
08/07/2025
লিখাটা পড়ে কান্না আর ধরে রাখতে পারলাম না...!
ইয়া রব এমন জালেম সরকার যেনো আর কখনোই ফিরে না আসে..! 😭🤲😥
তোমরা তো শুধু মামলা দেখেছো—
কাগজে টাইপ করা অভিযোগ, কালো কালি, সিলমোহর আর স্বাক্ষর।
কিন্তু জানো না, তার পেছনে কত ভাঙা রাত...!
কত নিঃশব্দ কান্না, কত চাপা দীর্ঘশ্বাস লুকানো ছিল…!
প্রতিটি মিথ্যা অভিযোগ বিঁধে যেত বুকে,
লোহার গরম শলাকার মতো...!
আমরা দাঁড়িয়ে থাকতাম কাঠগড়ায়—
অপরাধহীন হয়ে, অথচ অপরাধীর মতো...!
রিমান্ড থেকে রিমান্ড, থানা থেকে থানা
এ সফর যেন শেষ হবার নয়—
মুঠোফোনে বারবার শুনেছি মায়ের কান্না,
শুধু একটাই প্রশ্ন করত, কবে ছাড়া পাবি বাবা?
আমি কোনো উত্তর দিতাম না—
কারণ, বললেই গলা কেঁপে উঠতো, চোখ বেয়ে নামতো অশ্রু...!
মা'কে কাঁদাতে ইচ্ছে করতো না, শুধু সান্তনা দিতাম...!
বাবা—
একদিন থানার গারদে জীর্ণশীর্ণ অবস্থায় আমাকে দেখে
এক মুহূর্তের জন্য থেমে গিয়েছিল তাঁর নিঃশ্বাস,
তিনি কিছু বলেননি...!
শুধু চোখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন,
লজ্জায় নয়, বরং শোকে পাথর হয়ে...!
বাবা বড় অভিমানী ছিলেন...!
কোনদিন আমাকে বুঝতে দেননি, তিনি আমাকে কতটা ভালবাসেন,
কিন্তু সেদিন গারদের সামনে তিনি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন...!
সেই বাবার সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলাম কিছুদিন পর, হাতে লোহার চুড়ি পরে...!
তখন তিনি সফেদ কাপড়ে মোড়ানো, নিশ্চুপ,
আমার দিকে তাকাননি, কথা বলেননি...!
পায়ে ঠান্ডাবেড়ি, মাথায় হেলমেট,
বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট...!
এই দৃশ্য দেখে কেঁদেছে অনেক হৃদয়...!
সবই নীরবে সয়ে গেছে পরিবার
এ পথের যাত্রীদের এটা নতুন কি আবার...!
স্বার্থপরেরা একে একে সরে গেছে,
কত আত্মীয়রা চুপ থেকেছে...!
আর কিছু মানুষ মুখে হাসি রেখে
পেছনে ছড়িয়েছে আগুন...!
ওরা বদনাম করে বেড়িয়েছে, ইচ্ছেমতো,
কারণ মিথ্যে ছড়াতে মুহূর্ত লাগে...!
আর সত্য প্রমাণ করতে চলে যায় একেকটা জীবন...!
তবুও আমরা চুপ ছিলাম,
কারণ আমরা বিশ্বাস করতাম,
মালিকের দরবারে কেউ ফাঁকি দিতে পারবে না...!
আজ, যখন একে একে সেই মিথ্যা মামলাগুলো বাতিল হচ্ছে...!
চোখে পানি জমে,
কিন্তু এই পানি লজ্জার নয়,
এটা সেই সব সিজদার উত্তর,
যেগুলোতে আমরা বলেছি—
“হে আল্লাহ, তুমি আমাদের সহায়...!”
হয়তো আমরা খুব সাধারণ
আমাদের পাশে ছিল না কোনো প্রভাবশালী,
না কোনো দলের সাহারা,
কিন্তু ছিল একটাই জিনিস—
ভাঙা হৃদয়ে করা রক্তমাখা দোয়া...!
আর সেই দোআই হয়তো পৌঁছে গিয়েছ