09/05/2025
পলাশ সাহার মৃত্যু তে কেউ বলছে তার বউ দায়ী আবার কেউ বলছে তার মা দায়ী। আসলে কি তাই! না এটা সঠিক না। আমাদের সমাজ এখন এমন হয়ে গেছে যে মা বলবে আমার ছেলেকে আমি অনেক কষ্ট করে মানুষ করেছি এখন বউ এসে সব দখল করে বসে আছে। তাদের ভাবটা এমন যেন মেয়ের মা কোন কষ্টই করে নাই।
যখন একটা ছেল বিয়ে করে কম হলেও তার বয়স ২৫থেকে ৩০ হয় এই এতগুলো বছর কি তার মা বোন ভাই তার সাথে ভালো সময় কাটাই নাই কিন্তু না এসব কিছুতে ই হবে না যখন ছেলে একটা বউ নিয়ে আসবে তখন ছেলের মা বোন ভাই সবাই ঐ ছেলের সাথে রাতভর গল্প করবে সারাদিন সাথে সাথে থাকবে। তাদের হাবভাব দেখে মনে হয় তাদের ছেলে পৃথিবীতে নতুন জন্ম নিয়েছে। তাদের মনে ই হয় তার ঘরে একটা নতুন বউ আছে।
পলাশ সাহার মা কি পারতো না ৬মাস তার অন্য ছেলেদের কাছে থাকতে। সারাদিন একটা মেয়ে বাসায় একা থাকে সে তো অপেক্ষায় থাকে তার হাসবেন্ড কখন আসবে। ছেলে আসার পর মা যদি গল্প করে রাত ২ টা পযন্ত তাহলে ছেলেকে বিয়ে দেবার কি দরকার ছিলো।
আর বোনদের কথা তো আর নাই বা বলি সমাজের ৭৫./. বোন রা মনে করে ভাইয়ের কাছ থেকে নিতে পারলেই বাঁচি কিন্তু বোন কখনও মনে করে না আমার যেমন একটা সংসার আছে তেমন আমার ভাইয়ের একটা সংসার হবে।
আসলে পরিস্থিতি যেমন ই হোক না কেন আত্মহত্যা একটা মানুষের জীবনে সঠিক সমাধান হত পারে না। জীবন তো একটাই, এ জীবন তো আর বার বার ফিরে আসবে না।
তবে আমার যা মনে হয় যে ছেলেরা বিয়ের পরে মায়ের মা বোন ভাইয়ের কাছে রাত ২টা পযন্ত আর বন্ধুদের সাথে প্রতি সপ্তাহে ২দিন আর অন্য মানুষের বউদের সাথে থাকা এসব ছেলেদের জীবনে বিয়ে না করাই ভালো।