Mohammad Misbah uddin

  • Home
  • Mohammad Misbah uddin

Mohammad Misbah uddin Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Mohammad Misbah uddin, .

আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা।তিনি আমাদের সৃষ্টিকর্তা,আমাদের প্রতিটি দুঃখ-দুঃখী মুহূর্তে তাঁর রহমত আমাদের সঙ্গে থাকে। আমরা যদি তাঁর পথ অনুসরণ করি,তাহলে আমাদের জীবনে শান্তি এবং সফলতা আসবে আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর হুকুম মেনে চলারশক্তিদিন।

25/07/2025

📿 আজকের জুমার দিনের আমলসমূহ
✨ ফজর থেকে রাত পর্যন্ত করণীয় আমলসমূহ (সুন্নাহ অনুযায়ী)

🕌 ১. ফজরের নামাজ জামাআতের সাথে আদায়
➡️ নবীজি (সা.) বলেন: “যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাআতের সাথে আদায় করে, সে যেন পুরো রাত ইবাদত করল।” (মুসলিম)

📖 ২. সূরা কাহফ তিলাওত
➡️ আবু সইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত: “যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরা কাহফ তিলাওত করে, তার পায়ের নিচ থেকে মাথার উপর পর্যন্ত নূর বিস্তার লাভ করে।” (হাকিম)

🕋 ৩. বেশি বেশি দরুদ পাঠ
➡️ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: “তোমরা জুমার দিন বেশি বেশি আমার প্রতি দরুদ পাঠ কর।” (আবু দাউদ)

🧎‍♂️ ৪. জুমার খুৎবা মনোযোগসহকারে শোনা ও নামাজ আদায়
➡️ খুৎবা চলাকালীন কোনো কথা বলা হারাম। মনোযোগ সহকারে শুনে জুমার নামাজ আদায় করুন।

🕯️ ৫. আল্লাহর জিকির ও দোয়া
➡️ ফজর থেকে শুরু করে ইশা পর্যন্ত যেকোনো সময় বেশি বেশি “আস্তাগফিরুল্লাহ”, “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার” বলা উত্তম।

🕛 ৬. শেষ বেলায় (আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে) বিশেষ দোয়া করা
➡️ রাসুল (সা.) বলেন, “জুমার দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন বান্দা যদি আল্লাহর কাছে কিছু চায়—আল্লাহ তা কবুল করেন।” (বুখারি)

🧼 ৭. গোসল, পরিষ্কার জামা, আতর ব্যবহার করে জুমার নামাজে যাওয়া
➡️ জুমার দিনের সুন্নত—গোসল করা, সুন্দর জামা পরা, আতর ব্যবহার করা।

🌙 ৮. ইশার নামাজের পর বেশি বেশি ইস্তেগফার ও তওবা করা
➡️ রাতের শেষ ভাগে আল্লাহর রহমতের দরজা খোলা থাকে, তাই ক্ষমা চেয়ে দোয়া করা।

#জুমারআমল #আজকেরআমল #ফজরেরপর #সূরাকাহফ #দরুদশরীফ #ইবাদত #জুমাবার #ইসলামীপোস্ট #আত্মারছন্দ

23/07/2025

সতর (ستر) একটি ইসলামী পরিভাষা, যার অর্থ হলো শরীরের সেই অংশ যা পরপুরুষ বা নামাহরাম নারীর কাছ থেকে ঢেকে রাখা ফরজ (আবশ্যক)। সতরের ধারণা ইসলামি শালীনতা ও পর্দা রক্ষা করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিচে কোরআন ও হাদীসের আলোকে সতর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:

--

সতর কী?

সতর অর্থ: গোপন বা ঢাকার বিষয়। ইসলামী শরীয়তে এটি সেই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে বোঝায় যেগুলো ঢেকে রাখা ফরজ।

১. কোরআন থেকে সতর সম্পর্কে নির্দেশ:

📖 সূরা আন-নূর (২৪:৩০-৩১):

> “মুমিন পুরুষদের বলো, তারা যেন দৃষ্টি সংযত করে ও নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে। এটি তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয় আল্লাহ তাদের সম্পর্কে জানেন যা তারা করে।”

“আর মুমিন নারীদের বলো, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত করে, নিজেদের লজ্জাস্থান হেফাজত করে এবং তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে—তাদের যা আপনা-আপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে তা ছাড়া।”

(সূরা আন-নূর, আয়াত ৩০-৩১)

এই আয়াত দুটি থেকে বোঝা যায়, সতর রক্ষা করা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরিহার্য।

---

🔹 ২. হাদীস থেকে সতর:

📘 হাদীস ১:

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:

> “যখন কোনো ব্যক্তি বয়ঃপ্রাপ্ত হয়, তখন তার জন্য সতরের অংশ হচ্ছে নাভি থেকে হাটু পর্যন্ত।”
📚 (সুনান আবু দাউদ: ৩১৪০)

এ হাদীসটি পুরুষদের সতর স্পষ্ট করে দেয়: নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত অংশ ঢেকে রাখা ফরজ।

📘 হাদীস ২:

রাসূল ﷺ বলেন:

কোনো পুরুষ যেন পুরুষের সতরের দিকে না তাকায় এবং কোনো নারী যেন নারীর সতরের দিকে না তাকায়।
📚 (সহীহ মুসলিম: ৩৩৮)

হাদীস ৩:

হজরত আয়েশা (রাঃ) বলেন:

রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন আমাকে দেখাতেন, আমি সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতাম, এমনকি আমার হাতের আঙুলও।
📚 (আবু দাউদ, হাদীস: ৪১০৪)

এর থেকে নারীদের সতরের গুরুত্ব স্পষ্ট হয়।

৩. সতরের সীমা: (ইসলামিক ফিকাহ অনুযায়ী)

ব্যক্তি সতরের সীমা

পুরুষ নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত
নারী (অন্য নারীর সামনে) নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত
নারী (নামাহরাম পুরুষের সামনে) সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে রাখতে হবে, কেবল চোখ (বা প্রয়োজনে হাত) খোলা রাখা যেতে পারে
নামাজে সতর নামাজের সময় পুরুষের জন্য নাভি থেকে হাঁটু, নারীর জন্য মাথা থেকে পা পর্যন্ত (চেহারা, হাত ও পা ছাড়া) আবৃত রাখতে হবে

সতর না ঢাকার গুনাহ:

রাসূল ﷺ বলেন:

দুই শ্রেণির মানুষ জাহান্নামের অধিবাসী হবে যাদের আমি এখনো দেখিনি—(১) সেই নারীরা যারা পোশাক পরা সত্ত্বেও নগ্ন, অন্যদের আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে হাঁটে..
📚 (সহীহ মুসলিম: ২১২৮)

এতে বোঝা যায়, সতরের লঙ্ঘন শুধু দুনিয়ার নয়, আখিরাতের শাস্তিও ডেকে আনে।

উপসংহার:

সতর ঢেকে রাখা ইসলামে শুধু পর্দা নয়, এটি ইমানের একটি অংশ। মুসলমান নারী-পুরুষের উচিত সতরের গুরুত্ব বোঝা, শালীন পোশাক পরিধান করা এবং আল্লাহর আদেশ অনুসরণ করা।
#সতর #ইসলামীশালীনতা #নারীরপর্দা #পর্দা #ইসলামীজীবন #আল্লাহরআদেশ #আখিরাতেরপ্রস্তুতি

23/05/2025

জুমু’আর দিনে করণীয়

সালমান ফারসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি জুমু’আর দিন গোসল করে এবং যথাসম্ভব উত্তমরূপে পবিত্রতা অর্জন করে, এরপর তেল মেখে নেয় অথবা সুগন্ধি ব্যবহার করে, তারপর (মসজিদে) যায়, আর দু’জনের মধ্যে ফাঁক করে না এবং তার ভাগ্যে নির্ধারিত পরিমান সালাত আদায় করে। আর ইমাম যখন (খুতবার জন্য) বের হন তখন চুপ থাকে। তার এ জুমু’আ এবং পরবর্তী জুমু’আর মধ্যবর্তী যাবতীয় গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। [Bukhari:910]

[সিয়া সিত্তাহ হাদিস

18/04/2025

জুমার দিন ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও ফজিলতপূর্ণ। এই দিনের বিশেষ মর্যাদা রয়েছে এবং জুমার নামাজ হচ্ছে মুসলমানদের জন্য সাপ্তাহিক ঈদের মতো। নিচে জুমার করণীয় এবং জুমার নামাজ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

---

জুমার দিনের করণীয়:

১. গোসল করা (غسل):

রাসূল (সা.) বলেছেন,
"প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের উপর জুমার দিন গোসল করা ওয়াজিব।"
(সহীহ বুখারী)

২. পরিচ্ছন্ন জামা পরা ও সুগন্ধি ব্যবহার:

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও ভাল জামা পরা এবং আতর ব্যবহার করা সুন্নত।

৩. মিসওয়াক করা:

দাঁত পরিষ্কার করা।

৪. সুরা কাহফ তিলাওয়াত:

হাদীস: "যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা কাহফ পড়বে, তার জন্য দুই জুমার মধ্যকার সময় পর্যন্ত নূর (আলো) থাকবে।"
(হাকেম)

৫. বেশি বেশি দরূদ শরীফ পাঠ করা:

রাসূল (সা.) বলেন: "তোমরা জুমার দিনে আমার উপর বেশি বেশি দরূদ পাঠ করো।"
(আবু দাউদ)

৬. জুমার পূর্বে মসজিদে তাড়াতাড়ি যাওয়া:

যত আগে মসজিদে যাবে, তত বেশি সওয়াব।

৭. নফল নামাজ পড়া (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ):

মসজিদে ঢোকার পর বসার আগে ২ রাকাত নামাজ পড়া সুন্নত।

৮. খুতবা মনোযোগ দিয়ে শোনা:

খুতবার সময় একদম চুপ থাকা ফরজ। কথা বলা হারাম।

৯. দোয়া করা:

জুমার দিনে বিশেষ একটি মুহূর্ত আছে, যখন দোয়া কবুল হয়। বেশিরভাগ উলামায়ে কেরাম বলেন, সেটা আসরের পর থেকে মাগরিবের আগে।

---

জুমার নামাজ সম্পর্কে:

ফরজ রাকাত:

২ রাকাত জামাআতে পড়া ফরজ (ইমামের পিছনে)। এটি ছাড় দিলে বড় গুনাহ।

সুন্নত রাকাত (সাধারণভাবে):

1. জুমার আগে – ৪ রাকাত (সুন্নত)

2. জুমার ফরজ – ২ রাকাত (ইমামের পিছনে)

3. জুমার পরে – ৪ বা ২ রাকাত (সুন্নতে মুঅাক্কাদা)

মোট = ১০ রাকাত (সুন্নত + ফরজ)

---

সংক্ষিপ্ত মনে রাখার জন্য:

জুমার প্রস্তুতি = গোসল + পরিষ্কার জামা + আতর + মিসওয়াক + সূরা কাহফ + দরূদ + তাড়াতাড়ি মসজিদ + নফল নামাজ + খুতবা শুনা + জুমার নামাজ আদায় + দোয়া।

জুমার নামাজের ফজিলত (فضیلت):

1. হাদীসে এসেছে:
“সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন হচ্ছে জুমা। এই দিনে আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিনেই তাকে জান্নাত থেকে বের করা হয়। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।”
(মুসলিম)

2. গুনাহ মাফের সুযোগ:
“যে ব্যক্তি সুন্দরভাবে অজু করে, তারপর জুমা আদায় করে, তার আগের জুমা থেকে বর্তমান জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ মাফ হয়ে যায়।”
(মুসলিম)

3. দোয়া কবুলের বিশেষ সময়:
জুমার দিনে এমন একটি সময় আছে যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার দোয়া কবুল করে নেন। অনেক হাদীসে বলা হয়েছে, এই সময়টা আসরের পর থেকে মাগরিবের পূর্বে হতে পারে।

---

আরও কিছু করণীয়

জুমার দিনের সকালেই দরূদ শরীফ বেশি করে পড়া।

গরিব, অসহায়দের খোঁজ নেওয়া ও সদকা প্রদান।

পরিবার ও সন্তানদের নিয়ে জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝানো।

ঘরের পরিবেশও জুমার দিনের মর্যাদা অনুযায়ী গুছিয়ে রাখা।

30/03/2025

অগ্রিম ঈদ মোবারক! 🌙✨

আলহামদুলিল্লাহ! রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের মাস শেষে আসছে খুশির দিন – ঈদুল ফিতর। এই দিন আল্লাহর অপার দয়া ও অনুগ্রহের বহিঃপ্রকাশ। আসুন, কৃতজ্ঞ চিত্তে আল্লাহর প্রশংসা করি, তাকওয়ার সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করি।

🌿 ঈদের শিক্ষা:
✅ পরস্পরের প্রতি দয়া ও ভালোবাসা প্রকাশ করা
✅ গরিব-দুঃখীদের সহায়তা করা
✅ আত্মীয়তার বন্ধন দৃঢ় করা
✅ তাকওয়া ও ইবাদতের ওপর অটল থাকা

✨ আল্লাহ আমাদের সকল নেক আমল কবুল করুন, গুনাহ মাফ করুন এবং ঈদকে রহমত ও বরকতের উৎস বানিয়ে দিন। ✨

আপনাকে ও আপনার পরিবারকে জানাই অগ্রিম ঈদ মোবারক!
🌸 তাকাব্বালাল্লাহু মিননা ওয়া মিনকুম! 🌸

োবারক #তাকওয়ার_পথে #আল্লাহর_দয়া

27/03/2025

পেরেশানি, দুশ্চিন্তা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কুরআন ও হাদিসে বেশ কিছু আমল নির্দেশিত হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমল উল্লেখ করা হলো:

১. আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল (ভরসা করা)

আল্লাহ বলেন:
"যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, আল্লাহ তাকে যথেষ্ট।" (সূরা তালাক: ৩)

➡ করণীয়: প্রতিটি কাজে আল্লাহর উপর ভরসা করুন, মনে রাখুন—তিনি আমাদের সব সমস্যার সমাধানকারী।

---

২. ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করা

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তাকে প্রতিটি কষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন এবং অপ্রত্যাশিতভাবে রিজিক দান করবেন।" (আবু দাউদ)

➡ করণীয়: প্রতিদিন বেশি বেশি "আস্তাগফিরুল্লাহ" বলা।

---

৩. দোয়া করা (বিশেষ কিছু দোয়া)

রাসূল ﷺ বিভিন্ন সময়ে কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কিছু দোয়া শিখিয়েছেন:

✅ ১ম দোয়া:
اللهم إني أعوذ بك من الهم والحزن، والعجز والكسل، والجبن والبخل، وضلع الدين وغلبة الرجال
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল-হাম্মি ওয়াল-হাজানি, ওয়াল-আযজি ওয়াল-কাসলি, ওয়াল-জুবনি ওয়াল-বুখলি, ওয়ালা-বালিদ্দাইনি ওয়াগালাবাতির-রিজাল।
➡ অর্থ: "হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও বিষণ্নতা, অপারগতা ও অলসতা, কাপুরুষতা ও কৃপণতা, ঋণের বোঝা ও মানুষের প্রভাব থেকে আশ্রয় চাই।" (বুখারি, মুসলিম)

✅ ২য় দোয়া:
حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ
➡ উচ্চারণ: হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল-ওয়াকীল।
➡ অর্থ: "আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি সর্বোত্তম কার্যনির্বাহক।" (সূরা আলে ইমরান: ১৭৩)

✅ ৩য় দোয়া:
اللهم لا سهل إلا ما جعلته سهلا وأنت تجعل الحزن إذا شئت سهلا
➡ উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লা সাহলা ইল্লা মা জা'আলতাহু সাহলা, ওয়া আন্তা তাজআলুল হাজনা ইজা শিতা সাহলা।
➡ অর্থ: "হে আল্লাহ! আপনি যা সহজ করেন তাই সহজ। আপনি চাইলে কষ্টও সহজ করে দিতে পারেন।" (ইবনে হিব্বান)

---

৪. সকালে ও রাতে সূরা পড়া

✅ সূরা আল-বাকারা:
রাসূল ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি তার বাড়িতে সূরা আল-বাকারা তিলাওয়াত করবে, শয়তান সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাবে।" (মুসলিম)

✅ সূরা আল-ইখলাস, ফালাক, নাস (৩ বার করে) ও আয়াতুল কুরসি
➡ সকালে ও রাতে পড়লে পেরেশানি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

✅ সূরা আশ-শারহ (আল-ইনশিরাহ) পড়া
➡ এই সূরায় বলা হয়েছে, "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে সহজি আছে" (সূরা ৯৪:৫-৬)। এটি পড়লে মন হালকা হয়।

---

৫. দরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়া

রাসূল ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করে, আল্লাহ তার দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেন।" (তিরমিজি)

✅ দরুদ ইবরাহিম (সালাতের মধ্যে যা পড়া হয়)
✅ ছোট দরুদ: اللهم صل على محمد وعلى آل محمد

---

৬. রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া

রাসূল ﷺ বলেছেন:
"তাহাজ্জুদ নামাজের মাধ্যমে দুঃখ-কষ্ট দূর হয় এবং কল্যাণ লাভ হয়।" (তিরমিজি)

➡ করণীয়: রাতে উঠতে পারলে ২ বা ৪ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়ুন, আল্লাহর কাছে কাঁদুন।

---

৭. গরিব-অসহায়দের সাহায্য করা

রাসূল ﷺ বলেছেন:
"যে ব্যক্তি অন্যের কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তার কষ্ট দূর করবেন।" (মুসলিম)

➡ করণীয়: সদকা দিন, গরিবদের খাবার দিন, দুআ করুন।

---

৮. সর্বদা ধৈর্য ধরা ও আল্লাহকে স্মরণ করা

➡ "ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন" বেশি বলা।
➡ আল্লাহর যিকির করা (সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার)।

৯. আল্লাহর ৯৯টি নামের মাধ্যমে দোয়া করা

➡ আস্মা-উল-হুসনা (আল্লাহর সুন্দর নামগুলো) তিলাওয়াত করা।
➡ বিশেষ করে "ইয়া হাইয়্যু, ইয়া কাইয়্যুম, বিআ রহমাতিকা আসতাগীস" বেশি বেশি বলা।
➡ অর্থ: "হে চিরঞ্জীব, হে বিশ্বচালক! আমি আপনার রহমতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করছি।" (তিরমিজি)

---

১০. নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া

➡ কোনো বিপদ আসলে প্রথমে নিজের আমল পর্যালোচনা করা উচিত।
➡ আল্লাহ বলেন: "যে ব্যক্তি তওবা করে, আমি তার সব দুঃখ-কষ্ট দূর করে দেই।" (সূরা হূদ: ৩)
➡ প্রতিদিন "আস্তাগফিরুল্লাহ" অন্তত ১০০ বার বলা।

---

১১. রিজিক বৃদ্ধির আমল

➡ "বিসমিল্লাহিল্লাহি লা ইলা-হা ইল্লা হুয়া" পড়া (আবু দাউদ)।
➡ ফজরের পর সূরা ওয়াকিয়া পড়া (রিজিকের সংকট দূর হয়, ইবনে মাজাহ)।
➡ সকাল-বিকেলে "লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ" বেশি বেশি বলা (বুখারি)।

---

১২. ঘুমানোর আগে বিশেষ কিছু দোয়া পড়া

➡ সূরা আল-মুলক পড়লে বিপদ ও কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়া যায় (তিরমিজি)।
➡ আয়াতুল কুরসি পড়লে সারারাত নিরাপদ থাকা যায় (বুখারি)।
➡ সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস (৩ বার করে) পড়া।

---

১৩. জুমার দিনে বেশি বেশি দোয়া ও আমল করা

➡ রাসূল ﷺ বলেছেন, "জুমার দিনে একটি বিশেষ মুহূর্ত আছে, যেখানে দোয়া কবুল হয়।" (বুখারি)
➡ জুমার দিনে সূরা কাহফ পড়া (মুসলিম)।
➡ দরুদ শরীফ বেশি বেশি পড়া।

---

১৪. সালাতুত হাজত নামাজ পড়া (প্রয়োজনের নামাজ)

➡ কোনো বড় সমস্যায় পড়লে ২ রাকাত সালাতুত হাজত নামাজ পড়ুন।
➡ তারপর আল্লাহর কাছে নিজের সমস্যার কথা বলুন এবং সাহায্য চান।

---

১৫. দুঃখ-কষ্ট দূর করার জন্য এই দোয়াটি বেশি পড়ুন

✅ لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمٰوَاتِ وَرَبُّ الْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ
➡ উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আজিমুল হালিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুল আরশিল আজিম, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রব্বুল আরদি ওয়া রব্বুল আরশিল কারিম।
➡ অর্থ: "আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি মহান ও পরম সহনশীল। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি মহাপরাক্রমশালী আরশের প্রতিপালক। আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি আসমান-জমিন ও মহিমান্বিত আরশের প্রতিপালক।" (বুখারি, মুসলিম)

---

১৬. দান-সদকা করা (সদকা কষ্ট দূর করে)

➡ রাসূল ﷺ বলেছেন, "সদকা বিপদ-আপদ দূর করে।" (তিরমিজি)
➡ গোপনে বা প্রকাশ্যে গরিব-অসহায়দের সাহায্য করুন।

---

১৭. অধিক পরিমাণে 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' পড়া

➡ "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, ও হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির"
➡ ১০০ বার পড়লে পেরেশানি দূর হয়। (বুখারি, মুসলিম)

---

সংক্ষেপে করণীয়:

✅ বেশি বেশি ইস্তিগফার করুন।
✅ আল্লাহর ৯৯ নামের মাধ্যমে দোয়া করুন।
✅ আয়াতুল কুরসি, সূরা ওয়াকিয়া ও সূরা মুলক পড়ুন।
✅ সালাতুত হাজত নামাজ পড়ুন।
✅ দরুদ শরীফ বেশি পড়ুন।
✅ গরিবদের সাহায্য করুন।
✅ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: ধৈর্য ধরুন এবং আল্লাহর উপর ভরসা রাখুন।

আল্লাহ আমাদের সকল পেরেশানি ও দুশ্চিন্তা দূর করুন। আমিন!

---

শেষ কথা:

➡ সবচেয়ে বড় বিষয় হলো আল্লাহর উপর ভরসা রাখা।
➡ সবর করুন, ইবাদত করুন, কুরআন পড়ুন, আর বেশি বেশি দোয়া করুন।
➡ যত কষ্টই আসুক, মনে রাখুন—আল্লাহ আপনার দোয়া শুনছেন এবং আপনাকে সাহায্য করবেন।

আল্লাহ আপনাকে সকল পেরেশানি থেকে মুক্তি দান করুন! আমিন।

27/03/2025

✨ শবে কদর: হাজার মাসের চেয়েও উত্তম এক রাত ✨

রমজানের শেষ দশকের যে কোনো বেজোড় রাত হতে পারে লাইলাতুল কদর, বিশেষ করে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯তম রাত। অনেক ইসলামিক স্কলারদের মতে, ২৭তম রাতেই শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

🔹 কেন এই রাত এত গুরুত্বপূর্ণ?
➡️ কুরআন নাজিলের রাত: এই রাতে মহান আল্লাহ মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল-কুরআন নাজিল করেছেন।
➡️ হাজার মাসের চেয়েও উত্তম: এই রাতের ইবাদত ৮৩ বছর ৪ মাস ইবাদতের সমান!
➡️ ফেরেশতাদের আগমন: আল্লাহর নির্দেশে জিব্রাইল (আ.)-সহ বহু ফেরেশতা এই রাতে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

🔹 কুরআনের আলোকে শবে কদরের ফজিলত:
📖 সুরা আল-কদর:
"নিশ্চয়ই আমি কদরের রাতে কুরআন অবতীর্ণ করেছি। কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। সে রাতে ফেরেশতারা ও জিব্রাইল তাদের প্রতিপালকের আদেশক্রমে প্রত্যেক কাজে অবতীর্ণ হয়। এটি শান্তিতে পূর্ণ রাত, যা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।"
📖 (সুরা আল-কদর: ১-৫)

🔹 হাদিসের আলোকে শবে কদরের গুরুত্ব:
➤ রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,
"যে ব্যক্তি ঈমান ও সওয়াবের আশায় কদরের রাতে ইবাদত করবে, তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।"
📜 (সহিহ বুখারি: ২০১৪, সহিহ মুসলিম: ৭৬০)

🔹 আমরা এই রাতে কী করতে পারি?
✅ তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া (এই রাতে ২ রাকাত হলেও পড়ুন)
✅ কুরআন তিলাওয়াত করা (অন্তত কিছু আয়াত হলেও পড়ুন)
✅ অশ্রুসজল দোয়া করা (বিশেষ করে ক্ষমা প্রার্থনা)
✅ গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা
✅ দরুদ শরিফ ও ইস্তিগফার পাঠ করা

🔹 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দোয়া:
🌙 রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, শবে কদরের রাতে এই দোয়াটি বেশি বেশি পড়ুন—

اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
"হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তাই আমাকে ক্ষমা করে দিন।"
📜 (তিরমিজি: ৩৫১৩)

💌 আমাদের করণীয়:
এই রাতটি পাওয়া মানে এক বিরাট নেয়ামত! আসুন, আমরা সবাই নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাই, বেশি বেশি ইবাদত করি, এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করি।

🤲 আল্লাহ আমাদের সবাইকে শবে কদরের বরকত লাভের তাওফিক দান করুন, আমিন!

21/03/2025

মসজিদে যাওয়ার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় রয়েছে, যা কুরআন ও হাদিসের আলোকে নির্ধারিত হয়েছে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো—

---

১. পবিত্রতা অর্জন করা (ওজু বা গোসল করা)

মসজিদে প্রবেশের আগে পবিত্র থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওজু করা সুন্নত, আর যদি নাপাক অবস্থায় থাকেন, তাহলে গোসল করা ফরজ।

হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"যে ব্যক্তি ওজু করে এবং উত্তমভাবে ওজু করে, তারপর মসজিদে যায়, আল্লাহ তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে একটি নেকী লেখেন, একটি গুনাহ মোচন করেন এবং তার মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।"
(মুসলিম: ৬৬৬)

---

২. উত্তম পোশাক পরিধান করা

মসজিদে যাওয়ার সময় পরিচ্ছন্ন ও শালীন পোশাক পরা সুন্নত।

আল কুরআন:

"হে আদম সন্তান! তোমরা প্রত্যেক নামাজের সময় নিজেদের সৌন্দর্যের পোশাক পরিধান করো।"
(সূরা আল-আ‘রাফ: ৩১)

---

৩. মিসওয়াক বা দাঁত পরিষ্কার করা

মসজিদে যাওয়ার আগে দাঁত ও মুখ পরিষ্কার করা উত্তম আমল।

হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো, তবে আমি তাদেরকে প্রত্যেক নামাজের সময় মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম।"
(বুখারি: ৮৮৭, মুসলিম: ২৫২)

---

৪. ঘরে দুই রাকাত সুন্নত নামাজ পড়া (মসজিদে যাওয়ার আগে)

মসজিদে যাওয়ার আগে ঘরে দুই রাকাত নামাজ পড়া মুস্তাহাব।

হাদিস:

"তোমাদের কেউ যখন মসজিদে যায়, সে যেন যাওয়ার আগে তার ঘরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে নেয়।"
(মুসলিম: ৭৩৩)

---

৫. ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা ও দোয়া পড়া

মসজিদে প্রবেশ করার সময় ডান পা আগে প্রবেশ করানো এবং দোয়া পড়া সুন্নত।

দোয়া:

اللَّهُمَّ افْتَحْ لِي أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইফতাহ্‌ লি আবওয়াবা রাহমাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার জন্য তোমার রহমতের দরজা খুলে দাও।
(মুসলিম: ৭১৩)

---

৬. আজান দিলে মসজিদের দিকে দ্রুত যাওয়া

আজানের পর ধীরস্থিরভাবে তাড়াতাড়ি মসজিদের দিকে যাওয়া সুন্নত।

হাদিস:

"যখন তোমরা নামাজের আহ্বান শুনবে, তখন তাৎক্ষণিকভাবে নামাজের দিকে এগিয়ে যাও।"
(বুখারি: ৬৩১, মুসলিম: ৬০২)

---

৭. ইতিকাফের নিয়ত করা (যদি সম্ভব হয়)

মসজিদে প্রবেশ করার সময় ইতিকাফের নিয়ত করা উত্তম আমল।

নিয়ত:

نَوَيْتُ الْإِعْتِكَافَ فِيْ هَذَا الْمَسْجِدِ مَا دُمْتُ فِيهِ
উচ্চারণ: নাওয়াইতুল ই’তিকাফা ফি হাযাল মাসজিদি মা দুমতু ফিহি।
অর্থ: আমি যতক্ষণ মসজিদে থাকবো, ততক্ষণ ইতিকাফের নিয়ত করলাম।

---

৮. নামাজের আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া

মসজিদে প্রবেশ করার পর বসার আগে দুই রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া সুন্নত।

হাদিস:

"তোমাদের কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন বসার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে।"
(বুখারি: ৪৪৪, মুসলিম: ৭১৪)

---

৯. সুগন্ধি ব্যবহার করা (পুরুষদের জন্য, মহিলাদের জন্য নয়)

পুরুষদের জন্য মসজিদে যাওয়ার আগে সুগন্ধি ব্যবহার করা মুস্তাহাব। তবে মহিলাদের জন্য তা নিষিদ্ধ।

হাদিস:

রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন—
"যে নারী সুগন্ধি ব্যবহার করে মসজিদে আসে, তার নামাজ কবুল হয় না যতক্ষণ না সে ফিরে গিয়ে সুগন্ধি ধুয়ে ফেলে।"
(আবু দাউদ: ৪১৭٣, নাসাঈ: ৫১২৫)

---

১০. দুনিয়াবি কথা কম বলা ও খুশু-খুজু রাখা

মসজিদে ঢোকার পর দুনিয়াবি কথা বলা থেকে বিরত থাকা এবং নামাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া জরুরি।

হাদিস:

"মসজিদ নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও আল্লাহকে স্মরণ করার জন্য। তাই এখানে দুনিয়াবি কথা বলা উচিত নয়।"
(ইবনে মাজাহ: ৭৫০)

---

সংক্ষেপে মূল করণীয় সমূহ:

✅ পবিত্রতা অর্জন (ওজু বা গোসল)।
✅ পরিষ্কার পোশাক পরা।
✅ মিসওয়াক বা দাঁত পরিষ্কার করা।
✅ ঘরে দুই রাকাত নামাজ পড়া।
✅ ডান পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা ও দোয়া পড়া।
✅ আজানের পর দ্রুত মসজিদে যাওয়া।
✅ ইতিকাফের নিয়ত করা।
✅ বসার আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজ পড়া।
✅ সুগন্ধি ব্যবহার করা (শুধু পুরুষদের জন্য)।
✅ দুনিয়াবি কথা কম বলা ও মনোযোগ সহকারে ইবাদত করা।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে মসজিদে যাওয়ার আদব ঠিক রেখে যথাযথভাবে ইবাদত করার তাওফিক দান করুন, আমিন!

15/03/2025

১. ধৈর্য ধারণকারীদের জন্য আল্লাহর সাহায্য:

سورة البقرة (আল-বাকারা) ২:১৫৩
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
অর্থ: “হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।”

২. বিপদে ধৈর্য ধরার পুরস্কার:

সورة البقرة (আল-বাকারা) ২:১৫৫-১৫৭
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ ۗ وَبَشِّرِ الصَّابِرِينَ
অর্থ: “আমি অবশ্যই তোমাদের পরীক্ষা করব কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলের ক্ষতির মাধ্যমে। আর তুমি ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও।”

৩. কষ্টের পর সহজি আসবে:

سورة الشرح (আল-ইনশিরাহ) ৯৪:৫-৬
فَإِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا ۝ إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا
অর্থ: “নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে সহজি রয়েছে। আবারও বলছি, কষ্টের সঙ্গে সহজি রয়েছে।”

07/03/2025

আজ শুক্রবারের নামাজের মোট রাকাত সংখ্যা এবং তাৎপর্য বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো—

জুমার নামাজের সম্পূর্ণ রাকাতসমূহ

ফরজ ও সুন্নতসহ নামাজের বিবরণ:

1. জুমার পূর্বে সুন্নত: ৪ রাকাত (সুন্নতে মুআক্কাদা)

2. জুমার ফরজ: ২ রাকাত (ওয়াজিব) – ইমামের সাথে জামাতে পড়তে হয়

3. জুমার পরে সুন্নত: ৪ রাকাত (সুন্নতে মুআক্কাদা)

4. পরবর্তী অতিরিক্ত সুন্নত: ২ রাকাত (সুন্নত)

মোট: ১২ রাকাত

তবে কেউ চাইলে ২ রাকাত নফল নামাজও আদায় করতে পারেন, যা আরও সওয়াবের কাজ।

বিবরণ:

জুমার ফরজ (২ রাকাত) ছাড়া বাকি সব সুন্নত মুআক্কাদা, অর্থাৎ নিয়মিত পড়া রাসুল (সা.)-এর অভ্যাস ছিল।

ফরজ নামাজের আগে ও পরে সুন্নত নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে।

যদি কেউ মসজিদে প্রবেশ করে এবং খুতবা শুরু হয়নি, তবে সে ২ রাকাত তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামাজও পড়তে পারে।

বিধান:

পুরো নামাজ আদায় করা উত্তম ও সুন্নাত।

কেউ যদি ৪ রাকাত পরবর্তী সুন্নত না পড়ে, তবে কোনো গুনাহ হবে না, তবে তা না পড়া বাঞ্ছনীয় নয়।

আশা করি, আপনি উপকৃত হয়েছেন।

07/03/2025

জুমার ফজিলত ও আনন্দ ভ্রমণ

জুমার ফজিলত:
জুমার দিন হলো মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বরকতময় ও মর্যাদাপূর্ণ দিন। হাদিস শরিফে বলা হয়েছে,

➤ রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
"সপ্তাহের সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন। এই দিনে আদম (আ.) কে সৃষ্টি করা হয়, এই দিনেই তিনি জান্নাতে প্রবেশ করেন এবং এই দিনেই তিনি জান্নাত থেকে নামেন। কিয়ামতও এই দিনেই সংঘটিত হবে।" (মুসলিম, ৮৫৪)

জুমার দিনে বিশেষ আমলসমূহ:
✅ গোসল ও উত্তম পোশাক পরিধান করা
✅ জুমার নামাজ পড়া ও খুতবা শোনা
✅ দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া
✅ সুরা কাহফ তেলাওয়াত করা
✅ দোয়া করা (জুমার দিনে বিশেষ মুহূর্ত আছে, যেখানে দোয়া কবুল হয়)

---

জুমার দিনে আনন্দ ভ্রমণ

জুমার নামাজের পর একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরতে যাওয়া, প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা, আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা – এসবও ভালো কাজ। রাসুলুল্লাহ ﷺ মাঝে মাঝে সাহাবাদের নিয়ে বেড়াতে যেতেন, বিশেষ করে নামাজের পর আলোচনা ও ভ্রমণ করতেন।

ভ্রমণের কিছু ভালো দিক:
✔ মন প্রশান্ত হয়, মানসিক চাপ কমে
✔ আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে ভাবার সুযোগ হয়
✔ পরিবারের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটানো যায়
✔ শরীরচর্চা হয়, সুস্থ থাকা যায়

আজ যদি সুযোগ থাকে, তাহলে জুমার নামাজের পর কাছের কোনো সুন্দর জায়গায় গিয়ে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখা যায়। সমুদ্র, পাহাড়, নদী বা কোনো পার্কে সময় কাটালে মনও ভালো থাকবে। তবে অবশ্যই নামাজ ও আল্লাহর স্মরণ যেন ভুলে না যাই।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে জুমার বরকত দান করুন এবং এই দিনকে আনন্দময় ও ইবাদতে ভরিয়ে তুলতে তৌফিক দিন। আমিন।

04/03/2025

রমজানের প্রতিটি দিনই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে আপনি নিম্নলিখিত আমলগুলো করতে পারেন—

১. কুরআন তিলাওয়াত করা

🔹 প্রতিদিন অন্তত কিছু পরিমাণ কুরআন তিলাওয়াত করুন।
🔹 সুরা মুলক ও সুরা ওয়াকিয়া রাতের বেলা পড়তে পারেন।

২. বেশি বেশি দোয়া ও ইস্তিগফার করা

🔹 রমজান গুনাহ মাফের মাস, তাই বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়ুন।
🔹 তওবার দোয়া:
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ العَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।
অর্থ: "হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল, ক্ষমা করতে ভালোবাসো, আমাকে ক্ষমা করে দাও।"

৩. দান-সদকা করা

🔹 রমজানে দান-সদকার সওয়াব ৭০ গুণ বেশি হয়।
🔹 গোপনে কাউকে সাহায্য করতে পারেন।

৪. নফল নামাজ পড়া

🔹 তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ুন— এটি কবুল হওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়।
🔹 দোহা (চাশত) নামাজ পড়তে পারেন।

৫. বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া

🔹 দরুদ পাঠ করলে গুনাহ মাফ হয়, রহমত নাযিল হয়।
🔹 ১০০ বার দরুদ ইবরাহিমি পড়ুন।

৬. শবেবরাত, লাইলাতুল কদর পাওয়ার দোয়া

🔹 আমরা জানি না কোন রাত লাইলাতুল কদর, তাই আজ থেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন তিনি আমাদের সেই রাত পর্যন্ত পৌঁছার তাওফিক দেন।

"রমজান আত্মশুদ্ধির মাস, কুরআনের মাস, রহমতের মাস। আসুন, বেশি বেশি ইবাদত করি, গুনাহ থেকে বাঁচি এবং আমাদের রবের কাছে ফিরে আসি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন।"

দান-সদকার প্রতি উৎসাহিত করা:

"রমজানে একটি ছোট দানও পাহাড়সম সওয়াবের সমান হতে পারে। আপনার সামান্য দান কারও ইফতারের কারণ হতে পারে, কারও চোখের পানি মুছতে পারে। আসুন, দান করার অভ্যাস গড়ে তুলি।"

নামাজ ও কুরআন তিলাওয়াতের গুরুত্ব:

"রমজানের প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। যারা এখনো নামাজ শুরু করেননি, আজই শুরু করুন। যারা কুরআন পড়তে গাফেল, আজই কুরআনের দিকে ফিরে আসুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন।"

ক্ষমার বার্তা:

"রমজান শুধু রোজা রাখার মাস নয়, এটি আমাদের আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার মাস। এই পবিত্র মাসে যদি আমার দ্বারা কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, দয়া করে ক্ষমা করে দিন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।"

লাইলাতুল কদরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ:

"রমজান দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে! আমরা জানি না কোন রাত হবে লাইলাতুল কদর। আসুন, আজ থেকেই আল্লাহর কাছে দোয়া করি, যেন আমরা সে রাতের ইবাদত করতে পারি।"

আশা করি, এই আমল ও স্ট্যাটাস আপনার কাজে আসবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন!

Address


Telephone

+258878191140

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mohammad Misbah uddin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share