Adiba Akter

17/09/2025

🍎🥬 হিমোগ্লোবিন বাড়াতে আনার নাকি কচু শাক – কোনটা বেশি কার্যকর?

আমাদের দেহে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি মানেই রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া। হিমোগ্লোবিন কমে গেলে শরীরে ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, শ্বাসকষ্ট, দুর্বলতা এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। তাই সময়মতো হিমোগ্লোবিন বাড়ানো খুবই জরুরি। অনেকেই প্রশ্ন করেন – আনার ভালো নাকি কচু শাক? আজ চলুন বিষয়টা পরিষ্কার করে নেই।

🍎 আনার (Pomegranate)

আনারকে আমরা অনেকে রক্ত বাড়ানোর ফল হিসেবে জানি। এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি এবং সামান্য আয়রন আছে।

🔹 প্রতি ১০০ গ্রাম আনারে আয়রন প্রায় ০.৩ মি.গ্রা.
🔹 একটি মাঝারি আনার (≈ ২০০ গ্রাম) → ০.৬ মি.গ্রা. আয়রন

👉 আনার খেলে সরাসরি অনেক আয়রন না মিললেও, এতে থাকা ভিটামিন সি দেহে অন্য খাবার থেকে পাওয়া আয়রনকে দ্রুত শোষণে সাহায্য করে। তাই আনার হিমোগ্লোবিন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি “সহায়ক ফল” হিসেবে কাজ করে।

🥬 কচু শাক (Taro Leaves)

এবার আসি কচু শাকে। এটি একেবারে আয়রনের ভান্ডার বলা যায়। শুধু আয়রন নয়, এতে ফলিক এসিড, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন এ, সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।

🔹 প্রতি ১০০ গ্রাম কচু শাকে আয়রন প্রায় ২.৬ মি.গ্রা.
🔹 এক কাপ রান্না করা কচু শাক (≈ ১৫০ গ্রাম) → ৪ মি.গ্রা. আয়রন

👉 অর্থাৎ কচু শাক থেকে আনারের তুলনায় ৬-৭ গুণ বেশি আয়রন পাওয়া যায়। আর সেই আয়রন সরাসরি হিমোগ্লোবিন তৈরিতে ভূমিকা রাখে। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন, তাদের জন্য কচু শাক অনেক বেশি কার্যকর।

📊 তুলনা করলে

✔️ আনার – রক্তকে সতেজ রাখে, আয়রন শোষণ বাড়ায়
✔️ কচু শাক – সরাসরি হিমোগ্লোবিন দ্রুত বৃদ্ধি করে
✔️ দুটো একসাথে খেলে সবচেয়ে ভালো ফল মেলে

✅ হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর টিপস

হিমোগ্লোবিন বাড়াতে শুধু আনার বা কচু শাক নয়, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় আরো কিছু খাবার রাখা দরকার, যেমন –

কলিজা, লাল মাংস

ডিম, ডাল

মসুর ও কালো ছোলা

পালং, লাল শাক, মুলার শাক

খেজুর, আঙ্গুর, বিটরুট

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল (লেবু, কমলা, পেয়ারা ইত্যাদি)

✨ উপসংহার

হিমোগ্লোবিন কম থাকলে শুধু ফলের উপর নির্ভর করলে চলবে না। আনার শরীরকে সতেজ রাখে এবং আয়রন শোষণে সাহায্য করে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কচু শাক হিমোগ্লোবিন বাড়াতে অনেক বেশি শক্তিশালী ভূমিকা রাখে। তাই যদি প্রশ্ন করা হয় – আনার নাকি কচু শাক?
👉 উত্তর হবে – হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কচু শাকই সেরা। তবে আনারকেও সহায়ক হিসেবে খাদ্যতালিকায় রাখা উচিত।

নিজেকে এবং পরিবারকে রক্তশূন্যতা থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খান, আর প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।



Adiba Akter পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন আরো আপডেট পেতে

17/09/2025

17/09/2025

16/09/2025

দিনের পর দিন আপনি একজন মানুষেকে অবহেলা করে যাবেন আর ভাববেন,সব ঠিকঠাক থাকবে!..
নাহ্, কিচ্ছু ঠিক থাকবে না।
সে একদিন রাতে না ঘুমিয়ে চোখের জলে বালিশ ভেজাবে। কিন্তু তার এই কান্নায় আপনার কিছু যায় আসবে না।
পরের দিনও আপনি তাই করবেন।আবার সেই অবহেলা। আবারও খোঁজ নিয়ে জানতে পারবেন সে চোখের পানি ঝরাতে ব্যস্ত।
আপনি ভাববেন, "বাহ! সে তো আমাকে খুব ভালোবাসে।" তাকে যতই অবহেলা করি সে আমাকে ছেড়ে যাবে না। এভাবে আপনি জেনে বুঝে তাকে অবহেলা করতে থাকবেন করতেই থাকবেন।
আর ভাববেন,"আমি যাই করি সে আমাকে কখনো ছেড়ে যাবে না কারণ সে আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে।”

ঠিক এভাবেই হঠাৎ একদিন করে জানতে পারবেন আপনার অবহেলা সত্ত্বেও সে আজ গভীর ঘুমে মগ্ন।
সে আজ আর কাদঁছে না। তার চোখে আর পানি নেই।
বুকের বামপাশটা চিনচিনিয়ে উঠবে হয়তো।
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করবেন-"একি ! আজ সে কাঁদলো না কেনো ? সে কি আমাকে আর ভালোবাসে না ?"

সে আপনাকে শত ভালোবাসলেও আপনার এই অবহেলার কারণে একদিন সে আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে দূরে থেকে বহুদূরে।
মনে রাখবেন;অবহেলা বড়ই খারাপ জিনিস।
শুধু মানুষ কেনো কেউই এটি সহ্য করতে পারে না।
বাড়ির উঠানে সারাদিন পরে থেকে যে কুকুরটি আপনার পায়ে মাথা ঘেঁষানোর জন্য দিনভর অপেক্ষা করে,
সেটিকে একবার অবহেলা করে দেখুন;
দেখবেন দুইদিন পর সেই কুকুরটিও নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে আপনার উঠান থেকে। আর আমরা তো মানুষ!..

শত ভালোবাসাকে নিমিষেই নিঃশেষ করতে আপনার এক মিনিটের অবহেলাই যথেষ্ট।
দিনশেষে, আপনি আপনার আগের মানুষটিকে খুঁজবেন কিন্তু আর পাবেন না। দেখবেন,সে আপনাকে এড়িয়ে যাবে। আস্তে আস্তে সে আপনার কাছ থেকে দূরে চলে যাবে। আপনি যখন তাকে ফিরিয়ে আনতে যাবেন,
দেখবেন সে হয়তো এতো দূরে চলে গেথে যে তাকে আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব না।
কারণ, "একাকীত্বকে যে একবার ভালোবেসে ফেলে সে কখনো আর কাউকে ভালোবাসতে পারে না।"

সবশেষে বলবো;
লোকে বলে মানুষের খুব কাছে যেতে নেই,
আমি বলবো ভালোবাসারও খুব কাছে যেতে নেই।
কেউ যদি জেনে যায় আপনি তাকে পাগলের মত ভালোবাসেন তাহলে সে আপনার জীবন জাহান্নাম বানিয়ে দিবে।

ভালোবাসা ভয়ংকর সুন্দর।