The Bangla Waves

The Bangla Waves Welcome to The Bangla Waves page. Follow us to celebrate the vibrancy of Bangla life.

"দ্য বাংলা ওয়েভস" হল একটি কমিউনিটি সংবাদপত্র এবং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার এবং বাংলা লেখা ও চিন্তার একটি স্থান প্রদানের জন্য নিবেদিত।
আমাদের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডে বাংলাভাষী সম্প্রদায়কে তাদের গল্প, দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারনা প্রদর্শনের মাধ্যমে যুক্ত করা। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার করা। সংবাদপত্রটি বর্তমান বিষয়, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিনোদন সহ বিভিন্ন বি

ষয় কভার করে এবং পাঠকদের বিস্তৃত পরিসরের কাছে আবেদন করার জন্য বাংলা ও ইংরেজিতে নিবন্ধ প্রকাশ করে। আমরা গুণগত মানের সাংবাদিকতা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের কমুনিটির বিভিন্ন কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করে। এবং সমস্ত নিউজিল্যান্ডবাসীর মধ্যে বোঝাপড়া এবং উপলব্ধি উন্নীত করে।
আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলা ওয়েভস আমাদের কমুনিটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে কাজ করবে, সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে এবং ধারনা শেয়ার করবে। আমরা এই সংবাদপত্রটিকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপে একটি মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন মনে করি। আমরা সংযোজন করতে আমাদের পাঠক এবং অবদানকারীদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।
অনুগ্রহ করে আমাদের পেইজে like এবং follow করুন , আমাদের Instagram এবং Youtube channel গুলোতেও যুক্ত থাকুন। আর অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
--
মাহমুদ রহমান
প্রধান সম্পাদক
___________________
"The Bangla Waves" is a community newspaper and platform dedicated to promoting Bangla language and culture and providing a space for Bangla writing and thinking. Our mission is to serve the Bangla language-speaking community in New Zealand by showcasing their stories, perspectives, and ideas, and promoting the rich cultural heritage of Bangladesh and West Bengal. The newspaper covers a variety of topics, including current events, culture, arts, and entertainment, and features articles in both Bangla and English to appeal to a wide range of readers. We are committed to providing high-quality journalism that reflects the diverse voices in our community and fosters greater understanding and appreciation among all New Zealanders. We believe that "The Bangla Waves" will serve as an important resource for our community, providing a platform for dialogue and exchange of ideas. We look forward to working with our readers and contributors to make this newspaper a valuable and vibrant addition to the media landscape in New Zealand. Please like and follow our page, also stay connected with our Instagram and Youtube channels. And of course don't forget to share.
--
Mahmud Rahman
Editor in Chief

05/05/2023

খুবই কর্মঠ, কাজ পাগলা চাইনিজরা শনি ও রবি দুইদিন ছুটি দেয়; দুপুরে লাঞ্চের পরে ঘুমানোর জন্য ১ ঘন্টা সময় দেয়। শুধু তাই নয়, সবাই যাতে ভালোভাবে ঘুমাতে পারে তার জন্য বিশেষ ধরনের চেয়ার দেয়, পরিবেশ বানিয়ে দেয়।

কেন?

তারা কি বোঝেনা যে ৭ দিনে ৬ দিন ১০/১২ ঘন্টা করে কর্মী কে খাটালে আউটপুট বেশি পাওয়া যাবে?

এই প্রশ্নটি আমি এক চাইনিজ কে করেছিলাম; তিনি উত্তর দিয়েছিলেন ৭ দিনে ৬ দিন ১২/১৪ ঘন্টা খাটিয়ে তুমি শুধু গা-ধা পালবে; কোয়ালিটি পেতে চাইলে তোমাকে মানুষ পালতে হবে, যার ব্রেনকে তুমি যত বৈচিত্র দিতে পারবে, প্রয়োজনমত রেস্ট দিতে পারবে ; ক্রিয়েটিভ আউটপুট পাবে।

তোমার কোম্পানির কাজ যদি গা-ধার কাজ হয় ; মানে বুদ্ধিমত্তা দরকার নাই শুধুমাত্র মাল বহন করতে পারলেই হলো, তাহলে ৭ দিনে পারলে ৭ দিনই কাজ করাও; যখন আর মাল বহন করতে পারবেনা তখন একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটিকে নিয়ে নাও।

কিন্তু যদি বুদ্ধিমত্তার প্রয়োজন হয়, তাহলে তাকে দুইদিন ছুটি, দুপুরে ঘুম, পেইড ভ্যাকেশন ইত্যাদি দিতে হবে।

The Bangla Waves

The Bangla Waves
04/05/2023

The Bangla Waves

Embassy of Bangladesh in Canberra has officially announced the launch of their new website with the address www.canberra...
28/04/2023

Embassy of Bangladesh in Canberra has officially announced the launch of their new website with the address www.canberra.mofa.gov.bd

This website will provide a one-stop platform for all the consular and visa-related services offered by the embassy.

We encourage everyone to visit www.canberra.mofa.gov.bd to explore the new features and services offered on the website.

If you have any questions or need further information, please do not hesitate to contact the embassy via the provided contact information on the website.

The Bangla Waves

Bangladesh and Australia have excellent bilateral relations. Australia was the first country from the developed world to accord recognition to the independence of Bangladesh in 1971. Since the establishment of diplomatic resident mission in each other’s capital, bilateral relation between the two ...

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ ক...
27/04/2023

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী কলেজের কনিষ্ঠ কেরাণী কার্তিক কুমার কর্মকারের কোকিল কন্ঠী কন্যা কপিলা কর্মকার কাশিতে কাশিতে করুণ কন্ঠে কমল কাকাকে কহিল, "কাকা, কড়ি কাঠের কেদারা কিংবা কারখানার কাপড় কেনাকাটায় কৃষাণীরা কিছুটা কৃচ্ছতা করিলেও কলকাতার কিশোরী কন্যাদের কাছে কুষ্টিয়ার কুচকুচে কালো কাতান কাপড়ের কদর কল্পনাতীত।
কীর্তিমান কতিপয় কলাকুশলী কিংবা কিশোর কবিরাও কালি-কলমের কল্যাণে- কদরের কিছু কার্যকর কথা কৌশলে, কখনো কবিতার কিতাবে, কখনো 'কালের কন্ঠ' কাগজের কলামে কহিয়াছেন।
কিন্তু কাকা, কষ্মীনকালে কেউ কী কখনো কহিয়াছেন? কী কারণে, কিসের কারসাজিতে, কেমন করিয়া কোথাকার কোন কাশ্মিরী কম্বল কিংবা কর্ণাটকের কমলা কাতানের কাছে কালক্রমে কুলীন কূলের কায়িক কৃষাণীদের কাঙ্খিত কালজয়ী কারুকার্যময় কাতান কাপড়ের কদর কমিল"?

কাজে-কর্মে কুশীলব কিন্তু কেবলই কৌতুহলী কপিলা কর্মকারের কঠিন কথায় কিঞ্চিত কর্ণপাত করিয়া ক্লান্ত কাকা কুষ্টিয়ার কিংবদন্তি কালো কাতানের ক্রমেই কদর কমার কয়েকটি কারণ কোমল কন্ঠে কপিলার কানে কানে কহিলেন।

কৃষ্ণকায় কাকাকে কাপড়ের কষ্টের কিচ্ছা কাহিনী কহিয়া কপিলা কর্দমাক্ত কলস কাঙ্খে করিয়া কালোকেশী কাকিকে কহিল, _"কাবেরী কোলের কেয়া-কুঞ্জে কোয়েলের কলকাকলি কিংবা কেতকী কদম কুসুম কাননে কোকিলের কন্ঠে কুহু কুহু কুজনের কতই কারিশমা! কিন্তু কাকী, কদর্য কাক কী কারণে কর্কশ কন্ঠে কানের কাছে কেবল কা-কা করে"?_

কাঁচের কংকন করিয়া কিংকর্তব্যবিমূঢ় কাকী কিলানো কাঁঠালের কদলি কচলাইতে কচলাইতে কহিলেন, _"কুৎসিত কেতাদুরস্ত কাকের কাজই কা-কা কলরবে কোলাহল করিয়া কেরামতির কৃতিত্ব কুড়ানো"।_

সংগৃহীত

The Bangla Waves

শুভ নববর্ষ ১৪৩০! এসো আমরাও এ আনন্দ ভাগাভাগি করি আগামি  ৩১শে বৈশাখ (১৪ই মে)!  আপনার টিকেট কিনুন, সীমিত টিকেট (আগে আসলে আগ...
20/04/2023

শুভ নববর্ষ ১৪৩০! এসো আমরাও এ আনন্দ ভাগাভাগি করি আগামি ৩১শে বৈশাখ (১৪ই মে)! আপনার টিকেট কিনুন, সীমিত টিকেট (আগে আসলে আগে পাবেন)।

The Bangla Waves

গুগলের এআই "বার্ড" কিভাবে নিজে থেকে বাংলা ভাষা শিখল তা গুগুলের ইঞ্জিনিয়াররাও বলতে পারছে না!The Bangla Waves
19/04/2023

গুগলের এআই "বার্ড" কিভাবে নিজে থেকে বাংলা ভাষা শিখল তা গুগুলের ইঞ্জিনিয়াররাও বলতে পারছে না!

The Bangla Waves

১৯৫০ সালে তোলা ছবিতে আদমজী জুট মিলের প্রবেশপথ। পাকিস্তানের অন্যতম ধনাঢ্য আদমজী পরিবারের তিন ভাই এ. ওয়াহেদ আদমজী, জাকারি...
12/04/2023

১৯৫০ সালে তোলা ছবিতে আদমজী জুট মিলের প্রবেশপথ। পাকিস্তানের অন্যতম ধনাঢ্য আদমজী পরিবারের তিন ভাই এ. ওয়াহেদ আদমজী, জাকারিয়া আদমজী ও গুল মোহাম্মদ আদমজী যৌথভাবে আদমজী জুটমিল প্রতিষ্ঠা করেন। নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার তীরে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়ায় আদমজী জুটমিল গড়ে ওঠে ২৯৭ একর জমির ওপর। ১৭০০ হেসিয়ান ও ১০০০ সেকিং লুম দিয়ে এই মিলের উৎপাদন শুরু হয় ১৯৫১ সালের ১২ ডিসেম্বর।

 # বাংলাদেশ খবরঃপাসপোর্ট অফিস হেল্পলাইনে ১৬৪৪৫ মিলবে যেসব সেবা:-পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট, এমআরপি পা...
09/04/2023

# বাংলাদেশ খবরঃ

পাসপোর্ট অফিস হেল্পলাইনে ১৬৪৪৫ মিলবে যেসব সেবা:-

পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বরের মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট, এমআরপি পাসপোর্ট এবং ভিসা সম্পর্কিত নিম্নের তথ্যসেবা পাওয়া যাবে ২৪/৭।

> ই-পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা
> ই-পাসপোর্ট ডেলিভারি সম্পর্কিত তথ্য
>অনলাইনে আবেদন করতে কোনো সমস্যা হলে সমাধান
> আবেদন করতে না পারলে তা বুঝিয়ে দেওয়া
> অভিযোগ জানাতে পারবেন
> আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস সম্পর্কে তথ্য জানা যাবে
> এমআরপি পাসপোর্টের অবস্থা (প্রবাসীদের জন্য)
> এমআরপি পাসপোর্টের ডেলিভারি সম্পর্কে জানা যাবে
> এমআরভি ভিসা সংক্রান্ত তথ্য

পাসপোর্ট হেল্পলাইন নম্বর থেকে সেবা নিতে ফি দিতে হবে না। শুধু যে ফোন অপারেটরের মাধ্যমে কথা বলবেন সেই অপারেটর বা কোম্পানি প্রতি মিনিটে যে চার্জ কাটে সেটাই কেটে নেবে।

The Bangla Waves

যে কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বিকল্প নয়———————————-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত ভালো কাজই করুক না কেন, এখন পর্যন্ত মানু...
06/04/2023

যে কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের বিকল্প নয়

———————————-
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত ভালো কাজই করুক না কেন, এখন পর্যন্ত মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল হতে পারেনি
———————————-

বর্তমান সময়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যখন সবকিছুকে ছাপিয়ে যাচ্ছে, অনেকের মনে তখন চাকরি হারানোর ভয় প্রবল হচ্ছে। প্রযুক্তির উন্নয়নে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু মানবশক্তি অগ্রাহ্য করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে এমনটা ভাবা ভুলই বটে।

প্রযুক্তি বিষয়ক কাজগুলো একপাশে রাখলে দেখা যাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক কিছুর আওতার বাইরে থাকবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত ভালো কাজই করুক না কেন, এখন পর্যন্ত মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল হতে পারেনি

____________________________

১। সৃজনী শক্তি

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যত ভালো কাজই করুক না কেন, মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল হতে পারেনি। আর এটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর মানুষের সক্ষমতার মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রেখা টেনে দেয়। এ জন্য এখনো অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন কিছু চিন্তা করা এবং ভবিষ্যতে ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সৃজনশীল কর্মীর সন্ধান করে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অনেক কাজের একক সমাধান হলেও, মানব মস্তিষ্কের সাধারণ বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে পারবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ভবিষ্যতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে সৃজনীক্ষমতা সংযোজন করতে পারলে তা নিশ্চয়ই চমৎকার হবে, তবে সেটি পরিপূর্ণ মানুষের প্রতিস্থাপন করার পরিবর্তে মানুষের সহকারী হিসেবে কাজ করবে।

২। জটিল চিন্তাশক্তি

চারপাশে তথ্য-উপাত্তের কোনো কমতি নেই, কিন্তু সেগুলো যাচাই-বাছাই করে বিশ্বস্ত উৎস নির্বাচন করার ক্ষমতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নেই। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কর্মের যোগান দেওয়া সম্ভব হলেও, চিন্তার বিকল্প যোগানদাতা আবিষ্কার করা যায়নি।

সর্বত্র যখন মিথ্যা, প্রতারণা ও গুজবের ছড়াছড়ি, তখন প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানই জটিলভাবে চিন্তা করে সঠিকতা খুঁজে বের করার জন্য দক্ষ কর্মী চায়, যারা তথ্যের গুণগত বিষয় যাচাই করে নির্ভুল উৎস বাছাই করার ক্ষমতা রাখে। জটিল চিন্তার দক্ষতা মানে কেবল নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকার পরিবর্তে বিশ্বস্ততাকে বোঝায়। আর এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে এখনো আশা করা যায় না।

৩। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তথ্য বিশ্লেষণ করা গেলেও, কোনো তথ্য দিয়ে কী নির্দেশ করে তা বিচার করার ক্ষমতা কেবল মানুষেরই আছে। তথ্য বিবেচনা করে কোন সিদ্ধান্তের প্রভাব সমাজের প্রেক্ষাপটে সুফল বয়ে আনবে তা যন্ত্র বা সফটওয়্যার বুঝবে না। ঠিক একইভাবে, নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নৈতিকতার মানদন্ডে কতটুকু ইতিবাচক তা জানার জন্য মানুষের প্রয়োজন অস্বীকার করার উপায় নেই।� �সিদ্ধান্ত প্রায়ই জটিল হয়ে যায় বিধায় নির্দিষ্ট তথ্য দ্বারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ফলাফল বাতলে দিলেও, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নতুন তথ্য যুক্ত করার ফলে পুনঃসিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সক্ষমতা আছে কেবল মানুষের।

৪। সহযোগিতা ও দলগত কর্মদক্ষতা

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান কর্মীদের সহযোগিতা ও দলগত কাজে পারদর্শিতার গুণাবলীর প্রতি দৃষ্টিপাত করে। কেন না কর্মীরা দলগতভাবে কাজ না করতে পারলে যেমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হবে, তেমনি প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে। এ ছাড়া একে অপরের কাজে সহযোগিতার মনোভাব থাকলে সাফল্য অর্জনের সম্ভাবনা থাকে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দলগত কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে না, সহযোগিতা বিষয়ক দৃষ্টিভঙ্গিও সে ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে না। তাই এই বিষয়টিও কর্মক্ষেত্রে মানুষের প্রাধান্য জোরদার করবে।

৫। আন্তঃযোগাযোগ দক্ষতা

কর্মক্ষেত্রে প্রত্যেকে নানা ধরনের আন্তঃযোগাযোগ দক্ষতার মাধ্যমে সহকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, সম্মান প্রদর্শন করা, সঠিক অঙ্গভঙ্গি করা, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা, অনলাইন যোগাযোগ করা, উদারতা, প্রতিক্রিয়া দেওয়া ইত্যাদি প্রতিদিনকার রুটিনের কাজ।� �ইদানীং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে শ্রবণ ও বাচনিক পারদর্শিতা প্রদর্শন করছে, তবে মানুষের ন্যায় কার্যকরী আন্তঃযোগাযোগে এটির বিচরণ নেই।

৬। গ্রহণযোগ্যতা ও নমনীয়তা

সময়ের সঙ্গে প্রত্যেক মানুষকে নানা বিষয় শিখতে হয়, বর্জন করতে হয়। আজ যে কাজ ভালো ফলাফল এনে দিয়েছে, আগামীকাল তা একইরকম থাকবে তা বলা যায় না। এ অবস্থায় নতুন দক্ষতা অর্জন, পুরোনো দক্ষতা পরিহার বা নতুন-পুরাতনের মিশেলে ভিন্ন কিছুর আনয়নে মানিয়ে নিতে হয়।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নতুন সংস্করণে আসার কম সময়ে মানুষ মানিয়ে নিতে পারে বিধায় কর্মক্ষেত্রে মানুষের অংশগ্রহণ অগ্রাহ্য করার যৌক্তিকতা নেই।

৭। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য

কর্মক্ষেত্রে বিপুল কর্মীর সংযোগ হওয়ার পথ সহজ করতে ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির সঙ্গে যোগাযোগ করার ক্ষমতার প্রয়োজন হয়। আন্তর্জাতিক পরিসীমায় প্রতিষ্ঠানের সাফল্য ধরে রাখতে অন্য সংস্কৃতি, ভাষা, ধর্ম, রাজনৈতিক মতাদর্শ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করতে হয়। দক্ষ কর্মী জাতি, লিঙ্গ, বয়স নির্বিশেষে ভিন্নভাবে যোগাযোগ করতে পারে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নয়।

৮। নেতৃত্বদানে দক্ষতা

নেতৃত্ব কেবল প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গের গুণাবলি নির্দেশ করে না, কর্মক্ষেত্রে যারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ বা দলগত কাজে নির্দেশনা দেয় প্রত্যেকের কাজই নেতৃত্বের আওতাভুক্ত। একজন নেতাই দলের প্রত্যেকের সেরা গুণ চিহ্নিত করতে পারে, দুর্বলতাকে সক্ষমতায় পরিণত করতে পারে। যেকোনো ক্ষেত্রে সফলতা পেতে হলে, যেসব বিষয় সুবিধা দিতে পারে তার মধ্যে এটি অন্যতম। কর্মী নেতৃত্ব দিতে পারলেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষে তা সম্ভব নয়।

৯। নৈতিক সচেতনতা

নৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় প্রায় প্রত্যেককে, যা দক্ষতার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। মানুষ নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে যতটা সহজে এরূপ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা করতে পারবে না। যার ফলে কর্মক্ষেত্রে মানুষের প্রয়োজনীয়তা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

১০। আবেগিক বুদ্ধিমত্তা ও সহানুভূতি

মানুষের আবেগ সচেতনতা, নিয়ন্ত্রণ এবং প্রকাশ করার ক্ষমতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে আলাদা বিশেষত্ব বহন করে। সামাজিক এবং মোবাইল প্রযুক্তি দ্রুত গ্রহণের ফলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের উপায়কে ভিন্ন করেছে। যার ফলে ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি আসক্তি মানুষের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা ও সহানুভূতি কমিয়ে দিচ্ছে।

এই কারণেই মানসিক বা আবেগিক বুদ্ধিমত্তা (ইকিউ) দক্ষতার চাহিদা বাড়ছে। যতক্ষণ কর্মক্ষেত্রে মানুষ থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত আবেগিক বুদ্ধিমত্তা দক্ষতার মূল্যায়ন হবে, কারণ এটি মিথস্ক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারে।

The Bangla Waves

‘ইউরোপীয়দের চোখে বিদেশী নবাব’__________________________পলাশী যুদ্ধের আগে বঙ্গদেশ থেকে কোন ইংরেজ যে ধনশালী হয়ে স্বদেশে ফ...
04/04/2023

‘ইউরোপীয়দের চোখে বিদেশী নবাব’
__________________________

পলাশী যুদ্ধের আগে বঙ্গদেশ থেকে কোন ইংরেজ যে ধনশালী হয়ে স্বদেশে ফিরে যাননি, তা নয়; অনেকেই ফিরেছিলেন। কিন্তু তাতে কোন বৈচিত্র্য ছিল না, সেসব কারো দৃষ্টি আকর্ষণও করেনি। সেইসব ইংরেজরা অন্য দশজন ইউরোপীয় গ্রাম্য ব্যবসায়ীর মত নিজেদের দেশে ফিরে জমিজমা কিনেছিলেন। কিন্তু পলাশীর যুদ্ধের পরে তাঁরা বাংলা থেকে রীতিমত ‘নবাব’ হয়ে নিজেদের দেশে ফিরতে শুরু করেছিলেন। পলাশীর যুদ্ধ তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গীকে আমূল পরিবর্তিত করে দিয়েছিল। তখন তাঁদের শুধু ধনী হলেই চলছিল না, মান প্রতিপত্তি খেতাব - এসবেরও দরকার ছিল।

১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধ হয়েছিল, আর ১৭৬৮ সালে দেখা গিয়েছিল যে, সেই ‘সাহেব-নবাবেরা’ নিজেদের দেশে ফিরে দলবদ্ধভাবে পার্লামেন্টে প্রবেশ করছেন, এবং তার মাত্র তিন বছর পরে, অর্থাৎ ১৭৭১ সালে দেখা গিয়েছিল যে, ‘হিউফুটের’ ব্যঙ্গ-নাটক ‘দি-নাবুব’ গ্রন্থে নবাব-চরিত্র নিন্দিত ও উপহসিত হচ্ছে। নাটকীয় ক্ষিপ্রতায় সেই পট-পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। পলাশী-যুদ্ধ ইংরেজদের বাংলা তথা ভারতবর্ষের একেবারে অন্তঃস্থলে ঠেলে দিয়েছিল। তখন তাঁরা বাংলার বিপুল ধনসম্পদের মুখোমুখি হয়েছিলেন, আর সামান্য একটু পরিশ্রম করলেই তো একেবারে ‘শ্যাংগ্রিলা’। ফলে তখন যাঁরা ‘ছোট ইংরেজ’ ছিলেন, যাঁরা সামান্য একটা চাকরিকে সম্বল করে কোনরকমে এদেশে এসে পৌঁছেছিলেন, তাঁরা কিছু কিছু ভারতীয় আদব-কায়দা গ্রহণ করতে শুরু করেছিলেন, তাঁরা ভারতীয় বিলাসিতাকে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনে গ্রহণ করে কৃতার্থ হয়েছিলেন। আর তখন যাঁরা ‘বড় ইংরেজ’ ছিলেন, যাঁরা রুচিবান, উন্নত সংস্কৃতির ধারক ছিলেন, তাঁরা (শোর, হেষ্টিংস, ফোর্বস) তাঁরা ফার্সি সাহিত্য, হিন্দুপুরাণ, দর্শন পড়ে নিজেদের সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন।

ঠিক সেই সময়ে ভারতের মাটিতে আরেক শ্রেণীর ইউরোপীয়ানদের আগমন শুরু হয়েছিল। তাঁরা ভাগ্যান্বেষীর দল ছিলেন। পলাশীর যুদ্ধের পরে লর্ড ক্লাইভ ও মীরজাফরের মধ্যে চুক্তি হয়েছিল যে, কোম্পানির কোন কর্মচারীর কাছ থেকে নবাব নদীপথে যাতায়াতকারী মালের জন্য কোন ধরণের শুল্ক আদায় করতে পারবেন না। কিন্তু তখন যাঁরা কোম্পানির কর্মচারী ছিলেন, এমন স্বাধীন ইংরেজ ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করাও কোম্পানি বা নবাবের পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে সেই শুল্ক-রেহাই ও সরকারী অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে দলে দলে ইংরেজ, ফরাসী, জার্মান ও আমেরিকানরা ইংরেজ সেজে বঙ্গদেশের গ্রামে গ্রামে ব্যবসা করতে শুরু করে দিয়েছিলেন। তাঁদের পরিধানে থাকত ইংরেজ সিপাহীর পোশাক, আর হাতে থাকত ইংরেজদের পতাকা। নবাবের কর্মচারীরা তাঁদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে, তাঁরা কোন বিশিষ্ট ইংরেজের গোমস্তা বা এজেন্টের পরিচয় দিতেন, আর চ্যালেঞ্জ করলে নকল পরিচয় পত্র পর্যন্ত দেখিয়ে দিতেন। তখনকার সাধারণ গ্রামবাসী, বিশেষতঃ সেদিনের সরল গ্রামবাসীদের পক্ষে কে আসল আর কে নকল - সেটা বোঝা সহজ ছিল না। ফলে ওই সব ভাগ্যান্বেষীরা গঞ্জে বা নগরে হাজির হয়ে দেশী-ব্যবসায়ীদের বাজার দামের চেয়ে ঢের বেশি দাম দিয়ে তাঁদের মাল কিনতে বাধ্য করতেন। বস্তুতঃ ওই সব ছদ্মবেশী ‘ইংরেজ’ ব্যবসায়ীদের দুর্বৃত্তপনা দমন করতে গিয়েই মীরকাশিমের সঙ্গে ইংরেজদের ১৭৬৪ সালে যুদ্ধ বেঁধে গিয়েছিল। যাই হোক, লর্ড হেষ্টিংস ১৭৭২ সালে নতুন আদেশ জারী করে ঐসব ব্যবসায়ীদের কলকাতার চৌহদ্দির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। অবশ্য নীলকর সাহেবরা তাঁর সেই আদেশের এক্তিয়ারভুক্ত ছিলেন না। সেই আদেশের ফলে ওই ভাগ্যান্বেষী সাহেবদের বাংলার মফঃস্বলে যাওয়া পুরাপুরি বন্ধ হয়নি বটে, কিন্তু বাংলার গ্রামে গ্রামে ওই ‘গোরা-সাহেবরা’ যে ত্রাসের, যে বীভৎস অরাজকতার সৃষ্টি করেছিলেন, সেটা অনেকাংশে দূর হয়েছিল।

ওদিকে বাংলার শহরগুলিতেও তখন নতুন একটি শ্রেণীর দেখা পাওয়া গিয়েছিল। তাঁরা ভবঘুরে ও ভাগ্যান্বেষী ছিলেন না, কিন্তু উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে অধিক অর্থ সংগ্রহ করা তাঁদেরও লক্ষ্য ছিল। কোম্পানির বিভিন্ন পদে তাঁদের ঘনিষ্ঠ পরিচিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তখন অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাই দেশের সেই এলোমেলো অবস্থায় লুটেপুটে খাওয়ার জন্য তাঁরা ব্যগ্র ছিলেন। তাঁদের হাতে সময় বেশি ছিল না। তাঁরা জানতেন যে, কোম্পানির শাসনব্যবস্থা একটু বেশী কায়েমী হয়ে বসলে, নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে, আর সহজে অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হবে না। সেই অবস্থায় কোম্পানিতে কোনমতে বড় একটি পদ সংগ্রহ করতে পারলে তাঁদের পোয়া-বারো ছিল। তাঁদের নবাব হওয়া কে ঠেকাতেন?

এই প্রসঙ্গে ‘টপহ্যাম’ ১৭৬৫ সালে ‘বারিংটন’কে লিখেছিলেন, “The Company's Civil Service is the only certain track to a fortune or preferment and much more on the Bengal Establishment than any other.” (Home miscellaneous series, Topham to Barrington, 1765. P- 153) অর্থাৎ, কোম্পানির সিভিল সার্ভিসে প্রবেশ করাই হল বড়লোক হওয়ার নিশ্চিত পথ। আর তখন সেইসব পদের মধ্যে সেরা পদ ছিল, কোন দেশী নবাব বা রাজার অভাবে কোন বড় জমিদারের দরবারে ‘বৃটিশ রেসিডেন্টের’ পদ। তাতে দু’-দফা লাভ ছিল। প্রথমতঃ, কোম্পানি নবাবকে যে বৃত্তি দিত, সেটা রেসিডেন্টের হাত দিয়ে নবাবের কাছে পৌঁছাত। ফলে নবাবের কাছ থেকে সেই টাকা বাবদ তাঁরা কমিশন বা দস্তুরী পেতেন। দ্বিতীয়তঃ, নবাব যখন তাঁর নিজের বিলাসের জন্য কোন বিলাতী জিনিস কিনতেন, সেটাও ঐ রেসিডেন্টই তাঁকে সরবরাহ করতেন। সেটার জন্যও তিনি কমিশন পেতেন। অর্থাৎ, শাঁখের করাতের মত দু’-দিক দিয়ে কেটে তাঁরা টাকা রোজগার করতেন। ‘উইলিয়াম হিকি’র বন্ধু ‘বব পট’ যেদিন মুর্শিদাবাদের নবাব দরবারে বৃটিশ রেসিডেন্ট নিযুক্ত হয়েছিলেন, সেদিন তিনি যেন আনন্দের আতিশয্যে ফেটে পড়েছিলেন! “He rejoiced for not only did the whole stipend allowed by Government to the Nabob pass through the Resident’s hands he had likewise the further advantage of purchasing and paying for every European article the Nabab wished to have.” মুর্শিদাবাদ থেকে চার মাইল দূরে ‘আফজল বাগে’ তখন বৃটিশ রেসিডেন্টের বাসভবন ছিল। পট ভবিষ্যৎ লাভের কথা ভেবে আগে থেকেই বিশ হাজার টাকা ব্যয় করে সেই বাড়িটি সাজাবার ব্যবস্থা করে, সেখানে হিকি ও অন্যান্য বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। হিকি সেই বাড়ি দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন। সেটা বাড়ি নয়, রীতিমত প্রাসাদ ছিল, “... of the completest kind with warm and cold baths belonging exclusively to them and every other luxury of the East.”

পোলিশ পর্যটক ‘ম্যাক্সিমিলিয়ান উইকলিনস্কি’ সেই সময়ের (১৭৬৮-৮১) কলকাতার বর্ণনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন, “... there were stately palaces where rich furniture pointed to the great wealth of the inmates whose voluptuous life resembled rather that of the Nawabs-they drank out of golden cups the best wines of the world. Over 2000 carriages perpetually rolled in that modern Babylon the governors of which could be compared, as regards pomp, power and magnificence, to real kings.” ‘ম্যাকিনটসের’ (১৭৭৭-১৭৮১) ভ্রমণ কাহিনীতে আঠারো শতকের কলকাতার সাহেব-নবাবদের দৈনন্দিন জীবনের একটি নিখুঁত চিত্র পাওয়া যায়। তিনি লিখেছিলেন - “সকাল প্রায় সাতটায় দারোয়ান গেটের দরজা খুলতেই সাহেবের সরকার, পিওন, হরকরা, চোপদার, হুঁকাবরদার, খানসামা, রাইটার ও সলিসিটরের দল বারান্দায় এসে জড়ো হয়। হেড-বেয়ারাসহ জমাদার সর্বপ্রথম হলঘরের মধ্যে দিয়ে সাহেবের শয়নকক্ষে সকাল আটটায় প্রবেশ করে। সাহেবের পাশ থেকে এক মহিলা উঠলেন, তাঁকে পাশের গোপন-সিঁড়ি দিয়ে পাশের কোন ঘরে বা একেবারে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হল। সাহেব শয্যা থেকে একটু নড়ে একটি পা বাড়াতেই বাইরের অপেক্ষমান সকলেই সাহেবের ঘরে প্রবেশের জন্য ব্যগ্র হয়ে ওঠে। তারপরে শুরু হয় সালামের পালা। শরীরটাকে বাঁকিয়ে, মাথা নিচু করে, হাতের তালু কপালে ও উন্টা দিকে পিঠ স্পর্শ করে তিনবার তাঁরা সেলাম করল। তিনি চোখ মেলে তাঁদের দিকে তাকিয়ে বা ঈষৎ মাথা নেড়ে অনুগ্রহপ্রার্থীদের সালাম গ্রহণ করলেন। আধ-ঘণ্টার মধ্যে তাঁর ঢিলা পায়জামা চলে গেল, অঙ্গে উঠল নতুন পোশাক-শার্ট, ব্রিচেস, স্টকিং সিপার - সব কিছু। তিনি স্ট্যাচুর মত বসে রইলেন, কিছুই তাঁকে করতে হল না। নাপিত এল, ক্ষৌরকর্ম সমাধা করল, নখ কেটে, কানের ময়লা সাফ করে সে বিদায় নিল। এরপর এল আরেক নফর, হাতে চিলমজী ও বড় বালতি বোঝাই জল নিয়ে। সাহেবের হাতে ও মুখে জল ঢালা ও তোয়ালে দিয়ে সেই তাঁর গাত্র-মার্জনা করাই তাঁর কাজ। অতঃপর মহাশয় হেলতে দুলতে গেলেন ব্রেকফাস্টের ঘরে। গায়ে কেবল ওয়েস্টকোট। খানসামা চা ও টোস্ট এগিয়ে দিল। এবার আগমন হেয়ার-ড্রেসারের। অপর দিক দিয়ে হুঁকাবরদার। প্রায় নিঃশব্দে নলের একটি প্রান্ত সে বাবুর হাতে ধরিয়ে দেয়। হেয়ার ড্রেসার সাহেবের মাথায় যখন টেরি বানাতে ব্যস্ত, সাহেব তখন হুঁকো টানেন, কিছু খান বা পান করেন। … কখন এক সময়ে বেনিয়ানের আবির্ভাব হয়। সাহেবকে সালাম করে সে (অন্যান্য নফরদের তুলনায়) একটু বেশি সামনের দিকে এগিয়ে যায়। উপস্থিত অনুগ্রহপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের গুরুত্ব বেশি, তাঁদের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকে। বেলা দশটা পর্যন্ত এই অনুষ্ঠান চলে। তারপর সেই নফরের দল সারি দিয়ে সাহেবকে পাল্কি পর্যন্ত নিয়ে যায়। পাল্কির আগে আগে ছুটে চলে আট থেকে বারো জনের চোপদার, হরকরা ও পিওন-বাহিনী। প্রত্যেকের স্বতন্ত্র ড্রেস, মাথায় পাগড়ির রং ও কোমরবন্ধ দেখে তাঁদের পদমর্যাদা বোঝা যায়।” মোটামুটিভাবে এটাই ছিল তখনকার সাহেব-নবাবের রোজনামচা। পলাশী-যুদ্ধ বৃটেনের হাতে বাংলার রাজশক্তিকে তুলে দিয়েছিল, পলাশী-যুদ্ধই সেই নতুন নবাবদের সৃষ্টি করেছিল। পলাশী-যুদ্ধ বৃটিশ সেনাবাহিনী তথা সিভিলিয়ানদের মধ্যে এক নতুন শ্রেণীচেতনা এনে দিয়েছিল। সর্বোপরি পলাশী-যুদ্ধ সাধারণ শহর কলকাতাকে তার ‘কসমোপলিটান’ রূপটি দিয়েছিল।

অর্থ হাতে আসবার সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজদের আগেকার অনাড়ম্বর জীবনে বিলাসিতা দেখা দিয়েছিল। ফলে অনেক সাহেবই তখন দেশী নবাবদের অনুকরণ করতে শুরু করেছিলেন। নিয়মিত নাচের আসরে যাওয়া ও বাড়িতে নাচের আসর বসানো সেই নব্য-নবাবদের ফ্যাশান হয়ে উঠেছিল। হিন্দুস্থানী নাচ যে তাঁরা তেমন কিছু বুঝতেন তা নয়, হিন্দুস্তানী গানও তাঁদের কাছে বোধগম্য হওয়া তো দূরের কথা, উল্টে বিরক্তিকর বলেই মনে হত। কিন্তু তবুও তাঁদের ফ্যাশানের দরকার ছিল। আগে দেশী মদ ‘আরক’ পান করেই তাঁদের দিন কাটত। তখন সেই আরক তাঁদের কাছে ‘পুওর ম্যানস ড্রিঙ্ক’ হয়ে পড়েছিল। বস্তুতঃ আরক ও হুইস্কি প্রায় একই রকমের বলে হুইস্কি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ‘জেন্টলম্যানস ড্রিঙ্ক’ বলে ইংরেজ সমাজে স্বীকৃত হয়নি। সেই সময়ে হুঁকা-সেবন অনেক ইংরেজেরই স্বভাবে পরিণত হয়েছিল। সম্ভবতঃ তামাকের সুগন্ধই সেটার মূল কারণ ছিল। পকেটে অর্থ আসবার ফলে সেই সাহেব-নবাবরা দেশীয় নবাবদের অনুসরণে নিজের নিজের বাড়িতে হারেম গড়ে তুলতে শুরু করেছিলেন। আগে ইংরেজদের মধ্যে কেউ কেউ পর্তুগীজ বা অন্যান্য খৃষ্টান নারীদের এদেশে বিয়ে করতেন। কিন্তু তারপরে নতুন যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা ইংরেজ ছাড়া অন্য কোন নারীকে বিবাহ করা নিজেদের জন্য সম্মানহানিকর বলে মনে করেছিলেন। তখন যেহেতু তাঁদের হাতে যথেষ্ট অর্থ ছিল, সেহেতু তাঁরা বিবাহের পরিবর্তে উপপত্নী গ্রহণ করাই নিজেদের জন্য নিরাপদ বলে মনে করেছিলেন। তদানীন্তন ভারতীয় রীতি অনুসারে সেই সময়ে একাধিক উপপত্নী গ্রহণ নিন্দনীয় ছিল না। আগে কলকাতার মধ্যেই একতলা বাড়িতে কোন রকমে তাঁদের মাথাগুঁজে বাস করতে হত। পরে হাতে অর্থ আসবার পরে তাঁরা খাস শহর ছেড়ে বাইরে বাগানবাড়ি ও বসতবাড়ি বানাতে শুরু করেছিলেন। দেখতে দেখতে গার্ডেনরীচ, বারাসত, ব্যারাকপুর প্রভৃতি জায়গায় ইংরেজদের নতুন নতুন বাগানবাড়ি গড়ে উঠেছিল। কেউ কেউ আবার নিজের বিলাস-ব্যসন চরিতার্থ করবার জন্য ফরাসি চন্দননগরে, ডেনিশ শ্রীরামপুর বা ডাচ চুঁচুড়াতেও বাড়ি বানিয়েছিলেন। কলকাতার ঐশ্বর্যের ও বিলাস-ব্যসনের খবর বিলেতে পৌঁছবার পরে সেখান থেকে অনূঢ়া কন্যারা দলে দলে স্বামী শিকার করবার জন্য ভারতে আসতে শুরু করেছিলেন। তাছাড়া, তখন নতুন যেসব অফিসারেরা ভারতে আসতে শুরু করেছিলেন, তাঁরা তাঁদের স্ত্রী ও অন্যান্য পরিজনবর্গসহ এদেশে এসেছিলেন। ফলে ইংরেজ সমাজে মহিলাদের সংখ্যা আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছিল। ভারতে তাঁদের একটা সোসাইটি গড়ে উঠেছিল। সেই সোসাইটির সঙ্গে সঙ্গে এদেশে বিলাতী-নাচের আগমন ঘটেছিল। আগে গভর্নমেন্ট হাউসে বছরে মাত্র এক-দু’বার ‘বল নাচ’ অনুষ্ঠিত হলেও, পরে বারোমাস সেই নাচের আসর বসতে শুরু করেছিল। বাইরে ক্লাব ঘরে বা বিশিষ্ট সাহেবদের প্রশস্ত হলঘরে নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে রোদ ছিল না, বৃষ্টি ছিল না, শীত-গ্রীষ্ম ভেদাভেদ ছিল না, কুল-গোত্রের বালাই ছিল না - শুধু নাচ হলেই চলত। এমনকি নাচেরও - “চরম গরম বা বর্ষার সময়েও এমন একটি সপ্তাহ ছিল না যখন নাচ বাদ পড়েছে। যে ঘরে নাচের আয়োজন সেখানে পাখা নেই, মৃদু মোমবাতির আলো। ‘কোটিলো’ নাচতে হলে যে পরিশ্রম করতে হয়, তার ফলে নাচিয়েদের অবস্থা কাহিল হয়ে পড়ে।” কিন্তু সেই পরিশ্রম কেউ গায়ে মাখতেন না। কারণ, হাজার হোক দয়িতার সঙ্গে সাক্ষাতের সেটাই তো সবচেয়ে নিরাপদ সুযোগ ছিল। ‘এশিয়াটিকাস’ তখনকার কলকাতার বিলাতী নাচের প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, “নিজেকে সেই অবস্থায় একবার কল্পনা কর। অসহ্য গরমে তোমার প্রেমাস্পদা ম্রিয়মাণ। তাঁর অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কম্পমান। প্রবল অবসাদের জন্য কোমল অঙ্গ সঙ্কুচিত। আর তাঁর দয়িত (নাচের পার্টনার) দুই হাতে মসলিনের রুমাল দিয়ে সানন্দে তাঁর মুক্তাবিন্দুবৎ মুখের ঘাম মুছিয়ে দিচ্ছেন।” (“Imagine to yourself the lovely object of your affection ready to expire with heat, every limb trembling and every feature distorted with fatigue, and her partner, with a muslin handkerchief in each hand, employed in the delightful office of wiping down her face, while the big drops stand imparted upon her forehead.”) তখন বিলাতী নাচ চালু ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল বলে ইংরেজদের কাছে দেশীয় নাচ অপাঙক্তেয় হয়ে থাকেনি। তাঁরা দেশী নাচ দেখতে যেতেন, আর বিলাতী নাচ নাচতে যেতেন। তাছাড়া ইংরেজ সেনাবাহিনীতে, যেখানে শ্বেতাঙ্গিনী ললনারা দুর্লভ ছিলেন, সেখানে কিন্তু দেশী নাচের জনপ্রিয়তা অক্ষুণ্ণ থেকে গিয়েছিল। তখন নিজেদের অভিজাত প্রমাণ করবার জন্যই সদ্য-জাতে-ওঠা ইংরেজরা প্রায়শঃই নিজের নিজের বাড়িতে দেশী নাচের ব্যবস্থা করতেন, আর সেখানে অন্যান্য ইউরোপীয়দের আমন্ত্রণ জানাতেন।
১৭৬৯ সালে বঙ্গদেশে ইংরেজদের বিলাসী জীবনে পরিবর্তনের দ্বিতীয় জোয়ার এসেছিল। সেই বছরই বঙ্গদেশের জেলায় জেলায় ইংরেজ ‘সুপারভাইজার’ নিয়োগ করা হয়েছিল। ১৭৭২ সালে হেস্টিংস গভর্নর জেনারেল হয়ে ভারতে এসেছিলেন। সেই বছরই কোম্পানি নবাবের কাছ থেকে দেওয়ানি স্বহস্তে গ্রহণ করেছিল। এরপরে সুপারভাইজারদের নাম হয়েছিল ‘কালেক্টর’। সেই কালেক্টরদের সরকারী কাজ ছাড়াও ব্যক্তিগতভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করবার অধিকারও ছিল। হেস্টিংস জেলাপর্যায়ে অধিকাংশ কাজের দায়িত্ব ভারতীয় দেওয়ানদের উপরেই ন্যস্ত করেছিলেন। তাই কালেক্টররা তখন শুধু জেলার সদরে বসে টাকা গুনতেন আর বিচার করতেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কোম্পানির রাজস্ব ও কোম্পানির বাণিজ্যে অর্জিত টাকা গোনা অপেক্ষা তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত বাণিজ্যে অর্জিত টাকা গুনতেই বেশি ভালবাসতেন। সেই বাণিজ্যে তখন বিপুল লাভও হত। ফলে তাঁরাও দেখতে দেখতে সিভিলিয়ন থেকে ‘নবাবে’ পরিণত হয়েছিলেন। অবশেষে কর্ণওয়ালিশ ১৭৮৭ সালে কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত বাণিজ্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এমনকি কোম্পানির রাজস্ব আদায় ও কোম্পানির ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনাকে তিনি দুটি স্বতন্ত্র ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছিলেন। ওয়েলেসলির আমলে (১৭৯৮) দেখা গিয়েছিল যে, প্রত্যেক অফিসারের ক্ষমতাই আইনের দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়েছে। তখন ‘সেক্রেটারী বোর্ড অব রেভেন্যু’ বা ‘কালেক্টর অব বার্ডোয়ান’ ইত্যাদি নামগুলি বেশ গালভরা হলেও তাঁরা আদতে বাঁধা মাইনের সরকারী কর্মচারী ছাড়া অন্য কিছুই ছিলেন না। ওদিকে তখন কোম্পানির ‘কমার্শিয়াল ডিপার্টমেন্টে’ যাঁরা কাজ করছিলেন, তাঁদের কোন জৌলুস ছিল না। তাঁরা শুধু চিনির বলদের মত চিনি বয়ে বেড়াতেন, কিন্তু সেই চিনি ভোগ করবার কোন অধিকার তাঁদের ছিল না। ইংরেজ শাসন ব্যবস্থায় তাঁরা নাক গলাতে পারতেন না। সেই সময়ে গ্রামের ব্যাপারী বেনিয়ানরাও তাঁদের রক্তচক্ষুকে ভয় পেতেন না। ১৮১৩ সালে ভারতে কোম্পানির একচেটিয়া বাণিজ্যাধিকার লুপ্ত হয়েছিল। এর কুড়ি বছর পরে, ১৮৩৩ সালে কোম্পানির বাণিজ্যিক পরিচয়ই একেবারে লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। কোম্পানি তখন কেবলমাত্র শাসকে পরিণত হয়েছিল, সেই সময়ে বণিকের মানদণ্ড আর তাঁদের হাতে ছিল না, শুধু রাজদণ্ড ছিল। এর থেকে দেখা যায় যে, আঠারো-ঊনিশ শতকের সাহেব-নবাবদের আয়ুষ্কাল অত্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল, জোয়ারের মতই তাঁদের যেমন আবির্ভাব ঘটেছিল, তেমনি আবার ভাঁটার টানে তাঁদের তিরোভাব হয়েছিল।
_______________________________

তথ্যসূত্র:
১- Asiaticus, John Hawkesworth.
২- কলকাতার ৩০০ বছরের ইতিহাস, অতুল সুর।
৩- কলিকাতা দর্পণ, রাধারমণ মিত্র।
৪- শহর কলিকাতার ইতিবৃত্ত, বিনয় ঘোষ।)

©️রানা চক্রবর্তী
[email protected]

"দ্য বাংলা ওয়েভস" হল একটি কমিউনিটি সংবাদপত্র এবং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার এবং বাংলা লেখা ও চিন্তার ...
31/03/2023

"দ্য বাংলা ওয়েভস" হল একটি কমিউনিটি সংবাদপত্র এবং প্ল্যাটফর্ম যা বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির প্রচার এবং বাংলা লেখা ও চিন্তার একটি স্থান প্রদানের জন্য নিবেদিত।

আমাদের লক্ষ্য নিউজিল্যান্ডে বাংলাভাষী সম্প্রদায়কে তাদের গল্প, দৃষ্টিভঙ্গি এবং ধারনা প্রদর্শনের মাধ্যমে যুক্ত করা। বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচার করা। সংবাদপত্রটি বর্তমান বিষয়, সংস্কৃতি, শিল্প ও বিনোদন সহ বিভিন্ন বিষয় কভার করে এবং পাঠকদের বিস্তৃত পরিসরের কাছে আবেদন করার জন্য বাংলা ও ইংরেজিতে নিবন্ধ প্রকাশ করে। আমরা গুণগত মানের সাংবাদিকতা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা আমাদের কমুনিটির বিভিন্ন কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করে। এবং সমস্ত নিউজিল্যান্ডবাসীর মধ্যে বোঝাপড়া এবং উপলব্ধি উন্নীত করে।

আমরা বিশ্বাস করি যে বাংলা ওয়েভস আমাদের কমুনিটির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসাবে কাজ করবে, সংলাপের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করবে এবং ধারনা শেয়ার করবে। আমরা এই সংবাদপত্রটিকে নিউজিল্যান্ডের মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপে একটি মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন মনে করি। আমরা সংযোজন করতে আমাদের পাঠক এবং অবদানকারীদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ।

অনুগ্রহ করে আমাদের পেইজে like এবং follow করুন , আমাদের Instagram এবং Youtube channel গুলোতেও যুক্ত থাকুন। আর অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

--
মাহমুদ রহমান
প্রধান সম্পাদক

___________________

"The Bangla Waves" is a community newspaper and platform dedicated to promoting Bangla language and culture and providing a space for Bangla writing and thinking.

Our mission is to serve the Bangla language-speaking community in New Zealand by showcasing their stories, perspectives, and ideas, and promoting the rich cultural heritage of Bangladesh and West Bengal.

The newspaper covers a variety of topics, including current events, culture, arts, and entertainment, and features articles in both Bangla and English to appeal to a wide range of readers.

We are committed to providing high-quality journalism that reflects the diverse voices in our community and fosters greater understanding and appreciation among all New Zealanders.

We believe that "The Bangla Waves" will serve as an important resource for our community, providing a platform for dialogue and exchange of ideas. We look forward to working with our readers and contributors to make this newspaper a valuable and vibrant addition to the media landscape in New Zealand.

Please like and follow our page, also stay connected with our Instagram and Youtube channels. And of course don't forget to share.

--
Mahmud Rahman
Editor in Chief

 #পরিবেশ সংবাদঃজাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ এর আগেও দেখা গেছে, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বেশ কয়েকবার ...
31/03/2023

#পরিবেশ সংবাদঃ

জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিরোধ এর আগেও দেখা গেছে, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে বেশ কয়েকবার এই চিত্র দেখা গেছে। এ অবস্থায় ভানুয়াতু সম্প্রতি জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। ভানুয়াতু প্রস্তাবটি উত্থাপনে ১৩২ অন্যান্য দেশ যোগ দিয়েছিল। এই প্রস্তাবের উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের রক্ষা এবং জলবায়ু ব্যবস্থা সংরক্ষণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পর ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল কালস্কো বলেছেন যে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণে নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সাধারণ পরিষদে পাস হওয়ার পর এই প্রস্তাবের বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, আইসিজে মতামত দিলে দেশগুলোকে তা মেনে চলতে উৎসাহিত করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে বিশ্বের জরুরিভাবে সাহসী ও জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের কাছে জানতে চাইছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পরিবর্তন থেকে মানুষ ও জলবায়ু ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে মতামত চেয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।

The Bangla Waves

2023 সালের শেষ নাগাদ চাঁদের জমিতে 4G নেটওয়ার্ক বসাতে চলেছে বিশ্ব বিখ্যাত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এইচএমডি গ্লোবাল তথা নোকিয়া...
30/03/2023

2023 সালের শেষ নাগাদ চাঁদের জমিতে 4G নেটওয়ার্ক বসাতে চলেছে বিশ্ব বিখ্যাত স্মার্টফোন ব্র্যান্ড এইচএমডি গ্লোবাল তথা নোকিয়া। মার্কিন সংস্থা স্পেসএক্স এর সাহায্যে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এই মিশনে নোকিয়ার ব্যবহার করা অ্যান্টেনা বেস স্টেশন নোভার সি লুনার ল্যান্ডারে সংরক্ষিত থাকবে। এর সঙ্গে থাকবে একটি সৌর চালিত রোভার। 4G নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মহাকাশচারীরা মিশন চলাকালীন সহজে যোগাযোগ স্থাপন, রিয়েল টাইম ভিডিও স্ট্রিম এবং মিশন সংক্রান্ত ডেটা পৃথিবীতে পাঠাতে পারবে।

The Bangla Waves

আজ হক্স-বে উপসাগরজুড়ে বাসিন্দারা সকালে জেগে ওঠেন শীতল আলিঙ্গনে। বুধবার সকালে নেপিয়ার ও হেস্টিংসের প্রধান কেন্দ্রগুলোতে...
29/03/2023

আজ হক্স-বে উপসাগরজুড়ে বাসিন্দারা সকালে জেগে ওঠেন শীতল আলিঙ্গনে। বুধবার সকালে নেপিয়ার ও হেস্টিংসের প্রধান কেন্দ্রগুলোতে তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে মেটসার্ভিস।

২০২৩ সালের জন্য প্রথম তুষারপাত কাওয়েকা এবং রুহাইন পর্বতমালাকে শুভ্র মোড়কে আচ্ছাদিত করে পরিবর্তিত মৌসুমের আভাস দিচ্ছে। তুষারে আবৃত কাওয়েকা এবং রুহাইন পর্বতমালা পর্যটক এবং বাসিন্দাদের জন্য একটি অপরূপ দৃশ্য তৈরি করেছে।

The Bangla Waves

Address

Auckland

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when The Bangla Waves posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to The Bangla Waves:

Share