07/01/2025
প্রাগের ক্রিসমাস সময়ে চার্লস ব্রিজ যেন এক রূপকথার জগৎ। দিনের আলো নিভে গেলে যখন সারা শহর ক্রিসমাস আলোয় সেজে ওঠে, তখন চার্লস ব্রিজে একটি বিশেষ ঐতিহ্য নতুন রূপ পায়—গ্যাস ল্যাম্প জ্বালানো।
এই ঐতিহ্য শহরের ইতিহাসের গভীরে প্রোথিত। প্রাগে ১৮৫৫ সালে প্রথম গ্যাস ল্যাম্প স্থাপন করা হয়, এবং চার্লস ব্রিজ ছিল সেই গ্যাস লাইটিং যুগের এক উজ্জ্বল অংশ। আজ, আধুনিক প্রযুক্তির এই যুগেও, চার্লস ব্রিজের গ্যাস ল্যাম্পগুলো হাতে জ্বালানোর ঐতিহ্য ধরে রাখা হয়েছে।
সন্ধ্যার নীরবতা ভেঙে এক বিশেষ “ল্যাম্পলাইটার” বা বাতি প্রজ্জ্বলক ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে হাতে একটি লম্বা কাঠি নিয়ে ব্রিজের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হাঁটেন। তিনি একের পর এক ল্যাম্প জ্বালাতে থাকেন। বাতিগুলো যখন একে একে জ্বলে ওঠে, তখন ব্রিজ যেন এক জাদুকরী আলোয় ভরে যায়। ঐতিহ্যবাহী এই ল্যাম্প জ্বালানোর দৃশ্য কেবল পর্যটকদের জন্যই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও এক আবেগঘন মুহূর্ত।
প্রতিটি ল্যাম্প জ্বলার সঙ্গে সঙ্গে চার্লস ব্রিজের পাথুরে পথ, প্রাচীন ভাস্কর্য, এবং ভলটাভা নদীর স্রোত যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। দূর থেকে দেখা যায়, ব্রিজের আলোকিত ছায়া নদীর জলে মিশে যাচ্ছে। চারপাশে ক্রিসমাস সংগীতের মিষ্টি সুর, ঠাণ্ডা হাওয়া, আর মৃন্ময় আলো পুরো পরিবেশকে এক অসাধারণ রূপে রাঙিয়ে তোলে।
এই ঐতিহ্য শুধু প্রাগের অতীতের গল্প নয়, এটি বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে শহরের ঐতিহাসিক রূপের এক মেলবন্ধন। তাই প্রাগের ক্রিসমাসে চার্লস ব্রিজের গ্যাস ল্যাম্প জ্বালানো শুধু আলো ছড়ানো নয়, বরং সময়ের এক শৈল্পিক ভ্রমণ।
এই ইভেন্ট আমরা আমাদের প্রাগ ভ্রমণের সময় প্রত্যক্ষ করেছিলাম লাকিলি। এর একটি ভিডিও আসছে কাল। চোখ রাখুন।