ্ট করে নামাজ পড়ে যে বারাকাহ পাচ্ছে, সে ঐ বারাকাহ প্রোটেক্ট করার জন্যে সমস্ত চেষ্টা দিয়ে গুনাহ থেকে দূরে থাকবে। এজন্যেই তো বলে,
"নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কার্য থেকে বিরত রাখে।

(সূরা আনকাবুতঃ ৪৫)

তাহলেই নামাজের শুরুতেই একজন বান্দা মেন্টালি স্ট্রং হয়ে যাচ্ছে এই ভেবে যে দুনিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে রব সে তাকে সমাদর এবং প্রশংসা করবেন এবং সেই রব তার বান্দার জন্যে অসম্ভব কল্যাণ এবং বারাকাহর দরজা খুলে দিতে সক্ষম! কেবল আমাদের মানুষের প্রশংসার আশা আর গুনাহগুলোকে ছুড়ে ফেলে রবের প্রতি আন্তরিক হবার অপেক্ষা!

মাঝে মাঝে কাজের চাপে খুব অস্থির লাগে। মনে হয় দশ দিক থেকে আমাকে টানা হচ্ছে আর মাঝখানে আমি তব্দা খেয়ে বসে আছি। কোন দিকেই যেতে পারছিনা! তখনই মুয়াজ্জিনের কণ্ঠে শুনি নামাজের আহবান, "আল্লাহু আকবর ... আল্লাহু আকবর ..." আমাকে ডাকতে থাকে, "নামাজের দিকে আসো! কল্যাণের দিকে আসো!"

তখন এই অগোছালো আমি অন্তত একটা ডিরেকশানে যাবার পথ খুঁজে পাই! এলোমেলো টেবিলটা ওভাবেই ফেলে চলে যাই রবের কাছে নিজের আত্মাকে গুছিয়ে নিতে! এটা যে কতটা উপকারী এবং শক্তিশালী অনুশীলন - যে কোনদিন এর স্বাদ পায়নি তাকে বুঝানো কঠিন।

মুহাম্মদ ফারিস তার "প্রোডাক্টিভ মুসলিম" বইতে নিজের জীবনের এমন একটা ঘটনা লিখেছিলেন যে, একবার তাদের এলাকায় বড় ধরণের বন্যা হয় যার ফলে তাদের বাড়ির অনেকটা অংশই ডুবে যায়। লেখক হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে চোখের সামনে নিজের সাজানো ঘরটাকে বসবাসের অযোগ্য হয়ে যেতে দেখতে থাকে। এরকম পরিস্থিতিতে মাথা ঠিক রাখা দায়!

ঠিক ঐ সময় তিনি শুনলেন যে আযান পড়ছে! সাথে সাথে তিনি মসজিদের দিকে হাঁটা দিলেন। ঐ ওলটপালট অবস্থা থেকে বের হয়ে নামাজে দাঁড়িয়ে আল্লাহর সাথে কথা বলে মনটা শান্ত করে নিলেন। মাথা ঠাণ্ডা হলে পরবর্তী কাজ সম্পাদনের একটা দিশা পেলেন!

যখন প্রচন্ড মন খারাপের দিনে কিছুই করতে ইচ্ছা করেনা, হতাশায় শুধু মনে হয় ঘরের এক কোণে গিয়ে বসে থাকি, তখনই একজন মুসলিম নামাজের জন্যে উঠে দাঁড়ায় নিজের রবের কাছে গিয়ে নিজেকে গুছিয়ে আনতে। আলহামদুলিল্লাহ এভাবেই নামাজ একজন মুসলিমের মনোবল চাঙ্গা করে এবং শক্তি বৃদ্ধি করে।

আসুন "নামাজে মন ফেরানো" সিরিজে আমরা আজকে সানার দ্বিতীয় অংশটুকু জেনে নেই ইনশাআল্লহ,

♦ওয়া তা আ'লা জাদ্দুকাঃ
"জাদ্দুকা" মানে "Determination, Decree", সহজ বাংলায় "ইচ্ছাশক্তি, আইন পাশ করে দেওয়া"। "আ'লা" মানে "Higher, উঁচু, মহান"। তাহলে এর অর্থ দাঁড়ালো - "আল্লাহর ইচ্ছা সবচেয়ে বড়"! আমাদের কত শত ইচ্ছা থাকে, কিন্তু আমাদের ইচ্ছামতন সবকিছু হয়না। তখন আমরা অনেকেই ভেঙ্গে পড়ি, কষ্ট পাই। অথচ, নামাজে প্রতিদিন আমরা সানায় স্বীকার করে নিচ্ছি যে - "আল্লাহ, আমার ইচ্ছার থেকে আপনার ইচ্ছা বড়!"

আমাদের সামান্য জ্ঞান দিয়ে আমরা কোন কাজের কী পরিণাম সেটা বুঝতে পারিনা। কিন্তু যেই রব মহান আল্লাহ, তিনি স্থান, কাল, পাত্র ভেদ করে সবকিছু জানেন। তাঁর থেকে ভালো আর কেউ জানবে না যে, এখন আমার জন্যে এই বিয়ে, চাকরি অথবা কাজ হয়ে যাওয়াটা আসলেই কতটা কল্যাণকর। যে ব্যক্তি "ওয়া তা আ'লা জাদ্দুকা"-র মর্ম বুঝে নামাজে এটা পাঠ করবে, না পাওয়ার কোন গ্লানি তাকে জেঁকে ধরতে পারবে না। তার অন্তর জুড়ে থাকবে প্রশান্তি ইন শা আল্লাহ।

♦ওয়া লা ইলাহা গাইরুকাঃ
"আল্লাহ, আমি আপনি ছাড়া আর কারো ইবাদাত করবো না" - এই পর্যায়ে এসে সানায় আমরা স্বীকার করি নেই যে, আল্লাহ আমাদের প্রভু। আমরা তাঁর গোলাম। আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে আমাদের মাথা নত করবো না। নিজেদের কামনা-বাসনা এবং নফসের সামনে না।

সমাজে সামনে না, শয়তানের ওয়াসওয়াসার সামনে না! আমরা আল্লাহর থেকে বেশি কোনকিছুকেই গুরুত্ব দিবো না।

আচ্ছা, একটু ভাবি, দিনের মধ্যে পাঁচবার করে যদি আমরা কাউকে নিজে থেকে গিয়ে বলে আসি যে, "তুমি আমার লাইফে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ"। এবং বলার সাথে সাথেই যদি এমন এমন কাজ তার চোখের সামনে করতে থাকি করি যা ঐ ব্যক্তি মোটেও পছন্দ করেন না, তাহলে পরবর্তীতে তার সামনে যেতে আমাদের অনেক লজ্জা লাগবেনা?

কষ্টের কথা কি জানেন, এই কাজটা আমরা দৈনিক আল্লাহর সাথে করে আসছি। এজন্যেই যে বুঝে নামাজ পড়ে, তারা জানেন যে আল্লাহর সাথে সে প্রতিশ্রুতি করেছে, সেই রবের দরবারে এখনি হাজিরা দিতে যেতে হবে। কীভাবে আল্লাহকে এতটা অসন্তুষ্ট করে তাঁর সামনে দাঁড়াই? কীভাবে তাঁর বান্দাকে কষ্ট দিয়ে, তাঁরই বান্দার হক মেরে এসে তাঁকে বলি যে, "ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা"?

আমরা নামাজ পড়ি আর আমাদের মনে হয় - "কই! নামাজ পড়েও তো খারাপ কাজ করেই যাচ্ছি!" এটা আমাদের নিজেদের দুর্বলতা, নামাজের না। আল্লাহ আমাদের ইবাদত, আখলাক এবং ইখলাস আরও বহুগুণে তাওফিক বাড়িয়ে দিক। আমিন।

নামাজে মন ফেরানো
শারিন সফি অদ্রিতা
© কপি পোস্ট ⬆️

11/08/2025

পড়াশোনা ত্যাগ করে‌ দিয়েছি কেন জানেন?
কারণ ভোগে নয়, ত্যাগেই প্রকৃত সুখ।

10/08/2025

দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে ভালোই লাগে, কারণ আমার ব্যাক পেইন। 😌

09/08/2025
04/08/2025

আজ ৫ ই আগস্ট যাদের বিএনপি করার ১ বছর পূর্ণ হবে তাদের জন্য শুভকামনা রইলো ♥️🇧🇩

সে জিতেছিল “বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ” খেতাব… কিন্তু তার দুইজন স্ত্রী এবং আটটি সন্তান রয়েছে!সে যখন জন্ম নেয়, তখন তার...
03/08/2025

সে জিতেছিল “বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ” খেতাব… কিন্তু তার দুইজন স্ত্রী এবং আটটি সন্তান রয়েছে!

সে যখন জন্ম নেয়, তখন তার নিজের মা তাকিয়ে ছিল মাত্র একবার… তারপর মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল।

মাত্র ১০ বছর বয়সে মানুষ তাকে বলত, “তুই মানুষ না, একটা অদ্ভুত কিছু।”
সে এতটাই ভয়ে থাকত যে, ঘরের বাইরে বের হত না। নিজের ভিতর বিশ্বাস করত – সে কখনো ভালোবাসা পাবে না, কেউ তাকে গ্রহণ করবে না, সে কোনোদিন কারও জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে না।

কিন্তু এটাই হলো গডফ্রে বাগুমা– যিনি “বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ” এর খেতাব জিতে নিয়েও নিজের জীবনকে বানিয়েছেন সবচেয়ে সুন্দর গল্প।

সব বাধা পেরিয়ে সে খুঁজে পায় প্রথম ভালোবাসাকে। তারা বিয়ে করে, দুটি সন্তান হয়… কিন্তু পরে তার স্ত্রী তাকে ঠকিয়ে তার হৃদয় ভেঙে দেয়।
সেই মুহূর্তে হয়তো গডফ্রে ভেবেছিল, পৃথিবী যা বলছে তাই ঠিক – সে হয়তো সত্যিই ভালোবাসার যোগ্য না।

কিন্তু তারপর এলেন কেট।

কেট তাকে প্রথম দেখাতেই ভালোবেসে ফেলেন।
তার পরিবার বলেছিল, “সে দেখতে খুব কুৎসিত।”
তার বন্ধুরা হাসত, বলত কেট পাগল।

কিন্তু কেট বলেছিল এমন কিছু যা শুনলে গায়ে কাঁটা দিবে –
“যদি সবাই তাকে ভালো না-ও বাসে, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ আমি তাকে ভালোবাসি।”

যখন গডফ্রে সেই “কুৎসিত মানুষের প্রতিযোগিতা”-তে আমন্ত্রিত হয়েছিল, সবাই ভেবেছিল সে অপমানিত হবে।
কিন্তু বাস্তবে কী হলো?
সে এবং কেট উল্লাস করে আনন্দ করেছিল।
যেখানে মানুষ লজ্জা দেখেছিল, তারা দেখেছিল সুযোগ।
যেখানে মানুষ বিচার করেছিল, তারা বেছে নিয়েছিল আনন্দ।

এরপর একসময় তৃতীয় এক নারীও গডফ্রেকে ভালোবেসে ফেলে।
তাদের দেশে যেখানে একাধিক স্ত্রী বৈধ, সেই নারী নিজেই এই অসাধারণ পরিবারে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

আজ আটটি সন্তান তাকে “বাবা” ডাকে।
সে এখন একজন মিউজিক তারকা, যার ভিডিও লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে।
আগে যে ছেলেটা জুতা সেলাই করত, সে এখন তার কমিউনিটির গর্ব।

তার তৃতীয় স্ত্রীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, “তুমি কেন একজন কুৎসিত লোককে ভালোবাসো?”
তিনি বলেছিলেন –
“আমার স্বামী হয়তো বাইরের দিক থেকে কুৎসিত, কিন্তু ভিতর থেকে তিনি এত সুন্দর ও দয়ালু যে, সেই সৌন্দর্যই আমার ভালোবাসার কারণ।”

তাই, যখনই তুমি ভাববে –
তোমার হৃদয়ভাঙা তোমাকে সংজ্ঞায়িত করে…
তোমার ভিন্নতা তোমাকে অপ্রিয় করে তোলে…

তখন মনে রেখো গডফ্রেকে।

সে মানুষটা, যে প্রমাণ করেছে –
বিশ্বাসঘাতকতার পরেও, প্রত্যাখ্যানের পরেও, সঠিক মানুষ ঠিকই তোমাকে গ্রহণ করবে।

সত্যিকারের সৌন্দর্য চোখে দেখা যায় না।
তা প্রকাশ পায় ভালোবাসায়, আনন্দে, এবং নিজের প্রতি বিশ্বাসে – এমনকি তখনও যখন গোটা দুনিয়া তোমার বিপক্ষে দাঁড়ায়।

কারণ কখনও কখনও, যাদের দুনিয়া “কুৎসিত” বলে —
তাদের জীবনই হয় সবচেয়ে সুন্দর। ❤️

তারেক রহমান বনানী থেকে আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার বাসে উঠেছেন। উদ্দেশ্য—একটা টকশোতে অংশ নেওয়া, যেখানে তিনি দেশের অর্থনীতি ও দু...
02/08/2025

তারেক রহমান বনানী থেকে আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার বাসে উঠেছেন। উদ্দেশ্য—একটা টকশোতে অংশ নেওয়া, যেখানে তিনি দেশের অর্থনীতি ও দুর্নীতি নিয়ে আলোকপাত করবেন। কিন্তু বাস্তবতা তাকে প্রথমেই এক আজব অর্থনীতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো—বাসের হেল্পার বলল, “ভাড়া ৪০ টাকা।”
তারেক রহমান বিস্ময়ে বললেন, “ভাই, গুগল ম্যাপে দেখাইতেছে ২০ টাকার রাস্তা।”
হেল্পার বলল, “ভাই, গুগল ভাড়া নেয় না, আমরা নেই।”

মাথা নিচু করে পকেট থেকে ৫০ টাকার নোট বের করতেই হেল্পার বলল, “ভাঙতি নাই, পিছে বসেন, পরে দিমু।”

বাসে বসার মত জায়গা নেই। সামনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই হেল্পার চিৎকার করলো—“ভাই সাইড দেন! মহিলা উঠবো।”
হতবিহ্বল তারেক রহমান এক পা সামনে রাখতেই পেছনের এক যাত্রী বললো, “ওই স্যার, পা কই দিতেছেন? আমার পা বাইন্ধা গেছে!”

হাত দিয়ে রড ধরতে গিয়ে তিনি বুঝলেন, কেউ একজন আগে থেকেই সেটা বগলের নিচে ডেকে রেখেছে। রডে হাত দেওয়া মানে ঐ লোকের বগলে আঙুল ঢোকানো। বাধ্য হয়ে তারেক রহমান পাশের সিটের উপরে হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন।

হঠাৎ করেই বাসের ড্রাইভার এমন এক গর্তে চাকা ঢুকিয়ে দিলেন যে বাসের পুরো যাত্রী দল একসাথে “উফফফ” বলে শব্দ করলো, আর তারেক রহমান হোঁচট খেয়ে একেবারে মাঝের দরজার কাছে গিয়ে পড়লেন। কেউ একজন নিচু গলায় বলল, “এই লোকটারে আমি টিভিতে দেখছি না? টেলিভিশনেই ভালো আছিলো।”

অবশেষে এক সিট খালি হলো, কিন্তু সমস্যা হলো—সিটটা এমন এক স্থানে যেখানে জানালা দিয়ে দিনের আলো তো দূরের কথা, কোনো বাতাসই ঢোকে না। তিনি বসতেই পেছনের যাত্রী বলল, “ভাই এক সাইড হন, আমি মোবাইলে PUBG খেলতেছি।”
তারেক রহমান বললেন, “আমি তো সিটেই বসে আছি, সাইড হবো কোথায়?”
যাত্রী বলল, “সিটে বসছেন ঠিক আছে, জায়গা তো আমারও লাগবে। আমি স্কোয়াড লিডার।”

হাল ছেড়ে দিয়ে তিনি চোখ বন্ধ করে একটু শান্তি খুঁজে নিতে চেষ্টা করলেন। ঠিক তখনই সামনে বসা এক শিশু তাঁর প্যান্টে চকোলেট মাখা হাত দিয়ে বলল, “আঙ্কেল, আপনে ফেমাস?”

তিনিও ক্লান্ত হাসি দিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, মনে হয় তাই।”

বাস যখন তেজগাঁও পৌঁছলো, বাস থামলো না। ড্রাইভার চিৎকার করলো—“এইডা এক্সপ্রেস সার্ভিস ভাই, থামবো না। নামতে চাইলে লাফ দেন!”

তারেক রহমান চিন্তা করলেন—জীবনের রাজনীতি থেকে শুরু করে, লাফ দেওয়া ছাড়া কোনো কিছুতেই যেন ঠিকমতো থামা নেই।

শেষমেশ বনানী থেকে আব্দুল্লাহপুর যাওয়ার সেই যাত্রা শেষে, মানিব্যাগ, মোবাইল, প্যান্টের ভাজ এবং আত্মমর্যাদা—সব কিছুতেই চিহ্ন রেখে গেছে এই বাসযাত্রা।

চোখ তুলে জানালার বাইরে তাকিয়ে তিনি ফিসফিস করে বললেন—
“এই দেশটা চালায় কারা, ইউনূস, বাসের হেল্পার।”

📌 “আমি মেটা (ফেসবুক) কে অনুমতি দিইনি” — এই ধরনের পোস্ট কি আসলেই কোনো কাজে আসে?”সম্প্রতি ফেসবুকে অনেকেই এই ধরনের পোস্ট কর...
01/08/2025

📌 “আমি মেটা (ফেসবুক) কে অনুমতি দিইনি” — এই ধরনের পোস্ট কি আসলেই কোনো কাজে আসে?”

সম্প্রতি ফেসবুকে অনেকেই এই ধরনের পোস্ট করছেন:
👉 “আমি এই মর্মে ঘোষণা করছি যে, আমি মেটা বা ফেসবুককে আমার ছবি, তথ্য বা পোস্ট ব্যবহারের কোনো অনুমতি দিইনি।”

🔍 কিন্তু সত্যি কথা হলো, এই ধরনের পোস্ট আসলে কোনো আইনি বা বাস্তব পরিবর্তন আনে না।

📖 যখন আমরা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলি, তখন আমাদের মেটার Terms of Service বা সেবার শর্তাবলীতে সম্মত হতে হয়। সেখানে স্পষ্টভাবে লেখা থাকে:

“You own the content you create and share on Facebook, but you grant us a license to use it…”
অর্থাৎ: “তুমি তোমার পোস্ট, ছবি বা কনটেন্টের মালিক, কিন্তু ফেসবুককে একটি লাইসেন্স দিচ্ছো তা নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য।”

🎯 এই লাইসেন্স ফেসবুককে দেয়:
• প্ল্যাটফর্মটি চালানোর জন্য
• বিজ্ঞাপন পার্সোনালাইজ করার জন্য
• নিরাপত্তা ও সেবার মান উন্নত করার জন্য

📌 তুমি চাইলে এই লাইসেন্স বাতিল করতে পারো — ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে। কিন্তু একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়ে এই শর্ত পাল্টানো সম্ভব নয়।



✅ তবে তুমি কিছু কন্ট্রোল রাখতে পারো:
• প্রাইভেসি সেটিংস থেকে নির্ধারণ করতে পারো কে কী দেখতে পাবে
• অ্যাকাউন্ট ডিলিট বা ডিএক্টিভেট করতে পারো
• ফেস রিকগনিশন, লোকেশন শেয়ারিং ইত্যাদি বন্ধ করতে পারো



❗ এই কারণে, “আমি অনুমতি দিইনি” টাইপ পোস্ট আইনি সুরক্ষা দেয় না। এটা একটি ভাইরাল ভুল তথ্য মাত্র।
🧠 বুঝে শুনে, তথ্য যাচাই করে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করাই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

🔐 সাইবার নিরাপত্তা শুধু পোস্ট দিয়ে নয়, সচেতন ব্যবহারেই সম্ভব।



📢 চাইলে এই পোস্টটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারো — যেন ভুয়া তথ্য আর না ছড়ায়।



#ডিজিটালসচেতনতা #ফেসবুকপ্রাইভেসি #মেটারশর্তাবলী #অনলাইননিরাপত্তা

20/07/2025

পারভেজ ইমন যেভাবে পাকিস্তানি বোলারদের পিডাইতেছে
জামাত না আবার মীরপুরের দিকে লংমার্চের ডাক দিয়ে বসে 😨

16/07/2025

গোপালগঞ্জ vs বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের একটা গেঞ্জাম লাগিয়ে দেওয়া যায় না?

যেই মাইর খাবে খুশি হবে সারা বাংলাদেশ 😌

16/07/2025

সব রাজনৈতিক দলগুলো এত মারামারি করছে শুধুমাত্র জনগণের সেবা করার জন্য..🤭

কতটা সৌভাগ্যবান দেশের মানুষ, ভাবা যায়!! 😐

14/07/2025

বিএনপি নিলে চাঁদাবাজি, এনসিপি নিলে ডোনেশন, জামায়াত নিলে হাদিয়া , তুমি নিলে কাবিন আর আমি নিলে যৌতুক!

Address

44 E 2nd Street
Irbid
NY10003

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ataur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share