https://www.facebook.com/111483761399487/

KABIR 𓂀 কাবির, Kuala Lumpur (2025)

31/08/2025

*প্রি-সি-লা*
মশিউল আলমের প্রিসিলা একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু তীব্র প্রভাবশালী ডিসটোপিয়ান নভেলা, যা বাংলা সাহিত্যে সায়েন্স ফিকশন ও সামাজিক সমালোচনার এক অসাধারণ মিশ্রণ। ২০০১ সালে মাওলা ব্রাদার্স থেকে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি পড়তে গিয়ে আমি যেন এক অচেনা, অন্ধকার ভবিষ্যতের জগতে প্রবেশ করেছি। এটি কেবল একটি গল্প নয়, বরং আমাদের সমাজের সম্ভাব্য ভবিষ্যত এবং মানুষের মৌলিক আকাঙ্ক্ষার উপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের একটি গভীর প্রশ্নচিহ্ন।
উপন্যাসটির পটভূমি ২০৫০ সালের বাংলাদেশ, যেখানে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের কারণে সরকার অমানবিক নীতি প্রয়োগ করেছে। উচ্চ মাধ্যমিক সনদ ছাড়া কেউ সন্তান জন্ম দিতে পারবে না, এবং একটি জন্মের জন্য একটি মৃত$y পারে। এই নিয়মের কারণে প্রিসিলা, উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র, তার স্বামী রাসেলের সঙ্গে মা হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে গিয়ে এক নিষ্ঠুর দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হয়। তার শাশুড়ি বেঁচে থাকায় এবং তার দেবরও সন্তান নিতে চাওয়ায় প্রিসিলার স্বপ্ন পূরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সরকারের নিয়ম, যা বলে, সন্তান জন্ম দিতে হলে রাসেলকে ফাঁসির মুখোমুখি হতে হবে। এই পটভূমি গল্পটিকে একটি ট্র্যাজিক এবং চিন্তা-উদ্দীপক রূপ দেয়।
প্রিসিলার চরিত্রটি আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে। তার মা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা এবং প্রিয়জনকে হারানোর ভয়ের মধ্যে তার মানসিক সংঘর্ষ অত্যন্ত জীবন্তভাবে ফুটে উঠেছে। মশিউল আলমের লেখনী এখানে অসাধারণ। তিনি সহজ কিন্তু প্রাঞ্জল ভাষায় প্রিসিলার বেদনা, হতাশা এবং বিদ্রোহী মনোভাব এমনভাবে তুলে ধরেছেন যে পাঠক হিসেবে আমি তার প্রতিটি অনুভূতির সঙ্গে একাত্ম হয়ে পড়েছি। উপন্যাসের শেষে প্রিসিলার সিদ্ধান্ত—তার গর্ভধারণের পছন্দ, যা রাসেলের জীবনকে বিপন্ন করে—একটি মর্মান্তিক সমাপ্তি এনে দেয়। এই সিদ্ধান্ত তার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা এবং সমাজের নিষ্ঠুর নিয়মের মধ্যে সংঘর্ষের প্রতীক। গল্পটি স্পষ্টভাবে রাসেলের ভাগ্য বলে না, তবে ফাঁসির ছায়া পাঠকের মনে ভারী একটা প্রভাব ফেলে।
প্রিসিলা শুধু একটি সায়েন্স ফিকশন নয়, এটি জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নারীর প্রজনন স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় নীতির অমানবিকতার উপর একটি তীক্ষ্ণ সমালোচনা। লেখক এই সংক্ষিপ্ত নভেলায় অল্প কথায় অনেক কিছু বলে ফেলেছেন। তবে, আমার মনে হয়েছে, গল্পটি আরেকটু বিস্তৃত হলে রাসেল বা প্রিসিলার শাশুড়ির মতো চরিত্রগুলোর গভীরতা আরও প্রকাশ পেত। এই সংক্ষিপ্ততা যেমন উপন্যাসের শক্তি, তেমনি কিছুটা সীমাবদ্ধতাও বটে, কারণ পাঠকের মনে অনেক প্রশ্ন অমীমাংসিত থেকে যায়। তবু, এই শূন্যস্থানই পাঠককে নিজের কল্পনায় গল্পটির সমাপ্তি ভাবতে উৎসাহিত করে।(কমেন্টে)

21/07/2025

বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলাম নিহত হয়েছেন মর্মে নিশ্চিত করেছে একাধিক জাতীয় গণমাধ্যম।

21/07/2025

[ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত, সত্যতা যাচাই করে নেবেন]

“এক ব্যাগ আটা পেলেই দিয়ে দেব জীবনের সঞ্চিত সকল গ্রন্থভাণ্ডার”
বহু বছর ধরে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন নিজের লাইব্রেরি।
গাজার ওপর চলমান গণহত্যার মধ্যেও প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন বইগুলো রক্ষা করতে—যেন সহিংসতার ভেতরেও জ্ঞানের আলো টিকে থাকে।
কিন্তু আজ, সমস্ত কষ্ট, সংগ্রাম ও ভালোবাসাকে পেছনে ফেলে তিনি বলছেন:
“আমি আমার পুরো লাইব্রেরি এক ব্যাগ আটার বিনিময়েও দিতে প্রস্তুত।”
📖 লেখকের কণ্ঠে গাজার আর্তনাদ:
“আমার বইয়ের সঙ্গে আমার জীবনের সবচেয়ে গভীর সম্পর্ক।”
পড়াশোনা আমার আত্মার অংশ।
এই যুদ্ধেও ( গাজার চলমান যুদ্ধে) আমি ৩০টিরও বেশি বই পড়ে শেষ করেছি—
‘ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট’, জন স্টুয়ার্ট মিলের ‘লিবার্টি’, আর আমার প্রিয় ‘দ্য মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিটা’।
কিন্তু আজ বুঝলাম,
সব পড়া মূল্যহীন এক টুকরো পাউরুটির কাছে — যদি তা দিয়ে পরিবারের ক্ষুধা মেটানো যায়।
কবিতা পাঠের মুহূর্তগুলো এখন আর নেই।
আমি কাঁদি — আমার ভাইয়ের ক্ষুধার্ত সন্তানদের দিকে তাকিয়ে।
আমি ঘৃণা করি এই বিশ্বকে —
যা মানবতার কথা বলে,
কিন্তু বাস্তবে মিথ্যা, ভণ্ডামি আর নিষ্ঠুরতায় পূর্ণ।” (aqs)
বিখ্যাত লেখক ওমর হামাদ টুইটার পোস্টে বলেন:

19/07/2025

“হুমায়ূন আহমেদ নেই — কথাটা লিখতেই গলার ভিতরে কষ্ট জমে।
তবু এই সত্যটা মানতে হয়, কারণ ১৯ জুলাই এলেই মনে পড়ে, আমরা একজন স্বপ্নকারুকে হারিয়েছি।

তিনি শুধু একজন লেখক ছিলেন না,
তিনি ছিলেন অনুভূতির জাদুকর।
তার কলমে হিমু হাঁটত নির্বিকার,
শুভ্র ভাবত আকাশের দিকে তাকিয়ে,
আর মিসির আলী বসে থাকত অন্ধকার ঘরের কোণে —
তবু আমরা তাদের চোখে জীবনকে চিনতে শিখতাম।

তার লেখা ছিল এমন, যেন শব্দগুলো নিশ্বাস নেয়।
তার প্রতিটি বই খুললেই যেন মনের একটা দরজা খুলে যায় —
যেখানে ঢুকলে আমরা আমাদেরই খুঁজে পাই।

আজ তার ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী।
তাকে নিয়ে কোনো আক্ষেপ নেই,
শুধু একরাশ অভিমান নিয়ে বলি —
“আপনি না থাকলেও, আপনার সৃষ্টি আমাদের বেঁচে রাখে।”
আপনার গল্পের পাতা, নাটকের চরিত্র, আর অজস্র সংলাপ আজো আমাদের মন ছুঁয়ে যায়।

হুমায়ূন আহমেদ — আপনি ছিলেন একটা সময়,
আপনি এখন একটা অনুভব,
আর আপনি চিরকালই থাকবেন — একজন ভালোবাসার নাম হয়ে।
🖤

#হুমায়ুনআহমেদ #বাংলারগর্ব

16/07/2025

বিপরীত লিঙ্গের কারো সাথে একটু মেপে কথা বলার চেষ্টা করি। কেউ বেশি বেশি কথার আগ্রহ দেখালেও, আমি থামিয়ে দিই। এমন না তার কোনো সমস্যা, সমস্যা মূলত আমারই। একটা অভ্যাস কিংবা ‘অ্যাটাচমেন্ট’কে অনেকে যতটা হালকাভাবে নিতে পারে, আমি সেভাবে পারি না। কারো সাথে কথা বেশিদিন বাড়লে, আমার মনে তার প্রতি একটা’ সফট কর্ণার’ তৈরি হয়। তার ভালো মন্দ নিয়ে ভাবতে থাকি। তার ছোট ছোট ব্যাপারে খেয়াল রাখতে শুরু করি। বলতে গেলে, তাকে কেন্দ্র করে ঘুরতে শুরু করি! সমস্যাটা এখানেই। হিসাব করে দেখেছি, অত্যধিক উপস্থিতি মূল্য কমিয়ে দেয়। মানুষ মিশে গিয়ে পিষে দেয়। সব রহস্য ফুরিয়ে যেতে দিলে, মানুষের আগ্রহেরও ইতি ঘটে। তাদের অবশ্য দোষ নেই। আমিই অতি আবেগী হয়ে যাই। আমিই সবকিছু ইজিলি নিতে পারি না। অন্য জন হার্টলেস হলেও, আমি সেটা পারি না। দিনশেষে আমাকে ছেড়ে তারা তাদের মতো ভালো থাকলেও, আমি মিস করি। কষ্ট পাই। এরচেয়ে বরং নিজেকে নিয়ে নিজের মতোই থাকি। কারো কাছে না যাই, কাউকে কাছে আসতে না দিই। কিছু মানুষ একাই সুন্দর...

ধন্যবাদ আপনাকে💟

06/07/2025

০৬-০৭-২০২৫ইং-রবিবার।

🫖 মসলা চা:
এক কাপ মসলা চা মানেই জিভে আগুন আর মনে শান্তি। এলাচ, আদা আর দারুচিনির ঘ্রাণে লুকিয়ে থাকে একরাশ শৈশব—বৃষ্টিভেজা বিকেলের গল্প।

🦀 কাকড়া ভাজি:
চুপচাপ দেখলে ভয়, কিন্তু কড়াইয়ে পড়লেই সে এক হিরো। ঝুরঝুরে কাকড়া ভাজি, নুন-মরিচে লুকানো সমুদ্রের সাহস।

🍘 ভাদাই (Vadai):
গরম তেলে ভাজা গোল মুখের এই ভাদাই—বাইরে খাস্তা, ভিতরে নরম। সঙ্গে যদি থাকে নারকেল চাটনি, তাহলে সন্ধ্যাটাই পারফেক্ট!

🚇 মেট্রো স্টেশন:
পায়ের তলায় কংক্রিট, মাথার উপর ছুটে চলা সময়। প্রতিটি মেট্রো স্টেশন একেকটা গল্প—অপেক্ষার, বিদায়ের, আবার ফিরে আসার।

🐟 মাছের বাজার:
শোরগোল, হাঁকডাক আর পানির ছিটায় ভরা এক রাজত্ব—মাছের বাজার। এখানেই প্রতিদিন বাঁচা-মরার দরকষাকষি, কিন্তু মাছের ঘ্রাণে লুকিয়ে থাকে মা’র হাতের রান্নার প্রতিশ্রুতি।

tags: #

06/07/2025

০৫-০৭-২০২৫ইং💟
স্মরণীয় মুহূর্ত

04/07/2025

varses korba nake keo🤟

30/06/2025

Squid Game Final Fan Event ...

#오징어게임3 #오징어게임시즌3 #오징어게임3 #넷플릭스드라마 #이정재 #한국드라마 #서바이벌게임

#오징어게임짱

KABIR 𓂀 কাবির

31/08/2025

21/07/2025

21/07/2025

19/07/2025

16/07/2025

06/07/2025

06/07/2025

04/07/2025

30/06/2025

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share