12/11/2023
হিসনুল মুসলিম
দোআ: [২১৮] চার প্রকারের যিকর ১০০ বার
১০০ বার
سُبْحَانَ اللّٰهِ
আল্লাহ কতই না পবিত্র-মহান।
সুবহা-নাল্লাহ
১০০ বার
اَلحَمْدُ لِلّٰهِ
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য।
আলহামদুলিল্লাহ
১০০ বার
اَللّٰهُ أَكْبَرُ
আল্লাহ সবচেয়ে বড়।
আল্লা-হু আকবার
১০০ বার
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ
উম্মু হানী (রা) রাসূলুল্লাহ (স)-এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারব।
তিনি বলেন : “তুমি ১০০ বার ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলবে, তাহলে ১০০ টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
তুমি ১০০ বার ‘আল হামদু লিল্লা-হ’ বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
তুমি ১০০ বার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে, তাহলে ১০০ টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
তুমি ১০০ বার ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ বলবে, তাহলে তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমিন পূর্ণ হয়ে যাবে [এবং তোমার কোনো পাপই বাকি থাকবে না : দ্বিতীয় বর্ণনায়]।
যে ব্যক্তি তোমার এ যিকরগুলোর সমপরিমাণ যিকর করবে সে ছাড়া কেউই সে দিনে তোমার চেয়ে বেশি বা উত্তম আমল আল্লাহ্র দরবারে পাঠাতে পারবে না।” হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে এবং সনদগুলো হাসান বা গ্রহণযোগ্য। [১]
আবু উমামা (রা) থেকে এ অর্থে বর্ণিত অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ (স) ৎ সকলকে ১০০ বার করে উক্ত যিকরগুলো আদায় করতে উৎসাহ দিয়েছেন এবং অনুরূপ সাওয়াবের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। হাদীসটি হাসান। [২]
[১] ইবন মাজাহ ২/১২৫২(ভা ২/২৭০); মুসনাদ আহমাদ ৬/৩৪৪, নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা ৬/২১১, তাবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর ২৪/৪১০, মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৫, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/৯২
[২] তাবারানী, আল-মু'জামুল কাবীর ৮/২৬৩, আত-তারগীব ২/৪১০, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/৯২