19/06/2025
ই-হুদি বংশদ্ভূত শি-য়াদের বিষয়ে যারা নমনীয় শুধু তাদের জন্য লম্বা হলেও পড়বেন জ্ঞানের আলো বিকশিত হবে আপনার অন্তরে তাই প্লিজ পুরোটা পড়ুন।।
কেউ বলে শি-য়া সুন্নি নামে ইসলামে কিছু নেই, সবাই মুসলিম! কেউ বলে যারা শি-য়া সুন্নি পার্থক্য করে তারা ভন্ড! আরেক হাই স্কুলের মাস্টার বললো শি-য়া সুন্নি পার্থক্য শুধু শয়তানে করে! এদিকে এক বিরাট ইসলামী দলের বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও লেখক বললো, শি-য়া সুন্নিতে কোন পার্থক্য নেই! এবার আসুন আমরা তখনকার আর এখনকার শি-য়াদের বিষয়ে তৎকালীন এবং আধুনিক স্কলারগণ কি বলে জানবো। আমরা ঈমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালেক, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল সহ বিশ্ব স্বীকৃত সালাফী ও খালাফী উলামাদের কথা মানবো, না-কি আপনাদের মতো দ্বীনের জ্ঞানে আন্ডা জানা চন্ডালদের কথা মানবো? আসুন তবে পুরোটা পড়ুন, তারপর না হয় গালি দিলেন!
রাফেজী শি-য়ারা মুশরিক এতে কোন সন্দেহ নেই। এরা হয়রত আলী রা. ও বারো ইমামের ইবাদত করে। মুসলিমরা যেমন বিপদে আল্লাহকে ডাকে এরা বিপদে ইয়া আলি, ইয়া মাহাদি, ইয়া হায়দার (আলী রা.) ডাকে। আল্লাহর নামে যুদ্ধ শুরু না করে আলীর নামে যুদ্ধ শুরু করলেন শি-য়া সিপাহশালার খামিনী। আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একটি বার্তায় তিনি ‘মর্যাদাবান হায়দারের নামে, যুদ্ধ শুরু হলো।’ ঘোষণা করেন। এ নাকি আবার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা?
মহান আল্লাহ বলেন – ❝তার চেয়ে অধিক পথভ্রষ্ট আর কে, যে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কাউকে ডাকে যে কিয়ামত দিবস পর্যন্তও তার ডাকে সাড়া দেবে না। আর তারা তাদের আহ্বান সম্পর্কে উদাসীন।❞ (সূরা আল-আহকাফ, আয়াত: ৫)
✦ শিয়া রা'ফিদাহদের ব্যাপারে সালাফগণের বক্তব্য:
➻ ইমাম আবু হানিফা (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "যে বা যারা আবু বকর অথবা উমারের খিলাফতে অস্বীকার করে তারা কাফের।" [ আস-সাওয়াইক্ব আল-মুহরিক্বহ, পৃষ্ঠা ৩৬২-৩৬৩ ]
➻ ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবীদেরকে লানত প্রদান করে তাদের ইসলামে কোনোও অংশ নেই।" [ আস-সুন্নাহ ২/৫৫৭, আস সুন্নাহ লিল খাল্লাল ৪৯৩/৩; আল ইবানা ১৭৮ পৃ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "প্রবৃত্তির অনুসারীরা সবাই কাফের এবং রাফিদ্বীরা তাদের সমতুল্য।" [ তারতীব আল-মাদারিক ৪৯/২ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "তাদের (রা'ফিদ্বী শিয়া) সাথে কথা বলবেনা এবং তাদের থেকে হাদিস বর্ণনা করবেনা, কারণ তারা নিশ্চিতভাবে মিথ্যাচার করে।" [ মিযানুল ই’তিদাল ২৬/১, তাদরীবুর রাবী ৩৮৭/১ ]
ইমাম (রাহিমাহুল্লাহ) কে রাফিদ্বীদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন - "যে ব্যক্তি আবু বকর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) ও উমর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-কে গালি দিবে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। এবং যে আইশাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)-কে গালি দিবে তাকে হত্যা করা হবে। যেহেতু আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, 'আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন, তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না।' (সূরাহ নূর, আয়াত ১৭)
অতএব যে আয়েশা (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা)-কে গালি দিল সে কুরআনের বিরোধিতা করল, আর যে কুরআনের বিরোধিতা করল তাকে হত্যা করা হবে (কারণ তখন সে মুরতাদ হয়ে যাবে)।" [ মুসনাদ আল-মুয়াত্তা ১১২ পৃ; তাফসিরে কুরতুবী ২০৫/১২; আহকামুল কুরআন লি-ইবন আরাবি ৩৬৬/৩ ]
➻ ইমাম শাফি'ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আমি প্রবৃত্তির অনুসরণে ও মিথ্যা/জালিয়াতি সাক্ষ্যে রা'ফিদ্বীদের (শিয়া) চেয়ে বেশী কাউকে দেখিনি।" [ আদাবুশ শাফিঈ লি-ইবন আবি হাতিম, ১৪৪পৃ; আল কামিল ৪০৮/৩; মিযানুল ই’তিদাল ২৮/১ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "যে সুন্নাহ এর বিরোধিতা করে সে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল এবং যে সাহাবাদের লক্ষ্যবস্তু বানাল সে রাসূল (ﷺ) এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল, আর যে রাসূল (ﷺ) এর প্রতি বিদ্বেষ রাখল সে নিশ্চিত কুফরি করল।" [ তাবাকাত আল-হানাবিলা, ১৩/১ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "একজন রা'ফিদাহর কোনো সুপারিশকারী থাকবে না, এটি শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্য।" [ আল-কাফায়া, ১/১২৬ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "আমি বিদআত গ্রস্থ এমন কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলিনি যে তাশায়্যু-গ্রস্থ (শি'য়া মতবাদ) নয়। নিশ্চয়ই তাশায়্যু নিকৃষ্ট বিদাআত ও তার উৎসস্বরূপ। এটাই রাফিদ্বীবাদ।" [ ই’তিকাদ আশ-শাফিঈ লিল হাকারী, ৩১ পৃ ]
ইমাম শাফিঈর (রাহিমাহুল্লাহ) এর কাছে যখন রাফিদ্বীদের আলোচনা করা হত তিনি নিকৃষ্টরূপে নিন্দা করতেন ও বলতেন এরা জঘন্যতম দল। [মানাকিবুশ শাফিঈ লি-বায়হাকী ৪৬৮/১; মানাকিব আশ-শাফিঈ লি-রাযী ১৪২ পৃ]
➻ ইমাম আহমাদ (রাহিমাহুল্লাহ্) বলেন - "রা'ফিদাহদের সাথে ইসলামের কোনোরুপ সম্পর্ক নেই।” [ উসুল আস-সুন্নাহ, পৃষ্ঠাঃ ৮২ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "আমি রাফিদ্বী ও জাহমিয়াদের যিন্দিকী ছাড়া অন্যকিছুর উপর পাইনি।" [ শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ১৪৫৭/৮ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "যে ব্যক্তি নিন্দা করল (সাহাবাদের), আমি তার ব্যাপারে রাফেযীদের ন্যায় কুফর এর ভয় করি, অত:পর বলেন, যে ব্যক্তি নবী (ﷺ) এর সাহাবাদের নিন্দা করল, আমি তার মধ্যে দ্বীন এর নির্যাস বিদ্যমান থাকার ব্যাপারে অবিশ্বাস করি।" [ আস সুন্নাহ লি-আল খাল্লাল, ৫৫৭-৫৫৮/২ ]
➻ ইমাম আবু ইউসুফ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আমরা রাফিদ্বী - জাহমিয়া এবং কাদরিয়াদের পিছনে সালাত আদায় করিনা।" [ শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, ৭৩৩/৪ ]
➻ ইমাম আশ-শাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "রা'ফিদাহরা মূলত ছদ্মবেশী ইয়াহুদি।" [ আস-সুন্নাহ, ১/৪৯৭ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "শি'য়া জাতি যদি পাখি হত তাহলে শ'কুন হত, জ'ন্তু হলে গা'ধা হত।" [ শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১২৬৭/৭ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "তোমাদের সতর্ক করছি, এই প্রবৃত্তির অনুসারী, পথভ্রষ্ট ও নিকৃষ্ট রাফিদ্বীদের ব্যাপারে। তাদের মধ্যে ইয়াহুদী রয়েছে যারা ইসলামকে ঘৃণা করে যেন এর মধ্যে ভ্রষ্টতা আনতে পারে; যেমনটা ই'য়াহুদী বু'লস বিন শাওল (প'ল) খ্রি'স্টানদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে তাদের পথভ্রষ্ট করেছিল। তারা ইসলামের প্রতি আগ্রহ থেকে অথবা আল্লাহর ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেনি, বরং আহলে ইসলাম (মুসলিমদের) প্রতি ঘৃণা থেকেই।" [ শরহুস সুন্নাহ-আল আলকায়ী, ১৪৬১/৮; আস সুন্নাহ আল-খাল্লাল ৪৯৭/১ ]
➻ ইমাম বুখারী (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর খালকু আফ আলিল 'ইবাদ গ্রন্থে বলেছেন - "আমি কোনো পরোয়া করি না, আমি জাহমী ও রা'ফিদ্বীর (শিয়া) পেছনে সালাত পড়লাম, নাকি ইহুদি ও খ্রিষ্টানের পেছনে সালাত পড়লাম। তাদেরকে সালাম দেওয়া যাবে না, তারা অসুস্থ হলে তাদেরকে দেখতে যাওয়া যাবে না, তাদেরকে বিয়ে করা যাবে না, তারা মারা গেলে তাদের জানাযাহয় শরিক হওয়া যাবে না এবং তাদের জবেহকৃত প্রাণী খাওয়া যাবে না।" [ খালকু আফ‘আলিল 'ইবাদ: ১২৫ ]
"আমি একজন রা'ফিদাহ এবং একজন ইহুদির পিছনে স্বালাত আদায় করার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য দেখিনা।" [ খালক আফয়াউল-ইবাদ, পৃষ্ঠাঃ ১৪ ]
➻ ইমাম ইবনে বাত্তাহ আল-উকবারী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "কেউ রাসুলুল্লাহি স্বল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কোনো একজন সাহাবার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে না, যতক্ষণ না সে বাকী সমস্ত মুসলিমদের প্রতি তার চেয়ে বেশি বিদ্বেষ ধারণ করে।" [ আল ইবানাহ আস-সুগরা - ইবনু বাত্তাহ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "রা'ফিদাদের মহিলাদের বিবাহ করা যাবে না, রা'ফিদাদের জবাইকৃত মাংস খাওয়া যাবে না। কারণ তারা হল মুরদাত জনগোষ্ঠী।" [ আল ইবানাহ আস-সুগরা - ইবনু বাত্তাহ ]
➻ ইমাম আবু জাফর আত তাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আমরা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের ভালবাসি এবং এবং তাঁদের কাউকেই ঘৃণা করিনা। তাঁদের কারো থেকে দায়মুক্তি নেইনা এবং যারা তাঁদের প্রতি বিদ্বেষ রাখে, ভাল ব্যতীত অন্য কিছু বলে সাহাবাদের ব্যাপারে তাদের (সাহাবা-বিদ্বেষী) প্রতি বিদ্বেষ রাখি। সাহাবাদের ব্যাপারে ভাল ছাড়া অন্য কিছু বলিনা। সাহাবীদের প্রতি ভালবাসাঃ দ্বীন,ঈমান ও ইহসান। সাহাবীদের প্রতি বিদ্বেষঃ কুফর,নিফাক ও সীমালঙ্ঘন।" [ আকীদাতুত তাহাবী,শরহে ইবনুল ইযয, পৃ ৬৮৯ ]
➻ ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-র ভালবাসার ক্ষেত্রে রাফিদ্বীদের বাড়াবাড়ি তাদেরকে আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু)-র ফযীলত বহনকারী বহু হাদিস জাল করিয়েছে, যার বেশির ভাগই আসলে তাঁকে অপমান ও আঘাত করে।তারা নিজেদের ভিত্তিহীন ফিকহের মাজহাব, রূপকথা আবিষ্কার করে নিয়েছে যেগুলা ইজমার বিরোধী...। এরকম বহু মাসায়েল যাতে ইজমার লঙ্ঘন করা হয়েছে। ইবলিস তাদেরকে এমন জালিয়াতি করতে উদ্বুদ্ধ করেছে যেগুলার কোন সনদের বা আছার এর অথবা কিয়াস এর ভিত্তি নাই।" [ তালবিস আল ইবলিস, পৃ ৬১ ]
➻ ইমাম শামসুদ্দিন আয যাহাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু বড় বিষয়সমূহের নেতা/অধিকারী, প্রচলিত মিথ্যা সমূহের বিপরীতে আল্লাহ তায়ালা প্রচুর পরিমাণে তাঁর মর্যাদা/গুণাবলী সাব্যস্ত করেছেন। কিন্তু রা'ফিদ্বীরা সেগুলাকে দিয়ে খারাপ উদ্দেশ্যে তর্কবিতর্ক ছাড়া আর কিছু পছন্দ করেনা। আলী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) এর গুণাবলীর ব্যাপারে সত্য ব্যতীত যা আছে তার দিকে আকৃষ্ট হয়। মাওজু/জাল বর্ণনা নিয়ে দলিল দেয়া তাদের জন্য আবশ্যক, এবং সহিহগুলোর প্রতি মিথ্যারোপ করা। যখন তারা নীচু অবস্থা অথবা ভীত বোধ করে, তখন তাকিয়া (ভয়ে দ্বীন গোপন করা) অবলম্বন করে। এবং সহিহাইন (বুখারী-মুসলিম)-কে সম্মান দেয়, সুন্নাহকে সম্মান দেয় ও রাফিদ্বীদের অভিশাপ দেয়। কিন্তু এর মাধ্যমে আসলে তারা নিজেদেরই অভিশাপ দেয়, যা ইয়াহুদী ও মাজুসরাও নিজেদের প্রতি দেয়নি!" [ তারতীবাল মাওজুআত, পৃ ১২৪ ]
➻ ইমাম আবু হামিদ আল গাযযালী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "শি'য়াদের বাদাআ (আল্লাহ্র নতুন কিছু জানা, জ্ঞাত হওয়া) আকীদাহ সম্পর্কে, কুরআনের আয়াত যখন নাসখ/রহিত হবে তার সাথে বাদাআ (আল্লাহর ইচ্ছায় নতুন কিছু জানা/আসা) এর কোন আবশ্যকতা নেই। একারণে ব্যর্থ হয়েছে ইয়াহুদীরা যারা নাসখ (আয়াত রহিত) অস্বীকার করে, আর ব্যর্থ হয়েছে রা'ফিদ্বীরা যারা বাদাআ আক্বীদায় আরোহণ করেছে। এবং আলী (রা) এর ব্যাপারে বলে- যে তিনি গায়েব এর খবর দিতেন না এই ভয়ে যে যদি আল্লাহর তায়ালা তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করেন। এবং তারা জাফর বিন মুহাম্মদ এর নামে বলেঃ 'আল্লাহর কাছে কোন ব্যাপারে এমন বাদাআ (উদ্ভাসিত) হয়নি যেমন হয়েছে ইসমাইল এর ব্যাপারে, অর্থাৎ তাঁর জবাইয়ের বিষয়ে।' এগুলা পরিষ্কার কুফর ও আল্লাহ তায়ালার দিকে অজ্ঞতার নিসবত করা।" [ আল মুস্তাসফি, ৮৮/১ ]
➻ ইমাম আবু যুর'আ আর-রাযি (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন -"যখনই কোন ব্যক্তিকে রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীদের কারো সমালোচনা করতে দেখি, তখন জেনে নেই ব্যক্তিটি যিন্দীক। যেহেতু রসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের কাছে হক্ক, কুরআন হক্ক, এবং নিশ্চয়ই এই কুরআন ও সুন্নাহ আমাদের কাছে এসেছে যাদের মাধ্যমে তাঁরা হলেন রসূলুল্লাহ (ﷺ) এর সাহাবীগণ। তারা (শি'য়া) আমাদের সাক্ষীদের ক্ষত/বিতর্কিত করতে চায় যাতে আমাদের কিতাব (কুরআন) ও সুন্নাহকে বাতিল সাব্যস্ত করতে পারে।" [ আল কিফায়া, ৪৯ পৃষ্ঠা ]
➻ ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "তারা হচ্ছে প্রবৃত্তির অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্ট এবং খারেজীদের চাইতেও বেশি হত্যার যোগ্য।" [ মাজমাউল ফাতওয়া ২৮/৪৮২ ]
শিয়াদেয় অন্যতম ফিরকা রাফিদ্বী সম্প্রদায়ের ব্যাপারে শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়্যাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন - "ই'য়াহুদীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ তোমাদের মিল্লাত/উম্মাহর মধ্যে শ্রেষ্ঠ লোক কারা? তারা বললঃ মূ সা عليه السلام এর সাথীগণ।
খ্রি'স্টানদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তোমাদের উম্মাহর শ্রেষ্ঠ লোক কারা? তারা বললঃ ঈসা عليه السلام এর হাওয়ারিগণ
আর শি'য়াদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ 'তোমাদের উম্মাহর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ লোক কারা?' তারা বললঃ মুহাম্মাদ ﷺ এর সাহাবীগণ! ( নাঊযু বিল্লাহ) [ মিনহাজুস সুন্নাহ : ১/২৭ ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "রাফিদ্বীরা হল ইয়াহুদীদের গাধা, প্রতিটি ফিতনার জন্য যাতে আরোহণ করা হয়।"-- [মিনহাজুস সুন্নাহ ১/২০-২১]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "রাফিদ্বীরা অজ্ঞতা ও যুলুমের দিক বিবেচনায় ভীষণভাবে প্রবৃত্তির পূজারী; নবীগণের পরে প্রথম সারির মুহাজির ও আনসার এবং যাঁরা তাঁদেরকে উত্তমভাবে অনুসরণ করেছে (আল্লাহ তাঁদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তাঁরাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট), তাঁদের মধ্যকার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআ'লার উত্তম বন্ধুদের সাথে তারা (রাফিদ্বীরা) শত্রুতা করে; পক্ষান্তরে তারা ইয়াহূদী, খ্রিষ্টান, মুশরিক এবং নুসাইরী (তথাকথিত সিরিয়ার আলাভী সম্প্রদায়), ইসমাঈলিয়্যাহ (আগাখানী সম্প্রদায়) ও অন্যান্য পথভ্রষ্ট নাস্তিকসহ বিভিন্ন কাফির ও মুনাফিকদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে।" [ মিনহাজুস সুন্নাহ : - পৃ. ২০, ১ম খণ্ড ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "যাদের মধ্যে অধিকাংশ রাফিদ্বীদেরকে পাওয়া যাবে: তারা হয়ত নাস্তিক, মুনাফিক ও ধর্মত্যাগী; অথবা তাদেরকে পাওয়া যাবে জাহিল তথা মূর্খদের মাঝে, যাদের কুরআন-সুন্নাহর বর্ণনা ভিত্তিক ও যুক্তি-বুদ্ধি ভিত্তিক কোনো জ্ঞান নেই।" [ ঐ, পৃ. ৮১, ২য় খণ্ড ]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "ইয়াহূদীদের যদি ইরাক বা অন্য কোনো জায়গায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা পায়, তাহলে রাফেযীরা হবে তাদের সবচেয়ে বড় সাহায্যকারী; কারণ তারা সর্বদা কাফির তথা মুশরিক, ইয়াহূদী, নাসারাদের সাথে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব রাখে, আর তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও শত্রুতায় ইয়াহূদী, নাসারা ও মুশরিকদের সাহায্য করে থাকে।" [মিনহাজুস সুন্নাহ ৩/৩৭৮]
তিনি (রাহিমাহুল্লাহ) আরও বলেন - "যে মিথ্যা তাদের মধ্যে পাওয়া যায়, সত্যকে অস্বীকার করা, অধিক মূর্খতা, অসম্ভবের প্রতি বিশ্বাস, বিবেক-বুদ্ধির কমতি, প্রবৃত্তির অনুসরণের ক্ষেত্রে চরম বাড়াবাড়ি এবং অস্পষ্ট বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্টতা, অনুরূপ বৈশিষ্ট্য অপর কোনো দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে পাওয়া যায় না।" [ঐ, পৃ. ৪৩৫, ৩য় খণ্ড]
➻ ইমাম ইবনু হাযম আন্দালুসী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "খ্রি'স্টানরা রা'ফিদ্বীদের দাবির ভিত্তিতে বলে কুরআনে পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু নিশ্চয়ই রা'ফিদ্বীরা (শি'য়া) মুসলিম নয়! তারাই প্রথমে রাসূল (ﷺ) এর ওফাতের ২৫ বছর পরে দল বের করে। মিথ্যা ও কুফরের ক্ষেত্রে রা'ফিদ্বীরা ইয়াহুদী-নাসারাদের স্রোতে প্রবাহিত।" [ আল ফাসল ফি আল-মিলাল ওয়াল আহওয়া আন নিহাল- ২/২১৩ ]
➻ ইবনু কাসির (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "রা'ফিদাহদের রক্ত প্রবাহিত করা, মদ প্রবাহিত করার চেয়েও উত্তম।" [ আল-বিদায়া ওয়ান-নিহায়া, ৫/২৫২ ]
➻ ইমাম আবদুর রহমান বিন মাহদী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "আমি রাফিদ্বীদের অনুসন্ধান করে যিন্দীক ছাড়া অন্য কিছু পাইনি।" [ শরহে উসুলুল ই’তিকাদ, বর্ণনা ১৯৮১ ]
➻ ইমাম আবু বকর ইবন আরাবী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "খ্রিস্টান ও ইহুদিরা মুসা (আ) ও ঈসা (আ) এর সাহাবিদের প্রতি সন্তুষ্ট ছিলনা। রাফিদ্বীরাও মুহাম্মদ (ﷺ)-এর সাহাবীদের প্রতি সন্তুষ্ট না।" [ আল আওয়াসিম মিনাল কাওয়াসিম, ১৯২ পৃ ]
➻ ইমাম আহমাদ ইবনু ইউনুস (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "আমরা রা ফিদাহদের জবাই করা প্রাণীর মাংস খাই না, কারণ তারা মুরতাদ।" [শারিহ উসুল আল ইতিকাদ আহলুস সুন্নাহ ৮/৪৫৯ ]
➻ ইমাম আবদুল্লাহ ইবন মুবারক (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "দ্বীন আহলুল হাদিস এর জন্য, কালাম ও ধূর্ততা আহলুর রায়-দের জন্য, মিথ্যা রা'ফিদ্বীদের জন্য।" [ মুনতাকা মিন মিনহাজ আল-ই’তিদাল, ৪৮০/১ ]
➻ ইমাম আবুল মুজাফফর আস-সামআনী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "ইমামী শি'য়াদের তাকফিরের ব্যাপারে উম্মত একমত। যেহেতু তারা সাহাবাদের ভ্রষ্টতার বিশ্বাস রাখে ও তাঁদের ইজমাকে অস্বীকার করে’।" [ আল আনসাব, ৩৪১/৬ ]
➻ ইমাম ইবনু আবিদীন (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, "যে রা'ফিদাহদের কুফর সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করে, সেও একজন কাফির।" [ উক্বুদ আদ-দুরিয়্যাহ, অধায় ১ ]
➻ আল্লামা সালিহ আল লুহাইধন (রাহিমাহুল্লাহ) তার এক বক্তব্যে বলেন - "পুরো ইসলামিক ইতিহাসে শিয়ারা কখনো কাফেরদের কাছ থেকে কোনো দেশ জয় করেনি, যখন আহ্লুস-সুন্নাহ দুবর্বল হয়ে পড়ে তখন তাদের ক্ষতি হয়। আপনি ইতিহাস অধ্যয়ন জানতে পারবেন....।"
➻ ইমাম ইবনু বায (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন - "দেখা যায় যে শিয়াদের মধ্যে বহু দল-উপদল/ফিরকা আছে, এবং তাদের প্রত্যকের মধ্যেই বিভিন্ন প্রকারের বিদআত আছে। তাদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল খোমেনীর ইছনা আশারিয়া/১২ ইমামি উপদল। আহলে বাইতের কাছে সাহায্য চাওয়া, তাদের গায়েবের জ্ঞান রাখার আকিদা রাখা, আবু বকর ও উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর মত সাহাবাদের তাকফির, গালি দেয়া – ইত্যাদি এদের বাতিল হওয়া প্রমাণ করে।" [ ফাতাওয়া ইবনু বায, ৪৩৯/৪ ]
শিয়া রাফেজিদের জন্য মাগফিরাতের ও শাহাদাতের জন্য দু'আ করা দুটিই অবাঞ্ছিত ও শরিয়া অনুমোদিত নয়। তাই যারা অতি আবেগতাড়িত হয়ে মাগফিরাত ও শাহাদাতের জন্য দু'আ করছেন তারা আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের আকিদাহ অনুযায়ী নিষিদ্ধ কাজে লিপ্ত রয়েছেন। আল্লাহ তা'আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। আল্লাহ আযযা ওয়া যাল মুসলিম উম্মাহকে - আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং সাহাবায়ে কেরামের দুশমন, নিকৃষ্ট বাতিনী ফিরকা "শি'য়া সম্প্রদায়ের ফিতনা" থেকে হিফাযত করুন। আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক জ্ঞান, আকিদাহ বিষয়গুলো সঠিকভাবে উপলব্ধি করার এবং আহলুস সুন্নাহর ইত্তেবাহ করার তাওফ্বীক দান করুন। আ'মীন ইয়া রা'ব্বাল আ'লামীন।
▌যদি ইয়া হু দীদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ তোমাদের মিল্লাত/উম্মাহর মধ্যে শ্রেষ্ঠ লোক কারা? তারা বললঃ মূ সা عليه السلام এর সাথীগণ
খ্রি স্টা নদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলঃ তোমাদের উম্মাহর শ্রেষ্ঠ লোক কারা? তারা বললঃ ঈসা عليه السلام এর হাওয়ারিগণ
আর শি য়াদেরকে জিজ্ঞাসা করা হলোঃ 'তোমাদের উম্মাহর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ লোক কারা?' তারা বললঃ মুহা ম্মাদ ﷺ এর সাহা বীগণ! ( নাঊযু বিল্লাহ) [ মিনহাজুস সুন্নাহ : ১/২৭ ]
—শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।