20/05/2024
🇲🇾 চলতি মাসের ৩১ তারিখের পর মালয়েশিয়ায় আবার অভিবাসী কর্মীদের দরজা বন্ধ হচ্ছে।
👉 এই সিদ্ধান্ত সকল "সোর্স কান্ট্রির" ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের কারণে দেশটির সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
- পূর্বেও দুই দফা বাংলাদেশের সিন্ডিকেটভুক্ত এজেন্সিগুলো কর্মীদের ২০ হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।।
🇧🇩 / প্রথম ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেটের কারণে বন্ধ হয়েছিল মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। কিন্তু ততদিনে শ্রমিকদের ৮ হাজার কোটি টাকা এই ১০ এজেন্সির পেটে চলে গেছে। তারপর এল ২৫ এজেন্সির সিন্ডিকেট। ২৫ এজেন্সি যদিও সেই পুরোনো ১০ এজেন্সির সিন্ডিকেট দিয়েই তৈরি।
- দ্বিতীয় দফায়ও শ্রমিকদের লুট হওয়া টাকার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার কোটি।।
সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি অভিযোগে বলা হয়েছে,যে সরকার নির্ধারিত ফি ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা হলেও কর্মীপ্রতি সিন্ডিকেটভুক্ত এজেন্সিগুলো নিয়েছে সাড়ে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত। বিষয়টি আমলে নিয়ে দুদক তদন্ত করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এই সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশে কিছু অসাধু ব্যবসায়ের সমন্বয় ।
- এ কারণে সিন্ডিকেটের মূলোৎপাটন করা যাচ্ছে না।
- এমনকি ৩ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ফের বাংলাদেশের সঙ্গে শ্রমিক নেওয়ার চুক্তি করা হয়। তখন মালয়েশিয়ার তৎকালীন মানবসম্পদমন্ত্রী এম. সারাভানান ঢাকায় এসে বলেন। ২৫ এজেন্সি এবং তাদের অধীনে ২৫০ সাব-এজেন্ট মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে পারবে।
- এটাই চূড়ান্ত।
জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চুক্তি হওয়ার পর ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক গেছেন ৫০ হাজার ৯০ জন। ২০২৩ সালে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত গেছেন ২৬ হাজার ৮৫০ জন শ্রমিক।
সরকার এ ক্ষেত্রে ৭৮ হাজার ৫৪০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েই খালাস। এই বিপুলসংখ্যক কর্মী সাড়ে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ করে দেশটিতে গেছেন।
- সেই হিসাবে মাত্র দুই বছরে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছে ১২ হাজার কোটি টাকা।
🇲🇾 ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাশিম বলেন -
উভয় দেশেই সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্মীরা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন।
- ১ থেকে ২ লাখ বাংলাদেশির কাজ না পাওয়ার বিষয়টি মালয়েশিয়ার সরকার খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।।
🇲🇾 মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রথম সিন্ডিকেট হয়েছিল ২০১৭ সালে। ওই বছর দেশটিতে কর্মী পাঠাতে জিটুজি প্লাস পদ্ধতি প্রণয়ন করা হয়েছিল। জিটুজি প্লাস পদ্ধতিতে মাত্র ১০টি প্রতিষ্ঠান কর্মী পাঠাতে পারত। সেই সময় সরকার ফি নির্ধারণ করেছিল জনপ্রতি ৩৩ হাজার ৫৭৫ টাকা।
👉 কিন্তু সে সময় ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় কর্মী নেয় সিন্ডিকেটভুক্ত ১০টি এজেন্সি।
জিটুজি প্লাস চুক্তির পর বিএমইটির হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মালয়েশিয়ায় গেছেন ৯৯ হাজার ৭৮৭ জন কর্মী। পরের বছর অর্থাৎ ২০১৮ সালে গেছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯২ জন। একটি হিসাবে এসব কর্মী পাঠাতে অতিরিক্ত আদায় করা হয়েছিল ৮ হাজার ২৯৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
সেই সময় যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর নাম আসে সেগুলো হলো
- আইএসএনটি হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট,
- ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনাল,
- ইউনিক ইস্টার্ন প্রাইভেট লিমিটেড,
- আল ইসলাম ওভারসিস,
- আমি ট্যুর্স অ্যান্ড ট্রাভেলস,
- সাজনারি ইন্টারন্যাশনাল,
- মেসার্স রাব্বি ইন্টারন্যাশনাল,
- ক্যারিয়ার ওভারসিজ কনসাল্ট্যান্ট লিমিটেড,
- মেসার্স প্রান্তিক ট্রাভেলস অ্যান্ড ট্যুরিজম লিমিটেড এবং
- প্যাসেজ অ্যাসোসিয়েটস।
তখন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি হিসাবে বলা হয় -
শ্রমিকপ্রতি নেওয়া বাড়তি টাকা থেকে : -
- ১ লাখ টাকা দিতে হয় মালয়েশীয় নিয়োগদাতাসহ সে
দেশের সিন্ডিকেটকে।
- ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নিয়ে যায় মাঠের দালালরা।
- ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা চলে যায় যাতায়াত, আনুষঙ্গিক খরচ ও সরকারি অফিসে ঘুষ দেওয়া বাবদ।
- বাকি ১ লাখ টাকা মুনাফা থাকে এজেন্সির।
সিন্ডিকেটই কারণেই মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে এই স্থবিরতা। মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ মোট ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেয়। কিন্তু বাকি ১৩ দেশের ক্ষেত্রে রিক্রুটিং এজেন্সি দেশটি নির্ধারণ করে দেয় না।
- শুধু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই এমনটা হয়, কেন ??
🚦 ৩১ মের পর মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়া বন্ধ 🚦
==============================
৩১ মের পর মালয়েশিয়া নতুন করে আর কোনো কর্মী নেবে না। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতির কথা বলা হলেও দেশটির অভিবাসন দপ্তর বলছে, নতুন করে আর কর্মী দরকার নেই।
- তাই অভিবাসী কর্মী নেওয়া বন্ধ।
👉 নতুন কোনো ডিমান্ড দিচ্ছে না মালয়েশিয়া। পাশাপাশি মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনে সিন্ডিকেট করে প্রতারণা করার কারণে বেশ কয়েকটি মামলাও বিচারাধীন।।
👉 আর বাংলাদেশ সরকারসহ সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিরব !!
🙏 এক রাজাকারের সন্তান "ইমরান আহমেদ" করে গেছেন সিন্ডিকেশন আর বর্তমান অথর্ব প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্ক রয়েছে।
- তাই ধীরে ধীরে সব সমস্যার সমাধান হবে, হাস্যকর ।।