
15/08/2025
আপনি কোথায় যান, কখন যান—মাঝ রাতে না শেষ রাতে—হাঁস খান না ডিম খান, এসব জানানো লাগে তখনই, যখন আসল কিছু আড়াল করতে হয়।
সরাসরি বলা যেত—“তদন্ত করুন, প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিন”। কিন্তু প্রশ্ন হলো, কে করবে সেই তদন্ত?
কোনদিন শুনেছেন কোনো সাংবাদিক কোনো নেতাকে জিজ্ঞেস করেছে—“আপনি চাঁদা খান কি না?”—আর নেতা উত্তর দিয়েছে, “না, আমি চাঁদা খাই না, শেষ রাতে হাঁসের মাংস খাই”? বিষয়টা যতটা হাস্যকর, তার চেয়েও বেশি চিন্তার।
উপদেষ্টা আসিফ সাহেব চাইলে এক কথায় বলতে পারতেন—“তদন্ত করুন, যদি আমার যোগাযোগ পান, আমি মাথা পেতে নেব”। কিন্তু সেটা না বলে উনি শোনালেন হাঁসের মাংস, তিনশ ফিট, নীলা মার্কেট ,ওয়েস্টিন, শেষ রাতের কাহিনি। প্রতিদিন সেহেরি খান, ভালো কথা—কিন্তু বিনা প্রয়োজনে এই তথ্য ছড়ানো প্রাসঙ্গিক নয়, বরং বিভ্রান্তি তৈরির মতো।
একজন উপদেষ্টা, যিনি নিজের গার্ড নিয়ে চলেন, সরকারি গাড়ি আছে, তিনি কি না এত দামি গাড়ি ফেলে একা হাঁস খেতে বের হন—এটা অন্তত আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না। আমাদের এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিত্বও মনে হয় উনার চেয়ে বেশী । উনি চাঁদা খেয়েছেন, না চাঁদা উনাকে খেয়েছে—এটা প্রমাণ করা যাবে না, কিন্তু সন্দেহ থেকে যাবে।
পি.এস. নিয়ে উনার দেওয়া আগের স্টেটমেন্টও ছিল মিথ্যা। সেই পি.এস.-এর বিচার কবে হবে—কেউ জানে না। তবে এটুকু নিশ্চিত, ইসরাক স্যার তাঁকে ছাড়বেন না।
মোটরসাইকেল প্রসঙ্গে প্রশ্ন উঠল—উনি কি মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়েছিলেন? সোজা উত্তর দিতেই পারতেন—“আমার মোটরসাইকেল নেই” বা “আমি মোটরসাইকেল নিয়ে বের হইনি”। কিন্তু সেই উত্তরও এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে।
জনগণ মোটামুটি বুঝে যায়, হান্নান স্যার কেন থানায় যান আসামি ছাড়াতে। ভবিষ্যতে যিনি দেশের মন্ত্রী হবেন, তিনি যখন থানায় গিয়ে অভিযুক্তকে ছাড়িয়ে আনেন—এটা মোটেও শোভন নয়।
আপনারা নিশ্চয়ই নির্দোষ, সৎ, নির্ভুল, নির্ভেজাল—এ কথায় জনগণ একসময় বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু বিশ্বাস ভাঙা একবার শুরু হলে, সেখানে আর হাঁস-ডিম দিয়ে আড়াল করা যায় না।
#বাংলাদেশ