
09/07/2025
ভবিষ্যতের পথে এক অদ্ভুত সংকটের দিকে এগিয়ে চলেছি আমরা…
আজকের সময়ের মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষিত, সচেতন ও আত্মনির্ভরশীল। ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্নে তারা এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। কিন্তু এই অগ্রযাত্রার মাঝেই আমরা যেন একটি নতুন সামাজিক বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যা আমাদের আবেগ, সম্পর্ক ও সমাজব্যবস্থার ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
একটি জরিপ বলছে—৭৫% উচ্চশিক্ষিত মেয়েরা ২৭ থেকে ৩০ বছর বয়সেও বিবাহবিহীন থাকছেন। ক্যারিয়ারের জন্য সময় দেওয়া, উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে না পাওয়া, কিংবা জীবনের অগ্রাধিকার তালিকার পরিবর্তনের কারণে এই সংখ্যাটা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এই পথটা কি সবাইকে সুখ দেবে?
যখন একজন নারী দীর্ঘ সময় ধরে জীবনে একা চলতে চলতে নিজেই নিজের অভিভাবক, সিদ্ধান্তগ্রহণকারী এবং রক্ষক হয়ে ওঠেন, তখন তার মনে অনেকটাই কঠোরতা এসে পড়ে। ভালোবাসা, কোমলতা, সম্পর্কের সূক্ষ্ম আবেগ—এসব ধীরে ধীরে তার জীবনে স্থান হারাতে শুরু করে। সংসার মানে তখন আর মিলন নয়, হয়ে যায় প্রতিযোগিতা।
একসময় হয়তো এমন দিন আসবে, যখন একজন স্ত্রী শুধুমাত্র শারীরিকভাবে নারী থাকবেন, কিন্তু মানসিকভাবে পুরুষের মতো সিদ্ধান্তপ্রবণ, যুক্তিনির্ভর ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠবেন। এতে সম্পর্কের স্বাভাবিক আবেগজড়িত রসায়ন হারিয়ে যেতে পারে। সংসার টিকিয়ে রাখা তখন হবে খুব কঠিন।
আমরা চাই নারীরা এগিয়ে যাক, সফল হোক। কিন্তু সেই সাফল্য যেন তাদের কোমলতা, ভালোবাসার ক্ষমতা, এবং পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ার মানসিকতাকে ধ্বংস না করে। শিক্ষা, ক্যারিয়ার, সংসার—সবকিছু একসাথে সুন্দরভাবে মিলে যাওয়া সম্ভব, যদি আমরা সময়মতো বুঝি কোন বয়সে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন।
না হলে, আমরা এমন এক প্রজন্ম দেখতে পাবো, যারা হয়তো সফল হবে পেশাগত জীবনে, কিন্তু হারাবে জীবনের অন্যতম সেরা উপহার—ভালোবাসা, সঙ্গ, ও পারিবারিক শান্তি। আর এই অভাব কেবল দুনিয়ার নয়, হতে পারে আখিরাতেরও।
✍️Mj