22/05/2025
নেন,বন্দরের আত্মকাহিনী!!!
আজকে ড. ইউনূস স্যার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করছে।
তিনি বলেন, "মাঝেমাঝে প্রশ্ন শুনি যে বিদেশিকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনারা ভারতে স্বাস্থ্যসেবার জন্য যান না?
যখন বন্ধ করে দিয়েছে তখন দলে দলে হাহাকার করেছেন যে কেন বন্ধ করে দিল। কারণ হচ্ছে, আমাদের এখানে ভালো স্বাস্থ্যসেবা নাই। খবরের কাগজে আমরা দেখি নেতারা সিঙ্গাপুর, ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে। অথচ বন্দরে কেউ আসতে পারবে না!
কিন্তু আমাদের অর্থনীতির হৃদপিন্ড এই বন্দরের চিকিৎসা দরকার! বাইরের ডাক্তার আনতে হবে তো, উপায় নাই আমাদের। পৃথিবীর সেরা চিকিৎসক আমাদের দরকার যেন এই অর্থনীতির হৃদপিন্ডকে তারা বিরাট আকারে বানিয়ে দিতে পারে কোনো সমস্যা যেন আমাদের না হয়।
তারপর বললেন, ‘আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হলো আরও ১০ রকম জাতি আমাদের চেয়েও খারাপ অবস্থা থেকে আমাদের ডিঙ্গিয়ে শত শত মাইল আগে চলে গেছে। আমরা কেন হতভাগা জাতি হলাম?’
‘যাদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি তারা পৃথিবীর সেরা। তারা দুনিয়াতে শত শত পোর্ট পরিচালনা করে। যেকোনো বন্দরে যান, তাদের মার্কা দেখবেন। তারা যখন বন্দরের দায়িত্ব নেবে তারা আমাদের মতো করে বানাবে না। কারণ তাদেরকে রোজগার করে টাকাটা ওঠাতে হবে। সেজন্য তারা সেরা প্রযুক্তি দিয়ে এটাকে বানাবে।
তারা আগে যত বন্দর-টার্মিনাল বানিয়েছে সে অভিজ্ঞতা তারা এখানে কাজে লাগাবে। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমাদের বন্দর আমাদের মতো করে আমরা চালাব। এতে করে আমাদের টাকা লাগল না, তাদের অভিজ্ঞতা দিয়ে শুরু হলো এবং প্রযুক্তির উচ্চতম জায়গা থেকে শুরু করলাম,’
আরও বলেন, ‘অনেকে বলল, “আমাদের চাকরি চলে যাবে!” কিন্তু ওরা যে আসছে ওরা কি নিজেদের দেশ থেকে লোক নিয়ে আসবে? ওরা তো আমাদের এখান থেকেই লোক নিয়ে যায় ওদের কাজের জন্য। এই বন্দর চালাতে হলে আমাদের লোকই তো চালাবে এটার তো কোনো গত্যন্তর নাই। কারণ আমাদের লোককে শিখিয়ে দিলে খুব সহজেই তারা শিখে যায়। তাদের লাভ, খরচ কম। ইউরোপ থেকে শ্রমিক এনে আমাদের এখানে চালাতে হলে ওদের ব্যবসা লাটে উঠবে। এখানকার মানুষ দিয়েই চালাতে হবে যদি চালাতে হয়।’
‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, যদি ৩১ সালের মধ্যে আমরা বন্দরের কাজ শিখে ফেলি এর পরবর্তী ৫ বছরে অর্থাৎ ৩৬ সালের মধ্যে পৃথিবীর যত দেশে যত বন্দর এই কোম্পানিগুলো চালায় তাদের বহু বন্দর এই বাংলাদেশিরাই পরিচালনা করবে। আপনারা যে বন্দরেই পা দেবেন, দেখবেন বাংলাদেশিরা আছে।
চাকরি কমবে না চাকরি বাড়বে। তাদের নিজেদের প্রয়োজনেই আমাদের নেবে। দরখাস্ত নিয়ে আমাদের যেতে হবে না, তারা আমাদের সাধবে যে ‘তুমি এখানে কাজ করেছো। তোমাকে অমুক জায়গায় পাঠাতে চাই। পরিবারসহ তুমি চলো সেখানে কাজ করো’। আগে আমরা যেকোনো জাহাজে চড়লে দেখতাম জাহাজের নাবিক চট্টগ্রামের, সিলেটের। এরপর থেকে আমরা যে বন্দরে যাব দেখব চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল- বাংলাদেশের লোক,’।
অর্থাৎ বাঙালিদের দিলে ১০০ কোটির ৯০ কোটি খেয়ে দিবে। ৫০ কোটি রাজনৈতিক নেতারা আর ৪০ কোটি বন্দরের কর্মকর্তারা
১০ কোটির কাজ হবে!!!