দুনিয়ার মুসাফির

দুনিয়ার মুসাফির বিদ্যা সহজ,শিক্ষা কঠিন..
বিদ্যা আবরণে, শিক্ষা আচরণে..।

ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন....।মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্স...
28/05/2025

ড. মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের কিছু অজানা তথ্য জেনে নিন....।
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন ব্রিটিশ ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সির (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের। বাথুয়া গ্রামে একটি বাঙালি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তাঁর পিতা দুলা মিঞা সওদাগর ছিলেন একজন জহুরি ও চট্টগ্রামের নেতৃস্থানীয় সুফীদের মুরীদ ছিলেন। এবং তাঁর মাতার নাম সুফিয়া খাতুন। তার শৈশব কাটে গ্রামে। ১৯৪৪ সালে তার পরিবার চট্টগ্রাম শহরে চলে আসে এবং তিনি তার গ্রামের স্কুল থেকে লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলে যান। ১৯৪৯ সালের দিকে তার মা মানসিক অসুস্থতায় ভুগতে শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পূর্ব পাকিস্তানের ৩৯ হাজার ছাত্রের মধ্যে ১৬তম স্থান অধিকার করেন।

বিদ্যালয় জীবনে তিনি একজন সক্রিয় বয় স্কাউট ছিলেন এবং ১৯৫২ সালে পশ্চিম পাকিস্তান ও ভারত এবং ১৯৫৫ সালে কানাডায় জাম্বোরিতে অংশগ্রহণ করেন। পরে, যখন ইউনুস চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করছিলেন, তখন তিনি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় হন এবং নাটকের জন্য পুরস্কার জিতেন। ১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৬০ সালে বিএ এবং ১৯৬১ সালে এমএ সম্পন্ন করেন।

স্নাতক শেষ করার পর তিনি নুরুল ইসলাম এবং রেহমান সোবহানের অর্থনৈতিক গবেষণায় গবেষণা সহকারী হিসেবে অর্থনীতি ব্যুরোতে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি ১৯৬১ সালে চট্টগ্রাম কলেজে অর্থনীতির প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পান। একই সময়ে তিনি পাশাপাশি একটি লাভজনক প্যাকেজিং কারখানা স্থাপন করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য ফুলব্রাইট স্কলারশিপ লাভ করেন। ১৯৭১ সালে ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম ইন ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট থেকে অর্থনীতিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত, ইউনূস মার্ফ্রিসবোরোতে মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি একটি নাগরিক কমিটি প্রতিষ্ঠা করেন এবং অন্যান্য বাংলাদেশিদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সমর্থন সংগ্রহ করতে বাংলাদেশ ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালনা করেন। তিনি ন্যাশভিলের তার বাড়ি থেকে 'বাংলাদেশ নিউজলেটারও' প্রকাশ করতেন। যুদ্ধ শেষ হলে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে সরকারের পরিকল্পনা কমিশনে নিযুক্ত হন। তবে কাজটি তার কাছে একঘেয়ে লাগায় তিনি সেখানে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।

ইউনূস দারিদ্র্যতার বিরুদ্ধে তার সংগ্রাম শুরু করেন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত দুর্ভিক্ষের সময়। তিনি বুঝতে পারেন স্বল্প পরিমাণে ঋণ দরিদ্র মানুষের জীবন মান উন্নয়নে অত্যন্ত কার্যকরী হতে পারে। সেই সময়ে তিনি গবেষণার লক্ষ্যে গ্রামীণ অর্থনৈতিক প্রকল্প চালু করেন। ১৯৭৪ সালে মুহাম্মদ ইউনুস তেভাগা খামার প্রতিষ্ঠা করেন যা সরকার প্যাকেজ প্রোগ্রামের আওতায় অধিগ্রহণ করে।প্রকল্পটিকে আরও কার্যকর করতে ইউনুস এবং তার সহযোগীরা 'গ্রাম সরকার' কর্মসূচি প্রস্তাব করেন। যেটি ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রবর্তন করেন। এই কর্মসূচির অধীনে সরকার ২০০৩ সালে ৪০,৩৯২টি গ্রাম সরকার গঠিত হয়, যা চতুর্থ স্তরের সরকার হিসাবে কাজ করত। তবে ২০০৫ সালের ২ আগস্ট বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কর্তৃক দায়ের করা একটি পিটিশনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গ্রাম সরকারকে অবৈধ এবং অসাংবিধানিক ঘোষণা করে।

বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশে উদ্ভাবকদের সহায়তার জন্য ইউনুসের ক্ষুদ্রঋণ ধারণা 'ইনফো লেডি সোশ্যাল এন্টারপ্রেনারশিপ' প্রোগ্রামের মতো কর্মসূচিকে অনুপ্রাণিত করে।

এইবার দেখেন ড.মুহাম্মদ ইউনুস স্যারের কিছু সম্মাননা ও পুরস্কার....... 👇
১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়াও সারা পৃথিবীর ৭০টি বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেছে।
➡️ ১৯৮৪ সালে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার, ফিলিপাইন।
➡️ ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, বাংলাদেশ।
➡️ ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার।
➡️ ২০০৪ সালে ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেন্সিল্‌ভেনিয়া তাকে গত "২৫ বছরে ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ব্যক্তিদের মধ্যে একজন" হিসেবে নির্বাচন করে।
➡️ ২০০৬ সালে তার অর্থনৈতিক কাজের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার।
➡️ ২০০৬ সালে টাইম ম্যাগাজিন তাকে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়িক নেতার মধ্যে স্থান দেয়, তাকে "এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক"দের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করে।
➡️ ২০০৮ সালে ইউনুসকে যুক্তরাজ্যের 'প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন' এবং যুক্তরাষ্ট্রের 'ফরেন পলিসি' কর্তৃক পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে শীর্ষ ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয়।
➡️ ২০০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পান।
➡️ ২০০৯ সালে ইউনুস স্লোভাকিয়ার ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাব দ্বারা প্রদত্ত সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়াটেক অ্যাওয়ার্ড পান। যারা স্লোভাক প্রজাতন্ত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বৈজ্ঞানিক, শিক্ষাগত এবং সাংস্কৃতিক কৃতিত্ব প্রদর্শন করে তাদের এটি দেয়া হয়।
➡️ ২০১০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পান।
➡️ ২০২১ সালে ইউনুস ক্রীড়া (ইউনুস স্পোর্টস হাবের মাধ্যমে) উন্নয়নের জন্য তার বিস্তৃত কাজের জন্য অলিম্পিক লরেল পুরস্কার পান।
➡️ ২০২১ সালে ইউনুসকে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়। মানব মর্যাদা, সমতা এবং ন্যায়বিচার বৃদ্ধির জন্য তার আলোকিত নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
➡️ ২০২৫ সালে চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে।
➡️ ২০২৫ সালের ১৪মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ড. ইউনূসকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি প্রদান করে।

01/05/2025

View of Makkah Biggest Mountain (Jabak al Soor Cave)

24/03/2025

আহা মুসলমান 😔

17/12/2024

আসসালামু আলাইকুম, বন্যায় কবলিত হয়ে আছে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার কিছু ইউনিয়ন ও গ্রাম তার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত  হচ্...
28/08/2024

আসসালামু আলাইকুম, বন্যায় কবলিত হয়ে আছে চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি থানার কিছু ইউনিয়ন ও গ্রাম তার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন এই ইউনিয়নের বেশি ভাগ গ্রামই বন্যায় কবলিত,কিন্তু এই ইউনিয়ন ও কিছু গ্রামের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে এই পর্যন্ত এাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে বা বিতরণ চলমান,কিন্তু যা এই পরিস্থিতি অনুযায়ী সম্পূর্ণ না।তাই আমি সকল সংগঠনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আপনারা যে যা পারেন অনন্তত পক্ষে এই ইউনিয়ন ও গ্রাম গুলোর পাশে দাঁড়ান। এবং এখানের আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ও মানুষের অনেক ভিড়। পারলে আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে ও এান দিয়ে সহযোগিতা করুন পারলে একটি মেডিকেল টিম গেলে মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার অনেক প্রয়োজন

06/08/2024

রাস্তা লাইটও খুলে নিয়ে যাচ্ছে সুযোগসন্ধানীরা। লুটতরাজ বন্ধ এবং সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য মসজিদের মাইক থেকে সতর্ক করুন। সবাই দায়িত্বশীল আচরণ করুন। অন্যায়কারীদের হাত টেনে ধরুন।
সবাই সবাইকে সচেতন করুন

বাংলাদেশে এখন হামাসের মত বাহিনী গঠন করা জরুরি হয়ে গেছে!
30/07/2024

বাংলাদেশে এখন হামাসের মত বাহিনী গঠন করা জরুরি হয়ে গেছে!

টানা ৩ ঘন্টা 'লা'শ' নিয়ে দৌ'ড়া'দৌ'ড়ি করলাম,,স্যারদের হাতে পায়ে ধরে বুজাইলাম স্যার পো'স্ট'ম'র্টা'ম করব না,,সব কাগজ ঠিক কর...
18/07/2024

টানা ৩ ঘন্টা 'লা'শ' নিয়ে দৌ'ড়া'দৌ'ড়ি করলাম,,স্যারদের হাতে পায়ে ধরে বুজাইলাম স্যার পো'স্ট'ম'র্টা'ম করব না,,সব কাগজ ঠিক করলাম!! এখন 'লা'শ' আনতে ম'র্গে' যায়ে দেখি 'লা'শ নাই,,
আমাদের অজান্তে পু'লি'শি' পাহারায় 'লা'শ' 'পো'স্ট'ম'র্টা'ম করতে নিয়ে গেছে! আমরা কয়েকজন দৌ'ড়ে যাইতে যাইতে 'পো'স্ট'ম'র্টা'ম শুরু হইছে!!
সরি বন্ধু Abu Sayed তোর জন্য শেষ টুকু করতে পারলাম না।

(সংগৃহীত)

21/06/2024

আয়াতুল কুরসীর ফজিলত || দোয়া ও আমল
ইউটিউব চ্যানেল লিংক👇
https://www.youtube.com/

এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তারপরও এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে মানুষের...
13/11/2023

এই পৃথিবীতে মানুষের জীবন ক্ষণস্থায়ী। প্রত্যেক মানুষকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তারপরও এ ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীতে মানুষের চাওয়া পাওয়ার যেন শেষ নেই। সবাই চাই একটি অর্থপূর্ণ সাফল্যমন্ডিত জীবন। তবে এ পৃথিবীর সাফল্যের সংজ্ঞা একেকজনের কাছে একেক রকম। কারো কাছে সাফল্য মানে বিশাল ব্যাংক ব্যালেন্স, বড় বড় অট্টালিকা, বাড়ি,গাড়ি ইত্যাদি। আবার অনেকে এই পৃথিবীতে সাদামাটা বসবাস করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে। তাদেরকে বলা হয় পৃথিবীর রক্ষক। তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা এই পৃথিবী টিকিয়ে রেখেছেন। কারণ যেদিন পৃথিবীতে আল্লাহকে ডাকার মতো একটা মানুষও থাকবে না, সেদিন আল্লাহ এই পৃথিবী ধ্বংস করে দিবেন। পৃথিবী রক্ষাকারীদের কুরআন ও হাদিসের ভাষায় মুমিন বলা হয়। ইসলাম ও মুমিনের জীবন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময় মুমিনের জীবন ক্রয় করে নিয়েছেন। পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা মুমিনদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বলুন, আমার নামাজ, আমার সবরকম ইবাদত, আমার জীবন, আমার মরণ সবকিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য। (সূরা আন’আম: ১৬২)। তাই মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্টি অর্জন করা। পবিত্র আল-কুরআন ও হাদিসের বিভিন্ন জায়গায় আল্লাহ তায়ালা মুমিনের জীবন কেমন হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সে তো শুধু মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে এ কাজ করে। অবশ্যই তিনি ( তার উপর) সন্তুষ্ট হবেন। (সূরা লাইল : ২০-২১)।
অর্থাৎ মুমিন কারো সাথে বন্ধুত্ব করবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে , আবার কারো সাথে শত্রুতা পোষণ করবে আল্লাহ সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য। অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অপরদিকে মানুষের মধ্যে কেউ এমনও আছে যে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নিজের জীবন বিক্রি করে দেয় এবং এমন বান্দাদের উপর আল্লাহর বড়ই মেহেরবান। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একে অপরকে ভালোবাসবে তাদের জন্য কিয়ামতের দিন পুরষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিয়ামতের কঠিন সময়ে যখন কেউ কাউকে চিনবে তখন আল্লাহ তাদেরকে তার আরশের ছায়ায় জায়গা করে দিবেন। আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘কেয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা বলবেন, যারা আমার জন্য পরস্পরকে ভালোবাসতে, তারা কোথায়? আজ তোমাদেরকে আমার আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেব। আজ আমার আরশের ছায়া ব্যতীত অন্য কোনো ছায়া নেই। (মুসলিম : ৪৬৫৫)।
মানুষ জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসে। স্বপ্নপূরণেও আপ্রাণ চেষ্টা করে। তারপরও সবার সব স্বপ্নপূরণ হয় না। এজন্য মানুষ হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে, মহান আল্লাহকে ভুলে যায়। কিন্তু আল্লাহর মুমিন বান্দারা কখনো হতাশ হবে না। এই পৃথিবী তাদের জন্য পরীক্ষারক্ষেত্র। তাই তাদের জীবনে এই ক্ষণস্থায়ী সুখ তুচ্ছ বিষয়।
তারা সর্বদা আল্লাহর ওপর ভরসা করে। পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সব গোনাহ মাফ করবেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা যুমার : ৫৩)। বর্তমানে আত্মহত্যা একটি সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মানুষ আত্নহত্যার পথ বেঁচে নিয়েছে। কিন্তু আল্লাহর বান্দার নিকট জীবন খুবই মূল্যবান নেয়ামত।
তারা বিশ্বাস করে, জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত আল্লাহর রহমতের দরজা খোলা আছে। এজন্য তাঁরা আল্লাহর দিকে একমুখী হয়। তাঁদের সামনে আল্লাহ তায়ালার নাম নিলে ভয়ে তাদের অন্তর কেঁপে উঠে। পবিত্র আল-কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘সাচ্চা ঈমানদার তো তারাই আল্লাহকে স্মরণ করা হলে যাদের অন্তর কেঁপে উঠে আর আল্লাহর আয়াত যখন তাদের সামনে পড়া হয় তাদের ঈমান বেড়ে যায় এবং তাঁরা নিজেদের রবের উপর ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল : ২)। এছাড়া জীবনে কখনো জিনা ব্যভিচারে লিপ্ত, পিতা মাতার অবাধ্য, আমানতের খিয়ানত করা যাবে না। সর্বদা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, হালাল উপায়ে উপার্জন করে, মানুষের হক নষ্ট না করে জীবন পরিচালনা করতে হবে। পরিশেষে, আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে জীবনের মূল্য বুঝার তৌফিক দান করুন।
(লেখা: সংগৃহীত)

টেনশনের চেয়ে এই পৃথিবীতে আমার মনে হয় আর কোন বড় রোগ নাই😔
18/10/2023

টেনশনের চেয়ে এই পৃথিবীতে আমার মনে হয় আর কোন বড় রোগ নাই😔

Address

Jeddah

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when দুনিয়ার মুসাফির posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share