20/10/2025
১৯৫৬ সালের ৩ নভেম্বর ইসরায়েলি বাহিনী গাযা উপত্যকার খান ইউনুসের শরণার্থী শিবিরে প্রবেশ করে। সেখানে তারা ১৫ বছরের বেশি বয়সী সব পুরুষকে বাসাবাড়ি থেকে ধরে আনে, লাইন ধরিয়ে দাঁড় করায়, এবং মেশিনগানের গুলিতে হত্যা করে।
জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী সেদিনের গণহত্যায় ২৭৫ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। ফিলিস্তিনিদের হিসেব অনুযায়ী সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। ৪১৫ জন নিহত এবং ৫৭ জন নিখোঁজ। সর্বমোট ৪৭২ জন।
শরণার্থী শিবিরে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক বালকদের সেদিন কিছু করার ছিল না। তারা শুধু অসহায়ের মতো সেই গণহত্যা প্রত্যক্ষ করেছিল। সেই প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে একজন ছিল ৮ বছর বয়সী এক বালক। তার নাম আব্দুল আজিজ রানতিসি।
ঐ ঘটনার ৩১ বছর পর যে সাতজন সদস্য মিলে হামাস নামক সংগঠনটা সৃষ্টি করে, রানতিসি ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। ইনফ্যাক্ট শেখ আহমেদ ইয়াসিনের পর তিনি ছিলেন হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা।
শেখ ইয়াসিনের মৃত্যু রান্তিসি এবং পুরো প্রতিরোধ আন্দোলনের জন্য ছিল বড় ধাক্কা। তারপরও রান্তিসি তাঁর লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি এবং আত্মগোপনে না গিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যেতে থাকেন। নিজের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে রান্তিসি দৃপ্ত কণ্ঠে বলেন :
"It’s death, whether by killing or by cancer. Nothing will change. If by Apache or by cardiac arrest, I prefer Apache."
আল্লাহ তাঁর ইচ্ছা কবুল করেন। তিনি তাঁর দেহরক্ষী ও ২৭ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদসহ একটি ইসরায়েলি অ্যাপাচি হেলিকপ্টারের ক্ষেপণাস্ত্রে নিহত হন। লাখো গাজাবাসী তাঁদের জানাজায় অংশ নেয় এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরজুড়ে গায়েবি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আল্লাহ তা'য়ালা আব্দুল আজিজ রান্তিসি (রহ.) কে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। মুজাহিদদের বিজয় দান করুন। আমিন।
~ sihgatullah ansari