Tabiz - তাবিজ

Tabiz - তাবিজ যাদুটোনা থেকে নিরাময়ের উপায়- সূরা কাফিরুন পড়া, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস ৩ বার করে পড়া।

মাত্র ৭ সপ্তাহ আগে যে জীবনের শুরু, সে এখন প্রায় ১৪ মিলিমিটার (০.৫৫ ইঞ্চি) লম্বা - একটা কফি বিনের সমান! ☕️ কিন্তু এই ক্ষু...
13/07/2025

মাত্র ৭ সপ্তাহ আগে যে জীবনের শুরু, সে এখন প্রায় ১৪ মিলিমিটার (০.৫৫ ইঞ্চি) লম্বা - একটা কফি বিনের সমান! ☕️ কিন্তু এই ক্ষুদ্র আকৃতির মধ্যেই লুকিয়ে আছে এক বিশাল পরিবর্তনের গল্প।

এই সময়ে মানব ভ্রূণ এক অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে ওঠে আর এমন সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি হতে থাকে যা আমাদের অবাক করে দেয়।

সেগুলি হইলো:
১. এই সময়ে মস্তিষ্ক এতটাই দ্রুত বিকশিত হয় যে প্রতি মিনিটে প্রায় ২,৫০,০০০ নতুন কোষ তৈরি হয়! মাথার ত্বকের নিচে রক্তনালীগুলো স্পষ্ট দেখা যেতে শুরু করে, যা এই দ্রুত বর্ধনশীল মস্তিষ্কে পুষ্টি আর অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। এ যেন সৃষ্টিকর্তার এক আশ্চর্য প্রকৌশল!

২. ছোট্ট মুখমণ্ডলে দুটি নীল বিন্দুর মতো চোখ তৈরি হতে শুরু করেছে। যদিও তারা এখনো দেখার জন্য প্রস্তুত নয়, কিন্তু লেন্স, রেটিনাসহ চোখের মূল অংশগুলো ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে।

৩. বাহু আর পায়ের কুঁড়িগুলো আরও লম্বা হতে শুরু করে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, হাতের শেষ প্রান্তে আঙুলগুলোও আলাদা হতে শুরু করেছে। এই ছোট্ট হাতগুলোই একদিন আপনাকে আঁকড়ে ধরবে।

৪. নাক, ঠোঁট আর কানের প্রাথমিক গঠন তৈরি হতে শুরু হওয়ায় মুখমণ্ডলে একটা আদল ফুটে উঠছে। প্রতিটি দিন তাকে একটু একটু করে একজন সম্পূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলছে।

৫. পুষ্টির উৎস - ভিটেলিন স্যাক: এই পর্যায়ে ভ্রূণের পুষ্টির জন্য একটি অস্থায়ী কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কাজ করে, যার নাম ভিটেলিন স্যাক (yolk sac)। প্লাসেন্টা বা গর্ভফুল পুরোপুরি তৈরি হওয়ার আগ পর্যন্ত এই থলিটিই ভ্রূণকে বাঁচিয়ে রাখার এবং বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি সরবরাহ করে। মায়ের শরীরের সাথে তার প্রথম সংযোগ!

শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিন মানব জীবনের এই বিস্ময়কর যাত্রার কথা! 🧬

সোর্স:
BabyCenter, March of Dimes, Cleveland Clinic, Mount Sinai Health System, Radiopaedia org

যাদুর দ্বারা মৃত্যু সংঘটিত হয় এবং ক্যান্সার হয় এই বিষয়টি নিয়ে সামান্য লেখা। বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম, আলহামদুলিল্লাহ,...
12/07/2025

যাদুর দ্বারা মৃত্যু সংঘটিত হয় এবং ক্যান্সার হয় এই বিষয়টি নিয়ে সামান্য লেখা।

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম,
আলহামদুলিল্লাহ, ওয়াসসালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ ﷺ

যাদু দ্বারা মৃত্যু সংঘটিত হয়, আমাদের সাথে কথা বলা অনেক ভিক্টিম দূনিয়া থেকে বিদায় হয়েছে। যাদুর শারীরিক মানসিক অসুস্থতা মূল কারন বেশিরভাগ যাদু মস্তিষ্ক মেরুদণ্ড, স্নায়ু, কাশরুকা ইত্যাদি জায়গা বিচরণ করে।

যাদুর দ্বারা রোগ হয় যে গুলো তার মধ্যে অন্যতম হলো, রক্তশূন্যতা, রক্ত উৎপাদন জায়গা গিট মারা হয় ( বোনম্যারো, যা অস্থিমজ্জা)।

এই জায়গা গিট বেশি মারা হয় ভিক্টিমকে। অনেক সময় ভিক্টিম বার বার বলে থাকে আমার মেরুদণ্ড মাঝখানে চাপ অনুভব হয়। আসলে সে সময় যাদু অস্থিমজ্জা চাপ প্রয়োগ করে রক্তচলাচল বন্ধ করে দেয় ।

তখন ভিক্টিমের পুরা শরীর ব্যথা দমবন্ধ হয়ে আসে। এই সময় শরীর বিভিন্ন অর্গানে রক্ত পৌঁছাতে পারেনা।, কিডনি বিকল হওয়া হার্ট অ্যাটাক করে , মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষ দূর্বল রক্ত অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ হয়।

ভিক্টিম হঠাৎ কারন ছাড়াই মারা যায়। মেরুদণ্ড বোনম্যারো, অস্থিমজ্জা কয়েক হাজার কয়েক লাখ পর্যন্ত গিট দিয়ে এই জায়গা অবস্থান করে।

যেমন উদাহরণ আপনি শরীরে একটা জায়গা গিট ৩০ মিনিট-১ ঘন্টা পর্যন্ত শক্ত করে হাত বেঁধে রাখলে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে সেই অঙ্গ অচল হয়ে মারা যাবে ।

তেমনি যাদু সেখানে গিট দিবে সেনসেটিভ জায়গা সেই জায়গা বড় বড় রোগ হয়। যেমন ক্যান্সার,হার্ট এ্যাটাক, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ (Bleeding) হতে পারে।

এই ভিক্টিম হঠাৎ উদ্বেগ বিষণ্ণ হয়ে এবং মস্তিষ্কের যাদু তখন চাপ আরো প্রয়োগ করে ভিক্টিম কে হত্যার জন্য।

রক্তের ক্যান্সার হওয়ার কয়েকটি যুক্তি হলো, শয়তান মানুষের রক্তচলাচল করে এই জায়গা গুলো শয়তান জ্বিন গিট দিয়ে থাকে। রক্ত উৎপাদন জায়গা (মেরুদণ্ড বোনম্যারো) গিটে চাপের ফলে ভিক্টিমের শরীরে রক্তচলাল বন্ধ হয়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়।

বড় বড় রোগের আরেকটি কারন : যেমন আমাদের শরীরে জ্বীন যাদুটোনা থাকলে আমাদের নাক,মুখ, চোখ বিভিন্ন অঙ্গ তারা ব্যবহার করে, ফলে আমাদের শরীর আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকার ফলে, খাওয়া দাওয়া, ঘুম এগুলো কম হয়।

আমাদের শরীরে যা যা প্রয়োজন সেগুলো যোগান না পেলে শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ক্যন্সার, কিডনি বিকল , মস্তিষ্কের রোগ তৈরি হয়।

---- Mawlana Mahmud

কালো জাদুর মাধ্যমে মৃত ব্যাক্তির কারিন জিনকে ডেকে আনা যায়: জাদুবিদ্যা চর্চাকারী, কুফর ও শিরক এর মাধ্যমে কাফির জীনদের সাথ...
29/06/2025

কালো জাদুর মাধ্যমে মৃত ব্যাক্তির কারিন জিনকে ডেকে আনা যায়: জাদুবিদ্যা চর্চাকারী, কুফর ও শিরক এর মাধ্যমে কাফির জীনদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে যাকে তারা প্রায়ই অভিহিত করে ‘অতিপ্রাকৃত শক্তি’ হিসেবে।

অকাল্টের সংজ্ঞা অনুযায়ী এই ধরণের প্রক্রিয়া অশরীরী আনয়ন (spirit contact) এবং মানবদেহে অশরীরী ভর করার(mediumship) সাথে সংশ্লিষ্ট। যে/যারা ভবিষ্যতবাণী করে দেয় তার ওপর তথাকথিত ‘অতিপ্রাকৃত শক্তি’ ভর করে যা প্ল্যানচেট নামে পরিচিত।

এগুলো শয়তান জীন ছাড়া আর কিছুই নয় কারণ মানবদেহে অশরীরী ভর করা বা চলতি কথায় ‘জীনে ধরা’ (demonic possession) যে কোন মিথ্যা কথা নয় এটি আবু আমিনা বিলাল ফিলিপ্স তাঁর পিএইচডি গবেষণায় দেখিয়েছেন।

জাদুবিদ্যা বিষয়ে একাধিক বিজ্ঞ ইসলামিক আলেম বলেছেন, জাদুবিদ্যার মাধ্যমে আনীত শয়তান জীনেরা মানুষের কারীন থেকে তার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে যা তারা জ্যোতিষীদের কানে কানে বলে দেয়।

ইএসপি (ESP) মাধ্যমে যে সব প্যারাসাইকোলোজিস্ট, সুডোসাইন্টিস্ট, গুরু, গণক অথবা জাদুকরেরা মানুষের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহের দাবী করেন, তারাও জীনদের মাধ্যমে কারীনের কাছ তথ্য নেন বলে ধারণা করা হয়।

অনুরূপভাবে মৃত মানুষের কারীন থেকে শয়তান জীনেরা তারা অতীতের তথ্যও সংগ্রহ করে এবং এই জীনেরা ভর করে অন্য মানুষের শরীরে এবং তা প্রত্যক্ষকারীরা ধরে নেয় ঐ মানুষের পুনর্জন্ম হয়েছে যেহেতু সে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অতীতের বর্ণনা দেয়।

জাদুবিদ্যার মাধ্যমে ডেকে আনা অন্য ব্যক্তির আত্মা আসলে শয়তান জীন অথবা কারীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুফরি থেকে বাঁচার জন্য কুরআনের আয়াতকুফর অর্থাৎ অবিশ্বাস, আল্লাহর অবাধ্যতা এবং তাঁর আয়াত ও নবীকে অস্বীকার করা, ইসলামের সব...
23/06/2025

কুফরি থেকে বাঁচার জন্য কুরআনের আয়াত

কুফর অর্থাৎ অবিশ্বাস, আল্লাহর অবাধ্যতা এবং তাঁর আয়াত ও নবীকে অস্বীকার করা, ইসলামের সবচেয়ে বড় অপরাধ। কুরআনে বহু স্থানে কুফরি থেকে বাঁচার উপদেশ, দোয়া এবং সতর্কবার্তা এসেছে। নিচে কুফরি থেকে বাঁচার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি আয়াত এবং দোয়া তুলে ধরা হলো:



📖 ১. আল-ইমরান ৩:১০২

“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে যেমন ভয় করা উচিত, তেমন ভয় করো এবং অবশ্যই ইসলাম গ্রহণ করা অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করো।”

বার্তা:
➤ আল্লাহকে ভয় ও তাকওয়া বজায় রাখলে কুফর থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব।
➤ মৃত্যু যেন ঈমানের অবস্থায় হয়, এজন্য সৎ আমল ও আল্লাহর স্মরণ জরুরি।



📖 ২. সূরা বাকারা ২:২৮

“তোমরা কীভাবে আল্লাহকে অস্বীকার করো, অথচ তোমরা ছিলে মৃত, তিনিই তোমাদের জীবন দান করেছেন। তারপর তিনি তোমাদের মৃত্যু দান করবেন এবং পুনরায় জীবিত করবেন এবং তাঁর কাছেই তোমরা প্রত্যাবর্তন করবে।”

বার্তা:
➤ আল্লাহর সৃষ্টি, জীবন-মৃত্যু, পুনরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস না রাখা কুফরি।
➤ সৃষ্টির বাস্তবতা চিন্তা করলে কুফরি থেকে বাঁচা সহজ হয়।



📖 ৩. সূরা তাগাবুন ৬৪:৯

“সেদিন তিনি তোমাদেরকে সমবেত করবেন মহা সমাবেশের দিনে। সেটি হবে প্রতারণার দিনের প্রকাশ। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস রাখবে, তিনি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার নিচে নদী প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে। এটাই হবে মহা সফলতা।”

বার্তা:
➤ ঈমানই জান্নাতের পথ, কুফর করলে চিরস্থায়ী ক্ষতি হবে।
➤ মহা সমাবেশের দিন কুফরির ভয়াবহ পরিণতি প্রকাশ পাবে।



📖 ৪. সূরা আল-কাহফ ১৮:১০০-১০১

“আর আমরা কুফরকারীদের সামনে জাহান্নাম স্পষ্টভাবে পেশ করবো, যাদের চোখ আমার স্মরণ থেকে পর্দাবৃত ছিল এবং তারা শুনত না।”

বার্তা:
➤ আল্লাহর স্মরণ ও কুরআনের শিক্ষা থেকে দূরে থাকা কুফরির পথে ধাবিত করে।
➤ মনে আল্লাহর ভয়, তাকওয়া, এবং জিকির রাখতে হবে।



🛡️ কুফরি থেকে বাঁচার জন্য ছোট দোয়া (কুরআনের ভাষায়):

রাব্বানা লা তুজিগ কুলুবানা

“رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنتَ الْوَهَّابُ”
বাংলা অর্থ:
“হে আমাদের রব! আপনি যখন আমাদের সৎপথ দেখিয়েছেন, তখন আমাদের অন্তরকে বিভ্রান্ত করবেন না এবং আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে দয়া দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি মহাদাতা।”
(সূরা আল-ইমরান ৩:৮)



✅ সংক্ষেপে করণীয়:

✔️ সব সময় আল্লাহর স্মরণ করা
✔️ কুরআন ও হাদীসের জ্ঞান অর্জন করা
✔️ ঈমানের ওপর অটল থাকা ও সৎ আমল করা
✔️ কুফরি কথা, কাজ ও চিন্তা থেকে দূরে থাকা
✔️ আল্লাহর কাছে দুআ করা যেন কুফরির কোনো ফাঁদে না পড়ি

কালো জাদু এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটার মোকাবেলা করতে হবে রুকিয়া দিয়ে। তাই রুকিয়াকে অ্যাভেলেবেল করতে হবে। নিজেরাও...
12/06/2025

কালো জাদু এখন মহামারি আকার ধারণ করেছে। এটার মোকাবেলা করতে হবে রুকিয়া দিয়ে। তাই রুকিয়াকে অ্যাভেলেবেল করতে হবে। নিজেরাও সেল্ফ রুকীয়া শিখে নিন। পাশাপাশি প্রতিদিনের মাসনূন দোয়া গুলো অবশ্যই করবেন এবং নিজের জীবনকে সুন্নত তরিকায় সাজিয়ে নিন। সামনে এই সমস্যা আরো বেশি বাড়বে।

ঢাকায় ফ্রিমেশনের আস্তানা!আপনি এখন যদি ঢাকার পল্টন মোড়ে যান, একটু নজর দিয়ে চারপাশে তাকান — আপনার চোখে পড়বে না এমন এক ভবন,...
09/06/2025

ঢাকায় ফ্রিমেশনের আস্তানা!
আপনি এখন যদি ঢাকার পল্টন মোড়ে যান, একটু নজর দিয়ে চারপাশে তাকান — আপনার চোখে পড়বে না এমন এক ভবন, যেটা আসলে চোখ রাখছে আপনাকে।

হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। একটা পুরনো ভবন, যার গায়ে আঁকা রয়েছে রহস্যময় এক চিহ্ন — ১৯১০ সালে তৈরি ফ্রিম্যাসন্স হল, রাজধানী ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে মুক্তাঙ্গনের একপাশে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এটি পুরোনো দোতলা সাদামাটা একটি ভবন। ভবনটির গায়ে থাকা ফলকে লেখা রয়েছে, কিন্তু দেয়ালের সেই প্রতীকের দিকে কারো নজর পড়ে না। কিন্তু আপনি যদি একটু থামেন, মাথা উঁচু করে তাকান — তাহলে দেখবেন সেই চোখটা। তার পাশে একটা কম্পাস আর স্কয়ার, যেটা Freemason-দের সিগনেচার প্রতীক। যেখানে লেখা আছে ১৯১০, আর নাম দেওয়া "Masonic Temple Lodge No.1, Dhaka"।

Google Maps-এ যদি লিখেন ‘Freemason Lodge Dhaka’ — চোখের সামনে খুলে যাবে তার অবস্থান।।যা এখন পুরানা পল্টনে ভূমি অফিস হিসেবে ব্যবহিত হয়।
ঢাকায় ফ্রিমেশনের আস্তানা!

বর্তমান পৃথিবীর অনেকগুলো সিংহাসন দখল করে আছে এই ধরনের র‍্যাপ্টাইলিয়ান্সরা। ধারণা করা হয় রানী এলিজাবেথ একজন র‍্যাপ্টাইলি...
09/06/2025

বর্তমান পৃথিবীর অনেকগুলো সিংহাসন দখল করে আছে এই ধরনের র‍্যাপ্টাইলিয়ান্সরা। ধারণা করা হয় রানী এলিজাবেথ একজন র‍্যাপ্টাইলিয়ান্স ছিল।

র‍্যাপ্টাইলিয়ান্স মানে হচ্ছে মানুষের চামড়া পড়া বা মানুষের রূপ ধারণ করে থাকা জিন শয়তান। এদেরকে শেপ সিপটারও বলা হয়।

রেপ্টাইলিয়ান্স (সরিসৃপ) বা জিন ও মানুষের সংমিশ্রণঃ

David bekham, lady gaga, madona, eminem, Justin biber, সহ আরো অনেক আছে। যারা হঠাৎ করে সুপারস্টার হয়ে যায়। আর সারা দুনিয়া এদের life style follow করে। এদের বলা হয় blue blooded..

আমরা জানি, জ্বীন কে তৈরি করা হয়েছে ধোয়া হীন অগ্নি থেকে। যা হচ্ছে blue flame.. আগুনের উপরে অংশ হলুদ আর নিচের অংশ নীল এই নীল শিখা থেকে জ্বীনদের সৃস্টি করা হয়েছে। মানুষ আর জ্বীনদের মিলনে যে মানব শিশু জন্ম নেয় তাদেরকে বলা হয় blue blooded / রেপ্টাইলিয়ান্স (সরিসৃপ)...

((blue blooded / blue eyes (ব্লু আইস) মানুষদের সম্পর্কে জানতে রূহ মাহমুদের গগ ম্যাগগ (ইয়াজুজ মাজুজ) বইটি পড়তে পারেন।))

জ্বীনরা এদের বংশকে চিনতে পারে, আমরা পারবো না। এবং এরা এদের বংশধরদের অনেক হাইলাইট করে। এদের মাধ্যমে শয়তীন এবং জ্বীনরা মানব জাতিকে আল্লাহর অপছন্দনীয় কাজ করাতে উৎসাহিত করে এবং জাহান্নামের দিকে নিয়ে যায়।
............. চলুন এবার কিছু দলিল দেখে নেয়া যাক।

রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ

"নিশ্চই তোমাদের মধ্যে 'মুগরবীন' আছে। রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাস করা হলো মুগরবীন কারা? রাসূল (সাঃ) বললেনঃ যেসব মানুষের মধ্যে জ্বীনেরা মিশে থাকে"

হাকীম, তিরমিযী, কানযুল উম্মাল ১৬:৪৫৪ হাদীস-৪৪৯০০

বদর যুদ্ধে শয়তান কাফিরদের বিভ্রান্ত করেছে

৪৮. স্মরণ করো, যখন শয়তান কাফিরদের কার্যকলাপ তাদের দৃষ্টিতে সুশোভিত করে দিয়েছে এবং বলেছে, 'আজ কোনো মানুষ তোমাদের ওপর বিজয়ী হতে পারবে না। আমি তোমাদের পাশেই আছি।' এরপর যখন উভয় দল সম্মুখসমরে ঝাঁপিয়ে পড়ল, তখন সে পেছন থেকে কেটে পড়ল এবং বলল, 'তোমাদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি, যা তোমরা দেখতে পাও না। আমি অবশ্যই আল্লাহকে ভয় করি। আর আল্লাহ কঠিন শাস্তিদাতা।'

তাফসির : আলোচ্য আয়াতে বদর যুদ্ধে শয়তানের কিছু কার্যকলাপের প্রসঙ্গ এসেছে। শয়তান মক্কার কোরাইশদের প্রতারিত করে মুসলমানদের মোকাবিলায় নামিয়েছে এবং বিভিন্নভাবে তাদের ধোঁকায় ফেলেছে।

তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে : শয়তানের এই প্রতারণা ছিল কোরাইশদের মনে ওয়াসওয়াসা বা কুমন্ত্রণা দিয়ে কিংবা মানুষের আকৃতি ধারণ করে সরাসরি কথাবার্তা বলার মাধ্যমে। এখানে উভয় সম্ভাবনাই বিদ্যমান।

আল্লামা ইবনে কাছির (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় লিখেছেন, শয়তান কাফিরদের কাজকর্ম, ইচ্ছা-উদ্দেশ্য মোহনীয় করে দেখায়। তাদের এই বলে লালায়িত করে যে আজ কেউ তোমাদের পরাজিত করতে পারবে না। সে কুরাইশদের মন থেকে তাদের পুরনো শত্রু বনু বকরের আক্রমণের ব্যাপারে ভয়ভীতি দূর করে দিয়েছে। বনু বকরের সরদার সুরাকা ইবনে মালিকের আকৃতি ধারণ করে তাদের অভয় দিয়েছে। সাহায্যের মিথ্যা আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু বদর যুদ্ধে ফেরেশতাদের উপস্থিতি দেখে সে পলায়ন করেছে। পরে জানা গেছে যে সুরাকা সেখানে আসেনি।

,....,...... আরো কিছু দলিল:

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘শয়তান তাদের বশীভূত করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)

মহানবী (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৮৮)

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সে (ইবলিস) বলল, হে আমার পালনকর্তা, আপনি যেমন আমাকে পথভ্রষ্ট করেছেন, আমিও তাদের সবাইকে পৃথিবীতে নানা সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করব এবং তাদের সবাইকে পথভ্রষ্ট করব। আপনার মনোনীত বান্দারা ছাড়া (তাদের কোনো ক্ষতি আমি করতে পারব না)।’ (সুরা হিজর, আয়াত : ৩৯-৪০)

মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সঙ্গে জিন এবং ফেরেশতাদের মধ্য থেকে কাউকে সঙ্গী নিযুক্ত করা হয়নি।’

সাহাবারা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আপনার সঙ্গেও কি জিন সঙ্গী নিযুক্ত আছে? রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, হ্যাঁ, আমার সঙ্গেও আছে। তবে আল্লাহ তাআলা তার ওপর আমাকে বিজয়ী করেছেন, ফলে সে আমার অনুগত হয়ে গেছে। সে আমাকে কল্যাণকর কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজের পরামর্শ দেয় না।’ (সহিহ মুসলিম)

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, ‘শয়তান তাদের বশীভূত করে নিয়েছে। অতঃপর আল্লাহর স্মরণ ভুলিয়ে দিয়েছে। তারা শয়তানের দল। সাবধান, শয়তানের দলই ক্ষতিগ্রস্ত।’ (সুরা মুজাদালা, আয়াত : ১৯)

উল্লেখ্যঃ এদেরকে সেপ শিফটার বা আকৃতি পরিবর্তনকারিও বলা হয়। আর এই আকৃতি পরিবর্তন করতে ওদের অনেক এনার্জির দরকার।

゚viralfbreelsfypシ゚viral

আল্লাহর উপর প্রবল বিশ্বাস রাখা এক ভাগ্যবান মুসলিম।এবারের হজে নাম জটিলতার কারনে প্লেনে সময় মতো উঠতে না পারাতে প্লেন ছেড়...
01/06/2025

আল্লাহর উপর প্রবল বিশ্বাস রাখা এক ভাগ্যবান মুসলিম।
এবারের হজে নাম জটিলতার কারনে প্লেনে সময় মতো উঠতে না পারাতে প্লেন ছেড়ে দেয়।

তাকে সবাই বলে এই বছর আপনার ভাগ্যে হজ ছিল না তাই এমন হয়েছে।

সে পরিপূর্ণ ঈমান রেখে বলে আল্লাহ এইবারেই হজ করাবে।

প্লেন কোনো এক সমস্যার কারনে ফিরে আসে কিন্তু পাইলট তার জন্য দরজা খুলতে রাজি হয় না। এবারো তাকে একি কথা বলা হয়। তারো একি কথা ইনশাআল্লাহ এইবারি হজ করবো।

আবারো কোনো এক সমস্যা হয় এবার পাইলট বুঝতে পারে সমস্যা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসছে। তাকে উঠাতেই হবে। এবার তাকে উঠায় আর কোনো সমস্যা হয় না।

দুই দুইবার উড়ে যাওয়া প্লেন আল্লাহ ফিরিয়ে এনেছে তার নেক নিয়ত পূর্ন করার জন্য।

সকল পরিস্থিতিতে হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে আদর্শ মেনে আল্লাহর জন্য বেঁচে থাকবেন। আল্লাহর উপর ভরসা রাখবেন। আল্লাহর ইবাদত করে যাবেন। আল্লাহর কাছে চেয়ে যাবেন।

এরপর আল্লাহ যখন যেমন রাখে তাতে সন্তুষ্ট থাকবেন। ভাববেন এতেই আপনার মঙ্গল যা আল্লাহ জানে আপনি জানেন না।

এটাকে বলে হেদায়েতের উপর বেঁচে থাকা। আপনি হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে আদর্শ মেনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সবসময় নামাজ জিকির আমলের ভিতর থাকবেন।

সব ধরনের পা*প থেকে বেঁচে থাকবেন। আল্লাহর হক, বান্দার হক ঠিক মতো আদায় করবেন। এমনটা করলে তখন আপনি শ*য়*তা*নে*র ওসোয়াসায় বিভিন্ন মানুষের কথা ভেবে, বিভিন্ন নেগেটিভ কিছু ভেবে অশান্তির চিন্তা, অ*শ্লী*ল চিন্তা, ভয়ের চিন্তায় প্রভাবিত হলে হেদায়েতের উপর থাকতে পারবেন না।

তাই তখন আপনি শ*য়*তা*নে*র বাধা পেয়ে শ*য়*তা*ন*কে উপলব্ধি করা শিখবেন।

আর শ*য়*তা*নে*র ওসোয়াসায় প্রভাবিত না হয়ে হেদায়েতের উপর থাকার জন্য চিন্তার জগতে শুধু পরকাল রাখবেন।

এমনটা করতে পারলে সহজেই শ*য়*তা*ন*কে হারিয়ে হেদায়েতের উপর থাকতে পারবেন। শ*য়*তা*ন*কে হারিয়ে হেদায়েতের উপর থাকতে পারলে সকল পরিস্থিতিতে প্রতি মুহূর্তে মনে শান্তি থাকে।

এইভাবে মৃ*ত্যু*র আগ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারলে জা*হা*ন্না*ম থেকে বাঁচতে পারবেন। জান্নাতের একশোটি স্তরের সর্বোচ্চ স্তরে সকল নবী রাসুলের সাথে অনন্তকাল থাকতে পারবেন।

কিন্তু হেদায়েতের পথে না আসলে শ*য়*তা*নে*র সকল ওসোয়াসাকে নিজের ভাবনা ভেবে বিভিন্ন মানুষের কথা ভেবে, বিভিন্ন নেগেটিভ কিছু ভেবে স্ট্রেসে থাকা, ভয়ে থাকা, হ*স্ত*মৈ*থু*ন করা, জে*না করা, নে*শা করা, ফিতনায় জড়ানো, বিভিন্ন ধরনের পা*প করা এইসব থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন না।

পা*পে*র ভিতর ডুবে থেকে বিভিন্ন কিছু করে সাময়িক মজা পাবেন।

কিন্তু তা আপনার শরীর আর মনের উপর শুধু খারাপ প্রভাবি ফেলবে। বেঁচে থাকা দূর্বিষহ করে ফেলবেন। শেষে বে*ই*মা*ন হয়ে মা*রা যেয়ে অনন্তকালের জন্য জা*হা*ন্না*মী হবেন।

তখন অন্যদের উপরেও জু*লু*ম করবেন আর নিজের উপরেও জু*লু*ম করবেন।

আর হেদায়েতের পথে থাকলে নিজেকেও আল্লাহর জন্য ভালোবেসে যাবেন আর সবাইকেও আল্লাহর জন্য ভালোবেসে যাবেন নিয়মের ভিতর থেকে।

পিতামাতা, জীবনসঙ্গী, আপনজন, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী সবার হক আদায় করবেন যেভাবে হক আদায় করতে বলা হয়েছে। মুসলিম, অ*মু*স*লি*ম সবার সাথে সবসময় হাসি মুখে সুন্দর ব্যবহার করবেন।

উত্তম আচরন করবেন। কারো সাথে রু*ঢ় আচরণ করবেন না। মুসলিম, অ*মু*স*লি*ম যেকাউকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সাহায্য সহযোগিতা করবেন। তখন আপনি বেঁচে থাকার মানে উপলব্ধি করতে পারবেন।

আল্লাহ সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক।

--- Tanvir

রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জ...
01/06/2025

রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা সাইবেরিয়ার পারমাফ্রস্টে ৩০০টি প্রাগৈতিহাসিক কৃমি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে দুটিকে সফলভাবে পুনরুজ্জীবিত করা সম্ভব হয়েছে।

এই কৃমিগুলি হাজার হাজার বছর ধরে বরফে আটকা পড়ে ছিল, তবুও গলানোর পরপরই তারা নড়াচড়া ও খাদ্য গ্রহণ শুরু করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, একটি কৃমির বয়স প্রায় ৩২,০০০ বছর, অন্যটি ৪১,৭০০ বছর।

এই আবিষ্কার বিজ্ঞানীদের জন্য একটি বড় অর্জন, কারণ এটি প্রমাণ করে যে কিছু প্রাণী অত্যন্ত দীর্ঘ সময় ধরে হিমায়িত অবস্থায় টিকে থাকতে পারে এবং পুনরায় সক্রিয় হতে পারে।

এই কৃমিগুলি নেমাটোড প্রজাতির, যা মাটির মধ্যে বসবাসকারী একধরনের সুক্ষ্ম জীব।

এরা অতীতের জলবায়ু ও পরিবেশ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে পারে। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এই প্রাচীন জীবগুলির টিকে থাকার রহস্য তাদের দেহের বিশেষ জৈবিক গঠনে নিহিত থাকতে পারে, যা তীব্র শীতল অবস্থায়ও কোষের ক্ষতি রোধ করে।

এই গবেষণা শুধু প্রাণীবিদ্যার জন্যই নয়, জ্যোতির্বিদ্যা ও মহাকাশ গবেষণার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

ধারণা করা হচ্ছে যদি কৃমিরা হাজার হাজার বছর বরফে সংরক্ষিত থেকে পুনরায় জীবিত হতে পারে, তাহলে প্রশ্ন জাগতেই পারে অন্যান্য গ্রহে বা উপগ্রহে, যেমন মঙ্গল বা ইউরোপায়, অনুরূপ প্রাণীর অস্তিত্ব থাকা কি একেবারেই অসম্ভব !!

----- আমি জানতে চাই

কিছু বিশ্বাস ও কাজ এমন আছে, যেগুলো কোনো ঈমানদানকে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। নিম্নে সে বিষয়ে বর্ণনা করা হলো—কোনো কিছ...
30/05/2025

কিছু বিশ্বাস ও কাজ এমন আছে, যেগুলো কোনো ঈমানদানকে ঈমানের গণ্ডি থেকে বের করে দেয়। নিম্নে সে বিষয়ে বর্ণনা করা হলো—

কোনো কিছুকে কুলক্ষণ মনে করা : কোনো বস্তু বা অবস্থা থেকে কুলক্ষণ গ্রহণ করা বা কোনো সময়, দিন বা মাসকে অমঙ্গল মনে করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। কোরআন-হাদিসে প্রমাণিত নয়—এরূপ কোনো লক্ষণে বিশ্বাস করা ভ্রান্ত বিশ্বাস। (বুখারি, হাদিস : ৫৭১৭)

পীর সাহেবকে বা মাজারে সিজদা করা : পীর সাহেব বা মাজারকে উদ্দেশ্য করে সিজদা বা মাথা ঝুঁকিয়ে সম্মান জানানো কুফরি কাজ। (ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৩)

পর্দা নিয়ে উপহাস করা : শরিয়তে যেসব বিধান অকাট্যভাবে প্রমাণিত বা ধর্মের সর্বজনবিদিত আবশ্যকীয় বিষয়, পর্দার বিধানও তার অন্তর্ভুক্ত। তা নিয়ে উপহাস করা কুফরি। (রদ্দুল মুহতার ৪/২২৩)

দাড়ি-টুপি নিয়ে উপহাস : দাড়ি-টুপির উপহাস করা মূলত নবী (সা.)-এর সুন্নত নিয়ে উপহাস। তাই উপহাসকারী ঈমানহারা হয়ে যাবে। (ফাতাওয়ায়ে বাজ্জাজিয়া ৬/৩৩৭)

আলেমদের অপমান ও অবজ্ঞা করা : ইলমের কারণে বা দ্বিনের ধারক-বাহক হওয়ায় উলামায়ে কেরামকে হেয়প্রতিপন্ন করা বা কটাক্ষ করা কুফরি। হ্যাঁ, পার্থিব বিষয়ে তাদের কারো কোনো ব্যক্তিগত কর্মের কারণে কটাক্ষ করার দ্বারা কাফের হবে না। (বাহরুর রায়েক : ৫/১২৩)

কোরআনের অবমাননা কুফরি : কোরআন শরিফের অবমাননা করা বা পুড়িয়ে ফেলা বা ছিঁড়ে ফেলা স্পষ্ট কুফরি। (আল-বাহরুর রায়েক : ৫/১২০)

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ছবি ও ব্যঙ্গচিত্র আঁকা : রাসুলে করিম (সা.)-এর অবমাননা যেকোনোভাবেই করা—মুখে হোক কিংবা ছবি এঁকে হোক কুফরি, বিশেষত নবীজি (সা.)-এর ছবি আঁকাও প্রকাশ্য নবীদ্রোহিতা।

সুতরাং এ ধরনের রাসুলদ্রোহীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা দায়িত্বশীলদের ওপর ফরজ। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া : ৪/৩৮৬)
নবী করিম (সা.)-এর পর নবুয়তের দাবিদার ও তাঁর অনুসারী কাফির : মুহাম্মদ (সা.) সর্বশেষ নবী, তারপর আর কেউ নবী হবে না—এ কথার ওপর ঈমান রাখতেই হবে। যদি কেউ আল্লাহর ওপর ঈমান আনে কিন্তু নবী করিম (সা.)-কে শেষ নবী হিসেবে না মানে সে কাফির। (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৪০)

#তাবিজ

এক বোনের ভয়ংকর জিনের সমস্যা এবং তার চিকিৎসার ঘটনা…“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।” আসলেই কথাটির মর্ম আমি বুঝতে পেরে...
30/05/2025

এক বোনের ভয়ংকর জিনের সমস্যা এবং তার চিকিৎসার ঘটনা…
“বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর।” আসলেই কথাটির মর্ম আমি বুঝতে পেরেছি আমার দীর্ঘদিনের একটি সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়ে। প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন না কোণ ঘটনা থাকে।

আমি যখন আমার মায়ের পেটে ছিলাম তখন থেকেই আমার প্রতি কোন না কোন সাপের ঘৃণা ছিল। আমি বহুবার স্বপ্নে এমন দেখেছি যে, আমি গর্ভে থাকা অবস্থায় মা নাকি ভুল করে একটি সাপ মেরে ফেলেন।

কিন্তু মায়ের এমন কিছু মনে নেই। তারপর আমার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে মা বুঝতে পারেন তিনি আসলেই হয়ত এমন কাজ করেছেন কারণ তার অভ্যাস ছিল সাপ মারা। তিনি জানতেন সাপ মারা সুন্নত।

এখন তিনি বুঝতে পারেন তিনি সাপ ভেবে যা মেরেছিলেন তা আদতে সাপ ছিল না। এই সাপ মারার পর থেকে মা বিভিন্ন সময় অসুস্থ থাকতেন। আমি জন্মের পর থেকে নানা রোগে-শোকে ভুগতে থাকি। দুই-একদিন পরপরই আমাকে ডাক্তারের কাছে নিতে হত।

খাওয়া-দাওয়ায় আমার তেমন রুচি ছিল না। ছোট থেকে নানা কিছু স্বপ্নে দেখতাম। রাতে দেখে দিনের বেলায় ভুলে যেতাম। স্বপ্ন নিয়ে তেমন ভাবনাও ছিল না। ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নই আমাকে সুস্থ হতে সাহায্য করেছে।

যখন থেকে স্বপ্ন মনে থাকত তখন পরিবারের সাথে এগুলো বলতাম। ছোটবেলা থেকেই আমার বেশ মন খারাপ থাকত। আর মেজাজও গরম থাকত। আমি কাউকে সহ্য করতে পারতাম না। এমনকি মাকেও সহ্য হত না। এভাবে চলতে থাকে কয়েক বছর।

যখন দশম শ্রেণীতে পড়ি তখন বাসায় নানা রকমের স্বপ্নের কথা বলতাম। তখন স্বপ্ন দেখলে মনে থাকত। আমি স্বপ্নে সাপ দেখতাম রোজ। তারা আমার ক্ষতি করত না। আরও দেখতাম সাপেরা আমাকে নিয়ে এমন কোথাও যাচ্ছে যেখানে আগে কখনই যাই নি। আমার খুব ভাল লাগত। তাই পরে আর এসব কথা কাউকে বলিনি। এভাবে সাপের প্রতি আমার মায়ের চেয়েও বেশি আকর্ষন তৈরি হয়।

সবসময় সাপ, কবুতর, কুকুর, পেঁচা ইত্যাদি দেখতাম স্বপ্নে। এমনকি পরীক্ষার হলে লেখার সময়ও দেখতাম কলমের মাথায় সাপ বসে আছে। তখন আমি সবকিছু ভুলে যেতাম। পড়ে আসা পড়া কিছুতেই মনে করতে পারতাম না।

আমার ধৈর্য্যও কমে যেতে লাগল। রাগ এবং জিদ বাড়তে লাগল।

পরিবারের মানুষজন থেকে দূরে সরে যেতে থাকলাম। একা একা থাকতে ভাল লাগত। কোন পারিবারিক অনুষ্ঠান, বিয়ে, হৈচৈ ভাল লাগত না।

কারও সাথে মিশতে পারতাম না, মন খুলে কথা বলতে পারতাম না।

রাস্তায় চলাচল করতে পারতাম না, গাড়ির সাথে ধাক্কা লেগে যেত।

বেশিরভাগ সময় কলেজ থেকে আসার সময় যে পুকুরগুলো পড়ত সবগুলোতে রাস্তা থেকে সাপ দেখতে পেতাম যা আর কেউ দেখত না।

আমার জীবন এভাবেই কাটতে থাকে।

আরও কয়েকবছর পর আমাকে আমাদের বাড়ির সামনের এক ফকিরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি আমাকে দেখে বলেন আমার সাথে খারাপ জ্বিন আছে। সেখান থেকে আমাকে দুইটি তাবিজ দেয়া হয়। একটি গলায় এবং অন্যটি বা হাতে পড়ার জন্য। আমাকে পানি পড়া ও তেলপড়াও দেয়া হয়। এভাবে চলতে থাকে।

একমাস পর্যন্ত আমার মধ্যে কোন পরিবর্তন এল না। এরপর আমাদের এলাকার ইমাম সাহেবকে আমাদের বাসায় ডেকে নিয়ে আসা হল। তিনি আমার কথা শুনে ভাবলেন হয়ত আমি খারাপ স্বপ্ন দেখি তাই ভয় পেয়ে এমন আচরণ করি। কিন্তু সব কথা শোনার পর আমাকে পানি পড়া, মধু ও তাবিজ দেন। সাথে সাথে দুপুর বারোটার আগেই তার দেয়া পানি পড়া দিয়ে গোসল করতে বলেন। আর ভরদুপুরে কোনভাবেই বাইরে যেতে মানা করেন।

এসব নিয়ম-কানুন মেনে চলার পর কিছুদিন স্বপ্নে সাপ দেখেনি। তবে আমার শারীরিক দুর্বলতা তখনও কাটেনি। একদিন হঠাৎ করেই আমার শরীর থেকে তাবিজ পড়ে যায়। কোথায়, কখন পড়ে যায় কিছুতেই মনে করতে পারি নি। এভাবে সময় কাটতে থাকে। কিন্তু দিন দিন আমার অবস্থা খারাপ হতে থাকে।

এরপর আমাকে মাদ্রাসার এক হুজুর দেখানো হল। তিনি আমার সব সমস্যার কথা শুনে আমাকে পানি পড়া ও সরিষার তেল পড়া দিলেন এবং দশটি কাচের প্লেটে কিছু লিখে দেন যেগুলো ধুয়ে পানি পান করতে বলেন। এসব মেনে চলার পরও আমার অবস্থা খারাপের দিকে যেতে থাকে। এবং আমি অজ্ঞান থাকি। এই নিয়ম-কানুন আমার বড়ভাই এবং আমার চাচা করিয়েছেন। পরে তাদের কাছে এসব শুনেছি। আমি অজ্ঞান থাকাতে উনারা ভয় পেয়ে যান।

আমার বড় ফুপার মাধ্যমে মিরপুরের এক কবিরাজের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি জানান তিনি দূর থেকেই নামের উপর চিকিৎসা করতে পারবেন। আমার সুস্থতার জন্য পরিবারের সবাই এতটাই ব্যাকুল ছিল যে, যে যাই বলত তাই মানার চেষ্টা করত। সেই পথ্য দেন একমাস ঘর থেকে বের হওয়া যাবে না। ঘরে গোসল থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করতে হবে। আর তার দেয়া মাটির হাড়ি ভেঙে পানি পান করতে হবে এবং গোসল করতে হবে। সবকিছু ঠিকমতই করা হলেও আমার কোন উন্নতি হল না।

কবিরাজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বললেন, তিনি জ্বিনদের আটকানোর, বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তারা তার কোন কথাই নাকি শোনেনি। বরং জ্বিনেরা তাকে মারধর করে অসুস্থ করে ফেলেছে। এরপর কবিরাজ মহাশয় সাফ বলে দিলেন আমার চিকিৎসা তিনি করতে পারবেন না।

তিনি অন্য এক কবিরাজের খোজ দিলেন। ঐ কবিরাজ অগ্রিম টাকা ছাড়া কাজ করেন না। আর কাজ না হলে নাকি টাকা ফেরত। তার দাবি ছিল নদীর সাত ঘাটের পাল লাগবে এবং যে নদীতে সবার আগে জোয়ার আসে সেই নদীর পানি লাগবে। আর কিছু রক্তজবা ও আমপাতা একটি মাটির হাড়ীতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। তিনি দূর থেকে জ্বিন দ্বারা সেই হাড়িতে ঝাড়ফুঁক করবেন।

কিন্তু এসব করার পরও আমার কোন উন্নতি হল না।
এরপর কিছুদিন চিকিৎসা বন্ধ ছিল। হঠাৎ একদিন আমার খালু পুরান ঢাকার এক কবিরাজের সন্ধান পান। তার কাছে যাবার পর তিনি আমাকে দেখে হাসলেন এবং হাত দেখে বললেন আমি নাকি রূপ ধারণ করি। এই সময় আমার জ্ঞান ছিল না।

আমি পরে বড়োদের কাছে এসব শুনেছি। সেখানে এক মহিলার উপর জ্বিন হাজির করা হয়। এরপর আমার হাত দেখে বলে আমাকে যাদুকরি ধরেছে। সে সবসময় আমাকে যাদু করে আমার চিকিৎসার যাবতীয় কার্যক্রম নস্যাৎ করে দেয়।

তিনি আমাকে কয়েকটি মোমবাতি জ্বালিয়ে একটি আরবি লেখা কাগজ পুড়িয়ে সেই কাপড়ে ধোয়া চোখে লাগাতে বলেন আর সাতটি নদীর মোহনা থেকে পানি আনতে বলেন আমাকে গোসল করানোর জন্য। এভাবে চলে যায় আরও কিছুদিন। দিন যত যাচ্ছিল আমি আমার পরিবার থেকে ততই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছিলাম।

অবশেষে আমাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা আমাকে কাউনসিলিং করতে বলেন। এটা বেশ ব্যয়বহুল ছিল। তবুও খালামনি আমাকে কাউনসিলিং করান বেশ কিছুদিন। ডাক্তাররা আমাকে মানসিক রোগী ভেবে ঘুমের ওষুধ দিতেন। এই ওষুধ খেলে দিনের অর্ধেক সময় পর্যন্ত আমার ঘুমিয়ে কাটত। দুই মাস খাওয়ার পর ওষুধ খাওয়া বন্ধ করি।

এরপর মামার মাধ্যমে ফুলবাড়িয়ার এক কবিরাজের সন্ধান পাই। তার চিকিৎসা পদ্ধতি একটু ভিন্ন। তার কথা শুনে মনে হল আমাকে সুস্থ করা তার জন্য কোন বিষয়ই না। তিনি কত রাজা-উজির মেরেছেন তার গল্প আমাদের শোনাতে লাগলেন। তারপর কবিরাজ আমাকে ভরসা দিলেন যে আমাকে তিনি সুস্থ করে তুলবেন। তিনি বোঝালেন, তার ঘরেও মা-বোন আছেন। তাই আমার উপর জ্বিন হাজির করবেন না। কারণ জ্বিন হাজির হলে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে।

তাই তিন তার বাড়ির কয়েকজন ছেলে-মেয়েকে ডাকলেন এবং তাদের উপর জ্বিন হাজির করলেন। তিনি তাদের এমনভাবে প্রশ্ন করতে লাগলে যার উত্তর “হ্যা/না” দিয়ে দেয়া যায়। এহেন কাজকর্মে আমরা কিছুটা আশ্বস্থ হলাম। তবে আমাদের সাথে যে ভাইয়া গিয়েছিলেন তিনি বললেন আমার উপরে জ্বিন হাজির করাতে। এতে কবিরাজ আমাদের নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাতে লাগলেন।

যেমন, জ্বীন হাজির হয়ে যদি আমার কোন ক্ষতি করে তাহলে সে দায় তিনি নিবেন না-ইত্যাদি ইত্যাদি। আমরাও ভয় পেয়ে তার কথায় সম্মত হলাম। তারপর আমাকে অনেক কিছু জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। এক পর্যায়ে আমার কথা শুনে বললেন, আমি নাকি মিথ্যে বলছি। কিন্তু আমিতো জানি আমার সাথে কি কি হত। এরপর কবিরাজ আমাকে খুব ধমকাতে লাগলেন আর বার বার আমাকে মিথ্যুক বলছিলেন।

এরপর তিনি আমার সাথে থাকা জ্বিনকে নাকি আটকে ফেললেন এবং একটা পরী এসে নাকি সেই জ্বিনকে খেয়ে ফেলেছে। কাজ শেষ হবার পর বললেন, আমাদের কাছ থেকে তিনি কোন পারিশ্রমিক নিবেন না। কিন্তু তার ভক্তদের জন্য টাকা দিতে হবে। আরও বললেন, আমার জানের সদকা দিতে হবে আর তার গুরুকে খুশি করে দিতে হবে।

আমাকে সুস্থ করার জন্য আমার মামা তার সব কথা মেনে নিলেন এবং নগদ দশ হাজার টাকা দিয়ে দিলেন। এছাড়াও আমাকে কয়েক পদের পাতা দেন এবং এগুলো পানিতে গরম করে গোসল করতে বলেন। সাথে সাথে চিনি পড়া দেন খাওয়ার জন্য, মেশিনে ভাঙানো প্রথম সরিষার তেল দেন। হাতে বাধার জন্য তাবিজও দেন। তালের আটি দেন। আরও কিছু নিয়ম মেনে চলতে বলেন।

আমাদের ঢাকায় ফিরতে রাত হয়ে যায়। রাতে ভালই ছিলাম। গোসল করি, খাবারও খাই। কিন্তু পরের দিন ঘটে মারাত্মক এক ঘটনা। আমি নাকি নিজেই আমার গলায় ওড়ান পেঁচিয়ে ফাঁসি নিতে চেয়েছি! আমাকে নাকি কেউ ফিরিয়ে রাখতে পারে না।! এক পর্যায়ে আমার নাক-মুখ লাল হয়ে যায়, দাতে কপাটি লেগে যায়। এভাবে কয়েক ঘন্টা পর্যন্ত চলতে থাকে। তারপর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হই। এসব কিছুই আমার মনে নেই।
----

এবারে (রুকইয়া সার্পোট বিডি) থেকে শুনুন:

রুকইয়াহ গ্রুপের কার্যক্রম তখন কেবল শুরু হয়েছে। আমাদের দু’জন ভাই উনাকে রুকইয়াহ করলেন।

প্রথমদিকে টানা ৬-৭ ঘন্টা রুকইয়াহ করা হয়েছে। জ্বিন ছাড়তে চায় না। রুকইয়াহ করার সময় নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যেত। যেমন, শ্বাসকষ্ট, দাঁতে দাঁতে লেগে যাওয়া, ওড়না গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস নিতে চেষ্টা করা, গোঙানি ইত্যাদি।

দ্বিতীয়দিনে তাকে বলা হল, কালেমা পড়। তিনি কালেমা পড়ার চেষ্টা করতেই জ্বিন এসে তাকে অজ্ঞান করে দিল। সাথে সাথে একভাই রুকইয়াহ করা শুরু করলেন। ঘন্টা খানেক রুকইয়াহ করার পর তিনি কিছুটা ধাতস্থ হলেন।

এভাবে সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন তাকে রুকইয়াহ করা হত। পরের দিকে তার সমস্যা অনেক কমে আসে। তিনি নিজে নিজেই রুকইয়াহর আয়াত গুলো পড়তে পারতেন। আবার গরুর গোশত খাওয়া শুরু করলেন, নামাযে নিয়মিত হলেন। আস্তে আস্তে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে লাগলেন।

ঘটনার প্রায় ৪ বছর পার হয়ে গেছে, উনি ভালই আছেন। এখনও তিনি আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, কখনও যেন সেই সমস্যা ফিরে না আসে। আমরাও তার জন্য এমনটাই দোয়া করি। আল্লাহ কবুল করে নিন। আমীন।

--- এই ঘটনাটি রুকইয়া সার্পোট বিডি থেকে নেওয়া হয়েছে। কুফরি , জিনের সমস্যার জন্য তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।

ভয়ংকর একটি ভুতের গল্প::::আবুল মিয়াঃ সেদিন ছিলো আষাঢ় মাস ।আমি বাজার কইরা বাড়ী ফিরতাছি ।আমাবইশ্যার রাইত । ঘুটঘুটা আইন্ধাইর...
30/05/2025

ভয়ংকর একটি ভুতের গল্প::::
আবুল মিয়াঃ সেদিন ছিলো আষাঢ় মাস ।
আমি বাজার কইরা বাড়ী ফিরতাছি ।
আমাবইশ্যার রাইত । ঘুটঘুটা আইন্ধাইর । এক হাত
দুরের জিনিষও দেখা যায়না । তখন আবার
ম্যালা রাইত । গ্রামের রাস্তা তো,
একটা কাকপক্ষীও নাই । আমি তো হালার
ভয়ে অস্থির । বিভিন্ন সূরা আর
দোয়া পড়তে পড়তে হাটতাছি । আমার
হাতে ছিল দুইখান ইলিশ মাছ । সাড়ে ৬শ
টাকা দিয়া কিনা। হালায় দাম চাইছিলো ২
হাজার । আমি কইছি থাপ্পর দিয়া তোর দাঁত
ফালায়া দিমু হারামজাদা ! চিনোস আমারে ।
যাই হউক , রাত্রে বেলা ইলিশ মাছ
নিয়া বারি ফিরতাছি , ইলিশ মাছ আবার
‘তেনাগো’ বিশেষ পছন্দের জিনিষ । সেই
কারনে আমার ডর আরো বাইরা গেলো ।
অবশ্য এখনকার ইলিশে আগের সেই গন্ধ আর শুয়াদ
(স্বাদ) নাই । ইলিশ আনতেনে আমার নানাজান ।
আহারে কি গন্ধ !! কি টেস্ট !!
আইনা নানীরে কইতেন ... ‘ও করিমের মা ...’
উপস্থাপকঃ আমরা সে গল্প না হয় আরেকদিন
শুনবো , আমরা মূল গল্পে ফিরে আসি ।
যাই হউক । কিছুদুর হাটার পর হাল্কা চান্দের
আলোতে দেখি সামনে মিঞাবাড়ির বটগাছ
দেখা যায়।
উপস্থাপকঃ কিন্তু আপনি তো বললেন
আমাবস্যার রাত।
ইশ , ভাইজান , আপ্নে বড়ই সমস্যা করেন , কইলাম
না এইটা ভুতের গল্প । এইখানে চান্দ মিনিটের
মধ্যে উঠবো , মিনিটের মইধ্যে নামবো ।
এতো প্রশ্ন করলে কইলাম আমি নাই ,
ডাইক্কা আইন্না বেইজ্জত !!
উপস্থাপকঃ আচ্ছা , আচ্ছা আমরা ঘটনায়
ফিরে আসি । আপনি বটগাছ দেখলেন ... তারপর ?
এই বটগাছের আবার বিরাট কাহিনী । এই গাছের
ডালে ফাঁস দিয়া কুলসুমা মরছিল ।
আহারে কুলসুমা । দেখতে বড়ই সউন্দর ছিল ।
স্কুলে আইতে যাইতে কুলসুমের
সাথে রংতামাশা করতাম । ‘টুনির মা’
কইয়া ডাক দিতাম । কুলসুম কিছু কইতো না ।
ডরে তার মুখ দিয়া কথাই বাইর হইতোনা । খিক
খিক খিক ...
একখান ‘বিশেষ’ কারনে কুলসুমা গলায় ফাঁস
দিছিল । সেই কথা আপনেরে আলগা কইরা কমু , তয়
হেইদিন কুলসুমার কথা মনে হইতে আমি বুঝলাম
‘ডর’ কি জিনিশ । তিনবার সুরা এখলাস
পইড়া হাটা দিলাম । পূর্ণিমার রাইত , সব কিছু
পস্ট দেহা যাইতাসে । আতকা দেখি আমার
সামনে একটা কালা বিলাই ।
আমি বুঝলাম এইটা কুলসুমা ছাড়া আর কেউ না।
আমারে শাস্তি দিতে আইছে ।
আমি মাথা ঠাণ্ডা রাইখা কইলাম ‘আম্মা ,
তুমি আমারে মাফ কইরা দ্যাও ‘
বিলাই এ কয় ‘ম্যাও’ । বড়ই আজিব ব্যাপার !!!
এইদিকে ‘ভাদ্র’ মাসের
গরমে আমি ঘামে ভিইজা জুবজুবা।
আমি কুলসুমা (বিলাই) রে কইলাম , ‘আমি আর
জিন্দেগিতে কোন মাইয়ার দিকে চউখ
তুইলা তাকামু না , কেউরে মিসকল দিমুনা, মাফ
করো আম্মা , বারি যাইতে দ্যাও ...
কুলসুমা কয় ‘ম্যাও’ ... চিন্তা করছেন অবস্থা ?
এমন সময় শুনি পেছনে বেটা মাইনশের গলার
আওয়াজ । আমি আপনাদের অনুষ্ঠানের মত
কইরা ডাক দিলাম ... ‘কেডা ? কেডা ওনে ?’
আওয়াজ আইলো ‘জী , আমি রহিম । ভালা আছেন
নি ভাই ?’
রহিম রে দেইখা আমার জানে শান্তি আইল ।
আবার লগে ডর ও লাগলো । এত রাইতে রহিম
এইহানে কি করে ?
সামনে তাকায়া দেখি কুলসুমা (কালা বিলাই)
নাই !!! তহন আমার মনের সন্দেহ আরও
বাইড়া গেলো । তাইলে কি বিলাইটা রহিমের
রুপ ধইরা আইলো ? আমি তাকায়া দেহি আমাদের
রহিমের মতো এই রহিমের শইল্যের রঙ ধলা না,
কালা !!! বিলাইয়ের রঙ ও কালা আছিল । কুলসুমার
গায়ের রঙ ও কালা আছিল । দুইয়ে দুইয়ে চাইর
হইতে সময় লাগলো না।
তয় আমি যে ভয় পাইছি সেইটা রহিম
(না কুলসুমার আত্না ?) রে মোটেও বুজবার দিলাম
না । একবার যদি ব্যাটা টের পায় আমি ভয়
পাইছি , ব্যাটা আমার ঘাড় মটকাইয়া খাইবো ।
আমি জোরে জোরে হাটতে থাকলাম
লগে সূরা পড়তে থাকলাম । বাড়ি আমার
আরো মিনিট দশেকের পথ ... কেমতে যে যাই । যত
সূরা মুখস্ত আছে সব পড়া শুরু করলাম ।
এইদিকে রহিম আমার পিছ পিছ হাটতাছে।
রহিমের সাথে হাল্কা গফসফও করা শুরু করলাম।
এর মধ্যে দুইবার রহিম জিগাইলো আমার ব্যাগের
মধ্যে কি ? আমি কিছু কইলাম না । হালায়
যদি একবার টের পায় ইলিশ মাছ তাইলে আমার
আর বাইচা থাহনের কোন আশা নাই ।
কিছু সময় পড়ে আমি রহিমরে কইলাম চইত্র মাসের
গরম টের পাইতেছ রহিম ? কেমুন গা জলতাছে ?
কিন্তু পেছনে কোন উত্তর নাই ! আমি কইলাম ‘ও
রহিম , রহিম ।‘ উত্তর নাই ।
পিছনে তাকায়া দেহি রহিম নাই । আমার
ধারনাই সত্যি হইলো । আমি জানের
ডরে উইঠা দিলাম দৌড় । কুলসুমার ভুত আবার
কোন সময় চইলা আসে ঠিক নাই ।
এমন সময় পেছন থাইকা শুনি রহিমের গলা ‘ও
মিয়া ভাই , ও মিয়া ভাই ।‘ কুলসুমার ভুত আবার
চইলা আইছে । আমি দৌড় থামাইলাম না ।
জানের শক্তি দিয়া দৌড়াইতে থাকলাম ।
কুলসুমার ভুত ‘রহিম’ ও আমার
লগে দৌড়াইতে থাকলো । আর কইতে থাকলো ও
মিয়া ভাই আমারে লইয়া যান ।
আমারে লইয়া যান’ আরে আমি কি আর এতোই
বুকা ?
শেষে দৌড়াইতে দৌড়াইতে বাড়ি আইসা পৌঁছাইলাম
। এখন আর আমার কোন ডর নাই! এমন সময়
হালা ভুতও আইসা উপস্থিত । আমি কইলাম
কুলসুমা তুই এইহান থাইকা যা ... নইলে কিন্তু
আমি মাওলানারে ডাকমু ...
ভুত রহিমে আমারে কইলো ‘ ও ভাইজান , আপনের
কি হইছে আমারে কুলসুমা কোন ক্যান ? আপনের
কি হইছে ।
আমি ভালো কইরা খেয়াল কইরা দেখলাম
রহিমের শরীরের ছায়া মাটিতে পড়তেছে । তার
মানে এইটা ভুত না , ভুতের শরীরে কোন
ছায়া থাকেনা।‘
বুঝলাম , এইটা আসলেই রহিম , কুলসুমার ভুত না!!
আমি রহিমরে কইলাম ‘আমার পিছন
থাইকা আতকা তুই গেসিলি কই ?’
রহিম শরমের হাসি দিয়া কইল ‘মুততে গেছিলাম
ভাই , ক্ষেতের ধারে’
আমি আবার কইলাম ‘শালা , কইয়া যাবিনা ?’
রহিম কইলো ‘ক্যাম্নে কমু ভাই ? মুতার
কথা কইতে শরম লাগে , কিন্তু আপ্নে দৌড়
দিলেন ক্যান ? কি হইছিলো ?
আমি আর সত্য ঘটনা কইলাম না। আমি কইলাম
‘কিছু না , মনে হয় কুলসুমারে দেখছিলাম , তাই
দৌড় দিলাম ।‘
রহিম রাগ কইরা বলে ‘তাই
বইলা আমারে রাইখা দৌড় দিবেন ?
যে ভয়ডা পাইছিলাম । যাই হউক আমারে এক খান
লুঙ্গি দেন ।‘
আমি জিগাইলাম ‘লুঙ্গি চাস কেন ?’
রহিম আবারো শরমের হাসি দিয়া কইলো ‘ ভাই
অর্ধেক কামের মাঝে আপনে উইঠা দিলেন দৌড় ,
আমিও দিলাম দৌড় , বাকি অর্ধেক
দৌড়াইতে দৌড়াইতেই... ‘ রহিম আর কিছু
কইতে পারলোনা। শরমে তার মুখ লাল
হইয়া আছে।
আমি কইলাম ‘ছিঃ রহিম , তুই এতো ডরাস ?
তোরে আমার ছুটো ভাই হিসেবে পরিচয় দিতেই
লজ্জা করবো । যাউজ্ঞা ,
লুঙ্গি বদলাইয়া বাড়িত যা,
কাইল্কে আইনা ফেরত দিছ । রহিম
লুঙ্গি লইয়া বাড়িত চইলা গেলো। আমিও এই
ঘটনার কথা মনে কইরা হাসতে হাসতে বিছানায়
শুইতে গেলাম ।
‘বৈশাখ’ মাস । হটাত কইরা ঝড়-তুফান শুরু হইলো ।
আমি খেতা মুড়ি দিয়া আরামসে ঘুমাইতে গেলাম
। আর ভাইবা দেখলাম , রহিম যদি সময়
মতো না আইতো তাইলে ঐ কুলসুমার ভুত
‘কালা বিলাইটা’
আমারে জানে মাইরা ফেলতো । কার দোয়ায়
বাইচা আইছি কে জানে ?

-------- শুটকাভাই

Address

Mecca

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tabiz - তাবিজ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share