13/09/2024
”শেখ হাসিনা বাংলাদেশের কাছাকাছি আছে। দেশে ঢুকবে যেকোন সময়!”
দেশের ঢুকার হলে সে কোনদিন দেশ থেকে বাইর হইতোই না ।
আত্ন-সম্মানবোধ থাকলে মৃত্যুকে বেছে নিত কিন্তু এভাবে নির্লজ্জের মত পুরো দল আর নেতা-কর্মীদেরকে জ্বলন্ত আগুনের মুখে মরতে ছেড়ে দিয়ে শুধু নিজের বোনকে নিয়ে পালাতো না।
এরা আজীবন রিস্ক এড়ায় চলছে ।
যদি আপনি হাসিনার জীবনের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন.........
- ৮০ এর দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জামায়াত এক সাথে আন্দোলন করতেছিল ।
সবাই সিদ্ধান্ত নেয় এরশাদের আন্ডারে কোন ইলেকশনে কেউ যাবে না ।
কিন্তু শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকে ।
৮৬-৮৭ এর এই ইলেকশনে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এবং জামায়াত অংশ নেয়। শেখ হাসিনা এরশাদের আমলে বিরোধী দলীয় নেত্রী হোন । ফলে এরশাদ আরো ৩ বছরের জন্য টিকে যায় । এই ইলেকশনে অংশ নিতে হাসিনা এরশাদের কাছে থেকে সে সময় ৫ কোটি টাকা নিয়েছিলো গুঞ্জন আছে।
২০০৭-এ ১/১১ ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিন সরকার মাইনাস টু ফর্মুলা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়।
খালেদা-হাসিনাকে জেলে দেয়।
হাসিনা সমঝোতা করে কোন ঝুঁকি না নিয়ে নীরবে মাইনাস টু মেনে নিয়ে জেল থেকে বের হয়ে আমেরিকা চলে যায়।
আবারো বাঁধ সাধে খালেদা জিয়া ।
তিনি দেশের বাইরে যেতে অস্বীকৃতি জানান এবং জেলেই রয়ে যান।
অবস্থা বেগতিক দেখে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন এই প্ল্যান থেকে সরে আসে।
মাইনাস টু বাতিল হয় ।
অবস্থা সুবিধার দেখে হাসিনা আবার দেশে ফেরত আসে। রাজনীতি শুরু করে। আওয়ামী লীগ নির্লজ্জের মত হাসিনার এই দেশে ফেরত আসাকে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালন করে।
এভাবে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইতিহাস ঘাঁটলে দেখবেন সে কখনো জেনে বুঝে রিস্ক নেয় নাই।
যখনই বিপদ দেখছে, তাঁর দল এবং নেতাকর্মীকে মাইর খাওয়ার জন্য ছেড়ে দিয়ে পালায় গেছে। এইটা আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য। তারা দেশের বাইরে থেকে প্রচুর মুক্তিযুদ্ধ করতে পছন্দ করে।
আর ২০২৪-এ হাসিনা দেশের যে অবস্থা করে গেছে তাতে করে সে সকল দরজা বন্ধ করে গেছে।
পুরো একটা জেনারেশন তাঁর উপর ক্ষিপ্ত। এই জেনারেশন জীবনে কোনদিন ভোট দিতে পারেনি। এই জেনারেশনের সহপাঠীদেরকে সে নির্মমভাবে গুলি করে মেরেছে। আমাদের জীবদ্দশায় হাসিনার ফেরা সম্ভব না ।
হ্যাঁ, সে এবং তাঁর ইন্ডিয়া এই দেশে যত রকম অশান্তি করা যায়, করতে থাকবে ।
বিএনপি-জামায়াতের ভেতরে ঢুকে, ছাত্রদের ভেতরে ঢুকে যত জায়গায় যত অশান্তি করা যায় করবে।
সরকারকে অজনপ্রিয় করতে এবং দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোকে বিতর্কিত এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে যত রকম ঝামেলা করা যায় করবে।
তারা আনসার হয়ে, হিন্দু হয়ে, শ্রমিক হয়ে ফেরা চেষ্টা করেছে। আরও এরকম যতভাবে ফেরা যায় ফেরার চেষ্টা করবে।
কিন্তু আওয়ামী লীগ হয়ে আর ফিরতে পারবে না।
এই রাস্তা হাসিনা জুলাই-আগস্টে চিরতরে বন্ধ করে দিয়ে গেছে।
-Shahriar Ahmed Sadib