11/06/2025
অনেকেই জানেন, জাপান বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১ লাখ কর্মী নিবে আগামী ৫ বছরে।
ব্যাপারটা কিন্ত বিশাল কারণ এখন পর্যন্ত জাপানে ৩৫-৩৭ হাজার বাংলাদেশী কাজ করে।
আর আগামী ৫ বছরে ১ লাখ। বেশ বড় সুযোগ।
কিন্তু আমার কিছু অবজারভেশন এবং মতামত আছে, যা অনেকের উপকারে আসবে।
১. জাপানের প্রায় ৩০% লোকের বয়স ৬৫ এর উপরে আর জন্মহার ১.১৫ এর নিচে। এর মানে আর কিছুদিনের মধ্যে বিশাল এক শূন্যতা তৈরি হবে এখানে। বিশাল এক opportunity. প্রচুর কাজ আসছে, সাথে ভালো বেতন।
২. একটা রিপোর্টে দেখলাম বাংলাদেশে প্রায় ৫৭% তরুণ (বয়স ২৮ এর নিচে) কিন্তু এর ৩৯% তরুণ পড়ালেখা বা কাজের সাথে যুক্ত না। এরা অলস সময় পার করে। কিন্তু স্বপ্ন দেখে অনেক।
৩. এই তরুণদের একটা বড় অংশ এই opportunity নিতে পারে। কিন্তু দয়া করে জাস্ট আসার জন্য আইসেন না। নিজেকে একটু তৈরি করে আসলে নিজের তথা পুরো বাংলাদেশের মানকে উপরে নিতে পারবেন।
৪. ছেলেদের জন্য বড় সেক্টর হচ্ছে জাহাজ তৈরি, জাহাজ মেরামত তাই যদি ভালো ওয়েল্ডিং পারেন, তাহলে আপনার দাম আছে।
গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরি সেক্টর বড় এখানে।
Constructions, Hospitality সেক্টরে ভালো বেতনের কাজ আছে।
যেহেতু বয়স্ক মানুষ বেশি তাই তাদের দেখাশোনার জন্য caregiving সেক্টরে ছেলে, মেয়ে সবার অনেক ভালো ভালো কাজ আছে।
৫. শুধুমাত্র জাপানিজ ভাষাটা ভালোভাবে শিখলে আপনার জন্য কাজের অভাব হবে না।
N3-N5 লেভেল দিয়ে ভালো কিছু পাবেন আমার মতে।
N5 মানে - বেসিক, সহজ করে দৈনন্দিন কথাবার্তা বোঝা
N3 মানে -দৈনন্দিন কথাবার্তা ও সাধারণ সংবাদ বোঝা যায়
৬. নিজেকে একটু গ্রুম করে, ভাষা শেখার জন্য পরিশ্রম করে একটু বড় কাজের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করুন।
ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, চাইনিজরা সব opportunities নিয়ে যাচ্ছে। আমরা একটু কষ্ট করলে পারবো।
৭. বাংলাদেশে বেশ কয়েকটা প্রতিষ্ঠান আছে যেখান থেকে জাপানে যে কাজের ডিমান্ড আছে, সেই কাজ নিয়ে ট্রেনিং করতে পারবেন।
৮. ভাষা আর কাজ শেখার পর বৈধ পথে এপ্লাই করেন। আপনার ভিসা হয়ে যাবে।
মাথা থেকে অ্যাসাইলাম নেবার চিন্তা বাদ দিয়ে, নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করে আসি।ভালো কিছু করতে পারবেন।
৯. আসার আগে জাপানি কালচার আর আচার ব্যাবহার নিয়ে YouTube এ ভিডিও দেখে আইসেন। অনেক উপকার হবে।