30/10/2023
২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ নিয়ে কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার করব ভাবছিলাম।
সময়ের কারণে করে উঠতে পারিনি। চেষ্টা করছি- তার মধ্যেই ছোট ভাই মাসুদ রানা সাগরের এই লেখাটি আমার দৃষ্টি কেড়েছে। আলহামদুলিল্লাহ....
২৮ অক্টোবর জামায়াতের সমাবেশের যে বিষয় টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছিলাম।
সেটা নিয়ে একটু আলাপ করা যাক।
সমাবেশের সিংহভাগই ছিলো কিশোর-তরুণ। এবং এটা নি:সন্দেহে অনুমেয় এই তরুণদের সকলকে বললেও ভুল হবে না। তারা সকলেই দেশের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্ররা।
এখানে আরেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৩ এর মধ্যে।
আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আছে ১৪ বছর একটানা। এর অর্থ হলো এই ছেলেগুলোর জ্ঞান বুদ্ধি হওয়ার পুরো সময়কালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায়।
জামায়াত-শিবির,ইসলামি রাজনীতি নিয়ে এমন কোন অপপ্রচার, প্রোপাগাণ্ডা,ভয়-ভিতি নেই যা এদেশে ছড়ানো হয়নি।
সোজাসাপটা কথা, জামায়াত শিবির করলে তোমাকে জেলে যেতে হবে, ক্র স ফা য়া র দেওয়া হবে। সরকারি চাকরি হবে না, এদেশে নামে মাত্র নাগরিকত্ব থাকবে ইত্যাদি।
বর্তমান ভোগবাদী, আত্মকেন্দ্রীকতার যুগে এই লক্ষ লক্ষ তরুণ সেগুলোকে উপেক্ষা করে, সমস্ত ভয়-ভিতিকে জয় করে, সকল সুযোগ-সুবিধাকে ত্যাগ করার মানসিকতা নিয়েই ইসলামি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে।
গভীরভাবে ভাবুন, তারা বিপদে পড়বে এই কথা বহুদূর। তারা জামায়াত শিবিরের সুদিনে যুক্ত হওয়া জনগোষ্ঠী নয় বরং তাদের কোন ক্লাসমেট এই মূহুর্তে কারাগারে, ক্র স ফা য়ারের শিকারে কবরে অথবা বাড়ি ছাড়া।
এর মানে, তারা ইসলামি রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছে অলরেডি এক সাগর বিপদকে মেনে নিয়ে, সকল দুনিয়াবি সুখকে পরিত্যাগের চিন্তাকে মস্তিষ্কে ধারণ করে।
প্রথমত,এর অর্থ এরা অপ্রতিরোধ্য শক্তি।
এদেশে আগামী সভ্যতা ইসলামের গ্যারান্টি দিচ্ছি। শিবিরের এই ছেলেগুলো শুধুমাত্র জামায়াতের শক্তি নয় এরা মূলত ইসলামি রাজনীতি, সমাজ - সভ্যতার শক্তি।
অল্প কথায় বুঝে নেওয়া যাক,
কোন এক বাজারে ভাল একটি চায়ের দোকান আছে। এখন আপনিও চায়ের দোকান দিতে চান।
এখানে রাজনীতি হলো ওই চায়ের দোকানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, ধ্বংস করে দেওয়া। এতেই কেবল সে পরাজিত হবে।
আর এখানে সভ্যতা বিল্ডআপ হলো, তার চায়ের চাইতে আপনার চায়ের কোয়ালিটি শতগুণ বাড়িয়ে দেওয়া।
তাহলে সকল জনগণ ভাল মানের চা পান করতে আপনার দোকানে ভিড় জমাবে। গ্রাম্য ডাক্তার বাসায় আসে ভিজিট কম, আর বড় মাপের ডাক্তারের চেম্বারে সিরিয়াল দিতে হয় তাও ভিজিট বেশি।
মানুষ তার প্রয়োজনের তাগিদে যথাযথ ব্যক্তিকে নেতৃত্ব দান করে। এটাই সভ্যতা গড়ে উঠার মূলমন্ত্র।
আর নেতৃত্ব জোরজারি করে কেড়ে নেওয়া এটা রাজনীতি।
তো, অপ্রতিরোধ্য উক্ত তরুণ শক্তি যারা যোগ্য, মেধাবি,সৎ তারা হলো মানুষের চাহিদা পূরণে যথাযথভাবে সক্ষম।
অপরদিকে অন্য ইসলামি দল ব্যতীত, অন্য তরুণেরা মাদকাসক্ত থেকে শুরু করে এহেন কোন অপরাধমূলক কাজ নেই যাতে জড়িত নয়। তারা ভিতর ভিতরে যেমন অযোগ্য তেমনি ধ্বংসের দারপ্রান্তে। এদের অস্ত্র হলো অসুস্থ মস্তিষ্ক ও গায়ের জোর। যা দিয়ে ১৫-২০ নেতৃত্ব, ক্ষমতা দখল করে রাখা যাবে। কিন্তু এই শক্তি একদিন নিশ্চিত বিলীন, নি:চিহ্ন হবেই তাদের অযোগ্যতার কারণে। অযোগ্যতায় অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়।
আর এদিকে একটি সুদুরপ্রসারী স্থায়ী সভ্যতা গড়ে তোলার সকল উপাদান জামায়াত-শিবির তথা এদেশের সমগ্র ইসলামি শক্তির মাঝে বিদ্যমান।
তো ইসলামপন্থীরা শুধুমাত্র রাজনীতি করে না তারা সভ্যতাও গড়ে তুলছে। রাজনীতিতে তাদের সাময়িক পরাজয় তাদের জন্য কোন ক্ষতির কারণ নয় বরং সুখবর এই পরাজয় তাদের সভ্যতা বিল্ডআপের নিখুঁত কর্মী সাপ্লাই করছে।
জামায়াত শিবিরের নেতৃত্বে ও অন্য ইসলামি শক্তিগুলোর সহযোগিতায় এদেশে একদিন ইসলামি সভ্যতা কায়েম হবে এটাই বিশ্বাস করি, স্বপ্ন দেখি।
Dr. Md. Shafiqul Islam Masud ভাইয়ের page থেকে সংগৃহীত! 🖤